গবেষণা
শাবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের নতুন বিভাগীয় প্রধান হলেন অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ। অর্থনীতি বিভাগের ১৯তম বিভাগীয় প্রধান হিসেবে আগামী তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ‘ডি’এর অর্থনীতি বিভাগের গবেষণা কক্ষে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় বিদায়ী বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম জোয়ার্দার এবং নতুন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী আহতদায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের অর্থনীতি বিভাগের পরবর্তী চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন জানাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কর্মকান্ড প্রশংসনীয়। আমাদের এইসব শিক্ষার্থীদের কোয়ালিটি গবেষণার মান অনেক ভালো। আশা রাখছি বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নতুন বিভাগীয় প্রধান আরও সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।নতুন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ বলেন, বিভাগীয় প্রধান পদটি আমার জন্য একটি নতুন সংযোজন। এই বিভাগটি আমার। বিভাগের সার্বিক কল্যাণের জন্যে আমি সম্ভাব্য সবকিছু করতে সচেষ্ট থাকবো। এই দায়িত্ব সফলভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগীতা ও দোয়া চাই।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ভর্তি আবেদন রবিবার থেকে শুরুউল্লেখ্য, অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম ব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯৯৮ সালে শাবিপ্রবিতে অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। শাবিপ্রবি ছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রায় দুইবছর শিক্ষকতা করেন।
অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ শাবিপ্রবির একাডেমিক কাউন্সিলের নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি, দুইবারের শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে শাবিপ্রবির ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের দায়িত্বেও কর্তব্যরত আছেন।
রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে বিশ্ব বাজারের নতুন চাহিদা চিহ্নিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিশ্ব বাজারের নতুন চাহিদা চিহ্নিত করতে বলেছেন। তিনি বলেন, আমাদের বাজার গবেষণার মাধ্যমে খুঁজে বের করতে হবে যে আমরা আমাদের রপ্তানিকে আরও বেশি সচল করতে চাইলে কী কী নতুন পণ্য উৎপাদন করতে পারি।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১ ভার্চুয়ালি উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সংযুক্ত করার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যৌথভাবে মুজিব বর্ষ ও দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে একসাথে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, কোন দেশে কোন ধরনের পণ্যের চাহিদা আছে সেটা রপ্তানিকারকদের চিহ্নিত করতে হবে এবং উৎপাদক ও নির্মাতাদের সেসব পণ্য উৎপাদনের বিষয়ে ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, আমি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে, বিশেষ করে বেসরকারি খাতকে এই বিষয়ে যথাযথ মনোযোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। কারণ আমি মনে করি, আমাদের রপ্তানি আইটেমের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন দাবি রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে আমরা চাইলে যেকোনো কিছু উৎপাদন করতে পারি,আমার সেই আত্মবিশ্বাস আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখান থেকে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে তাদের পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন। তারা এই দেশগুলোর বাজার দখল ও পণ্য রপ্তানির সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন: স্বার্থান্বেষী মহল দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ভবিষ্যতে প্রাচ্য ও পশ্চিমের মধ্যে সেতুবন্ধনে পরিণত হবে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটি আমাদের ব্যবসা ও বাণিজ্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন,বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান,বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ,ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো.জসিম উদ্দিন ও ডিসিসিআই সভাপতি রিজার্ভ হোসেন প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে দেশের বাণিজ্য,ব্যবসা ও বিনিয়োগের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা ও মেঘনা নামে দুই বিভাগ চান প্রধানমন্ত্রী
ঢাবি’র দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ সত্য নয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি’র) দুই শিক্ষক সামিয়া রহমান ও সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের গবেষণা প্রবন্ধকে দুর্বল ও মানহীন বলে অভিহিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধান ট্রাইব্যুনাল। তবে প্রবন্ধে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
এ প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল বলেছে, ‘লেখকদ্বয় অভিযুক্ত প্রবন্ধটিতে প্রতি পাতায় ফুট নোট উল্লেখ করেনি। কিন্তু প্রতি প্যারায় উদ্বৃতির পূর্বে মিশেল ফুকো ও এডওয়ার্ড সাইদের নাম উল্লেখ করেছেন। এছাড়া প্রবন্ধটির শেষেও রেফারেন্সে মিশেল ফুকো ও এডওয়ার্ড সাইদের রেফারেন্স দিয়েছেন। প্রবন্ধের কোথাও মিশেল ফুকো ও এডওয়ার্ড সাইদের কোন উদ্বৃতিকে লেখকদ্বয় নিজের উদ্বৃতি বলে দাবি করেননি তাই তাদের কার্যক্রমকে সরাসরি চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত করা যায় না।’
এছাড়া ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্তের নামে যে সময়ক্ষেপণ করেছে সেটাও তাদের রিপোর্টে তুলে ধরেছে ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে দুই শিক্ষকের প্রবন্ধ নিয়ে অভিযোগ উত্থাপিত হয়। তদন্ত শেষ হয় ২০১৯ সালে এবং ট্রাইবুনাল গঠিত হয় ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। এতো দীর্ঘমেয়াদী তদন্তের ফলে এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করার সুযোগ পেয়েছে। একইভাবে অভিযুক্ত শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিডিয়া ট্রায়াল হয়েছে যা কখনো ন্যায় বিচারের জন্য কাম্য নয়। এত দীর্ঘসূত্রিতা মূলত ন্যায়বিচারকে পরাভূত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রেও বাঁধার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের ট্রাইব্যুালের প্রতিবেদনে এসব পর্যালোচনা তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই দুই শিক্ষকের পদাবনতির সিদ্ধান্ত জানায় ঢাবি’র সিন্ডিকেট। যার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সামিয়া রহমান। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দাখিল করতে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে ট্রাইব্যুনালের এই প্রতিবেদন দাখিল করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া রহমান ও মারজানের যৌথভাবে লেখা 'এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: এ কেস স্ট্যাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম' শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ' জার্নালে প্রকাশিত হয়। এটি ১৯৮২ সালের শিকাগো ইউনিভার্সিটির জার্নাল 'ক্রিটিক্যাল ইনকোয়ারি'তে প্রকাশিত ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর 'দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার' নামের একটি নিবন্ধ থেকে প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা হুবহু নকল বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এক লিখিত অভিযোগে মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই চুরির কথা জানিয়েছিল ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু
শুধু মিশেল ফুকোরই নয়, বুদ্ধিজীবী এডওয়ার্ড সাঈদের 'কালচার অ্যান্ড ইমপেরিয়ালিজম' গ্রন্থের পাতার পর পাতাও সামিয়া ও মারজান হুবহু নকল করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে গত বছর ওই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৯ অক্টোবর তাদের একাডেমিক অপরাধের শাস্তির সুপারিশ করতে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে আহবায়ক করে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শাস্তির বিষয়ে সুপারিশ জমা দিলে গত ২৮ জানুয়ারি সিন্ডিকেটের সভায় পদাবনতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এই সুপারিশের পরই শিক্ষক সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এবং প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানকে শিক্ষা ছুটি শেষে চাকরিতে যোগদানের পর দুই বছর একই পদে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সামিয়া রহমান হাইকোর্টে রিট করেন। এই রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত ৫ সেপ্টেম্বর সামিয়া রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় পদাবনতি দেয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে হাইকোর্ট সামিয়া রহমান সংক্রান্ত সব নথিও তলব করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন
সামিয়া রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, তলবের পরিপ্রেক্ষিতে সামিয়া রহমান সংক্রান্ত সব নথি ও অন্যান্য প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত আগামী রবিবার শুনানির দিন ঠিক করেছেন।
বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় মেহেরপুরের আব্দুর রশিদ
বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের কৃতি সন্তান ড. মো.আব্দুর রশিদ।আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা সংস্থা এডি সায়েন্টিফিক ইন্ডেক্স কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২১ সালের বিশ্বের বিজ্ঞানীদের শীর্ষ তালিকায় মর্যাদাপূর্ণ স্থান লাভ করেছেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি)-এর ফার্মাসি বিভাগের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের সাবেক এই অধ্যাপক।সংস্থাটি সারা বিশ্বের ২০৬টি দেশের ১৩ হাজার ৫৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত লাখেরও বেশি বিজ্ঞানীর সাইটেশন ও অন্যান্য ইনডেক্সের ভিত্তিতে গত ১০ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী এ তালিকাটি প্রকাশ করে। তালিকাটির ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগে ড. এম এ রশীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ উভয় ক্যাটাগরিতেই প্রথম স্থান অধিকার করেন। এমনকি এশিয়া ও বৈশ্বিক ক্যাটাগরিতেও তিনি যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান লাভ করেন।
আরও পড়ুন: পদার্থে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
অধ্যাপক এম এ রশীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদে দীর্ঘকাল অধ্যাপক ও ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০০৪ সালে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে যোগদান করেন।
তাঁর এ সম্মানজনক স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সংস্কৃতিগত ভাবেই বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকখানি পিছিয়ে আছে।
আরও পড়ুন: বিনা ও বিনা’র বিজ্ঞানীর আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের চেষ্টার পাশাপাশি গবেষণার উপরও আমাদেরকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আর এ ধরনের স্বীকৃতি অবশ্যই আমাদের গবেষকদেরকে অধিকতর উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে।অধ্যাপক রশীদ বলেন, মৌলিক গবেষণা ব্যতীত কখনোই এবং কিছুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ের উচ্চতর শিক্ষা পূর্ণঙ্গতা পেতে পারে না। তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে গর্ববোধ করি। আর মেহেরপুরের সন্তান হিসেবেও গর্বিত।
খাদ্য অপচয় বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সবাইকে খাদ্য অপচয় বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। কেননা বিশ্বের অনেক দেশ দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, খাবার নষ্ট করা কমাতে হবে। পৃথিবীর একদিকে খাদ্যের অভাব এবং অন্যদিকে ভারী অপচয়। এক্ষেত্রে কোনও খাদ্য নষ্ট করা উচিত নয়।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত বিশ্ব খাদ্য দিবসের এক অনুষ্টানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্ব খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ-ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি,আর ভালো পরিবেশই উন্নত জীবন।’
প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রতি অতিরিক্ত খাবারের পুনব্যবহারের বিষয়ে চিন্তা করার এবং এ বিষয়ে গবেষণা চালানোর আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ কখনো যেনো খাদ্য সংকটে না পড়ে এবং কেউ দেশকে যাতে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য তিনি সকলকে সতর্ক থাকতে বলেন। তিনি বলেন,সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা খাদ্যের চাহিদা পূরণ করব এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’
আরও পড়ুন: উঁচু ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশে খাদ্য সংকট থাকবে না কারণ সরকার এ বিষয়ে অসংখ্য কর্মসূচি ও প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
গবেষণার গুরুত্বকে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গবেষণার কাজগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন কারণ এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।’
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের অর্জন তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা বিশ্বের সেরা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের আবাদযোগ্য জমি রক্ষার জন্য ভূমি জোনিং ব্যবস্থা চালু করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই উন্নয়ন করব কিন্তু আবাদি জমি সংরক্ষণ করে।’
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের আদর্শ: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময় দেশ যাতে খাদ্য উৎপাদনে পিছিয়ে না থাকে সেজন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য পুষ্টির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এজন্য আমরা প্রোটিন উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়েছি।
গত ১২ বছরে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ খাদ্য সামগ্রী রপ্তানি করবে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এস এম রেজাউল করিম এবং কৃষিমন্ত্রীর সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে দেশের খাদ্য উৎপাদন সংক্রান্ত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু পুরস্কার: নভেম্বরে প্যারিস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
এসময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কৃষি নিয়ে একটি বইয়ের মোড়ক এবং বিআইআরআরআই বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধান ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০’ দিয়ে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি উন্মোচন করেন।
ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ প্রতিবেদন প্রকাশ হুয়াওয়ে’র
আগামী দশকের প্রবণতাগুলো সম্পর্কে জানতে ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হুয়াওয়ে। শিল্পখাতের অংশীদারদের অংশগ্রহণে চীনের শেনজেনে ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ ফোরামে হুয়াওয়ের আইসিটি প্রোডাক্টস অ্যান্ড সল্যুশনের নির্বাহী পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট ডেভিড ওয়্যাং প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।
পরবর্তী দশকের ইনটেলিজেন্ট বিশ্ব ও শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট পূর্বাভাস জানাতে হুয়াওয়ে এ প্রতিবেদন তৈরির জন্য প্রথমবারের মতো কোয়ান্টেটিভ ও কোয়ালিটেটিভ মেথড ব্যবহার করেছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে ‘প্রাইম মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড’ পেলো হুয়াওয়ে
গত তিন বছরে হুয়াওয়ে এক হাজারেরও বেশি একাডেমিক, ক্রেতা ও শিল্পখাতের অংশীদারদের সাথে বিস্তৃত পরিসরে কাজ করেছে। এরই অংশ হিসেবে দুই হাজারেরও বেশি কর্মশালা আয়োজন করেছে এবং জাতিসংঘ, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর তথ্য ও পদ্ধতি ব্যবহার করেছে।
এছাড়াও এ প্রতিবেদন তৈরির জন্য হুয়াওয়ে নেচার ও আইইইই এর মতো বৈজ্ঞানিক জার্নাল থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়েছে এবং শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কনসাল্টিং ফার্মসহ হুয়াওয়ের নিজস্ব ও বাইরের বিশেষজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিয়েছে। এমন সামগ্রিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে হুয়াওয়ে ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে, যা পরবর্তী দশকের আইসিটি প্রযুক্তি ও এর ব্যবহারিক প্রবণতাগুলো সম্পর্কে অগ্রিম বার্তা দিবে বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
প্রতিবেদনে ম্যাক্রো স্তরে অনুসন্ধানের জন্য আটটি ক্রস-ডিসিপ্লিনারি ও ক্রস-ডোমেন নির্দেশনা প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে আইসিটি প্রযুক্তি কীভাবে মানুষের উন্নয়নের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এবং এটি কীভাবে প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে নতুন সম্ভাবনা বয়ে আনতে পারে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে শিল্প পর্যায়ে কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক, কম্পিউটিং, ডিজিটাল পাওয়ার ও ইনটেলিজেন্ট অটোমেটিভ সল্যুশন এ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা ও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
এ বিষয়ে হুয়াওয়ের আইসিটি প্রোডাক্টস অ্যান্ড সলিউশনের নির্বাহী পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট ডেভিড ওয়্যাং বলেন, ‘৩০ বছর আগে আমরা যোগাযোগের মাধ্যমে জীবনকে সমৃদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ১০ বছর আগে একটি উন্নত ও সংযুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে আমরা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তকে কানেক্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমানে আমাদের লক্ষ্য হলো একটি সম্পূর্ণ সংযুক্ত ইনটেলিজেন্ট বিশ্বের জন্য প্রতিটি ব্যক্তি, ঘর ও প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস, খুব দ্রুতই আমরা একটি ইনটেলিজেন্ট বিশ্বে বাস করবো।’
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ফিউচারিস্ট স্টিভেন জনসন, ওয়ার্ল্ড ইলেকট্রিক ভেহিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ফাউন্ডিং ও রোটেটিং চেয়ারম্যান চেন কিংকুয়ান, রোল্যান্ড বার্গ গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির কো-প্রসিডেন্ট ডেনিস ডেপক্স ও চায়না একাডেমি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির (সিএআইসিটি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়্যাং ঝিকিনসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ ফোরামের মাধ্যমে হুয়াওয়ে প্রথমবারের মত পরবর্তী দশক সম্পর্কে তাদের অত্যাধুনিক গবেষণা ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি ও ট্রিপল ক্যামেরার বাজেট ফোন এ১৬
এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই ভ্যাকসিন নীতিমালা
এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণে দেশে শিগগিরই ভ্যাকসিন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি জোরদারকরণ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান মন্ত্রী।প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীসেমিনারে মন্ত্রী বলেন, ‘খুব শিগগিরই কারিগরি কমিটি গঠন করে ভ্যাকসিন নীতিমালা প্রণয়নের কাজ হাতে নেয়া হবে। যে ভ্যাকসিন আমাদের দেশে উৎপাদন হচ্ছে সে ভ্যাকসিনের মান আরও উন্নত করে এর পরিসর বাড়ানো হবে। যে সব রোগের ক্ষেত্রে আরও ভ্যাকসিনেশন দরকার সে সব রোগের ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়ানো হবে। আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। প্রয়োজনে আরও বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা হবে।’মেধাবী জাতি তৈরিতে পুষ্টিমানসমৃদ্ধ খাবার দরকার। সেক্ষেত্রে মাংস, মাছ, দুধ, ডিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ পণ্যগুলো যদি গুণগত মানসম্পন্ন না হয়, শুধু উৎপাদন বাড়িয়ে মেধাবী জাতি সৃষ্টি করা যাবে না। সে জন্য মানসম্পন্ন পণ্য তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি। আমাদের আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার রয়েছে, এর পরিসর আরও বাড়ানো হবে। কী কী প্রক্রিয়ায় গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা যায়, সে বিষয়গুলোও গভীরভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’-যোগ করেন মন্ত্রী।এ সময় তিনি বলেন,‘প্রাণিসম্পদ খাতকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ করতে চাই। এ খাত বেকারত্ব দূর করায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে, মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখছে, খাবারের একটি বড় যোগান দিচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখতে ভূমিকা রাখছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রেও এ খাত একটি বড় ধরনের সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করবে। এ খাতকে আমরা যত সমৃদ্ধ এবং গুণগত মানে উন্নত করতে পারবো, এ খাত ততই আমাদের কল্যাণ বয়ে আনবে।’
আরও পড়ুন: সারা দেশে খাঁচায় মাছ চাষকে উৎসাহিত করছি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীএভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কঠোর অবস্থানে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও যোগ করেন, ‘একসময় দেশে বার্ড ফ্লু নিয়ে শঙ্কিত অবস্থা ছিল। সেখান থেকে অমাদের উত্তরণ হয়েছে। প্রতিবেশি দেশ থেকে কোনভাবে যেন বার্ড ফ্লু সংক্রমণ ঘটাতে না পারে সে জন্য সীমান্তে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। জুনোটিক রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি জায়গায় প্রতিটি স্তরে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে।’তিনি বলেন, ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে যার যার অবস্থান থেকে গুণগত সামর্থ্য কাজে লাগাতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতামত ও পরামর্শের আলোকে প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি’-জানান মন্ত্রী।প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল জলিল ও এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা।
আরও পড়ুন: প্রকল্পে অনাকাঙ্ক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীসেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম ও বিএলআরআই-এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলমসহ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বিএলআরআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানী, গবেষক ও উদ্যোক্তারা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২৭৫
দেশে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৭৫ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। নতুন রোগীদের মধ্যে ২২০ জন ঢাকায় এবং বাকি ৫৫ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগের বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেল্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এক হাজার ২৩৩ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৭৪ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর প্রকোপ: আরও ৩১৫ জন হাসপাতালে
জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার ৯১ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১০ হাজার ৮০৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এর মধ্যে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ৫২ টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে ছাদ বাগানিদের সতর্ক হতে বললেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সজাগ থাকতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশ ও বিদেশের ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে যেন ১৫ আগস্টের মত নৃশংস ঘটনা বাংলাদেশের মাটিতে কখনো না ঘটে।
তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও থেমে নেই। অথনৈতিক উন্নয়ন ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের অভাবনীয় সাফল্যের ফলে শত্রুর সংখ্যা বাড়তে পারে এবং তাদের মোকাবিলায় সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণার বিষয়েও সকলকে সচেতন থাকতে হবে।’
আরও পড়ুনঃ বঙ্গমাতার আদর্শ ও আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো অত্যন্ত সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর সব সময় গুরুত্বারোপ করতেন।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও আদর্শ এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব ও অর্জনের বিষয়ে গবেষণার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুনঃ দেশে টিকার কোন সংকট নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করার মাধ্যমে আমরা সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারব। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মানুষের সেবায় একাগ্রচিত্তে নিজেকে নিয়োজিত করেন। মানুষের অধিকার আদায়ে তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সকল ধরণের বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সবসময় জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করেছেন এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রাতিষ্ঠানিক অর্জনের ওপর জোর দিয়েছেন। মানুষের প্রতি ভালোবাসার জন্য বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়ে অক্ষয় হয়ে আছেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়েছেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, ‘১৯২৮ সালে কলকাতায় সংবর্ধনা প্রদানের সময় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে যদি কোন সংগ্রাম করে এবং কিছু অর্জন করতে চায় তবে তারা অবশ্যই তা অর্জন করতে পারবে। সে সময়ের প্রায় ৪৩ বছর পরে স্বাধীন সার্বভৌম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু তা প্রমাণ করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ সিনোফার্মেরর সাথে যৌথ টিকা উৎপাদনে সমঝোতা স্মারক প্রস্তুত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও জনগণকে সাথে নিয়ে দেশের উন্নয়ন তথা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন। বিশ্বে সংঘাত দূর করে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতি চালু করেছেন। টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে বিশ্বে কেউ উদ্বাস্তু হবে না।
ড. মোমেন করেন, সম্প্রতি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনন্য মানবিক গুণাবলীর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং নারী ক্ষমতায়নে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন বিশ্ব নেতারা।
আরও পড়ুনঃ সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য দেন।
বরিশালের সিভিল সার্জন সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত
করোনা প্রতিরোধে টিকা নিয়েও বরিশাল জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী মুর্শিদা বানু করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুনঃ চার মাস পর খুলনায় সর্বনিম্ন মৃত্যু
তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি পোষ্ট দিয়ে দোয়া চেয়ে লিখেছেন, ‘আমার ফেসবুক বন্ধুরা আপনাদের আজ (১১/০৮/২০১) একটা দুঃসংবাদ দিচ্ছি। আমার ও আমার সহধর্মিণীর করোনা পজিটিভ এসেছে। সবার কাছে দোয়া চাই। সবার প্রতি অনুরোধ আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করুন। সম্ভব হলে ঘরেই অবস্থান করুন।’
আরও পড়ুনঃ বরিশালে বিভাগে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ মৃত্যু
উল্লেখ্য, করোনার টিকা নেওয়া হলেও করোনায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু টিকা নেওয়া হলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায়, যা চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি গবেষণায় উঠে এসেছে।