দূতাবাস
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
দেশের আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কার্যক্রম থেকে শুরু করে বিদেশে যাওয়া এবং দেশের বাইরেও বিভিন্ন কাজে সবচেয়ে অবধারিত বস্তুটির নাম পাসপোর্ট। বিভিন্ন প্রয়োজনে এই অতি মূল্যবান কাগজটিকে প্রায় ক্ষেত্রেই সাথে নিয়ে চলতে হয়। এই চলাফেরার মাঝেই হঠাৎ ভুলবশত হারিয়ে যেতে পারে পাসপোর্টটি। টাকার ব্যাগের ভেতর পাসপোর্ট বহন করাটা খুব একটা দুর্লভ ব্যাপার নয়। তাই ছিনতাই বা চুরির সময় টাকার সাথে সাথে হারাতে হয় পাসপোর্টটিও। এ সময় নানারকম ঝামেলার পাশাপাশি কখনো কখনো পড়তে হয় আইনি সমস্যাতেও। তাই পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয় সম্পর্কে জানা থাকা আবশ্যক।
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
দেশে পাসপোর্ট হারালে করণীয়
১। পাসপোর্ট হারানোর সাথে সাথেই খবর দিতে হবে থানাতে। পাসপোর্ট হারানো সময় পাসপোর্টধারী যে এলাকায় অবস্থান করছিলেন সে স্থানটি যে থানার অন্তর্গত সেখানে একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করতে হবে। এ সময় জিডিতে পাসপোর্টে যদি কোনো দেশের ভিসা সংযুক্ত থাকে সে কথাটি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। সাথে হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্টের ফটোকপি দেয়া ভালো।
২। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে বিশেষ করে চুরি বা ছিনতাই হলে পুলিশ ইমিগ্রেশন ডাটাবেজে পাসপোর্টটিকে কালো তালিকাভুক্ত (ব্ল্যাক লিস্টেড) করা হবে। এর ফলে সেই পাসপোর্ট ব্যবহার করে অন্য কেউ বিদেশে যেতে পারবে না।
৩। হারানো বা চুরি হওয়া পাসপোর্টটি পাওয়া গেলে ইমিগ্রেশন ডাটাবেজের কালো তালিকা থেকে পাসপোর্টটিকে মুক্ত করতে হবে। এর জন্যে সংশ্লিষ্ট থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তার নিকট আবেদন করতে হবে।
৪। আর যদি পাসপোর্টটি পাওয়া না যায় তাহলে জিডির কপিসহ পুনরায় আবেদন করতে হবে। অতঃপর আবেদনটি যাচাই করে পাসপোর্ট অফিস নতুন পাসপোর্ট সরবরাহ করবে।
সাধারণত পুরোনো রেকর্ড কিংবা পুলিশি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পাসপোর্টটি ইস্যু করা হয়ে থাকে। তাই পুরো কার্যক্রমটি সম্পন্ন হয়ে পাসপোর্ট হাতে পেতে বিলম্ব হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
বিদেশে পাসপোর্ট হারালে করণীয়
১। দেশের বাইরে পাসপোর্ট হারালে সর্বপ্রথম করণীয় হচ্ছে সেই দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস খুঁজে বের করা। ওরা এ ধরনের জটিলতা থেকে উত্তরণের জন্য সম্ভাব্য সব দিক থেকে সহায়তা দিয়ে থাকে।
২। দেশের মত ওখানেও পাসপোর্ট হারানো জায়গার নিকটস্থ থানায় রিপোর্ট করে একটি জিডি করতে হবে।
৩। তারপর সি-ফর্ম পূরণপূর্বক মিনিস্টার কাউন্সিলর বরাবর ট্রাভেল পারমিট ইস্যুর জন্য আবেদন করতে হবে। সি-ফর্মটি সাধারণত দেয়া হয় বিদেশ গমনের পর যে হোটেলে ওঠা হয় সেখান থেকে। আবেদনের সাথে যে কাগজগুলো লাগবে সেগুলো হলো-
→ জিডির কপি
→ হারানো পাসপোর্টের ফটোকপি
→ হারানো পাসপোর্টের ভিসা
→ এরাইভাল ভিসা কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
→ পাসপোর্ট সাইজের ছবি
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মুক্ত দেশের তালিকা ২০২১
৪। অতঃপর দুই দিনের ভেতরেই ট্রাভেল পারমিট পাওয়া যেতে পারে। আর এটিই সে সময়ের জন্য পাসপোর্টের কাজ করবে।
ভারতে পাসপোর্ট হারালে ভারতের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পারমিট এবং ট্রাভেল ইন্সুরেন্স নিয়ে অনলাইনে এক্সিট পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে। এই এক্সিট পারমিটটি এফআরআরও (ফরেন রেজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস) ইস্যু করে থাকে। এ সময় আবেদনের সাথে উপরোক্ত কাগজপত্রগুলোর প্রয়োজন হয়।
কোন ট্রাভেল এজেন্সির সাথে বিদেশ ভ্রমণকালে এজেন্সি থেকেই এই পুরো কার্যকলাপে সহায়তা প্রদান করতে পারে। বিদেশে ভ্রমণকারিদের জন্য বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অফিস ভ্রমণকারির সকল তথ্য যাচাই করে বাংলাদেশ হাই কমিশনকে রিপোর্ট করে একটি বিবৃতিপত্র প্রেরণ করে। আর এই পত্রটিই ভ্রমণকারিদের দেশে ফিরে আসতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
শেষাংশ
পাসপোর্ট চুরি, ছিনতাই বা অসাবধানতা বশত হারানোর হাত থেকে বাঁচতে হলে পূর্ব সতর্কতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পাসপোর্টটি প্রথম হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই সেটার কয়েকটি রঙিন ফটোকপি এবং স্ক্যান করে গুগল ড্রাইভে রেখে দিতে হবে। অন্ততপক্ষে মোবাইলে ছবি তুলে সেভ করে ভালো। কোন দেশের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রেও একই সতর্কতা প্রযোজ্য। এমনকি অ্যারাইভাল ভিসার বেলায়ও সীল দেয়া পৃষ্ঠাগুলো সহ ফটোকপি করে রাখতে হবে। জীবনে চলতে ফিরতে অপরিহার্য এই পরিচয়পত্রটির জন্য এই বাড়তি সতর্কতাটুকু অনস্বীকার্য।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড কীভাবে করবেন
ভারতের দেয়া অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স ভোলা পৌরসভায় হস্তান্তর
দেশের বৃহত্তর দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষের চিকিৎসা সুবিধার জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আইসিইউ সুবিধা সম্পন্ন একটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়া হয়েছে।
শনিবার বিকালে ভোলা পৌরসভার হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে পৌর মেয়র মনিরুজ্জামানের কাছে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করেন খুলনার ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার রাজেশ কুমার রায়না।
ভোলা পৌরসভার মেয়র মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ভোলা-১ আসনের সাংসদ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ভারতের দেয়া লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ ভারতের সহকারী হাই কমিশনারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ভারত আমাদের ঘনিষ্ট প্রতিবেশি দেশ। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত যথেষ্ট সহায়তা করেছে। আমাদের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আগামী দিনে দুই দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার রাজেশ কুমার রায়না বলেন, ভারত বাংলাদেশ একই মায়ের দুটি সন্তান। বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভারতের জনগণের পক্ষ থেকে এই অ্যাম্বুলেন্সটি উপহারস্বরূপ দেয়া হয়েছে। আইসিইউ সুবিধাসহ এই এম্বুলেন্স গুরুতর রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা সুবিধায় সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন জেনারেটর উপহার দিল কোরিয়া
বাংলাদেশকে আরও ৯৬ লাখ ডোজ ফাইজার টিকা উপহার দিলো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশকে ফাইজারের করোনা টিকার আরও ৯৬ লাখ ডোজ উপহার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিয়ে বাংলাদেশকে অনুদান দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের মোট করোনা টিকার ডোজের পরিমাণ ২ কোটি ৮০ লাখ ছাড়াল।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
দূতাবাস জানায়, এই টিকা বাংলাদেশের জনগণের জন্য আমেরিকার জনগণের উপহার।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে গত তিন বছরে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারার যে গর্ব; অন্য কোন কিছুতেই আমি সেটা খুঁজে পাই না। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমেরিকার জনগণ তাদের উদার ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য আরও ৯৬ লাখ ডোজ টিকা উপহার দিয়েছে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে দুই কোটি ৮০ লাখ ডোজেরও বেশি টিকা বিনামূল্যে দিয়েছে এবং আরও টিকার ডোজ আসার পথে রয়েছে। আমরা বীর বাংলাদেশি স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের ও আমাদের অংশীদারদের অভিবাদন জানাই। আমরা তাদের সঙ্গেই আছি। কারণ আমরা যৌথভাবে আমাদের উভয় দেশের জনগণের সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের এই ফাইজার টিকা অনুদান ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী টিকার শত কোটি ডোজ পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ।
টিকা অনুদান দেয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম প্রচারাভিযানে সহায়তা করার পাশাপাশি এই কার্যক্রমকে জোরদার করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র টিকার সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সঠিক পদ্ধতিতে টিকাদান বিষয়ে সাত হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি স্বাস্থ্য সেবাদানকারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার বুস্টার ডোজে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্না
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র করোনা-সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশ এর মাধ্যমে ১২১ মিলিয়ন ডলার বা এক হাজার ৪০ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিয়েছে। এই সহায়তা মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে এবং কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা পেতে সহায়তা করার পাশাপাশি রোগের পরীক্ষা করা ও মনিটরিংয়ের সামর্থ্য জোরদার করেছে, রোগী ব্যবস্থাপনা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলো শক্তিশালী করেছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নত করেছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা সম্মুখসারির কর্মীদের সুরক্ষিত করেছে এবং জনগণের মধ্যে সংক্রমণ থেকে নিজেদেরকে আরোও ভালোভাবে রক্ষা করা সংক্রান্ত জ্ঞান বাড়িয়েছে।
দূতাবাস আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে চার বিলিয়ন ডলার বা ৩৪ হাজার কোটি টাকা সহায়তা করেছে। যার মধ্যে আল্ট্রা-কোল্ড চেইন পদ্ধতিতে কোভিড টিকা সংরক্ষণ, পরিবহন, নিরাপদ ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ টিকার ন্যায়সঙ্গত প্রবেশগম্যতা তৈরিতে বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফাইজারের আরও প্রায় ২৫ লাখ ডোজ পৌঁছেছে
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ফাইজারের পিল কার্যকর
টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
জাপানের টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে। সোমবার টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
দুতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুরুতে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ দূতাবাসের কর্মকর্তা – কর্মচারীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
তারপর বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট-এর কালরাতে দেশদ্রোহী ঘাতকের নির্মম বুলেটে শাহাদাৎবরণকারী সকল শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি এবং দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া (মোনাজাত) করা হয়।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে মুক্ত আলোচনা ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত বলেন দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করলেও বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া সেই বিজয় ছিল অপূর্ণ ও অতৃপ্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আরও ৭ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান
তিনি বলেন, ‘সেদিন ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু সসম্মানে, মাথা উচু করে, বীরের বেশে স্বাধীন দেশে ফিরে আসেন, দেশ ফিরে পায় তাঁর প্রিয় সন্তানকে, জাতি ফিরে পায় তাঁদের মহান নেতা জাতির স্থপতি’ বঙ্গবন্ধুকে। মুক্ত স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুকে ফিরে পেয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ী বাঙ্গালী জাতি অনুভব করে বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ।
রাষ্ট্রদূত বলেন দেশ বিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথ রোধ করতে চেয়েছে। কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন ধবংস করতে পারে নাই।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের সোপান বেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাপানে ওমিক্রন কোভিড ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক বাস্তবায়নে সহায়ক হবে: জাপান
আগামী বছর টোকিও সফর করবেন শেখ হাসিনা, প্রত্যাশা জাপানের
মরিশাসে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বৃক্ষরোপণ
মুজিববর্ষের অংশ হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতিসংঘের বাংলায় ভাষণ দেয়া ৪৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে মরিশাসের পোর্ট লুইসের প্লেন-ভিয়ার পার্কে ৪৭টি বৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়েছে।
দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ হাইকমিশন মরিশাস ও সিটি কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে মরিশাস সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হসনু ও পরিবেশমন্ত্রী কাভিদাশ রামানো উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা
স্বাগত বক্তব্যে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ বলেন, অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীও একই সময়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের বর্তমান সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ পরিবেশ রক্ষায় সদস্য দেশগুলোর সাথে জলবায়ু পরিবর্তের বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিরসনে ও মানিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এ সব বৃক্ষ পরিবেশ সংরক্ষণে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: সৌদির ওয়াদি আদ দাওয়াসির শহরে বাংলাদেশিদের দূতাবাসের কনস্যুলার সেবা
মরিশাস সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর স্মরণে আজকের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে পার্কের পরিবেশ আরও সুশীতল ও স্নিগ্ধ হবে এবং বঙ্গবন্ধুর মতো মহান ব্যক্তির স্মরণে এ ধরনের মহৎ কর্ম অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে। সেই সাথে পৃথিবীর পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষায় এ ধরনের কর্মসূচী বিশেষ অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
পরিবেশ মন্ত্রী কাভিদাশ রামানো বলেন, মরিশাস কপ-২৬ এ যোগদানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এ সম্মেলনের ফলাফলের জন্য গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
সেই সাথে এই চারাগাছগুলো একদিন বৃক্ষে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে পার্কের পরিবেশ আর মনোরম করে তুলবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীদের চাহিদা পূরণের জন্য ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) সেবা চালু করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন যৌথভাবে এই সেবার উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ই পাসপোর্ট বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে: প্রধানমন্ত্রী
উদ্বোধন বক্তব্যে সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, ‘নতুন প্রচলিত ই-পাসপোর্ট বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির হওয়ায় এতে জালিয়াতির কোন সুযোগ নেই, যার ফলে বহির্বিশ্বে এই পাসপোর্টধারীদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনও ই-পাসপোর্টের প্রচলন করতে পারেনি। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে। এছাড়া সরকার ইতোমধ্যেই ঢাকা,সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করেছে যা যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াকে আরও সহজতর করবে।’
আরও পড়ুন: ই পাসপোর্টের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম বলেন,‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম বক্তব্যে ই-পাসপোর্ট সেবা সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের একক কৃতিত্ব হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এটি তার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের’ আরেকটি যুগান্তকারী মাইলফলক হিসেবে তুলে ধরেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন সারা বিশ্বে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভোগান্তি কমে যাবে।’
গত ১০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও বার্লিন ও এথেন্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে এর আগে ওই সেবা চালু হওয়ার প্রেক্ষিতে চতুর্থতম হিসেবে ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাসে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) সেবা চালু হল।
অপহৃত ভারতীয়দের ছেড়ে দিয়েছে তালেবান
অপহৃত ভারতীয়দের ছেড়ে দিয়েছে তালেবান। তারা বিমানে করে যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য দেশটির প্রধান বিমান বন্দরে অপেক্ষা করছে। সংবাদ মাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার সকালে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে সশস্ত্র তালেবান যোদ্ধারা ১৫০ জনকে অপহরণ করে। এর বেশিরভাগই ভারতীয় নাগরিক ছিল।
আরও পড়ুনঃ কাবুলে প্রবেশ করেছে তালেবান, ক্ষমতার 'শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরের' অপেক্ষা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রের বরাতে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানবন্দরের বাইরে থেকে অপহরণ করার পর ভারতীয়দের কাছের একটি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যায় তালেবান। সেখানে তাদের কাগজপত্র দেখার পর ছেড়ে দেয়া হয়। এখন তারা কাবুল বিমানবন্দরে আছে।
তালেবানের এক মুখপাত্র স্থানীয় একটি গণমাধ্যমকে বলেছে, ভারতীয়দের অপহরণ করা হয়নি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ স্টেশনে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জোর করে কাবুল দখল করবে না তালেবান
শনিবার এর আগে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে থেকে তাদের অপহরণ করা হয়েছে । যদিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি।
কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন বিমান প্রায় ৮৫ জন ভারতীয়কে সরিয়ে নেয়ার দুই ঘণ্টা পর তালেবান ভারতীয় নাগরিকদের তুলে নেয়।
দিল্লির একটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি নিরাপদে তাজিকিস্তানে অবতরণ করেছে। বিমানটি রিফুয়েল করার পর ভারতে ফিরে আসবে এবং দ্বিতীয় বিমানটি কাবুল বিমানবন্দরে অপেক্ষায় আছে।
তালেবান রাজধানী দখলের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার ভারত দেশটির বিমান বাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে কাবুলে তাদের দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রদূতসহ সব কূটনৈতিক কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল দখল শেষে কাবুলের পথে তালেবান
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সেইদিন সকালে টুইট করে বলেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে কাবুলে অবস্থানরত আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং ভারতীয় কর্মীরা অবিলম্বে ভারতে চলে আসবেন।’
যদিও আফগানিস্তান তার আকাশসীমা সব বেসামরিক ফ্লাইটের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে, তবুও সামরিক বিমানগুলো কাবুল বিমানবন্দরে অবস্থানরত আমেরিকান সৈন্যদের সাহায্যে আটকে পড়া বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে।
ভারত সরকার, ইতোমধ্যে, ই-ভিসার একটি নতুন জরুরি বিভাগ চালু করেছে যাতে এই দেশে আশ্রয় নিতে আফগানরা দ্রুত আবেদন করতে পারে।
গত দুই সপ্তাহে, ভারত তাদের সব কূটনৈতিক কর্মী এবং তাদের পরিবারকে আফগানিস্তানে দেশটির তিনটি কনস্যুলেট - কান্দাহার, জালালাবাদ এবং হেরাত থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
সৌদির ওয়াদি আদ দাওয়াসির শহরে বাংলাদেশিদের দূতাবাসের কনস্যুলার সেবা
সৌদি আরবের ওয়াদি আদ দাওয়াসির শহরে বাংলাদেশ দূতাবাস কনস্যুলার সেবা দিয়েছে। শুক্রবার রিয়াদ থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শহরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সৌদি সরকারের নির্দেশিত বিধিনিষেধ মেনে কয়েকশ বাংলাদেশি অভিবাসীকে কনস্যুলার সেবা দেয়া হয়।
কনস্যুলার সেবা প্রদান করেন দূতাবাসের মিনিস্টার ও কার্যালয় প্রধান ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ ও প্রথম সচিব (প্রস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। এছাড়া বিভিন্ন শাখার দূতাবাসের স্টাফরা কনস্যুলার সেবা প্রদানের কাজে সহায়তা করেন।
আরও পড়ুনঃ ১৮ মাস পর পর্যটক প্রবেশের অনুমতি দিল সৌদি আরব
এসময় অভিবাসীদের ইকামার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য পাসপোর্ট নবায়ন, পাসপোর্ট রি-ইস্যু ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা দেয়া হয়।
এছাড়া স্পেশাল এক্সিট প্রোগ্রামের আওতায় হূরুব প্রাপ্ত, ইকামা বিহীন, ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ ও এক্সিট ভিসায় মেয়াদোত্তীর্ণ অভিবাসীদের আইনগত সহায়তা দেয়া হয়। এ এলাকায় কয়েক হাজার বাংলাদেশি বসবাস করে, এখানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যবসা, কৃষি কাজ, পোলট্রি ফার্মসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ সৌদিতে বিনিয়োগে অভিবাসীদের জন্য নতুন সুযোগ
সেবা গ্রহণ করতে আসা প্রবাসীদের নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেবা দেয়া হয়। সেবা প্রদানকালে স্থানীয় প্রবাসীদের সৌদি আরবের আইন কানুন ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সৌদি সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়। এসময় বাংলাদেশি অভিবাসীদের বৈধভাবে সৌদি আরবে ব্যবসা করার পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়া ও বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যাগ্রস্ত অভিবাসীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ সৌদি সরকারে নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ প্রবাসীদের
শনিবার (২১ আগস্ট) বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই কনস্যুলার সেবা দেয়া হবে। এ এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীরা দূতাবাসের সেবা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
যথাযথ মর্যাদায় প্যারিসে জাতীয় শোক দিবস পালিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
শোক দিবসের এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
আরও পড়ুন: আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
অনুষ্ঠানের ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড শুধু যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে চেয়েছিল তা নয়, তারা বঙ্গবন্ধুর বংশধর ও নিকটাত্মীয়দের ও নির্মূল করতে চেয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট তৈরি, হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সামাজিক গ্রহণ যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে নানা ধরনের অপপ্রচার করা হয়।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন। বাংলার মানুষকে কীভাবে তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়া যায় তাই ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রধান লক্ষ্য।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে, 'শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ'। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সরদার ফজলুল করিমকে উদ্ধৃত করে বলেন, 'ঘাতকের বুলেটের আওয়াজ থেকে জন্ম নিয়েছিল লক্ষ মুজিব যা ঘাতকেরা অনুধাবন করতে পারেনি।'
আরও পড়ুন: লকডাউনে বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সেবা
শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্বে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী অতিথিরা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শনের উপর আলোচনা করেন। আলোচকবৃন্দ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের আঠারো জন শাহাদাতবরণকারী সদস্যের রূহের মাগফেরাত কামনা এবং গভীর শোক প্রকাশ করেন।
তুরস্কে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী
বাংলাদেশ দূতাবাস আঙ্কারার উদ্যোগে ও আঙ্কারা সিটি করপোরেশন সহযোগিতায় “মুজিব বর্ষ” উদযাপনের অংশ হিসেবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর চারদিন ব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আঙ্কারাস্থ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধর করেন ডেপুটি মেয়র মিসেস গুলসুন বোর গুনের ও মান্যবর রাষ্ট্রদূত মস্য়ূদ মান্নান।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘সুইডিশ ড্যাডস অ্যান্ড বাংলাদেশি বাবা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী
দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১২ আগস্ট বৃস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বাংলাদেশের আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মস্য়ূদ মান্নান এনডিসি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতির পিতার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অবদানের প্রতি আলোকপাত করে তিনি বলেন যে, প্রদর্শনীর আলোকত্রিগুলোতেও তার সেই সুবিশাল কর্মযজ্ঞ প্রতিফলিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে ফেলানীর বাড়িতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যৌথভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করতে পেরে চানকায়ার ডেপুটি মেয়র আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রদর্শনীটি আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।