কাদের
বিএনপি-জামায়াত মানবাধিকার দিবসে বিশৃঙ্খলার ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
বিএনপি ও জামায়াত জোট মানবাধিকার দিবসে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণ না থাকায় তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: জি এম কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এমন একটি দল যারা ভুল রাজনীতিতে লিপ্ত এবং জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে বিএনপি জনগণের কাছ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। এক পর্যায়ে দেখা যাবে জামায়াত বিএনপির প্রধান নেতৃত্বে থাকবে। বিএনপি জামায়াতের বি-টিম হয়ে যাবে।’
বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও তার আগের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নিজেরাই বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে। সাহস থাকলে তারা বেরিয়ে আসুক।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিরোধী দল থাকবে। তৃণমূল বিএনপি সবচেয়ে বড় জোট, সুপ্রিম পার্টিসহ আরও অনেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।’
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর আ. লীগের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ইসি: ওবায়দুল কাদের
জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগ: কাদের
নির্বাচন সংক্রান্ত সংঘাত-বিশৃঙ্খলায় ব্যবস্থা নেওয়া ইসির দায়িত্ব: কাদের
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে তার প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা আছে।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপি হরতাল, অবরোধ, আগুন সন্ত্রাস করে জনগণকে নির্বাচন বিমুখ করতে পারেনি। জনগন পুরোপুরি নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে। এ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কোথাও থামবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ঠেকাতে বিএনপি যে অপচেষ্টা করেছিল তা এখনো অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের জনগন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আরেকটি বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে চায়। এজন্য ভোট দিতে তারা উন্মুখ হয়ে আছে।’
চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র করে মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে এবং আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি: কাদের
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে আ. লীগের প্রার্থী-নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান কাদেরের
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে আ. লীগের প্রার্থী-নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণে একটি ভালো নির্বাচন হবে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের মধ্যে জাগরণ দেখা যাচ্ছে। আগামী নির্বাচন ভোটারবিহীন হবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠালেও যুক্তরাষ্ট্র, কমনওয়েলথসহ অনেকে পাঠাচ্ছে। এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে প্রায় শতাধিক পর্যবেক্ষকের নাম চলে এসেছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার আচরণবিধি মেনে চলবেন বলে আশা করে সরকার।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জোটের আসন নিয়ে শরিকদের হতাশ করবে না আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: সিলেটবাসীর উন্নয়নে কাজ করেছি, আবারও তারা আমাকে ভোট দেবেন: মোমেন
পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে বিএনপির কালো হাত আছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পোশাক কারখানায় শ্রমিক আন্দোলনে স্পষ্টত বিএনপি ও তার দোসরদের কালো হাত আছে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
উসকানি ও গুজবে নিরীহ শ্রমিকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিক অধিকাংশ দাবি সমাধান হয়ে গেছে। বাকীটা সমাধানে শ্রমিকেরা এগিয়ে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি মনিটরিং করছেন।
শ্রমিকদের কাজে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকেরা নিজেদের ক্ষতি নিজেরা করবে না। শ্রমিকেরা বিভ্রান্ত হলে ক্ষতিটা দেশের এবং শ্রমিকের নিজের হবে। গুজব রটনাকারীদের ক্ষতি হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতৃত্বাধীন শক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে: কাদের
কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধীদলের আন্দোলনের নামে চোরাগোপ্তা হামলাকে প্রতিরোধ করতে হবে এবং নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে ভিন্নমতের প্রতিকূল স্রোতের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছি আমরা।
তিনি বলেন, আজকে বিভিন্নভাবে সরকার বিরোধী চক্রান্ত চলছে, দেশে বিদেশে সরকারবিরোধী তৎপরতা চলছে।
কাদের আরও বলেন, ২৮ তারিখে তাদের(বিএনপি) আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত- এটা বলা যায়। এখন স্বাভাবিক আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর তারা অস্বাভাবিক পথে চলতে শুরু করেছে। তাদের পুরনো রাজনীতির অভ্যাস অগ্নিসন্ত্রাসের উপাদান যুক্ত করেছে। এসব করে তারা শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য সর্বশেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে পারছে না, চোরাগোপ্তা হামলা করছে।
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরসহ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
আরও পড়ুন: পাড়া-মহল্লায় আগুনসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন: তথ্যমন্ত্রী
গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নয়, ধ্বংসের জন্য লড়াই করছে বিএনপি: কাদের
বিএনপি গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য লড়াই করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তি চায়। অস্থিরতা থাকলে বিএনপি এখন পর্যন্ত একটি সমাবেশও করতে পারত না। তবে ২৮ অক্টোবর শান্তি বিঘ্নিত করতে চাইলে এবারও ছাড় দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন এসব কথা বলেন।
আগামী ২৮ অক্টোবর শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ সফল করতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সাইবার স্পেসে গুজব ছড়ালে কেউ রেহাই পাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে কোনো আন্দোলন হয় না। তারিখ ঘোষণা করে বিশ্বের কোনো দেশেই কোনো আন্দোলন সফল হয়নি। এমনকি আমাদের দেশেও '৬৯ ও '৯০-এর আন্দোলন কোনো তারিখ ঘোষণা করে হয়নি। ভুল পথে চলার কারণে এবার বিএনপির আন্দোলন গর্তে পতিত হবে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শান্তি চায়। আমরা কেন ক্ষমতায় অস্থিরতা চাই? কিন্তু এখন যদি কেউ কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি করতে আসে, তাহলে আমরা তা দেখিয়ে দেব, কাকে অস্থিরতা বলা হয়।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমি ২৮ অক্টোবর উত্তাল সমুদ্র দেখতে চাই। আমি উত্তাল বঙ্গোপসাগরের গর্জন শুনতে চাই। আমরা অনেক সহ্য করেছি। সহনশীলতার একটা সীমা আছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘তারা ৪০টি দলের সঙ্গে সমাবেশ করবে। স্বপ্ন তো স্বপ্ন। বিএনপির সেই স্বপ্নে রঙিন বেলুন চুপসে যাবে। একটু অপেক্ষা করুন।’
মন্ত্রী বলেন, ক্ষমতাসীন দলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন তা বিস্ময়কর।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: রাস্তা দখল ও অবরোধের হুমকি দিয়ে বিএনপির ইচ্ছা পূরণ হবে না: কাদের
সংখ্যালঘুদের জন্য শেখ হাসিনার চেয়ে নির্ভরযোগ্য নেতা আর কেউ নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বাংলাদেশে তাদের সমতা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার চেয়ে নির্ভরযোগ্য নেতা খুঁজে পাবে না।
শনিবার পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’
দেশে সাম্প্রদায়িকতা ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করারও আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের (হিন্দু ধর্ম) জন্য এ দেশে শেখ হাসিনার চেয়ে নির্ভরযোগ্য আর কেউ নেই। তাই সাম্প্রদায়িকতা রুখতে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।’
আরও পড়ুন: মাদরাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে কাজ করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য অবহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আগের অশুভ ঘটনাগুলো হিন্দুদের কষ্ট দিয়েছে। এ অপকর্মের পুনরাবৃত্তি চাই না। আশা করি দশমী পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে।’
জাতীয় নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একটি সম্প্রীতিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই এটা সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘এই চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: যমুনা-বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়ার জন্য বিএনপির রোড মার্চ: তথ্যমন্ত্রী
কাদের বলেন, ক্ষমতা শুধুমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে হাত বদলাবে, এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বারবার সময়সীমা ঘোষণা করায় বিএনপি নেতাদের প্রতি ব্যঙ্গ করে প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের, ‘আর কত দিন দিবেন? আমি বলি, আমাদের সময় নেই। ৪ নভেম্বর ঢাকায় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (৪ নভেম্বর) আমি আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) কখনো কোনো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেনি, বরং 'দেশের সম্পদ লুট করেছে'।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের সব নিয়ম মেনে যে নির্বাচন চলছে সে নির্বাচনে কেউ যদি অংশ না নেয় সেটার জন্য সে নির্বাচন বন্ধ হবে না। বহুদল আছে যারা নির্বাচনে অংশ নিবে। ২/১টা দল অংশ না নিলে সে নির্বাচন কেন গ্রহণযোগ্য হবে না? নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক অধিকার। কেউ যদি নিজের অধিকার প্রয়োগ না করে সেটা তাদের ব্যাপার।’
বুধবার সকালে তিনি রাজধানীর বনানী কবরস্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জনগণ যতক্ষণ শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবে, কোনো আলটিমেটাম বা বার্তা দিয়ে লাভ হবে না: কাদের
কাদের বলেন, ‘ভাংচুর, অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্র ও খুনের মামলায় আগে থেকে যারা জড়িত সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ৭৫-এ খন্দকার মোশতাক ও মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিলেন, সে ধারাবাহিকতা এখনো বহন করে চলছে বিএনপি।
এই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলাদেশের মাটি থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্মূল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যতদিন শেখ রাসেলের মতো অবুঝ শিশুর জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে না তুলতে পারব ততদিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা শেখ রাসেলের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি শর্ত প্রত্যাহার করলে সরকার সংলাপের বিষয়ে বিবেচনা করবে: ওবায়দুল কাদের
১৮ অক্টোবর আ. লীগের কর্মসূচি ঘোষণা, একইদিনে আছে বিএনপির সমাবেশ
বুধবার (১৮ অক্টোবর) আওয়ামী লীগ ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এবং একই দিনে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের নেতা-কর্মীদের ওইদিন রাজধানীতে জড়ো হওয়ার নির্দেশনা দেন।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগ আয়োজিত এক সমাবেশে কাদের এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘১৮ তারিখ ঢাকার গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে আমরা সমবেত হব।’
আরও পড়ুন: চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন, পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই: ফখরুল
আওয়ামী লীগ ৭ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মসূচির বিস্তারিত সূচি নির্ধারণ করেছে। ৭ অক্টোবর শিক্ষক সমাবেশের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। ১৮ তারিখ ঢাকায় এক জনসভার মধ্য দিয়ে এই ধারাবাহিক আয়োজনের সমাপ্তি ঘটবে।
১৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের আরও সদস্য ১৮ তারিখের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। আমরা আন্দোলনের জন্য একটি শোভাযাত্রা ঘোষণা করব, যা জাতীয় স্মৃতিসৌধের দিকে অগ্রসর হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে আমরা তাদের সমাবেশে বাধা দেব এবং তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা দেব। তারা ষড়যন্ত্র করছে। ফখরুল গুজব ছড়াচ্ছেন।’
এ সময় যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: আমীর খসরু
শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিন: নসরুল হামিদ
সংবিধানের বিধান ছাড়া কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে?: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামগীরের কাছে জানতে চাই, নির্বাচন সংবিধানের বিধান ছাড়া কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে?
তিনি বলেন, দেশের সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একটি চিহ্নিত মহল অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় বসার স্বপ্নে বিভোর। তার দেশের পবিত্র সংবিধান ও আইনের তোয়াক্কা করে না।
আমি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামগীরের কাছে জানতে চাই, নির্বাচন সংবিধানের বিধান ছাড়া কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে?
শনিবার (৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের মির্জা ফখরুলের বক্তব্যকে ‘বাস্তবতা বিবর্জিত অর্বাচীন’ বলে নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
আরও পড়ুন: ১/১১-এর মতো সরকার গঠনের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘আপনাদের ক্ষমতায় বসানোর নিশ্চয়তায় কোনো পাতানো নির্বাচন?’ বাংলার মাটিতে জনগণ তা আর কোনো দিন হতে দেবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় ভিন্ন উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার রাজনীতি করে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে যে অঙ্গীকার করে তা বাস্তবায়ন করে। সে কারণে জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তি ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণ।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্ব ও ব্যর্থ রাজনৈতিক দল বিএনপির মুখে প্রবল আন্দোলন'-এর কথা মানায় না। তাদের তথাকথিত লাগাতার আন্দোলন, কঠোর আন্দোলন, এক দফার দুর্বার আন্দোলন!
তিনি আরও বলেন, সবকিছু ব্যর্থ হওয়ার পরও তারা ক্ষমতা দখলে উদ্ধত ও মরিয়া। সেই কারণে বিএনপি নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক বাস্তবতা উপলব্ধি না করে ক্রমাগতভাবে কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য প্রদান করছে। রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের সক্ষমতার পারদ যত নিম্নগামী হচ্ছে ততই তারা মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ব্যতীত বিএনপির পুরো টিমই রাজনীতির মাঠে যথেচ্ছভাবে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে সারাদেশে স্বাধীনভাবে সভা সমাবেশ করছে। একুশে আগস্টের মাস্টারমাইন্ড দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান বিদেশে বসে লাগাতারভাবে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের প্রতি বিশ্বাস না রেখে উস্কানির মাধ্যমে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে তানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে অপরাজনীতি করে আসছে। তাদের নেত্রীর প্রতি তাদের ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ না থাকার কারণে তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার অপচেষ্টা করছে। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করে তার উপর শারীরিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা বিএনপি নেতৃাদের প্রতি আহ্বান জানাই।
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বেগ নেই, সবার সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘গোপন’ সম্পর্ক নিয়ে কাদেরের দাবি উড়িয়ে দিল বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘গোপন’ সম্পর্ক নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্য উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা বড় মিথ্যাবাদী’।
তারা (আওয়ামী লীগ) এতটাই ভীত ও বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে যে তাদের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, পর্দার আড়ালে (যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) একটি সমঝোতায় পৌঁছানোয় কোনো ভয় নেই। এর মানে আপনি স্বীকার করেছেন যে আপনি এত দিন ধরে ভয় পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
বুধবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ও গণতান্ত্রিক পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ওবায়দুল কাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বোঝাপড়ার কথা বলেছেন। ‘পৃথিবীতে আপনার মতো মিথ্যাবাদী খুব কমই আছে। আপনার মতো বড় মিথ্যাবাদী পৃথিবীতে আর পাওয়া যাবে না। আপনি গোয়েবলসকে ছাড়িয়ে গেছেন।’
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এর আগে মিথ্যা দাবি করেছিলেন যে, ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা ও বৈঠক হয়েছে। ‘আমরা সবাই জানি, কীভাবে তারা (বাইডেন) ছবি তোলার জন্য দৌড়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বলেছেন, দিল্লি আছে, আমরাও আছি। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই তিনি কী বোঝাতে চেয়েছিলেন। দিল্লি কি আপনাকে বলেছে যে আপনার অপকর্ম চালিয়ে যেতে হবে এবং নির্বাচনের কোনো প্রয়োজন নেই? দিল্লি কি আপনাকে জোর করে নির্বাচনের ঘোষণা দিতে বলেছে? তারপর বিষয়টি পরিষ্কার করে বলুন।’
আয়োজকরা জানান, সম্মেলনে সারাদেশ থেকে শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, কৃষিবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার দেড় হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নেন।
ফখরুল বলেন, তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু এর মানে এই নয় যে, হামলা হলে তারা পাল্টা হামলা চালাবে না।
জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণকে রাজপথে নামতে উৎসাহিত করার জন্য পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
খালেদা জিয়াকে নিয়ে লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘অশালীন’ মন্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা এই সত্যকে উন্মোচন করেছে যে, তার নির্দেশেই এ দেশে সবকিছু ঘটছে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে তার (প্রধানমন্ত্রীর) বক্তব্য পরিষ্কারভাবে প্রমাণ করেছে যে, এ দেশে বিচার বিভাগের কোনো প্রয়োজন নেই এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্তেরও প্রয়োজন নেই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও চরম ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ।
‘তিনি মনে করেন এই দেশ তার পৈতৃক সম্পত্তি। সর্বোপরি, তিনি মনে করেন তিনি অতুলনীয় হয়ে উঠেছেন। দেশে তিনি ছাড়া আর কেউ নেই। তাহলে এত নাটক, প্রাণহানি, নির্যাতন আর এত নির্যাতনের কী লাভ? আপনি ঘোষণা করতে পারেন যে আমি এখন সম্রাজ্ঞী।’
বিএনপি নেতা বলেন, দেশ এখন ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে পড়েছে। ‘এই সরকার অবৈধ, কারণ এটি কোনো নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় না। তারা অবৈধভাবে সংবিধান বিকৃত করে ক্ষমতা দখল করেছে।’
তিনি বলেন, সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন আয়োজনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু দেশের জনগণ ও বিদেশিরা এর পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাছাড়া যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চায়, তারা তাদের (আওয়ামী লীগ) বিশ্বাস করে না।’
ফখরুল আরও বলেন, তারা পরিষ্কারভাবে বলেছে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি এবং সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে তারা তা মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে এই সরকার যখন পদত্যাগ করবে তখনই একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল