ছেলে
বগুড়ায় ছেলের লাশ দেখে বাবার মৃত্যু
বগুড়ার শাজাহানপুরে ছেলের মৃত লাশ দেখে স্ট্রোক করে বাবার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার আশিকপুর ইউনিয়নের মাথাইল চাপড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ছেলে মাসুদুর রহমান পারভেজ (৪০) উপজেলার শাবরুল গ্রামের নিহত মনছের আলী তালুকদারের (৬৫)ছেলে এবং বগুড়া সদরের কৈচর বিএম কলেজের প্রভাষক।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘অতিরিক্ত মদপানে’ তরুণীর মৃত্যু
জানা যায়, মাসুদুর রহমান পারভেজ নামের ওই কলেজশিক্ষককে দিনদুপুরে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সংবাদ জানার পর নিহত পারভেজের বাবা মনছের আলী তালুকদার ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্তানের লাশ দেখে স্ট্রোক করে মারা যান।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) সাদ্দাম হোসেন জানান, ঘটনা জানার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনা জানার পর তার বাবাও স্ট্রোক করে ইন্তেকাল করার কথা জেনেছি।
তিনি আরও বলেন, তবে কে বা কারা কেন ওই শিক্ষককে খুন করেছে তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ভারতের যশোদা হাসপাতালে 'ভুল চিকিৎসায়' নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৩৫২
চট্টগ্রামে ঘুমন্ত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ছেলে আটক
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় মোহাম্মদ বাদশা (৫৬) নামে এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার নিজের ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইছড়ি মাইজপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মোহাম্মদ বাদশা স্থানীয় শাহাদাত মার্কেটে ডেকোরেটরের ব্যবসা করতেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার বলেন, পরিবারের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে আমরা সকালে বাদশার লাশ উদ্ধার করেছি। প্রথমে পরিবারের সমস্যরা জানায়, ডাকাতের হাতে খুন হয়েছে বাদশা। পরে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের জেরার মুখে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ছেলে এনামুল হক।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত ছেলে জানান তার বাবা ডেকোরেশন দোকানে বসা নিয়ে তাকে বকাঝকা করতে সব সময়। সম্প্রতি দোকানের ক্যাশ ভেঙে সে অনলাইন একটি মোবাইল ফোন কিনেছিল, এই নিয়ে বাবা তাকে বকাঝকা করেছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া সে একটি মেয়েকে বিয়ে করার জন্য বাবার উপর চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু বাবা ওই মেয়েকে বিয়ে করাতে রাজি হয়নি। মূলত এসব কিছু নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর সে তার বাবাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
বৃহস্পতিবার রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে সে রান্নাঘর থেকে একটি দা নিয়ে কুপিয়ে তার বাবাকে হত্যা করেছে বলে জানায়।
পরে সে দা ধুয়েমুছে আবার রান্না ঘরে রেখে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে সকালে প্রচার করে তার বাবাকে ডাকাতেরা হত্যা করেছে।
পুলিশ পরিদর্শক জানান, এই নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
আগামী নির্বাচনে পাবনা-৫ আসনে লড়তে আগ্রহী রাষ্ট্রপতির ছেলে
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছেলে আরশাদ আদনান রনি পাবনা-৫ আসন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাতে পাবনা শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রনি এ কথা বলেন।
রনি বলেন, আমি জেলার জনগণকে জানাতে চাই যে- আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাবনা-৫ (সদর) আসনে মনোনয়ন চাইব এবং তিনি রাজি হলে জনগণের জন্য কাজ করতে পারব।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশিদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চায় সহায়তা করবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
তিনি বলেন, আমার বাবা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পাবনার মানুষের জন্য কাজ করছেন।
রনি বলেন, আমার বাবা আমাকে পাবনায় গিয়ে জেলার মানুষের জন্য কাজ করতে বলেছেন।
বাবা আমাকে বললেন, দয়া করে পাবনায় গিয়ে দেখ জনগণ তোমাকে মেনে নেয় কি না।
নিজের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতির ছেলে বলেন, আমি ছাত্র থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করি। তারপর যুবলীগে যোগদান করি।
তিনি বলেন, কখনো কখনো ব্যবসার কারণে দূরে থাকতাম। বর্তমানে আমি আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। যেহেতু আমি আওয়ামী পরিবারের একজন সদস্য এবং আমি পাবনার সন্তান তাই আমি বিশ্বাস করি আমার দাবির জায়গা আছে।
রনি আরও বলেন, নৌকাকে বিজয়ী করতে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
তবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেলে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করলে দেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে: হাছান মাহমুদ
নির্বাচনের আগে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি আইজিপির
বরিশালে সেফটি ট্যাংকে পড়ে যাওয়া বালতি তুলতে গিয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু
বরিশালের বানারীপাড়ায় রবিবার (২৭ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে সেফটি ট্যাংকে পড়ে যাওয়া বালতি তুলতে গিয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতেরা হলেন- বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়নের হাওলাদার বাড়ির আবুল কালাম হাওলাদার (৭০) এবং তার ছেলে কামরুল ইসলাম হায়দার (৪৩)।
আরও পড়ুন: বরিশালে স্ত্রী ও দুই শ্যালকের বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুক দাবির মামলা!
বানারীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওসমান গনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এসআই জানান, কয়েকদিন আগে তারা নিজ বাড়িতে নতুন সেফটিক ট্যাংক নির্মাণ করেন। রবিবার (২৭ আগস্ট) সকালে সেন্টারিং খুলতে সেফটি ট্যাংকির মধ্যে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করতে গিয়ে বালতিটি ট্যাংকের ভিতরে পড়ে যায়। পড়ে যাওয়া বালতি তুলতে গিয়ে ট্যাংকের মধ্যে নেমে ছেলে কামরুল ইসলাম অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ছেলেকে উদ্ধারের জন্য সেপটিক ট্যাংকে নামলে বাবাও অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, পরে স্বজন ও স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে স্বরূপকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই ওসমান গনি আরও বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী চিকিৎসক নিহত
দিনাজপুরে ছেলের লাঠি পেটায় বাবার মৃত্যুর অভিযোগ
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে প্রতিবন্ধী ছেলের লাঠি পেটায় বাবার মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার শালখড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিকার আবুল কাসেম (৭০) নবাবগঞ্জের ১ নম্বর জয়পুর ইউনিয়নের শালখড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে মাদকাসক্ত যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ২
এদিকে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকালে আবুল কাসেমের লাশ উদ্ধারসহ অভিযুক্ত ছেলে মাসুদকে আটক করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, আবুল কাসেমের প্রতিবন্ধী ছেলে মাসুদ হঠাৎ করে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে তার বাবাকে লাঠি পেটা করে। এতে প্রাণ হারান তার বাবা।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, শুক্রবার সকালে লাশের সুরতহাল তৈরির সময় শরীরে ক্ষতসহ আঘাতের দাগ দেখা গেছে। এ ছাড়া ময়নাতদন্তে লাশ দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বজনরা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, স্বামী-স্ত্রী নিহত
দিনাজপুরে ধানখেতে পড়েছিল কাপড় ব্যবসায়ীর লাশ
ফেনীতে ছেলের ধাক্কায় বাবার মৃত্যু
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নে ছেলে বোরহান উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির ধাক্কায় তার বাবা রুহুল আমীনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুহুল আমীনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় হোমিও চিকিৎসকের মৃত্যু
এ ঘটনায় পুলিশ রুহুল আমীনের ছেলে বোরহান উদ্দিনকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে ঘোপাল ইউনিয়নের দৌলতপুর শেখজি পাড়ায় রুহুল আমিনের সঙ্গে তার ছেলের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে রুহুল হাতে দা নিয়ে তার ছেলে বোরহানকে তাড়া করেন। এ সময় নিজেকে রক্ষা করতে বাবাকে ধাক্কা দিলে তিনি মাটিতে পড়ে অচেতন হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদীপ রায় পলাশ বলেন, এ ঘটনায় বোরহানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। রুহুল আমীনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফেনীর ৮ গ্রাম প্লাবিত
ফেনী বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী ঢাকায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ
রাজশাহীতে ছেলের কোপে বাবা নিহতের অভিযোগ
রাজশাহীতে ছেলের হাসুয়ার কোপে বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মীরগঞ্জের হরিরামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রুস্তম রুস্তম আলী পাকার (৭০) ছেলের নাম শুকুর আলী পাকা (৪৫)। এছাড়া এ হত্যার ঘটনার পর থেকে শুকুর আলী পলাতক আছেন।
আরও পড়ুন: মাংস কম দেয়াকে কেন্দ্র করে বিয়ে বাড়িতে সংঘর্ষ, বরের বাবা নিহত
স্থানীয়রা জানান, বাবার গাছ বিক্রি করে ছেলে টাকা নিতে চান। বাবা গাছ বিক্রি করতে নিষেধ করেন ছেলেকে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধারালো হাসুয়া দিয়ে বাবা রুস্তম আলীকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে শুকুর আলী।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম প্রাথমিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানান, ঘটনার পর থেকে শুকুর আলী পলাতক রয়েছেন।
তিনি জানান, খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় মেয়েকে বিয়ে না দেয়ায় ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত
সীতাকুণ্ডে ‘চোরে’র ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত, ছেলে আহত
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়েছে: অভিযোগ ছেলের
বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে ও বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী (হানিফ উড়ালসড়ক সড়ক) থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়ে বাড়ি ফেরার সময় তাকে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়েছে: অভিযোগ ছেলের
তানভীর বলেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে শনিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় সালাহউদ্দিন আগাম জামিন পেয়েছেন।
তিনি জানান, এরপর থেকে তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ‘হামলার’ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানাল বিএনপি
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারেক-জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির রায়: বিএনপি
কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে ৩ ছেলের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বাবাকে হত্যার দায়ে তিন ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী নুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো. ফয়েজ উল্লাহ, মো. অহিদ উল্লাহ ও মো. শহিদ উল্লাহ।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকায় জমি লিখে না দেওয়ায় বাবা আব্দুল করিমকে পিটিয়ে হত্যা করেন তার ছেলেরা।
এ ঘটনায় নিহত আব্দুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মত সাফিয়া খাতুন বাদী হয়ে তিন ছেলেসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি নুরুল ইসলাম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তিন ছেলে, নাতি ও স্বজনেরা মিলে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে।
মামলায় ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
পরে এ মামলায় আটজনের মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুড়িগ্রামে ট্রলির ধাক্কায় বাবা-ছেলের মৃত্যু, চালক আটক
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ইট বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় বাবা ও তার ৯ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ট্রলির চালককে আটক করেছে।
রবিবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাঁদের বাজার নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ট্রলির ধাক্কায় মাদরাসাছাত্র নিহত
নিহত শিশু মাসুদ রানা (৯) ও বাবা একরামুল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আটক চালক মিলন বাবু পাশ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজলার এগারো মাথা এলাকার মোকছেদুল হকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে শিশু মাসুদ রানা ও বাবা একরামুল বাইসাইকেল করে ঈদের মার্কেট করার জন্য ফুলবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
এ সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাঁদের বাজার নামক স্থানে পৌঁছালে বাইসাইকেলের পিছনে ইট বোঝাই ট্রলিটি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই শিশু মাসুদ রানা মারা যায় এবং তার বাবা মারাত্মক আহত হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে মারা যান।
এদিকে বিকাল ৩টায় কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক বাবা ও ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ট্রলির ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
চাঁদপুরে ট্রলির ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু