নিষেধাজ্ঞা
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার: আইজিপি
কোনো একক দেশের পক্ষে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ সম্ভব নয় উল্লেখ করে বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে জোট গঠন ও সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে তিন দিনব্যাপী ১১তম ‘ইন্টারপা’ বার্ষিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সোমবার ঢাকায় বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব পুলিশ একাডেমি (ইন্টারপা) শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পেছনে ১০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প: আইজিপি
আইজিপি বলেন, বর্তমান বিশ্বে ডিজিটাল ডিভাইস ও প্লাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে যেভাবে অপরাধ বাড়ছে, তা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য হুমকি
হয়ে উঠছে। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সুরক্ষায় পুলিশের ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
আইজিপি আরও বলেন, সফলভাবে অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশ বাহিনীতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।
তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টারপা’ সম্মেলন সফল উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোতে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।
সম্মেলনে যোগদানকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ ছিল, যা সাইবার জগতের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে, তিনি যোগ করেন।
আরও পড়ুন: ইউএনকপে আইজিপি’র নাম অন্তর্ভুক্তি: ফখরুলের সমালোচনা
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইন্টারপা’র সভাপতি ও তুরস্কের ন্যাশনাল পুলিশ একাডেমির রেক্টর প্রফেসর ইলমাজ কোলাক এবং পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনদিন দিনব্যাপী ‘ইন্টারপা’ বার্ষিক সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল 'পুলিশিংয়ের ডিজিটালাইজেশন'।
সম্মেলনের বিভিন্ন কার্য অধিবেশনে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা ১৩টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সম্মেলনে বিশ্বের ৪৪টি দেশের ১২৭ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
ভারতে ২০২৩ সালে পরবর্তী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানের সঙ্গে আইজিপি’র ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠক
চট্টগ্রামে ৫ শিল্পপতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চট্টগ্রামে ৪২ কোটি টাকা ঋণখেলাপির দায়ে পাঁচ শিল্পপতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সোমবার অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত পাঁচ শিল্পপতি হলেন- চট্টগ্রামভিত্তিক হাবিব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, পরিচালক সালমান হাবিব, ইয়াসিন আলী, মাশরুর হাবিব ও তানভীর হাবিব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের করা ৪২ কোটি টাকা ঋণখেলাপি মামলায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, পরিচালক সালমান হাবিবসহ পাঁচ পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৮ আগস্ট এক কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক প্রতারণা মামলায় চট্টগ্রামভিত্তিক হাবিব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ চার পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ষষ্ঠ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারে পাওয়া গেছে ৩টি এয়ারগান
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা (স্যাংশন) দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার দুপুরে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ইনার হুইল ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত ‘পঞ্চম দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলন’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘অনেকেই অনেক কথা বলেন। আমি সব সময় বলে থাকি তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া কিছু বললে তা কেউ বিশ্বাস করে না। জনগণও তাতে আস্থা রাখে না ।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি আমাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন। আমাদেরকে কিছু প্রশ্ন আগেই দিয়েছিলেন। তার প্রশ্নের ৭৬ জন গুমসহ অন্যান্য বিষয় আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশন তাকে দেখিয়েছিলাম এবং কোনদিন কী হয়েছে বিস্তারিত বিষয় তার কাছে তুলে ধরেছি। এসব দেখে তিনি কোনো প্রশ্ন আমাদেরকে করেননি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি তারা (বিএনপি) একটা অবস্থার সৃষ্টির জন্য বিভিন্নভাবে রটনা করে যাচ্ছে। যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই এবং সত্যতা দেখাতে পারেনি। ভিত্তি না থাকার কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শিগগিরই দেশে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেলেন আইজিপি
জাতিসংঘের চিফস অব পুলিশ সামিটে (ইউএনসিওপিএস ২০২২)-এ যোগ দেয়ার জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত দুই দিনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেয়েছেন।
বৈঠকে অংশ নিতে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আইজিপিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি রবিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আইজিপিকে শুধুমাত্র সম্মেলনে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যেই ভিসা দেয়া হয়েছে।
প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত ডিআইজি নাসিয়ান ওয়াজেদ ও সহকারী মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ মাসুদ আলম।
জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আয়োজিত ইউএনসিওপিএস ২০২২-এ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, পুলিশ প্রধান, আঞ্চলিক ও পেশাদার পুলিশ সংস্থাগুলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা মিলিত হবেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বেনজির আহমেদসহ সাত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
বেনজির দেশের পুলিশ প্রধান হওয়ার আগে র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়ে নয়াদিল্লির পরামর্শ চায় ঢাকা
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা: যুক্তরাষ্ট্রে আইনজীবী নিয়োগ দেবে সরকার
ঢাকা ওয়াসার কর্মীদের উৎসাহ বোনাসে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
২০২০-২১ অর্থবছরে ঢাকা ওয়াসার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাড়ে তিনটি করে মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ ‘পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ (উৎসাহ বোনাস) হিসেবে প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণার ওপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিধি প্রণয়ন না করে পানির মূল্য নির্ধারণ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার কনজুমার অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চেয়ারম্যান স্থপতি মোবশ্বের হোসেনের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এলজিআরডি সচিব, ঢাকা ওয়াসা বোর্ড, ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান, এমডি ও সিইও এবং অডিটর ও কম্পট্রোলারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করা হয়।
জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাড়ে তিনটি করে মূল বেতন ‘পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। এতে ব্যয় হবে ১৯ কোটি টাকা। সরকারের ভর্তুকিতে চলা ঢাকা ওয়াসার নিয়মিত বেতন-ভাতার বাইরে এমন বোনাস ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত বছরও সংস্থাটি সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চারটি মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ বিশেষ পুরস্কার হিসেবে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার নিয়ে সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য বিব্রতকর: হাইকোর্ট
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৭ এপ্রিল ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের ২৯১তম সভায় পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড (উৎসাহ বোনাস) দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। করোনা মহামারি পরবর্তী ২০২০-২১ অর্থবছরের পারফরম্যান্সের জন্য ঢাকা ওয়াসার স্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক ও প্রেষণে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের তিনটি মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ বোনাস দেয়া হবে। আর গত ২৫ জানুয়ারি ২৮৬তম সভায় কর্মীদের একটি মূল বেতনের অর্ধেক ইন্টেরিম (অন্তর্র্বতীকালীন) পারফরম্যান্স বোনাস দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে ঢাকা ওয়াসা প্রথম স্থান অর্জন করায় এই বোনাস দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পারফরম্যান্স বোনাস কীভাবে দেয়া হবে, সে বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে ওয়াসা। সে অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকা ওয়াসার বেতনভুক্ত (পে-রোল) যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন, তারা সবাই তিনটি মূল বেতন এবং একটি মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বোনাস পাবেন। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাড়ে তিনটি পারফরম্যান্স বোনাস দিতে সংস্থাটির ব্যয় হবে ১৯ কোটি টাকার বেশি।
পানির দামের বিষয়ে গণমাধ্যমে বলা হয়, আবাসিক ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে পানির দাম ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নয় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। আবাসিকে ২৫ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক সংযোগে ১৯ শতাংশ পর্যন্ত পানির দাম বাড়াতে চায় তারা। এ জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। সবশেষ গত ৬ জুলাই ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সভায় পানির দাম ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বর্তমান মূল্যস্ফীতির কথা বিবেচনায় রেখে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
এনআইডির সঙ্গে থ্যালাসেমিয়ার তথ্য অন্তর্ভুক্ত কেন নয়: হাইকোর্ট
৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগ শুরু
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন তথা বাংলাদেশ সরকারের নিবিড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে অবশেষে চার বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় নতুন শ্রমিক নিয়োগ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোর ৫টা ২২ মিনিটে বাংলাদেশ থেকে ৫৩ জন কর্মী নিয়ে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইট কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে অবতরন করে। মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার গোলাম সারোয়ার বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
এ সময় তিনি দীর্ঘ চার বছরের অচলায়তন ভেঙে মালয়েশিয়ার নতুন করে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ শুরু হওয়াতে হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং বাংলাদেশে ও মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
রাশিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি একটি দেশকে শাস্তি দেয়ার কাজ থেকে পিছু হটতে পারাটাই ন্যায়সঙ্গত যা সারাবিশ্বের মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে।’
তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞাগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমতুল্য কারণ সকলকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা ন্যায়সঙ্গত নয়।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি উপার্জনকারী হবে ডিজিটাল ডিভাইস: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে সমগ্র বিশ্বের মানুষ যখন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও দুর্দশা নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, সর্বোপরি মার্কিন আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো বাংলাদেশের আমদানি পণ্যের প্রাপ্যতা অবরুদ্ধ করেছে। ফলে পরিবহন খরচ বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, ইংল্যান্ড এবং পুরো বিশ্বের সমস্যার কারণ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কঠিন সময়ে বিদ্যুৎ ভর্তুকি কমাতে জনগণের সমর্থন কামনা প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, জনগণ এর অন্যতম ভুক্তভোগী। উন্নত দেশগুলোর বিশেষভাবে এটা নিয়ে ভাবা উচিত।
এই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোঝা উচিত যে নিষেধাজ্ঞাগুলো তাদের দেশের লোকেদেরও কষ্ট দিচ্ছে। তাদেরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে একটি দেশকে আঘাত করতে চাইলে আসলেই তারা কতটা প্রভাবিত হয়?
গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
দেশের শীর্ষ মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর গ্রামীণফোনের নতুন করে সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। মানসম্পন্ন সেবা দিতে না পারায় এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
বুধবার এ ব্যাপারে নির্দেশনাও দিয়েছে বিটিআরসি।
এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গ্রামীণফোনের নতুন কোন সিম বিক্রি করা যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ইউএনবিকে জানান, গ্রামীণফোন কোয়ালিটি ফল করছে, দীর্ঘদিন যাবৎ তাদেরকে বিষয়টি বলা হচ্ছিল। কিন্তু তারা বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। এ বিষয়ে তাদের কোনো প্রচেষ্টাও দেখছি না। বলতে পারেন এখন বাধ্য হয়েই সিম বিক্রি বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই না নতুন করে গ্রাহক সিম কিনে ভোগান্তিতে পরুক।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ ফোনের কল ড্রপ সবচেয়ে বেশি: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
ড. ইউনূস-হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দাবি নিক্সনের
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থ বরাদ্দ বন্ধের ষড়যন্ত্রের জন্য নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী চেরি ব্লেয়ারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
ফরিদপুরের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি ড. ইউনূস, হিলারি ক্লিনটন এবং টনি ব্লেয়ারের (চেরি ব্লেয়ার) স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানাচ্ছি, যাতে তারা দেশের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র করতে না পারে।’
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
দেশের যারা পদ্মা সেতুর বিরদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর বলেন, বাংলাদেশিদের মধ্যে অন্যতম হলেন ড. ইউনূস, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক জিয়া।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে তথাকথিত দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর ভাই মজিবুর রহমান চৌধুরীকে দুর্নীতি দমন কমিশন কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয়েছে যে এই প্রকল্পে কোনো দুর্নীতির ষড়যন্ত্র ছিল না।
নিক্সন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করে প্রমাণ করেছেন কোনো অপরাধী রেহাই পাবে না।
পড়ুন: ইউনূস সেন্টারের আয়োজনে দ্বাদশ বার্ষিক সামাজিক ব্যবসা সম্মেলন শুরু ২৭ জুন
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ
ড. ইউনূসের মামলার কার্যক্রম দুই মাস স্থগিত থাকবে: আপিল বিভাগ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়ে নয়াদিল্লির পরামর্শ চায় ঢাকা
ভারত কীভাবে রাশিয়া থেকে তাদের তেল কেনার বিষয়টি পরিচালনা করছেন সে বিষয়ে ভারতের কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়ার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জ্বালানি সমস্যা বাংলাদেশের জন্যও একটি সত্যিকার সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এনার্জির (আমদানি) ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়া আমাদের এনার্জি ও গম অফার করেছে। এটি একটি বাস্তব সমস্যা হয়ে উঠেছে। আমরা এতে (শক্তি সংকট) ভীত। আমরা তাদের (ভারত) পরামর্শ চেয়েছি, কীভাবে তারা এটা করছে। এটি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা।’
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ২৮-২৯ মে গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত দুই দিনের নদী সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারত সরকার রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার বিষয়টির স্বপক্ষে বলেছে (ভারত) এক মাসে রাশিয়া থেকে যা কিনেছে, একদিন বিকালেই ইউরোপ রাশিয়া থেকে থেকে তার চেয়ে অনেক বেশি কিনেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতকে মস্কো থেকে দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান অব্যাহত থাকার পরও রাশিয়ার কাছ থেকে (ভারতের) তেল কেনা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তা চুক্তি ১১ বছর ধরে ঝুলে থাকা ‘লজ্জাজনক’: মোমেন
ভারত এমন এক সময়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বাড়ানোর জন্য মূল্য ছাড়ের সুযোগ নিয়েছে, যখন বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বাড়ছে।
কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে মোমেন বলেন, ‘আপনারা দেখছেন যে তারা আমাদের ওপর বসগিরি করছে এবং আপনারা (সাংবাদিকরাও) তাদের উৎসাহ দিচ্ছেন। প্রতিদিনই তারা নতুন নতুন সমস্যা নিয়ে হাজির হয়। তাদেরকে আমরা উন্নয়ন সহযোগী বলতাম। তারা উন্নয়নের জন্য অর্থ দেয় না কিন্তু পরামর্শ দিতে থাকে।’
মোমেন আরও বলেন,‘উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার জন্য তারা অনেক কিছু সামনে রেখে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য নানা শর্ত যোগ করে। ‘এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ হওয়ায় বিশ্বের স্থিতিশীলতাকে সব সময় স্বাগত জানায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই আন্তঃনির্ভরশীল।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানির দুই বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে অস্থিতিশীলতা থাকলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা থাকলে বাংলাদেশের রেমিটেন্স অর্জন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানান তিনি।
মোমেন বলেন, ‘তাই আমরা কোনো সমস্যায় পড়তে চাই না। আমরা বিশ্বে শান্তি চাই।’
তিনি বলেন, ‘ধনী দেশগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধ শেষ করা সবার জন্য মঙ্গলজনক।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা করেছেন যে কীভাবে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করা যায়।
তিনি অবশ্য বলেন, বাংলাদেশ বহুপাক্ষিকতার দুর্বল হয়ে পড়া দেখতে চায় না। ‘আমরা বহুপাক্ষিকতার একটি বড় সমর্থক।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা আসামের মুখ্যমন্ত্রীর
গুয়াহাটিতে শনিবার নদী সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন মোমেন ও জয়শঙ্কর