নারী
শিশুর ভবিষ্যৎ ও নারীর ক্ষমতায়নে বিনিয়োগ করলে আজীবন সুফল পাওয়া যায়: ডা. নাহিদ রশিদ
শিশুর ভবিষ্যৎ ও নারীর ক্ষমতায়নে বিনিয়োগ করলে আজীবন তার সুফল পাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. নাহিদ রশিদ।
তিনি বলেন, আগে জাতীয় মৎস্য নীতিতে ‘পুষ্টি’বিষয়ে কোনো উল্লেখ ছিল না। কিন্তু সূচনাকে ধন্যবাদ আমরা এখন নীতি সংশোধনে পুষ্টি অন্তর্ভুক্ত করেছি।
আরও পড়ুন: ঢাকার খাল-বিল ও নদীগুলো দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশের ‘সূচনা- বাংলাদেশে অপুষ্টি চক্রের অবসান’প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নাহিদ রশিদ বলেন, ‘খর্বকায়তার অনেকগুলো কারণ মোকাবিলা করতে সূচনা কাজ করেছে। পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা উন্নত করতে আমাদের আরও সহযোগিতার প্রয়োজন এবং এর জন্য বহু বিভাগের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘সরকার দারিদ্র্য বিমোচন এবং স্বাস্থ্য খাতে পরিবর্তন আনতে আগ্রহী, যার জন্য সরকার, এনজিও ও বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
সমাপনী অনুষ্ঠানে সুচনা প্রকল্পের প্রধান প্রধান অর্জন সম্পর্কে কথা বলেন চিফ অব পার্টি-সুচনা ড. শাহেদ রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-
এডউইন কোয়েককোয়েক, টিম লিডার, গ্রিন ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন: হারনেট ফাউন্ডেশন ও ইইউ’র যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ ডিসাইডস: দ্য ইয়ুথ স্পিকস’
পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে সৌদি কোম্পানি
রাজশাহীতে লাশ দেখতে এসে প্রতিবেশী নারীর মৃত্যু!
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় আত্মহত্যায় নিহত প্রতিবেশির লাশ দেখতে এসে স্ট্রোক করে আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে গলায় ফাঁস দিয়ে সেলিনা বেগম (৪৩) নামের এক নারী আত্নহত্যা করেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন
সেলিনা উপজেলার ঝাঁলুকা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ীয়া গ্রামের আসলাম উদ্দিনের প্রাক্তন স্ত্রী।
আত্নহত্যাকারী প্রতিবেশি সেলিনার লাশ দেখতে এসে আরেক প্রতিবেশী ফাতেমা বেগম (৫০) নামের এক নারী স্ট্রোক করে মারা যান।
তিনি একই গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী। এ দুই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সেলিনা বেগমের বড় ছেলে আসিফ উদ্দিন বলেন, প্রায় ১৫ বছর আগে আমার বাবার সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ হয়। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র বাড়ি করে সেখানে স্ত্রী নিয়ে থাকেন। আমরা দুই ভাই আসিফ ও রবিন।
আমার মা রবিনের সঙ্গেই থাকতো। কিছু দিন থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। বাড়ির সবার অগোচরে বেলা ১১টার দিকে ছোট ভাই রবিনের শয়ন ঘরে আমার মা গলায় ফাস দিয়ে আত্নহত্যা করে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, দুই জন মারা গেছেন। একজন গলায় ফাস দিয়ে অন্যজন লাশ দেখতে এসে স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
ওসি আরও বলেন, আত্মহত্যাকারী নারীর কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সে ঘরে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়। পারিবাকি কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মারা গেছেন পরীমণির নানা
১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
চমেক হাসপাতাল থেকে আরও এক নারী দালাল গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে আরও এক নারী দালাল গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর এই নারী দালালকে হাসপাতালের গাইনি বহির্বিভাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহর দল’ এর ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
আলো দাস রত্না (৪০) নগরীর পাঁচলাইশ থানার কাপাসগোলা এলাকার বাবু কলোনির মৃত নারায়ণ দাসের স্ত্রী।
হাসপাতাল পুলিশ বক্সের উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, হাসপাতালের গাইনি বহির্বিভাগ থেকে ওই দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা সাপেক্ষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে আটোরিকশাচালক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
নাশকতার অভিযোগ: ২৮ অক্টোবর থেকে ৭৩৯ জন গ্রেপ্তার
বরিশালে নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
বরিশাল নগরী থেকে এক নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী ও ছেলেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) ভোরে নগরীর জর্ডন রোড এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
নিহত ইশরাত জাহান (৩০) একই এলাকার আওলাদ হোসেনের স্ত্রী। তাদের ঘরে দুইটি সন্তান রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী পুলিশ সদস্যরা জানান, নিহতের স্বামী আওলাদ হোসেন একজন ছাপাখানার কাঁচামাল ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ময়লার ভাগাড়ের পাশ থেকে লাশ উদ্ধার
নিহতের স্বজনরা জানান, ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠেন স্ত্রী ইশরাত জাহান। এ সময় অন্যদিক থেকে শব্দ পেয়ে তার স্বামী আওলাদ হোসেন সেখানে যান। তিনিও একটি চিৎকার দিলে ঘরের অন্যান্য সদস্যরা সেখানে গিয়ে ইশরাত জাহানকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে ওই ভবনের অন্যান্যদের সহযোগিতায় তাকে হাপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ইশরাত জাহানকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আলী আশরাফ বলেন, ‘বিষয়টি দুর্ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী ও ছেলেকে পুলিশের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ী থেকে যুবক ও কিশোরীর লাশ উদ্ধার
যশোরে লাঠির আঘাতে নারীর মৃত্যু, প্রেমিক আটক
যশোরের শার্শায় লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে এক নারীকে হত্যা করার অভিাযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত নারীর প্রেমিক আ. রশিদকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ওই নারী সোনাভান (৪৫) উপজেলার আমলাই গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দীনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতেন সোনাভান। শুক্রবার রাতে বাড়ির আঙ্গিনায় বসে মাছ কাটছিলেন সোনাভান। এ সময় কেউ একজন পেছন থেকে লাঠি দিয়ে তার মাথায় সজোরে আঘাত করে। পরে ছেলের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তার রক্তমাখা লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ রাতেই সোনাভানের লাশ উদ্ধার করে।
প্রতিবেশীরা জানায়, সোনাভান গ্রামের অনেককে সুদ নিয়ে টাকা ধার দিয়েছেন। এ ছাড়া এলাকার আ. রশিদ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে। এসবের কারণেও খুন হতে পারেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে শার্শা থানায়। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঢামেকে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
ফরিদপুরে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ নারীর মৃত্যু, আক্রান্ত ৩২৬
নাটোরে স্বাস্থ্যকর্মীকে গলা কেটে হত্যা
নাটোরের লালপুরে মাহমুদা শারমিন বিথি (৩২) নামে এক স্বাস্থ্যকর্মীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা।
পুলিশ জানায়, লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌর এলাকার একটি বেসরকারি জেনালের হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন বিথি।
বৃহস্পতিবার রাতে ডিউটি শেষে বরমহাটী গ্রামে তার বাড়িতে ফেরার পথে নিখোঁজ হন তিনি। সকালে পৌর এলাকার তোফাকাটা মোড়ে রাস্তার পাশের একটি ডালের জমিতে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে কৃষি শ্রমিকরা পুলিশে খবর দেন।
পরে পুলিশ গিয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং রাজশাহী সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটকে খবর দেয়।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
নাটোরে পণ্যবাহী নছিমন আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
ফরিদপুরের অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের ভাঙ্গায উপজেলায় বিল থেকে অজ্ঞাত (৫০) এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ছিলাধরচর গ্রামের এক বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ঘোড়ার গাড়ির চালকের লাশ উদ্ধার
ভাঙ্গা পৌরসভার স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার আবুল কালাম আজাদ জানান, সকালে মরা বিলে আমার এলাকার রাশেদ নামের এক ভাই কচুরিপানা কাটতে গিয়ে নারীর লাশ দেখতে পায়। পরে আমরা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসী কচুরি কাটতে গিয়ে লাশ দেখে ৯৯৯ খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে আমি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহোদয়সহ ঘটনাস্থলে হাজির হই।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- এই মহিলা সোমবার কোনো এক সময় ডোঙ্গা দিয়ে বিল বা মরা নদী পার হচ্ছিলেন। এ সময় তিনি ডোঙ্গা থেকে পড়ে গভীর জলে তলিয়ে যান।
পরে আমরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম জানান, নিহত নারীর পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আসল রহস্য জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিখোঁজের ৮ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে লাশ উদ্ধার
পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে নারী ওয়ানডে সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ
রাজধানীর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) তিন ম্যাচের নারী ওয়ানডে সিরিজে সফরকারী পাকিস্তান নারী দলকে সাত উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
এর মধ্যদিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল স্বাগতিক বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
এর আগে, গত মাসে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ নারী দল পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের ঐতিহাসিক নারী টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল।
শেষ ওয়ানডেতে পাকিস্তান দল টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে এবং নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে। উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তান ১৯ দশমিক ২ ওভারে ৬৫ রান তুলেছিল।
ওপেনার দিদরা আমীন ম্যাচের সর্বোচ্চ রানকারী হিসেবে ১৪৩ বলে অপরাজিত ৮৪ রান করেন এবং অপর ওপেনার সাদাফ শামাস ৬১ বলে ৩১ রান করেন।
এ ছাড়া, মুনিবা আলী ১৪ এবং টেইলেন্ডার ডায়ানা বেগ ১১ রান করেন।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল নাহিদা আক্তার। তিনি ২৬ রানে তিন উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: নারী ওয়ানডে সিরিজ: শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ
রাবেয়া খান ৩৫ রানে দুটি উইকেট নেন এবং ঝর্ণা আক্তার, নিশিতা আক্তার ও ফাহিমা খাতুন একটি করে উইকেট নেন।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ নারী দল ৪৫ দশমিক ৪ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে কাঙ্ক্ষিত ১৬৭ রান সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের নারী দল উদ্বোধনী জুটিতে রেকর্ড ১২৫ রান করে।
নারীদের ওয়ানডেতে বাংলাদেশের আগের ওপেনিং জুটির রেকর্ড ছিল শুকতারা রহমান ও শারমিন আক্তারের ১১৩ রান।
ওপেনার ফারজানা হক ১১৩ বলে পাঁচটি ছক্কায় দলের সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন এবং ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। অপর ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ১০৬ বলে ৫৪ রান করেন।
সাত উইকেট শিকারি বাংলাদেশের নাহিদা আক্তার সিরিজ সেরা নির্বাচিত হন।
৩৭ দশমিক ১ ওভারে ১২৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর মিডল অর্ডারে নামা সোবহানা মোস্তারি (১৯ রানে অপরাজিত) এবং অধিনায়ক নিগার সুলতানা (১৮ রানে অপরাজিত) দলকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের স্বপ্নের সিরিজ জয়ের পথ দেখান।
২৭ রানে ২ উইকেট নেন নাশ্রা সান্ধু।
এর আগে গত শনিবার একই ভেন্যুতে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে যায় পাকিস্তান দল।
কিন্তু, গত মঙ্গলবার ঢাকার শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও পাকিস্তানকে সুপার ওভারে হারিয়ে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ সমতায় আনে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: নারী ওয়ানডে সিরিজ: দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে হারিয়ে বাঘিনীদের ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়
চট্টগ্রামে মাদক মামলায় নারীর ৫ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে মাদক পাচার মামলায় এক নারীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় দেন।
হামিদা বেগম (৩৫) কক্সবাজার সদর থানার রুমালিয়ারছড়া এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ওমর ফুয়াদ।
রায়ের সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন আসামি হামিদা। জামিন পাওয়ার পর পালিয়ে যান হামিদা।
আরও পড়ুন: ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারি: মাহবুবুল হক চিশতী, স্ত্রী ও ছেলের কারাদণ্ড
জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৬ জুন কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকা থেকে হামিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ১ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তৎকালীন কর্ণফুলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর হামিদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. নোমান চৌধুরী বলেন, চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ইয়াবা পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত হামিদা বেগমকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। হালিমা জামিনে বের হওয়ার পর থেকে পলাতক। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানামূলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হলি আর্টিজান হামলা: ৭ আসামির সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় ফাতেমা খাতুন (৩২) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টায় চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মাসুদ আলী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৫ জনের ৪ বছরের কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত ফাতেমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়পাড়ার সুরুজ আলীর স্ত্রী।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কৌসুলি (পিপি) আইনজীবী বেলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়পাড়ার ফাতেমা খাতুনের বাড়িতে অভিযান চালায়।
এসময় তার বসত ঘরের একটি প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর বাজারের ব্যাগে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৫০৬ অ্যাম্পুল নেশার বুপেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রয়ণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ একই বছরের ২২ জুন ফাতেমা খাতুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তিন জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড
বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড