গবেষণা
জামালপুরের কালিতলা নৌরুটে ফেরি সার্ভিস শুরু
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ১২ আগস্ট উদ্বোধন হতে যাচ্ছে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জের জামথল-বগুড়ার সারিয়াকান্দি কালিতলা নৌরুটে যমুনা নদীতে ফেরি সার্ভিস। নৌপথটি চালু হলে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ হয়ে রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথে দূরত্ব কমবে ৮০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার জামথল নৌঘাটে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।
আরও পড়ুনঃ শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ
গত কয়েকদিন আগে এপথে ফেরি চালুর জন্য ফেরিঘাট নির্মাণ, সড়ক যোগাযোগ স্থাপন, নাব্যতা ফেরাতে নদী খননসহ নদী সংস্কার ও উন্নয়নকাজে প্রকল্প গ্রহণের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল মাদারগঞ্জ ও সারিয়াকান্দি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডাব্লিউএম) কারিগরি বিশেষজ্ঞ দলের দুই সদস্যের প্রতিনিধি ফেরি চালুর সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা যাচাই করেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন আইডাব্লিউএমের পরামর্শক মো. মহিউদ্দীন পাটোয়ারি।
মহিউদ্দীন পাটোয়ারি সাংবাদিকদের জানান, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সড়ক যোগাযোগে দূরত্ব কমাতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ হয়ে যমুনায় ফেরি সার্ভিস চালুর দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা চলছে। প্রথমে বাহাদুরাবাদ-গাইবান্ধার বালাসি নৌপথে ফেরি চালুর পরিকল্পনা ছিল। পরে সেই পরিকল্পনা আর এগোয়নি। এখন নতুন করে মাদারগঞ্জ-সারিয়াকান্দি ১৬ কিলোমিটার নৌপথে ফেরি চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা, আহত ২০
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, ‘যমুনার এ নৌপথে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি সার্ভিস চালুর চেষ্টা করে আসছিলাম প্রায় ৫ বছর ধরে। অবশেষে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ এ নৌপথের নাব্যতা ও নানান সমীক্ষা শেষে ফেরি সার্ভিসে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়। এতে বগুড়া ও জামালপুর জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আপাতত মাদারগঞ্জের জামথল ঘাট ও সারিয়াকান্দির কালিতলা ঘাটের মধ্যে যাত্রী ও ছোট গাড়ি পারাপারের মধ্য দিয়ে এই ফেরি সার্ভিস চালু হচ্ছে।‘
আরও পড়ুনঃ বাংলাবাজার ফেরি ঘাটে পদদলিত ও হিট স্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু
স্থানীয় সী-ট্রাকের (ফেরি) ইজারাদার জাহিদুর রহমান উজ্জ্বল তালুকদার জানান, মাদারগঞ্জ উপজেলার জামথল থেকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি খেয়াঘাট রুটে সি-ট্রাক চালু হলে ২-৩ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে। এক ঘণ্টার এ রুটে চলাচলকারী সী-ট্রাকে এক সাথে ২০০ যাত্রী, ২-৩টি প্রাইভেট কার, ১৫টি মোটরসাইকেল পারাপার করা সম্ভব হবে। এতে জনপ্রতি ভাড়া হবে ১০০ টাকা। ফেরী দিনে ৪ বার আসা-যাওয়া করবে।
চট্টগ্রামে ৯৩ শতাংশ রোগীর দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত: গবেষণা
চটগ্রামে বর্তমানে ৯৩ শতাংশ করোনা রোগীই উচ্চ সংক্রমণশীল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। নগরী ও গ্রামে ডেল্টার সংক্রমণ সমানভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমিত রোগীর মধ্যে আছেন তরুণ, যুবক, মধ্যবয়সী ও বৃদ্ধ।
করোনা রোগীর জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনের পর শুক্রবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান গবেষণা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)।
আরও পড়ুনঃ দেশে করোনা আক্রান্তদের ৯৮ শতাংশ ডেল্টায় সংক্রমিত: বিএসএমএমইউসম্প্রতি সিভাসু এবং ঢাকা বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ যৌথভাবে এ গবেষণাটি সম্পন্ন করেছে। গবেষণায় দেখা যায়, ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট শহর ও গ্রামে সমানভাবে ছড়িয়েছে। ৩০ জনের মধ্যে ২৮ জনই করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। অবশিষ্ট দুজন রোগীর একজন যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্ট এবং অপরজন চীনের উহানের একটি ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন।চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে ১৫ জন ও উপজেলা থেকে ১৫ জন করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে এমন তথ্য দেন তারা। দ্রুত ছড়াতে পারে একজন থেকে অন্যজনে।আক্রান্ত ৩০ জনের মধ্যে নগরীর ১৪ জন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ও নগরীর বাইরে ১৪ জন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত শতভাগ শিশুর দেহে ডেল্টা ধরন
সিভাসুর উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের তত্ত্বাবধানে ‘কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন’ শীর্ষক এই গবেষণায় পোলট্রি রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টার (পিআরটিসি) সহযোগিতা করে।
ড. গৌতম বুদ্ধ বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত সংক্রামক। এটি এখন দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রভাবশালী স্ট্রেইন। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যখন কাউকে আক্রান্ত করে তখন তার শরীরে সেই ভাইরাসটি সংখ্যায় অনেক বেশি থাকে। অর্থাৎ, ভাইরাসটি খুব দ্রুত তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে। যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি থেকে অধিক সংখ্যক ভাইরাস বেরিয়ে আসে, যা সহজেই অন্যকে আক্রান্ত করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে করোনায় প্রাণ গেল আরও ১৭ জনেরতিনি আরও বলেন, ১ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১৫ জন রোগী ও আক্রান্ত ১৫ জন যারা হাসপাতালে আসেননি এমন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করেছি। এদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ১২ জন নারী আছেন। ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের আক্রমণ প্রথমে সীমান্তবর্তী জেলায় ও পরে ঢাকায় শুরু হয়েছিল। চট্টগ্রামে দু-একজন রোগী পাওয়া গেলেও বর্তমান ঢেউয়ের জন্য কোন ভ্যারিয়েন্ট দায়ী তা জানা যাচ্ছিল না। আমরা মূলত গবেষণা করে সেটিই বের করেছি। এটি চিকিৎসক ও করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হবে বলে আমার বিশ্বাস।‘
গবেষণায় ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে সাত জন শিক্ষক অংশ নেন।
করোনা: মারা গেলেন সিকৃবির ড. আজমুল হুদা
করোনা আক্রান্ত হয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আজমুল হুদা মারা গেছেন।
বুধবার সিলেট নগরীর পার্ক ভিউ মেডিকেল সেন্টারের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুনঃ করোনায় মারা গেলেন সাবেক এমপি খুররাম খান
ড. আজমুল হুদা সিলেট কৃষি বিশ্বব্যিালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকেই কৃষি অনুষদে শিক্ষকতা শুরু করেন। তার দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি বিভাগীয় প্রধান, সহকারী হল প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। কৃষি জমি ও ফসলি মাটি নিয়ে তার বেশকিছু গবেষণাও রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনায় মারা গেলেন আ’ লীগের সংসদ সদস্য সামাদ
এদিকে অধ্যাপক আজমুল হুদার মৃত্যুতে সিকৃবি ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। পাশাপাশি শোক প্রকাশ করেছে শিক্ষক সমিতি, অফিসার পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ।
মরহুমের মরদেহ তার নিজ বাড়ি জামালপুরে সমাহিত হবার কথা রয়েছে।
কৃষির উন্নয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহবান কৃষিমন্ত্রীর
কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরের জন্য গবেষণা, উদ্ভাবন ও জ্ঞানবিনিময়ের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহবান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ।মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি ইটালির রোমে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী জাতিসংঘের ফুড সিস্টেম প্রিসামিটের ‘খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বিজ্ঞানের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো’ শীর্ষক সেশনে যোগ দিয়ে এ আহবান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ ফুড সিস্টেম শক্তিশালী করতে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন: কৃষিমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক কৃষিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত সংগঠন সিজিআইএআর ও আন্তর্জাতিক কৃষক সংগঠন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। বিজ্ঞানের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে গবেষণা ও উদ্ভাবনে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো ধান, গম, ভুট্টা, ফল ও শাকসবজির অনেকগুলো উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।
আরও পড়ুনঃ শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তা সারা বিশ্বে এক অনন্য নজির: কৃষিমন্ত্রী
ধানের জাত উদ্ভাবনের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ব্রি ১০০টিরও বেশি ধানের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে। যার মধ্যে ২৬টি জাত বন্যা, খরা, লবণাক্ততাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতসহিষ্ণু। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিনা ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বারিও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতসহিষ্ণু ধান ও অন্যান্য ফসলের বেশ কিছুজাত উদ্ভাবন করেছে। এছাড়া, দেশের বিজ্ঞানীরা বিশ্বে প্রথম জিংকসমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে।ইরি, সিমিট, ওয়ার্ল্ডফিশ, ইফরি, সিআইপিসহ সিজিআইএআরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ গত ৫০ বছর ধরে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা, চলমান কোভিডসহ নানান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মিলিত সহযোগিতা ও প্রচেষ্টা প্রয়োজন। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ চালের উৎপাদন বেড়েছে চার গুণেরও বেশি: কৃষিমন্ত্রীজাতিসংঘের ফুড সিস্টেম সামিটে সিজিআইএআরের বিশেষ প্রতিনিধি কানায়ো এনওয়ানজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইথিওপিয়ার কৃষি প্রতিমন্ত্রী ফিকরু রিগাসা, মেক্সিকোর কৃষিমন্ত্রী ভিক্টর ভিল্লালোবোস, সিজিআইএআরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্লদিয়া সাদোফ, আন্তর্জাতিক কৃষক সংগঠনের মহাসচিব অ্যারিয়ানা জিওলিওদোরি, ২০২১ সালের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ বিজয়ী শকুন্তলা থিলস্টেড প্রমুখ বক্তব্য দেন।উল্লেখ্য আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের ‘ফুড সামিট ২০২১’ কে সামনে রেখে এ প্রাক-সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৪৫ টির বেশি দেশ এতে অংশগ্রহণ করছে। সম্মেলনটি শেষ হবে ২৮ জুলাই।
বয়স্কদের শরীরে চীনা টিকার কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্ন!
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে চীনের তৈরি করোনাভাইরাসের সিনোফার্ম টিকার কার্যকরিতা বয়স্কদের শরীরের অনেকটাই কম। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশ তাদের বয়স্ক-ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকদের এই টিকার আওতায় এনেছে, কিন্তু এই গবেষণা এই টিকা কার্যক্রমকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে।
সম্প্রতি দুই হাঙ্গেরিয়ান গবেষক ৪৫০ জন টিকা প্রাপ্ত মানুষের রক্তের নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে এই গবেষণা পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: সিনোফার্মের টিকা পাওয়া যাবে আগের চেয়ে কম দামে
সিনোফার্মের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়ার দুই সপ্তাহ পার হবার পর এসকল নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের গবেষণায় দেখা যায়, ৫০ বছরের নিচের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের শরীরের প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে।
কিন্তু পঞ্চাশোর্ধ মানুষের শরীরের টিকার কার্যকরিতা কম লক্ষ করা যায়। বিশেষ করে আশি বছরের বেশি প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের শরীরের কোনও প্রকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে যৌথ টিকা উৎপাদনে সম্মত রাশিয়া: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গবেষণাটি চলতি সপ্তাহে অনলাইনে প্রকাশ করা হলেও, এখন পর্যন্ত কোনও গবেষণা সংস্থা বা গবেষকের দ্বারা এর পর্যালোচনা প্রকাশিত হয়নি। তবে তিনজন বহিরাগত বিশেষজ্ঞ জানান, চীনের তৈরি সিনোফার্ম টিকার কার্যকারিতা নিয়ে এই গবেষণার কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে তাদের কোনও আপত্তি নেই।
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট জিন ডং-ইয়ান এই গবেষণা ফলাফল সম্পর্কে বলেন, ‘এটা খুবই আশঙ্কাজনক বিষয় যে, করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বয়স্কদের শরীরে সিনোফার্ম টিকার কার্যকারিতা কম।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি: দোরাইস্বামী
চীনের পেকিং ইউনিয়ন মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ওয়াং চেংগুয়াং জানান, এই গবেষণা পরিচালানার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত টেস্ট কিটের কারণে ফলাফলে তারতম্য ঘটতে পারে। তবে, বয়স্কদের মধ্যে এই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে এটাই প্রথম কোনও গবেষণা যার ফলাফল জনগণের কাছে প্রকাশ পেয়েছে।
তবে এই গবেষণার বিষয়ে কোনও প্রকার মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন। তাদের মতে, এই ব্যাপারে সরকার বা নির্দিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকেই মতামত জানানো হবে।
অন্যান্য টিকার স্বল্পতার কারণে করোনা মোকাবিলায় বর্তমানে বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশ চীনের সিনোফার্ম টিকা ব্যবহার করছে।
এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে রিয়েলমি সি২১
আরও একধাপ এগিয়ে গেল তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। সম্প্রতি বাংলাদেশে অবস্থিত কারখানায় স্থানীয়ভাবে সম্পূর্ণ ‘মেড ইন বাংলাদেশ’স্মার্টফোন প্রস্তুত করছে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি।
বাংলাদেশে রিয়েলমি’র অফিশিয়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে। তাদের পণ্যগুলো দেশে সেমি নকড-ডাউন (এসকেডি) পদ্ধতিতে অ্যাসেম্বল করা হয়। কিন্তু রিয়েলমি সি২১ তাদের প্রথম স্মার্টফোন যেটি কমপ্লিটলি নকড-ডাউন (সিকেডি) প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সম্পূর্ণভাবে দেশে তৈরি করা হয়েছে। দেশের বাজারে সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানের কোয়ালিটি সনদপ্রাপ্ত রিয়েলমি সি২১-এর উৎপাদন দুর্দান্ত একটি মাইলফলক। ক্রেতাদের কাছে সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন স্মার্টফোন পৌঁছে দিতে কঠোর মান নিরীক্ষার মাধ্যমে রিয়েলমি সি২১ স্মার্টফোনটি তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিভো কিনলেই লাখ টাকা পুরস্কার!
আট মাস ধরে গবেষণা এবং পরীক্ষার পরে টিইউভি রাইনল্যান্ড ও রিয়েলমি যৌথভাবে টিইউভি রাইনল্যান্ড স্মার্টফোন হাই-রিলায়েবিলিটি সার্টিফিকেশন তৈরি করে। টিইউভি রাইনল্যান্ড স্মার্টফোন হাই-রিলায়েবিলিটি সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া ড্রপ, ওয়ার ও টিয়ারের মতো দশটি দৈনিক ব্যবহৃত নিরীক্ষা, চরম তাপমাত্রা, চরম আর্দ্রতা, ভোল্টেজের ওঠানামা, বাটন লাইফ, স্ট্যাটিক বিদ্যুৎ, বায়ুচাপ সহ সাতটি চরম পরিবেশ নিরীক্ষা এবং ছয়টি উপাদান নির্ভরযোগ্যতা নিরীক্ষা সহ মোট ২৩ টি পরীক্ষার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: রিয়েলমির ‘৫জি একাডেমি’ চালু
অন্যদিকে, রিয়েলমি সি২১ হলো সর্বপ্রথম রিয়েলমি-এর এন্ট্রি-লেভেল অলরাউন্ডার ফোন যা টিইউভি রাইনল্যান্ড হাই রিলায়েবিলিটি কোয়ালিটি সনদপ্রাপ্ত। এতে আছে ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি যা রিভার্স চার্জিংকে সমর্থন করে। হেলিও জি৩৫ ১২ ন্যানোমিটার অক্টা-কোর ৬৪বিটস প্রসেসর সমৃদ্ধ রিয়েলমি সি২১-এ আছে ১৩ মেগাপিক্সেলের এআই ট্রিপল ক্যামেরা এবং তাৎক্ষণিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। এর ১৩ মেগাপিক্সেলের ইমেজ সেন্সর সম্বলিত প্রাইমারি ক্যামেরার সাথে আছে এফ/২.২ এর বড় অ্যাপারচার যা অল্প আলোতেও পরিষ্কার, উজ্জ্বল ছবি তুলতে সক্ষম। এছাড়া, এটি পিডিএএফ সমর্থন করে, যা ফোকাসকে আরও দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট করে তোলে। এই ফোনের ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরার সাহায্যে নিখুঁত সেলফি তোলা যায়।
রিয়েলমি সি২১ দুটি ভ্যারিয়েন্টে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এর ৩+৩২ জিবি ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া যাচ্ছে ১০,৯৯০ টাকায় এবং ৪+৬৪ জিবি ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১১,৯৯০ টাকায়। সম্পূর্ণ বাংলাদেশে তৈরি এ আকর্ষণীয় স্মার্টফোনটি কিনতে আগ্রহীরা ভিজিট করুন-https://cutt.ly/realme_BrandShop ।
আরও পড়ুন: বাজারে এলো সাশ্রয়ী ৫জি স্মার্টফোন রিয়েলমি ৮ ৫জি
স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন তৈরি ছাড়াও, আগামী ৩ বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ৫জি স্মার্টফোন সরবরাহের লক্ষ্যে, তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি ৫জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। রিয়েলমি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সাথে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি আরও অনেক এআইওটি পণ্য তরুণ ক্রেতাদের জন্য বাজারে নিয়ে আসবে। ৫জি প্রযুক্তির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং সবার জন্য ৫জি নিশ্চিত করতে রিয়েলমি আগামী দিনে আরও বেশি বেশি স্মার্ট ডিভাইস বাজারে নিয়ে আসবে।
নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না: আইসিডিডিআর,বি
বাংলাদেশে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না বলে আইসিডিডিআর,বি ও ম্যাসাচুসেটস জেনেরাল হসপিটালের (এমজিএইচ) যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক এ.কে.এম. তারিফুল ইসলাম খানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইসিডিডিআর,বি এবং ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল (এমজিএইচ)- এর এক গবেষণাতে দেখা গেছে, বাংলাদেশে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে রোগজীবাণু প্রতিরোধী হয়ে উঠছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই সেটা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন : ঢাকায় ৭১ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি: আইসিডিডিআরবি
আইসিডিডিআর,বি-এর নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস ডিভিশনের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. মোহাম্মদ জোব্বায়ের চিশতি এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন।
ড. চিশতি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত অ্যান্টিবায়োটিক ও শ্বাসতন্ত্রের উন্নততর চিকিৎসা পাওয়ার পরেও ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কয়েক ডজন শিশু নিউমোনিয়ায় মারা গেছে।’
নিউমোনিয়া ফুসফুসের একটি সংক্রমণ। যার ফলে বায়ু থলিগুলোতে তরল পদার্থ ও পুঁজ জমা হয় এবং এতে কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। কার্যকর চিকিৎসা ছাড়া এই সংক্রমণ মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: কোভিডের বিরুদ্ধে আইভারমেকটিনের কার্যকারিতা আশাব্যঞ্জক: আইসিডিডিআর,বি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ নিউমোনিয়া। কমবয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ভাইরাসের কারণে নিউমোনিয়া হতে পারে, তবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকটেরিয়ার কারণেও নিউমোনিয়া হতে দেখা যায়। আরও উদ্বেগের বিষয় যেসব শিশুর ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ ছিল না তাদের তুলনায় অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যুর সম্ভাবনা ১৭ গুণ বেশি ছিল।
দেশে ৬০ ঊর্ধ্ব প্রায় ৮ শতাংশ মানুষ ডিমনেশিয়ায় ভুগতে পারে: গবেষণা
একটি জাতীয় সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রতি ১২ জনের মধ্যে একজন মানুষ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ মানুষের ডিমনেশিয়া হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। ডিমনেশিয়া হল এমন একটি মানসিক সমস্যা, যা বয়স বাড়াল কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে মানুষ সঠিক ভাবে তথ্য মনে রাখতে পারে না এবং কথা বলতে পারে না।
বুধবার আইসিডিডিআর,বি, স্বাস্থ্য অধিদফতর(ডিজিএইচএস) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালের (এনআইএনএস) এর যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে বয়স্কদের মধ্যে স্মৃতিচারণের বোঝা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারের আয়োজন করে। আলোচনায় সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: জাবিতে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণায়, কমেছে চিকিৎসায়
অন্যান্য বিভাগের তুলনায় ডিমনেশিয়া হওয়ার প্রবণতা রাজশাহীতে ১৫% এবং রংপুরে ১২% বেশি। শহরে এবং গ্রামীণ অঞ্চলে এই প্রবণতার পার্থক্য ৮%।
গবেষণায় বলা হয়, পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যে ডিমনেশিয়া হওয়ার প্রবণতা বেশি। এছাড়া, ২০২০ সালে বাংলাদেশে মোট ডিমনেশিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় ১.১ মিলিয়ন হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। যার মধ্যে ০.২৮ মিলিয়ন পুরুষ এবং ০.৮৩ মিলিয়ন মহিলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে ৬৫ শতাংশ এন্টিবডির উপস্থিতি রয়েছে: গবেষণা
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে ১.৩৭ মিলিয়ন হতে পারে এবং ২০৪১ সালে এই সংখ্যা দ্বিগুণ ২.৪ মিলিয়ন হতে পারে। যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ডিমনেশিয়া, এমন একটি লক্ষণ যেখানে স্মৃতিশক্তি, চিন্তাভাবনা, আচরণ এবং প্রতিদিনের কার্যকলাপ সম্পাদন করার ক্ষমতা হ্রাস পায়।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষের ডিমনেশিয়া রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ হলেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
আইসিডিডিআর,বি এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ এবং এনআইএনএসের পরিচালক অধ্যাপক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় যুক্ত ছিলেন।
জাবিতে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণায়, কমেছে চিকিৎসায়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৬৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে যা বিগত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা কম।
বাজেটের আকার কমলেও বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে। গত বছর গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি, যা এবারের অর্থ বছরে ১ কোটি বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে জাবি শিক্ষক বরখাস্ত
এবারের বাজেটে উপেক্ষিত হয়েছে চিকিৎসা খাত। চিকিৎসা খাতে বাজেট ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ ১ হাজার টাকা, যা গত বছর ছিল ৩ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। এবারের বাজেটে এই খাতে কমেছে ১ কোটি ৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
বাজেটে ২৩৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা দিবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সূত্র হতে আয় ২৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বাজেটে সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে শিক্ষক বেতন ও বিভাগ খরচ খাতে যা ৯৩ কোটি ২৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা পেনশন ও প্রশাসনিক খাতে বরাদ্দ যথাক্রমে ৩৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং ৩১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। গত অর্থবছরে চিকিৎসা ব্যয় ছিল ৩ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, যা এ বছরে কমে হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ।
রবিবার অনলাইন মাধ্যমে অনুষ্ঠিত বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে এই বাজেট অনুমোদিত হয়।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার দাবিতে আমরণ অনশনে জাবির দুই শিক্ষার্থী
অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরের মূল বাজেট উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক।
দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটেউডের (বিএলআরআই) বাস্তবায়নাধীন পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের ইনসেপশন, অগ্রগতি ও পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুনঃ সারা দেশে-খাঁচায় মাছ চাষকে উৎসাহিত করছি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে প্রাণিসম্পদ খাতের ব্যাপক ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। এ খাতের বর্তমান অবস্থাকে ছাড়িয়ে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পোল্ট্রি খাতের উন্নয়ন জোরদার করার জন্য গবেষণাকে সম্প্রসারিত করতে হবে, আরও গভীরে যেতে হবে। বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মেধাকে আরো বিকশিত করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি খাতে গবেষণার ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, গতানুগতিকতার বাইরে যখনই গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তখনই সারাদেশে পোল্ট্রি খাত বিকশিত হয়েছে। এতে পুষ্টি চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে, গড় আয়ু বেড়েছে, মাতৃমৃত্যু কমেছে, শিশু মৃত্যু কমেছে। এমনকি করোনায় সৃষ্ট বেকাররা পোল্ট্রি খাতে নিজেদের সম্পৃক্ত করে তাদের বেকারত্ব দূর করছে, উদ্যোক্তা হচ্ছে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে।’
আরও পড়ুনঃ প্রকল্পে অনাকাঙ্ক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্ন ও সাধনাকে বাস্তবায়নে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ দূরদৃষ্টি ছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু প্রাণিসম্পদ খাতকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর দৃষ্টি অত্যন্ত পরিকল্পিত ও বিজ্ঞানসম্মত ছিল। তাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মাংস, দুধ, ডিম সংক্রান্ত খাতকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পসহ এ খাতের সকল প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।’
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমান,মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা এবং পোল্ট্রি খাতের বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২৪ মেয়াদে ১২৭ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।