আহত
রবীন্দ্র সরোবরে রেস্তোরাঁকর্মীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৬
রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রেস্তোরাঁকর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মাহফুজুর রহমান আলিফ, বায়েজিদ, নাসিফ, আজিম মাহমুদ তৌহিদ, সিফাতুল ইসলাম, আজাহা, মাহিন ও জুনায়েদ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
ব্যাচেলর পয়েন্ট কাবাব দোকানের ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন জানান, রেস্টুরেন্টের আহত কর্মচারীদের সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- হাবিব, আরিফ, রিপন, আল আমিন ইসলাম, আলিম মিয়া, আরিফ, আলামিন ও বোরহান উদ্দিন। তারা সবাই ওই এলাকার ব্যাচেলর পয়েন্ট কাবাব শপ এবং জুস বার ও কাবাব দোকানের কর্মী।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের কয়েকজন বন্ধু রবীন্দ্র সরোবরে গিয়ে একটি দোকানে আড্ডা দেয় ও তাস খেলে। দোকানের এক কর্মী তাদের অন্য কোথাও বসতে বলেছিলেন এবং তাদের সেখানে তাস খেলতে দেওয়া হয়নি। এক পর্যায়ে কর্মচারীরা এক ছাত্রীকে গালিগালাজ করেন।
বিষয়টি শোনার পর আমাদের কয়েকজন সহপাঠী ও বন্ধু বিষয়টি সমাধানের জন্য সেখানে গেলে দোকানের কর্মীরা রড ও লাঠি দিয়ে তাদের পিটিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দোকানের ব্যবস্থাপক ও কর্মচারীরা জানান, কোনো কারণ ছাড়াই শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়ে তাদের দোকান ভাঙচুর করে এবং ক্যাশ বক্স থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়।
ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন অভিযোগ করেন, শতাধিক শিক্ষার্থী দোকানে এসে কর্মচারী ও মালিককে মারধর করে ও ভাংচুর করে। আমাদের ক্যাশ বক্স খোলা থাকায় তারা আমাদের ১ লাখেরও বেশি টাকা নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, যখন তারা বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে এসেছিল, আমি ও আমার কর্মীরা তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম কিন্তু তারা কোনো পাত্তা দেয়নি।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় ঢাবি প্রক্টরের সঙ্গে আমাদের কথা বলার কথা রয়েছে। তিনি কোনো অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: বাসের সিট নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
চট্টগ্রামে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু
নড়াইলের কালিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মাসুম মোল্যা নামে এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার ৮দিন পর মারা যান তিনি।
মাসুম কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের মহসিন মোল্যার ছেলে। এ ঘটনায় তার ভাই বিপ্লব মোল্যা গত ২০ সেপ্টেম্বর কালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চন্দ্রপুর গ্রামটিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মহসিন মোল্যার নেতৃত্বে মোল্যা গ্রুপ ও আতাউর মৃধার নেতৃত্বে মৃধা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টার দিকে মাসুম মাছের ঘের থেকে ফেরার পথে আতাউর মৃধার সমর্থকরা রাস্তায় ফেলে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ দিন পর শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, মাসুমের ওপর হামলার ঘটনায় ইতঃপূর্বেই তার ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রুপান্তর করা হবে। পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে স্বামী-সন্তানের জন্য ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না বৃদ্ধার!
নড়াইলে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১৫
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থিবাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
ফায়ার সাভিসের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, আহতদের নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক নিহত
নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
নাটোর শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় আইয়ুব খাঁ (৫৪) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে জেলা শহরের হরিশপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এ সময় আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম বলেন, পাবনার সাঁথিয়া থেকে নাটোর শহরের বড় হরিশপুর খ্রিস্টান মিশনারী হাসপাতালে আসেন আয়ুবসহ তার স্বজনরা।
তিনি আরও জানান, ভোর ৫টার দিকে হাসপাতালের সামনের প্রধান সড়ক পার হওয়ার সময় একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আয়ুব খাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬
কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
কেএনএফ-সেনাবাহিনীর গোলাগলিতে আহত ১, আটক ১
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলিতে একজন কেএনএফ সদস্য আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রুমা বাজারসংলগ্ন জিঅং পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত কেএনএফ সদস্যের নাম বয়রাম বম (২৫)। তার বাড়ি উপজেলার ব্যাথেল পাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে কেএনএফ এর ৬/৭ জনের একটি সশস্ত্র দল জিঅং পাড়া এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য যায়। সে সময় সেখানে সেনাবাহিনীর রুমা জোনের একটি টহল দল সেখানে উপস্থিত হলে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে কেএনএফ নেতা গ্রেপ্তার
এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুলিবিদ্ধ কেএনএফ সদস্যকে অস্ত্রসহ ধরে ফেলে। বাকিরা পালিয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তির পায়ে ও পেটে গুলি লেগেছে। আহত কেএনএফ সদস্য এখন রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় জনগণ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এলাকায়।
তিনি আরও বলেন, এদিকে কেএনএফ তাদের ফেসবুক পেইজে এ ঘটনার জন্য সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে এবং আহত ব্যক্তি তাদের কোনো সদস্য নয় বলেও তারা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে কেএনএফের সদর দপ্তর দখল, ১ সেনা সদস্য নিহত
চট্টগ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত প্রবাসীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত দুলা মিয়া (৬০) বাঁশখালী থানার বাহারছড়া ইউনিয়নের চাঁপাছড়ি গ্রামের মধ্যম চাঁপাছড়ি এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরেছিলেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার মধ্যম চাঁপাছড়ি গ্রামের আবু নাঈম চৌধুরীর সঙ্গে একই এলাকার হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর জেরে গত ৮ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় হেলাল ও তার সহযোগিরা।
এতে নাঈম চৌধুরীর দুই ছেলে সেলিমুল ইসলাম চৌধুরী (৪৩) ও শরীফ চৌধুরী (২৮) গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে চাচাতো ভাইদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেন দুই ভাই দুলা মিয়া ও নওয়া মিয়া। তাদের ওপরও হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
এতে গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুলা মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত দুলা মিয়ার চাচা আবু নাঈম চৌধুরী বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
তারা হলেন- হেলাল উদ্দিন, আজম উদ্দিন, বাবু মিয়া, মো. জোবায়ের, মো. কায়সার, নুরুন্নবী, নেজাম উদ্দিন, আব্দুল মজিদ, নুরুল আমিন, আব্দুল করিম ও মো. জিহান।
বাঁশখালীর বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ আগে জমি বিরোধের জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। দুই পক্ষেই কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। আজকে এক পক্ষের একজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাগুলোতে একপক্ষের সাত জন, অন্য পক্ষের চারজন জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২৬৮
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৮
চট্টগ্রামে শিয়ালের কামড়ে আহত ৯
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় শিয়ালের কামড়ে ৯ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ লোকজন শিয়ালটিকে হত্যা করেছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শিয়ালের কামড়ে আহতরা হলেন- হাসিনা আক্তার, মো. হাশেম, নেহা আক্তার, রাজীব, জ্যোৎস্না আক্তার, তানজিনা আক্তার, মো. মনির, নুর আয়েশা ও জান্নাতুল ফেরদৌস।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস ধাক্কায় গৃহবধূ নিহত
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে একটি শিয়াল হঠাৎ জঙ্গল থেকে বের হয়ে এয়াকুব আলী মাস্টারের বাড়ির সামনে এসে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই কামড়াতে থাকে। এভাবে শিয়ালটি অন্তত ৯ জনকে কামড়িয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। পরে শিয়ালটি ধরে মেরে ফেলা হয়।
পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. আফরোজা শারমিন জানান, আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকদের মতে কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বেজি, বানর, বাদুড়সহ যেকোনো বন্য প্রাণীর লালা বা রস যেকোনোভাবে মানুষের শরীর তথা একবার মস্তিষ্কের টিস্যুতে প্রবেশ করলে জলাতঙ্ক হয়ে মৃত্যু নিশ্চিত। তাই কেউ আক্রান্ত হলে প্রধান কাজ হবে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া।
প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে শেয়াল কোনো হিংস্র প্রাণী নয়, বরং নিশাচর জাতীয় বন্য প্রাণীটি লোকালয় থেকে দূরে থাকে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা দুটি বাঘের বিনিময়ে দুই জলহস্তী পাচ্ছে
ঢাকা থেকে অপহৃত কিশোরের লাশ চট্টগ্রামে উদ্ধার
চট্টগ্রামে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, গুরুতর আহত ১৫
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ায় যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ঠাকুরদীঘি বাজার এলাকায় সৌদিয়া পরিবহন ও পূরবী পরিবহনের বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে নৌকা ঘাটের ইজারা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি দোহাজারী হাইওয়ের থানার হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুহাম্মদ তৌফিক সেকান্দর জানান, বাস দুর্ঘটনায় আহত ১৫ জন নারী পুরুষকে এখানে আনা হয়েছে। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩
হিলিতে মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টর মুখোমুখি সংঘর্ষে স্কুল ছাত্রী নিহত
গাজীপুরে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ২
গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রমিক পরিবহনকারী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কায় চালক নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়কের সোহাদিয়া (নলজুরা ব্রিজ) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মফিজুল ইসলাম (৩০) উপজেলার সোহাদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হোসেন আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় স্মার্ট কারখানার শ্রমিক আনা নেওয়া করতেন।
আহতরা হলেন- মারুফ ও সজিব। তাৎক্ষণিক আহতদের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় যুবক নিহত
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, শ্রীপুরের সোহাদিয়ায় থেকে বাসটি রওনা দিয়ে পরে ত্রিমোহনী থেকে শ্রমিকদের উঠিয়ে কারখানায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। এর মূল চালক মারুফের বাসটি ড্রাইভার বন্ধু মফিজুল ইসলাম চালাচ্ছিলেন।
উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়কের সোহাদিয়া (নলজুরা ব্রিজ) এলাকায় পৌঁছাতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক মফিজুল ইসলাম মারা যান। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মারুফ ও সজিবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আসমা খাতুন জানান, আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাস থেকে ফেলে নারীকে হত্যার অভিযোগ
ভোলায় নসিমন উল্টে শ্রমিক নিহত, আহত ৫
ভোলায় নসিমন উল্টে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও পাঁচ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের বাংলাবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. আল আমিন (৩৫) সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের মো. রুহুল আমিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবিপ্রবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত, আহত ১
আহতরা হলেন- মঞ্জু, মো. বাবুল, নূর উদ্দিন, আব্দুল ও আজিজল। তাদের সবার বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে।
আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে সদর উপজেলা থেকে একটি নসিমনে করে ঢালাইয়ের মিক্সার মেশিনসহ ১০-১৫জন নির্মাণশ্রমিক দৌলতখান উপজেলায় কাজে যাচ্ছিলেন। এসময় বাংলাবাজার এলাকার ব্রিজ থেকে নামার সময় নসিমনটি উল্টে ছয় জন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়।
পরে খবর পেয়ে ভোলা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল আমিন নামের এক শ্রমিক মারা যান।
ভোলা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারি পরিচালক মো. লিটন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে আহতের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়।
ভোলা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, নসিমন উল্টে একজন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো পাঁচ শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল যেহেতু ভোলা সদর ও দৌলতখান থানার সীমান্তবর্তী এলাকা। তাই ঘটনাস্থল নির্ধারণ করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে ভবনে রং করার সময় রশি ছিঁড়ে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত