আহত
চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী আহত
চট্টগ্রাম মহানগরীরতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক ব্যক্তি নিহত এবং তার স্ত্রী আহত হয়েছেন। রবিবার (২৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে বন্দর থানার দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আব্দুল খালেক (৬৫) এবং তার স্ত্রীর নাম আনোয়ারা বেগম (৬০)।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হালিশহর এলাকায় নিজ বাসায় বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ স্বামী ও স্ত্রীকে চমেক হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক স্বামী আব্দুল খালেককে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, আহত স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা-মেয়ের মৃত্যু, দগ্ধ ৪
ফরিদপুরে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৭
চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু, আহত ২
চট্টগ্রাম মহানগরীতে পাহাড় ধসে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২ জন। রবিবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে পাচঁলাইশ থানার ষোলশহর এলাকার আই ডব্লিউ কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কলোনির বাসিন্দা কালা মিয়ার ছেলে মো. সোহেল (৩৫) ও তার মেয়েশিশু বিবি জান্নাত (৭)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুরে আলম আশিক জানান, সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে পাহাড় ধসে আহত ২ জনকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনার পর চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে অপহৃত কিশোরের লাশ চট্টগ্রামে উদ্ধার
এদিকে ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল থেকে জানা যায়, সকালে নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় একটি কলোনিতে পাহাড় ধসের ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ চালায়।
একটি বসত ঘরে ঘুমন্ত সদস্যদের উপর পাহাড় ধসে পড়ে। এতে আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস ধাক্কায় গৃহবধূ নিহত
পাবিপ্রবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত, আহত ১
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন একটি ভবনে কাজ করার সময় দড়ি ছিঁড়ে পড়ে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নির্মাণাধীন শেখ রাসেল হল ভবনে কাজ করার সময় ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। আহতের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: ডেমরায় ক্রেন দুর্ঘটনায় ৩ নির্মাণ শ্রমিক নিহত
নিহত দুজন হলেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর বাসুদেবপুর গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে তুহিন ও রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার ঘন্টি গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আসাদুল আলী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনজন নির্মাণশ্রমিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন ১২ তলা একটি ভবনে দড়ি ঝুলিয়ে কাজ করছিলেন। হঠাৎ দড়ি ছিঁড়ে গেলে তারা নিচে পড়ে যান।
আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
অন্যজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমরা বারবার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছি কিন্তু ফল হয়নি। এগুলো প্রকল্প পরিচালকের দেখার কথা।
বিষয়টি নিয়ে প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জি এম আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ভবনে রং করার সময় রশি ছিঁড়ে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত
না.গঞ্জে ক্রেনের তার ছিঁড়ে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৪, আহত ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের কাভার্ডভ্যান চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জেলার সরাইল উপজেলার বড়ইবাড়ি গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক মো. সোহেল মিয়া (২৭), একই গ্রামের নাজমুল মিয়ার ছেলে মো. জিলানী (৮), পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামের আজকর মিয়া (৬০) ও কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার মির্জাপুর গ্রামের মো. রশিদ মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী চিকিৎসক নিহত
আহতরা হলেন- নিহত জিলানীর ছোট বোন দেড় বছর বয়সী তাইরিন, বাবা নাজমুল মিয়া ও মা শাহানা বেগম। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আশুগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশা দাঁড়িয়ে ছিল।
তিনি আরও বলেন, এ সময় ঢাকামুখী কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন পুরুষ ও এক শিশু নিহত হয়। পরে জেলা সদর হাসপাতালে আরও একজন মারা যান। এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকের সঙ্গে ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৬
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মাছবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের সংঘর্ষে ইজিবাইকের চালকসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে উপজেলার হাটবোয়ালিয়া ফুটবল মাঠে এলাকায় আলমডাঙ্গা-গাংনী আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাস-ইজিবাইকের সংঘর্ষে নারী নিহত
নিহতরা হলেন‒ আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে সাজিদুর রহমান (৫৫) ও শেখ মুন্নার ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে হাটবোয়ালিয়া ফুটবল মাঠ এলাকায় আলমডাঙ্গা-গাংনী আঞ্চলিক সড়কে মাছবোঝাই ট্রাকটির সঙ্গে ইজিবাইকের সংঘর্ষ হয়।
এতে ইজিবাইকের চালকসহ ২ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। ইজিবাইকের আহত ৬ যাত্রীকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, নিহতদের লাশ হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। ট্রাকটি আটক করা গেলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রসহ নিহত ৩
চুয়াডাঙ্গায় দুই ইজিবাইকের সংঘর্ষে প্রাণ গেল শিশুর, আহত ৭
হবিগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ২ শতাধিক
হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপির জেলা কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকালে হবিগঞ্জ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা শেষে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ রবিবার বিকালে শায়েস্তানগর এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। এতে আওযামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
স্থানীয়রা জানান, হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ শুরুর জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
তবে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
সূত্র জানায়, রবিবার বিকালে নগরীতে মিছিল বের করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
মিছিলটি শায়েস্তানগর এলাকায় বিএনপির আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আইনজীবী লুৎফুর রহমান এ সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকে দায়ি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা তা প্রতিহত করতে গিয়ে সংঘর্ষের রূপ নেয়।’
শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন বলেন, ‘লগি, বৈঠা নিয়ে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকেই জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র জিকে গউছের বাসায় হামলা চালানো হয়েছে।’
তিনি জানান, সংঘর্ষে প্রায় একশ’ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ক্লাস বর্জন খুমেক শিক্ষার্থীদের
হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত
হবিগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে শতাধিক আহত হয়েছেন। শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকালে শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় দেবসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পদযাত্রা উপলক্ষে জেলার ৯টি উপজেলা থেকে সংগঠনের নেতার্মীরা দুপুর থেকেই জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র জিকে গউসের বাসভবন ও আশপাশের এলাকায় জড়ো হন।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আধা সামরিক দুই বাহিনীর সংঘর্ষে ২৭ জন নিহত
বিকাল ৫টায় শায়েস্তানগর বাজার এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের কাছে আসতেই পুলিশ বাধা দেয়।
পুলিশের ব্যারিকেড না মেনে বিএনপির মিছিল এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। যার ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রায় আধঘন্টা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলতে থাকে। এ সময় বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এক পর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদিউজ্জামান জানান, ‘এখনো ঘটনাস্থলে আছি।’
এদিকে সন্ধ্য সাড়ে ৬টায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিকে গউছ জানান, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা শেষ করে যখন বাসায় যাচ্ছিলাম তখন ওসি অজয়ের নেতৃত্বে পুলিশ আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আউয়ালসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আহত হন। আউয়ালের অবস্থা গুরুতর।’
তিনি আরও বলেন, তার বাসার আশপাশে তল্লাশির নামে লোকজনকে হেনস্থা করা হচ্ছে এবং গ্রেপ্তারের ভয়ে হাসপাতালে না গিয়ে আহতরা গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ক্লাস বর্জন খুমেক শিক্ষার্থীদের
চট্টগ্রামে সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বরগুনায় পিকনিকের বাস খাদে পড়ে ব্যবসায়ী নিহত, আহত ১৮
বরগুনার আমতলীতে পিকনিকের বাস খাদে পড়ে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ী মো. ইসলাম হোসেন (৫২) নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার সল্পের চর গ্রামের শামসুদ্দিন বেপারীর ছেলে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। জানা গেছে, তাদের সবার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সল্পের চর গ্রামে।
আহতরা বলেন, নারায়ণগঞ্জ বন্দর থেকে পরিবার নিয়ে পিকনিক করতে বুধবার রাতে কুয়াকাটা রওনা দেন। তাদের বহনকারী সেন্টমার্টিন বাসটি আমতলী উপজেলা চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালী নামক স্থানে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে পিকনিকের বাস উল্টে নিহত ২, আহত ২০
তারা আরও বলেন, এ সময় ওই বাসে ৪৫ জন যাত্রীর মধ্যে ১৮ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের চিকিৎসক পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পটুয়াখালী থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইসলাম হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী নিহত হন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ইমরান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১৮ জন হাসপাতালে এসেছিলেন। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি।’
আমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বারেক বলেন, ‘আমরা খবর শুনে আমতলী হাসপাতালে যাই এবং যারা গুরুতর আহত তাদেরকে পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরণ করি এবং ওখানে নিহতের কোনো খবর আমরা পাইনি।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তাপু বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে। যারা গুরুতর আহত ছিল তাদেরকে পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিকনিকের বাস উল্টে আহত ২০
বিদ্যালয়ের পিকনিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পায়ের রগ কেটে যুবককে হত্যা, আহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এক যুবকের পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় আওয়াল মিয়া নামের (৪৭) একজন গুরুতর আহত হন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জনি মিয়া (৩৫) ওই এলাকার মো. মকসেন মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালককে গলাকেটে হত্যা
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া রাত ১০টার দিকে তালশহর বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বাজার সংলগ্ন সেতু অতিক্রম করতেই কয়েকজন অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা করে। এসময় জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং সঙ্গে থাকা আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফতুল্লায় ভবনে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪, আহত ৬
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার একটি ভবনে বিস্ফোরণে চার জন দগ্ধসহ অনন্ত ছয় জন আহত হয়েছেন। শনিবার রাত ১২টার দিকে হোসাইনি নগর এলাকার আসলাম সিকদারের ছয় তলা ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- হোসাইনি নগর এলাকার হোসিয়ারি কারখানার মালিক সবুজ খন্দকার, পোশাক কারখানার শ্রমিক রানা মিয়া, তার স্ত্রী বীথি আক্তার, তাদের এক শিশুসহ ফল ব্যবসায়ী আবু কালাম। এছাড়া আহত আরও একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দগ্ধের স্বজনরা জানান, রাত ১২টার দিকে ফ্ল্যাট থেকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই ফ্ল্যাটের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন গিয়ে দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে চিকিৎসক গুরুতর দগ্ধ চারজনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে: তথ্যমন্ত্রী
আবু কালাম নামে অন্য আরেকজনকে নেওয়া হয় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। এছাড়া একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন জানান, বিস্ফোরণে পাঁচতলা ফ্ল্যাটের দেয়াল ভেঙে নিচে পড়ে পাশের বাড়ির একটি আধাপাকা ঘরের চালাসহ আসবাবপত্র ভেঙে গেছে। পাশাপাশি ওই ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালাও ভেঙে গেছে। আগুনে ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। বিস্ফোরণে দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তদন্তের পর বিস্ফোরণের ঘটনার কারণসহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বোমা সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক ২