আহত
মিরপুরে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পোশাক শ্রমিক আহত
রাজধানীর মিরপুরের পূরবী সিনেমা হল এলাকায় মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পোশাক শ্রমিক আহত হয়েছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল হাসান জানান, সকাল ১১টার দিকে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা রাস্তায় নামেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পুলিশ-পোশাক শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত ১০
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় কর্মীদের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন।
তিনি আরও বলেন, পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা তাদের শান্ত করার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম; আশা করছি শিগগিরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে বুধবার মজুরি বোর্ডের বৈঠক হওয়ায় পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বাসচাপায় পোশাক শ্রমিক নিহত
সাভারে ছুরিকাঘাতে পোশাক শ্রমিক নিহত
মানিকগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ৫
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন মানিকগঞ্জে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আটক করা হয় জেলা বিএনপির সহসভাপতি আজাদ হোসেন খান এবং পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দীন যাদুসহ ৫ জনকে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মানিকগঞ্জ পৌর সেওতা-মানরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদী রেলস্টেশনে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩০
জেলা বিএনপি'র দপ্তর সম্পাদক আরিফ হোসেন লিটন জানান, অবরোধ সমর্থনে বিএনপি নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। মিছিলটি সেওতা হয়ে মানরা এলাকা দিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উঠতে গেলে পুলিশ ধাওয়া করে। এ সময়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে বিএনপি'র ১০ নেতা-কর্মী আহত হন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে জেলা বিএনপি'র সহসভাপতি আইনজীবী আজাদ হোসেন খান, পৌর বিএনপি'র সভাপতি নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ যাদু, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক লিটন কসাইসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।’
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়েছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের দায়ে আটক ২১
ভারতে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ৪০
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের বিজয়নগরম জেলায় একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অন্তত তিনটি রেলগাড়ি লাইনচ্যুত হয়।
ভারতের রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সৌরভ প্রসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একাধিক উদ্ধারকারী দল এবং বাসিন্দারা ধ্বংসস্তুপ থেকে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৯০ জনের বেশি নিহতের ঘটনায় ৩ রেল কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডি কর্তৃপক্ষকে দুর্ঘটনাস্থলে যতবেশি সম্ভব অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো এবং অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব দুর্ঘটনার জন্য প্রায়শই মানুষের ত্রুটি বা পুরানো সংকেত সরঞ্জামকে দায়ী করা হয়।
চলতি বছরের জুনে ভারতের পূর্বঞ্চলে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। যা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘনা।
এক কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ প্রতিদিন ভারত জুড়ে ১৪ হাজার ট্রেনে চড়ে ৬৪ হাজার কিলোমিটার (৪০ হাজার মাইল) রেলপথ ভ্রমণ করে।
আরও পড়ুন: ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘনা: ময়মনসিংহের একই পরিবারের ৪ জন নিহত
সাভারে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১০
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সাভারে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের পদ্মারমোড় ও নাজিমনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে একদল শ্রমিক ২৩ হাজার টাকা মুজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ব্যাবিলন ও একে এইচ স্টিচ লিমিটেড গার্মেন্টসে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
আরও পড়ুন: সাভারে টিকাকেন্দ্রে পদদলিত হয়ে আহত ৩০
পরে শ্রমিকরা পদ্মারমোড় ও নাজিমনগর এলাকায় রাস্তা অবরোধ করতে চাইলে শিল্প পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপরই শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন শ্রমিক আহত হয়।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ওই এলাকার ৬টি গার্মেন্টস কতৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
তিনি আরও জানান, শিল্প পুলিশের পাশাপাশি সাভার মডেল থানা পুলিশ যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন রয়েছে। এদিকে ভাঙচুরের হাত থেকে রক্ষা পেতে অন্য গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কারখানা পাহারায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাভারে ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী পরিচয়ে হাসপাতালে মারামারি, আহত ৪
সাভারে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার
সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
সিলেটে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।
জানা যায়, রবিবার দুপুরে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের পিকেটিংয়ের সময় আহত হয়েছেন পাঁচজন পুলিশ সদস্য। তাদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত জোট কেরাণীগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ বানিয়েছিল: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, ‘নগরীর বিভিন্ন স্থানে পিকেটিংকালে জামায়াত ও বিএনপির ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। নাম পরিচয় এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আহতদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে রবিবার সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে মিছিল বের করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। কয়েকটি এলাকায় তারা ভাঙচুর চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও ছুড়ে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সকাল ৯টার দিকে নগরের জেলরোড এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বিএনপি কর্মীরা। মহাজনপট্টির গলি থেকে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল মিছিল নিয়ে জেল রোড পয়েন্টে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ সময় তারা রিকশা চলাচলে বাধা দেয়। তবে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে বিএনপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের দিকেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে নেতা-কর্মীরা। তবে বেশিক্ষণ রাস্তায় থাকতে পারেনি তারা। মিছিল নিয়ে জেলরোডের দিকে চলে যায়।
সকাল সাড়ে ৮টায় জিন্দাবাজার পয়েন্ট ও কাজি ইলিয়াস এলাকায় সড়কে তাঁতিপাড়ার গলি থেকে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী হঠাৎ বের হয়ে পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। তবে পুলিশের ধাওয়ায় তারা দাঁড়াতে পারেনি রাস্তায়। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের দিকে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় পিকেটারদের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেল পুলিশ জব্দ করে। এদিকে ফাঁকা গুলি করলে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে আশেপাশে অলিগলিতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
সকাল ১০টার দিকে নগরের দরগাহ গেইটে একটি রিকশায় আগুন দেয় পিকেটাররা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে গাছ ফেলে অবরোধ করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কোহিনূর আহমদ ও সহ-দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম। প্রায় একই সময়ে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার তেতলিতে টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
সকাল ৯টার দিকে মহানগরের লন্ডনি রোডের হাজীপাড়ার মুখ থেকে ৩০ থেকে ৩৫টি মোটরসাইকেলে করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বের হয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পুলিশ আসার আগেই তারা সেখান থেকে চলে যায়।
নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় দৈনিক খবরের কাগজ পত্রিকার ফটোসাংবাদিক মামুন হোসেনের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বিএনপির কর্মীরা।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা মিফতা সিদ্দিকী বলেন, ‘এ ঘটনার কিছুক্ষণ আগে পুলিশ বিএনপির একটি মিছিলে ধাওয়া করে। এর পরপরই খবর আসে বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব আটক হয়েছেন। এই দুই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ বিএনপির নেতা-কর্মীদের উত্তেজনা থেকে হয়তো ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা বিষয়টি দেখব।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে সজাগ থাকুন: শিক্ষামন্ত্রী
আহত পুলিশ ও সাংবাদিকদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান আ.লীগের প্রতিনিধি দল
বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকদের খোঁজখবর নিতে শনিবার হাসপাতালে যান আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি।
শনিবার রাত ৮টার দিকে তারা প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। পরে রাত ৯টার দিকে তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুন: পুলিশকে পিটিয়ে হত্যার ছাত্রদল নেতার ভিডিও আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ শনিবার বিকালে সংঘর্ষে নিহত কনস্টেবল আমিনুল পারভেজের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন এবং হত্যার ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আইনজীবী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির সন্ত্রাসীরা রাজধানীতে হামলা চালিয়েছে। তারা পুলিশের দু’টি অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেয়, একটি হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাননি আমাদের ৪ নেত্রী। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
এই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে ১ পুলিশ নিহত, ৪০ জনের বেশি আহত
রাজধানীর মতিঝিল, কাকরাইল ও নয়াপল্টন এলাকায় শনিবার (২৮ অক্টোবর) পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত এবং কমপক্ষে ৪১ পুলিশ আহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, আহত এক পুলিশ সদস্য ঢামেক হাসপাতালে মারা যান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানান, আহত ২২ পুলিশ সদস্য রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে এবং ১৯ জন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ফারুক হোসেন জানান, মতিঝিল, কাকরাইল ও নয়াপল্টন এলাকায় কর্তব্যরত অবস্থায় তারা আহত হয়েছেন।
এর আগে, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেছিলেন যে শনিবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার কাকরাইলের জাজেস রেসিডেন্স কমপ্লেক্সের সামনে বিএনপির কয়েকজন কর্মী পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে হরতালের ডাক দিল বিএনপি
তিনি কাকরাইল চার্চের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে। এ ছাড়াও, তারা কাকরাইলের আইডিবি ভবনের সামনে হামলা, ভাঙচুর ও কয়েকটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে।’
বর্তমানে কাকরাইল চার্চ ক্রসিংয়ে বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পুলিশের কাছে রয়েছে। আমরা জড়িতদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, সহিংসতায় লিপ্ত হওয়া বিএনপি কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এর আগে ঢাকার কাকরাইল এলাকায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কাকরাইল এলাকায় মিছিল বের করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের দিকে যেতে থাকে।
একপর্যায়ে পুলিশ তাদের বাধা দিলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক দফা দাবিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা: ডিবি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নয়াপল্টন
পাবনায় সড়কে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২
পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রাক-সিএনজি ও শ্যালো ইঞ্জিন চালিত পাওয়ার টিলারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ঈশ্বরদী বানেশ্বর আঞ্চলিক সড়কের ঈশ্বরদী সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী স্কুল এ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নাটোরের লালপুর পুরাতন ঈশ্বরদীর জেহের মোল্লার ছেলে আসান মোল্লা (৬৫) ও দক্ষিণ লালপুরের আব্দুল জলিলের ছেলে জিন্নাত আলী (৫৪)।
আহতরা হলেন- সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আলাইপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মাহাবুল (৩২) ও ঈশ্বরদীর আওতাপাড়া গ্রামের আলা মন্ডলের ছেলে আব্দুল মালেক (৩০)।
আরও পড়ুন: পাবনায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী স্কুল এ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন একটি খড়ি বহনকারী শ্যালো ইন্জিন চালিত পাওয়ার টিলার, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ট্রাকের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী মারা যান।
গুরুতর আহত অবস্থায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ও যাত্রীকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছেন।
তিনি আরও জানান, এছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ২৪ জেলে আটক
জৈন্তাপুরে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ২, আহত ৭
সিলেটের জৈন্তাপুরে একটি মিনি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে সাতজন।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বৈঠাখাল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ঢাকার কেরাণীগঞ্জের ইটাপাড়া এলাকার দক্ষিণ কানার গ্রামের জাহাঙ্গীর (৩০) এবং ওই এলাকার মোয়ামীন (২৮)।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৭
আহতরা হলেন- ঢাকার কেরাণীগঞ্জের মো. শাহ আলমের ছেলে মো. রিপন (২২), রুবেল আলম (২৮), মো. আলাউদ্দিনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৫), বাবুলের ছেলে মিন্টু (২৫) এবং নজরুল ইমলামের ছেলে মো. হোসেন (২৭)। আহত বাকি দুইজনের নাম পাওয়া যায়নি।
আহতদের জৈন্তাপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম জানান, হতাহতরা ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে একটি মিনি ট্রাকে করে শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারতে সিলেট আসেন। মঙ্গলবার সকালে জাফলং বেড়াতে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে শোক পালন করছে বাংলাদেশ
বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে পলিটেকনিকের ছাত্র নিহত, আহত ২
বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে জুনায়েদ আহমেদ নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জুনায়েত শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ পূর্বপাড়া এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে ও বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে কথা-কাটাকাটি, ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত
আহতরা হলেন- শাজাহানপুর উপজেলার নন্দগ্রামের মো. গাফফারের ছেলে অটোরিকশাচালক জাকিরুল ইসলাম (৩০) ও সুজাবাদের আব্দুল হান্নানের ছেলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিল্লাত হাসান (১৪)। তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় অটো থেকে দুই-তিনজন গালিগালাজ করে। পরে মোটরসাইকেলে থাকা দুর্বৃত্তরা ফিরে এসে অটোতে থাকা যাত্রীদের ওপর হামলা করে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে জুনায়েত মারা যান। আহত দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বগুড়া শহরের ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান জানান, জুনায়েতের বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে মৎস্যজীবী দলের নেতাকে অপহরণের পর ছুরিকাঘাত
কুমিল্লায় চেম্বারে ঢুকে চিকিৎসক ও স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত