নিষেধাজ্ঞা
নির্বাচনে বাধা দানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা তো আমেরিকার বহুল প্রচারিত ঘোষণা।’
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) সহ যে পাঁচ মার্কিন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশে আছে, এ বিষয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী সংঘাতে জড়ালেই দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, “সংঘাতের আশঙ্কা সবসময় থাকেই। যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিও অব্যাহত থাকবে।’’
কাদের বলেন, যারা নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আওয়ামী লীগ হোক কিংবা স্বতন্ত্র যেই হোক, দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেবে এটাই প্রত্যাশা।
১৫ বছরে ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সিপিডি যেহেতু অনিয়মের অভিযোগ এনেছে, তাদেরই বলতে হবে সেই টাকাগুলো কোথায় আছে। তারা যদি বিস্তারিত তথ্য দেয়, আমরা সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে আনব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপি লিফলেট বিতরণ করবে কেন? অসহযোগ করবে কেন? আসলে নির্বাচনের বিরুদ্ধে শান্তির প্রোগ্রাম হয় না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপির এই প্রোগ্রাম।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিপ ইয়ার্ড পরিচালনা: ৫ জনকে কারাদণ্ড
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলগালা ভেঙে অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় প্রবেশ করার অভিযোগে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় একটি শিপ ইয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় উক্ত শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে অবস্থিত অফিস কক্ষের প্রতিটি রুম এবং মুল গেটে সিলাগালা করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপির ১১ নেতা-কর্মীকে ৪ বছরের কারাদণ্ড
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকায় রাজা কাসেমের মালিকানাধীন বিবিসি স্টিল ও তার স্ত্রীর মালিকানাধীন কোহিনূর স্টিল নামে দুইটি ইয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন।
এসময় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, উপকূলীয় গাছপালা ধ্বংসের অভিযোগে চলতি বছরের ২৩ জুন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কোহিনূর স্টিল নামের একটি ইয়ার্ডের ইজারা বাতিল করে প্রশাসন।
এর পরদিন ইয়ার্ডটিতে অভিযান চালিয়ে সেখানে নির্মিত স্থাপনা আংশিক উচ্ছেদ করা এবং শিপ ইয়ার্ডটিকে সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরপর ইয়ার্ডের মালিক সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলগালা ভেঙে অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় প্রবেশ করে ইয়ার্ডে পরিচালনা করে আসছিল এমন অভিযোগে আজ সোমবার প্রশাসনের অভিযানে পাঁচজনকে আটক করে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়াও মূল ফটকসহ বিল্ডিংয়ের প্রতিটি রুম সিলগালা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন বলেন, কাশেমের স্ত্রী কোহিনুর বেগমের নামে উত্তর সলিমপুর মৌজার বিএস দাগ ১ এর ৫ একর সমুদ্রসিকস্তি ভূমি দখল ও উপকূলীয় বনে গাছ কেটে কোহিনুর স্টিল নামক একটি শিপইয়ার্ড স্থাপন করায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে গাছপালা ধ্বংসের অভিযোগে চলতি বছরের ২৩ জুন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন তাদের ইজারা বাতিল করে স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে সিলগালা করা হয়েছিল। কিন্তু রাজা কাশেম স্থানীয় কিছু ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে নিজেই আইন লঙ্ঘন করে সিলগালা ভেঙে কার্যক্রম শুরু করে পুনরায়।
এ বিষয়টি জানতে পেরে আজ আমি সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। এ সময় সেখানে দায়িত্বে থাকা একজন ম্যানেজারসহ পাঁচজনকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং তাদের আটক করে হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইফুল আলম নীরবসহ বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীর তিন বছরের কারাদণ্ড
শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ ১০ জনের কারাদণ্ড
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির কোনো বৈধ ভিত্তি নেই: বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)
সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, শ্রমিকদের কল্যাণ এবং পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন নিশ্চিত করে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বে একটি দায়িত্বশীল পোশাক উৎপাদনের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি না যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার কোনো বৈধ ভিত্তি আছে।
গত দুই দিনে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত এলসির একটি অতিরিক্ত ধারা মিডিয়ায় উল্লেখযোগ্যভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএ বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃত্তি দিয়েছে। বিবৃতিতে সংস্থাটির সভাপতি এসব কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে: বিজিএমইএ সভাপতি
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা এখনো লক্ষ্য করেছি বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় সরব আলোচনা চলছে এবং জনমনে এখনো বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা মূল ক্রেতা ও বাংলাদেশে তাদের এজেন্টের কাছ থেকে অফিসিয়াল মন্তব্য পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এই বিবৃত্তির লক্ষ্য হচ্ছে এই বিষয়ে আরও পরিষ্কার করা। আমরা আশা করছি যে এর মাধ্যমে বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তির অবসান ও আতঙ্ক দূর হবে এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর থেকে মনোযোগ সরানো সম্ভব হবে।
এতে বলা হয়, প্রথমত, মূল ক্রেতা (ফরাসি প্রতিষ্ঠান) বাংলাদেশ এজেন্টের কাছে তার মাস্টার এলসিতে এই অতিরিক্ত ধারাটি সন্নিবেশ করা যায়নি।
দ্বিতীয়ত, এজেন্ট তার এলসি একটি বাংলাদেশি পোশাক কারখানায় ট্রান্সফার করেছে, যা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক দুবাই দ্বারা জারি করা হয়েছিল এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক নিজস্বভাবে এলসিতে এই অতিরিক্ত ধারাটি সন্নিবেশিত করেছে।
তাই কোনো ক্রেতা এলসিতে অতিরিক্ত ধারা সন্নিবেশ করেনি, একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক তার ক্লায়েন্টের নির্দেশনা ছাড়াই এটি করেছে।
তৃতীয়ত- এজেন্ট নিশ্চিত করেছে যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক দুবাই ইতোমধ্যে এলসি থেকে অভিযুক্ত ধারাটি সরিয়ে বাংলাদেশি কারখানায় হস্তান্তর করেছে। তাই অতিরিক্ত ধারাটি আর বিদ্যমান নেই।
এজেন্ট আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, তারা নিশ্চিত করবে যে বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের কাছে ট্রান্সফার করা কোনো এলসিতে এই ধরনের ধারা সন্নিবেশিত থাকবে না। এলসির এই অতিরিক্ত ধারার ভুল ব্যাখ্যা নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনার অবসান হওয়া উচিত।
২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এলসি সংশোধন করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় আমি সংশ্লিষ্ট ক্রেতা এবং এজেন্টকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, শ্রমিকদের কল্যান এবং পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন নিশ্চিত করে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বে একটি দায়িত্বশীল পোশাক উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
আমরা বিশ্বাস করি না যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার কোনো বৈধ ভিত্তি আছে।
আমরা সকল বৈশ্বিক ক্রেতাদের তাদের এলসি’তে এই ধরনের ধারা সন্নিবেশ না করার জন্য এবং তাদের ব্যাঙ্কগুলোকে এই ধরনের অগ্রহণযোগ্য ধারা সন্নিবেশ না করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
আমরা বাংলাদেশি কারখানাগুলোকে তাদের ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করে যাচ্ছি, যাতে করে কোনো এলসিতে এই ধরনের অতিরিক্ত ধারার পুনরাবৃত্তির ঘটনা না ঘটে।
আমরা আমাদের সদস্য কারখানাগুলোকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এ ধরনের ধারাসহ এলসি গ্রহণ না করে।
আমি সমস্ত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়াকে অনুরোধ করছি, আমাদের শিল্প ও অর্থনীতির স্বার্থে তাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই স্পষ্টীকরণটি তুলে ধরার জন্য।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী বাহ্যিক বিষয়গুলোর সঙ্গে বাণিজ্যকে জটিল না করার আহ্বান বিজিএমইএর
‘শুধু বাংলাদেশের ক্রেতাদের এলসির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ধারা সমর্থন করে না বিজিএমইএ’
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয়: কাদের
আওয়ামী লীগ কোনো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে নিষেধাজ্ঞা কেন,’ প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যদি কোনো নিষেধাজ্ঞা আসে, তাহলে তা বিএনপির ওপর হওয়া উচিত। তারাই নাশকতা করছে, হামলা করছে। এগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা। যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায়, তাহলে শুধু ‘বিএনপি ও তার মিত্ররাই নিষেধাজ্ঞার যোগ্য।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত মানবাধিকার দিবসে বিশৃঙ্খলার ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগানোর আগ্রহ কারো কারো মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৈরি পোশাক খাতের স্বার্থে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন।
বর্তমান সরকার এ খাতের শ্রমিকদের স্বার্থের প্রতি আন্তরিক।
তিনি বলেন, 'আমাদের দল ক্ষমতায় এলে সংসদে নতুন শ্রম আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ নিয়ে পানি ঘোলা করার কোনো প্রয়োজন নেই।’
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যা ১৭ তারিখের আগেই হবে। তাহলে এই সমস্যা আর থাকবে না।
৩২টি আসনে আওয়ামী লীগের কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই।
আরও পড়ুন: আসন বণ্টনের বিষয় আসেনি: জাপার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কাদের
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এখানে মনোনয়ন বাতিলের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই। নির্বাচন কমিশন তার আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে। দেশের বিচার ব্যবস্থাও স্বাধীন। আওয়ামী লীগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে বাধা দেবে না। এবার ভোটার উপস্থিতি আরও ভালো হবে।’
তিনি বলেন, 'কোনো বাধা, হুমকি, নাশকতা, অগ্নিসন্ত্রাসী এ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে বাধা দিতে আসবে, নির্বাচনমুখী ভোটাররা তাদের প্রতিহত করবে।
বিএনপি ও তার মিত্ররা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তারপরও নির্বাচন নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সেনানিবাসে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩ পালনের জন্য আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় যানবাহন চলাচল সীমাবদ্ধ থাকবে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) জারি করা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা ও দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই এলাকায় যান চলাচল সীমাবদ্ধ থাকবে।
ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অবস্থানরত লোকজন ও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের বহনকারী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহনকে শহীদ জাহাঙ্গীর গেট থেকে স্টাফ রোড এড়িয়ে চলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
সেনানিবাসের ভেতরের রাস্তাগুলো যানজটমুক্ত রাখতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৩ বছরে জাতিসংঘ মিশন থেকে সশস্ত্র বাহিনীর আয় ২৭,৯৪১ কোটি টাকা: আইনমন্ত্রী
জাতির সেবার মাধ্যমে অর্জিত মর্যাদা সমুন্নত রাখুন: সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী
সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির গভীর শ্রদ্ধা
২২ দিনের ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে
জাতীয় মাছ ইলিশ ধরা, বিক্রি ও পরিবহনের ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাতে শেষ হতে যাওয়ায় জেলেরা আবার ইলিশ ধরা শুরু করতে যাচ্ছেন।
জেলেরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ মাছ ধরতে নদীতে যাওয়ার জন্য এখন জাল ও নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত।
উল্লেখ্য, প্রজনন মৌসুমে বাংলাদেশের জাতীয় মাছটির নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে সরকার পদ্মা-মেঘনা অভয়ারণ্যে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে।
১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৮৮ জেলে আটক
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫০ জেলে আটক
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫০ জেলে আটক
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরায় চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় পৃথক অভিযানে ৫০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে আটক হয়েছে ২৩ জন এবং হাইমচরে আটক হয়েছে ২৭ জন। এছাড়া এরা চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও পাশের জেলার-উপজেলার বলে জানা গেছে।
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ৮০ হাজার মিটার কারেন্টজাল, ৪টি মাছ ধরার নৌকা ও ৪০ কেজি মা-ইলিশ জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় হাইমচরে ২৭ জেলে আটক
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে এসব জেলেদের আটক করা হয়।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুর সদরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে বরিশালের বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে গেল ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি তাদের ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৯ আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
বিভাগীয় মৎস্য অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১২ থেকে ২০ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ৯০৩টি অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়া ৩৪৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
যেখানে গেল আটদিনে বরিশাল বিভাগে ১১৩ বার বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১ হাজার ৫৮৬ বার বিভিন্ন মাছঘাট, ২ হাজার ৬৯৮ বার বিভিন্ন আড়ৎ ও ১ হাজার ৭১৪ বার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছে মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা-উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
গেল আটদিনের অভিযানে ২ হাজার ৯৫১ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
পাশাপাশি ২ কোটি ২৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা মূল্যের ১০ লাখ ৮২ হাজার ৮০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ নিয়ে আটদিনের অভিযানে ২৮৭টি মামলায় ২৬৮ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুই লাখ ৫৬ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও জানান, ১১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূলের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটারের মূল প্রজনন স্থলসহ সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ থাকছে। এ সময় বরিশাল বিভাগের ৩ লাখ ৭ হাজার ৮৪১ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য: দিনাজপুর পৌর মেয়রের কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
দলের নিবন্ধনসংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মিছিল-সমাবেশসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে করা আবেদনের শুনানি আগামী ৬ নভেম্বর।
এছাড়া, জামায়াতের নিবন্ধনসংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় দলটি নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আলাদা আবেদনটিরও শুনানি হবে একই দিন। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ শুনানির এই দিন ধার্য করেন।
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে গত জুনে পৃথক দুটি আবেদন করেন হাইকোর্টে রিটকারী মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ তিনজন।
আবেদনে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ করার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সভা, জনসভা বা মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ১০ বছর পর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে আনা হয়।
আদালত অবমাননার আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে জামায়াতের আমীর ডা.শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল ড. গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমীর ডা. আব্দুল্লা মোহাম্মদ তাহের, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, নায়েবে আমীর হেলাল উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খোন্দকার গোলাম ফারুককে।
গত ২৬ জুন আবেদন দুটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সেদিন চেম্বার আদালত আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় আবেদন দুটি আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর এবং সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাফওয়ান করিম।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জামায়াতের ১৯ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড জয়নাল আবেদীন তুহিন।
পরে তানিয়া আমীর বলেন, আমাদের দুটি আবেদন। একটি নিষেধাজ্ঞার, অপরটির আদালত অবমাননার। আমরা শুনানিতে দাঁড়ানোর আগে একজন আইনজীবী জামায়াতের সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর জন্য আট সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেন। তখন আদালত কড়াভাবে বললেন, ‘উনি (এ জে মোহাম্মদ আলী) কী আদালত আছেন ডিজিটাল যুগে আদালতের সামনে স্ক্রিন আছে। সব জানা যায়। আমরা সময় দিতে প্রস্তুত না। তখন আমি বললাম, আগস্টেও ওনারা সময় চেয়েছেন। এরপর আমরা জামায়াতের বর্তমান নেতাদের বিবাদী করে যে আবেদন করেছিলাম। সেটি উপস্থাপন করি। আদালত সেটি মঞ্জুর করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, আদালত বলছেন যে ওনাদের হাত অনেক লম্বা। আর সময় দেবেন না। এরপর ৬ তারিখ শুনানির জন্য রেখেছেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এই নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট আবেদন করেন তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।
২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।
পরে হাইকোর্ট দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি নিতে দলটিকে দুই মাস সময় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে জামায়াতকে আদালতে সংক্ষিপ্ত বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। পরে তারা আদালতে সারসংক্ষেপ জমা দেয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে জামায়াতের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বিরামপুরে ‘বিক্ষোভ’ মিছিল থেকে জামায়াতের ১৬ কর্মী আটক
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ৩৫ জেলে আটক
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে মা ইলিশ ধরায় ৩৫ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ। এ সময় মাছ ধরার সাতটি নৌকা জব্দ করা হয়।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৪৪ ভরি স্বর্ণালংকার জব্দ, আটক ১
তিনি জানান, রবিবার দিবাগত রাতে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ইলিশ ধরা অবস্থায় এসব জেলেকে আটক করা হয়। একই সময় জব্দ করা হয় সাতটি নৌকা। তবে আটক জেলেদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক জেলেও রয়েছে।
তিনি আরও জানান, আটক জেলেদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে পৃথক নিয়মিত সাতটি মামলা করা হবে। জব্দ করা নৌকা থানা হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের দায়ে আটক ২১
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় হাইমচরে ২৭ জেলে আটক