পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকাস্থ বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এ পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসিতে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসব
বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের পরিচয় করিয়ে দিতে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব পিঠা উপভোগের জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানান।
পিঠা উৎসবে বিদেশি অতিথিরা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠার স্বাদ গ্রহণ করে মুগ্ধ হন এবং বাংলাদেশি খাবারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ঢাকা ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই
ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা, শিক্ষক-ছাত্র বিনিময় ও গবেষণাধর্মী প্রকাশনায় অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেনের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারা ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ইস্তাম্বুলের কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।
পররাষ্ট্র সচিব তার বক্তব্যের শুরুতে এই উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্র সচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতা সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্ক আরও সুসংহত ও গতিশীল হবে। এ ধরনের উদ্যোগ ও পদক্ষেপের ফলাফল অত্যন্ত ইতিবাচক ও সুদূর প্রসারী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এটি দু’দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সহযোগিতাকে আরও বেগবান করতে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকের ভূমিকা পালন করবে।
কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলমের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. মাহমুত আক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ- তুরস্ক পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, চতুর্দশ শতাব্দী থেকে আমাদের দুই অঞ্চলের জনগণ ঐতিহাসিক সম্পর্কে আবদ্ধ।
তুরস্কের কামাল আতাতুর্কের আদর্শ, দর্শন ও নীতি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণকে অনুপ্রাণিত ও উজ্জ্বীবিত করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. মাহমুত আক বলেন, ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে, ফলশ্রুতিতে দু’দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ককে আরও গভীর ও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে- এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে কনসাল জেনারেল অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত আমানুল হক
তুরস্ক ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক হস্তান্তর
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বেশ কিছু চুক্তির সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরে দুই দেশের পানি ব্যবস্থাপনা, প্রতিরক্ষা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচারসহ বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আগামী সোমবার রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েল একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে হায়দরাবাদ হাউসে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হবেন। সেখানে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচাররোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
তিনি বলেন, ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে । কেননা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য বর্ধিত সহযোগিতা চায়।
এর আগে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জন্যই এই সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরে দু’দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং বোঝাপড়াসহ বহুমুখী সম্পর্ক স্থাপিত হবে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন, যেখানে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক রয়েছেন।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও হাসিনার সঙ্গী হবেন। কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
পড়ুন: সহযোগিতার নতুন দ্বার খুলবে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। সফরে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। হায়দরাবাদ হাউসে তিনি মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হবেন। পরে সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা যোগ দেবেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও শেখ হাসিনা আজমীর শরীফ পরিদর্শনেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
সফরে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ ও গুরুতর আহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২০০ জন সদস্যের বংশধরদের বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ মুজিব বৃত্তি প্রদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে উভয় পক্ষই উচ্চ পর্যায়ের এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্পৃক্ততা বজায় রেখেছে।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ঢাকা-দিল্লির বহুমাত্রিক সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রত্যাশা
হামলা হলে পুলিশের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
মোমেনের বক্তব্য গণমাধ্যমে সঠিকভাবে প্রকাশিত হয়নি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্য কিছু গণমাধ্যমে সঠিকভাবে প্রকাশিত হয়নি বলে অভিযোগ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের প্রদত্ত বক্তব্য কিছু মিডিয়ায় সঠিকভাবে প্রকাশিত হয়নি।
এতে বলা হয়, সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, এমপিকে ঘিরে ধরেন, এসময় সাংবাদিকদের অনুরোধে, তাদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে তার ধারে কাছেও আমি বলিনি। আমি ইলেকশন নিয়ে কোন কথা বলি নাই। ভারতে (গিয়ে) ইলেকশন নিয়ে কোন সাহায্যের জন্য বলিনি।’
সাংবাদিকরা আরো জানতে চান, আপনি তাহলে কী বলেছেন? এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্থিতিশীলতার কথা বলেছি। আমি গ্লোবাল কন্টেক্সটে সব জায়গায় যে অস্থিতিশীলতা হচ্ছে- স্ট্যাবিলিটির কথা বলেছি।’
সাংবাদিকরা তখন জানতে চান, আপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিল, এটা নিয়ে আপনি কি বলবেন? এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো তো একেবারে ডাহা…।’
কিন্তু কিছু মিডিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপরোক্ত উক্তি উল্লেখ না করে তা বিকৃতভাবে প্রচার করছে এবং তা হলো ‘শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে— ভারতে গিয়ে এমন কোনও কথা আমি বলিনি।’
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উক্তি বিকৃতভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে- যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আরও পড়ুন:৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমী উদযাপনের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা পরররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চেয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে তিনি সম্প্রতি ভারত সফরের সময় ভারত সরকারের কাছে প্রদত্ত বক্তব্যের বিষয়ে তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঐ সফরে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথাই হয়নি। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলাপ হয়েছে। তিনি গৌহাটিতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ হওয়ায় আসামে স্থিতিশীলতা এসেছে এবং অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ভারত সরকারকে বলেছেন যে, উভয় দেশের মঙ্গলের জন্য, উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীলতা খুবই প্রয়োজন। কোনো ধরণের সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে অতিরঞ্জিতভাবে প্রচার করে যাতে উভয় দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের সহায়তা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন:ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
ভারতকে দেশে স্থিতিশীলতা বজায়ে সাহায্য করতে বলেছিলাম: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু জাতিকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সরকারে ছিলেন, কিন্তু জাতির পিতা হিসেবে এই সাড়ে তিন বছরে জাতিকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে যা যা দরকার সবগুলো তিনি সমাধা করে গেছেন। আর সেই সাথে আমাদের দিকনির্দেশনাও দিয়ে গেছেন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর বেইলি রোডস্থ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘জাতির ভিত্তি রচনার জন্য দরকার একটা শাষণতন্ত্র। বঙ্গবন্ধু মাত্র নয় মাসের মাথায় একটা অপূর্ব শাষণতন্ত্র আমাদের দিয়ে গেছেন। অথচ পাকিস্তানের শাষণতন্ত্র তৈরি করতে লেগেছে নয় বছর, আর আমেরিকার শাষণতন্ত্র তৈরি করতে লেগেছে তেরো বছর।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কার্যকর নেতৃত্বের জন্যেই মাত্র দুই মাসের মাথায় আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সৈন্য ফিরে গেছে। বঙ্গবন্ধুর কারণেই সাড়ে তিন বছরেই আমরা ১২৬টি দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি। প্রতিটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ, প্রত্যকের সদস্যপদ এমনকি জাতিসংঘের সদস্যপদ অর্জন করি। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতৃত্বের কারণে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ’ প্রতিপাদ্যের উক্ত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য শেখ কবির হোসেন।
স্মরণসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন আরও বলেন, পোয়েট অব পলিটিক্স খ্যাত বঙ্গবন্ধু কেবল এ দেশের নয়- তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের নেতা, দেশে দেশে নিপীড়িত জনতার সংগ্রামী চেতনার এক জীবন্ত কিংবদন্তি। আর তাই, বঙ্গবন্ধুকে হারানোর বেদনা কেবল এ দেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুষের হৃদয়ে ধ্বনিত হয়, বিশ্বের নেতৃবৃন্দও শোকার্ত হন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের ঘাতকদের দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য যা যা করার, আমি যতদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছি এই প্রচেষ্টা অবশ্যই চালিয়ে যাবো।’
বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘আমাদের একটি ফাউন্ডেশন আছে- বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল তাদেরও বিচারের আওতায় আনার জন্য বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আন্দোলন করে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিতে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু ‘নন-এলাইন্ড ফরেন পলিসি’ গ্রহণ করেন। এটা যে আমাদের জন্যে কত মঙ্গলজনক, আমরা আজও তাঁর ফরেন পলিসি নিয়ে চলছি। বঙ্গবন্ধু সে সময়ে অনেক ধরনের চাপের মধ্যেও ‘নন-এলাইন্ড পলিসি’ অবলম্বন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছেন- পিস ইজ ইম্পারেটিভ ফর ডেভেলপমেন্ট। সে জন্য তিনি সবসময় শান্তির জয়গান গেয়েছেন। আমরা শান্তি চাই। শান্তি উন্নয়নের একটি বড় সহায়ক। আমরা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বঙ্গবন্ধুর এই শান্তির প্রচেষ্টাকে জোর দিতে চাই।’
‘বিশ্বব্যাপী যে সংঘাত, যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে আছে সেগুলো যাতে কমানো যায় সেজন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ করার সুযোগ আছে’ বলে উল্লেখ করেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাটি ও মানুষকে সবচেয়ে ভালবেসেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন মানুষকে যদি কাজে লাগানো যায় তাহলে কোন কিছুই দাবায়ে রাখতে পারে না।’
‘বঙ্গবন্ধু সবক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন, আর তার দিকনির্দেশনা অনুসরণ করেই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছেন। এর ফলে আমরা বিশ্বে একটা বিশেষ অবস্থান অর্জন করেছি, একটা ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি। সম্প্রতি আমরা পদ্মা সেতুর মতো বিরাট সেতু নিজেদের পয়সায় তৈরি করেছি।’
ড. মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়ে দেশে অভাব অনটন দূর করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তখনই কিছু কুচক্রী মহল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে তাঁকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে হয়তো আমরা বহু বছর আগেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারতাম।’
পড়ুন: এটি খুবই অন্যায়: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেয়া দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতির পিতার সমাধিতে ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধা নিবেদন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনীতিকদের স্ত্রীদের কল্যাণমূলক সংগঠন ‘ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশন (ফোসা)’-এর নির্বাহী কমিটি।
শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফোসা’র নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ফোসা’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী সেলিনা মোমেন, পৃষ্ঠপোষক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী আয়েশা আখতার (ডালিয়া), সভাপতি ও পররাষ্ট্র সচিবের স্ত্রী ফাহমিদা সোমা জাবিন এবং নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
এসময় তারা কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ই আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
পরে ফোসা’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক, অন্যান্য পৃষ্ঠপোষক ও সভাপতি সমাধি কমপ্লেক্সের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। এরপর তারা বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্সের জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
এসময় ফোসা’র সহসভাপতি আবেদা আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাজী সায়েমা হক-সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফোসা'র উদ্যোগে রাজধানীতে ঈদ চ্যারিটি মেলা
ফোসা’র উদ্যোগে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঈদ চ্যারিটি মেলা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের বন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
সালমান ফজলুর রহমান শেখ কামালের কর্মময় জীবনের নানাদিক স্মৃতিচারণ করে বলেন, শেখ কামাল বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।
তিনি বলেন, শেখ কামাল যদি বেঁচে থাকতেন, আজ আমরা (বাংলাদেশ) যে জায়গায় পৌঁছেছি, তা অনেক আগেই অর্জন সম্ভব হতো।
সরকারি সফরে কম্বোডিয়ায় থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ উপলক্ষে একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও শেখ কামালের বন্ধু বিশিষ্ট সাংবাদিক এম. শফিকুল করিম।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোও দিবসটি পালন করেছে। শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
স্মরণ সভায় শেখ কামালের কর্মময় জীবনের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শেখ কামাল এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী সকলের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ উপকৃত হতো: হাছান মাহমুদ
অপসংস্কৃতিরোধে শহীদ শেখ কামালের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ প্রদান
উল্লেখযোগ্য ও প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা ক্যাটাগরিতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এ বছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২২’ প্রদান করেছে সরকার।
শনিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন হাতে পদকটি তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এই সময় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন সেল’ কর্তৃক গৃহীত ‘বঙ্গবন্ধু ও তার শান্তি দর্শন: আন্তর্জাতিকীকরণ ও বিশ্ব রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা’ নামক উদ্যোগের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক দর্শন: বহুপাক্ষিকতাবাদ ও শান্তির কূটনীতিকে’ বিশ্বপরিমণ্ডলে আন্তর্জাতিকীকরণের জন্য এই পদক দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
গতানুগতিক নিয়মিত দায়িত্ব সম্পাদন ও সেবা প্রদান কার্যক্রমের বাইরে গিয়ে গত দুই বছরে (মার্চ ২০২০ - মার্চ ২০২২) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি মৌলিক, অনন্য ও বিশেষায়িত কার্যক্রম বাস্তবায়নের সমন্বিত ফলস্বরূপ এই স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কার্যসমূহ হচ্ছে - (১) সদর দপ্তরসহ বিদেশ সকল মিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন, (২) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু রিসার্চ সেন্টার ফর ফরেন পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি এবং গণহত্যা কেন্দ্র (জেনোসাইড সেন্টার) স্থাপন, (৩) আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান আলোচকদের নিয়ে 'বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ' আয়োজন, (৪) পোল্যান্ড, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, থাইল্যান্ড, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ চালুকরণ ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপন, (৫) বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’- ১৪টি এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’- দুটি বিদেশি ভাষায় অনুবাদকরণ, (৬) জাতিসংঘ ও বিশ্বের বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ, (৭) বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সসিলেন্স প্রবর্তন, (৮) বঙ্গবন্ধুর নামে মরিশাস, তুরস্ক, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সড়কের নামকরণ, (৯) তুরস্ক ও ভুটানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ প্রতিকৃতি স্থাপন, (১০) বঙ্গবন্ধু-ইউনেস্কো এ্যাওয়ার্ড ফর ক্রিয়েটিভ ইকোনমি প্রবর্তন, (১১) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত দশ দিনব্যাপী ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে করোনা মহামারী সত্ত্বেও ৫টি প্রতিবেশি রাষ্ট্রের ছয় জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধানের সশরীরে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, (১২) বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, স্পিকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, খ্যাতিমান রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণের ২৪০ এর অধিক লিখিত এবং ভিডিও বার্তা সম্বলিত ‘ওয়ার্ল্ড লিডার্স অন বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড বাংলাদেশ’নামে সংকলন প্রকাশ, ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ’ মঙ্গলবার শুরু
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান,মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম প্রমুখ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন এই গৌরবময় অর্জনের পেছনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে নিয়োজিত রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও মিশনপ্রধানসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অবদানের জন্য তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, এই পদক প্রাপ্তি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আরও উজ্জীবিত করবে। ফলে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে যা অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি তথা বাংলাদেশের মর্যাদাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শনিবার গাফফার চৌধুরীর দাফন
বিশিষ্ট বাংলাদেশি-ব্রিটিশ লেখক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে শনিবার মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে গাফফার চৌধুরীর মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট শনিবার বেলা ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
সরকারের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিমানবন্দরে তার মরদেহে গ্রহণ করবেন।
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শনিবার দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।
আরও পড়ুন: আবদলু গাফ্ফার চৌধুরীর মেয়ের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
এরপর বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং বিকাল ৪টায় সাংবাদিকদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে নিয়ে যাওয়া হবে।
একই দিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে আবুদল গাফফার চৌধুরীকে দাফন করা হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ১৯৭৪ সালে লন্ডনে যান।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯ মে প্রবীণ এই সাংবাদিক ৮৮ বছর বয়সে লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান।
আরও পড়ুন: আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আর নেই
পরের দিন লন্ডনের ব্রিক লেন মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজার পর ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সম্প্রদায় ও অন্যান্য অনুরাগীরা বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট গাফফার চৌধুরীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। তিনি ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো’ গান লেখার জন্য সর্বাধিক পরিচিত।
আফগানিস্তানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা
আফগানিস্তানে বর্তমানে বিরাজমান তীব্র খাদ্য ও অন্যান্য সংকটের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউএন ওসিএইচএ এর তহবিলে নগদ এক কোটি টাকা অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন ও নির্দেশনার ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন, নিউ ইয়র্ক, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইউএন ওসিএইচএ কর্তৃক আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তার জন্য গঠিত বিশেষ তহবিলে অনুদানের অর্থ প্রেরণ করবে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন আছে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় বাজারে পণ্যের ন্যায্য মূল্য চায় বাংলাদেশ
এ অর্থ ইউএন ওসিএইচএ -এর মাধ্যমে আফগানিস্তানের সংকটাপন্ন সাধারণ জনগণের জন্য ব্যয় করা হবে।
এ অনুদান প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুসৃত আঞ্চলিক ভ্রাতৃত্ববোধ, দক্ষিণ এশিয়ার সমন্বিত উন্নয়ন এবং সকলের প্রতি সহযোগিতার নীতির বাস্তব প্রতিফলন।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে উক্ত অনুদান প্রদানের ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সমর্থনের আহ্বান জানাতে বাংলাদেশে ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি