গবেষণা
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন
বঙ্গবন্ধুর ভাবনা ও আদর্শ অন্বেষণ এবং তার ওপর গবেষণাকর্ম প্রকাশের মতো বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের আহ্বায়ক করা হয়েছে অধ্যাপক আবদুল মঈনকে। আর অধ্যাপক সিরাজুল হককে সচিব সদস্য নিযুক্ত করা হয়েছে।
অধ্যাপক আবদুল মঈন চৌধুরী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সিরাজুল হক সরকারি ইস্পাহানি কলেজের অধ্যাপক এবং তিনি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার পেল রানার অটোমোবাইলস
পরিষদের আহ্বায়ক কমিটির আরও ৯৯ জন সদস্যের নাম পরে ঘোষণা করা হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব কমিটি বাতিল করে পরিষদের স্টিয়ারিং কমিটি।
সংগঠনের পরবর্তী কাউন্সিল পর্যন্ত আহ্বায়ক কমিটি কার্যকর থাকবে।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ২০০২ সালের ১৭ মার্চ এই পরিষদ গঠন করেন। সর্বশেষ কমিটি গঠিত হয় ২০১৮ সালে এবং কাউন্সিলের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গ্যালারি’ প্রতিষ্ঠা করল পুলিশ
র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে গবেষণায় যথার্থ পরিকল্পনা প্রয়োজন: ইউজিসি
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও উদ্ভাবনে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্ৰহণের অভাবে এ বছর বিশ্ব র্যাংকিংয়ে কাঙ্ক্ষিত স্থান অর্জন করতে পারেনি।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিটি ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালেয়র (বাকৃবি) ২২টি গবেষণা ও উদ্ভাবন উপ-প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন সকালে বাকৃবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে দিনব্যাপী এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক প্রফেসর ড. মাহফুজা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ব র্যাংকিংয়ের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ অবস্থা মূলত বিগত বছরগুলোতে তাদের গৃহীত পদক্ষেপের ধারাবাহিক ফল।র্যাংকিংয়ে সম্মানজনক স্থান পেতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, পিএইচডি প্রোগামে নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি, সম্মানজনক বৃত্তির ব্যবস্থা, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি সহযোগিতা বৃদ্ধি, সাইটেশনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেলে দেওয়ার দাবি জানান।আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো ছাড়া পিএইচডি ডিগ্রিধারী মেধাবী ও তরুণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ পাচ্ছেন না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য আলাদা একটি পে-স্কেলে প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
এছাড়া, বিদেশে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে তিনি নবীন শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করেন।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা খাতে ১২ হাজার ২৬২ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন ইউজিসি’র
তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক সমস্যা নিয়ে গবেষণার বিশাল সুযোগ রয়েছে। এজন্য, গবেষণার জন্য বিদেশে যাওয়া এবং সেখানে ডিগ্রি শেষে থেকে যাওয়া কোনভাবেই কাম্য নয়।
উপাচার্য এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্ব র্যাংকিংয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে যাওয়ার কারণ প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পর্যাপ্ত সাইটেশন না করা। যথাযথ সাইটেশন করা হলে বাকৃবি বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করতো বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে দেশীয় শিল্প-প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসা এবং স্নাতকদের বাজার উপযোগী করে গড়ে তুলতে তাদের ইন্টার্নশিপসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্ৰহণের আহ্বান জানান।
এছাড়া, সিটি ব্যাংকের সহায়তায় ২২টি গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে হাওড় এলাকার মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবুল মনসুর ও সিটি ব্যাংকের কমার্শিয়াল ব্যাংকিংয়ের প্রধান মোহাম্মদ মাহমুদ গণি।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির চলমান বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের বিস্তারিত দিক তুলে ধরেন বাউরেসের সহযোগী অধ্যাপক চয়ন গোস্বামী।
আরও পড়ুন: ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইউজিসি’র গণবিজ্ঞপ্তি জারি
মান বজায় রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসি সতর্ক করেছে: বিশ্বজিৎ চন্দ
বাংলাদেশে ডেঙ্গুর টিকা নিয়ে গবেষণার আশাব্যঞ্জক ফল লাভ
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু রোগের টিকার সফল পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষায় ভাইরাল এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউভিএম) লার্নার কলেজ অব মেডিসিনের গবেষকেরা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগের টিকার সফল পরীক্ষা করেছেন।
টিকার এই সফল পরীক্ষা নিয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সাময়িকী ‘ল্যানসেটে’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, তাদের প্রচেষ্টায় এক ডোজের টেট্রাভ্যালেন্ট বা টিভি ০০৫ ডেঙ্গু ভ্যা
কসিন প্রয়োগে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের ক্ষেত্রেই এই টিকার নিরাপত্তা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে।
এই টিকার গবেষকদের একজন আইসিডিডিআর,বি-এর জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী রাশিদুল হক গুরুতর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে জর্জরিত বাংলাদেশের জন্য এই কাজের সমালোচনামূলক গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউভিএম) ডা. কার্কপ্যাট্রিক টিভি০০৫ এর অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু সম্পর্কে ১০টি প্রচলিত ধারণা: জেনে নিন সঠিক তথ্য
তিনি বরেন, একক-ডোজের এই টিকা ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা উদ্দীপিত করার ক্ষমতা রাখে। যা এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার মতো অঞ্চলের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল টিকায় পরিণত করেছে।
২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান প্রাদুর্ভাবের ফলে সারা বাংলাদেশে ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং ৯২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আইসিডিডিআর,বি এবং ইউভিএম গবেষণা দল ২০১৫ সালে ‘ডেঙ্গু ইন ঢাকা ইনিশিয়েটিভ (ডিআইডিআই)’ শুরু করে। যা বাংলাদেশে ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের উপর প্রথম গবেষণা প্রচেষ্টা।
তাদের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার লক্ষ্য সারা দেশে ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া। দ্য
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজেস-এ প্রকাশিত গবেষণাটিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিয়ন্ত্রিত ক্লিনিকাল ট্রায়ালের কথা বলা হয়েছে।
২০১৬ সাল থেকে শুরু করে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চারটি বয়স সীমার (১-৪৯ বছর) প্রায় ২০০জন স্বেচ্ছাসেবক টিভি০০৫ ভ্যাকসিন বা একটি প্ল্যাসিবো পেয়েছে।
টিভি০০৫ ভালভাবে সহনশীল প্রমাণিত হয়েছে, এবং বেশিরভাগ স্বেচ্ছাসেবককের শরীরে চারটি ডেঙ্গুর সেরোটাইপের জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি গয়েছে। বিশেষ করে যারা পূর্বে ডেঙ্গুর সংস্পর্শে এসেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, নির্ণয়ের প্রক্রিয়া, চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
যদিও গবেষণাটি কার্যকারিতা মূল্যায়ন করার জন্য ডিজাইন করা হয়নি, টিকা দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কোনও ডেঙ্গুর ঘটনা রিপোর্ট করা হয়নি।
এতে আরও বলা হয়েছে, গবেষণালব্ধ এসব ফলাফল ডেঙ্গুপ্রবণ জনগোষ্ঠীতে ব্যাপক হারে টিভি-০০৫ ডেঙ্গু টিকা ব্যবহারের জন্য উপযোগী করে তোলার পাশাপাশি, তৃতীয় ধাপের কার্যকারিতা ট্রায়াল পরিচালনার জন্য সমর্থন জোগাড় করতে সহায়তা করবে।
ইউভিএম-এর ভ্যাকসিন টেস্টিং সেন্টার (ভিটিসি) ২০০৯ সাল থেকে ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) দ্বারা তৈরি ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের মূল্যায়ন করছে।
ডা. কার্কপ্যাট্রিকের নেতৃত্বে ইউভিএম দল ডা. স্টিফেন হোয়াইটহেডের মতো বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করেছে, যারা টিভি০০৫ ভ্যাকসিন ডিজাইন করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই সহযোগিতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বাইরেও ডেঙ্গু ভ্যাকসিন গবেষণায় উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।
সানোফি ও তাকেদা সহ বেশ কিছু ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিও টেট্রাভ্যালেন্ট ডেঙ্গু ভ্যাকসিন নিয়ে অগ্রগতি করেছে। তারা তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল সম্পূর্ণ করেছে।
আরও পড়ুন: মশা কেন আপনাকেই কামড়ায়?
সুন্দরবনে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি
সুন্দরবনের টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের আরও গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেস্কো) ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি।
সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ৪৫তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কনভেনশনের বর্ধিত অধিবেশনে এই সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টা এবং ২০১৯ সালের যৌথ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার রিঅ্যাকটিভ মনিটরিং মিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে অগ্রগতির প্রশংসাও করে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি।
মূল অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে- কৌশলগত পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, ডলফিন সংরক্ষণ পরিকল্পনা এবং জাতীয় তেল ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ কৌশল সম্পন্ন করা।
আরও পড়ুন: ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় সুন্দরবনে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়
এগুলো ম্যানগ্রোভ বনের অনন্য জীববৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য রক্ষার জন্য শক্তিশালী সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করে।
সুন্দরবনের আরও টেকসই ব্যবস্থাপনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকারের আরও গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহপরিকল্পনা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি। এটি কৌশলগত পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় (এসইএমপি) উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিটি আরও উল্লেখ করেছে, আগামী ২০ বছরে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের উন্নয়ন থেকে প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ ও সমষ্টিগত প্রভাব রোধ করতে অব্যাহত প্রচেষ্টা প্রযোজন। পাশাপাশি স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্ট অ্যাসেসমেন্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভবিষ্যতের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যেন সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থান ও সামুদ্রিক ব্যবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে তা নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা রাখতে অব্যাহত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ৩ মাস পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো সুন্দরবন
সুন্দরবনের অরণ্যের অসামান্য সর্বজনীন মূল্যবোধের গবেষণা ও মনিটরিং সম্পর্কিত প্রতিবেদন যত দ্রুত সম্ভব পর্যালোচনার জন্য বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির কাছে জমা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রেক্ষাপটে প্রভাব মূল্যায়নের জন্য গাইডেন্স ও টুলকিট ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলেছে ইউনেস্কো কমিটি। সাইটের দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এর নিকটবর্তী সমস্ত ভবিষ্যতের শিল্প বিকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এটি নিশ্চিত করতে হবে।
এসব পদক্ষেপ এ অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বৈঠকে কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের অসামান্য সর্বজনীন মূল্যবোধকে প্রভাবিত করতে পারে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প সম্পর্কে বাংলাদেশকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প, ব্যয় হবে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা
এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশকে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে ২০২৫ সালের ১ ডিসেম্বরের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং ২০২৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্টেট অব কনজারভেশন রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন গবেষণার উদ্যোগ নেবে বিএসএমএমইউ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের দেশে সারাবছর ডেঙ্গু নিয়ে কাজ হয় না বলেই আজ এ অবস্থা। স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে যে কোনো কাজ, গবেষণা করার জন্য উৎকৃষ্ট স্থান হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে আমরা ডেঙ্গু রিসার্চ করব। ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিএসএমএমইউ'র চিকিৎসকরাও কাজ করবেন।
তিনি বলেন, বিএসএমএমইউতে ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের ব্যাপারে গবেষণা করে তৈরি করার ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নেবো। এ ব্যাপারে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগকে দ্রুত কাজ শুরু করার জন্যও বলেন উপাচার্য।
এর আগে বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান ও আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) সহকারী অধ্যাপক ডা. তৌফিক আহমেদকে সদস্য সচিব করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটি -২০২৩ গঠন করা হয়।
শনিবার (৫ আগাস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিএসএমএমইউ উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ‘ডেঙ্গুবিরোধী সামাজিক আন্দোলন চাই’ নামে একটি সংগঠন।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ-তে সফল লিভার প্রতিস্থাপন
এ কমিটিতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শাহসুল হক টুকুকে প্রধান উপদেষ্টা, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনকে বিশেষ উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম উপদেষ্টা পদে মনোনিত করা হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক শরফুদ্দিন বলেন, সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠার উদ্যোগটি ভালো। এজন্য মানুষকে সচেতন করতে আমাদের সকলকে রাস্তায় নামতে হবে। সবাইকে জানাতে হবে, এখন ডেঙ্গুর এখন ২৪ ঘণ্টা কামড়ায়। ধরন পাল্টেছে। আগে দিনে মশা কামড়াতো, আগে পরিস্কার পানিতে মশার লার্ভা পাওয়া যেতো, এখন ময়লা পানিতেও পাওয়া যায়।
সকলকে আরও বেশি করে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, বাসায়, ছাদে, ফুলের টবে কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না। কমোড ব্যবহারের পর ঢেকে রাখতে হবে। আগামীকাল থেকে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে বিটিআই প্রয়োগ করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এটি সিঙ্গাপুরে খুব ভালো কাজ করছে, আশা করছি আমাদের এখানেও কাজ করবে।
জ্বর হলে ঘরে বসে না থেকে দ্রুত এনএসওয়ান টেস্ট করার পরামর্শ দেন উপাচার্য।
তিনি বলেন, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না। প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে। শিক্ষার্থীদের ফুল প্যান্ট, ফুল হাতা শার্ট ও জুতা মোজা পরে বিদ্যালয়ে যেতে হবে।
এ কমিটিতে দৈনিক বঙ্গজননী ও দ্য ন্যাশনাল নিউজ ইউএসএ’র প্রধান সম্পাদক আলী নিয়ামতকে সভাপতি করা হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার ইউংয়ের উপদেষ্টা রুবিনা খান, ক্যাটের সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক উপাচার্য ড. রশিদ আসকারী, উইয়ের সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশাকে সহসভাপতি করা হয়েছে।
এছাড়া দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক কামরুজ্জামান জিয়াকে নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সমাচারের সম্পাদক ড. খান আসাদুজ্জামান, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য ও মহাসচিব আসলাম সিহির, ওয়ার্ল্ড ক্যানসার সোসাইটি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য আবু বকর সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য যুবরাজ খান, ক্যাটের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম মৃধা, সেভেনটি ওয়ান টিভি বাংলার টকশো উপস্থাপক রোকন উদ্দিন পাঠান, হিউমান এইড ইন্টারন্যাশনালে মহাসচিব সেহলি পারভিন, উইয়ের পরিচালক রাকিবা আহমেদ, উইয়ের সদস্য সামিরা সুলতানা ও দৈনিক বঙ্গজননীর সহসম্পাদক মুক্তা মিয়াকে সদস্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
বিএসএমএমইউতে এনটি-প্রো বিএনপি পরীক্ষা চালু
সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণায় আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও ভারতের দু’টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে, যা মহাসাগর বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কার্যক্রমের জন্য একটি কাঠামো তৈরিতে সহায়তা করবে।
এর ফলে সমাজের কল্যাণে গবেষণা ও উন্নয়নের অগ্রগতিতে অবদান রাখবে এবং ফলাফল উভয় দেশের মধ্যে ব্লু ইকোনমি (সমুদ্র অর্থনীতি) মিশনে অবদান রাখবে।
ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো জানিয়েছে যে এছাড়াও, এই সমঝোতা স্মারক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করবে।
সিএসআইআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওশানোগ্রাফি, গোয়া (সিএসআইআর-এনআইও) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, ঢাকা, বাংলাদেশ (বিএসএমআরএমইউ) এর মধ্যে শুক্রবার ভারতের গোয়ায় সমুদ্র বিজ্ঞানে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ড নতুন সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবে
সিএসআইআর-এনআইও'র পরিচালক অধ্যাপক সুনীল কুমার সিং এবং বিএসএমআরএমইউ'র উপাচার্য রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা পাঁচ বছর মেয়াদী এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্স অনুষদের (বিএসএমআরএমইউ) ডিন ক্যাপ্টেন এস এম মঈন উদ্দিন; ক্যাপ্টেন জয়ন্ত মহাদিক, নৌ উপদেষ্টা, ভারতীয় হাইকমিশন, ঢাকা; শ্রী ভেঙ্কট কৃষ্ণমূর্তি, ইনচার্জ, সহযোগিতা ডেস্ক (সিএসআইআর-এনআইও); ড. নরসিংহ এল ঠাকুর, প্রধান, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক গ্রুপ (সিএসআইআর-এনআইও) এবং ড. মমতা শর্মা, প্রধান বিজ্ঞানী, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক অধিদপ্তর, সিএসআইআর সদর দপ্তর এর যৌথ সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিল্প উন্নয়নে সহযোগিতা করতে ডিসিসিআই ও বিএসসিআইসি’র সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে ইউএনডিপি ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সমঝোতা চুক্তি
বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
দেশীয় পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণায় সহযোগিতার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাজ্যের বিজনেস এন্ড ট্রেড স্টেট মিনিস্টার নাইজেল হাডলস্টোনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আহ্বান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম আরএমজি রপ্তানিকারক, তৃতীয় বৃহত্তম সবজি উৎপাদনকারী, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ধান উৎপাদক এবং অভ্যন্তরীণ স্বাদু পানির মৎস্য উৎপাদনে পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। এছাড়া উচ্চ মানের ওষুধ, জেনেরিক ওষুধ, অনন্য পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, সিরামিক, আসবাবপত্র, খেলনা এবং ইলেকট্রনিক পণ্যসহ অনেক বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন হচ্ছে দেশে। এসব পণ্য আমদানির জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে সমালোচনার মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য বর্তমানে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য উল্লেখ করে টিপু মুনশি জানান ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পণ্য রপ্তানি করেছে এবং যুক্তরাজ্য থেকে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।
তিনি বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে বিনিয়োগের উত্তম জায়গা জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু নির্মাণ, ঢাকা মেট্রোরেলের উদ্বোধন, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, কক্সবাজারে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতি অঞ্চল নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে দেশভিত্তিক আলাদা অর্থনৈতিক জোন বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ইতোমধ্যে দুই দফা বৈঠক করেছে এবং খুব শিগগিরই তৃতীয় বৈঠকে বসবে। ঢাকায় প্রথম ও দ্বিতীয় বাংলাদেশ-ইউনাইটেড কিংডম ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগের অনুষ্ঠিত হবে। এই নিয়মিত সংলাপ আমাদের যৌথ মূল্যবোধ এবং মানদণ্ডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগকে আরও শক্তিশালী করতে অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, ডেভেলপিং কান্ট্রি ট্রেডিং স্কিম-ডিসিটিএস এর অধীনে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমরা দীর্ঘতম সম্ভাব্য সময় পর্যন্ত আমাদের ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি সুবিধার স্থিতি অব্যাহত রাখতে চাই। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বাংলাদেশ উত্তরণের পর পরবর্তী আরও ছয় বছর শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখতে পাশে থাকারও আহ্বান জানান।
এসময় সফররত যুক্তরাজ্যের বিজনেস এন্ড ট্রেড স্টেট মিনিস্টার নাইজেল হাডলস্টোন তার দেশ বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশিাপশি এভিয়েশন, শিক্ষা এবং প্রতিরক্ষার বিষয়ে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যকার চমৎকার বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাজ্যে রেডিমেড গার্মেন্টস ছাড়াও বাংলাদেশী পণ্যের বিশাল বাজার রয়েছে। ভবিষ্যতে এ বাজার বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় তিনি বাংলাদেশে তার দেশের ব্যবসায়ীরা নানা ধরণের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জে মোকাবেলা করছেন বলে বাণিজ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং সেগুলো সমাধানের জন্য অনুরোধ জানান। নির্দিষ্ট করে সমস্যার কথা জানালে সেগুলো দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বৈঠককালে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য ও ট্রানজিট চুক্তির সুবিধা কাজে লাগাতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
হিট প্রকল্পের প্রথম মিশন সভা: উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন ও রুপান্তরের আশাবাদ ইউজিসির
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িতব্য ‘এডুকেশন এক্সিলারেশন এন্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ প্রকল্প দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নসহ উচ্চশিক্ষার রূপান্তর, গতি ত্বরান্তিতকরণ, আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ ও উদ্যোক্তা হিসেবে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে হিট প্রকল্পের প্রথম ইমপ্লিমেন্টেশন সাপোর্ট মিশন (আইএসএম) সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার(২০ জুন) ইউজিসি ভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) উপাচার্য ড. রুবানা হক, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন্স অফিসার মোখলেসুর রহমান, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়াসহ ইউজিসি, বিশ্ব ব্যাংক ও এইউডব্লিউ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা খাতে ১২ হাজার ২৬২ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন ইউজিসি’র
প্রফেসর আলমগীর বলেন, হিট প্রকল্প দেশের শিক্ষা ও গবেষণাসহ উচ্চশিক্ষার বিভিন্নখাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের উচ্চশিক্ষায় গৃহীত কার্যকর উদ্যোগসমূহ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে শিক্ষাখাতের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা এবং উচ্চশিক্ষা সম্পন্নকারীদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ কর্মক্ষেত্রের সুযোগ তৈরি করা।
এছাড়া গৃহীত এ প্রকল্পটি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নারীদের উন্নয়নের একটি বিরাট সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করাও প্রকল্পটির অন্যতম উদ্দেশ্যে।
এটি নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে নারীদের উচ্চশিক্ষার ব্যাপক রূপান্তর ঘটাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য ড. রুবানা হক বলেন, হিট প্রকল্পের মাধ্যমে আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হবে এবং এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের পথ সুগম হবে।
বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন্স অফিসার ড. মোখলেসুর রহমান ইউজিসিকে হিট প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু এবং প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করেন।
প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও ইউজিসি’র সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংক এ লক্ষ্যে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলে তিনি জানান।
সভা শেষে বিশ্ব ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি দল ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
উল্লেখ্য, পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্প শুরু হবে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ইউজিসি। মোট ব্যয়ের মধ্যে ২ হাজার ৩৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার এবং ১ হাজার ৯৮৩ কোটি ১১ লাখ টাকা বিশ্ব ব্যাংক বহন করবে।
প্রকল্পে বাজার চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা কোর্স প্রবর্তন, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিজিটাল সংযোগ বৃদ্ধি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের জন্য অ্যাকাডেমিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণ এবং দেশের উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী মহিলা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক স্থাপন, বাংলাদেশ গবেষণা ও শিক্ষা নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) এর সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এর কার্যাবলি বাস্তবে রুপান্তর করা, ইনোভেশন ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা, প্রতিযোগিতামূলক গবেষণার উদ্ভাবনী প্রকল্প চালু করা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রফেসর সাজ্জাদ ও আলমগীরকে পুনরায় ইউজিসির সদস্য নিয়োগ
ইউজিসিকে কর্মমুখী পাঠ্যক্রম চালু করার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
কৃষি গবেষণায় জি২০'র বিনিয়োগ প্রয়োজন: কৃষিমন্ত্রী
ভবিষ্যতে কৃষিখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জি২০’কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশের কৃষি গবেষণায় বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি হুমকিস্বরূপ। সেজন্য, বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারপরও বৈশ্বিক সংকট, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কমসহ যে কোন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য জি২০'র স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর পদক্ষেপ দরকার।
শুক্রবার সকালে ভারতের হায়দরাবাদে জি২০ কৃষিমন্ত্রীদের তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কার্যকর কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে বাংলাদেশে ফসল উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে ইতোমধ্যে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ চাষযোগ্য জমি কমেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও, ফসলের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধির কারণেই ১৭ কোটি মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য দেশের অভ্যন্তরেই উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকার সকল স্তরের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে খাদ্যের কোন সংকট নেই, বরং খাদ্যের প্রাপ্যতা বেড়েছে। অন্যদিকে বর্তমান সরকার নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী ও গরীব মানুষকে খাদ্যবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিনামূল্যে ও কমমূল্যে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।
'খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির জন্য টেকসই কৃষি'- শিরোনামের এ সেশনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদান করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এছাড়া, ভারতের কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টোমার, জি২০ভুক্ত ১৯টি দেশের কৃষিমন্ত্রী, বাংলাদেশসহ আমন্ত্রিত ১০টি দেশের কৃষিমন্ত্রীগণ বক্তব্য রাখেন। এতে বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ ১০টি আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার শীর্ষ সংগঠন জি২০'র এবারের সম্মেলনের আয়োজক ভারত। নয়াদিল্লীতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন, যেখানে বাংলাদেশ আমন্ত্রিত দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: কৃষিমন্ত্রী
পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগের জন্য জার্মান বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে জার্মানির হামবুর্গের অ্যাংলো-জার্মান ক্লাবে আয়োজিত 'বাংলাদেশ : সাসটেইনেবলিটি অব সীফুড সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স' শীর্ষক ব্যবসায়িক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ দূতাবাস, জার্মানি, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া, বাংলাদেশ এবং জার্মান-এশিয়া প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: জাটকা নিধন বন্ধ হলে দেশের মানুষ বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পাবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ দূতাবাস, জার্মানির মিনিস্টার (কমার্শিয়াল) মো. সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুল হক, হামবুর্গে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ওয়াল্টার স্কট, বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ব্লু ইকোনমি সেলের প্রধান (যুগ্মসচিব) ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, জার্মান ফিশ প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির ফেডারেল অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ম্যাথিয়াস কেলার, গ্লোবাল গ্যাপ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিশ্চিয়ান মোলার, জার্মান-এশিয়া প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের কান্ট্রি কমিটির চেয়ারম্যান থমাস কনিং, জার্মান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহসভাপতি আব্বাস আলী চৌধুরী,সলিডারিডাড, বাংলাদেশ-এর স্ট্র্যাটেজিক এনগেজমেন্ট লিড মঈন উদ্দিন আহমেদসহ জার্মানির মৎস্য খাতের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া, বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম রেজা হাসান।
সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, জার্মানি অনেক প্রাচীন,উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ। এ দেশের প্রযুক্তি, নীতি, গবেষণা অনেক সমৃদ্ধ। মৎস্য খাতে জার্মানি ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এ খাতে দুই দেশের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়েরও সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগে বিদেশি ব্যবসায়ীদের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ একটি দেশ। বিশেষ করে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ সমুদ্র সম্পদ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এখন আমাদের গবেষণার ক্ষেত্র, সম্পদের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত। সমুদ্র অঞ্চলে আমাদের খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। এ জন্য আমরা সবসময় সমুদ্র সম্পদের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন উন্নত দেশকে সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা, বিনিয়োগ ও একসঙ্গে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাই।
জার্মান বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। দুই দেশ মৎস্য খাতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। মৎস্য খাতে জার্মান বিনিয়োগকারীদের গবেষণা, অভিজ্ঞতা, মৎস্য মাননিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন বাংলাদেশের কাজে লাগবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে এখন বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ ও সরকারের বিনিয়োগ উপযোগী নীতি রয়েছে । বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্প স্থাপন ও আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি সুবিধাসহ সরকার সবধরণের সহযোগিতা প্রদান করবে।
তিনি বলেন, মৎস্য ও মৎস্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। রপ্তানির পূর্বে প্রতিটি মাছ এখন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। বাংলাদেশের মাছের মান নিয়ে এখন আর বিদেশিদের অভিযোগ নেই। কারণ নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্যপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে এখন বাংলাদেশ কোনো আপোষ করে না। মাছের মান নিশ্চিত করতে আগে কোনো আইন ছিল না। বর্তমান সরকার মৎস্য ও মৎস্যপণ্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণে আইন করেছে। আইন অমান্য করলে জরিমানা ও শাস্তির বিধান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এমনকি মাছের খাদ্যোর ব্যাপারেও বর্তমান সরকার অনেক সচেতন। বাংলাদেশের মাছকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা সরকারের লক্ষ্য।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে অন্যান্য দেশের মতো উন্নত করা। তার স্বপ্ন পূরণের আগেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তবে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে কাজ করছেন। তার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনাকে বলা হয় উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডিমের ভারসাম্যপূর্ণ মূল্য নিশ্চিত করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের কথা ভাবছে না, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। একসময় আমাদের লক্ষ্য ছিল উন্নয়ন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের নীতি, শুধু উন্নয়ন নয় বরং উন্নয়ন অবশ্যই টেকসই হতে হবে।
বাংলাদেশে শিগগিরই আন্তর্জাতিক সীফুড মেলা আয়োজন করা হচ্ছে জানিয়ে এ খাত সংশ্লিষ্ট জার্মান গবেষক, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সীফুড মেলায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান মন্ত্রী।