রোহিঙ্গা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চাইলেন ওবায়দুল কাদের
মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই সহযোগিতার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি একটি অতিরিক্ত বোঝা এবং তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীন ভূমিকা রাখতে পারে।
বৈঠকে উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা বিশেষ করে সড়ক, পরিবহন ও সেতু এলাকা এবং মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এছাড়া বাংলাদেশের নতুন সরকারকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা একটি চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
সরকার কারো স্বীকৃতির অপেক্ষায় নেই: ওবায়দুল কাদের
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকার জোড়ালোভাবে কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে জোড়ালোভাবে কাজ করছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইমার্জেন্সি মাল্টিসেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স (ইএমআসিআর) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বাস্তবায়িত কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে অভিজ্ঞতা শিখন শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, রোহিঙ্গা যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষিত করা, হোম গার্ডেনিং প্রভৃতি বিষয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জোড়পূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে সরকার জোড়ালোভাবে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী এ প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক অনুদানের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পক্ষে নামিকো মোতোকাওয়া এ প্রকল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে একটি উপস্থাপনা দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবাদুর মারা গেছেন
ডব্লিউএফপির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর শিমন প্যারেজ বলেন, তারা প্রকল্পের সহযোগী হিসেবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ৫ টি কম্পোনেন্ট নিয়ে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, শরণার্থী সেলের প্রধান ও অতিরিক্ত সচিব মো. হাসান সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি একই রকম নাও থাকতে পারে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৃথকভাবে তিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি কখনোই ভালো ছিল না। সেখানে সবসময় অস্থিরতা বিরাজ করে- কখনো ভালো, কখনো খারাপ। মিয়ানমার এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মস্থান রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ।
আরও পড়ুন: গণহত্যার নায়ককে পুরস্কৃত করেছিল এরশাদ-খালেদা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, এই মুহূর্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এটি ভালো সময় নয়।
ইউএনআরসি বলেছে, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় মৌলিক সেবাগুলোর জন্য অর্থায়নের ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা সেই অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছানের সঙ্গে বৈঠকে তারা রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউএনআরসি মন্ত্রীকে জানান, মিয়ানমারে মানবিক সহায়তা দিতে তাদের সাধ্যমতো করছে। ‘মানবিক সহায়তার ব্যাপারে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।’
এর আগে রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সংহতি ও তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজন আমাদের সংহতি। এ সবের জন্য আমাদের তহবিল বাড়াতে হবে।’
মুখপাত্র বলেন, ‘কোনো শরণার্থীকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন করা উচিত নয়।’ এটি স্বেচ্ছায় ও এমনভাবে করা দরকার যাতে তাদের মর্যাদা ও সুরক্ষা রক্ষা হয়।
দুজারিক বলেন, 'আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট যে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি বর্তমানে তাদের দাবি পূরণ করে না। আমাদের যা প্রয়োজন তা হলো, যারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদারভাবে আশ্রয় দিচ্ছে তাদের জন্য বৈশ্বিক সংহতি বাড়ানো দরকার, যেমন কক্সবাজারের স্থানীয় সম্প্রদায়। এর আগে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন মহাসচিব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার সুযোগ রয়েছে: জার্মান রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সময়টা ভালো নয়: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এটি ভালো সময় নয়।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ইউএনআরসি বলেছে, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের জন্য একটি অগ্রাধিকার এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থায়ন এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থায়নের ঘাটতি রয়েছে।’
এর আগে রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সংহতি ও তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজন আমাদের সংহতি। এ সবের জন্য আমাদের তহবিল বাড়াতে হবে।’
মুখপাত্র বলেন, ‘কোনো শরণার্থীকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন করা উচিত নয়।’ এটি স্বেচ্ছায় ও এমনভাবে করা দরকার যাতে তাদের মর্যাদা ও সুরক্ষা রক্ষা হয়।
দুজারিক বলেন, 'আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট যে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি বর্তমানে তাদের দাবি পূরণ করে না। আমাদের যা প্রয়োজন তা হলো, যারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদারভাবে আশ্রয় দিচ্ছে তাদের জন্য বৈশ্বিক সংহতি বাড়ানো দরকার, যেমন কক্সবাজারের স্থানীয় সম্প্রদায়। এর আগে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন মহাসচিব।’
রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখার জন্য আন্তোনিও গুতেরেসকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে উগান্ডার কাম্পালায় তৃতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় তিনি এ অনুরোধ জানান।
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ নিরসনে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
২০২৪ সাল জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য হওয়ার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছর উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ এটিকে যথাযথভাবে উদযাপনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং গুতেরেসকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।
বৈঠকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির কাঠামো সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া জাতিসংঘের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি বৈশ্বিক প্রক্রিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যও তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: কাম্পালায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও মহাসচিবকে ব্রিফ করেন হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, জনগণের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উগান্ডার কাম্পালায় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন এবং ৭৭ জাতি গ্রুপ ও চীনের তৃতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ এ মুহিত, কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মুহাম্মদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) উগান্ডার কাম্পালায় ১৯তম ন্যাম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
১৯তম ন্যাম সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে ন্যাম সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কাজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
মাহমুদ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তাদের বিচার দাবি করেন।
তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর ও সমর্থন করতে সব ধরনের চেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম ও সাউথ সামিটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উগান্ডায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্বিগুণ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।
শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তুলতে গঠনমূলক ও সংঘাতহীন সংলাপ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শুক্রবার উগান্ডার রাষ্ট্রপতি ইয়োয়েরি মুসেভেনি আন্দোলনের নতুন সভাপতি হিসেবে শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। দুই দিন আলোচনার পর 'কাম্পালা ঘোষণা' ও ফিলিস্তিনের বিষয়ে একটি ঘোষণা গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সোয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলন ও বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন।
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক, তাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়াই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে আসুন একসঙ্গে কাজ করি: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ও ডেলিগেশন প্রধানকে এটি পুণর্ব্যক্ত করে এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এই কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে বাণিজ্য বিস্তৃতিতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈঠক শেষে মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের হাতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকাসহ ঐতিহ্যবাহী উপহার সামগ্রী তুলে দেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যার কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে বিশ্বের নজর অনেকটা অন্য দিকে সরে গেছে।
আরও পড়ুন: আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পিটার হাস ও চার্লস হোয়াইটলি
সে কারণে আমি ইইউ রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এখানে আরও ১৫ লাখ অতিরিক্ত মানুষ একটি বিশাল চাপ।
আর রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। দুই দশক আগেও মিয়ানমারের মন্ত্রিসভায় রোহিঙ্গা মন্ত্রী ছিল। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়াই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান।
আরও পড়ুন: পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ইউরোপীয় উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তাদের সঙ্গে পার্টনারশিপ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্টের (পিসিএ) বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে আসিয়ান আরও কাজ করুক: বাংলাদেশ
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেন বলেছেন, বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে আসিয়ান চেয়ার আরও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা নারীদের জন্য চীনের অনুদানে ইউএনএইচসিআরের ধন্যবাদ
আসিয়ান চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত আলাউনকিও কিতিখোন শুক্রবার ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
লাও পিডিআর ১ জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করায় কিতিখোনকে মিয়ানমারে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। মিয়ানমারে বিশেষ দূতের এটাই প্রথম সফর।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে ৮টি শেড
সাক্ষাৎকালে বিশেষ দূত মিয়ানমারের এসএসি চেয়ারম্যান, সরকারি কর্মকর্তা ও অন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে তার বৈঠকের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে জানান।
পাঁচ দফা ঐকমত্য বাস্তবায়ন, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত বিষয়ে আসিয়ান চেয়ারম্যানের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন আলাউনকিও।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজনকে অবহেলা করতে পারি না: ইউএসএইড
রাষ্ট্রদূত ও বিশেষ দূত ২০২৪ সাল জুড়ে এ বিষয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।
কিতিখোন একজন লাওসীয় কূটনীতিক যিনি ২০১৬-২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী এবং ১৯৯৩-২০০৭ সালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে লাও রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজনকে অবহেলা করতে পারি না: ইউএসএইড
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএইড) মানবিক সহায়তা ব্যুরো (বিএইচএ) থেকে ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তাকে স্বাগত জানিয়েছে।
'সময়োপযোগী' এই সহায়তা কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন রক্ষায় ডব্লিউএফপির প্রচেষ্টাকে উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করবে। যেখানে মিয়ানমারে তাৎক্ষণিক প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা ছাড়াই ১০ লাখ রোহিঙ্গা নিয়মিত দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে ইউএসএইডের মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান কক্সবাজার ক্যাম্প পরিদর্শনকালে বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পগুলোতে দেখেছি, একের পর এক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ সহযোগিতায় নেতৃত্ব দিলেও আমরা স্বীকার করছি- বছরটি শরণার্থীদের জন্য বিশেষভাবে চ্যালেঞ্জিং ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা বা তাদের জায়গা দেওয়া বাংলাদেশের উদার সম্প্রদায়গুলোর প্রয়োজনকে অবহেলা করতে পারি না। এর জন্য প্রয়োজন সরকার, দাতা ও উন্নয়ন অংশীদারদের অব্যাহত সমর্থন।’
সংকটের সপ্তম বছরে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা চলাচলের সীমিত স্বাধীনতা, চাকরির সুযোগের অভাব এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে অত্যন্ত অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে রয়েছে।
ক্যাম্পগুলো ঘূর্ণিঝড়, বন্যার মতো জলবায়ু সম্পর্কিত দুর্যোগসহ নানা ঝুঁকিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কালপেলি বলেন, ‘এমন এক সময় যখন একাধিক সংকট দেখা দিয়েছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও অনেক দাতাগোষ্ঠী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য উদার সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এসেছে।’
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে সহযোগিতা পাওয়া গেছে তাতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে খাবারের জন্য বরাদ্দ ৮ ডলার থেকে ১০ ডলারে উন্নীত করা যাবে। আমরা এই ইতিবাচক উন্নয়নে অত্যন্ত আনন্দিত এবং আশা করি রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে দাতারা অর্থায়ন অব্যাহত রাখবে।
২০২৩ সালে তীব্র তহবিল ঘাটতির কারণে ডব্লিউএফপি খাদ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ কমাতে বাধ্য হয়। ফলে, মার্চে প্রতি মাসে মাথাপিছু ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ১০ ডলার করা হয় এবং জুনে তা ৮ ডলারে দাঁড়ায়। এরপর থেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তার পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: মানবিক সহায়তায় শরণার্থীদের স্বস্তির ব্যবস্থা করতে বিদেশি সরকারগুলোর সমর্থন বাড়াতে হবে: আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ
নভেম্বরের ডব্লিউএফপির সর্বশেষ পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কক্সবাজারের শরণার্থী জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশের পর্যাপ্ত খাদ্য নেই, যা জুনে ছিল ৭৯ শতাংশ। তখন পরিবারগুলোকে কম পুষ্টিকর খাবারের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। তাছাড়া শিশুদের খাবার দিতে মা-বাবাদের কম খাওয়ার পথ বেছে নিতে হয়। মাঝেমধ্যে কোনো বেলার খাবার না খেয়েই থাকতে হয়েছে।
শিশুদের মধ্যে পুষ্টি ঘাটতি বাড়ছে।বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এক বছর আগের তুলনায় সেপ্টেম্বরে, বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে আরও বেশি শিশু, যাদের মধ্যে প্রায় এক হাজার শিশু গুরুতর ও মাঝারি মাপের অপুষ্টির জন্য চিকিৎসা প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছে।
বিএইচএ তহবিল রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি কক্সবাজার ও ভাসানচরে পুষ্টি, স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে ডব্লিউএফপির কাজে ব্যবহার করা হবে।
ডব্লিউএফপির পুষ্টি কর্মসূচির মাধ্যমে কক্সবাজারের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রায় ৮ হাজার শিশু এবং ৪ হাজার গর্ভবতী ও বুকের দুধ খাওয়ানো নারীকে সহায়তা করা হবে।
ডব্লিউএফপি নতুন বছরে কক্সবাজারে তাদের খাদ্যে ফর্টিফাইড চাল চালুর পরিকল্পনা করেছে এবং পুরো রেশন পুনরুদ্ধারের জন্য আরও ৭৯ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহায়তা দিন: ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।
নতুন এই অর্থায়নের মাধ্যমে ইউএসএইড জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সঙ্গে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা; সেইসঙ্গে অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, এবং স্বনির্ভরতা ও জীবিকা সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করবে।
বুধবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বলেছে, এই অতিরিক্ত তহবিল অন্যান্য দাতাদের অবদানের সঙ্গে ডব্লিউএফপিকে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য খাদ্য রেশন সংগ্রহ করতে সক্ষম করবে।
আরও পড়ুন: মানবিক সহায়তায় শরণার্থীদের স্বস্তির ব্যবস্থা করতে বিদেশি সরকারগুলোর সমর্থন বাড়াতে হবে: আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ
খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তার মধ্যে রয়েছে নির্ধারিত বিতরণের জায়গায় খাবারের জন্য ইলেকট্রনিক ভাউচার, ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী অপুষ্টির শিকার শিশুদের এবং গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের খাদ্যপ্রদান কর্মসূচিতে সহায়তা।
এছাড়াও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে, ডব্লিউএফপি ক্যাম্পের অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নে জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে।
এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা সংকটে সবচেয়ে বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে। যার মধ্যে প্রায় ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশে আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার আশ্বাস জাপানের: মোমেন
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ