প্রযুক্তি
বৈশ্বিক বাজারে জিটি ২ সিরিজ নিয়ে আসছে রিয়েলমি, উন্মোচিত হলো ডিজাইন
আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি বৈশ্বিক বাজারে নিয়ে আসছে সবচেয়ে প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ - রিয়েলমি জিটি ২ সিরিজ। এই লক্ষ্যে সম্প্রতি রিয়েলমি জিটি ২ সিরিজের নকশা বা ডিজাইন উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রিয়েলমি’র সকল পণ্যের ক্ষেত্রে পারফরমেন্স ও ডিজাইন এই দুটি বিষয় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। রিয়েলমি জিটি ২ সিরিজ ২০২২ সালের প্রথম স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ চিপসেটযুক্ত ডিভাইস হতে যাচ্ছে। ব্যবহারকারীদের অত্যাধুনিক উদ্ভাবনীর অভিজ্ঞতা প্রদানে জিটি ২ সিরিজে বিশ্বে প্রথমবারের মতো তিনটি জিনিস সংযুক্ত করেছে রিয়েলমি - বায়ো-পলিমার দিয়ে তৈরি ব্যাক কভার, ১৫০° আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা এবং রিয়েলমি’র ইনোভেশন ফরওয়ার্ড কমিউনিকেশন।
আরও পড়ুন: সাসটেইনিবিলিটি অর্জনে নিজেদের নানা পদক্ষেপ প্রকাশ করলো অপো
অন্যদিকে, নাওতো ফুকাসাওয়া’র সঙ্গে ডিজাইনকৃত ও দীর্ঘ স্থায়ীত্বের অনুপ্রেরণায় তৈরি রিয়েলমি জিটি ২ সিরিজ বিশ্বের প্রথম বায়ো-ভিত্তিক পলিমার ডিজাইনের স্মার্টফোন। মূল ডিজাইনের অনুপ্রেরণা হিসেবে ‘দ্য ফিউচার ইন পেপার’ কে নেয়া হয়েছে। একটি টেকসই পণ্য তৈরির লক্ষ্যে রিয়েলমি ডিজাইন স্টুডিও আবারও নাওতো ফুকাসাওয়ার সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে। প্রযুক্তি এবং প্রকৃতির উপাদানগুলোকে একত্রিত করে টেকসই একটি ডিজাইন তৈরি করার উদ্দ্যেশে নাওতো ফুকাসাওয়া রিয়েলমি জিটি ২ সিরিজে কাগজের টেক্সচার/উপাদান ব্যবহার করেছে।
জিটি ২ সিরিজ থেকে জিটি ২ প্রো বাজারে আনার মাধ্যমে রিয়েলমি আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে এবং এর অসাধারণ স্পেসিফিকেশন ও ফিচার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
উল্লেখ্য, রিয়েলমি আগামী তিন বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ৫জি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে ৫জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। এ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সঙ্গে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের জন্য আরও অনেক এআইওটি পণ্য বাজারে নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দ্রুততম চার্জিং প্রযুক্তি উন্মোচন করবে রিয়েলমি
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও প্রযুক্তি খাতে সমন্বিতভাবে কাজ করলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। দেশের ৯৭ শতাংশের বেশি এলাকা এখন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের আওতায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন, যে লক্ষ্য তিনি নিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে আরও আধুনিক করে উন্নত করতে হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও তথ্য-প্রযুক্তি খাত একসঙ্গে কাজ করলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব।
বুধবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) হলরুমে এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘পাওয়ার, এনার্জি অ্যান্ড ডিপ লার্নিং অ্যাপ্লিকেশন ফর ফোরআইআর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সেমিনারটি আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজন করে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইইইই প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির জোসেফ আর লরিং অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. রনক আহসান। স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। আলোচক হিসেবে ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ও আইইইই ডব্লিউআইই কমিটি চেয়ার-ইলেক্ট ও বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিয়া শাহনাজ।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, আমাদের এখন টেকসই উন্নয়ন ও সমুদ্র অর্থনীতিতে জোর দিতে হবে। বঙ্গোপসাগরে ইউরেনিয়াম পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। নবাগত গবেষকরা গবেষণা করে বের করবে, আমরা কীভাবে কাজে লাগাবো এই ইউরেনিয়াম। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, খাদ্য উৎপাদন সক্ষমতা তিনগুণ হয়েছে। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দায়িত্ব নেয়ার সময় বাংলাদেশ বিরাণ ভূমি ছিলো। সেখান থেকে তিনি দেশ গড়ার কাজ শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে মেরিটাইম এ্যাক্ট করেন। তার সেই দূরদর্শিতা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন শেখ হাসিনা।
মূল প্রবন্ধকার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নীতি প্রণয়নের সময় পাঁচটি বিষয়ে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। যন্ত্র ও মানুষের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে, শক্তি সংরক্ষণ করতে হবে, অপচয় রোধ করতে হবে, ক্রস বর্ডার এনার্জি শেয়ারিং করতে হবে, নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন সৌরবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ ও পারমাণবিক শক্তির ওপর জোর দিতে হবে।
স্বাগত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আমাদের প্রচুর সম্পদ আছে, সুযোগও আছে। তথ্য-প্রযুক্তিতেও আমাদের অসাধারণ উন্নতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংলাপে কেউ না আসলেও ইসি গঠন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
শিশুদের শৈশব থেকেই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করাতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যে কোনো প্রযুক্তির ভালো-মন্দ সব দিকই আছে। আমাদের প্রযুক্তিবান্ধব ও দক্ষ হতেই হবে। যুগের চাহিদা ও আমাদের ভবিষ্যতের চাহিদা তাই। সেজন্যই আমাদের শিশুদের একদম শৈশব থেকেই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, কম বয়স থেকেই শিশুদের কোডিং, প্রোগ্রামিং শিখাতে হবে। তা না হলে এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে তারাও টিকে থাকতে পারবে না। অথচ আমরা চাই- তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হবে। সে কারণে অবশ্যই প্রযুক্তি লাগবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শিক্ষক,অভিভাবকসহ সবারই একটা নজরদারির ব্যাপার আছে। এটি তো থাকতেই হবে। আমরা যেমন পড়াশোনার ক্ষেত্রে নজরদারি করি,তেমনি করে তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে যখন পড়াশোনা করছে,সেখানেও একটা নজাদারির বিষয় আছে। কাজেই আমাদের দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের রাজনীতি সচেতন হওয়ার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
বুধবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সদর উপজেলার নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অতিমারি এমন একটি বাস্তবাতা যেটিকে আমাদের স্বীকার না করার কোনো সুযোগ নেই। এর ফলে বিশ্বব্যাপী সব ক্ষেত্রের মতো শিক্ষাক্ষেত্রেও ধাক্কা লেগেছে। এখন সবারই চেষ্টা আগামী শিক্ষাবর্ষে সম্ভব হলে, যদি অতিমারির ছোবল সেখানেও না পড়ে, তাহলে আমরা সেখানে এ ঘাটতিটুকু পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবো। সে রকম পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশ পাঠ্যবই প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যাবে: শিক্ষামন্ত্রী
বিশ্বের প্রথম তিনটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নিয়ে রিয়েলমির জিটি ২ সিরিজে উন্মোচন
সম্প্রতি বিশ্বের প্রথম তিনটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নিয়ে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি জিটি ২ সিরিজে উন্মোচন করেছে।
সোমবার রিয়েলমির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিয়েলমি’র প্রথম ও প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ ফোন জিটি টু সিরিজের এই তিনটি অনন্য প্রযুক্তিগত সংযোজন হল–বায়ো-পলিমার উপাদানে তৈরি ব্যাক কভার, ১৫০ ডিগ্রি আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা ও রিয়েলমি’র ইনোভেশন ফরওয়ার্ড কমিউনিকেশন।
প্রযুক্তি ও নকশার বিষয়ে নিজেদের নিরলস উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাই মূলত রিয়েলমি’র দ্রুত প্রবৃদ্ধির মূল ভিত্তি। রিয়েলমি জিটি টু প্রো মূলত কাগজ দ্বারা অনুপ্রাণিত হ্যান্ডসেট, যেটির নকশার পেছনে পরিমিতিবোধ এবং দীর্ঘস্থায়িত্বের বৈশিষ্ট্যকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। খ্যাতনামা জাপানি ডিজাইনার নাওতো ফুকাসাওয়ার তৈরি, ‘পেপার টেক মাস্টার ডিজাইন’ রিয়েলমি জিটি টু প্রো সেটটিকে জৈব-ভিত্তিক উপকরণ দিয়ে ডিজাইন করা বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোনে পরিণত করেছে।
আরও পড়ুন: রিয়েলমির বর্ষ সেরা ক্যাম্পেইন শুরু, ১ লাখ টাকা জিতে নেয়ার সুযোগ
সেই সঙ্গে জিটি টু প্রো’র ব্যাক কভারে একটি বায়ো-পলিমার উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, যা পরিবেশ-বান্ধব। এর এসএবিআইসি জৈব-ভিত্তিক উপাদানটি যে শুধুমাত্র আইএসসিসি ইন্টারন্যাশনাল সাস্টেইনেবিলিটি অ্যান্ড কার্বন সার্টিফিকেশনই অর্জন করেছে তা নয়, বরং বিভিন্ন পরিবেশগত মানদণ্ড ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার, যেমন আরইএসিএইচ, আরওএইচএস এবং ইপিইএটি স্বীকৃতিও লাভ করেছে। এছাড়াও, এই মডেলটির বক্সের জন্য রিয়েলমি’র নতুন ডিজাইনটি ব্যবহৃত প্লাস্টিকের সামগ্রিক অনুপাতকে পূর্ববর্তী প্রজন্মের ২১ দশমিক সাত শতাংশ থেকে তিন শতাংশে কমিয়ে এনেছে।
ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে প্রায়ই আল্ট্রা-ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্স ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি ক্যামেরাকে তুলনামূলকভাবে বিস্তৃত পরিসরে ছবি ধারণ করার সক্ষমতা দেয়। রিয়েলমি জিটি টু প্রো ১৫০ ডিগ্রি আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা নিয়ে আসা বাজারের প্রথম স্মার্টফোন, যা একটি ফোনের ফিল্ড অব ভিউকে প্রাইমারি ক্যামেরার ৮৪ ডিগ্রি ফিল্ডের তুলনায় ২৭৮ শতাংশ প্রসারিত করে।
এছাড়া, বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন হিসেবে রিয়েলমি জিটি ২ প্রো’তে রয়েছে ‘ফিশআই মোড’। এই মোড স্ট্রং পার্সপেক্টিভ বা আল্ট্রা-লং ডেপথ অব ফিল্ড ইফেক্ট তৈরি করতে পারে। বৃহত্তর ফিল্ড অব ভিউ’র সংযোজনে ধারণকৃত গোটা ছবিটি হয়ে ওঠে আরও বেশি আকর্ষণীয়।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে এলো ফ্ল্যাগশিপ রিয়েলমি জিটি নিও ২
অ্যান্টেনা অ্যারে ম্যাট্রিক্স সিস্টেম সম্বলিত রিয়েলমি জিটি টু প্রো’তে রয়েছে তিনটি অনন্য প্রযুক্তিগত সুবিধা–বিশ্বের প্রথম আল্ট্রা-ওয়াইড-ব্যান্ড অ্যান্টেনা সুইচিং টেকনোলজি (হাইপারস্মার্ট), ওয়াই-ফাই এনহ্যান্সার ও ৩৬০ ডিগ্রি নিয়ার-ফিল্ড কম্যুনিকেশন (এনএফসি)।
রিয়েলমি’র হাইপারস্মার্ট অ্যান্টেনা স্যুইচিং প্রযুক্তিটি ১২টি র্যাপ-অ্যারাউন্ড অ্যান্টেনার মাধ্যমে ডিজাইন করা হয়েছে, যা ফোনের চারপাশ জুড়ে কার্যকর থাকে এবং একই সিগন্যাল স্ট্রেংথের মাধ্যমে প্রায় সব দিকে মূলধারার প্রায় সকল ব্যান্ডকে সমর্থন করে। এর প্রতিসম ওয়াই-ফাই অ্যান্টেনাটি ফোনের চারপাশে উন্নত সিগন্যাল স্ট্রেংথ নিশ্চিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। রিয়েলমি জিটি টু প্রো শীর্ষ দু’টি সেলুলার অ্যান্টেনাকে একটি এনএফসি সিগন্যাল ট্রান্সসিভার ফাংশনের মাধ্যমে একীভূত করে, যার ফলে সেন্সিং এরিয়া ৫০০ শতাংশ এবং সেন্সিং ডিসট্যান্স ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর সেবার মান বাড়িয়েছে: মন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর সেবা এবং সেবার মান বৃদ্ধি করেছে।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি উইং আয়োজিত ৫ম জাতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। সরকারি সফরে তুরস্কে অবস্থান করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইতোমধ্যে 'দূতাবাস' অ্যাপ চালু করেছে। ফলে ঘরে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোর সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৈনন্দিন যোগাযোগের জন্য 'বৈঠক' নামক ভার্চ্যুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহার শুরু করেছে। সরকার ইতোমধ্যে ই-পাসপোর্ট চালু করেছে এবং ভবিষ্যতে ই-ভিসা চালু করা হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: নারীদের আত্মনির্ভরশীল করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাপ্রত্যাশীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়াকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্রশাসনিক ও কনস্যুলার সেবাকে সেবাপ্রত্যাশীদের কাছে আরও সহজকরণের জন্য মন্ত্রণালয়ের ৬২টি সেবাকে মাইগভ প্ল্যাটফরমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের মানুষ ঘরে বসেই যাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবা গ্রহণ করতে পারে সেজন্য উক্ত সেবাসমূহকে জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩ এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে এটুআই প্রকল্পের সহযোগিতায় বিদেশস্থ সকল বাংলাদেশি মিশনের জন্য সমরূপ ওয়েবসাইট নির্মাণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের অনুকরণে সফলভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, বিগ ডাটা, ব্লকচেইন, আইওটি-সহ ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো এবং ডিজিটাল যুগে বিশ্ব পরিমন্ডলে অগ্রগামী ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গৃহীত উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতের জন্য ‘শেখ হাসিনা নিউরাল নেটওয়ার্ক’ তৈরিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম ও আইসিটি) শাব্বির আহমেদ চৌধুরী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি ভিত্তিক সাতটি গৃহীত উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: সম্পর্কে প্রভাব পড়বে কিনা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এটুআই এর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। বেসিসের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার সংকল্পের কথা জানান।
উল্লেখ্য, সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজনের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশ ইন ২০৪১: এ ড্রিম ইন মেকিং’ শীর্ষক একটি বৈশ্বিক অণুগল্প প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ভাষায় শতাধিক অনুগল্প জমা হয়। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের নবীন কর্মকর্তাদের জন্য একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে মাইগভ প্ল্যাটফর্মের অধীনে মন্ত্রণালয়ের কন্স্যুলার ও প্রশাসনিক সেবা সেবাপ্রত্যাশী নাগরিকদের ব্যবহারের উন্মুক্ত করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আইসিটি) ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুনের সঞ্চালনায় হাইব্রিড ফরম্যাটে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর কর্মকর্তা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও দিল্লির সম্পর্ক অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে স্বাধীনতার বীরদের খোঁজে অপো
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে সারা দেশ। আর এরই অংশ হিসেবে অপো বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ব্যুরো বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে ‘বীরের গল্প’ (স্টোরিজ অব হিরোজ) শিরোনামে উদ্ভাবনী ক্যাম্পেইন চালু করেছে।
আগামী ১২ ডিসেম্বর ক্যাম্পেইন শুরু হয়ে চলবে আগমী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
শনিবার অপোর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও আধুনিক বাংলাদেশের বিনির্মাণে নব্য এই যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানাতেই অপোর এই উদ্যোগ। এই সময়ে আর অপো ব্যবহারকারীরা ক্যামেরার মাধ্যমে আশেপাশের মানুষের জীবন যুদ্ধের কথা অথাৎ আসল যোদ্ধাদের গল্প ছবিতে তুলে ধরতে পারবেন।
আরও পড়ুন: দেশে অপোর রেনো ৬ বিক্রি শুরু
অপো মনে করে, চারপাশে এমন সব মানুষ আছেন যারা পাদপ্রদীপের নিচে। কিন্তু সমাজের জন্য তারা অনবরত অবদান রেখে যাচ্ছেন। অথচ অনেক সময়ই আমরা তাদের যথার্থ প্রাপ্য দিতে পারি না। আপনি যদি এসব মানুষের সন্ধান পান তাহলে এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে পুরস্কৃত হতে পারেন। এজন্য আপনাকে ছবির সাথে গল্পটি লিখে অপো বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে শেয়ার দিতে হবে। ব্যক্তি হতে পারে আপনার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিচিতজন অথবা যেকেউ। মানুষের পাঠানো দারুণ সব বাছাইকৃত ছবি নিয়ে তৈরি করা হবে অপো গ্যালারি। এটি হবে অনেকটা ভার্চুয়াল আর্ট কালেকশনের মতো। আপনি চাইলে সাধারণ হ্যাশট্যাগের দিয়ে নিজের একটি গল্প বানাতে পারেন।
সব ছবি থেকে বিচারক প্যানেল সেরা তিনটি ছবি থেকে তিনটি জীবনের গল্প বাছাই করা হবে। পরবর্তীতে তাদের পাশে দাঁড়াবে অপো ও ব্যুরো বাংলাদেশ। এসব মানুষের জীবনকে একটু সহজ করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে এই দুই সংগঠন। আর যার হাত ধরে এসব সংগ্রামরত জীবনের গল্প উঠে আসলো তাদের জন্য পুরস্কার হিসেবে থাকবে সম্প্রতি বাজারে আসা ফ্লাগশিপ রেনো ৬ অথবা আইওটি পণ্য।
আরও পড়ুন: উন্নত ৫জি অভিজ্ঞতা দিতে একসাথে কাজ করবে অপো-এরিকসন
এর আগে অপো, ব্যুরো বাংলাদেশ ও প্রীত রেজার মতো নামকরা একদল ফটোগ্রাফার ও ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে নিয়ে একই ধরনের কাজ করে মানুষকে উৎসাহিত করেছেন। তারা অপো রেনো ৬ এর বোকেহ ফ্লেয়ার পোর্ট্রটে দিয়ে ছবি তুলে সবাইকে ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান। এরপর সব অপো ভক্তদের জন্য উন্মক্ত করে দেয়া হয়।
রিয়েলমির বর্ষ সেরা ক্যাম্পেইন শুরু, ১ লাখ টাকা জিতে নেয়ার সুযোগ
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমির ‘মেগা অফারে লাখপতি’ স্লোগানে সাত দিনব্যাপী বর্ষ সেরা ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। ৭ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান ক্যাম্পেইনে রিয়েলমি স্মার্টফোন কিনলে থাকছে এক লাখ টাকা জিতে নেয়ার সুযোগ।
মঙ্গলবার রিয়েলমির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক লাখ টাকা জিতে নেয়ার পাশাপাশি থাকছে অফিশিয়াল রিয়েলমি স্মার্টফোন কিনে রিয়েলমি বুক স্লিম, প্যাড, কক্সবাজারে কাপল ট্যুর, রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন, রিয়েলমি ৮ ফাইভজি, রিয়েলমি ৮, রিয়েলমি ওয়াচ ২, ব্যান্ড ২, বাডস এয়ার ২, ফ্যাশন ব্র্যান্ড ভাউচার, রিয়েলমি বাডস ২ নিও, রিয়েলমি স্পোর্টস ওয়াটার বোতল, রিয়েলমিমিয়াও কি রিং, ৫০০ ও ১০০ টাকার ক্যাশব্যাক, নেটফ্লিক্স সাবসক্রিপশন, ফ্রি ইন্টারনেট ডেটা বান্ডল জিতে নেয়ার সুযোগ।
আরও পড়ুন: গ্লোবালি লঞ্চ হচ্ছে বছরের সবচেয়ে প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ রিয়েলমি জিটি ২ প্রো
এসব উপহার পেতে হলে ৭ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ক্রেতাদের প্রথমে স্মার্টফোন কিনতে হবে। এরপর ক্রয় করা ফোনের আইএমইআই ব্যবহার করে অনলাইন পোর্টালে তথ্য দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গিফট দেখতে পাবেন এবং গিফটের এস এম এস পাবেন।
এর পাশাপাশি, থাকছে আরও পুরষ্কার জেতার সুযোগ। এর জন্য পুরষ্কার জয়ের পর উক্ত শপে বিজয়ী ক্রেতা সেলফি তুলবেন এবং #realmeYearEndOffer এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবেন। সেখান থেকে লটারির মাধ্যমে ভাগ্যবানদের ক্যাম্পেইন শেষে অতিরিক্ত পুরষ্কার হিসেবে রিয়েলমি এআইওটি দেয়া হবে।
আরও বিস্তারিত জানতে কল করুন- ০৯৬-১০৫৫৫৫৫৫
আরও পড়ুন: বিক্রির নতুন রেকর্ড গড়ল রিয়েলমি সি২৫ওয়াই
যোগাযোগ প্রযুক্তি ও সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজে আগ্রহী মাদাগাস্কার
বাংলাদেশের সাথে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মাদাগাস্কারের পররাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী সচিব রাতসিমান্দাও তাহিরিমিয়াকাদাজা।
মঙ্গলবার তাহিরিমিয়াকাদাজা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে সাক্ষাত করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকের শুরুতে এ কে আব্দুল মোমেন মাদাগাস্কারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিবকে ঢাকায় স্বাগত জানান। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) নির্বাচনে এবং মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের প্রার্থীতার পক্ষে মাদাগাস্কার সরকারের সমর্থন চেয়েছেন।
তিনি বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ ব্যাপক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের আইটি-আইসিটি খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে এবং সরকার ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জনগণকে বিভিন্ন ধরণের সেবা দিচ্ছে।
তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মাদাগাস্কারের অব্যাহত সমর্থনও চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব বাংলাদেশের ভালো বন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মাদাগাস্কারের পররাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী সচিব রাতসিমান্দাও তাহিরিমিয়াকাদাজা জানান, মাদাগাস্কার সরকার বাংলাদেশের আইটি-আইসিটি সেক্টরে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী এবং আইটি-আইসিটি খাতে গতিশীলতা আনতে তারা বাংলাদেশকে জিটুজি সহযোগিতা দেয়ার কথা জানায়।
তাহিরিমিয়াকাদাজা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে করোনা মহামারির বিস্তার রোধে মাদাগাস্কার সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি করোনা মহামারির বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের জন্য অভিনন্দন জানান।
তিনি উল্লেখ করেন যে মাদাগাস্কার এবং বাংলাদেশ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে একসাথে কাজ করছে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় আইওআরএ-তে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশ আইটি-আইসিটি খাতে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং মাদাগাস্কার বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক এবং ওষুধ আমদানি করতে পারে।
কৃষিক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার গুরুত্ব স্বীকার করে উভয় পক্ষই বীজ প্রযুক্তি এবং কৃষি উৎপাদনে সহযোগিতাসহ খাদ্য ও কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি তাদের অব্যাহত সমর্থনেরও আশ্বাস দেন তাহিরিমিয়াকাদাজা।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক আর ভারতের জন্য লজ্জা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সঙ্কটে ফ্রান্স বাংলাদেশের পাশে থাকবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অ্যাসোসিও লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন জয়
‘অ্যাসোসিও লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও অবদানের জন্য সজীব ওয়াজেদ জয়কে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
শুক্রবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শহিদুল আলম মজুমদারের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পক্ষে থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এর আগে ১৯৯৭ সালে এ পুরস্কারে ভূষিত হন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ, ২০০৪ সালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা এবং ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: সজীব ওয়াজেদ বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকায় অনুষ্ঠিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সম্মেলন 'ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি ২০২১ (ডব্লিউসিআইটি২০২১)' এর দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলের ২৪টি দেশের সংস্থা এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) সজীব ওয়াজেদ জয়কে এ পুরস্কারে ভূষিত করে।
অ্যাসোসিও’র বর্তমান চেয়ারম্যান ডেবিড’র পক্ষে ইমিডিয়েট চেয়ারম্যান সারাকনন্দা পুরস্কারটি হস্তান্তর করেন। এর আগে সম্মেলনে ‘অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড নাইট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিও'র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ এইচ কাফি এ পুরস্কার ঘোষণা করেন।
পুরস্কার গ্রহণকালে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এই পুরস্কার জয়ের শ্রম, মেধা ও সততার স্বীকৃতি।’
তিনি বলেন, ‘ আগামী প্রজন্ম তার নেতৃত্বে কাজ করতে আরও অনুপ্রাণিত হবে। এ পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করছি।’
অনুষ্ঠানে এ সময় অন্যান্যোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শাহিদ মনিরসহ অ্যাসোসিও’র অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: জয়ের জন্মদিনে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত
এ বছর বাংলাদেশ থেকে কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেড, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), ডেভেলপমেন্ট অফ ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রা নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট (ইনফো-সরকার), বইঘর এবং জাতীয় স্বাস্থ্য বাতায়ন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অ্যাসোসিও পুরস্কার অর্জন করেছে। এছাড়া মালয়েশিয়া ও নেপাল, থাইল্যান্ড, জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, থ্যাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম পুরস্কার জয়ের তালিকায় রয়েছে।
বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং
বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পের (আরএমজি) বাইরে যেতে হবে এবং দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বিশেষায়িত করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশনের অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপের মূল বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
সংলাপে বক্তারা বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সহযোগিতা আরও প্রশস্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। দক্ষিণ কোরিয়া যেহেতু বাংলাদেশে আরও সফল গল্প খুঁজছে সেহেতু আরএমজির বাইরে বিশেষ করে প্রযুক্তি বিনিময় থেকে ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস, ফ্যাশন, উদ্যোগ, উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রশস্ত করার ওপর গুরুত্ব দেন তারা।
সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় দ.কোরিয়া: রাষ্ট্রদূত