শুনানি
নতুন ২ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ইসির শুনানি
নতুন দুই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) বিরুদ্ধে শুনানি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (৭ আগস্ট) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দুই রাজনৈতিক দল বিএনএম ও বিএসপির প্রতিনিধি এবং অভিযোগকারীরা তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্যান্য কমিশনাররা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
শুনানি শেষে অভিযোগের বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে এবং শিগগিরই নিবন্ধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার হচ্ছে না সিসিটিভি ক্যামেরা
নির্বাচনে অপপ্রচার রোধে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ফেসবুক: ইসি সচিব
ড. ইউনূসের দানকর নিয়ে আপিলে শুনানি ২৩ জুলাই
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরোপিত দানকর বৈধ ঘোষণা করা রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে (লিভ টু আপিল) নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আবেদনের ওপর শুনানি ২৩ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (১৭ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড তৌফিক হোসেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
এর আগে ২১ জুন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হয়। গত ৯ জুলাই আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ১৭ জুলাই দিন রেখেছিলেন চেম্বার আদালত। সে অনুসারে সোমবার আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।
জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় এনবিআর।
২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়।
আর ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।
দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ড. ইউনূস।
তার দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এ কর দাবি করতে পারে না।
এরপর ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন।
মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মৃত্যু ও পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ চিন্তা করে নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত তিনটি ট্রাস্টে যে টাকা দান করেছেন, সেই দানের বিপরীতে এনবিআরের আরোপ করা দানকর বৈধ ঘোষণা করে গত ৩১ মে রায় দেন হাইকোর্ট।
৩১ মে রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন প্রতিষ্ঠানে ৭৭ কোটি টাকা দান করেছিলেন।
তিনি বলছেন, এর বিপরীতে কর দিতে হবে না। আমরা বলেছি দিতে হবে এ কারণে এনবিআর তাকে নোটিশ দিয়েছিল। পরে তিনি হাইকোর্টে তিনটি রেফারেন্স মামলা করেছিলেন। হাইকোর্ট রেফারেন্সগুলো ঠিক বলেছেন। আবেদনগুলো খারিজ করে দিয়েছেন।
এখন এনবিআরের দাবি করা কর দিতে হবে। এনবিআর ১৫ কোটি টাকার বেশি দাবি করেছিল। ইতোমধ্যে তিনি ৩ কোটি টাকার মতো দিয়েছেন।
এখন বাকি ১২ কোটি টাকার বেশি কর পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ কল্যাণ নিয়ে ড. ইউনূসের রিট নিষ্পত্তির নির্দেশ আপিল বিভাগের
অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন
খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া মামলার অভিযোগ গঠন পেছাল
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ আগামী ৮ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে মামলাটি অভিযোগ শুনানির জন্য ধার্য ছিলো। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি।
আরও পড়ুন: খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন। এদিন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের পক্ষে সময় আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে ৮ আগস্ট অভিযোগ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম ও ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল আলম শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। বিভিন্ন সময় ছয় আসামি মারা যান। বর্তমানে আসামির সংখ্যা সাত জন।
আরও পড়ুন: খালেদার সঙ্গে দেখা করলেন ফখরুল
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা
মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা: শুনানি ১৪ আগস্ট
‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামায় দিছিলাম’ এক আলোচনা সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের এমন মন্তব্যে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন এক আইনজীবী।
আপিল বিভাগে করা এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৫ জুন) চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ১৪ আগস্ট দিন রেখেছেন।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসিতে ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে: মেয়র তাপস
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মহসিন রশিদ। সঙ্গে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, মামলার বাদী অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল ও অ্যাডভোকেট মামুন মাহবুব।
তাপসের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলালসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত রবিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল এ মামলা করেন।
মামলায় আদালত অবমাননামূলক বক্তব্যের কারণে মেয়র তাপসকে আদালতে তলব করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
সরকার সমর্থকদের একতরফা নির্বাচনের প্রতিবাদে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে ডাকা তলবি সভা থেকে গঠিত অ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব শাহ আহমেদ বাদল।
এর আগ গত ২৩ মে একটি জাতীয় দৈনিকে মেয়র তাপসের ওই বক্তব্য প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আমি নগর ভবন থেকে শুনি যে আমার নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দেয়া হয়। মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি।
যেখানে মুগুর দেয়ার সেটাও জানি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম।
মশিউজ্জামান (বারের গত নির্বাচনের সাব কমিটির প্রধান)কে আমরা মনে করতাম, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেস্তা আসছে। সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান।
যে সকল সুশীলরা আমাদেরকে বুদ্ধি দিতে যাবেন সেই সকল সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেবো।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
গত ২৪ মে ‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’- ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের এই বক্তব্য আপিল বিভাগের নজরে আনেন সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির তলবী সভার সভাপতি ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম।
এসময় তার সঙ্গে বিএনিপন্থি সব শীর্ষ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপিল বিভাগে ওই বক্তব্য তুলে ধরে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বিচার বিভাগের দিকে তাকিয়ে থাকে। মেয়র বলেছেন একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। গর্ব করে, যা দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি পত্রিকায় প্রকাশিত তাপসের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, ব্যারিস্টার তাপস তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ গঠনের আগেও অনেক বড় বড় আইনজীবী নেতা ছিলেন। কিন্তু যখন এই সংগঠন গঠন করা হয় তখন কিন্তু এইসব বিজ্ঞ, খ্যাতনামা, প্রাজ্ঞ, বড় বড় নেতাদের বাদ দিয়ে আমাদের মতো ছোট আইনজীবীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ গঠন করা হয়। সুতরাং এগুলো ভুললে চলবে না। সবাই খালি ইতিহাস ভুলে যায়। ইতিহাস ভুললে চলবে না।’
এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা একটু দেখি। এখন কোর্টের কাজ করি।’
আইনজীবী শাহ আহমদ বাদল সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় আমরা তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছি।
আরও পড়ুন: খালের বর্জ্যের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের দুর্নীতিও অপসারণ করা হচ্ছে: মেয়র তাপস
দুদকের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১ জুন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে শেষ বারের মতো অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য সময় মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে মামলাটির অভিযোগ শুনানির কথা ছিল। এজন্য সকালে সম্রাট আদালতে হাজিরা দেন।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন বাড়লো ২০ অক্টোবর পর্যন্ত
তবে তার আইনজীবী শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। এরপর আদালত শেষ বারের মতো সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ শুনানির নতুন তারিখ ১ জুন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়েক করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৯ এপ্রিল
দুদকের মামলায় সম্রাটের চার্জ শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর
ফখরুল ও আব্বাসের হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আপিল শুনানি রবিবার
গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে জামিন দেয়ার হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদনের শুনানির ৮ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার আদালতে আপিল আবেদনের শুনানি শেষে এই দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ
আদালত আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিএনপির দুই নেতাকে আদালতে তাদের জামিন মুচলেকা জমা দিতে দেয়া হবে না।
বিএনপির দুই নেতার আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আবেদনের শুনানি করায় তাদের জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রবিবার জানা যাবে।
এর আগে এ মামলায় বিএনপির দুই নেতার জামিনের হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির বলেন, আজ সকালে সরকার সংশ্লিষ্ট আপিল বিভাগের বেঞ্চে আবেদনটি করে।
এর আগে মঙ্গলবার এ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে বিএনপির দুই নেতাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামান চতুর্থবারের মতো বিএনপি নেতাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ফখরুল ও আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর আবারও বিএনপির এই দুই নেতার জামিন আবেদন খারিজ হয়।
ঢাকার একটি আদালত ৯ ডিসেম্বর তাদের ডিভিশন সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দেন এবং এরপর ১৩ ডিসেম্বর থেকে ডিভিশন সুবিধা দেয়া হয়।
তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গেল বছরের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে ৭ ডিসেম্বর দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রমনা, শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও পল্টন থানায় ৭২০ বিএনপি নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় দুই হাজার ৪০০ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে পুলিশ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে নয়াপল্টন থানায় করা মামলায় ৪৫০ জন, মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় ২০ জন এবং শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
তৃতীয় দফায় ফখরুল ও আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর
সাংবাদিক রোজিনার মামলায় ডিবির প্রতিবেদনে শুনানি ১৫ জানুয়ারি
দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য তদন্ত সংস্থার সুপারিশের শুনানির জন্য মঙ্গলবার ঢাকার একটি আদালত আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর রোজিনার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেন।
মঙ্গলবার ডিবি পুলিশের প্রতিবেদনের শুনানির কথা ছিল।
১১ অক্টোবর রোজিনাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আর্টিকেল ১৯
স্বাস্থ্য সাংবাদিকতার জন্য পরিচিত রোজিনাকে গত বছরের ১৭ মে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের আগে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তিনি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কেনার জন্য ফার্মা ফার্মগুলোর সঙ্গে সরকারি আলোচনার সম্পর্কিত নথির ছবি তুলেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শাহবাগ থানায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অভিযোগের ভিত্তিতে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এবং দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় রোজিনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
পরে পুলিশের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে গত বছরের ১৮ মে রোজিনাকে কারাগারে পাঠান ঢাকার আদালত। ওই দিনই রোজিনাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২৩ মে ঢাকার একটি আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়ে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্ত হলেন সাংবাদিক রোজিনা
জামিনে মুক্তি পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইমলাম
অর্থ পাচার মামলায় সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রীর এপিএস’র জামিন মঞ্জুর
অবৈধ উপায়ে অর্জিত আড়াই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলায় সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) এএইচএম ফুয়াদের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আসামির জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
তবে শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, জামিন স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করা হবে।
২০২০ সালের ২৬ জুন ফৌজদারি তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ অর্থ পাচারের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় বহিষ্কৃত ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস চাকরিচ্যুত
এ মামলায় ২০২১ সালের ৩ মার্চ এএইচএম ফুয়াদ, বরকত, রুবেল, ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল হোসেন লেভী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আশিকুর রহমান ওরফে ফারহান, যুবলীগ নেতা ফাহান বিন ওয়াজেদ ফাইনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি রাজাকার খোকন ও বাচ্চুর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্ত বরকত জেলার ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতার পদে অধিষ্ঠিত হন।
এদিকে তার ভাই রবিউল কখনও সাংবাদিক না হয়েও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতির পদ দখল করেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হাসান ও যুবলীগ নেতা এএইচএম ফুয়াদের আশ্রয়ে ও সুপারিশে দুই ভাই টেন্ডারবাজি, কমিশন, মাদক ব্যবসা ও পরিবহন খাত থেকে চাঁদাবাজি করে অবৈধভাবে তিন হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার মামলায় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফের এপিএস গ্রেপ্তার
মামলায় উল্লেখ আছে, এই সম্পদের মধ্যে দুই হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা ইতোমধ্যে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
চার্জশিটে নাম থাকা ১০ জনসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস ফুয়াদ হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
এ বিষয়ে এর আগে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আজ হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস পরিচয়ে প্রতারণা, আটক ১
দুদকের মামলায় সম্রাটের চার্জ শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের চার্জ শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৮ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ আদালত- ৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলাটি চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা চার্জ শুনানি পেছানোর সময় আবেদন করে। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির এ তারিখ ধার্য করেন।
এদিন সম্রাট আদালতে হাজিরা প্রদান করেন। গত ২২ আগস্ট সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন বাড়লো ২০ অক্টোবর পর্যন্ত
দুদকের আবেদনে সম্রাটের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শুনানি ২৯ জানুয়ারি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ সময়ের আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৮ মার্চ
এছাড়া খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির জন্য ২৯ জানুয়ারি ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৮ মার্চ
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী। ২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদা। বর্তমানে এই মামলায় ১৫ জন আসামি রয়েছেন। ৯ আসামি মারা গেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।