সড়ক দুর্ঘটনা
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ২১
কুষ্টিয়ায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুই জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২১ জন। মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া শহরতলীর খাজানগর এলাকায় এবং দুপুরে ভেড়ামারা উপজেলায় এই দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
খাজানগর এলাকায় মটর সাইকেলের সঙ্গে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত মারুফ (২২) মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ উত্তর কাটদহ গ্রামের মুক্তার আলীর ছেলে। অন্যদিকে ভেড়ামারা উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বাবু (৪৫) নড়াইল জেলার চর বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আবুল খালেক শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় কলেজশিক্ষকসহ নিহত ৩
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাবিরুল আলম জানান, সকালের দিকে পোড়াদহ থেকে গার্মেন্টসের পোশাক কেনার জন্য গার্মেন্টেস কর্মী মারুফ মটর সাইকেল নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। খাজানগর এলাকায় পৌঁছানোর পর সেখানে একটি ইজিবাইকের সঙ্গে মটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল চালক মারুফ ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত অজ্ঞাত পরিচয় ইজিবাইক চালককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, যশোর থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস উত্তরবঙ্গের দিকে যাচ্ছিল। এসময় কুষ্টিয়া-রাজশাহী মহাসড়কের ভেড়ামারা ১৬ দাগ ৬৮ পাড়া ভিলকীর পুল নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকচালক বাবু নিহত হন। এ ঘটনায় ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের সহায়তায় ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া ও ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
ড্রামট্রাক উল্টে গাজীপুরে নিহত ২
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজার এলাকায় ড্রামট্রাক উল্টে দুই জন নিহত হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, অটোরিকাশার যাত্রী মালেকা আক্তার (৫০) ও অটোরিকশার চালক। তাৎক্ষণিভাবে ওই রিকশাচালকের পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৩
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ময়মনসিংহগামী একটি সিরামিক কারখানার কেমিকেল বহনকারী ড্রামট্রাক ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এমসি বাজারের কাছে উল্টে যায়। এতে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশার চালক ও একজন যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। তদন্তের পর পরবর্তী আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নওগাঁয় ট্রাক চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নওগাঁর পোরশায় ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার সরাইগাছি মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে৷
নিহত শাহাদত হোসেন (১৭) সাপাহার উপজেলার কৈকুড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে এবং সোহাগ হোসেন (২২) সাপাহার উপজেলার রামরায়পুর গ্রামের মামলত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৪
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খান জানান, রাতে এই দুইজন একটি টিভিএস আরটিআর লাল রঙের মোটরসাইকেলে করে উপজেলার সরাইগাছী মোড় পার হচ্ছিল। এসময় দ্রুতগামী একটি ট্রাকের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে চাকার নিচে চাপা পড়ে দু’জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৩
নিহতদের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ থানা হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনার পর ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।
ইট বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় নৈশপ্রহরী নিহত
ইট বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় নড়াইল যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নৈশপ্রহরী আব্দুল আলিম (৪৮) নিহত হয়েছেন।বুধবার বিকাল পৌনে চারটায় নড়াইল সদর হাসাতপালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত আলিম জেলার লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামের গোলাম কবির মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলের জেলা আ’লীগ কমিটিতে সদস্য মাশরাফি, উপদেষ্টা বাবা
পারিবারিকসূত্রে জানা যায়, আলিম দুপুরে গ্রাম থেকে মোটর সাইকেল যোগে পার্শ্ববর্তী নলদী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পৌঁছালে একটি ইট বোঝাই ট্রলির সাথে ধাক্কা লাগে। এসময় আলিমের মাথা ও বুকে প্রচন্ডভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে স্থানীয় ও তার পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত নড়াইল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে নড়াইলে পালিত পিতা কারাগারে
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাফিজুর রহমান মুক্তা বলেন,‘দুর্ঘটনায় আহত আব্দুল আলিমকে নড়াইল সদর হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।’নলদী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই এনামুল জানান, এ ঘটনার পর ইট বোঝাই ট্রলি এবং চালককে আটক করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় কলেজশিক্ষকসহ নিহত ৩
কুষ্টিয়ায় বুধবার সকাল ও মঙ্গলবার রাতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজশিক্ষকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, মিরপুর উপজেলার খয়েরপুর বাজারপাড়া এলাকার মৃত ফজলুল হকের ছেলে ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শফিউল আজম (৪৮), চরপাড়া এলাকার আব্দুল গনি মন্ডলের ছেলে শিক্ষক শফিউলের মামাতো ভাই এনামুল ইসলাম (৫২) এবং কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মৃত ইয়াকুব আলী বিশ্বাসের ছেলে নাসির উদ্দিন বিশ্বাস (৫৫)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চাচা-ভাতিজা নিহত
কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক জানান, বুধবার সকাল ৭টার দিকে দুজন মোটরসাইকেল আরোহী ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়ায় আসছিলেন। পথে মধুপুর কলার হাটের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি রডবোঝাই লং ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের চালক এনামুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় শফিউল আজমকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
নিহত শিক্ষক শফিউলের ভাইরা স্বপন জানান, মাকে দেখার জন্য শফিউল তার মামাতো ভাই এনামুলের সাথে সাতক্ষীরা থেকে কুষ্টিয়ার আমলার খয়েরপুরে আসছিলেন।
এদিকে, কুমারখালী উপজেলার মাছুদ রুমি সেতুর উপরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নাসির উদ্দিন বিশ্বাস নামে এক বালু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নাসির উদ্দিন বিশ্বাস মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে কুষ্টিয়ায় আসছিলেন। এসময় অজ্ঞাতনামা একটি পরিবহন তাকে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতের লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।।
রাজশাহীতে মাহিন্দ্রা-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ২
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোপালপুর এলাকায় মাহিন্দ্রা ও ট্রাকের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সদর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের নশিপুর গ্রামের শ্রী নারায়ণ চৌধুরীর ছেলে শ্রী মাধব হাওলাদার (৪০) ও মাহিন্দ্রা চালক একই ইউনিয়নের পালশা গ্রামের মুখলেসুর রহমানের ছেলে সেলিম (৩৫)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চাচা-ভাতিজা নিহত
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, গোপালপুর বাজারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে মাহিন্দ্রা এসে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনজন আহত হন। পরে তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে মাহিন্দ্রা চালক সেলিমকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে এবং শ্রী মাধব হাওলাদারকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানেই তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ট্রাক ও মাহিন্দ্রাটি জব্দ করা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
মিনুর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তাঁর বড় ছেলে নিখোঁজ
চট্টগ্রামে বিনা অপরাধে তিন বছর কারাভোগ করে মুক্তি পাওয়া মিনুর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তাঁর বড় ছেলে ইয়াছিন (১২) নিখোঁজ হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
ইয়াছিন কয়েক বছর ধরে নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনে একটি দোকানে কাজ করতো।
নিখোঁজের পর থেকে ইয়াসিনকে খোঁজে বেড়াচ্ছেন মিনুর ভাই মো. রুবেল। তিনি সর্বশেষ মঙ্গলবার সকালে ভাগ্নের সন্ধানে সেই দোকানে যান। কিন্তু দোকান ভেঙে ফেলায় খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও সড়কে প্রাণ গেল সেই মিনুর
এর আগে ২৮ জুন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পর ‘অজ্ঞাত’ ব্যক্তি হিসেবে মিনুকে দাফন করা হয়। তবে ট্রাক চাপায় তার মারা যাওয়াকে অস্বাভাবিক দাবি করেন তার আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।
ইয়াসিন নিখোঁজের ব্যাপারে মো. রুবেল বলেন, মিনু আপা মৃত্যুর খবর জানার পর থেকে তাঁর বড় ছেলে ইয়াছিনকেও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রথমে শুনেছিলাম দোকানের মালিকের সঙ্গে বাঁশখালী গিয়েছিল। কিন্তু ইয়াছিন যে দোকানে চাকরি করতো সেটি এখন নেই। বিষয়টি পুলিশকে জানোনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন নিরপরাধ মিনু
মিনুর মৃত্যু নিয়েও তিনি মুখ খোলেন। রুবেল বলেন, মিনুর মৃত্যুতে রহস্য থাকতে পারে। যারা মিনুকে কারাগারে নিয়ে গেছেন, তারা শক্তিশালী। কেউ যদি মিনুকে হত্যা করে থাকে তাকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
মিনুর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ গণমাধ্যমকে বলেন, মিনুর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। মাত্র ১৩ দিন আগে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তিন বছর পর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন। জেল থেকে বের হওয়ার পর তিনি কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। বাসা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে রাস্তায় মিনু আসলেই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন, নাকি অন্য কেউ মিনুকে মেরে ফেলেছে? মিনুর মৃত্যু ঘটনাটির তদন্ত চলছে। যদি বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়, তাহলে ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, মিনুর মৃত্যুর পর দিনই বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে দাফন করেছে পুলিশ। বিনা অপরাধে জেল খাটায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের কারণে মিনু বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন। মিনুর মরদেহ কিভাবে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়?
মিনুর মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক দুর্ঘটনা আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খোরশেদ আলম বলেন, সড়কের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সিনিয়র স্যারদেরকেও দেখানো হচ্ছে। গাড়িটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনাটি রাতের বেলায় হওয়ায় একটু সময় লাগছে।
আরও পড়ুন: অর্থের বিনিময়ে অন্যের সাজা ভোগ করা মিনুকে মুক্তির নির্দেশ
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জে একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাই মাসে মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টকর্মী কোহিনূর আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পারভীন আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন গার্মেন্টকর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এরপর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়।
মামলায় পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে পারভিনকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দিলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়। এর মধ্যে এক বছর তিন মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান কুলসুম।
মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ওই হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই সাজার পরোয়ানামূলে ২০১৮ সালের ১২ জুন কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি হয়ে মিনু কারাগারে যান।
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে মাছ বহনকারী পিকআপের চাপায় সোহেল আহমদ (২৪) নামে এক মোটর মেকানিকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের ইসলামপুর লাল মঞ্জিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন পিকআপটি আটক করতে সক্ষম হলেও চালক গাড়ি রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়।
নিহত সোহেল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ঢালারপাড় গ্রামের হেলাল আহমদের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে টুকের বাজারে একটি টিভিএস শো-রুমে মোটর মেকানিকের কাজ করছিলেন।
টুকের বাজারের টিভিএস শো-রুমের পরিচালক আনোয়ার হোসেন রবি জানান, সোহেল পাঁচ বছর ধরে তার দোকানে মোটর সাইকেলের সার্ভিসিং এর কাজ করছে। বুধবার একটি মোটরসাইকেল মেরামত করতে পরীক্ষামূলক ভাবে চালাচ্ছিলো সোহেল। বিপরীত দিক থেকে হঠাৎ একটি পিকআপ এসে মোটরসাইকেলসহ সোহেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ যুবক নিহত
সোহেলের মামা টুকের বাজারের ব্যবসায়ী আরাফাত জানান, গাড়ির চালক বেপরোয়া গতিতে পিকআপটি চালাচ্ছিলো। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই সেটি দেখেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মোঃ মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পিকআপটি আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
চট্টগ্রামে নগরীতে বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া সড়কে সিএনজি অটোরিকশা নালায় পড়ে দুই জনসহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সিএনজি খালে পড়ে নিহতরা হলেন, খাতিজা বেগম (৬৫) ও সিএনজি চালক মো. সুলতান (৩৮)।
অপর দিকে নগরীর একে খাঁন গেইট এলাকায় গাড়ি চাপা পড়ে মারা যান এক অজ্ঞাত যুবক।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ যুবক নিহত
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জহিরুল ইসলাম তিনজন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসআই জানান, দুপুর ১২টার দিকে নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেটের মেয়র গলি এলাকায় টিএন্ডটি কলোনির বাইলাইন সড়ক থেকে পাশের খালে পড়ে যায় যাত্রীবাহী চলন্ত সিএনজি। এর মধ্যে তিন যাত্রী ভেসে উঠে আসেন। নিহত দুজন সিএনজিতে আটকা পড়ে খালের পানিতে ডুবে যান। পরে ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয়দের সাহায্যে তাঁদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। আহত অবস্থায় আরও তিনজন হাসপাতালে ভর্তি আছে।
নিহত খাতিজার স্বজন পারভেজ আহমদ জানান, খাতিজা কয়েক দিন আগে এখানে তাঁর ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। আজ নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি কর্ণফুলী থানা এলাকায়।
আরও পড়ুন: অভয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই আনসার সদস্য নিহত
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম বায়েজিদ স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, সিএনজি ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে নগরীর আগ্রাবাদ ও বায়েজিদ স্টেশন থেকে তিনটি ইউনিট উদ্ধার কাজে অংশ নেই। এ সময় ডুবুরিও আসে। সিএনজি তুলে আনার পর এ দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন
এদিকে এর আগে সকালে একে খাঁন গেইট এলাকায় গাড়ি চাপা পড়ে আহত এক অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে চমেক হাসপাতালে নেয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চমেক ফাঁড়ির পুলিশ।
সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ যুবক নিহত
সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন যুবক নিহত হবার ঘটনা ঘটেছে।মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে বলে জানায় পুলিশ। নিহতদের মরদেহ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চাচা-ভাতিজা নিহত
নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের পুস্পকাটি গ্রামের জাহাঙ্গির হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন (১৭), তাসলিমা খাতুনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৫) ও একই গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে সজিব (১৯)।
আরও পড়ুন: পেরুতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জনের মৃত্যু
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সাহা জানান, রাত ১০ টার দিকে ওই তিন যুবক একটি মোটরসাইকেল যোগে সাতক্ষীরার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পারুলিয়া হাইস্কুল এলাকায় একটি মালবাহী ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই তিন যুবক মারা যায়। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।