পর্যটক
বান্দরবানের আরও ২ উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
বান্দরবানের আরও দুটি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
রবিবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (রুটিন দায়িত্ব) মো. লুৎফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বান্দরবান সেনানিবাসের ২২ অক্টোবর এক চিঠির আলোকে বান্দরবান রিজিয়ন কর্তৃক টহল কার্যক্রম পরিচালনা এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় এনে আলীকদম ও থানছি উপজেলায় স্থানীয় এবং বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর নিষিদ্ধ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ৬
এদিকে গহীন জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গী এবং সন্ত্রাসীদের' বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য ১৭ অক্টোবর থেকে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ আছে। এই নিয়ে জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে চারটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।
উল্লেখ্য, ১০ অক্টোবর থেকে পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি এবং সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ সাত জঙ্গি এবং তিন জনস্থানীয় সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে যৌথ বাহিনী।
আরও পড়ুন: প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটক শূন্য বান্দরবান!
বান্দরবান ট্যুর গাইড: সেরা দর্শনীয় স্থানসমূহ
কক্সবাজারে সমুদ্রে ভেসে গিয়ে পর্যটকের মৃত্যু!
কক্সবাজারের সীগাল বীচ পয়েন্ট সমুদ্রে গোসল করতে গিয়ে সমুদ্রের পানিতে ভেসে গিয়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সুমন (৪০) ঢাকার বংশালের আবুল হোসেনের ছেলে।
নিহত সুমনের বোনের স্বামী মো. শাহীন জানান, তারা পরিবারের ৯ সদস্য নিয়ে ঢাকার বংশালের নয়াবাজার থেকে ১০ অক্টোবর কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। ১১ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে পরিবারের সবাই সমুদ্র গোসলে নামেন। এসময় সুমন টিউব নিয়ে ভাসতে ভাসতে দূরে চলে গিয়ে এক সময় টিউব থেকে ছিটকে পড়ে যায়। এতে সমুদ্রে ভেসে যায় সুমন। তখন লাইফগার্ড কর্মীরা ওয়াটার বাইকের সহায়তায় সুমনকে উদ্ধার করেন। পরে বিচকর্মী ও লাইফ গার্ডের কর্মীরা দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মিজান জানান, সমুদ্রে গোসল করতে গিয়ে ভেসে যাওয়া পর্যটককে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর তার লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
সিলেটে পর্যটকের মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু
সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে পর্যটকের মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা আড়াইটায় কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত অজুফা বেগম (৬০) উপজেলার তেলিখাল ইউনিয়নের চাতলপাড় গ্রামের আলীম উদ্দিনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ভূরুঙ্গামারী খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, থানা সদর পয়েন্টে রাস্তা রাস্তা পাড় হচ্ছিলেন অজুফা বেগম। এসময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ আরও জানায়, ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রে চারটি মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে আসেন কয়েকজন পর্যটক। সেখান থেকে ফেরার পথে কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর পয়েন্টে এলে দুর্ঘটনা ঘটে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলা উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
পর্যটকদের থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
ডেঙ্গু: চট্টগ্রামে শিশুর মৃত্যু
৩ মাস পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো সুন্দরবন
দীর্ঘদিন পর পর্যটক, বনজীবী ও মৎস্যজীবীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে সুন্দরবন। বুধবার রাত ১২টা থেকে শুরু হয় পর্যটনের নতুন মৌসুম।
সুন্দরবনের নদ-নদীতে মাছের প্রজনন মৌসুমের কারণে গত ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৩ মাস ইকো-ট্যুরিজমসহ (প্রতিবেশ পর্যটন) বনজীবীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে বৃহস্পতিবার ১ সেপ্টেম্বর সকালে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হলো বনের পর্যটন।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার বলেন, সুন্দরবন জল-স্থলভাগ শুধু জীববৈচিত্র্যেই নয়, মৎস্য সম্পদের আধার।
তাই সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিংয়ের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। চলতি বছর থেকে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই প্রথম এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সময় বৃদ্ধি করে বন মন্ত্রণালয়। এই তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বন্ধ করা হয় সুন্দরবনে প্রবেশের সব ধরনের পাস-পারমিট ও নৌ-চলাচল। ফলে তিন মাস গোটা সুন্দরবন ছিল জেলে ও পর্যটক শূন্য। তিন মাস অতিক্রান্ত হওয়ায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারছেন পর্যটকরা। একইসঙ্গে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ আহরণের জন্য পাস-পারমিট নিয়ে বনে প্রবেশ করতে পারছেন বনজীবীরা।
তিনি আরও জানান, তিন মাস সব ধরনের মাছ আহরণ বন্ধের পাশাপশি সুন্দরবনে পর্যটকসহ বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় ২১০ প্রজাতির মাছের পাশাপাশি ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর প্রজনন ও বংশ বিস্তারে সুফল আনবে বলে ধারণা বন বিভাগ ও বিশেষজ্ঞদের।
সুন্দরবন ট্যুর অপারেটরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল হক কচি বলেন, সুন্দরবনের দ্বার খুলে যাওয়ায় বুধবার রাত ১২টায় খুলনা থেকে দ্য ওয়েব জাহাজ ৭৫ পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনে যাত্রা শুরু করেছে। জাহাজটি ঢাকা থেকে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকালে অবসর নামে একটি জাহাজ ৪০ জন অভিনয়শিল্পী নিয়ে সুন্দরবন যাত্রা করেছে। এছাড়া শুক্রবার খুলনা থেকে আরও ছয়টি জাহাজে ২৫০ জন দেশি-বিদেশি পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণে যাবেন। পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা থেকে সড়কপথে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের দূরত্ব কমেছে। ফলে সময় বাঁচবে তিন ঘণ্টা। তাই এবার পর্যটকদের জন্য নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এ পর্যটন মৌসুম চলবে আগামী বছরের ৩১ মে পর্যন্ত।
এদিকে, সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় জেলে, ট্যুর অপারেটর, লঞ্চ ও বোট চালকরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশের ট্যুর অপারেটররা তাদের লঞ্চসহ বোটগুলোকে রংতুলির আঁচর দিয়ে ও প্রয়োজনীয় মেরামত সেরে নতুন করে সাজিয়েছেন।
সুন্দরবনের ট্যুর অপারেটর এইচ এম দুলাল বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর এতদিন সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় সড়কপথে পদ্মা সেতু পার হয়ে সহজেই অসংখ্য পর্যটক প্রতিদিন ভিড় করবেন বাগেরহাটের পূর্ব বিভাগের সুন্দরবনে। পদ্মা সেতু চালুর পর এবার সুন্দরবনে পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের ভিড় কয়েকগুণ বাড়বে আশা করা যায়।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক আসা বন্ধ থাকায় এখন বন্যপ্রাণীগুলো বিকাল হলেই পর্যটক কেন্দ্রের সামনে চলে আসছে। কারণ মানুষের আনাগোনা কম, তাই নদীর পাশে বা সামনে আসতে ভয় পেতো না। তবে পর্যটক আসা বন্ধ থাকায় সরকারের কিছুটা রাজস্ব কম হয়েছে, তার চেয়ে বেশি উপকার হয়েছে বনজ সম্পদ, বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদের।
মোংলা সমুদ্র বন্দরের ট্যুর অপারেটর মো. এমাদুল হক, বাবুল মিয়া জানান, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় সড়কপথে পদ্মা সেতু পার হয়ে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক ভিড় করবেন সুন্দরবনে। এজন্য তারা প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
শরণখালার ট্যুর অপারেটর মো. রাসেল বয়াতি, আলমগীর হোসেন, আ. হালিম ও আলী আকবর জানান, সুন্দরবনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে শরণখালার সুপতি, কচিখালী, ডিমের চর, কটকা, বাদামতলা, টিয়ার চর, শেলার চর, দুবলার চর ও আলীবাদাসহ বিভিন্ন এলাকা। পদ্মা সেতুর খুলে দেয়ায় এখান থেকে কম সময়ে এবং কম খরচে সুন্দরবন ভ্রমণের সুযাগ সষ্টি হয়েছে।
সুন্দরবনের মৎস্য ব্যবসায়ী জালাল মোল্লা, রিপন বয়াতি ও মো. জাকির হোসেন জানান, বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে ও মৎস্যজীবীরা তিন মাস মানবেতর জীবন-যাপন করেছেন। তাই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় বন বিভাগ থেকে পারমিট নিয়ে তারা জীবিকার অন্বেষণে ছুটে যাবেন সুন্দরবনে।
আরও পড়ুন:পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন খুলছে ১ সেপ্টেম্বর
শরণখালা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে জেলে ও পর্যটকদের জন্য পারমিট দেয়া শুরু হবে। এজন্য নির্ধারিত স্টেশনগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে সুন্দরবনের প্রতি দর্শনার্থীদের আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু সেতু উদ্বোধনের সময় থেকেই বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় দর্শনার্থীরা আসতে পারেননি। তবে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় দর্শনার্থীর সংখ্যা পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন:বাগেরহাটে হাঁসের ঘর থেকে ১২ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার, সুন্দরবনে অবমুক্ত
সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে কুমিরের ৩৮টি ছানা ফুটেছে
পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন খুলছে ১ সেপ্টেম্বর
বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে। প্রজনন মৌসুমে বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদের প্রজনন বাড়াতে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট সুন্দরবনে সব ধরণের মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। একটানা তিন মাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারবেন।
বন বিভাগের পক্ষ থেকে সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থানগুলোকে ভ্রমণ উপযোগী করে তোলা হয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য ট্যুর অপারেটরগুলো তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সুন্দরবনে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ঢল নামবে বলে বন বিভাগ ও ট্যুর অপারেটরদের প্রত্যাশা।
বন বিভাগ বলছে, প্রজনন মৌসুমে ৩ মাস সুন্দরবনে সব ধরণের মানুষের প্রবেশ বন্ধ থাকায় বন্যপ্রাণীরা নির্বিঘ্নে প্রজনন করতে পেরেছে। বনে বিভিন্ন ধরণের বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে বনের নদী, খালে মাছও বৃদ্ধি পেয়েছে। লোকালয়ের কাছাকাছি এবং বন বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরের পাশে হরিণ, বানর, বন্য শুকুর, সাপ, অজগর, ঘুঘুসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর প্রায়ই দেখা মিলছে। এমনকি বনের বিভিন্ন এলাকায় বাঘের ডাকও শোনা গেছে।
সুন্দরবন বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। ১৮৭৮ সালে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সুন্দরবনের মোট আয়াতন ছয় হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে স্থলভাগের পরিমাণ চার হাজার ১৪৩ বর্গকিলোমিটার এবং জলভাগের পরিমাণ এক হাজার ৮৭৩ বর্গকিলোমিটার। সুন্দরবন জীববৈচিত্র সমৃদ্ধ বিশ্বের মধ্যে সমৃদ্ধশালী একটি ইকোসিস্টেম। অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল সুন্দরবন। রয়েল বেঙ্গল টাইগারেরও আবাসস্থল সুন্দরবন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবন।
আরও পড়ুন: জেলে-পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: নিজস্ব রূপে ফিরেছে সুন্দরবন
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: কক্সবাজারে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকায় পর্যটকদের সমুদ্রের পানিতে না নামার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ট্যুরিস্ট পুলিশ আগত পর্যটকদের পানিতে নামার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করছেন। সৈকতে টহলরত ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা পর্যটকদের সচেতনতায় মাইকিং অব্যাহত রেখেছেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: কাপ্তাই হ্রদে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ মিয়া জানান, কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকে গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা ট্রলার সমূহকে পরবর্তী সংকেত না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
কাপ্তাই হ্রদে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে গোসল করতে নেমে রুবায়েত ইসলাম (২৬) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে কাপ্তাই হ্রদের সদর উপজেলাধীন দারোগার পাহাড় এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। অনেক খোঁজাখুঁজি'র পর বিকাল সাড়ে ৫টার পর তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে কাপ্তাই হ্রদে ট্যুরিস্ট বোট নিয়ে ঘুরতে বের হন চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা চার বন্ধু। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে হ্রদে গোসল করতে নেমে তলিয়ে যান রুবায়েত ইসলাম। তিনি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ের স্টেশন অফিসার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, দুপুরে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে যান ওই যুবক। পরে আমরা বিকাল ৫টা ৩৬ মিনিটের দিকে তার লাশ উদ্ধার করি। লাশ কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গন নদীতে ডুবে নিহত ১
হাজীগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
কক্সবাজারে হোটেল থেকে পর্যটকের লাশ উদ্ধার
কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল থেকে সৌরভ সিকদার (৩৪) নামে এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার রাত সাড়ে ৮টারদিকে কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনের কলাতলীর ডলফিন মোড় এলাকার ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট থেকে এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত সৌরভ সিকদার কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার মাস্টার হাসান শহীদের ছেলে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দীন জানান, গত রবিবার নিহত সৌরভ সিকদার তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ওই রিসোর্টে ওঠেন। পরে গলায় রশি বেঁধে ফ্যানে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেন। এসময় রশি ছিড়ে রিসোর্টের রুমে পড়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে এ অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করেন। এসময় তার স্ত্রী লাশের পাশেই ছিলেন।
তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তির স্ত্রীর দেয়া তথ্যমতে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধারণা করছে পুলিশ। এরপরও বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে।
লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে হাওরে গোসল করতে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
সমুদ্রসৈকতে গোসল করতে নেমে পর্যটক নিখোঁজ
কিশোরগঞ্জে হাওরে গোসল করতে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় হাওরে গোসল করতে নেমে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৯টায় উপজেলার কুর্শা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হাওরে নিখোঁজ পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
নিহত আকাশ (২৬) ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া উদ্ধার হওয়া তুহিন (২৫) কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং হাসিবের (২৬) গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। তারা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. আবুজর গিফারী বলেন, হাওরে গোসল করতে নেমে তিন পর্যটক নিখোঁজ হন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় একজনকে মৃত ও দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
জেলে-পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: নিজস্ব রূপে ফিরেছে সুন্দরবন
জুন, জুলাই ও আগস্ট তিন মাস সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুম। এই সময়ে বনের নদী-খালে মাছ শিকারে বনবিভাগের নিষেধাজ্ঞা চলছে। এছাড়া নির্দিষ্ট এ সময়ে বনের অভ্যন্তরে ও অভয়ারণ্যে পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর ফলে যেন নিজস্ব রূপে ফিরেছে অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন।
পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী ও প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘বিশ্বখ্যাত সুন্দরবন দেখার আগ্রহ রয়েছে দেশ-বিদেশের সব বয়সী মানুষের। প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে সুন্দরবনে ছুটে আসেন পর্যটকরা। কিন্তু চলমান নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই ভ্রমণের সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘সুনসান নীরবতায় বনের প্রকৃতিতে ভিন্ন রূপের সৃষ্টি হয়েছে। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বনজুড়ে নীরবতা বিরাজ করছে। গাছপালা যেন হাত বাড়িয়ে ডাকছে। পাখির কলকাকলীতেও মুখর সুন্দরবন। সেই ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর দেখা মিলছে।’
জানা গেছে, নানা প্রজাতির গাছপালা, পশুপাখি ও প্রাণীর বিচরণস্থল সুন্দরবনে সারা বছর পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে দর্শনার্থীরা শুধু হরিণ, বানর, কচ্ছপ ও কুমিরের দেখা পান। বাকি সব প্রাণী মানুষের কোলাহল ও নৌযানের শব্দে বনের গহীনে বিচরণ করে। কিন্তু গত দেড় মাস ধরে মানুষের পদচারণা ও নৌযানের শব্দ না থাকায় প্রাণীর ঝাঁক চলে আসছে নদী ও খালের পাড়সহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিনের নীরবতার কারণে আগে যে সব প্রাণী অহরহ দেখা যেতো না, সেগুলোর দেখা মিলছে। পুরো সুন্দরবনে বছরে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ভ্রমণ করে থাকেন। আর তাদের পরিবহনে ব্যবহার হয় প্রায় ২৫ হাজার নৌযান। গত ১ জুন থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে। তাই মানুষ ও নৌযান চলাচল না থাকায় বনের পরিবেশ পাল্টে গেছে।’
পড়ুন: সুন্দরবনে ৩ মাস মাছ ধরা নিষেধ
ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ গাইড: দর্শনীয় স্থান সমূহ, খরচ