রোহিঙ্গা
১২ ঘন্টায় ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরও ১জন খুন
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে আরও এক রোহিঙ্গা নেতা (সাব মাঝি) নিহত হয়েছেন। রবিবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে উখিয়া বালুখালী ক্যাম্প-৮ ইস্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ সেলিম (৩৫) উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৮- নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের আব্দুস সোবহানের ছেলে। তিনি ওই ক্যাম্পের বি-ব্লকের সাব মাঝি।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নেতা নিহত
ওসি বলেন, ভোরে ঘর থেকে ঢেকে নিয়ে আরসা নামধারী একদল দুষ্কৃতিকারী মাঝি সেলিমকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার ১২ ঘন্টা আগে ৭ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে পালংখালী ইউপিস্থ জামতলী এফডিএমএন ক্যাম্প-১৫, ব্লক-এ/৫, এর হেড মাঝি রশিদ আহমদ কে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বিদেশি অস্ত্রসহ ৬ রোহিঙ্গা ডাকাত আটক
উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা নিহত
কক্সবাজারে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নেতা নিহত
কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলায় পালংখালী ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এক রোহিঙ্গা মাঝি নিহত হয়েছেন। শনিবার (০৭ জানুয়ারি) রাতে উখিয়া ক্যাম্প-১৫ এ এই ঘটনা ঘটে।
রশিদ আহমদ (৩৬) ক্যাম্প-১৫ এর ‘এ’ ব্লকের বাসিন্দা ও হেড মাঝি (নেতা)।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে ইউএনএইচসিআরের সুপারিশ বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
তিনি জানান, রাতে তিন জন দুর্বৃত্ত রশিদকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘর ক্যাম্প-১৫ এ অবস্থান করছিলেন।
আহত অবস্থায় তাকে ক্যাম্পের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা উখিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওলিউর রহমান বলেন, এমএসএফ হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছি। ছুরিকাঘাতে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এছাড়া মৃতের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়না তদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা নিহত
শ্রীমঙ্গলে শিশু ও নারীসহ ১৬ রোহিঙ্গা আটক
মিয়ানমারের স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তীতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের
বাংলাদেশ নিরাপদ ও টেকসই উপায়ে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে। এ আহ্বান দেশটির ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে করা হয়।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের বাসিন্দাদের তাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে আশ্রয়ের বিশাল বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ।’
বাংলাদেশ এখন কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে। মন্ত্রণালয় বলছে, সীমান্তবর্তী ও প্রতিবেশি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে পিইউআইসি প্রতিনিধিদলকে কাজ করার আহ্বান মোমেনের
মিয়ানমার রিপাবলিক অব ইউনিয়নের স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণ মিয়ানমারের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে এবং তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে এক বার্তায় যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে মিয়ানমারের সামরিক শাসনকে অবশ্যই তার সহিংসতা বন্ধ করতে হবে, অন্যায়ভাবে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে হবে এবং মানবিকভাবে বাধাহীন প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। সামরিক শাসনকে অবশ্যই মিয়ানমারে প্রকৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের জন্য জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
মিয়ানমারের জনগণ ৪ জানুয়ারি স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন দেশটির জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখন পূর্ণ মাত্রায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল নয়: জাপান
ইন্দোনেশিয়ার সৈকতে আরও ১৮৩ রোহিঙ্গার অবতরণ
দুই দিনের মধ্যে রোহিঙ্গাদের আরেকটি দল কয়েক সপ্তাহ সাগরে ভেসে বেড়ানোর পর সোমবার ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আচেহ প্রদেশের একটি সৈকতে অবতরণ করেছে। বিষয়টি সরকারি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান ফৌজি বলেন, ‘আচেহের পিডি জেলার উপকূলীয় গ্রাম মুয়ারা টিগায় উজং পাই সমুদ্র সৈকতে সন্ধ্যার সময় কমপক্ষে ১৮৫ জন পুরুষ, মহিলা ও শিশু একটি কাঠের নৌকা থেকে স্থলে নামে।’
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার সৈকতে ৫৮ রোহিঙ্গার অবতরণ
তিনি আরও বলেন, ‘সমুদ্রে কয়েক সপ্তাহ থাকার কারণে পানিশূন্যতা ও ক্লান্তিতে তারা খুব দুর্বল ছিল।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত একটি ভিডিও দেখা যায় যে ১৮৫ জন পানিশূন্যতা ও ক্লান্তিতে কাতর রোহিঙ্গার অনেকেই সাহায্যের জন্য কাঁদছেন।
৮৩ জন পুরুষ, ৭০ জন নারী ও ৩২ জন শিশুকে সোমবার মধ্যরাতের আগে একটি গ্রামের হল থেকে সামরিক ট্রাকযোগে একটি স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ২০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী নৌকা উদ্ধার করুন: দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংসদ সদস্যদের আহ্বান
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে পিইউআইসি প্রতিনিধিদলকে কাজ করার আহ্বান মোমেনের
ইন্দোনেশিয়ার সৈকতে ৫৮ রোহিঙ্গার অবতরণ
ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ আচেহের একটি সমুদ্র সৈকতে কয়েক সপ্তাহ ভেসে বেড়ানোর পর রবিবার কয়েক ডজন ক্ষুধার্ত ও দুর্বল রোহিঙ্গাকে পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান রোলি ইউইজা অ্যাওয়ে বলেন, ৫৮ জনের দল রবিবার ভোরে আচেহ বেসার জেলার মাছ ধরার গ্রাম লাদং-এর ইন্দ্রপাত্র সৈকতে পৌঁছায়। গ্রামবাসীরা জাতিগত রোহিঙ্গাদের দলটিকে একটি কাঠের নৌকায় দেখে তাদের অবতরণ করতে সাহায্য করে এবং তারপর কর্তৃপক্ষকে তাদের আগমনের কথা জানায়।
ইউইজা অ্যাওয়ে আরও বলেন, ‘তারা ক্ষুধা ও পানিশূন্যতার কারণে খুব দুর্বল দেখায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সমুদ্রে দীর্ঘ ও তীব্র সমুদ্রযাত্রার পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আচেহ-তে অভিবাসন ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করার সময় রোহিঙ্গারা গ্রামবাসী ও অন্যদের কাছ থেকে খাবার, পানি পেয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে ইউএনএইচসিআরের সুপারিশ বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
তিনি আরও বলেন, তাদের মধ্যে অন্তত তিনজনকে চিকিৎসার জন্য একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং অন্যরা বিভিন্ন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আন্দামান সাগরে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভেসে বেড়ানো একটি ছোট নৌকায় থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে বিশ্বাস করা ১৯০ জনকে উদ্ধার করার জন্য শুক্রবার জাতিসংঘ ও অন্যান্য গ্রুপগুলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে অনুরোধ করে।
আরও পড়ুন: অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জুলিয়েটা ভলস নয়েসের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
অবিলম্বে ২০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী নৌকা উদ্ধার করুন: দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংসদ সদস্যদের আহ্বান
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে পিইউআইসি প্রতিনিধিদলকে কাজ করার আহ্বান মোমেনের
ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রসমূহের পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন অব দ্যা ওআইসি মেম্বার স্টেটস(পিইউআইসি) প্রতিনিধিদলের সদস্যদেরকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়ানো এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তুরস্ক, ইরান ও উগান্ডার পার্লামেন্ট সদস্য এবং পিইউআসি-এর সেক্রেটারি-জেনারেল অধ্যাপক ড. ওরহান আতালয়ের নেতৃত্বে পিইউআইসি -এর ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে দেখা করেন।
আরও পড়ুন: জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে ‘চিন্তিত নন’, তাকে সরল ও ভালো মানুষ বললেন মোমেন
বৈঠকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওআইসি সদস্যদের কাছে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের চিত্র তুলে ধরার জন্য মুসলিম সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘুদের জন্য কমিটির অবদানের গভীর প্রশংসা করেন।
পরিদর্শনকারী পিইউআইসি প্রতিনিধিদল মানবিক ভিত্তিতে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আতিথেয়তা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানায় এবং রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশ বর্তমানে কক্সবাজার জেলা ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
সফররত পিইউআইসি প্রতিনিধিদল গত ১৯ ডিসেম্বর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেছেন।
পিইউআইসি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করে এবং ২০ ডিসেম্বর রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করে।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের 'সুবিধা ও অসুবিধা' মূল্যায়ন করছে বাংলাদেশ: মোমেন
জলবায়ু পরিবর্তন: বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও সহায়তার আহ্বান মোমেনের
শ্রীমঙ্গলে শিশু ও নারীসহ ১৬ রোহিঙ্গা আটক
কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে যাওয়ার পথে শ্রীমঙ্গলে পুলিশের অভিযানে শিশু ও নারীসহ ১৬ জন রোহিঙ্গা আটক হয়েছে।
রবিবার শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা এনা পরিবহন থেকে তাদের আটক করে।
শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বিকালে সাংবাদিকদের জানান, জেলা পুলিশে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক ছুটি ভোগ শেষে চট্টগ্রাম থেকে এনা পরিবহনের গাড়ীতে মৌলভীবাজার আসছিলেন। এনা পরিবহনের ওই গাড়ীতে থাকা কিছু যাত্রীদের রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ হয়। তিনি বিষয়টি শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে অবহিত করলে সকালে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই মো. জাকির হোসেন সঙ্গে ফোর্সসহ এনা পরিবহন থেকে ১৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেন।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা কক্সবাজার কুতুপালং এর টেনেস রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছে বলে জানায়।
আটককৃতদের পুনরায় কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হবে বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: আন্তরিকতার অভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে ইউএনএইচসিআরের সুপারিশ বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
উখিয়ায় গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় পর্যাপ্ত অর্থায়ন প্রয়োজন: বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণগুলো তুলে ধরতে এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বার্ষিক রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়।
রেজ্যুলেশনটি গৃহীত হওয়ার সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় আশ্রয় শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতি প্রাপ্য। এই মানবিক সহায়তা পরিকল্পনার জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়ন দরকার।’
বিবৃতিতে তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার ইস্যুতে ওআইসি ও ইইউকে তাদের নেতৃত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
রেজ্যুলেশনটিতে মিয়ানমারের প্রতি দেশটির মহাসচিবের বিশেষ দূত ও জাতিসংঘের সকল মানবাধিকার ব্যবস্থাকে পূর্ণ সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এতে মিয়ানমারের রাজনৈতিক ও মানবিক সংকট মোকাবিলায় আঞ্চলিক দেশ ও আঞ্চলিক সংস্থা যেমন আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই বিষয়ে আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐকমত্যের দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।
রেজ্যুলেশনে চলমান ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউশনের তদন্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
রেজ্যুলেশনটি বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ও বাংলাদেশের মানবিক প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেয়। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইসিসি, আইআইএমএম ও অন্যান্য দায়বদ্ধ অংশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে চীনের পক্ষ থেকে সুখবর নেই: মোমেন
সদস্য দেশগুলোকে দায়িত্ব ও ভার ভাগাভাগির জন্য বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির কারণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে মনোয়ার বলেন যে তারা (বাংলাদেশ) মানবিক বিবেচনায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও তাদের বরাবরই মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার কথা।
তিনি আরও বলেন, ‘সেই লক্ষ্যে আমরা মিয়ানমারেরর পরিস্থিতির উন্নতি এবং তাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের সুবিধার্থে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় পক্ষে বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়েছি।’
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানিয়েছে, জাতিসংঘের এই রেজ্যুলেশন এবং তাদের উদ্দেশ্যও রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য আন্ত-আঞ্চলিক সংহতির এক অনন্য উদাহরণ।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে এটা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে। যার ফলে রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে বিলম্ব হচ্ছে।
এই রেজ্যুলেশন জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের জন্য টেকসই সমাধান অর্জনের লক্ষ্যে তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণা দিবে।
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর সদস্য দেশগুলোর যৌথভাবে পেশ করা এই রেজ্যুলেশনটি ১০৯টি দেশ সমর্থিত, যা ২০১৭ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ।
রেজ্যুলেশনের প্রাথমিক গুরুত্ব ছিল মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটসহ রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখন পূর্ণ মাত্রায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল নয়: জাপান
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড ও আসিয়ানের সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
কক্সবাজারে মাদক মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মাদক মামলায় এক রোহিঙ্গাসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে অর্থদণ্ড প্রদান করে। ২০২০ সালে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা পাচার করার অভিযোগে তাদের এ দণ্ড দেয়া হয়।
বুধবার কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন-বালুয়াখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বশির আহমেদের ছেলে আয়াজ (৩৪), কক্সবাজার সদর উপজেলার আব্দুল মজিদের ছেলে বিল্লাল (৩৭), মকবুল আহমেদের ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৩) ও খাগড়াছড়ি জেলার ফয়জুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৩৭)।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা সকলে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়,২০২০ সালের ২৩ আগস্ট রাত ৭ টা ৫ মিনিটের দিকে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাটে খুরুস্কুল ব্রীজ এলাকায় একটি ফিশিং বোট আটক করে। একইসঙ্গে ফিশিং বোটে থাকা মো.আয়াজ ও মো. বিল্লালকে গ্রেপ্তার করে। তখন র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও চার থেকে পাঁচ জন দৌড়ে পালায়। পরে ফিশিং বোট তল্লাশি করে ১৩ লাখ ইয়াবা টেবলেট, ১০ হাজার ৯০০ নগদ টাকাস ফিশিং বোটটি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১৫ এর নায়েব সুবেদার মো. হারুনর রশীদ বাদী হয়ে উল্লেখিত দু’জন সহ অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার ঘটনাস্থলে আটক আসামি মো. আয়াজ ও মো. বিল্লাল তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ এর এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলাটির চার্জশিট দেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার চার আসামির সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে হিমাদ্রী হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন
মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখন পূর্ণ মাত্রায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল নয়: জাপান
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে শিগগিরই পূর্ণ মাত্রায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন,‘শিগগিরই পূর্ণ মাত্রায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা খুবই কঠিন হবে। মিয়ানমারে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা আমাদের জন্য খুবই কঠিন হবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং সেখানে সহিংসতা বন্ধ,বন্দীদের মুক্তি এবং সেখানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: বেইজিংয়ের প্রচেষ্টার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে ঢাকা
তিনি বলেছিলেন যে তারা এই মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারে,তবে তা তাদের পূর্ণ মাত্রায় স্বদেশে প্রত্যাবাসন নয়।
বাংলাদেশ কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং গত পাঁচ বছরে একজনও রোহিঙ্গাকেও নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা হয়নি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পার হয়েছে। এ পরিস্থিতি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। প্রত্যাবাসন অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে।’
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তারা কাজ করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিয়ানমারের পরিস্থিতির কারণে রোহিঙ্গাদের শিগগিরই প্রত্যাবাসন করা যাচ্ছে না।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, জাপান বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করেছে এবং তারা বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ও উদারতার প্রশংসা করে।
সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশের সহযোগিতায় এটি আয়োজন করে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার পরিচালনায় ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য ইইউ’র ৩ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা