শুনানি
বনজসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে বাবুলের মামলার আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে।
পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন চট্টগ্রাম আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিয়মিত আদালত ছুটিতে থাকায় বাবুল আক্তারের মামলার আবেদনের শুনানি ২৫ সেপ্টেম্বরের দিন ধার্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতের নির্দেশে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে আইনজীবীরা এ আবেদন করেন।
ওইদিন আদালত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আদেশের তারিখ ধার্য করেছিলেন।
তবে আজ চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা ছুটিতে থাকায় পুনরায় এই তারিখ ধার্য করেন।
মামলার আবেদনে পিবিআই’র প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ছাড়াও যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন-চট্টগ্রাম জেলার এসপি মো. নাজমুল হাসান, পিবিআই মেট্রো এসপি নাঈমা সুলতানা, খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা, সিএমপির ডিবি বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম ও পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবির।
মামলায় নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫(১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ করা হয়।
সময়কাল বলা হয়, ২০২১ সালের ১০ মে সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১৭ মে সকাল ১০টা পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।
ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়।
ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ ফেনীর ওসির বিরুদ্ধে
পিবিআই প্রধানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন
ড. ইউনূসের মামলা বাতিল আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি ১১ আগস্ট
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিলের আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানির জন্য আগামী ১১ আগস্ট দিন ধার্য করছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এবং ড.ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের মামলার কার্যক্রম দুই মাস স্থগিত থাকবে: আপিল বিভাগ
ড. ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছিলেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল ১৩ জুন দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়। এই সময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এ অবস্থায় বুধবার মামলার বাদীপক্ষ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে এ বিষয়ে পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। পাশপাশি দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করা সংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশও উপস্থাপন করা হয়। এ আবেদনের ওপর সোমবার শুনানি হয়।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যে মামলাটি হাইকোর্ট স্থগিত করেছিলেন,সেটা সুপ্রিম কোর্টের যাওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্ট দুই মাসের মধ্যে বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে যিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন সেই রুল থাকা অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। এখন যিনি এই মামলার দায়িত্বে আছেন তার পক্ষ মামলাটি পরিচালনার জন্য একটি দরখাস্ত দাখিলের অনুমতি চেয়েছিলাম। আর আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যেহেতু আপিল বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে দুই মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য। সেই আদেশের অনুলিপি আমরা আদালতের কাছে দাখিল করলাম।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে মামলা ৬ মাস স্থগিত
আদালত বুধবার হলফনামা করার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। সোমবার মামলাটি তালিকায় আসার পর রুল শুনানির জন্য ১১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়।
শিক্ষক লাঞ্ছিত: নূর নবীর রিমান্ড শুনানি বুধবার
নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হেনস্তার ঘটনায় সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া নূর নবীর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনের শুনানি আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে এ ঘটনায় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনই জমা দেয়া হয়েছে। গত ২৩ জুন জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন তদন্ত কমিটি প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী শনিবার (২জুন) জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়েছেন। তবে কত পৃষ্টার প্রতিবেদন, কতজন ও কারা জড়িত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হবে। একই ঘটনায় ২৩ জুন পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলাম সোমবার (৪ জুন) পুলিশ সুপারের কাছে জমা দিয়েছেন। কাদের নাম এসেছে বা কারা জড়িত, কত পৃষ্টার প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কিছু বলেননি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিক্ষককে হেনস্তা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট
অধ্যক্ষ হেনস্তার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্বে) মো. মাহামুদুর রহমান বলেন, বুধবার (৬ জুন) সদর আমলি আদালতে নূর নবীর রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রিমান্ডে আনা চারজন মির্জাপুর গ্রামের শাওন, মনিরুল, রিমন ও রুখালি গ্রামের রনিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ পর্যন্ত গোবরা গ্রামের নূর নবীসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাময়িক বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে কলেজছাত্র রাহুল দেব রায়ের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত ১৮ জুন দিনভর নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও সহিংসতা চলে। ওইদিন বিকালে পুলিশের পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। ওইসময় কতিপয় ব্যক্তি এসে অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। গুজব ছড়ায়, নূপুর শর্মার ছবি পোস্ট করা ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত রাহুলকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। সে এখন হাজতে। এছাড়া অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের মামলায় ১৭০-১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা, শিক্ষক দেবব্রতের ৮ বছর কারাদণ্ড
শিক্ষক লাঞ্ছিত: নড়াইল থানার ওসি প্রত্যাহার
এনামুলের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ, ৮০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত
পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার মামলায় আট বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার ৮০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করেছেন।
বুধবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এছাড়া বিচারিক আদালতের যাবতীয় নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। এর আগে গত ৬ এপ্রিল বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন এনামুল বাছির। এছাড়া একই মামলায় তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত মিজানুর রহমানের করা আপিলও গত ৬ এপ্রিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় ২০১৯ সালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল মিজানুরকে। পরে তার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক; সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের তৎকালীন পরিচালক এনামুল বাছির। ২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন মিজানুর। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন তিনি। মিজানুর রহমান এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে দাবি করেন তিনি।
ওই প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।
আরও পড়ুন: এনামুল বাছিরের জামিন বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
এরপর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। অপরদিকে ডিআইজি মিজানকে এ মামলাতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বিচার শেষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলার রায় দেন। রায়ে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও এ মামলার প্রধান আসামি খন্দকার এনামুল বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে মিজানুর রহমানকে খালাস দেয়া হয়। পরে গত ১০ এপ্রিল অর্থ পাচারের অভিযোগে তার সাজা চেয়ে হাইকোর্টে দুদক আপিল করে। এছাড়া গত ৬ এপ্রিল এনামুল বাছিরও তার দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন যা শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: সাবেক ডিআইজি মিজান ও দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুলের মামলার রায় ২৩ ফেব্রুয়ারি
ঘুষ কেলেঙ্কারি: এনামুলের জামিন আবেদন খারিজ
অর্থ পাচার: ডিআইজি মিজানের শাস্তি চেয়ে দুদকের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ
ঘুষ লেনদেনের মামলায় পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমানের তিন বছরের সাজা হলেও অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে খালাসের বিরুদ্ধে দুদকের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত এ মামলার নথি তলব করেছেন। সাজার বিরুদ্ধে তার করা আপিলসহ দুটি আপিল একসঙ্গে শুনানি হবে। এছাড়া দুদককে চার মাসের মধ্যে পেপার বুক প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ডিআইজি মিজানের আপিল শুনানি ১৩ এপ্রিল
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে অধস্তন আদালত ডিআইজি মিজানকে খালাস দিয়েছিলেন। পরে ওই অভিযোগে সাজা চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করি। হাইকোর্ট রবিবার দুদকের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ডিআইজি মিজান ও দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুলের মামলার রায় ২৩ ফেব্রুয়ারি
তিনি জানান, অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে খন্দকার এনামুল বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু এ ধারায় মিজানুর রহমানকে খালাস দেয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আপিলে সাজা চাওয়া হয়েছে।
একটি মামলা থেকে বাঁচার আশায় দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। পরে তাদের দুজনকেই বরখাস্ত করা হয়।
ওই মামলার রায়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম দুইজনকে সাজা দেন।
অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ: পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি শেষ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখান করা নিয়ে ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির রায় প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট টানা চারদিনের শুনানি শেষ করেছে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ মুলতবি করার আগে ইমরান খানের আইনজীবী, তার বিরোধী দল এবং দেশটির রাষ্ট্রপতির যুক্তি শুনেছেন। এদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আদালতের রায় ঘোষণা করা হবে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধিত্বকারী সাংবিধানিক আইনজীবী আলি জাফর বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে যে ডেপুটি স্পিকার, কাসিম সুরি অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করার অধিকার রাখেন কিনা।
সোমবার পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত ডেপুটি স্পিকার সুরির অনাস্থা ভোট বাতিল করার সাংবিধানিক ক্ষমতা ছিল কিনা এনিয়ে শুনানি শুরু করেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতে আগাম নির্বাচন নিয়ে শুনানি
এর অর্থ প্রকারান্তরে তারা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার মিত্রদের সংসদ ভেঙে দেয়ার এবং আগাম নির্বাচন আয়োজনের আইনি অধিকার আছে কিনা তা নিয়ে শুনানি করছেন। কারণ ইমরান খানের বিরোধীরা দাবি করেছেন যে ক্ষমতায় থাকার জন্য এটি ইমরান খানের একটি চক্রান্ত। এর আগে রবিবার ইমরান খানের মিত্র এবং পাকিস্তানের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি ইমরানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটের দাবি খারিজ করে আইনসভা ভেঙে দিয়েছেন।
বিরোধীদের দাবি, অনাস্থা ভোট বাতিলের সাংবিধানিক ক্ষমতা ডেপুটি স্পিকারের নেই।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি আদালতের রায়ে জানা যায় ডেপুটি স্পিকার তার ক্ষমতার ঊর্ধ্বে উঠে রায় দিয়েছেন, তাহলে পুনরায় সংসদ আহ্বান করা হবে এবং ইমরান খানের ওপর অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি আদালত ডেপুটি স্পিকারের সর্বশেষ রায় বহাল রাখে,তাহলে পাকিস্তানে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বিরোধী দল দাবি করে যে তাদের কাছে সংসদে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য পর্যাপ্ত ভোট ছিল। তারা জানায়, ৩৪২ আসনের বিধানসভায় তাদের ১৭২ ভোট রয়েছে। কারণ ইমরান খানের নিজের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ বা জাস্টিস পার্টির কিছু সদস্য এবং তার সরকারের জোটের অংশীদার মুত্তাহিদা কওমী মুভমেন্ট ইতোমধ্যে বিরোধী দলে যোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচন ঘোষণা
পাকিস্তানের স্বাধীনতার ৭৫ বছরের ইতিহাসের অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে সরাসরি সামরিক বাহিনী পাকিস্তানকে শাসন করেছে এবং ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করেছে। বাকি সময়েও পরোক্ষভাবে নির্বাচিত সরকারগুলোকে চালিত করেছে সেনাবাহিনী।
বর্তমানের সংকটের বিষয়ে সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া রবিবার মার্কিন সমর্থিত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে সেনাবাহিনীকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান- চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক চায়। কারণ তারা পাকিস্তানের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।
রবিবার সুরি অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করার পরে অধিবেশনে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের প্রতি আনুগত্য প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক কর্তব্য। তিনি বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘শাসক পরিবর্তন করার জন্য ‘বিদেশি শক্তির’ সঙ্গে যোগসাজশ করার অভিযোগ করেন।
ইমরান খানও তাকে অপসারণ করার জন্য বিরোধীদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা করার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় তিনি তার বৈদেশিক নীতি তাদের পছন্দ মতো নির্ধারণ করেন। কারণ তার নীতি প্রায়ই চীন ও রাশিয়ার পক্ষে চলে যায়। ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সেই যুদ্ধে পাকিস্তানের অংশীদারিত্বেরও কঠোর বিরোধী।
ইমরান খান জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা থেকে তাকে অপসারণের জন্য করা ষড়যন্ত্রে ওয়াশিংটন তার বিরোধী পক্ষকে সাহায্য করছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস পাকিস্তান এবং ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার মার্কিন প্রচেষ্টার অভিযোগ সম্পর্কে বলেছেন, আমরা সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক নীতির শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরকে সমর্থন করি। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও তাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলকে অন্য রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে সমর্থন করি না; আমরা বৃহত্তর নীতি, আইনের শাসনের নীতি, ন্যায়বিচারকে সমর্থন করি।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নাকচ
পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতে আগাম নির্বাচন নিয়ে শুনানি
পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার মিত্রদের সংসদ ভেঙে দেয়ার এবং আগাম নির্বাচন আয়োজনের আইনি অধিকার আছে কিনা তা নিয়ে শুনানি শুরু করেছে। কারণ ইমরান খানের বিরোধীরা দাবি করেছেন যে ক্ষমতায় থাকার জন্য এটি ইমরান খানের একটি চক্রান্ত।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানের আইনজীবী ও তার মিত্র এবং বিরোধী- উভয় পক্ষের যুক্তি শুনানি শুরু করে। এরপর মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত করে। অকস্মাৎ অধিবেশন মুলতবি করার কোনো তাৎক্ষণিক ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি এবং কখন রায় আসবে তাও অস্পষ্ট।
রবিবার ইমরান খানের মিত্র এবং পাকিস্তানের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি ইমরানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোট এড়িয়ে যাওয়ার জন্য আইনসভা ভেঙে দিয়েছেন।
বিরোধীদের দাবি, অনাস্থা ভোট বাতিলের সাংবিধানিক ক্ষমতা ডেপুটি স্পিকারের নেই।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ আলি জাফরের মতে, সুপ্রিম কোর্টের সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল, ডেপুটি স্পিকার সুরির অনাস্থা ভোট বাতিল করার সাংবিধানিক ক্ষমতা ছিল কিনা।
জাফর দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, আদালতকেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে এই বিষয়ে রায় দেয়ার ক্ষমতা ডেপুটি স্পিকারের আছে কিনা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচন ঘোষণা
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি আদালতের রায়ে জানা যায় ডেপুটি স্পিকার তার ক্ষমতার ঊর্ধ্বে উঠে রায় দিয়েছেন, তাহলে পুনরায় সংসদ আহ্বান করা হবে এবং ইমরান খানের ওপর অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি আদালত ডেপুটি স্পিকারের সর্বশেষ রায় বহাল রাখে,তাহলে পাকিস্তানে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বিরোধী দল দাবি করে যে তাদের কাছে সংসদে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য পর্যাপ্ত ভোট ছিল। তারা জানায়, ৩৪২ আসনের বিধানসভায় তাদের ১৭২ ভোট রয়েছে। কারণ ইমরান খানের নিজের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ বা জাস্টিস পার্টির কিছু সদস্য এবং তার সরকারের জোটের অংশীদার মুত্তাহিদা কওমী মুভমেন্ট ইতোমধ্যে বিরোধী দলে যোগ দিয়েছে।
পাকিস্তানের স্বাধীনতার ৭৫ বছরের ইতিহাসের অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে সরাসরি সামরিক বাহিনী পাকিস্তানকে শাসন করেছে এবং ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করেছে। বাকি সময়েও পরোক্ষভাবে নির্বাচিত সরকারগুলোকে চালিত করেছে সেনাবাহিনী।
বর্তমানের সংকটের বিষয়ে সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া রবিবার মার্কিন সমর্থিত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে সেনাবাহিনীকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান- চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক চায়। কারণ তারা পাকিস্তানের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।
রবিবার সুরি অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করার পরে অধিবেশনে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের প্রতি আনুগত্য প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক কর্তব্য। তিনি বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘শাসক পরিবর্তন করার জন্য ‘বিদেশি শক্তির’ সঙ্গে যোগসাজশ করার অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নাকচ
ইমরান খানও তাকে অপসারণ করার জন্য বিরোধীদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা করার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় তিনি তার বৈদেশিক নীতি তাদের পছন্দ মতো নির্ধারণ করেন। কারণ তার নীতি প্রায়ই চীন ও রাশিয়ার পক্ষে চলে যায়। ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সেই যুদ্ধে পাকিস্তানের অংশীদারিত্বেরও কঠোর বিরোধী।
ইমরান খান জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা থেকে তাকে অপসারণের জন্য করা ষড়যন্ত্রে ওয়াশিংটন তার বিরোধী পক্ষকে সাহায্য করছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস পাকিস্তান এবং ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার মার্কিন প্রচেষ্টার অভিযোগ সম্পর্কে বলেছেন, আমরা সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক নীতির শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরকে সমর্থন করি। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও তাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলকে অন্য রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে সমর্থন করি না; আমরা বৃহত্তর নীতি, আইনের শাসনের নীতি, ন্যায়বিচারকে সমর্থন করি।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে নিয়ে বিতর্ক স্থগিত করল পাকিস্তানের সংসদ
সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ, ৩১ মার্চ শুনানি
অবৈধ সম্পদের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত সম্রাটের উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণ করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন। আগামী ৩১ মার্চ চার্জগঠনের বিষয়ে শুনানি এবং জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করে দেন আদালত।
গত ৭ মার্চ সম্রাটের আইনজীবী আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ ও জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য ২২ মার্চ তারিখ ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং ইতোপূর্বে দাখিল করা জামিন শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
আদালত এদিন সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন। সেখানে ৩১ মার্চ চার্জ শুনানি এবং জামিন শুনানির দিন ধার্য করে দিয়েছেন আদালত।
এর আগে এদিন সকাল পৌনে ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সম্রাটকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে তাকে এজলাসে তোলা হয়।
গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর কারাগারে থাকা সম্রাটকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (হাজতি পরোয়ানা) জারি করেন আদালত।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি ১২ এপ্রিল
আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই দিন ধার্য করেন।
এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আইনজীবী আদালতকে জানান, তিনি নিজেও শারিরীকভাবে অসুস্থ্য সেকারণে আজকের মত মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি মুলতবি রাখা হোক। বিচারক শুনানি শেষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি সাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ নিলেন খালেদা জিয়া
২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (প্রয়াত), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন (প্রয়াত), সে সময়ের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
আরও পড়ুন: বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে রিট শুনানি হতে পারে বুধবার
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন শুনবেন হাইকোর্ট। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, মঙ্গলবার রিটটি শুনানির জন্যে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালত বলেছেন, আগামীকাল বুধবার এটি (২২ ডিসেম্বর) শুনানির জন্য আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) থাকবে।
এর আগে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ওইদিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রিটটি করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে রিট
রিটকারী এই আইনজীবী জানান, জাতিসংঘের সার্বজনীন ঘোষণার আর্টিকেল ৩, ৫, ১১ ও ১৩(২), সংবিধানের ১১, ৩২ ও ৪৯ অনুচ্ছেদসহ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারা অনুসারে উন্নত চিকিৎসায় খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নেয়ার অনুমতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, আইন সচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আমি নিজের দায়িত্ব থেকে একজন অসুস্থ মানুষের মানবাধিকার রক্ষার জন্য জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেছি। কারও প্ররোচনায় বা কারও স্বার্থে এ রিট দায়ের করিনি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি বুধবার
গত ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।