দূতাবাস
দূতাবাসে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১
লোভনীয় বেতনে বিভিন্ন দূতাবাস ও প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রবি পল গোমেজ (৫৩) নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার লাফন গোমেজের ছেলে।
শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডি জানায়, প্রতারণার শিকার এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে ভাটারা থানায় একটি মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির প্রতারণার মামলা: তাহসান খানের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, মহানগরীর ভাটারা থানাধীন নূরের চালা এলাকায় আরএস এন্টারপ্রাইজ নামক অফিস দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করত রবি ও তার সহযোগীরা।
তারা সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরি দেয়ার কথা বলে ভুক্তভোগী হাশেম মিয়ার কাছ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা নেয়।
এভাবে অনেককে তাদের কোম্পানির ব্যাংক চেক দেয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। পরে তাদের চাকরির কোনো ব্যবস্থা না করে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায় প্রতারক চক্র।
সিআইডি ঢাকা মেট্রোপলিটন (দক্ষিণ) জানিয়েছে, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয়ে প্রতারণা: মেম্বার প্রার্থী গ্রেপ্তার
ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ
ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতিবেশী ইউরোপীয় দেশগুলোর বাংলাদেশ কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও মলদোভায় যেতে সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন নম্বর জারি করেছে।
স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরির জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের অস্ট্রিয়া ও ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রুমানিয়া যেতে পারবেন ইউক্রেনের নাগরিকরা
তারা ডেপুটি চিফ অব মিশন রাহাত বিন জামানের সঙ্গে +৪৩৬৮৮৬০৩৪৪৪৯২ নাম্বারে এবং জুবায়দুল এইচ. চৌধুরীর সঙ্গে +৪৩৬৮৮৬০৬০৩০৬৮ নাম্বারে কথা বলতে পারেন।
এছাড়া রোমানিয়া ও মলদোভার জন্য রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টের বাংলাদেশ দূতাবাসে +৪০(৭৪২)৫৫৩৮০৯ নাম্বারে এবং মীর মেহেদী হাসানের সঙ্গে +৪০(৭৪২)৫৫৩৮০৯ নাম্বারে (টেল ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ) যোগাযোগ করতে পারবেন।
পোল্যান্ডের জন্য দেশটির রাজধানী ওয়ারশস্থ পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসে মো. মাসুদুর রহমানের সঙ্গে +৪৮৭৩৯৫২৭৭২২ নাম্বারে, মো. মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে +৪৮৫৭৯২৬২৪০৩, এমএসটি ফারহানা ইয়াসমিনের সঙ্গে +৪৮৬৯০২৮২৫৬১ নাম্বারে, জনাব বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে +৪৮৭৩৯৪১২৩৫৩ নাম্বারে এবং মো. রব্বানীর সঙ্গে +৪৮৬৯৬৭৪৫৯০৩ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভিসা ছাড়া পোল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন ইউক্রেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা
পুতিন-মোদি ফোনালাপ: ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান
রুমানিয়া যেতে পারবেন ইউক্রেনের নাগরিকরা
ইউক্রেনের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নাগরিকদের রোমানিয়ায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রুমানিয়া সরকার দুই দিনের থাকার ব্যবস্থা করবে এবং তারপর বুখারেস্টে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে রেখে তাদের বাংলাদেশে আসার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, রুমানিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস আরও বিস্তারিত নোটিশ আকারে কিছুক্ষণের মধ্যে প্রকাশ করবে।
আরও পড়ুন: ভিসা ছাড়া পোল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন ইউক্রেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা
ইউক্রেন থেকে দূতাবাস সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া
রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান সংকটের মধ্যে ইউক্রেনের কিয়েভ থেকে দূতাবাস সরিয়ে নিতে শুরু করেছে রাশিয়া। এছাড়া ইউক্রেনও রাশিয়ায় অবস্থান করা নিজ দেশের নাগরিকদের দ্রুত রাশিয়া ত্যাগের নির্দেশনা দিয়েছে।
রাশিয়া ইউক্রেনের কূটনৈতিক পদ থেকে কর্মকর্তা প্রত্যাহার শুরু করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হুমকির কথা বলে ইউক্রেন থেকে দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণার একদিন পর এমন তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস।
কয়েক সপ্তাহ শান্তি প্রচেষ্টা নিলেও কিয়েভ কর্তৃপক্ষও ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের ইঙ্গিত দিয়েছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটির নাগরিকদের রাশিয়া ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে এবং সেখানে অবস্থান করা নাগরিকদের দ্রুত রাশিয়া ত্যাগের সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন: দুই অঞ্চলকে স্বীকৃতি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন: জাতিসংঘ প্রধান
রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান সংকটের মধ্যে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দুটি রুশপন্থী অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় মস্কো। এছাড়া এর কয়েক ঘণ্টা পর সেখানে সৈন্য মোতায়েনের নির্দেশও দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এদিকে মঙ্গলবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস পূর্ব ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ায় রাশিয়ার উদ্যোগের সমালোচনা করে এটি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং মস্কোর এই পদক্ষেপ ‘শান্তিরক্ষার ধারণার বিকৃতি’ ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপ
বাংলাদেশিদের ইউক্রেন ছাড়ার পরামর্শ
ইউক্রেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশিদের সাময়িকভাবে দেশটি ত্যাগ করার পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে। অবিলম্বে অন্য কোন দেশে যেতে না পারলে তারা বাংলাদেশে ফিরে যেতে পারেন। ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে পরামর্শ হালনাগাদ করা হবে।
এতে বলা হয়েছে, একই সঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় না হলে বাংলাদেশিদের ইউক্রেনে সব ধরনের ভ্রমণ পরিহার করার জন্য পরামর্শ দেয়া হলো।
আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিদের তাদের অবস্থানের তথ্য দূতাবাসকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো। যাতে করে জরুরি প্রয়োজনে দূতাবাস তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
আরও পড়ুন: খায়রুজ্জামানকে হস্তান্তরে মালেশিয়ার হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর: কানাডা থেকে নূর চৌধুরীকে ফেরানোর ওপর জোর বাংলাদেশের
খায়রুজ্জামানকে শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের আহ্বান ভারতের
ইউক্রেনে সম্ভাব্য রুশ আগ্রাসন নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে নিজ দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের কথা বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে ভারত।
মঙ্গলবার কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় নাগরিক বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা সাময়িকভাবে ইউক্রেন ত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
দূতাবাস আরও জানিয়েছে, ভারতীয় নাগরিক যারা ইউক্রেনে অবস্থান করছে তারা তাদের উপস্থিতির বিষয়টি সম্পর্কে দূতাবাসকে যেনো অবহিত করে। যাতে প্রয়োজনে দূতাবাস তাদের কাছে পৌঁছাতে পারে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে হামলা করলে চড়া মূল্য দিতে হবে, পুতিনকে বাইডেনের হুঁশিয়ারি
ভারত এর আগে ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে কিয়েভ সংকটের একটি ‘শান্তিপূর্ণ সমাধান’ করার আহ্বান জানিয়েছিল।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি গত মাসে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনাসহ ইউক্রেন সংক্রান্ত উন্নয়ন ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিয়েভে আমাদের দূতাবাস স্থানীয় উন্নয়নও পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য টেকসই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।’
রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ১৩ লাখ সৈন্য মোতায়েন করেছে মস্কো। যা ন্যাটো সদস্যদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি করেছে যে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে।
আরও পড়ুন: রুশ হামলার আশঙ্কা, ইউক্রেন থেকে দূতাবাস সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
রুশ হামলার আশঙ্কা, ইউক্রেন থেকে দূতাবাস সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলা নিয়ে পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সতর্কবার্তার মাঝে দেশটির রাজধানী কিয়েভ থেকে নিজেদের দূতাবাস সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার স্টেট ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে যে রাশিয়ার আগ্রাসনের আশঙ্কায় কিয়েভ দূতাবাসের সমস্ত আমেরিকান কর্মীদের দেশ ত্যাগ করতে হবে। তবে স্টেট ডিপার্টমেন্ট এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবে না।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর আগে কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের পরিবারকে দেশত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সঙ্কট: মস্কোয় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউক্রেনে সম্ভাব্য রুশ আগ্রাসনের বিষয়ে ওয়াশিংটনের সতর্কবার্তা জারির পর নতুন পদক্ষেপের ঘোষণাটি আসে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কিছু কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেনের সুদূর পশ্চিমে পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে সীমিত সংখ্যক মার্কিন কূটনীতিককে স্থানান্তরিত করা হতে পারে। যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে কূটনৈতিক কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: কৃষক হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ভারতীয় মন্ত্রীপুত্রের জামিন
আ.লীগের প্রচারণায় বিদেশে মিশন ব্যবহার করছে সরকার: বিএনপি
আওয়ামী লীগের প্রচারণায় সরকার বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশন ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দূতাবাস/মিশনের প্রাথমিক দায়িত্ব। জনগণের করের টাকায় এ সব মিশনের ব্যয় বহন করে রাষ্ট্র।’
বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, লজ্জাজনক ও অপেশাদার উপায়ে এসব মিশন জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। ‘এসব সংস্থা মিথ্যা ও জনগণকে প্রতারিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ‘খালেদাকে সম্মননা দেয়া প্রতিষ্ঠানটি বিএনপির হয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন মার্কিন কংগ্রেসম্যান ও দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছে। তিনি নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে (র্যাবের ওপর) নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তার (মিকস) বক্তব্যকে বিকৃত করে এবং দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে ধুম্রজাল তৈরি করে ওয়াশিংটনে অবস্থিত মিশন শুধু সচেতন মানুষকেই প্রতারিত করেনি, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশকে হেয় করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসম্যান মিকস নিজেই ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, তার নিজস্ব ওয়েবসাইট ও মার্কিন পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির ওয়েবসাইটে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।’
মার্কিন পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির ওয়েবসাইটে পোস্ট করা বিবৃতির কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিকস স্পষ্টভাবে র্যাব ও এর কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেছেন। মিকস বলেছেন তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করাসহ মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সাহায্য করতে তিনি কাজ করবেন।’
আরও পড়ুন: পুলিশের কাজে বাধা: বিএনপির ১০ নেতাকর্মী রিমান্ডে
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত একটি বেসরকারি সংবাদ সম্মেলনের সূত্র ধরে সেখানে অবস্থিত দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। যেখানে সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মীর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যা দূতাবাসকে রাষ্ট্রের বদলে আওয়ামী লীগের প্রচার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রমাণ।’
তিনি বলেন, দুই দূতাবাসের এসব কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে সরকারের ‘অশুভ’ প্রচেষ্টার সর্বশেষ প্রমাণ।
বাংলাদেশ - দ.কোরিয়ার সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞান ও আইসিটি মন্ত্রণালয় দুই দেশের মধ্যে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের সঙ্গে একটি সাম্প্রতিক বৈঠকে কোরিয়ার প্রতিমন্ত্রী লিম হেইসুকের স্বাক্ষরিত এমওইউ হস্তান্তর করেন।
রবিবার ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে চুক্তির ভিত্তিতে, মন্ত্রী ইয়াফেস স্বাক্ষরিত এমওইউটি গত বছরের নভেম্বরে একটি কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মানবপাচারকারী চক্রের ফাঁদে পা না দেয়ার আহ্বান রোম দূতাবাসের
মহামারি পরিস্থিতির কারণে উভয় পক্ষই মুখোমুখি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান করতে পারেনি বলে দূতাবাস জানিয়েছে।
দুই দেশের সরকারের মধ্যে ১৯৯৫ সালের মে মাসে স্বাক্ষরিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চুক্তির বাস্তবায়ন কার্যকর করার জন্য এই সমঝোতা স্মারকটি করা হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকে একটি যৌথ কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং সহযোগিতার ধরন উল্লেখ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, এই সমঝোতা স্মারকটি দুই দেশের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও তরান্বিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি স্থাপন করেছে।
অনুষ্ঠানে এই লক্ষ্যে তিনি তার প্রতিশ্রুতি ও ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ লাখ মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি জাপানের
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
দেশের আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কার্যক্রম থেকে শুরু করে বিদেশে যাওয়া এবং দেশের বাইরেও বিভিন্ন কাজে সবচেয়ে অবধারিত বস্তুটির নাম পাসপোর্ট। বিভিন্ন প্রয়োজনে এই অতি মূল্যবান কাগজটিকে প্রায় ক্ষেত্রেই সাথে নিয়ে চলতে হয়। এই চলাফেরার মাঝেই হঠাৎ ভুলবশত হারিয়ে যেতে পারে পাসপোর্টটি। টাকার ব্যাগের ভেতর পাসপোর্ট বহন করাটা খুব একটা দুর্লভ ব্যাপার নয়। তাই ছিনতাই বা চুরির সময় টাকার সাথে সাথে হারাতে হয় পাসপোর্টটিও। এ সময় নানারকম ঝামেলার পাশাপাশি কখনো কখনো পড়তে হয় আইনি সমস্যাতেও। তাই পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয় সম্পর্কে জানা থাকা আবশ্যক।
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
দেশে পাসপোর্ট হারালে করণীয়
১। পাসপোর্ট হারানোর সাথে সাথেই খবর দিতে হবে থানাতে। পাসপোর্ট হারানো সময় পাসপোর্টধারী যে এলাকায় অবস্থান করছিলেন সে স্থানটি যে থানার অন্তর্গত সেখানে একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করতে হবে। এ সময় জিডিতে পাসপোর্টে যদি কোনো দেশের ভিসা সংযুক্ত থাকে সে কথাটি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। সাথে হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্টের ফটোকপি দেয়া ভালো।
২। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে বিশেষ করে চুরি বা ছিনতাই হলে পুলিশ ইমিগ্রেশন ডাটাবেজে পাসপোর্টটিকে কালো তালিকাভুক্ত (ব্ল্যাক লিস্টেড) করা হবে। এর ফলে সেই পাসপোর্ট ব্যবহার করে অন্য কেউ বিদেশে যেতে পারবে না।
৩। হারানো বা চুরি হওয়া পাসপোর্টটি পাওয়া গেলে ইমিগ্রেশন ডাটাবেজের কালো তালিকা থেকে পাসপোর্টটিকে মুক্ত করতে হবে। এর জন্যে সংশ্লিষ্ট থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তার নিকট আবেদন করতে হবে।
৪। আর যদি পাসপোর্টটি পাওয়া না যায় তাহলে জিডির কপিসহ পুনরায় আবেদন করতে হবে। অতঃপর আবেদনটি যাচাই করে পাসপোর্ট অফিস নতুন পাসপোর্ট সরবরাহ করবে।
সাধারণত পুরোনো রেকর্ড কিংবা পুলিশি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পাসপোর্টটি ইস্যু করা হয়ে থাকে। তাই পুরো কার্যক্রমটি সম্পন্ন হয়ে পাসপোর্ট হাতে পেতে বিলম্ব হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
বিদেশে পাসপোর্ট হারালে করণীয়
১। দেশের বাইরে পাসপোর্ট হারালে সর্বপ্রথম করণীয় হচ্ছে সেই দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস খুঁজে বের করা। ওরা এ ধরনের জটিলতা থেকে উত্তরণের জন্য সম্ভাব্য সব দিক থেকে সহায়তা দিয়ে থাকে।
২। দেশের মত ওখানেও পাসপোর্ট হারানো জায়গার নিকটস্থ থানায় রিপোর্ট করে একটি জিডি করতে হবে।
৩। তারপর সি-ফর্ম পূরণপূর্বক মিনিস্টার কাউন্সিলর বরাবর ট্রাভেল পারমিট ইস্যুর জন্য আবেদন করতে হবে। সি-ফর্মটি সাধারণত দেয়া হয় বিদেশ গমনের পর যে হোটেলে ওঠা হয় সেখান থেকে। আবেদনের সাথে যে কাগজগুলো লাগবে সেগুলো হলো-
→ জিডির কপি
→ হারানো পাসপোর্টের ফটোকপি
→ হারানো পাসপোর্টের ভিসা
→ এরাইভাল ভিসা কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
→ পাসপোর্ট সাইজের ছবি
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মুক্ত দেশের তালিকা ২০২১
৪। অতঃপর দুই দিনের ভেতরেই ট্রাভেল পারমিট পাওয়া যেতে পারে। আর এটিই সে সময়ের জন্য পাসপোর্টের কাজ করবে।
ভারতে পাসপোর্ট হারালে ভারতের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পারমিট এবং ট্রাভেল ইন্সুরেন্স নিয়ে অনলাইনে এক্সিট পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে। এই এক্সিট পারমিটটি এফআরআরও (ফরেন রেজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস) ইস্যু করে থাকে। এ সময় আবেদনের সাথে উপরোক্ত কাগজপত্রগুলোর প্রয়োজন হয়।
কোন ট্রাভেল এজেন্সির সাথে বিদেশ ভ্রমণকালে এজেন্সি থেকেই এই পুরো কার্যকলাপে সহায়তা প্রদান করতে পারে। বিদেশে ভ্রমণকারিদের জন্য বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অফিস ভ্রমণকারির সকল তথ্য যাচাই করে বাংলাদেশ হাই কমিশনকে রিপোর্ট করে একটি বিবৃতিপত্র প্রেরণ করে। আর এই পত্রটিই ভ্রমণকারিদের দেশে ফিরে আসতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
শেষাংশ
পাসপোর্ট চুরি, ছিনতাই বা অসাবধানতা বশত হারানোর হাত থেকে বাঁচতে হলে পূর্ব সতর্কতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পাসপোর্টটি প্রথম হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই সেটার কয়েকটি রঙিন ফটোকপি এবং স্ক্যান করে গুগল ড্রাইভে রেখে দিতে হবে। অন্ততপক্ষে মোবাইলে ছবি তুলে সেভ করে ভালো। কোন দেশের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রেও একই সতর্কতা প্রযোজ্য। এমনকি অ্যারাইভাল ভিসার বেলায়ও সীল দেয়া পৃষ্ঠাগুলো সহ ফটোকপি করে রাখতে হবে। জীবনে চলতে ফিরতে অপরিহার্য এই পরিচয়পত্রটির জন্য এই বাড়তি সতর্কতাটুকু অনস্বীকার্য।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড কীভাবে করবেন