নারী
কাশিমপুর কারাগারে নারী হাজতির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে কছিরন (৪৫) নামের এক নারী হাজতির মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে কছিরনকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত
তিনি জামালপুর সদর থানার গোপালপুর এলাকার লোকমান হোসেনের স্ত্রী।
কারাগার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদর থানায় হত্যা মামলার আসামি কছিরন গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কছিরনকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদা আক্তার জানান, কছিরনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন কছিরন। সেখানে তিনি অসুস্থ থাকা অবস্থায় তাকে ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সেখান থেকে গত ১৯ আগস্ট তাকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। দুই-তিনদিন পর তাকে আবার হাসপাতালে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জ সদরে নিজ বাড়ি থেকে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে সদর উপজেলার দত্তবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ফারজানা খাতুন (১৮) ওই গ্রামের মো. রতনের স্ত্রী এবং সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার হোসেনপুর পুঠিয়াবাড়ী মহল্লার ওহেদ আলীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিলেট নগরীতে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিহতের মা স্বপ্না বেগম বলছেন, তাঁতশ্রমিক রতনের সঙ্গে দুই বছর আগে মেয়ে ফারজানার বিয়ে দেওয়া হয়। এ বিয়ের প্রথম দিকে ভালোই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু ঢাকা থেকে ফারজানার জা বাড়িতে আসার পর থেকেই তার মেয়েকে নির্যাতন শুরু করা হয়। ফারজানা প্রায়ই বলতো তাকে মারধর করাসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়াও হতো।
তার মেয়েকে হত্যার পরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকালে দত্তবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামে স্বামীর ঘরে তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
খুলনায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে এলিজা খাতুন (৪০) নামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে দামুড়হুদা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পাইকগাছায় খাল থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নিহত এলিজা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জ গ্রামের রুস্তম মল্লিকের মেয়ে।
দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-অপারেশন) শফিউল আলম বলেন, এলিজা খাতুন একজন প্রতিবন্ধী নারী। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সকালে দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা নদীতে তার লাশ ভেসে উঠে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করছি, পানিতে ডুবে তিনি মারা যান। তবে ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশালে নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
সিলেটে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
অস্ট্রেলিয়ায় নারীর মস্তিষ্ক থেকে বের হলো জীবন্ত কৃমি
বিশ্বে প্রথম অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকরা এক নারীর মস্তিষ্কে জীবন্ত পরজীবী কৃমি খুঁজে পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায়, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এএনইউ) এবং ক্যানবেরা হাসপাতালের গবেষকরা পরজীবী রাউন্ডওয়ার্মের আবিষ্কারের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন।
আট সেন্টিমিটার ওফিডাসকারিস রবার্টসি রাউন্ডওয়ার্ম, যা সাধারণত অজগরের শরীরে পাওয়া যায়।
রোগী একজন ৬৪ বছর বয়সী নারী। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পরে এখনও তিনি জীবিত এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এএনইউ ও ক্যানবেরা হাসপাতালের একজন শীর্ষস্থানীয় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় সেনানায়েকে একটি মিডিয়া রিলিজে বলেছেন, মস্তিস্কে পরজীবী পাওয়ার ঘটনা বিশ্বে প্রথম।
আরও পড়ুন: ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে যুগান্তকারী আবিস্কার অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের
সমীক্ষা অনুসারে, রোগীকে ২০২১ সালে দক্ষিণ-পূর্ব নিউ সাউথ ওয়েলসের (এনএসডব্লিউ) একটি স্থানীয় হাসপাতালে তিন সপ্তাহ পেটে ব্যথা ও ডায়রিয়ার নিয়ে ভর্তি করা হয়েছিলেন।
২০২২ সালে তিনি ভুলে যাওয়া ও বিষণ্ণতা অনুভব করা শুরু করার জেরে ক্যানবেরা হাসপাতালের একজন নিউরোসার্জন একটি এমআরআই স্ক্যান করে। রিপোর্টে মস্তিষ্কের ডান ফ্রন্টাল লোবে একটি অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করেছিলেন ডাক্তার। পরে অস্ত্রোপচার করে একটি রাউন্ডওয়ার্ম বের করেছিল।
গবেষণাটিতে অনুমান করা হয়েছে, রোগী সম্ভবত স্থানীয় ঘাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন বা খেয়েছিলেন। যার মাধ্যমে তার শরীরে একটি কার্পেট পাইথন পরজীবীর সংক্রমণ ঘটেছিল।
তিনি সংক্রামক রোগ এবং মস্তিষ্ক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: আইনি লড়াই হেরে অস্ট্রেলিয়া ছাড়লেন জকোভিচ
ইসরো চন্দ্রযান-৩: ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য
শুধুমাত্র কায়িক শ্রমে গড়া অবকাঠামোতে নয়; নারীদের মস্তিষ্ক প্রসূত সভ্যতা বিকাশেরও সাক্ষী হয়ে আছে চির পরিবর্তনশীল মহাকাল। বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে তাদের অবদান যেমন ভেদ করেছে সুগভীর পাতাল, তেমনি ছাড়িয়ে গেছে আকাশের মেঘের স্তর। মহাকাশের শূন্যতাকে প্রথম নারীর অস্তিত্বে সমৃদ্ধ করেছিলেন ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভা। তার পথ ধরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় নারীদের সম্পৃক্ততা বেড়েছে দ্রুতগতিতে। এমনকি এই সাফল্যের আলোর মশাল জ্বলে উঠেছে ভারতীয় উপমহাদেশেও। গত ২৩ আগস্ট ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য যেন তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। চলুন, জেনে নেই সেই যুগান্তকারী অভিযানের ঘটনা। সেইসঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশনের নেপথ্যে থাকা নারী মহাকাশ বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে।
চন্দ্রযান-৩ উপাখ্যান
নাসার ভারতীয় সংস্করণ ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন; সংক্ষেপে আইএসআরও বা ইসরো। চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করে সেখানকার প্রকৃতি পর্যালোচনার উদ্দেশ্য নিয়ে এরা শুরু করেছিলো চন্দ্রযান নামের প্রজেক্টটি। পর পর দুটি অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর চন্দ্রযান-৩ গত ২৩ আগস্ট নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয় চন্দ্রপৃষ্ঠে।
যাত্রা শুরু হয়েছিলো ১৪ জুলাই; সর্বজনীন সমন্বিত সময় বা কোঅর্ডিনেটেড ইউনিভার্সাল টাইম (ইউটিসি) অনুযায়ী সময় ৯ টা ৫ মিনিট। রকেটের উৎক্ষেপণ হয় ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে।টানা কয়েকবার চেষ্টার পর ৫ আগস্ট চাঁদের কক্ষপথে ঢুকতে সক্ষম হয় মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩।
পুরো মহাকাশযানটি মূলত ল্যান্ডার, রোভার ও প্রোপালশান মডিউল- এই তিন ভাগে বিভক্ত। ল্যান্ডারের কাজ হলো যানটিকে নিরাপদে অবতরণ করানো। এর নাম দেওয়া হয়েছে বিক্রম। অবতরণের জন্য এর নিবেদিত চারটি পায়ে রয়েছে চারটি শক্তিশালী ইঞ্জিন। অন্যদিকে, রোভার হচ্ছে ছয় চাকার একটি গাড়ি, যার উদ্দেশ্য পুরো যানটিকে নিয়ে নির্বিঘ্নে চন্দ্রপৃষ্ঠে ঘুরে বেড়ানো। এই অংশের নাম হচ্ছে প্রজ্ঞা।আর এই বিক্রম ও প্রজ্ঞাকে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে প্রোপালশান মডিউলের। ১৭ আগস্ট এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে বিক্রম ও প্রজ্ঞা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় প্রোপালশান মডিউল।
২৩ আগস্ট কক্ষপথের একদম শেষ বিন্দুর কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে একসাথে গর্জে উঠে বিক্রমের চারটি ইঞ্জিন। এরপর ঠিক সাড়ে ১১ মিনিট পর বিক্রম নেমে আসে চাঁদের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭.২ কিলোমিটার উচ্চতায়। এ অবস্থায় প্রায় ১০ সেকেন্ড ভেসে থেকে এটি ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে উল্লম্ব দিকে ঘুরে যায়। কিছুক্ষণ পর নেমে যায় আরও প্রায় ১৫০ মিটার। এই উচ্চতায় থেকেই বিশ্ববাসীর স্তম্ভিত দৃষ্টির সামনে প্রায় ৩০ সেকেন্ড ঘুরে বেড়ায় বিক্রম ও প্রজ্ঞা। অতঃপর ইউটিসি সময় ঠিক ১২ টা ৩২ মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩।
আরও পড়ুন: চাঁদে ভারতের চন্দ্রযানের সফল অবতরণ উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদিকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
চন্দ্রযান-৩-এর অভিযানের নেপথ্যে থাকা নারী বিজ্ঞানীরা
ইসরো চন্দ্রযান-৩ কে পরিচালনায় সরাসরি কাজ করেছেন প্রায় ৫৪ জন নারী প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী। তাদের মধ্যে থেকে যাদের নাম ওতপ্রোতভাবে এই চন্দ্রাভিযানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তারা হলেন:
ঋতু কাড়িধাল শ্রীভাস্তাভ
৪৮ বছর বয়সী ঋতু কাড়িধাল ভারতবাসীর কাছে পরিচিত ‘রকেট উইমেন’ হিসেবে। ইসরোর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ১৯৯৭ সাল থেকে। সেই থেকে তিনি মার্স অরবিটার মিশন (এমওএম) বা মম ও চন্দ্রযান প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছেন। তিনি মম মিশনের ডেপুটি অপারেশন্স ডিরেক্টরও ছিলেন।
মুথাইয়া বনিতা
এই ৫৯ বছর বয়সী ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম প্রকৌশলী নেতৃত্ব দিয়েছেন ইসরোর বিভিন্ন উপগ্রহের প্রকল্পগুলোতে। তিনি ইসরোর চন্দ্রযান-২-এর প্রকল্প পরিচালক ছিলেন।
ইসরোর সঙ্গে তার শুরুটা ছিল শুধুমাত্র হার্ডওয়্যার নিরীক্ষণ কাজের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে তিনি ইসরো স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিজিটাল সিস্টেম গ্রুপে টেলিমেট্রি এবং টেলিকমান্ড বিভাগের পরিচালক পদে অধীষ্ঠিত হন। ২০১৩-এর সফল মঙ্গলযান মিশনেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
তিনিই ছিলেন ইসরোতে আন্তঃগ্রহ মিশনে নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম নারী। চন্দ্রযান-২ মিশনের সহযোগী পরিচালক থেকে তাকে প্রকল্প পরিচালক পদে উন্নীত করা হয়েছিলো। এর মাধ্যমে তিনি ইসরোর প্রথম নারী প্রকল্প পরিচালক হওয়ার সম্মান অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্রযুক্তির ‘ভিশন প্রো’ হেডসেট নিয়ে এলো অ্যাপল
বনিতা ২০০৬ সালে অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার সেরা নারী বিজ্ঞানীর পুরস্কার পেয়েছিলেন।
মিশন মঙ্গল ছিল ইসরোর অন্যতম সেরা সাফল্য। এর মাধ্যমে ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে মঙ্গল গ্রহে অবতরণের মর্যাদা লাভ করে।
সেই ধারাবাহিকতায় ঋতু কাড়িধাল মিশন ডিরেক্টর হিসেবে চন্দ্রযান-২-এর মিশনের তত্ত্বাবধান করেন।
কাড়িধাল ২০০৭ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি এ.পি.জে. আব্দুল কালামের কাছ থেকে ইসরোর তরুণ বিজ্ঞানীর পুরস্কার পান।
কল্পনা কালাহাস্তি
ইসরোর সঙ্গে ৪৩ বছর বয়সী এই মহাকাশ প্রকৌশলীর যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সাল থেকে। তার দায়িত্ব ছিল স্যাটেলাইটের অবস্থান সুনির্দিষ্ট করার জন্য প্রপালশান সিস্টেম তৈরি করা। এছাড়াও তার বিশেষত্ব ছিল পৃথিবীর পরিষ্কার ছবি তোলার জন্য উন্নত ইমেজিং সরঞ্জামের নকশা প্রণয়নে। তিনি ধীরে ধীরে মম এবং চন্দ্রযান-২-এর মত যুগান্তকারী প্রকল্পগুলোর অংশ হয়ে ওঠেন।
২০১৯ সালে তাকে চন্দ্রযান-৩ মিশনের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি বিক্রমের সিস্টেমের নকশা তৈরি ও এর কর্মকাণ্ড সুস্পষ্ট করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
নওগাঁয় মাটির দেয়ালচাপায় ২ নারীর মৃত্যু
নওগাঁর মহাদেবপুরে মাটির দেয়ালচাপা পড়ে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকালে উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের আমরাই গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ভাদুড়ী রানী (৬২) ওই গ্রামের জয় বর্মনের স্ত্রী এবং মিথি রানী (৬৫) ওই গ্রামের অভি দাসের স্ত্রী।
হাতুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেট নগরীতে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চেয়ারম্যান জানান, সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় হাতুড় ইউনিয়নের আমরাই গ্রামে বৃষ্টির মধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাশের বাড়িতে ভাদুড়ী রানী ও মিথি রানী যাচ্ছিলেন। পাশের বাড়িতে যাওয়ার পথে সুশীল সাধুর বাড়ির মাটির দেয়াল ধসে তাদের ওপর পড়ে। এতে তারা মাটির নিচে চাপা পড়ে।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মিথি রানীর মৃত্যু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাদুড়ী রানী মারা যান।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় এরইমধ্যে লাশ দুটি সৎকারের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানায় ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পুকুর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরে নিখোঁজের একদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
পিরোজপুরে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলায় ইউনিয়নের পান্তাডুবি এলাকায় এক নারীকে সড়ক থেকে জোর করে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি হলেন- আমিন খান (৪২) ও সোহাগ মীর (৩৪)। তাদের পৃথক অভিযানে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর, ৫ যুবদল-ছাত্রদল নেতাকর্মী আটক
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কদমতলা এলাকা থেকে আমিন খান ও ইমরান খান নামের দুই ব্যক্তি ওই নারীকে অপহরণ করে। পরে তাকে একটি খালি ঘরে দুই ঘণ্টা আটকে রেখে দুজনে ধর্ষণ করে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, ওই নারীকে উদ্ধার করার পর রাতেই মামলা করেন তিনি।
ওসি আরও বলেন, আমরা অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি এবং মামলাটি তদন্তাধীন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অস্ত্র কারখানার সন্ধান, সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ২
লালবাগ থেকে ৬ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার, অস্ত্র-গুলি জব্দ: পুলিশ
কিশোরগঞ্জে পুকুর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পুকুর থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২০ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের জর্জ ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নাজমা আক্তার (২৭) উপজেলার পূর্ব চারিপাড়া গ্রামের বিল্লাল মিয়ার মেয়ে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বাগান থেকে প্রেমিক যুগলের লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বাড়ি থেকে বের হন নাজমা। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। বিকালে আচমিতা জর্জ ইনস্টিটিউশনের পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে কটিয়াদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের লোকজন নাজমা আক্তারের লাশ শনাক্ত করেন।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, নাজমা আক্তার মৃগী রোগী ছিলেন বলে স্বজনরা পুলিশকে জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বিসিক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
মহেশপুরে বাওড় থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত (৫০) এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে লাশটির কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাটিয়ারী রেলস্টেশন থেকে আধা কিলোমিটার দূরে সেতুর কাছাকাছি রেললাইনে ঢাকামুখী ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক নারী নিহত হন।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন আল নোমান বলেন, ভাটিয়ারী রেলস্টেশনের উত্তরে রেললাইনের পাশ থেকে এক মধ্য বয়সী নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে হয়েছে বলেও জানান এসআই।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে নারী নিহত
কুষ্টিয়ায় মুঠোফোনে কথা বলার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে নারী নিহত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত (৫০) এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২০ আগস্ট ) সকাল সাড়ে ৮টার সময় উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকায় রেললাইনে ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাটিয়ারী রেলস্টেশন থেকে আধা কিলোমিটার দূরে সেতুর কাছাকাছি রেললাইনে হাঁটার সময় সকালে ঢাকামুখী ট্রেনের ধাক্কায় ওই নারী নিহত হন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে পাহাড় থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন আল নোমান বলেন, ভাটিয়ারী রেল স্টেশনের উত্তরে রেললাইনের পাশ থেকে এক মধ্য বয়সী নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।’
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত