গবেষণা
তামাক নিয়ন্ত্রণকে এগিয়ে নিতে কারখানায় তদারকি আবশ্যক: গবেষণা
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের টোব্যাকো কন্ট্রোল জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় গ্রাফিক স্বাস্থ্য সতর্কতা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে তামাক শিল্পের হস্তক্ষেপ নিরীক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
‘বাংলাদেশে গ্রাফিক স্বাস্থ্য সতর্কীকরণের উন্নয়ন ও বাস্তবায়নকে দুর্বল করার জন্য তামাক শিল্পের হস্তক্ষেপ’ শীর্ষক গবেষণাটি বাংলাদেশে গ্রাফিক স্বাস্থ্য সতর্কতা (জিএইচডব্লিউ) বাস্তবায়নকে‘বিলম্বিত এবং দুর্বল’ করার জন্য তামাক শিল্পের প্রচেষ্টার ওপর সমীক্ষা চালায়।
প্রজ্ঞার পাঠানো একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গবেষণায় দেখা গেছে যে বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ) প্রক্রিয়াটিতে হস্তক্ষেপ করার ক্ষেত্রে কারখানার সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
আরও পড়ুন: ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সমীক্ষা অনুসারে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) সবচেয়ে সক্রিয় ছিল এবং একমাত্র কোম্পানি যেটি জিএইচডব্লিউ বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একা কাজ করেছিল।
গবেষণাটি বাংলাদেশ সরকারকে ডব্লিউএইচও এফসিটিসি আর্টিকেল পাঁচ দশমিক তিন নির্দেশিকা গ্রহণ করার এবং তাদের বাস্তবায়নকে নীতিগত অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে।
গবেষণাপত্রটির সহ-লেখক ছিলেন বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষণা গ্রুপের পরিচালক অধ্যাপক আনা বি গিলমোর; ডা. ব্রিটা কে ম্যাথস, বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষণা গ্রুপের গবেষণা সহযোগী; এবং বাংলাদেশ ভিত্তিক তামাক বিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি সংস্থা প্রজ্ঞা (নলেজ ফর প্রোগ্রেস) এর চারজন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনজীবী – এবিএম জুবায়ের, প্রোগা’র নির্বাহী পরিচালক, মো. হাসান শাহরিয়ার, প্রোগ্রামের প্রধান, মো. শাহেদুল আলম, অ্যাডভোকেসি প্রধান এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মিডিয়া ম্যানেজার মো. মেহেদী হাসান।
আরও পড়ুন: তামাক চাষ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী
শাবিপ্রবিতে গবেষণাবিষয়ক ১০ম বার্ষিক সম্মেলন শুরু
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত ‘ ১০ম বার্ষিক কনফারেন্স অন রিসার্চ ফাইন্ডিংস’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে।
শনিবার(২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ওপর নির্ভরশীল। স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আরও বেশি গবেষণা নির্ভর সম্মেলন, গবেষণার পরিধিগুলো আরও বৃদ্ধি করবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গবেষকদের বাজেট বৃদ্ধিতে,সুযোগ সুবিধা তৈরীতে পাশে আছে।
শাবি গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শাবি গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস.এম সাইফুল ইসলাম এবং ভোট অফ থ্যাংকস প্রদান করেন শাবি গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য অধ্যাপক ড. এ. জেড. এম মঞ্জুর রশীদ।
উল্লেখ্য, এবারের সম্মেলনে ১৬টি টেকনিক্যাল সেশনে সর্বমোট ১৪৪টি গবেষণাপত্র ও প্রকল্পের ফলাফল উপাস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো ২৭ শিক্ষার্থী পাচ্ছে ডিনস অ্যাওয়ার্ড
শাবিপ্রবিতে প্রকৌশল গবেষণা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৪৬ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে ২০২২ সালে: গবেষণা
গত বছর দেশের স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৪৬ জন স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
আঁচল ফাউন্ডেশনের সর্বশেষ সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
শুক্রবার প্রকাশিত সংস্থাটির গবেষণায় তারা দেখিয়েছে যে ৩৪০ জন স্কুলছাত্র এবং ১০৬ জন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ২০২২ সালে আত্মহত্যা করেছে।
গবেষণাটি ১৫০টিরও বেশি জাতীয়, স্থানীয় সংবাদপত্র এবং অনলাইন পোর্টালের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় চিরকুট লিখে ইন্টার্ন চিকিৎসকের আত্মহত্যা!
প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্কুল ও হাইস্কুল শিক্ষার্থী, ২৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ তাদের জীবন শেষ করেছে।
এরপরের অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম (১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ) ও রাজশাহী (১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ), খুলনা (১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ), রংপুর (৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ), বরিশাল (৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ), ময়মনসিংহ (৬ দশমিক ২৭ শতাংশ) এবং সিলেট (৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ)।
এছাড়াও ৮৫ জন বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫৪ জন মাদরাসা ছাত্র আত্মহত্যা করেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে দেখা যায় গড়ে প্রতি মাসে ৩৭ জন স্কুল এবং হাইস্কুল ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার তথ্যের একটি লিঙ্গ বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি (৬০ দশমিক ১৫ শতাংশ)।
আর স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যা করে ৬৩ দশমিক ৯০ শতাংশ মেয়ে। এবং আত্মহত্যাকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৪৪ শতাংশই মেয়ে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে দুই সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা!
আত্মহত্যার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আত্মহত্যাকারী স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত (২৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ), আবেগপ্রবণ জনিত সমস্যা (২৩ দশমিক ৩২ শতাংশ), পারিবারিক দ্বন্দ্ব (তিন দশমিক ১৪ শতাংশ), বিষণ্নতা (দুই দশমিক শূন্য এক শতাংশ), মানসিক সমস্যা (এক দশমিক ৭৯ শতাংশ) সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
এছাড়া আর্থিক সমস্যা (এক দশমিক ৭৯ শতাংশ), হয়রানি (এক দশমিক ৭৯ শতাংশ), এবং ধর্ষণ বা যৌন হয়রানির ঘটনা (এক দশমিক ৩৪ শতাংশ)।
আঁচল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামিরা আক্তার সিয়াম বলেন, ‘আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয় হল, ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। ‘ছোটবেলা থেকেই, মানসিক স্বাস্থ্য এবং আবেগ ব্যবস্থাপনার কৌশলগুলো বাড়িতে পরিবার, সামাজিক অবস্থান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখানো উচিত।’
আরও পড়ুন: ফেসবুকে 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন' স্ট্যাটাস দিয়ে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা
‘ইমিউনোলজিক্যাল মেমরি’ নিয়ন্ত্রণে ইমিউন সিস্টেমকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে: গবেষণা
দীর্ঘদিন ধরে গবেষকরা ক্যান্সার ও প্রদাহজনিত ব্যাধির মতো বিভিন্ন অসুস্থতার সময় মানবদেহে সংঘটিত প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য কাজ করেছেন।
ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি স্কুল অব মেডিসিনের একজন সহযোগী অধ্যাপক এমা টেক্সেইরো ও তার গ্রুপ সম্প্রতি কীভাবে ইমিউনোলজিক্যাল মেমরি তৈরি ও বজায় রাখা হয় এবং ইমিউনোলজিক্যাল মেমরি গঠনে প্রদাহ যে ভূমিকা পালন করে তা পরীক্ষা করেছেন। ইমিউনোলজিক্যাল মেমরি শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা সংক্রমণের বা টিকা দেয়ার পরে ধরে রাখে এবং পুনরায় সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি ক্যাম্পাসে নেক্সটজেন প্রিসিশন হেলথ ইনস্টিটিউটের একজন কর্মকর্তা টেক্সেইরো বলেন, ‘আমাদের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে। কিন্তু এটি একটি খুব জটিল সিস্টেম যেখানে অনেক মিথস্ক্রিয়া ঘটছে এবং যদি বিষয়গুলো অনিয়ন্ত্রিত হয় তবে এটি আসলে রোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করতে পারে।’তিনি আরও বলেন, ‘সুতরাং, আমাদের গবেষণাটি আরও ভালভাবে বোঝার ক্ষেত্রে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যে বিশেষত টি-কোষগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করে কীভাবে এই রোগ প্রতিরোধক প্রতিক্রিয়াগুলো তৈরি ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। টি-কোষ শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ক্যান্সার আক্রমণে ভূমিকা রাখতে পারে।’
আরও পড়ুন: ১১০ মিলিয়ন বছর বয়সী ডাইনোসরের জীবাশ্ম বলবে তাদের গল্প!
একটি মাউস মডেল ব্যবহার করে গবেষকরা প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়াগুলির বিভিন্ন স্ট্রেন তৈরি করেছেন যা টি-কোষের ভেতরে ইন্টারফেরন জিন বা স্টিং বা প্রোটিনের উদ্দীপকের মাধ্যমে প্রদাহের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। যদিও অনেক বিজ্ঞানী অনুমান করেছিলেন যে প্রদাহের এই বৃদ্ধির ফলে একটি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া হবে এবং তাই আরও শক্তিশালী ইমিউনোলজিক্যাল মেমরি দেখা যায়, তবে টেক্সেইরো ও তার দল এর বিপরীত বিষয় খুঁজে পেয়েছে। আর তা হল- ইমিউনোলজিক্যাল মেমরির কমে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
টেক্সেইরো বলেন, ‘এই ক্ষেত্রের কিছু বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে ক্যান্সারের ভ্যাকসিন বা ইমিউনোথেরাপির উন্নতির জন্য ‘স্টিং’ অ্যাক্টিভেশন লক্ষ্য করা যেতে পারে, তাই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি বা ক্ষতিকারক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা কমাতে খেলার সময় সমস্ত মিথস্ক্রিয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: বাঘ তাড়াবে আলোকরশ্মি!
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আরও ভালভাবে বুঝতে চাই কীভাবে ইমিউনোলজিক্যাল মেমরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়; যার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন বা ইমিউনোথেরাপির প্রভাব রয়েছে, যা টি-কোষকে এমনভাবে চালিত করে যে এর থেকে আশা করি- দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। তাই আমাদের শরীর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোগ থেকে রক্ষা পায়।’
যদিও তার গবেষণা প্রকৃতিতে মৌলিক, টেক্সেইরোর অনুসন্ধানগুলো ক্যান্সার, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি), শৈশবকালে সূচনার সঙ্গে স্টিং-সম্পর্কিত ভাস্কুলোপ্যাথি (এসএভিআই), হাঁপানি এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনক উপসর্গের রোগীদের সাহায্য করার জন্য আরও কার্যকর চিকিৎসার বিকাশে অবদান রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জ্ঞানের অন্বেষণই একজন বিজ্ঞানী হিসেবে আমার কৌতূহলকে তাড়িত করে। সঠিক দিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই গবেষণাটি ছোট একটি পদক্ষেপ এবং আমি এর অংশ হতে পেরে গর্বিত৷’
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই জানিয়েছে, সম্প্রতি বিষয়টি সম্পর্কিত একটি গবেষণা প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসে (পিএনএএস) প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাসার স্পেসএক্স মিশনের নভোচারীরা পৃথিবীতে ফিরছেন
চালের উৎপাদন বাড়াতে গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে চালের চাহিদা আরও বাড়বে। একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে কৃষি জমি কমছে। ভুট্টা, শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসলেও জমির ব্যবহার বাড়ছে।
তিনি বলেন, বাড়িতে যেসব ফসল হতো যেমন চালকুমড়া-তাও এখন মাঠে হচ্ছে। এসবের ফলে ধান চাষের জমি কমছে। এই জটিল পরিস্থিতিতে চালের উৎপাদন বাড়াতে হলে গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে।
একইসঙ্গে, উদ্ভাবিত জাতের দ্রুত সম্প্রসারণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ঋণপ্রাপ্তি সহজ করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
শনিবার সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবারের নিশ্চয়তা দিতে কাজ করছে। বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ফল উৎপাদনেও জমির ব্যবহার বাড়ছে। এ অবস্থায় সকল সংস্থা, বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদেরকে সমন্বিতভাবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
চালের বাম্পার উৎপাদনের পরও কেন দাম কমছে না, তার প্রকৃত কারণ খোঁজে বের করতে বস্তুনিষ্ঠ গবেষণার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ব্রির গবেষণায় আমরা অনেকগুলো কারণ খুঁজে পেয়েছি। ব্রির পাশাপাশি বিআইডিএস, সিপিডিসহ অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানকেও এ বিষয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, অতিথি হিসেবে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সভাপতিত্ব ও স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর।
তিনি জানান, আমনে বাম্পার ফলন হয়েছে। আগামী জুন পর্যন্ত চালের কোনও সংকট হবে না, বরং ৪২ লাখ টন উদ্বৃত্ত থাকবে।
এছাড়া ১৭ কোটি মানুষের চালের চাহিদার পাশাপাশি মানুষের বাইরে (নন-হিউম্যান) ভোগ ২৬ শতাংশকেও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
তারপরও বাজারে কেন চালের দাম কমছে না, তা জানতে ব্রি মাঠ পর্যায়ে গবেষণা করেছে।
ব্রির মহাপরিচালক জানান, গবেষণায় দেখা গেছে, চালকল মালিকেরা ও খুচরা বিক্রেতারা অতিরিক্ত মুনাফা করছেন। চালকল মালিকেরা কেজিতে ৮ থেকে ১৪ টাকা লাভ করছে। কৃষকের উৎপাদন খরচও কিছুটা বেড়েছে।
এছাড়া, কর্পোরেট গ্রুপগুলো চালের বাজারে প্রবেশ করে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: কৃষি উৎপাদনের কারণেই দেশ অনেকটা স্বস্তিতে: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির চাওয়ায় নির্বাচন হবে না, দেশও চলবে না: কৃষিমন্ত্রী
শিক্ষা, জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শিক্ষা, জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে।
এজন্য গবেষণায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এখনও বাংলাদেশ সম্পর্কে গুগলে সার্চ করলে অনেক ক্ষেত্রে দারিদ্রতার ছবি পাওয়া যায়। অথচ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অনেক উন্নয়ন ঘটে গেছে। সেগুলো অনেকে তুলে ধরেন না।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর ২০২২) বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি হলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট (বিএসটি) এর ২য় সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা সম্ভব।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ব্লিনকেনের চিঠি
এছাড়া বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশসহ অনেক দেশের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি করেছে।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট তাদের গবেষণা প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে এগুলো তুলে ধরবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) সাধারণ সভায় বিগত দিনের সংগঠনের কার্যক্রম পেশ করেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় আগামী দিনের কর্মসূচি বিষয়ে বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া।
ট্রাস্টের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে আব্দুল মোমেনের প্রস্তাবনায় ও সাধারণ সভায় উপস্হিত সকল সদস্যদের সর্বসম্মতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুণ-অর-রশীদকে চেয়ারম্যান, খ্যাতিমান সামাজিক সংগঠক, গবেষক ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর নির্বাহী সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীরকে সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহকারি প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান লিটুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত আব্দুল হান্নান ভাইস-চেয়ারম্যান, সোনালী ব্যাংকের পরিচালক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী ভাইস-চেয়ারম্যান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক, বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী শিপা হাফিজা ভাইস-চেয়ারম্যান, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া ভাইস-চেয়ারম্যান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) ভাইস-চেয়ারম্যান, দৈনিক ভোরের কাগজ-এর সম্পাদক শ্যামল দত্ত ভাইস-চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. জাহাঙ্গীর হাবিব উল্লাহ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, দি বাংলাদেশ ডাইরির সম্পাদক ও প্রকাশক ড.খান আসাদুজ্জামান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিল্টন বিশ্বাস শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, সমাজকর্মী ও গবেষক হেলাল উদ্দিন মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক, হিসাব টেকনোলজিস্ট-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহাদান হোসাইন ফারাবী অর্থ সম্পাদক, চিকিৎসা বিষয়ক গবেষক ডা. সামিয়া আহমদ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, সাংবাদিক আনহার সামশাদ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, তেজগাঁও কলেজের সহকারি অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ফ্যাশন ডিজাইনার বদরুন নাহার রক্সী দপ্তর সম্পাদক।
নির্বাহী সদস্যরা হলেন-পাওয়ারসেল-এর মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, সাবেক জেলা জজ মাহমুদ জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক ডীন প্রফেসর ড. নিলুফার নাহার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ চৌধুরী, প্রকাশক ও গবেষক মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলম, বিশিষ্ট সমাজসেবী আব্দুল খালিক, ফরাজী হাসপাতাল-এর ব্যবস্হাপনা পরিচালক ডা. মোক্তার হোসেন, সংগঠক ও গবেষক রোমানা আফরোজা, চ্যানেল এস-এর সিইও সুজিত চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: আন্তরিকতার অভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণায় বিশ্ব হার্ট ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণা ও স্বাস্থ্যখাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বিশ্ব হার্ট ফাউন্ডেশনের (ডব্লিউএইচএফ) সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর মৌলিক গবেষণা পরিচালনায় আমাদের সহায়তা করুন এবং আমাদের জনশক্তির বিকাশের জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণ দিন।’
শনিবার ডব্লিউএইচএফ-এর নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডা. জগৎ নারুলা গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জিয়াং জেমিনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য মৌলিক গবেষণাকে অত্যাবশ্যক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়নে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর গবেষণার ওপর অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।
তার সরকারের আমলে কৃষি খাতে গবেষণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফসল, দুধ, মাংস ও মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনসহ কৃষি খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের পেছনে মূলত গবেষণা রয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতের জন্য সরকারের পদক্ষেপের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হল স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া।
তিনি বলেন, তার সরকার ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করেছে, যেখানে ৩০ ধরনের বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার জন্য প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই বিভাগীয় সদরে পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, হৃদরোগ, কিডনি ও ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য তার সরকারি উদ্যোগে সরকারি ও বেসরকারি খাতে অনেক বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্য তাদের রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ওষুধ খাতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশ জীবনরক্ষাকারী সব ওষুধ উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করছে।
ডব্লিউএইচএফ-এর নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জগৎ নারুলা হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন, এই অগ্রগতিকে ‘চিত্তাকর্ষক অগ্রগতি’ বলে বর্ণনা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ.লীগের সমাবেশ: প্রধান অতিথির বক্তব্য দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রচুর প্রতিভাবান চিকিৎসক রয়েছে যাদের দক্ষতা বাড়াতে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রয়োজন।
বিখ্যাত এই কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমি আগামী জানুয়ারিতে ডব্লিউএইচএফ-এর দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছি এবং হৃদরোগ নিয়ে প্রথমে বাংলাদেশ, ভারত ও মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে কাজ করার লক্ষ্য আছে আমার।’
ডা. নারুলা অসংক্রামক রোগ সম্পর্কে মায়েদের সচেতন করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। কারণ তৃণমূলে দ্রুত এর সুবিধা পৌঁছে যাবে।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রায় ৫০ শতাংশ মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক রোগ, যার মধ্যে ১৭ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী হৃদরোগ।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মীর জামাল উদ্দিন বৈঠকে জানান, প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র ও অসচ্ছল হৃদরোগীদের জন্য ভাল্ব, স্টেন্ট ও পেসমেকার সংগ্রহের জন্য তার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে সাত কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত রোগীদের হার্টে ৩০০টি ভালভ, ৪৫০টি স্টেন্ট এবং ২৫০টি পেসমেকার স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর কার্ডিওভাসকুলার ইন্টারভেনশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম ফজলুর রহমান, জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর ব্রি. (অব.) আবদুল মালিক, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অধ্যাপক চৌধুরী হাফিজ আহসান, অধ্যাপক এমজি আজম ও অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ইতিহাস সৃষ্টি করবে: আ.লীগ
মানসিক রোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫% শিক্ষার্থী সচেতন: শাবিপ্রবির গবেষণা
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রায় ৬২ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। বাকি ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। তবে মানসিক রোগ সম্পর্কে সচেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একদল তরুণ গবেষকের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।চলতি বছরের ১৭
অক্টোবর ‘হেলিয়ন’ নামের একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান ও সচেতনতা’ শীর্ষক এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। শাবির পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে এ গবেষণা দলে ছিলেন একই বিভাগের চার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা হলেন মো. আবু বকর সিদ্দীক, মোসাদ্দিকুর রহমান অভি, তানভীর আহাম্মেদ ও মুহাম্মদ আব্দুল বাকের চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারকে যেভাবে সহযোগিতা করবে শাবিপ্রবি
অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘সাস্ট রিসার্চ সেন্টার’ এর অর্থায়নে দেশের ৯৬টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর ওপর অনলাইনে এই জরিপ চালানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য অবনতির কারণ হিসেবে গবেষকেরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অস্বাস্থ্যকর আবাসন ব্যবস্থা, অবাধ ও সমস্যাগ্রস্ত ইন্টারনেটের ব্যবহার, পড়াশুনার চাপ, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পারিবারিক চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা কম, কিন্তু সচেতনতা বেশি। ২২ বছরের অধিক বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে সচেতনতা রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে দেড় গুণ বেশি জানেন। আবার ব্যক্তিগত আয় ও পরিবার থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা পাচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান বেশি।
অন্যদিকে, শুধুমাত্র পরিবারের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা নিয়ে পড়াশোনাসহ যাবতীয় খরচ নির্বাহ করছেন এমন ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান সবচেয়ে কম।
গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী সামাজিক সমস্যাকে ও ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পরিবেশ দূষণকে (শব্দ দূষণ, উৎকট দুর্গন্ধ ইত্যাদি) মানসিক সমস্যার জন্য দায়ী করেছেন।
অন্যদিকে, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ছাত্র-ছাত্রী মনে করেন, মানসিক অসুস্থতার জন্য দায়ী মানুষের ভাগ্য কিংবা কালো যাদু। ৪০ শতাংশেরও বেশি শিক্ষার্থী মনে করেন, আধুনিক মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ধর্মীয় অনুশাসন মানসিক সমস্যার প্রতিকার করতে পারে।
আবার, ৯০ শতাংশেরও অধিক শিক্ষার্থীর মতে, পরিবারের সদস্যদের সহানুভূতি প্রদর্শন ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করে তুলতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক সুরক্ষার জন্য প্রথম বর্ষ থেকে ক্যাম্পেইন, ওয়ার্কশপ, সেমিনার এবং কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাইকোলজিস্ট নিয়োগ করা ও কুসংস্কারে বিশ্বাস না করে মানসিক রোগের জন্য মানসিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন বলে গবেষণায় মতামত দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ‘সি’ ইউনিটের গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শাবিপ্রবিতে সপ্তাহে ১ দিন অনলাইন ক্লাস
ইবি উপাচার্যের সঙ্গে তুরস্কের প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
তুরস্কের চানকিরি কারাতেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বুধবার ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অফিসের কনফারেন্স রুমে তারা এ সাক্ষাৎ করেন।
তুরস্কের প্রতিনিধিদলে সদস্যরা হলেন- ড. সারকান কোলডাস, ড. ইফেহান উলাস ও এইস নূর।
এসময় ইবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো.আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আতাউর রহমান, আইআইইআর-এর পরিচালক ও ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহা. মেহের আলী, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে যৌথ গবেষণা, ক্রেডিট ট্রান্সফার এবং গবেষণাগার উন্নয়নে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ গত ২৮ মে থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ এবং পরিসংখ্যান বিভাগের সঙ্গে শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ বিনিময় কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৫০ টাকায় কম্পিউটার বিক্রি, ইবির সেই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
ছাত্রাবাস থেকে ইবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জনপ্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের সঙ্গে বাংলাদেশের এমওইউ সই
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের (এইচকেএস) অ্যাশ সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে জনপ্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বুধবার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের অ্যাশ সেন্টারের পক্ষে অধ্যাপক ডগলাস ডব্লিউ এলমেনডর্ফ এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত এডিবির
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ড. কায়কাউস আশা প্রকাশ করেন যে, অ্যাশ সেন্টারের সঙ্গে সহযোগিতা বাংলাদেশের দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
মুখ্য সচিব আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ সরকার এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সম্পৃক্ততা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত ও গভীর হবে।
অধ্যাপক ডগলাস বলেন, এমওইউ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা জরুরি। তিনি সাম্প্রতিক অতীতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অর্জন, দেশের সক্রিয় ও বাস্তববাদী নীতি ও কৌশলের পাশাপাশি দেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: গ্রিন ট্রানসিশনে অংশীদারিত্ব জোরদারে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের ডকুমেন্ট সই