আইসিটি
২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি রপ্তানি পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ লক্ষ্যমাত্রার ঘোষণা দেন। বিদেশে বাংলাদেশের আইসিটি পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। এজন্য এ সেক্টরের উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।
বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) এর নবনির্বাচিত সভাপতি রাসেল টি আহমেদের নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আইসিটি খাতের শিল্প কারখানার উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আইসিটি খাতে আমাদের পর্যাপ্ত দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, এদের কাজে লাগাতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আইসিটি খাতের দক্ষজন শক্তি তৈরি করতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
আগত প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি সামিরা জুবেরি হিমিকা, সহ-সভাপতি আবু দাউদ খান এবং সহ-সভাপতি ফাহিম হাসান।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী তার অফিস কক্ষে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির নবনির্বাচিত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ভোজ্য তেলের দাম বাড়তে পারে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ব্যাংকিং চ্যানেলের জটিলতা দূর হলে রাশিয়ায় রপ্তানি বাড়বে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এ সময় দেশের মানুষের মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভ্যারিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘মুজিব- মাই ফাদার’ শিরোনামের একটি অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রের কিছু অংশ প্রকাশ করেন।
আইসিটি বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মিত ওই অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব এবং তিনি যেভাবে পশ্চিম পাকিস্তানের ক্রোধের শিকার হয়েছেন সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুজব থেকে দূরে থাকুন, সত্য তথ্য জানুন: সজীব ওয়াজেদ
চলচ্চিত্রটিতে উঠে এসেছে, ‘ভাষা আন্দোলনের দিনগুলো কেমন ছিল? তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান কীভাবে ছাত্রদের সংগ্রামের জন্য সংগঠিত করেছিলেন? কেন তাকে ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত পুরো তিন বছর কারারুদ্ধ করা হয়েছিল এবং এসব প্রশ্নের উত্তর।
‘উর্দুই সমগ্র পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা,’ এই ঘোষণার প্রতিবাদে সেদিন ঢাকা কেমন উত্তাল হয়েছিল, এ সিদ্ধান্তের ফলে কোটি কোটি বাংলাভাষীদের কীভাবে অবহেলা করা হয়েছিল; চলচ্চিত্রটিতে ভাষা আন্দোলনের সেই জ্বলন্ত ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোকে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।
শেষে জয় ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তরুণদের মেধা কাজে লাগিয়ে আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
আমাদের তরুণরা অত্যন্ত মেধাবী উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ ও ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে না পারলে মেধার যথাযথ বিকাশ ঘটবে না।
তিনি বলেন সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইন্ডাস্ট্রির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তরুণদের যোগ্যতা ও মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশে আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে।রবিবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আইটি-বিষয়ক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দেশের তরুণ মেধাবী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।পলক বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আইসিটি বিষয়কে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করেছেন।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের দক্ষ মানবসম্পদ ও সমস্যা সমাধান মুখী চিন্তার বিকাশ ঘটাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কারিকুলামে কোডিং চালু করার বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইবার যুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাজিত করার আহ্বান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় আওটি, এআর, ভিআর, বিগডাটা অ্যানালেটিকস্, রোবটিকস্, ব্লকচেইন এবং নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে দেশে ৩’শ স্কুল অব ফিউচার ও শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী জাতি ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক প্রয়াস নিয়ে কাজ করার আহবান জানান।উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে ছিল- ‘যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে গ্লোবাল আইটি প্রতিযোগিতা ২০২১, ইন্টারন্যাশনাল রোবট অলিম্পিয়াড ২০২১, ইন্টারন্যাশনাল কলিজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (আইসিপি) ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ২০২১ এবং ইন্টারন্যাশনাল ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড ২০২১।’পরে, যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে গ্লোবাল আইটি প্রতিযোগিতায়, চারটি ক্যাটাগরির মধ্যে পাঁচ জন, ইন্টারন্যাশনাল রোবট অলিম্পিয়াডে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৯ জন, ইন্টারন্যাশনাল কলিজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (আইসিপি) ওয়ার্ল্ড ফাইনালসে দুটি ক্যাটাগরিতে ছয় জন, ইন্টারন্যাশনাল ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে তিন জন প্রত্যেককে ল্যাপটপ, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেয়া হয়। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লাফিফা জামান।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেলের জন্মদিনকে জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবি আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর
বাংলাদেশের আইসিটি খাতে নরওয়েকে বিনিয়োগের আহ্বান
রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি খাত এক সঙ্গে কাজ করবে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে গত ১৩ বছরে আইসিটি পরিবারের সদস্য হিসেবে বেসিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, কর্পোরেট ট্যাক্স মওকুফের সময়সীমা ২০৩০ পর্যন্ত বর্ধিতকরণ, কর মওকুফ সনদ প্রক্রিয়া সহজীকরণ, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আইসিটিকে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়নসহ রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করবে।রবিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বেসিসের নবনির্বাচিত নির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সজীব ওয়াজেদ বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রীআইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী বিভিন্ন পরিকল্পনা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারকে প্রয়োজনীয় পলিসি সহায়তা দিয়েছে বেসিস। তথ্যপ্রযুক্তিকে বর্ষপণ্য ঘোষণার মাধ্যমে এই খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আইসিটি বিভাগ ও বেসিস যৌথ উদ্যোগে কাজ করে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, নীতিমালা তৈরি ও সংশোধন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, বিনিয়োগ ও সমন্বয় এই পাঁচটি বিষয়ে কাজ করবে।
সভায় আইসিটি বিভাগ ও বেসিস সম্মিলিতভাবে উল্লেখিত পাঁচটি বিষয়ে কাজ করার ব্যাপারে একমত পোষণ করে।সভা শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী জানান, এবার ইন্ডাস্ট্রি-গভর্নমেন্ট এবং একাডেমিয়ার সম্মিলিত উদ্যোগে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্লেন্ডেড লার্নিং চালু করবে আইসিটি বিভাগ। এজন্য আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে আহ্বায়ক করে বেসিস এবং আইসিটি বিভাগ মিলে ইস্যু ভিত্তিক বেশ কয়েকটি ওয়ার্কিং গ্রুপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বেসিস পরিচালক আবু দাউদ খানকে মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলা হবে। এছাড়াও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
আরও পড়ুন: সাইবার যুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাজিত করার আহ্বান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের
বেসিসের নবনির্বাচিত সভাপতি রাসেল টি আহমেদের নেতৃত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি সামিরা জুবেরি হিমিকা, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান, সহ-সভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমসহ বিভাগ ও এর অধীন সংস্থার প্রধানরা।
বাংলাদেশ - দ.কোরিয়ার সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞান ও আইসিটি মন্ত্রণালয় দুই দেশের মধ্যে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের সঙ্গে একটি সাম্প্রতিক বৈঠকে কোরিয়ার প্রতিমন্ত্রী লিম হেইসুকের স্বাক্ষরিত এমওইউ হস্তান্তর করেন।
রবিবার ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে চুক্তির ভিত্তিতে, মন্ত্রী ইয়াফেস স্বাক্ষরিত এমওইউটি গত বছরের নভেম্বরে একটি কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মানবপাচারকারী চক্রের ফাঁদে পা না দেয়ার আহ্বান রোম দূতাবাসের
মহামারি পরিস্থিতির কারণে উভয় পক্ষই মুখোমুখি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান করতে পারেনি বলে দূতাবাস জানিয়েছে।
দুই দেশের সরকারের মধ্যে ১৯৯৫ সালের মে মাসে স্বাক্ষরিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চুক্তির বাস্তবায়ন কার্যকর করার জন্য এই সমঝোতা স্মারকটি করা হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকে একটি যৌথ কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং সহযোগিতার ধরন উল্লেখ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, এই সমঝোতা স্মারকটি দুই দেশের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও তরান্বিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি স্থাপন করেছে।
অনুষ্ঠানে এই লক্ষ্যে তিনি তার প্রতিশ্রুতি ও ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ লাখ মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি জাপানের
আইসিটি আইনে মামলায় কণ্ঠশিল্পী আসিফের বিচার শুরু
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলায় জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির বিচার শুরু হলো।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৩ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১৮ সালের ৪ জুন গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন তেজগাঁও থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আসিফের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর আসিফের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি ও দন্ডবিধিতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: আবারও শুরু হলো শুদ্ধসঙ্গীত উৎসব
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ জুন রাত ৯টার দিকে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ নামের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাদী জানতে পারেন যে, আসিফ আকবর কারও অনুমতি ছাড়াই গীতিকার, সুরকার ও বিভিন্ন শিল্পীর ৬১৭টি গান বিক্রি করেছেন। পরে বাদী বিভিন্নভাবে আরও জানতে পারেন, আসিফ তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শফিক তুহিন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। তার সেই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর অশালীন মন্তব্য করেন। পরের দিন (২ জুন) রাতে আসিফ আবারও তার ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। লাইভে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। ফেসবুক লাইভে এসে ভক্তদের উদ্দেশে আসিফ বলেন, ‘শফিক তুহিনকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন।’
আরও পড়ুন: জেমসের করা মামলায় বাংলালিংকের চার কর্মকর্তার জামিন
কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে জেমসের মামলা
ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জয়ের
ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের জন্য জাতির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ দেশবাসীকে ভিশন ২০৪১ বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য তাদের সকল প্রচেষ্টাকে একত্রিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিজয় দিবসের একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, `আমরা ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন করেছি, পদ্মা সেতুর মতো একটি অনন্যসাধারণ প্রকৌশলী নির্মাণশৈলী উপহার দিয়েছি জাতিকে, এসব কারণে ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে সমর্থ হয়েছি আমরা। এখন আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য, ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।’
আরও পড়ুন: বুলেট বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মুছে দিতে পারেনি: কোবিন্দ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ-আয়ের মর্যাদা অর্জন করবে, মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার নিশ্চিত করবে।
রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য দেশের যুব শক্তির প্রতি তার আশা প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, তারুণ্যের অদম্য শক্তিতে সময়ের সাথে সাথে আরো প্রাণবন্ত ও সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে বাংলাদেশ।
সজীব ওয়াজেদ জয় আরও লিখেছেন, স্বাধীনতার এই সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে, আমরা এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছি যেখান থেকে আরো উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে আমাদের। এখনই সময় নিজেদের বিকশিত করার মাধ্যমে মাথা উঁচু করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। দেশকে আরো একধাপ এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সন্মান জানাতে পারি। যাদের মহান আত্মদানের মাধ্যমে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উদিত হয়েছে স্বাধীনতার সূর্য, আমাদের সেই পূর্বপুরুষদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করার উপযুক্ত সময় এখনই।
তিনি বলেন, আসুন, সবাই মিলে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলি। বিশ্বের বুকে মর্যাদাবান রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করি। ভিশন ২০৪১ আপনাদের জন্যই।
আরও পড়ুন: দেশকে ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার শপথ নিল জাতি
এশিয়া প্যাসিফিকের তরুণদের বিকাশে প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আগামী পাঁচ বছরে পাঁচ লাখ তরুণের ডিজিটাল ট্যালেন্ট বিকাশে প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা (৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি, অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক ইনোভেশন ডে – ডিজিটাল ট্যালেন্ট সামিট ২০২১ -এ মূল বক্তব্য রাখার সময় হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট জেফরি লিউ এ ঘোষণা দেন।
এ অঞ্চলে তরুণদের ডিজিটালভাবে দক্ষ করে তুলতে আসিয়ান ফাউন্ডেশনের সাথে একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তিতে উভয় পক্ষের আসিয়ান সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
আরও পড়ুন: হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে টেকসই ডিজিটাল ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম কীভাবে ত্বরাণ্বিত করা যায় সে বিষয়ে অনলাইন সামিটে নীতি-নির্ধারক, গবেষক ও খাত বিশেষজ্ঞগণ আলোচনা করেন। এ সামিটে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল অব আসিয়ান ফর আসিয়ান পলিটিক্যাল-সিকিউরিটি কমিউনিটি রবার্ট ম্যাথিউস টেনে, আসিয়ান ডিজিটাল সিনিয়র অফিসিয়াল মিটিং -এর প্রধান মোহাম্মদ মেনটেক, ক্যাম্বোডিয়ার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী চে ভেনডেথ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল স্টাফের প্রধান জেনারেল টিএনআই (পার্ণ) ড. মোয়েলদোকো, শ্রীলঙ্কার যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নামাল রাজাপাকশে, চীনে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত হোসে স্যান্টিয়াগো এল. এসইএ. রোমানা, থাইল্যান্ডের উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞান, গবেষণা ও উদ্ভাবন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সেক্রেটারি অধ্যাপক সিরিরার্গ সংসিবিলাই, এম.ডি. পিএইচডি।
অনুষ্ঠানে ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল অব আসিয়ান ফর আসিয়ান পলিটিক্যাল-সিকিউরিটি কমিউনিটি, রবার্ট ম্যাথিউস বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারি আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরশীল করেছে। এই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডিজিটাল ট্যালেন্ট সামিট ২০২১ আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
উদ্বোধনী বক্তব্যে হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বোর্ড মেম্বার ক্যাথেরিন চেন বলেন, উদ্ভাবন ও উন্নতি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেমের ওপর নির্ভরশীল। উদ্ভাবন সহায়ক একটি ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হুয়াওয়ে এর অংশীদারদের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট জেফেরি লিউ ঘোষণা দেন যে, ডিজিটাল রূপন্তরে উদ্ভাবনী আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সবার জন্য সুবিধাজনক ফলাফলের ভিত্তিতে সম্মিলিত উদ্ভাবনের মাধ্যমে আইসিটি দক্ষতার মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারব। হুয়াওয়ে আগামী ৫ বছরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে পাঁচ লাখ ডিজিটাল ট্যালেন্ট বিকাশে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
তিন মাসের মধ্যে ই-কমার্সের নিবন্ধন না করলে আউট: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার নিয়ে সকল ই- কমার্স কোম্পানিগুলোকে নিবন্ধন নিতে হবে আগামী তিন মাসের মধ্যে। এ সময়ে যারা ই-কমার্সের নিবন্ধন করতে পারবে না তারা ব্যবসা করতে পারবে না । তারা আউট অব দ্যা বিজনেস।
সোমবার বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ই- কমার্স নিয়ে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক শেষে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম- উদ্দীন, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্তমর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে যে সিদ্ধান্তটা হয়েছে সেটা হলো ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিটিফিকেশন নাম্বার নিতে হবে সকল ই-কমার্স ব্যবসাসীদের। এর মাধ্যমে সকলকে একটি নিবন্ধনের মধ্যে নিয়ে আসা। এজন্য তাদের অতিরিক্ত খরচ করতে হবে না। আমরা ই-কমার্সকে একটা নিয়মের মধ্যে আনতে চাই। এ বিষয়ে ফুল সার্পোট দেবে আইসিটি ডিভিশন। আর একটি হচ্ছে সেন্টাল লজিস্টিক ট্রাকিং প্লাটফর্ম (সিএলটিপি) আইনগতভাবে ট্রেক করার জন্য।এটা অনেক টেকনিক্যাল বিষয় মূল উদ্দেশ্যের সাথে আমাদের এ ব্যবস্থাও করতে হবে। তৃতীয়ত হচ্ছে, সেন্টার কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যদি কোথাও কোন অভিযোগ থাকে বা কারো কোন বিষয় থাকে এ সব বিষয় আইসিটি ডিভিশন এগুলো করে দেবে।
তিনি বলেন, মোটামুটি তিন মাসের মধ্যে এ কাজগুলো করা যাবে। তারপরও আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে একটি ফলোআপ দেবে।
আরও পড়ুন: কৃষি খাতের লাভজনক বাণিজ্যিকীকরণের চেষ্টা চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইউনিক আইডেন্টিটিফিকেশন নাম্বারের জন্য তিন মাস সময় লাগবে কোম্পানিগুলোর, এরপর গ্রাহকদের সেবা পেতে কতদিন সময় লাগতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয় তৈরি করে দেয়ার সাথে সাথেই শুরু করে দেবো। যতো তাড়াতাড়ি আমরা পারব ততো তাড়াতাড়ি আমরা শুরু করবো। এজন্য নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। আর যারা নিবন্ধন করবে না তারা আউট। আউট অব দ্যা বিজনেস।
ইভ্যালি ছাড়াও আরও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাদের বিষয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, একটা নির্দেশনা এসেছে, ইভ্যালির ব্যাপারে। এটা একটা গাইডলাইন, এটা দিয়ে আমরা শুরু করতে পারি।
যুবক ও ডেসটিনির গ্রাহকদের টাকা ফেরত পাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুবক ও ডেসটিনির স্থাবর সম্পত্তি আছে, সেই সম্পত্তি তারা নিয়ে যেতে পারেনি, কিছু ক্যাশ তারা নিয়ে গেছে। আইনি প্রক্রিয়ায় সেই সম্পত্তি রিলিজ করা গেলে, সেটার দাম পাওয়া গেলে, আদালত নির্দেশ দিলে দেয়া যেতে পারে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক প্রোপার্টি বেদখল হয়ে আছে ।
ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ প্রতিবেদন প্রকাশ হুয়াওয়ে’র
আগামী দশকের প্রবণতাগুলো সম্পর্কে জানতে ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হুয়াওয়ে। শিল্পখাতের অংশীদারদের অংশগ্রহণে চীনের শেনজেনে ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ ফোরামে হুয়াওয়ের আইসিটি প্রোডাক্টস অ্যান্ড সল্যুশনের নির্বাহী পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট ডেভিড ওয়্যাং প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।
পরবর্তী দশকের ইনটেলিজেন্ট বিশ্ব ও শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট পূর্বাভাস জানাতে হুয়াওয়ে এ প্রতিবেদন তৈরির জন্য প্রথমবারের মতো কোয়ান্টেটিভ ও কোয়ালিটেটিভ মেথড ব্যবহার করেছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে ‘প্রাইম মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড’ পেলো হুয়াওয়ে
গত তিন বছরে হুয়াওয়ে এক হাজারেরও বেশি একাডেমিক, ক্রেতা ও শিল্পখাতের অংশীদারদের সাথে বিস্তৃত পরিসরে কাজ করেছে। এরই অংশ হিসেবে দুই হাজারেরও বেশি কর্মশালা আয়োজন করেছে এবং জাতিসংঘ, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর তথ্য ও পদ্ধতি ব্যবহার করেছে।
এছাড়াও এ প্রতিবেদন তৈরির জন্য হুয়াওয়ে নেচার ও আইইইই এর মতো বৈজ্ঞানিক জার্নাল থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়েছে এবং শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কনসাল্টিং ফার্মসহ হুয়াওয়ের নিজস্ব ও বাইরের বিশেষজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিয়েছে। এমন সামগ্রিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে হুয়াওয়ে ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে, যা পরবর্তী দশকের আইসিটি প্রযুক্তি ও এর ব্যবহারিক প্রবণতাগুলো সম্পর্কে অগ্রিম বার্তা দিবে বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
প্রতিবেদনে ম্যাক্রো স্তরে অনুসন্ধানের জন্য আটটি ক্রস-ডিসিপ্লিনারি ও ক্রস-ডোমেন নির্দেশনা প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে আইসিটি প্রযুক্তি কীভাবে মানুষের উন্নয়নের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এবং এটি কীভাবে প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে নতুন সম্ভাবনা বয়ে আনতে পারে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে শিল্প পর্যায়ে কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক, কম্পিউটিং, ডিজিটাল পাওয়ার ও ইনটেলিজেন্ট অটোমেটিভ সল্যুশন এ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা ও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
এ বিষয়ে হুয়াওয়ের আইসিটি প্রোডাক্টস অ্যান্ড সলিউশনের নির্বাহী পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট ডেভিড ওয়্যাং বলেন, ‘৩০ বছর আগে আমরা যোগাযোগের মাধ্যমে জীবনকে সমৃদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ১০ বছর আগে একটি উন্নত ও সংযুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে আমরা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তকে কানেক্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমানে আমাদের লক্ষ্য হলো একটি সম্পূর্ণ সংযুক্ত ইনটেলিজেন্ট বিশ্বের জন্য প্রতিটি ব্যক্তি, ঘর ও প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস, খুব দ্রুতই আমরা একটি ইনটেলিজেন্ট বিশ্বে বাস করবো।’
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ফিউচারিস্ট স্টিভেন জনসন, ওয়ার্ল্ড ইলেকট্রিক ভেহিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ফাউন্ডিং ও রোটেটিং চেয়ারম্যান চেন কিংকুয়ান, রোল্যান্ড বার্গ গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির কো-প্রসিডেন্ট ডেনিস ডেপক্স ও চায়না একাডেমি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির (সিএআইসিটি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়্যাং ঝিকিনসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ ফোরামের মাধ্যমে হুয়াওয়ে প্রথমবারের মত পরবর্তী দশক সম্পর্কে তাদের অত্যাধুনিক গবেষণা ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি ও ট্রিপল ক্যামেরার বাজেট ফোন এ১৬