নিষেধাজ্ঞা
চীনা ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়াল দ. কোরিয়া
চীনে চান্দ্র নববর্ষের ছুটির পর দেশটিতে কোভিড-১৯ এর বিস্তার আরও বাড়তে পারে-এই আশঙ্কায় ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত দেশটি থেকে স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণকারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
জানুয়ারির শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়া চীনে তার কনস্যুলেটগুলোতে বেশিরভাগ স্বল্পমেয়াদী ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয়। চীন ডিসেম্বরে হঠাৎ করে করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ শিথিল করে এবং নতুন মিউটেশনের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে দেশে ভাইরাসের বৃদ্ধির উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।
চীন, হংকং এবং ম্যাকাও থেকে আসা সমস্ত যাত্রীদের তাদের আগমনের ৪৮ ঘন্টা আগে নেতিবাচক পরীক্ষার প্রমাণ জমা দিতে এবং তারা পৌঁছানোর পরে তাদের আবার পরীক্ষা করার জন্য বাধ্যতামূলক করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
মূলত জানুয়ারি মাসের জন্য এই পদক্ষেপগুলো আরোপ করা হয়েছিল। যা দক্ষিণ কোরিয়ার স্বল্পমেয়াদী ভিসা আবেদন স্থগিত করে প্রতিশোধ নিতে চীনকে উসকে দিয়েছিল।
এমন একটি দেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ জাগিয়েছিল যা চীনে রপ্তানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়া নিয়ে একটি বৈঠকের পরে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ চীন থেকে স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণকারীদের ওপর করোনভাইরাস নিয়ন্ত্রণের বিধিনিষেধ আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ছবিতে চীনা নববর্ষ
চীনের প্রধান শহরগুলোতে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব ধীর হয়ে যাওয়ার কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে শেষ হওয়া চান্দ্র নববর্ষের ছুটিতে বিশাল সমাবেশ এবং ক্রস-কান্ট্রি ভ্রমণের পরে ভাইরাল পুনরুত্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন।
স্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, চীনের কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে তা স্পষ্ট হয়ে গেলে বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করার সম্ভাবনাটি উন্মুক্ত রাখেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এজেন্সির তথ্যানুসারে ২ জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার(২৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত চীন থেকে আসা ছয় হাজার ৯০০ স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণকারীর প্রায় ১০ শতাংশ বিমানবন্দরে পরীক্ষা করার পর ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়।
বিদ্যমান ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি দেয়ার সময় সরকারি প্রয়োজন, কূটনৈতিক এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং মানবিক কারণ ছাড়া বেশিরভাগ স্বল্পমেয়াদী ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে চীনে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার কনস্যুলেট।
আরও পড়ুন: রাজাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় থাই যুবকের ২৮ বছরের কারাদণ্ড
‘একটি পক্ষ’ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, জাতিসংঘ দেয়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বিশ্বব্যাপী অভিন্ন উন্নয়নের জন্য সহায়ক এবং বিভাজন বা সংঘাত এড়ানোর জন্য নেয়া যেকোনো বৈশ্বিক উদ্যোগকে চীন সমর্থন করে।
তিনি বলেন, একটি দেশের যে কোনো উদ্যোগ শুধু কোনো একটি নির্দিষ্ট দেশের পক্ষে বা কোনো একটি দেশের বিরুদ্ধে না হয়ে ‘উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ হওয়া উচিত।
সোমবার একজন সাংবাদিক ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক উদ্যোগ সম্পর্কে তার মতামত জানতে চাইলে চীনা রাষ্ট্রদূত এই মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত ওয়েন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার কার্যালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: আগামী বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা করছেন বিদায়ী চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত রুশ জাহাজের চীন অভিমুখে যাত্রা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখেছেন এবং আশা করছেন যে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা সাধারণ মানুষ এবং কোনো দেশের সঙ্গে সহযোগিতাকে প্রভাবিত করবে না।
তিনি আরও বলেছিলেন যে সেগুলোর ওপর ‘একটি পক্ষ’ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, জাতিসংঘ দেয়নি।
বাংলাদেশ রুশ পক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জাম তারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ৬৯টি জাহাজ বাদে, অন্য যেকোনো জাহাজ পাঠাতে পারে।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত রুশ জাহাজ উরসা মেজর (স্পার্টা-৩) গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে নোঙর করার এবং পাবনার রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে কার্গো আনলোড করার কথা ছিল।
কিন্তু ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশ পক্ষকে একটি চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানোর পর কর্তৃপক্ষ জাহাজটি বন্দরে নোঙর করার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে।
রিয়েল-টাইম জাহাজের তথ্য সরবরাহকারী ভেসেলফাইন্ডার ডটকম-এর তথ্যানুসারে, বর্তমানে জাহাজটি চীনের সাংহাই বন্দরের দিকে যাচ্ছে। ১০ দশমিক ৪ নট গতিতে জাহাজটি যাচ্ছে এবং ৩১ জানুয়ারি সেখানে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রুশ জাহাজ গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রবিবার বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রুশ জাহাজ বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না।
তিনি বলেন, রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এর বাইরেও রাশিয়ার হাজার-হাজার জাহাজ আছে। স্যাংশনে থাকা ৬৯টা জাহাজ বাদে অন্য যেকোনো জাহাজে তারা সরঞ্জাম পাঠাতে পারে।
মোমেন বলেন, ‘যে জাহাজগুলো স্যাংশনের মধ্যে আছে আমরা সেগুলো গ্রহণ করতে চাই না। আমাদের সঙ্গে আমেরিকার ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
তিনি জানান, এটা তাদের কাছে আশ্চর্যজনক লেগেছে যে রাশিয়া স্যাংশনে থাকা একটা জাহাজের নাম পরিবর্তন করে পাঠিয়েছে। ‘আমরা এটা আশা করিনি।’
মোমেন বলেন, ‘আমরা আশা করি এখন রাশিয়া নন-স্যাংশন জাহাজ দিয়ে জিনিসগুলো পাঠাবে।’
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন স্যাংশনে থাকা রুশ জাহাজ স্পার্টা-৩ এ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল রাশিয়া। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মোংলা বন্দরে কার্গো আনলোড করার কথা ছিল।
কিন্তু মার্কিন দূতাবাস ঢাকাকে জানায়, বাংলাদেশে পাঠানো রাশিয়ার এই জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন দেয়া জাহাজের তালিকায় রয়েছে। এরপর বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জাহাজটি বন্দরে নোঙর করার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে।
সীমান্ত সমস্যা
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিরো লাইনে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বর্ডার প্রোটেকশনে রেখেছি। আমরা ওখানে খুব সতর্ক অবস্থানে আছি। আমাদের এদিকে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ন্যাচারালি।’
মোমেন বলেন, আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে, কিন্তু আমরা তো বিদ্রোহী দলের সঙ্গে আলাপ করি না। ‘আমরা আমাদের এলাকা প্রটেক্ট করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আগামীকাল (সোমবার) তার সঙ্গে দেখা করবেন এবং তাদের মধ্যে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত পৃথক বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন: মোমেন
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা জোরদারে সম্মত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্কটিশমন্ত্রী
মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি: আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি (ইউএনবি)-আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি।
তিনি বলেন, ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কারও সম্পর্কে ভালো কিছু লেখে না। তবে তারা তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে যে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ডোনাল্ড লু বলেছেন যে তারা র্যাবের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতেন, কিন্তু বাংলাদেশের হিসেবে তা করেনি। মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’
বুধবার তিনি বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিমের সঙ্গে বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুকে উদ্ধৃত করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা (মার্কিন) দেখেছি র্যাব অনেক ভালো করেছে। আমরাও র্যাবের প্রয়োজনীয়তা বুঝি। যেহেতু মানবাধিকার পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে, তাই আমরা নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিনি। তিনি (লু) আমাকে খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন।’
আরও পড়ুন: চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ করাই নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: আইনমন্ত্রী
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন লু।
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, র্যাবের বিরুদ্ধে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য তিনি লুকে বলেননি কারণ এটি আইনি প্রক্রিয়া মেনেই করতে হবে।
‘আমরা সেই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করছি’, তিনি যোগ করেন।
এলিট ফোর্সের সংস্কার সম্পর্কে আনিসুল হক বলেন, ‘র্যাব সদস্যরা অপরাধ করলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সংস্কার প্রক্রিয়া চলমান; এটা সময় লাগে।’
তিনি আরও বলেন, লু’র সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর পলাতক দণ্ডিত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানান।
‘তিনি আমাকে তাদের বিচার বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন। আমি তাকে ফিরিয়ে আনতে দরজায় কড়া নাড়ব,’ বলেন মন্ত্রী।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার উপায়, অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ এবং শ্রম ও মানবাধিকার বিষয়ে কথা শুনতে শনিবার সন্ধ্যায় লু ঢাকায় আসেন।
ঢাকায় তার সংক্ষিপ্ত অবস্থানের সময়, লু পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করতে আইনমন্ত্রী এবং সুশীল সমাজের নেতারাসহ বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
আরও পড়ুন: যারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে, তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে: আইনমন্ত্রী
র্যাবের ওপরের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা খুব শিগগিরই উঠে যেতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের ওপরে যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেটা খুব শিগগিরই উঠে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
র্যাব বর্তমানে যে কার্যক্রম করছে তাতে মার্কিন সরকার সন্তুষ্ট জানিয়ে তিনি বলেন, তারা বলেছেন যে নিষেধাজ্ঞা উত্তরণে বাংলাদেশ সঠিক পথেই হাঁটছে। আমাদের ল'ইয়ার ভালো ভূমিকা রাখছে। যেভাবে চলছে তা চলমান থাকলে আমাদের ওপর থেকে অচিরেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঢাকা সফর করে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিন ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। দুই দিনের সফরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও সৌজন্য বৈঠক করেন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ১৫ জানুয়ারির বৈঠকে র্যাবের ওপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনায় হয়। এ নিয়ে সোমবার ( ১৬ জানুয়ারি) বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ডোনাল্ড লু এর সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে আমাদের কয়েকজন মন্ত্রীর একান্তে মিটিং হয়েছে। আমার সঙ্গে তার আন্তরিক ও সৌহার্দপূর্ণ খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। সেখানে অনেক কথাবার্তা হয়েছে। তাতে আমার যা মনে হয়েছে,বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা বন্ধ হোক আমেরিকার সরকার তা চায় না।
তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে দেখতে চায়। তারা চায় এদেশের মানবাধিকার যেন আরও ওপরে থাকে। তারা চায় এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। কেউ যেন সহিংসতায় লিপ্ত না হয়। এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদেরকে বলেছি অতীতে আমরা কিভাবে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও অগ্নিসন্ত্রাস মোকাবিলা করেছি। তারা এর প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন: সরকার সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য ‘আইএলআইএস’ চালু করবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আলোচনায় নির্বাচনের প্রসঙ্গে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের যে সংবিধান আছে সে অনুযায়ী আমাদের দেশের নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ৯০ দিন আগেই আমাদের সকল ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের কাছে চলে যায়। আমাদের সরকারের সব কিছু তারা নিয়ন্ত্রণ করেন। আমরা মন্ত্রীরা শুধু অফিসওয়ার্ক করি। কাজেই আমি মনে করি আমাদের পুলিশবাহিনীসহ যারা সব সময় নির্বাচন কাজে থাকে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, বিএনপিকে আমরা যে বিভিন্ন জনসভা করতে দিচ্ছি, এজন্য তারা আমাদের প্রশংসা করেছেন। তবে সমাবেশের নামে অগ্নিসংযোগ,ভাঙচুর ও রাস্তায় ব্যারিকেড; এসব বিষয় আমেরিকার সরকার সমর্থন করেনা।
র্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান যে তিনি ডোনাল্ড লু-কে বলেছেন, র্যাবকে আপনারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। ২০০৪ সালে আপনারাই র্যাবকে ট্রেনিং ও অস্ত্র দিয়েছেন। শুধু র্যাবকে নয় পুলিশের অনেকবাহিনীকে অস্ত্র দিয়েছেন। তাদের ভালো কর্মদক্ষতার জন্য সব সময় প্রশংসা করেছেন। আত্মরক্ষার জন্য এই বাহিনীরও অস্ত্র হাতে নিতে হয়। তবে প্রতিটা গুলির জন্য আমাদের একজন ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করে জানালে আমরা সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেই।
তিনি বলেন, র্যাবের ১৮ জন সদস্য জেলে শাস্তি ভোগ করছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর। আপনারা দেখছেন গত ১৫ বছর আগে যেটা ছিলো, সেখানে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলেছি। তারাও বলেছেন বিগত দুই বছরে র্যাব ভালো কাজ করেছে। র্যাব ভালোভাবে জঙ্গি ও মাদক মোকাবিলা করেছে।
নিষেধাজ্ঞা তোলার প্রক্রিয়া জটিল বলার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও, একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রত্যাহার করতে হবে। সে প্রক্রিয়াটা একটু জটিল। এই প্রক্রিয়ায় কতোগুলো ধাপ আছে, সেগুলো পার হতে হয়।
আরও পড়ুন: নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অচিরেই সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন সহকারী সচিব ডোনাল্ড লু পৌঁছেছেন; খোলামেলা আলোচনা করবে ঢাকা
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু সন্ধ্যায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে, অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ এবং শ্রম ও মানবাধিকারের বিষয়ে কথা শুনতে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন।
ঢাকায় সংক্ষিপ্ত অবস্থানকালে সহকারী সচিব লু বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করবেন।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে তার প্রাতঃরাশের বৈঠকের কথা রয়েছে।
সহকারী সচিব লু রবিবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন যেখানে জ্বালানি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শ্রম এবং মানবাধিকার, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল এবং র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সহ অগ্রাধিকারের একটি পরিসীমা রয়েছে।
শনিবার ভারত থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আমেরিকা) নায়েম উদ্দিন আহমেদ লু কে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করবে বাংলাদেশ: মোমেন
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস টুইট করে বলেছে, ‘বাংলাদেশে স্বাগতম, সহকারী সচিব ডোনাল্ড লু। ঢাকায় থাকাকালীন, সহকারী সেক্রেটারি লু আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করতে ঊর্ধ্বতন বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন।’
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি ভারত সফর করেছেন।
ভারতে সহকারী সচিব ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ফোরাম এ অংশগ্রহণ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত জ্বালানি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকারের সহযোগিতার উপায় আরও প্রসারিত করতে ঊর্ধ্বতন ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি লু।
এর আগে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বলেছিলেন যে তিনি সহকারী সচিব লু’র সফরকে দুই পক্ষের মধ্যে নিয়মিত ব্যস্ততার অংশ হিসেবে দেখছেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, শুধু নির্বাচন ও মানবাধিকার বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে না।’
তিনি বলেন, এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বাংলাদেশের কিছু প্রত্যাশা রয়েছে এবং মার্কিন পক্ষের বাংলাদেশ থেকে কিছু প্রত্যাশা থাকতে পারে। ‘আমরা খোলাখুলি আলোচনা করব।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-টোকিও ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ ঘনিষ্ঠ ও গভীর সম্পর্ক উন্নীত করার সুযোগ দেখছে
এফএস জানিয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিকের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৌশল রয়েছে।
মাসুদ বলেন, ‘এটা এমন নয় যে আমরা কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপে যোগ দিচ্ছি বা না। আমরা বঙ্গোপসাগর এবং এর বাইরে কীভাবে দেখতে চাই তার কিছু উপাদান প্রস্তুত করছি।’
এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, এলিট ফোর্স র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করতে এবং দেশে ইতিবাচক ভূমিকা বিবেচনা করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করবে বাংলাদেশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এক আলোচনায় অংশ নেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘র্যাব এখন অনেক বেশি পরিপক্ক। আমাদের কাছে অনুরোধ থাকবে যে তারা (মার্কিন) সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা আমাদের ইস্যু তুলব। তারা তাদের ইস্যু তুলবে। কিন্তু অন্যদের আমাদের গণতন্ত্র শেখানোর দরকার নেই। গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচার আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ে প্রোথিত।’
আরও পড়ুন: ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট: খাদ্য, জ্বালানি, সারের ঘাটতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে পারশে পোনা আহরণ, ১৬ জেলে গ্রেপ্তার
বন বিভাগের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদী ও খাল থেকে নভেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত প্রজনন সময়কালে পারশে পোনা ধরার অভিযোগে সুন্দরবন থেকে ১৬ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের অধীনস্থ নীলকমল বন টহল ফাঁড়ীর বঙ্গবন্ধুর চর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় দু’টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার জব্দ করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নীলকমল টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এই সকল ট্রলারসহ জেলেদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার জেলেরা হলেন- পাইকগাছা উপজেলার মিঠু গাজী, আব্দুর রাজ্জাক টুটুল, ইসলাম গাজী, এনামুল গাজী, আলী হোসেন, আল-আমীন, নুরুজ্জামান, রুহুল আমিন মোল্যা, লিটু গাজী। দাকোপ উপজেলার রুবেল গাজী, আলী হাসান শেখ, জাহাঙ্গীর শেখ, ইউসুফ শেখ, ফজলুর রহমান ও বাচ্চু ফকির।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে বন আইনে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা, ৭ আসামির যাবজ্জীবন
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার জেলেদেরকে কয়রা উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে অবাধে চলছে পারশে মাছের পোনা নিধন। মৎস্য প্রজনন এলাকা বা নিষিদ্ধ বনাঞ্চল ও বনের বিভিন্ন নদ-নদীতেনেটজাল দিয়ে পোনা ধরতে গিয়ে শতাধিক প্রজাতির জলজ সম্পদ নষ্ট করারও অভিযোগ উঠেছে।
সুন্দরবনের আলোর কোল, দুবলার চর, বাটলুরচর, ছাচানাংলা, পশুর, আগুন জ্বালা, কালির চর, গেড়া চালকি, বজবজা, হংসরাজ, আন্দারমানিক, ঢাংমারী, ছিচখালী ও মজ্জত নদী থেকে বিপুল পরিমাণ পারশে মাছের নিষিদ্ধ পোনা আহরণ করে।
এক্ষেত্রে মনো ফিলামেন্ট নেট ব্যবহার করায় পারশে পোনাসহ নিধন হচ্ছে বাগদা, গলদা ও বিভিন্ন প্রজাতি মাছের পোনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে জানান, দ্রুতগামী ট্রলারের মাধ্যমে প্রতিটি দলে ৮/১০জন জেলে দুইশ’-তিনশ’ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৪০-৫০ মিটার প্রস্থ নেট জালের মাধ্যমে প্রতি টানায় কয়েক মন বিভিন্ন প্রজাতির পোনা ধরে নষ্ট করছে। এভাবে ২০-২৫টি দল প্রতিদিন পোনা শিকার অব্যাহত রেখেছে।
পশুর নদী ওয়াটার কিপারের (সুন্দরবনকেন্দ্রিক পেশাজীবী সংগঠক) সমন্বয়ক মো. নুর আলম শেখ জানান, একশ্রেণির মহাজন অতিরিক্ত মুনাফার লোভে গরীব জেলেদেরকে হাজার হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে পোনা নিধনের জন্য সুন্দরবনে পাঠায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বিদেশি অস্ত্রসহ ৬ রোহিঙ্গা ডাকাত আটক
চট্টগ্রামে ২ ওসিকে মারধরের ঘটনায় ৩ আনসার ও এক ওসি প্রত্যাহার
থার্টি-ফার্স্ট নাইটে পতেঙ্গা ও পারকি বিচে নিষেধাজ্ঞা, সিএমপির ১৬ নির্দেশনা
চট্টগ্রামে ইংরেজি নববর্ষকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এ লক্ষ্যে সিএমপির পক্ষ থেকে ১৬টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে সঙ্গে নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানানো হয়েছে।
শনিবার সিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) পংকজ দত্ত এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড়
নির্দেশনায় বলা হয়েছে-
১. রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ এবং প্রকাশ্য স্থানে কোন ধরনের জমায়েত-সমাবেশ না করা। ২. থার্টি-ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনুমোদিত স্থানে আয়োজিত সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসমূহে করোনা সংক্রান্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা। ৩. উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন,সমাবেশ, নাচ-গান বা অন্য কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করা। ৪. কোথাও কোন ধরনের আতশবাজি-পটকা না ফোটানো। ৫. কোন ভবনের ছাদে আতশবাজি/পটকা ফোটানো হলে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৬. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত পতেঙ্গা সি-বিচ ও পারকি বিচ এলাকায় অবস্থান না করা এবং লাইসেন্সকৃত সকল বার ও মদের দোকান বন্ধ রাখা। ৭. উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ণ না বাজানো কিংবা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরসাইকেল না চালানো। ৮. আনন্দ উদযাপনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা ও সংস্কৃতির প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য শালীনতা বজায় রাখা। ৯. মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকা। ১০. মাদকাসক্ত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১১. সকল অনুষ্ঠানে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা এবং নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা। ১২. নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকা। ১৩. অশোভণ আচরণ এবং বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা। ১৪. হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোন স্পেস বা কক্ষ ভাড়া না দেয়া। ১৫. জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এমন যে কোন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিহার করা এবং সকল ফার্স্ট ফুডের দোকানসহ মার্কেট বন্ধ রাখা। ১৬. থার্টি ফার্স্ট নাইটের আগের দিন বিকাল ৪টা থেকে নতুন বছরের প্রথমদিন ১ জানুয়ারি সকাল ১০টা পর্যন্ত সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ করা হলো।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ-দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য তাৎক্ষণিক সিএমপির পুলিশ কন্ট্রোল রুমে (০৩১-৬৩৯০২২, ০৩১-৬৩০৩৫২, ০৩১-৬৩০৩৭৫, ০১৬৭৬-১২৩৪৫৬, ০১৩২০-০৫৭৯৯৮) অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন: টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল
ভয়াবহ দূষণের মুখে পর্যটন শহর কক্সবাজার
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই, আশঙ্কারও কোনো কারণ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমেরিকা যাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চায় তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। আমেরিকা হাজার হাজার নিষেধাজ্ঞা দেয়। এগুলো একদিকে আসে একদিকে যায়। আমরা মোটেও আশঙ্কা করি না। আমাদের আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।
মঙ্গলবার বিআইআইএসএস ইন্সিটিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে আমেরিকার খুবই ভালো সম্পর্ক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা অনেক এগিয়ে। তারা আমাদের পরামর্শ দেয়। আতঙ্কের কোন কারণ নেই, আশঙ্কারও কোনো কারণ নেই। রোমান নতুন করে নাগরিকদের সতর্ক করেছে তাদের দায়দায়িত্ব এড়ানোর জন্য বলেও জানান মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের আতঙ্কের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আপনারা এতো আতঙ্ক দেখেন কোথায়?এক কানে শোনেন আরেক কান দিয়ে বের করে দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক আরও গভীর হবে: মোমেন
মোমেন পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিভাবে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর রোডম্যাপ উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি রোডম্যাপ দিয়েছেন, এর একটি হলো ২০৪১ সালের মধ্যে সত্যিকার অর্থে আমরা সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলা গড়তে চাই, তাহলে আমাদের রিসোর্সগুলো কাজে লাগাতে হবে। আমাদের বড় রিসোর্স হচ্ছে মানুষ। দ্বিতীয়ত; এগুলোকে কাজে লাগাতে হলে, কর্মসংস্থান করতে হলে, বাংলাদেশে আমাদের অনেক ম্যানুফ্যাকচারিং হাব করতে হবে। এদের কাজে লাগাতে হলে আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বিনিয়োগ বাড়লে আমাদের রপ্তানি বাড়বে। বিনিয়োগের সঙ্গে রপ্তানির বড় একটা সম্পর্ক আছে। যারা বিনিয়োগ করে তারা কিন্তু সংগ্রাম করে।
তৃতীয়ত;মানবসম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। এরপর যেটি হলো তা টেকনোলজি, আমি সেই টেকনোলজি আহরণ করবো যা ব্যবসা করার জন্য। টেকনোলজি শুধু মেশিন নয়, জ্ঞানকভিত্তিক প্রক্রিয়া। আর শেষটি হলো সেবার গুনগত মান।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বাজার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নতুন নতুন দেশে যাচ্ছি, শুধু মধ্যপ্রাচ্য না রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, মাল্টা যাচ্ছি। একটার পর একটা নতুন নতুন বাজার তৈরি করছি।
উন্নয়নে বাংলাদেশ খুব ভালো করছে উল্লেখ করি তিনি বলেন, যারা নিজের কারণে ভালো অবস্থানে গেছেন, পন্ডিত ব্যক্তিরা, তারা যদি বলে দেশ ভালো অবস্থানে গেছে তাহলে ঠিক আছে। তাহলে অন্যরা শুনবে। এতে কোনো জোড়াজুড়ি নেই।
উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীলতার ওপর গুরুতারোপ করে তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে যদি স্থিতিশীল না থাকে, শান্তি না থাকে তার উন্নয়নটা ঠিক সেরকম নয়, আমাদের এই উন্নয়নটা টিকিয়ে রাখার জন্য, আমাদের অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত করার জন্যে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা। আপনি দেখেন মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা না থাকায় সম্পদে ভরপুর হওয়া সত্ত্বেও অনেকের ভরাডুবি হয়েছে, ইয়েমেন, আফ্রিকার লিবিয়া অন্যতম। শান্তি ও স্থিতিশীলতা থাকায় ছোট্টদেশ সিঙ্গাপুরে শান্তি স্থিতিশীলতা আছে, তাই দেশটি এশিয়ার একটি আশ্চর্য।
বিএনপির ২৭ দফার গুম ও মানবাধিকার সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে সারা বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে , এতো সন্ত্রাস যে আদালতের বিচারকও শান্তিতে থাকতে পারেনি। এমনকি বিদেশি এক রাষ্ট্রদূত একজায়গায় বেড়াতে গেলে সেখানে বোমাবাজি হয়। তিনি বেঁচে গেছেন কিন্তু অনেক লোক মারা যায়। একই দিনে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩টিতে বোমাবাজি হয়।
এরপর বাংলাদেশ পর পর পাঁচবার দুর্নীতিপরায়ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হলো। আর সেইসঙ্গে এই সন্ত্রাসের কারণে আমাদের নেতারা মারা গেলেন।
তৎকালীন বিরোধী দলীয় কার্যালয়ের সামনে শেখ হাসিনার সমাবেশে বোমা হামলা হলো। ২৪ জন মারা গেল, অনেকে আহত হলেন, অনেকে আজীবন পঙ্গু হলেন। এরপর ২০১৩-২০১৪ সালে কতজন লোককে গাড়িতে জীবন্ত জ্বালিয়ে মেরে ফেলেছে, যা অমানবিক। আর ওরাই মানবিকতার কথা বলে! নিজের ঘরেই তো আগে সামাল দেয়া দরকার। যারা এসবের সঙ্গে জড়িত তারা যদি এসব বলে তাদের এটি ভাওতাবাজি।
বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশের কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, তারা সারাদেশে সমাবেশ করেছে, শোভাযাত্রা করেছে, আর বাসের কোম্পানি তাদের নিজেদের তাগিদে তা বন্ধ করে দিলেন, সরকার তাদের বলে নাই। তারা গাড়ি বের করে নাই ভয়ে, কারণ তাদের গাড়ি পুড়েয়ে দিবে।
ইতালি ও স্পেনে ই পাসপোর্ট বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতালি ও স্পেনসহ আরও দু’একটা দেশে আমাদের বিপুল সংখ্যক জনগণ সমস্যায় আছেন। তারা বয়সের ক্ষেত্রে মিথ্যা বলে কাজ নেন। এবং পরে পাসপোর্ট সংশোধন করতে মিশনে আসলে তা নবায়ন করা সম্ভ হয় না। ফলে তারা বিভিন্ন ছলছাতুরি করেন, বিভিন্ন জায়গায় ঘুষ দেন। কেউ কেউ আবার বাবা ও মায়ের নাম পরিবর্তন করে ফেলেন। আমরা তো আর এই অনৈতিক কাজ করতে পারি না। তখন তারা মিডিয়ায় ভোগান্তির কথা বলেন আমরা পাসপোর্ট দেই না।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও সহায়তার আহ্বান মোমেনের
জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে ‘চিন্তিত নন’, তাকে সরল ও ভালো মানুষ বললেন মোমেন
জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কিনা জানা যাবে আগামীকাল
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কি না তা জানা যাবে আগামীকাল। এ বিষয়ে সোমবার শুনানি শেষ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ আগামীকাল মঙ্গলবার আদেশের জন্য ধার্য করেছেন।
আদালতে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলাকারী জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা। আর জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম।
জিয়াউল হক মৃধার আবেদনে গত ৩০ অক্টোবর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত।
পরে ওই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করেন জি এম কাদের। পরে আবেদনটি শুনানি করে গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্ট দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে জিয়াউল হক মৃধা আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন।
এই আবেদন শুনে গত ৩০ নভেম্বর জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
চেম্বার আদালতের এই আদেশের ফলে জি এম কাদেরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল থাকে। একই সঙ্গে জিয়াউল হক মৃধার আবেদন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সে অনুযায়ী আজ শুনানি হয়। এখন আগামীকাল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টে স্থগিত
গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ১নং প্রতিপক্ষ (জিএম কাদের), ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে যেন পার্টির কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত এবং কোনো কার্য গ্রহণ করতে না পারে সে মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। পরে এ আদেশ প্রত্যাহারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের আবেদন ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন একই আদালত।
আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ খারিজাদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জিএম কাদের। জেলা জজ এ আবেদন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন রাখলেন। কিন্তু আমরা ২৪ নভেম্বর দরখাস্ত দিয়ে বললাম ৯ জানুয়ারি রাখাতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ আছে। অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তাই আজকেই শুনানি করেন। আমাদের ২৪ তারিখের দরখাস্তটা জেলা জজ রিজেক্ট করে দিলেন। এর বিরুদ্ধে আমরা রিভিশন করেছি। আমরা হাইকোর্টে বলেছি ২৪ তারিখের আদেশটা অবৈধ। কোর্ট রুল দিলো আর ৩০ অক্টোববের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা বহাল
জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা বহাল