আহত
কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি ৩ শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
কানাডার ডান্ডাস স্ট্রিট ওয়েস্টের ৪২৭ নম্বর মহাসড়কের দক্ষিণমুখী র্যাম্পে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে ও অপর একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার রাতের দুর্ঘটনা সম্পর্কে টুইট বার্তায় অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িতে থাকা চারজনকেই শনাক্ত করা হয়েছে। তারা বাংলাদেশ থেকে স্টাডি পারমিট নিয়ে টরন্টোতে বসবাস করছিলেন।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় ২০ বছর বয়সী এক নারী ও পুরুষ এবং ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হয়। চালকের আসনে থাকা আহত ২১ বছর বয়সীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণের সময় বরিশাল ক্যাডেট কলেজ শিক্ষার্থী নিহত
কানাডার সংবাদমাধ্যম সিবিসি বলেছে যে উক্ত চারজনের পরিবারকে ইতোমধ্যেই জানানো হয়েছে।
টরন্টো পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের ওই এলাকায় ডাকা হয় এবং বলা হয় যে একটি গাড়ি উল্টে গিয়ে তাতে আগুন ধরে যায়।
টরন্টো ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন নেভাতে ও আটকা পড়াদের উদ্ধার করতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।
প্যারামেডিকেল টিম বলেছে, দুজনকে ঘটনাস্থলে মৃত ঘোষণা করা হয় এবং আরও দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ নিশ্চিত করে যে তৃতীয় ব্যক্তিও মারা গেছে।
সড়কটি খুলে দেয়া হলেও এ ঘটনায় অনুসন্ধান চলছে বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: কেমব্রিজে বাংলাদেশি-আমেরিকান শিক্ষার্থী নিহত: বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
বরগুনায় বিএনপির কার্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ, আহত ৮
বরগুনার পাথরঘাটায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আট নেতাকর্মীর আহত হওয়ার দাবি করে বিএনপি।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটা থানা সংলগ্ন উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক অভিযোগ করেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালনের জন্য নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে আসেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে অন্তত আট নেতাকর্মী আহত হন।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা শুরু
তিনি আরও বলেন, আহতদের মধ্যে পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহকে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহত হলেন- পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. হারুন অর রশিদ, সদস্য সচিব খাইরুল শরীফ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহ, আ. হাদিদ, হাফেজ আলমগীর, মিজানুর রহমান ও আব্বাস উদ্দিন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ওয়ালিদ মক্কি ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আহমেদ শাহজাদার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার জানান, ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকায় বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিএনপি অফিসের সামনে থেকে দু’পক্ষকেই সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১৯; ১২টি মোটরবাইক ভাঙচুর ৩টিতে আগুন
বিদ্যালয়ের পিকনিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪০
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিকনিকের বাস দুর্ঘটনায় দুই জন নিহত ও অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়ায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বিদুৎ কুমার বিশ্বাস(৫০) ও বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী সুদিপ্ত বিশ্বাস (৩৪)। আহতদের মধ্যে গুরুতর ১৫ জনকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সকলে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিশ্বজিৎ কুমার পাল জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তিনটি বাসে করে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে পিকনিকে যায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির লোকজন ও অফিস স্টাফরা। সারাদিন গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থান ঘুরে সন্ধ্যার পরে সমাধিস্থল থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাস তিনটি ফেরার পথে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ভাটিয়াপাড়া মোড়ে দ্বিতীয় বাসটি প্রথম বাসটিকে অভারটেক করতে গিয়ে দ্বিতীয় বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পিকনিকের বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, প্রধান সড়ক থেকে বাসটি উল্টে গিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এসময় দ্বিতীয় বাসটির মধ্যে থাকা অভিভাবক সদস্য বিদুৎ কুমার বিশ্বাস ঘটনাস্থলে মারা যান। এছাড়া গুরুতর আহত হয় বাসটিতে থাকা আরও ৪০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষকরা। আহতের মধ্যে বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী সুদিপ্ত বিশ্বাসকে যশোর জেনারের হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনিও মারা যান।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, দুর্ঘটনায় কবলিত সকল শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় কোনো অসু্বিধা হবে না। চিকিৎসার যাবতীয় অর্থ ও সহযোগিতা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হবে। এই ঘটনায় আমরা শোকাহত।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডা. আখতারুজ্জামান জানান, যশোর জেনারেল হাসপাতালে ১৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় একজনকে আনা হয়। আরেকজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। হাসপাতালে ভর্তিদের মধ্যে তিনজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তার মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক রাসেল আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে হাসপাতালে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকনিকের বাড়িতে পড়ল ট্রাক, প্রাণ গেল শিশুর
যশোরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
যশোরের মনিরামপুরে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার যশোর-চুকনগর মহাসড়কের ছাতিয়ানতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বিধান চন্দ্র রায় (৫৫) বাগেরহাটের কচুয়ার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন রায়ের ছেলে। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ভাইবোনসহ নিহত ৩
আহতরা হলেন- খুলনার সোনাডাঙ্গার শেখপাড়া এলাকার এম এন জোয়ারদার (৫৬), হোসনেয়ারা (৫৪), জলি জোয়াদ্দার (৫০), শওকত আরা (৪২) ও মাইক্রোবাসের চালক লিটন হোসেন (৪৫)।
মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব কুমার বিশ্বাস জানান, আহতদের উদ্ধার করে মনিরামপুর হাসপাতালে নেয়া হয়।
ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তার ধারণা।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তন্ময় কুমার বিশ্বাস বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই একজন মারা যান। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বোনকে আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ভাইয়ের
জানুয়ারিতে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
জানুয়ারিতে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
জানুয়ারি মাসে দেশে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত এবং ৮৯৯ জন আহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত এবং ৭৮ জন আহত হয়েছেন।
আর নৌ-পথে ১৩টি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত, একজন আহত এবং ছয়জন নিখোঁজ হয়েছেন।
সবমিলে জানুয়ারি মাসে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ৬৫০টি দুর্ঘটনায় ৬৪২ জন নিহত এবং ৯৭৮ জন আহত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ২১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৫ জন নিহত এবং ১১৪ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় প্রাণ গেলো কিশোরের
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া, দেশের বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
এতে দেখা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের চেয়ে ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে সড়কে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং দুর্ঘটনায় আহত ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়লেও প্রাণহানী ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে ২০৬ জন চালক, ১০৯ জন পথচারী, ৩৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫৩ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন শিক্ষক, ১৩ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৫ জন নারী, ৬২ জন শিশু, পাঁচজন সাংবাদিক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, দুইজন আইনজীবী, তিনজন প্রকৌশলী এবং ১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।
এর মধ্যে নিহত হয়েছে ০৯ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ছয়জন পুলিশ সদস্য, একজন বিজিবি সদস্য, দুইজন আনসার সদস্য, ১৫৩ জন চালক, ৮৪ জন পথচারী, আটজন নারী, ৪৬ জন শিশু, ৪৬ জন শিক্ষার্থী, ২৬ জন পরিবহন শ্রমিক, একজন সাংবাদিক, ০৯ জন শিক্ষক, দুইজন প্রকৌশলী, দুইজন আইনজীবী ও আটজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
এ সময়ে সংগঠিত দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৮১৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে, যার ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বাস, ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৫ দশমিক ০২ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাস, ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ২৭ দশমিক ৩২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ২
সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা, ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ বিবিধ কারণে, শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং ১ দশমিক ১ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই বছর মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ২৯ দশমিক ৫১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৮ দশমিক ৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে।
এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ২২ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১ দশমিক ১৮ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে, ১ দশমিক ১ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৭ জানুয়ারি। এদিন ৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২ জানুয়ারি। এদিন ১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় একদিনে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে ১১ জানুয়ারি। এদিন ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছে ৫ জানুয়ারি। এদিন ১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৭১ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ-
১। বেপরোয়া গতি।
২। বিপদজনক অভারটেকিং।
৩। ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল।
৪। যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা।
৫। চালকের অদক্ষতা।
৬। চালকের বেপরোয়া মনোভাব।
৭। চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার।
৮। মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো।
৯। রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা।
১০। ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা।
১১। ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি।
১২। সড়কে চাঁদাবাজি।
১৩। রাস্তার পাশে হাট-বাজার।
১৪। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো।
১৫। চালকের নিয়োগ ও কর্মঘন্টা সুনির্দিষ্ট না থাকা।
১৬। দেশব্যাপী নিরাপদ ও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার পরিবর্তে ইজিবাইক-ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশানির্ভর গণপরিবহন ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হওয়ার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ১
মায়ের সঙ্গে মেলায় যাওয়া হলো না বিজয়ের!
মায়ের সঙ্গে গ্রামীণ মেলা দেখতে যাওয়া হলো না স্কুলছাত্র বিজয় সরকারের (১৬)। পথে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ইজিবাইক উল্টে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় তার মা বর্ষা রাণী সরকার ও ছোট বোন শ্রদ্ধা সরকার আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার হাট চকগৌরী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে যাওয়াই কাল হলো মাদরাসা ছাত্রের
নিহত স্কুলছাত্র নওগাঁ পৌরসভার পুরাতন রেজেস্ট্রি অফিস পাড়ার সুশীল সরকারের ছেলে এবং নওগাঁ সরকারি জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে বিজয় তার মায়ের সঙ্গে ইজিবাইকে করে মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর এলাকায় ঐতিহ্যবাহী হিন্দুবাঘা গ্রামীণ মেলা দেখতে যাচ্ছিল। পথে নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের হাট চকগৌরী এলাকায় পেছন থেকে দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল তাদের ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইক উল্টে বিজয়, তার মা বর্ষা রাণী ও ছোট বোন শ্রদ্ধা সরকার আহত হন।
স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিজয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত স্কুলছাত্রের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গন নদীতে গোসল করতে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু
পূণর্ভবা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ ১
মতলবে আগুনে পুড়ল ৪ দোকান, আহত ৬
চাঁদপুরের মতলবে আগুনে পুড়েছে চারটি দোকান। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ছয়জন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উত্তর উপজেলার নতুনবাজারে (ইসলামিয়া মাকের্টে) এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় আট থেকে ৯ লাখ টাকা হবে বলে প্রাথমিক হিসেবে জানা যায়।
জানা গেছে, আগুনে তেলের দোকান,আসবাবপত্রের দোকান, ভলকানাইজিং ও টায়ারের দোকান ও মুদী দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: মোংলা ইপিজেডে ভিআইপি কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
খবর পেয়ে মতলব উত্তর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার জাকির হোসেন তার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান রাত আড়াইটায়।
তিনি ইউএনবিকে জানান, এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে সবার ধারণা যে বৈদ্যুতিক শর্ট সাকির্ট থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
তিনি আরও জানান, দোকানগুলো লাগালাগি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সব মালামাল আগুনে পুড়ে গেছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে আগুনে দগ্ধ হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
ঢাকায় শুটিং স্পটে আগুনে পুড়ে আহত অভিনেত্রী শারমিন
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৪
কুড়িগ্রাম সদরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এসময় নারীসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে ১০টার দিকে মাস্টারেরহাটের নামা চরে (জোলাপাড়া) এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত খাদেম আলী (৭০) মাস্টারের হাট এলাকার হেমের কুটি গ্রামের মৃত খটু মামুদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে মাস্টারেরহাট এলাকার খাদেম মিয়া তার দখল করা জমিতে ধান রোপণ করার জন্য গেলে একই এলাকার নুরনবীর সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা ঘটে।
একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এতে আহত হয়-ইয়াকুব (৩০), এরশাদ (২৮), হোসেন আলী (৬৫) ইসমাইল (৩৭), নূরনবী (৭০), আব্দুল জলিল (৪৩), আব্দুল খলিল (৪২), শফিকুল (৩৫) জসিম (২৩), সহিদা বেগম (৬০), খোতেজা (৬০) ও হাফসা (২৬)। তারা সবাই কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ২১ মামলার আসামিসহ চোর চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
আশংকাজনক অবস্থায় খাদেম আলী (৭০), মেহের আলী (৪২) ও আবু সুফিয়ানকে (২৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকালে খাদেম আলীর মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১৭-১৮ বছর থেকে এই দুই গ্রুপের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আদালতে মামলা চলমান আছে। থানায় কয়েকবার মীমাংসার জন্য ডাক দিলেও একদল উপস্থিত হলেও আরেক দল উপস্থিত হয় না।এরই জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, রমেক হাসপাতালে একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অটোরিকশা কিনতে বেরিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন চালক
কুড়িগ্রামে পাথরবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ: নিহত ও আহত বাংলাদেশি কর্মীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে কাতারে ২০১০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে হোটেল, স্টেডিয়াম ও আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে নিহত ও আহত বাংলাদেশি শ্রমিকদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণলায় এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে এই তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনকে কেন্দ্র করে মানবেতর পরিস্থিতে কাজ করতে গিয়ে যদি বাংলাদেশের সাড়ে চারশ’ শ্রমিকের মৃত্যু হয়ে থাকে, তাহলে কেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যের ডিজিকে সেবা নিশ্চিত করতে বললেন হাইকোর্ট
পররাষ্ট্র সচিব, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন প্রধান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বাংলাদেশ অফিস, ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা), কাতারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (ইন্টেরিয়র), কাতারের শ্রমমন্ত্রীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ আর সোবহানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
পরে ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান আদালতের আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনকে কেন্দ্র করে মানবেতর পরিস্থিতিতে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের অন্তত ৪৫০ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে ওই শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
বিবিসি, সিএনএন, গার্ডিয়ানসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাতার বিশ্বকাপে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন রিট আবেদনে সংযুক্ত করা হয়।
রিট করার পর এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান সাংবাদিকদের বলেন, ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে কাতারে মানবেতর জীবন কাটিয়েছেন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শ্রমিকরা।
বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে বাধ্য করা হয় তাদের। শ্রম অধিকারের আন্তর্জাতিক কোনো রীতিনীতি তারা মানেনি।
এজন্য বহু শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। যা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। এর প্রতিকার চেয়ে আমরা রিট দায়ের করেছি।
রিট আবেদনে সংযুক্ত করা বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১০ বছর আগে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পাওয়ার পর এর প্রস্তুতিতে সেখানে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি দক্ষিণ এশিয়ান শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এসব প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিশ্বকাপ আয়োজনের গৌরব অর্জনের পর থেকে কাতারে প্রতি সপ্তাহে গড়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ১২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মমিনুল সাঈদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: নীলফামারীর বার সভাপতিহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
ঢাকায় শুটিং স্পটে আগুনে পুড়ে আহত অভিনেত্রী শারমিন
রাজধানীর একটি শুটিং স্পটে মেক-আপ রুমের বাথরুমে বিস্ফোরণে পুড়ে আহত হয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী শারমিন আখি।
শনিবার(২৮ জানুয়ারি) বিকালে মিরপুরের পল্লবী থানার কাছে শুটিং স্পটের বাথরুমে বৈদ্যুতিক স্পার্ক থেকে বিস্ফোরণে তিনি গুরুতর আহত হন।
তাকে প্রথমে ইসলামিয়া হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, তার শ্বাসতন্ত্র ৩৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, একটিতে আগুন লেগে হেলপারের মৃত্যু
রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আগুন নিয়ন্ত্রণে