ক্যাম্পেইন
প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকার ক্যাম্পেইন বাড়ল আরও ৩ দিন
কোভিড ১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইনের সময়সীমা আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনেশন বিশেষ ক্যাম্পেইন বিষয়ক এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
তিনি বলেন, বিশেষ এই টিকা ক্যাম্পেইন আজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি ছুটি ও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় আরও তিনদিন এই কর্মসূচি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ৪, ৬, ৮ তারিখ পর্যন্ত বাদ পড়া ব্যক্তিরা নির্ধারিত টিকা কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। ইতোমধ্যে গত ছয়দিনে এক কোটিরও বেশি মানুষ প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এরমধ্যে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ছয় লাখ দুই হাজার ৪৮ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ১৫ লাখ চার হাজার ৬৩৮ জনকে। আর বাকিগুলো দেয়া হয়েছে বুস্টার ডোজ।
আরও পড়ুন: করোনার বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে মঙ্গলবার
আহমেদুল কবির বলেন, টিকাদানের কারণেই বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমে এসেছে। তবে, গত কয়েকদিনে সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও হাসপাতালে ভর্তির হার খুবই কম। এসব চিন্তা করেই বাদ পড়াদের টিকার আওতায় আনতে নতুন করে আবারও সময় বাড়ানো হয়েছে।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বলেন, গত ছয়দিনে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। টিকা কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর মানুষ টিকা নিতে আসছে। মানুষের মধ্যে স্পৃহা তৈরি হয়েছে। এসব বিবেচনায় আরও তিনদিন এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। সিটি করপোরেশনগুলোকে আজকের মধ্যেই এ বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ১১ অক্টোবর থেকে জেলা-উপজেলায় শিশুদের টিকাদান শুরু: স্বাস্থ্য সচিব
পর্যাপ্ত টিকা মজুদ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা মজুদ আছে। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে সবার কাছে আমরা টিকা পৌঁছে দিয়েছি, যাদের প্রয়োজন হবে আরও পৌঁছে দিবো।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পূর্বের জাতীয় সার্ভে অনুযায়ী টার্গেট করা মানুষের মধ্যে ৯৮ শতাংশ প্রথম ডোজ টিকা কভার হয়েছে। নতুন সার্ভে অনুসারে এখন জনসংখ্যা কম হওয়ায় টার্গেটও কমেছে সে হিসেবে আমরা প্রায় আমরা কভার করেছি। এরপর আমরা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ আরও তিন চালিয়ে যাবো।
৮ অক্টোবরের পর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে কিনা জানতে চাইলে টিকা কর্মসূচির পরিচালক বলেন, যৌক্তিক কারণে কেউ টিকা থেকে বাদ পড়ে থাকলে তাদের জন্যও টিকার ব্যবস্থা থাকবে। আমরা হয়তো আর এভাবে কোন ক্যাম্পেইনের আয়োজন করবো না, তবে তারা হাসপাতালের নির্দিষ্ট টিকা কেন্দ্র থেকে নিতে পারবে। এমনকি এখন যারা প্রথম ডোজ নিচ্ছে, তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ সংরক্ষিত থাকবে।
আরও পড়ুন: ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের টিকার অনুমোদন কানাডার
অফুরান উল্লাসে ৮ বছরে দারাজ
‘৮ বছরের অফুরান উল্লাস ধন্যবাদ, বাংলাদেশ!’-এই স্লোগান নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ নিজেদের আট বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে এক বিশেষ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনটির উদ্বোধন করা হয়।
দারাজের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এ ক্যাম্পেইনটি চলবে ৪-১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সফলতার আট বছ পদার্পণের মূহুর্তটি অফুরন্ত উল্লাসের মাধ্যমে অবিস্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ বর্ষপূর্তি ক্যাম্পইন নিয়ে এসেছে দারাজ বাংলাদেশ। দেশব্যাপী দারাজের অগণিত ক্রেতা ও সহযোগীদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে এই ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হচ্ছে।
নিজেদের যাত্রায় উদ্ভাবন ও ব্যবসায়িক উৎকর্ষে প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে দেশের মানুষের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে নতুন মাত্রা যোগ করেছে দারাজ।মাত্র ৫ জন কর্মী এবং একটি ওয়েবসাইট নিয়ে আট বছর আগে যাত্রা শুরু দারাজের। ৭০ লাখের বেশি ক্রেতা ও ৪১ হাজার বিক্রেতা নিয়ে দারাজ এখন দেশের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম।
দারাজের এই সফলতার পেছনের রয়েছে দেশজুড়ে অসংখ্য ক্রেতা-বিক্রেতা, সহযোগী ও শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা। তাদের এই সহযোগিতাকে স্মরণীয় করে রাখতে আট বছরপূর্তির এই ক্যাম্পেইনটি আয়োজন করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দারাজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী বিয়ারকে মিকেলসেন।
আরও পড়ুন: ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন ‘ইলেভেন ইলেভেন’ এর জন্য প্রস্তুত দারাজ
আট বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপন নিয়ে তিনি বলেন, ‘দারাজ বাংলাদেশ একটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান। এটাই দারাজ বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের দক্ষ কর্মীদের মাধ্যমেই দারাজ বাংলাদেশের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ দারাজ গ্রুপের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দারাজ গ্রুপ থেকে এ মার্কেটকে সম্ভাবনাময় হিসেবে আমরা চিহ্নিত করেছি এবং এ দেশের ই-কমার্স অবকাঠামো ও ইকোসিস্টেমের বিকাশে দারাজের শেয়ারহোল্ডাররা আগামী ৩-৪ বছরে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রহী।’
তিনি আরও বলেন, ‘তরুণ ও ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে টেকসই ই-কমার্স ব্যবসা ও ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দারাজের গ্রুপের সিওও জর্নিকা জাফিরোভা, দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক, চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. তাজদীন হাসান, চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম, চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাব্বির হোসাইন এবং চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার মো. রিয়াদ হোসেন সহ দারাজের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়াও, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েনসার, অভিনেতা ও মডেলরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘সাত বছরের দীর্ঘ যাত্রায় দারাজ বাংলাদেশ অনেক মাইলফলক অর্জন করেছে, যা ই-কমার্স খাত এবং দারাজ বাংলাদেশের জন্য সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা স্বল্পসময়ে নিজেদের শীর্ষ অবস্থানে নিতে সফল হয়েছি। আমাদের ৫০ হাজারের বেশি সেলার পার্টনার রয়েছে। এর মাধ্যম, আমাদের বিশ্বাস আমরা দেশজুড়ে ই-কমার্সের পরিধি বিস্তৃত করতে পেরেছি এবং সমাজের রূপান্তর ও ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা পরিবর্তনে উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করেছি। এক্ষেত্রে, আলিবাবার বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’
আরও পড়ুন: দারাজের বৃহত্তম ওয়ান-ডে সেল ১১.১১ ক্যাম্পেইন চলছে
অনুষ্ঠানে দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. তাজদীন হাসান বলেন,‘বর্তমানে, দেশের রিটেইল পণ্য বিক্রিতে ই-কমার্স খাতের হিস্যা মাত্র ১-২ শতাংশ। আমাদের দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এক্ষেত্রে ই-কমার্স নিয়েও আমাদের অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’
তিনি আারও বলেন, ‘বিগত সাত বছর ধরে দারাজ দেশজুড়ে ই-কমার্স সেবার বিস্তৃতি এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখার লক্ষ্যে ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা পরিবর্তনে তাদের সচেতন করে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে,আমরা আমাদের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে একটি মেগা ক্যাম্পেইন নিয়ে এসেছি। যার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকরা আকর্ষণীয় নানা ডিল উপভোগ করতে পারবেন।’
বর্ষপূর্তির আয়োজনকে স্মরণীয় করে রাখতে দুর্দান্ত সব অফার দিয়ে ক্যাম্পেইনটি সাজিয়েছে দারাজ। ক্রেতাদের জন্য দারাজ দিচ্ছে ব্র্যান্ড-ফ্রি শিপিং, মিস্ট্রি বক্স, ফ্ল্যাশ সেলস, হট ডিলস এবং মেগা ডিলস সহ আকর্ষণীয় আরও অনেক অফার। ক্রেতাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে দারাজের এই ক্যাম্পেইনে দেয়া হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়ের সুযোগ, গেমিফিকেশন গিভঅ্যাওয়ে, ভাউচার, পেমেন্ট অফার, নিউ ইউজার গিফট, ফ্ল্যাশ পাজল চ্যালেঞ্জ, এক্সক্লুসিভ লঞ্চ এবং বিশেষ ইএমআই সুবিধার মতো দারুণ সব অফার।
ক্যাম্পেইনটির সহযোগী স্পন্সর হিসেবে আছে ডেটল, বাটা, ওরাইমো গ্লোবাল, স্টুডিও এক্স, রিয়েলমি, সিঙ্গার, শাওমি এবং লোটো। ব্র্যান্ড পার্টনার হিসেবে আছে ফ্যাব্রিলাইফ, লাক্স, পিউরইট, মোশন ভিউ, লিভিংটেক্স, মটোরোলা, ইনফিনিক্স, রিবানা, ম্যাসকিউলিন, গোদরেজ, হাইয়ার, প্যারাসুট ন্যাচরাল, ফার্নিকম এবং স্কেয়িন।
এছাড়াও, ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে আছে জায়নাক্স হেলথ, লেভিশ বুটিক স্যালন, নাহিলা হেদায়েতের প্রিভে, গালা মেইকওভার এন্ড স্যালন, আনিকা বুশরার স্প্লেন্ডর এবং এশা রুশদির পাউডার রুম।
আরও পড়ুন: দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে রেকর্ড
বুস্টার ডোজ সপ্তাহ শুরু আজ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত বুস্টার ডোজ সপ্তাহ শুরু হয়েছে শনিবার। এই কার্যক্রম চলবে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত। নির্ধারিত এই সাতদিনে এক কোটির বেশি মানুষকে বুস্টার ডোজ টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে এই বুস্টার ডোজ সপ্তাহ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ সপ্তাহ আজ থেকে শুরু হচ্ছে। এই সময়ে এক কোটির ওপরে বুস্টার ডোজ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বুস্টার ডোজ নেয়ার উপযুক্ত প্রায় চার কোটি মানুষ আমাদের এখনও অপেক্ষমাণ আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে মোট ১৬ হাজার ১৮১টি টিকা কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। এর মধ্যে স্থায়ী কেন্দ্র ৬২৩টি ও অস্থায়ী কেন্দ্র ১৫ হাজার ৫৫৮টি। বুস্টার ডোজ সপ্তাহ চলাকালে একযোগে ৪৫ হাজার ৫৩৫ জন টিকাদানকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী টিকাদান কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
যেসব অস্থায়ী কেন্দ্রে দুই দিন টিকা দেয়া হবে সেসব কেন্দ্রে টিকা দেয়ার তারিখ স্থানীয় পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা ও মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হবে।
এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্যাম্পেইনের আওতায় ১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব সকল নাগরিক তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের চারমাস পর বুস্টার ডোজ নেয়া যাবে।
অধিদপ্তর জানায়, সকল টিকাকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে ভ্যাকসিন প্রদান করা শুরু হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য আপনার টিকা কার্ডটি অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে আসবেন। বুস্টার ডোজের পাশাপাশি কোভিড ভ্যাকসিন দেয়ার স্বাভাবিক কার্যক্রমও চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: বুস্টার ডোজ সপ্তাহ শুরু আজ
ডব্লিউএইচও থেকে বিনামূল্যে করোনার টিকা পাওয়া দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ৩০ লাখ টিকা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশকে করোনার ফাইজারের টিকার আরও ৩০ লাখ ডোজ অনুদান হিসেবে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, সর্বশেষ চালানসহ বাংলাদেশে মোট ৬৪ মিলিয়ন ডোজ অনুদান দেয়া হয়েছে।
এই চালানে ফাইজার ভ্যাকসিনের একটি নতুন রেডি-টু-গো ফর্মুলেশন রয়েছে যা দেয়ার আগে মিশ্রণের প্রয়োজন হয় না।
এই নতুন মিশ্রণটি ন্যূনতম কোল্ড-চেইন ক্ষমতাসহ দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা যাবে।
দূতাবাস জানিয়েছে, এই নতুন টিকা ঠিক সময়ে পৌঁছেছে যাতে একটি নতুন বুস্টার ক্যাম্পেইন শুরু করা যায়।
আরও পড়ুন: ফাইজারের করোনার পিল ব্যবহারের সুপারিশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও এক কোটি টিকা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
করোনা নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে একদিনে গত শনিবার রেকর্ড এক কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।
রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪২তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে এক কোটি ১১ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৩ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণটিকাদানের মেয়াদ আরও দুইদিন বাড়লো
জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টার্গেট করা মানুষের মধ্যে প্রায় শতভাগ মানুষকে আমরা টিকা দিয়েছি। নতুন করে টিকা কর্মসূচির সময়সীমা আরও দুইদিন বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সাউথইস্ট এশিয়ায়বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে। আমরা করোনা মোকাবিলায় সফলতা পেয়েছি। এর পিছনে অনেক কাজ করতে হয়েছে। করোনার জন্য ২০ শয্যা আলাদা করতে হয়েছে। ল্যাব, অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করতে হয়েছে। টেলিমেডিসিন সেবার ব্যবস্থা করতে হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ২১ কোটি ডোজ দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই টিকা নিয়ে অনিহা দেখেছি। বিভিন্ন জায়গায় টিকা না নিতে আন্দোলন হয়েছে, ভাংচুর হয়েছে। কিন্তু আমাদের জনগণ টিকা নিয়েছে, যে কারণে আমরা করোনা মোকাবিলা করতে পেরেছি।
দারাজের ১২.১২ ক্যাম্পেইনে রিয়েলমি’র নতুন মাইলফলক
দারাজের ১২.১২ ক্যাম্পেইনে স্মার্টফোন বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি।
সম্প্রতি শেষ হওয়া দারাজের ১২.১২ ক্যাম্পেইনটিতে রিয়েলমি জিটি নিও ২, জিটি মাস্টার এডিশন, রিয়েলমি ৮ ফাইভজি- ৫জি স্মার্টফোনের মধ্যে সর্বোচ্চ বিক্রির তালিকায় ছিলো। পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে রিয়েলমি নারজো ৫০আই এবং রিয়েলমি সি২১ওয়াই।
১২.১২ ক্যাম্পেইনটিতে ক্রেতাদের জন্য রিয়েলমি দুর্দান্ত অফার প্রদান করেছে। এর মধ্যে ছিলো প্রতিটি রিয়েলমি স্মার্টফোন ক্রয়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়, ইএমআই সুবিধাসহ অসংখ্য পুরস্কার। এ ক্যাম্পেইনে রিয়েলমি জিটি নিও ২ (৮/১২৮ জিবি) এর মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৩৬,৩১৪ টাকা (স্মার্টফোনটির বাজার মূল্য ৩৯,৯৯০ টাকা), জিটি মাস্টার এডিশন (৮/১২৮ জিবি) দাম রাখা হয় ৩২,৯৮০ টাকা (ফোনটির বাজার মূল্য ৩৩,৯৯০ টাকা) এবং রিয়েলমি ৮ ফাইভজি (৮/১২৮ জিবি) মূল্য নির্ধারণ করা হয় ২২,১৬৬ টাকা (স্মার্টফোনটির বাজার মূল্য ২২,৯৯০ টাকা)।
এ ক্যাম্পেইন শুরু হওয়া মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রদানকৃত স্টক শেষ হয়ে যায়; এর মাধ্যমেই নতুন একটি মাইলফলক অর্জন করে রিয়েলমি।
আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম তিনটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নিয়ে রিয়েলমির জিটি ২ সিরিজে উন্মোচন
রিয়েলমি হাই-এন্ড মার্কেটে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। জিটি সিরিজের ফোনগুলো (জিটি নিও ২ ও জিটি মাস্টার এডিশন) বাজারে নিয়ে এসে ক্রেতাদের ভালো দামে উন্নত প্রযুক্তি ও দুর্দান্ত পারফরমেন্সের ফোন কেনার সুবিধা দিয়েছে রিয়েলমি। দেশে ফাইভজি জনপ্রিয় করতে কাজ করছে রিয়েলমি। দেশের বাজারে রিয়েলমি ৮ ফাইভজি নিয়ে এসেছে, যা ক্রেতাদের মাঝে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।
উল্লেখ্য, রিয়েলমি আগামী তিন বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০কোটি ফাইভজি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে ফাইভজি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফোলিও তৈরিতে কাজ করছে। এ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সাথে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ফাইভজি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের জন্য আরও অনেক এআইওটি পণ্য বাজারে নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: জিটি ২ সিরিজে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে তিনটি উদ্ভাবন নিয়ে আসছে রিয়েলমি
মেগা ডিসকাউন্টে রিয়েলমি স্মার্টফোন পাওয়া যাবে দারাজ ১২.১২ ক্যাম্পেইনে
মেগা ডিসকাউন্টে রিয়েলমি স্মার্টফোন পাওয়া যাবে দারাজ ১২.১২ ক্যাম্পেইনে
দারুণ সব অফারে দেশের তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি পাওয়া যাবে দারাজ ১২.১২ ক্যাম্পেইনে। ১২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই ক্যাম্পেইনে থাকছে রিয়েলমির প্রতিটি স্মার্টফোনেই ১২ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। ইএমআই সুবিধার সঙ্গে হাজারো উপহার। পাশাপাশি জিতে নিতে পারবেন কক্সবাজার ট্যুর-এর সুযোগও।
১২ ডিসেম্বর থেকে মেগা অফারে দারাজ থেকে রিয়েলমি স্মার্টফোন কিনতে ক্লিক করুন: https://click.daraz.com.bd/e/_6yGk0।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায়- রিয়েলমি জিটি নিও ২ (৮/১২৮জিবি) পাওয়া যাবে মাত্র ৩৬ হাজার ২৮৩ টাকায় (বাজারমূল্য ৩৯,৯৯০ টাকা); জিটি মাস্টার এডিশন (৮/১২৮জিবি) পাওয়া যাবে মাত্র ৩১ মাত্র ৩৩১ টাকায় (বাজারমূল্য ৩৩,৯৯০ টাকা)।
রিয়েলমি’র জনপ্রিয় নাম্বার সিরিজের মধ্যে রিয়েলমি ৮ ফাইভজি (৮/১২৮জিবি) পাওয়া যাবে মাত্র ২১ হাজার ৫৮ টাকায় (বাজারমূল্য ২২,৯৯০ টাকা) এবং রিয়েলমি ৮ (৮/১২৮জিবি) কিনতে পারবেন মাত্র ২১ হাজার ৩৮ টাকায় (বাজারমূল্য ২২,৯৯০ টাকা)।
উল্লিখিত প্রতিটি স্মার্টফোনের সঙ্গে পাওয়া যাবে ১২ মাস পর্যন্ত ইএমআই সুবিধা, সঙ্গে নির্দিষ্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে অতিরিক্ত ছাড় সুবিধাও থাকছে [শুধুমাত্র ১২ ডিসেম্বরের জন্য]।
এর পাশাপাশি ১৩ ডিসেম্বর রিয়েলমি জিটি সিরিজ (জিটি নিও ২, জিটি মাস্টার এডিশন) ফ্ল্যাশ সেল, ১৪ ডিসেম্বর রিয়েলমি ৮ সিরিজ (৮ ফাইভজি, ৮) ফ্ল্যাশ সেল, ১৫ ডিসেম্বর রিয়েলমি সি২১ওয়াই (৩/৩২জিবি) নতুন ভ্যারিয়েন্টের ফ্ল্যাশসেল অনুষ্ঠিত হবে। ফ্ল্যাশসেলে বিশেষ অফারের সঙ্গে পাওয়া যাবে দারুণ সব উপহার। ১৯ ডিসেম্বর এই ক্যাম্পেইনের আওতায় রিয়েলমি ডে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে রিয়েলমি স্মার্টফোনে পাওয়া যাবে মেগা ছাড় ও উপহার।
মেগা ছাড়ের পাশাপাশি দারাজের ১২.১২ ক্যাম্পেইন থেকে রিয়েলমি স্মার্টফোন কিনে জিতে নিতে পারেন কক্সবাজার ট্যুরের সুযোগ। বিস্তারিত জানতে রিয়েলমি এবং দারাজের ফেসবুক পেইজে চোখ রাখুন!
ব্যবহারকারী ও ফ্যানদের সন্তুষ্টিকেই রিয়েলমি সব সময় প্রাধান্য দেয় এবং ক্রেতাদের জন্য সব সময় আকর্ষণীয় অফার নিয়ে আসতে সচেষ্ট। ক্রেতা ও ফ্যানদের কথা বিবেচনায় নিয়েই বছর শেষ হওয়ার আগে রিয়েলমি দারাজের এ ক্যাম্পেইনটির সাথে যুক্ত হয়েছে। ক্যাম্পেইনটি আগামী ১২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, রিয়েলমি আগামী তিন বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ৫জি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে ৫জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। এ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সাথে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের জন্য আরও অনেক এআইওটি পণ্য বাজারে নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: রিয়েলমির বর্ষ সেরা ক্যাম্পেইন শুরু, ১ লাখ টাকা জিতে নেয়ার সুযোগ
গ্লোবালি লঞ্চ হচ্ছে বছরের সবচেয়ে প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ রিয়েলমি জিটি ২ প্রো
খুলনায় তিন লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল
খুলনা মহানগরীসহ ৯ উপজেলার ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী দুই লাখ ৯২ হাজার ৭৯৩ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ১১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী অনুষ্ঠেয় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২ লাখ ৯২ হাজার ২৪১ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মাহমুদ জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালে ৬-১১ মাস বয়সী প্রত্যেক শিশুকে একটি নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রত্যেক শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পেইনে শিশুর জন্য মায়ের দুধের গুরুত্ব ও শিশুর ছয় মাস পূর্ণ হলে দুধের পাশাপাশি শিশুকে পরিমাণ মতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন করা হবে।
সিভিল সার্জন জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালে মহানগরীসহ ৯ উপজেলার এক হাজার ৬৯০ টিকাদান কেন্দ্রে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। করোনার প্রাদুর্ভাব বিবেচনা করে এই ক্যাম্পেইনে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সর্তকতা অনুসরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে টিকা পেয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভিটামিন ‘এ’ অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুকে রক্ষা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ভরাপেটে খাওয়ানো ভালো। ভ্রমণে থাকাকালীন রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে অবস্থিত কেন্দ্র থেকে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। তবে ছয় মাসের কম অথবা পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশু, চার মাসের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে এমন শিশু এবং মারাত্মক অসুস্থ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী জিলাপিকে তুলে ধরার জন্য লাইকির #জালেবিবেবি
জনপ্রিয় শেয়ারিং অ্যাপ ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরির প্লাটর্ফম লাইকি ক্রমান্বয়ে হালের তরুণদের পছন্দের তালিকার শীর্ষস্থান দখল করছে। এসব তরুণদের অনেকেই মনে করেন, এটি ছোটো ভিডিও তৈরি দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সবার মাঝে তুলে ধরার একটি অনন্য মাধ্যম।
সবার মাঝে জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী জিলাপিকে তুলে ধরার জন্য #জালেবিবেবি (https://likee.video/hashtag/JalebiBaby) শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে লাইকি।
গত নভেম্বরের ১৭ তারিখ ক্যাম্পেইনটি চালু হওয়ার পর, ব্যবহারকারী হালের তরুণদের মাঝে তাৎক্ষণিকভাবে ইতিবাচক সাড়া ফেলে এবং যা সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিপুল সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়। ক্যাম্পেইনটি চালু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ৮৮৭ জন অংশগ্রহণকারীর মাধ্যমে এক হাজার ১১০টি ভিডিও প্ল্যাটফর্মটিতে আপলোড করা হয় এবং এখন পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইনটির ভিডিওগুলো ফ্যান ও ফলোয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার এবং ভিউয়ারশিপের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ মিলিয়ন।
আরও পড়ুন: ‘সাইবার সেফটি’ ক্যাম্পেইন চালু করল লাইকি
এ সব তরুণরা স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরির অ্যাপটি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি তাদের ভালোবাসাও প্রদর্শন করছেন। ব্যবহারকারীদের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ে নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাকগুলো সবার সামনে তুলে ধরতে #জিআরডব্লিউএম (https://likee.video/hashtag/GRWM) শীর্ষক আরেকটি ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে লাইকি। এই আয়োজনটির সাত হাজার ২০০ ফ্যান এবং ২৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন হ্যাশট্যাগ ভিউ লাভ করে। এই চ্যালেঞ্জটিতে আপলোডকৃত ভিডিওগুলো ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন বার ব্যবহারকারী দেখেছেন।
তাছাড়া দেশীয় ঐতিহ্যকে ধারণ করে তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে #বৈশাখীসাজ
(https://likee.video/hashtag/BoishakhiShaj) শীর্ষক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে লাইকি। এই ক্যাম্পেইনটির ফলোয়ারের সংখ্যা দাঁড়ায় ছয় হাজার ৭০০ এবং ভিডিওগুলোর ১৭ দশমিক ১ মিলিয়ন ভিউ হয়।
আরও পড়ুন: ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে লাইকি
#লাইকিঈদফ্লিপ (https://likee.video/hashtag/LikeeEidFlip ) এমনই এক ধরনের ক্যাম্পেইন, যা অনেককেই ‘ফ্লিপ ট্রানজিশন’ ব্যবহার করে ঈদ উদযাপনের ঐতিহ্যগুলোকে তুলে ধরতে অনুপ্রাণিত করেছে। এই ক্যাম্পেইনটির ফ্যান ফলোয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৭০০ এবং এটি ১৭ দশমিক ২ মিলিয়ন ভিউয়ারশিপ লাভ করেছে।
লাইকি’র হেড অব অপারেশনস গিবসন ইউয়েন বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনী হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জানাতে সচেষ্ট রয়েছে লাইকি। এই ক্যাম্পেইনগুলোর মাধ্যমে আমরা দেখতে পেয়েছি, ব্যবহারকারীরা অর্থবহ কনটেন্ট তৈরি করে তার সাথে নিজেদের খুব সহজেই সম্পৃক্ত করতে পারছেন। আর এ কারণেই এই প্ল্যাটফর্মটিতে বর্তমান সময়ের তরুণদের সম্পৃক্ততা বেড়েই চলছে বলে আমরা মনে করি।’
দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে রেকর্ড
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ এবারের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে সেবা প্রদানে নতুন রেকর্ড করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম এই শপিং ডে’তে অংশগ্রহণ করতে পাঁচটি দেশে দারাজের প্ল্যাটফর্মে ভিজিট করেছে এক কোটি ৪০ লাখের বেশি ক্রেতা।
দেশ পাঁচটি হলো: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল ও মিয়ানমার।
ক্যাম্পেইন শুরুর প্রথম ঘণ্টায় প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য বিক্রি হয়েছে, যা গত বছরের বিক্রির তুলনায় ১৫০ শতাংশ বেশি।
দারাজের সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা বিয়ার্কে মিকেলসেন এ বিষয়ে বলেন,‘আজকের সফলতায় আমরা খুবই আনন্দিত। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে,ক্রেতারা দারাজ থেকে কেনা পণ্যের গুণগত মানের ওপর আস্থা রাখেন এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহের সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। একইসাথে,এর মাধ্যমে এসএমই ব্যবসায়ীরা কীভাবে অনলাইনে তাদের ব্যবসাকে আরও প্রসারিত করতে পারবেন,সে বিষয়টিও উঠে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন,‘এ পাঁচটি বাজারের ছোট-বড় সকল শহরের আরও বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করছেন,যা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। এর মাধ্যমে এটিও বোঝা যায় যে,এ অঞ্চলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে ই-কমার্স পৌঁছে গেছে।’
আরও পড়ুন: দারাজের বৃহত্তম ওয়ান-ডে সেল ১১.১১ ক্যাম্পেইন চলছে
ক্যাম্পেইনের প্রথম অর্ডার ডেলিভারি হয়েছে সকাল ৬টা ৫ মিনিটে এবং আড়াই লাখ অর্ডারের পণ্য ইতোমধ্যে অর্ডারকৃত ক্রেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ক্রেতাদের সেবা প্রদানের বিষয়টি তুলে ধরে মিকেলসেন বলেন,‘এবারের ১১.১১ সেলে আমরা আরও উদ্ভাবনী ও পার্সোনালাইজড ক্রেতা অভিজ্ঞতা প্রদানের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। বিক্রির সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, ক্রেতাদের অভিজ্ঞতার বিষয়ে ইতিবাচক ফিডব্যাক পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’
এ সম্পর্কে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন,‘এমন অভাবনীয় সাড়া পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। সারাদেশ থেকে মানুষ অত্যন্ত আগ্রহের সাথে এ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেছেন। ১১.১১ ক্যাম্পেইনে আস্থা রাখার জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। দারাজ সবসময় ক্রেতা-কেন্দ্রিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং ক্রেতাদের মানোন্নয়নকে আমরা প্রাধান্য দেই। এজন্য ক্রেতাদের অর্ডার করা পণ্য যত দ্রুত সম্ভব তাদের কাছে পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর পাশাপাশি আমি দারাজের সকল কর্মী,বিক্রেতা,ডেলিভারি কর্মী এবং এ ক্যাম্পেইনের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে তাদের সহায়তায় জন্য ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন ‘ইলেভেন ইলেভেন’ এর জন্য প্রস্তুত দারাজ
দারাজসহ ২৩ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব