প্রতিবেদন
‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ নিয়ে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন: অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
অনুমতি ছাড়া বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তর নিয়ে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া দেশের বাইরে অর্থ পাঠানোর মাধ্যমে মানি লন্ডারিং হয়েছে কি না, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে অর্থ বাইরে পাঠানো হয়েছিল কি না, তা জানিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে গত ৪ আগস্ট ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রবিবার (৬ আগস্ট) হাইকোর্টের নজরে আনেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এরপর বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে মানি লন্ডারিং রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের অভিযোগ অনুসন্ধানে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার সাজার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন, সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবীদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ
আদালতে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনটি তুলে ধরে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী সায়েদুল হক। দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানিতে অংশ নেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট দ্য ডেইলি স্টার ‘এস আলমের আলাদিনের প্রদীপ’- শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার কোনো রেকর্ড নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে দেশের বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। তবে চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়িক জায়ান্ট এস আলম গ্রুপ সেই তালিকায় নেই।
এতে আরও বলা হয়, তবে আলম সিঙ্গাপুরে গত এক দশকে কমপক্ষে দুটি হোটেল, দুটি বাড়ি, একটি বাণিজ্যিক স্পেস এবং অন্যান্য সম্পত্তি কিনেছেন। সেখানেও বিভিন্ন উপায়ে কাগজপত্র থেকে তার নাম মুছে ফেলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি অনুযায়ী, ‘ ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশ থেকে ৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে বিনিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবে, এই পরিমাণ অর্থ ২০০৯ সালের পর সিঙ্গাপুরে এস আলমের কেবল দুটি হোটেল ও একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনা ৪১১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দশ ভাগের এক ভাগ মাত্র।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নথিতে আরও দেখা যায় এখন পর্যন্ত কয়েকটি কোম্পানি বৈধভাবে সিঙ্গাপুরে মোট ১ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে এবং সেগুলোর একটিও আলমের মালিকানাধীন নয়।’
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন প্রশ্নে রুল ২ সপ্তাহে নিষ্পত্তির নির্দেশ
দুর্নীতি মামলায় তারেকের ৯ বছর, জোবাইদার ৩ বছরের কারাদণ্ড
৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
৯৮ বারের মতো পিছিয়েছে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ।
এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সোমবার (২২ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ কারণে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রাশেদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: ৯৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
এদিকে মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আট জন।
অপর আসামিরা হলেন-বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৯৪ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৩ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
‘খুব অদ্ভুত, কোনো রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়নি’: আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে দাবি করা প্রতিবেদন সম্পর্কে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞার কোনো কারণ নেই এবং যদি তা হয় তবে তা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেছেন যে নতুন নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই, কারণ এটি নির্ভর করে পৃথক দেশের সরকারের ওপর।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করি যে শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।’
আজ (সোমবার) বিকালে শুরু হতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাতার সফর নিয়ে গণমাধ্যমকে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মোমেনের মানহানির অভিযোগে দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের নিন্দা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
গত রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে একে 'মিথ্যা এবং বানোয়াট' এবং 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে উল্লেখ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি কখনও চীনা কোম্পানির লবিস্ট হিসেবে কাজ করেননি।
বরং তিনি বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেছেন এবং সেখানে কাজ করেছেন। এটা (সংবাদপত্রের প্রতিবেদন) খুব অদ্ভুত।
নতুন নিষেধাজ্ঞা আসছে বলে দাবি করা প্রতিবেদন সম্পর্কে মোমেন বলেন, ‘এটা খুবই অদ্ভুত এবং বিস্ময়কর ছিল। তারা কোনো রেফারেন্সও (উৎস) দেয়নি।’
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো কারণ নেই।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার কারণেই সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত সফলতা দেখাতে পেরেছিলেন: স্মরণসভায় ড. মোমেন
ইউক্রেনে যুদ্ধ ও দুর্যোগে ২০২২ সালে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৭১ মিলিয়ন: প্রতিবেদন
ইউক্রেনের যুদ্ধ গত বছর সংঘাত বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হওয়া বিশ্বব্যাপী মোট মানুষের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ ৭১দশমিক ১ মিলিয়নে নিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের অভ্যন্তরীণ স্থানচ্যুতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২২ সালের শেষ নাগাদ রুশ আগ্রাসনের কারণে ৫দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষ ইউক্রেনের অভ্যন্তরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। সংঘাত এবং সহিংসতার কারণে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত বিশ্বব্যাপী মোট মানুষের সংখ্যা ৬২ মিলিয়নেরও বেশি হয়েছিল, যা ২০২১ সালের তুলনায় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সিরিয়ায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পর সংঘাতের কারণে ৬৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বন্যা ও দুর্ভিক্ষের মতো দুর্যোগের কারণে বছরের শেষে তাদের দেশের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৮দশমিক ৭ মিলিয়নে পৌঁছেছে, যা ২০২১ সালের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত রপ্তানি সুযোগ কাজে লাগান: প্রধানমন্ত্রী
২০২১ সালের তুলনায় বিশ্বব্যাপী অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা মোট ৭১দশমিক ১ মিলিয়ন হয়ে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি বলতে এমন মানুষদের বোঝায় যারা তাদের নিজস্ব সীমানার অভ্যন্তরে চলে যেতে বাধ্য হয় এবং অভ্যন্তরীণ স্থানচ্যুতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশে চলে যাওয়া ব্যক্তিদের বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
ইউক্রেন, সিরিয়া, ইথিওপিয়া এবং অন্যান্য জায়গায় সংঘাতের এক বছর পরেও ২০২৩ সালে কোনও স্বস্তি নেই। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এ সপ্তাহে জানিয়েছে, সুদানে সেনাবাহিনী ও প্রতিদ্বন্দ্বী আধা-সামরিক গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের কারণে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সাত লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার লা নিনা আবহাওয়ার ঘটনাকে উল্লেখ করেছে, যা দুর্যোগ বাস্তুচ্যুতির একটি প্রধান কারণ হিসেবে ২০২২ সালে টানা তৃতীয় বছর অব্যাহত ছিল। এটি পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও ব্রাজিলে রেকর্ড মাত্রার বন্যায় বাস্তুচ্যুতি এবং সোমালিয়া, কেনিয়া ও ইথিওপিয়ায় রেকর্ডের সবচেয়ে খারাপ খরায় অবদান রাখে।
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল জ্যান এগেলান্ড বলেন, ২০২২ সালে সংঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি 'নিখুঁত ঝড়' হয়েছিল, যার ফলে এমন মাত্রায় বাস্তুচ্যুতি হয়েছিল, যা আগে কখনও দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করায় শিক্ষার্থীর ৮ বছরের কারাদণ্ড
৯৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
৯৭ বারের মত পেছালো সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ। আগামী ২২ মে প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল।
কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৯৩ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
এজন্য ঢাকার মহানগর হাকিম রশিদুল আলমের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন।
অপর আসামিরা হলেন-বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।
পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: দ্রুত সাগর-রুনি হত্যার রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে র্যাবকে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৪ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
সুলতানার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পুলিশের হাতে, বলছেন না কী আছে প্রতিবেদনে
র্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৩৮) ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেয়েছে পুলিশ।
রবিবার বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের(রামেক) ফরেনসিক বিভাগ থেকে প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজশাহী নগর পুলিশের(আরএমপি) মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে প্রতিবেদনে কি আছে তা বলতে পারছি না।
আরও পড়ুন: সুলতানার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জেসমিনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে কি উঠে এসেছে তা নিয়ে কেউ কথা বলছেন না। আদালতে প্রতিবেদন পৌঁছানোর আগে ‘স্পর্শকাতর’ এই বিষয় নিয়ে কেউ কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জেসমিনের মৃত্যুর পর ২৫ মার্চ রামেকের মর্গে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড লাশের ময়নাতদন্ত করে।
এই বোর্ডের প্রধান ছিলেন রামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন।
রবিবার রাতে তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অফিস সময়ের মধ্যেই পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর কারণ কি এসেছে সেটা আমি গণমাধ্যমকে বলতে পারব না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুভাষ চন্দ্র বর্মন প্রতিবেদন বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে শুনলাম যে রিপোর্ট এসেছে। কী রিপোর্ট এসেছে সেটা আমি জিজ্ঞেস করিনি। রিপোর্ট কোর্টে গেলে সবাই জানতে পারবে।’
আরও পড়ুন: র্যাব হেফাজতে সুলতানার মৃত্যু: কথিত সহযোগী আল আমিন গ্রেপ্তার
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে মৃত সুলতানার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তলব হাইকোর্টের
নওগাঁর র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তলব করেছেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের করা সুরতহাল প্রতিবেদন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ডাক্তারের করা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন তলব করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে কারা ওই নারীকে আটক করেছিলেন এবং কাদের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে, তাদের নাম পদবিসহ তথ্য চেয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ও গ্যাস লাইন পর্যবেক্ষণে প্রতি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
এছাড়াও তার মৃত্যুর ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না সেটি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে সরকারের সংশ্লিষ্টদের মঙ্গলবারের মধ্যে এসব প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৭ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি। তারা (ভুক্তভোগীর পরিবার) কোনো মামলা করেনি।
তখন হাইকোর্ট বলেন, কেন তারা মামলা করবেন? রাষ্ট্রের কী দায়িত্ব নেই? দেশজুড়ে এ ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
একপর্যায়ে হাইকোর্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে বলেন, আমরা ভুক্তভোগী নারীর পোস্টমর্টেম, ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্ট দেখবো, সেটা আগামীকাল নিয়ে আসবেন। আর ওই নারীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে কোন কোন কর্মকর্তা ছিলেন তাদের সবার নাম-পরিচয় আমাদের সামনে নিয়ে আসবেন।
আমরা দেখতে চাচ্ছি এ ঘটনার সঙ্গে আইনের কোনো গাফিলতি আছে কি না।
এসময় হাইকোর্ট আরও বলেন, জনগণ তাকিয়ে আছে ন্যায়বিচার দেখতে। আর আমরা আছি ন্যায়বিচার করতে। এরপর আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দিন ধার্য করেন। সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন।
র্যাবের দাবি, প্রতারণার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। আটকের পর অসুস্থ হয়ে তিনি মারা গেছেন। তবে স্বজনদের অভিযোগ, হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: এত টাকা লাগলে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজে যাবে: প্রশ্ন হাইকোর্টের
নিহত সুলতানার মামা এবং নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক বলেন, তার ভাগনি বুধবার সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুক্তির মোড় থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাবের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে যায়। তবে তাকে র্যাবের কোন ক্যাম্পে নেয়া হয়, সে ব্যাপারে তারা কিছুই জানতেন না। দুপুর ১২টার পর জানতে পারেন যে সুলতানা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে গিয়ে তিনি র্যাবের লোকজন দেখেন। কিন্তু ভাগনি কোনো কথা বলতে পারছিলেন না। কিছুক্ষণ পর তাকে রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। যদিও লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে শনিবার দুপুরের পর।
এ বিষয়ে র্যাব-৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব বলেন, সুলতানার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার একটি অভিযোগ পায় র্যাব। তার ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ ছিল। ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখে র্যাব অভিযোগের সত্যতা পায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুক্তির মোড় এলাকা থেকে র্যাবের হেফাজতে নেয়া হয়। কিন্তু আটকের পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহীতে নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু রাজশাহীতে নেয়ার পর তার অবস্থা আরও খারাপ হয়।
শুক্রবার রামেক হাসপাতালে স্ট্রোক করে তিনি মারা যান। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শনিবার দুপুরে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনা ওয়াসা এমডির দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
সাগর রুনি হত্যা: ৯৬ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ৯৬ বারের মতো পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৯ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন আদালত।
রবিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ঠিক করেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৯৩ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার হস্তান্তর করা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে।
দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: দ্রুত সাগর-রুনি হত্যার রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে র্যাবকে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৯৫১ মৃত্যু, ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ: প্রতিবেদন
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে, ২০২২ সালে সারাদেশে সাত হাজার ৬১৭টি সড়ক, রেলপথ ও নৌপথে দুর্ঘটনায় মোট ১০ হাজার ৮৫৮ জন নিহত এবং ১২ হাজার ৮৭৫ জন আহত হয়েছে।
এর মধ্যে ছয় হাজার ৭৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৯৫১ জন নিহত এবং ১২ হাজার ৩৫৬ জন আহত হয়েছে যা গত আট বছরের পরিসংখ্যানের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সোমবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে যাত্রীদের কল্যাণে কাজ করা সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী তাদের নতুন প্রতিবেদন এই তথ্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত
এতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।
সদ্য শেষ হওয়া বছরে ৬০৬টি রেল দুর্ঘটনায় ৫৫০ জন নিহত এবং ২০১ জন আহত হয়েছে এবং নৌপথে ২৬২টি দুর্ঘটনায় ৩৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩১৮ জন আহত হয়েছে এবং আরও ৭৪৩ জন নিখোঁজ হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে গত বছর মোট দুর্ঘটনার ৫২ দশমিক ০২ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৭ দশমিক ৭০ শতাংশ জাতীয় সড়কে এবং ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ পার্শ্ব সড়কে হয়েছিল।
এছাড়া দেশের মোট দুর্ঘটনার পাঁচ দশমিক ৬৭ শতাংশ ঘটেছে রাজধানীতে, এক দশমিক ৭১ শতাংশ চট্টগ্রাম শহরে এবং শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ বিভিন্ন রেলক্রসিংয়ে।
দুর্ঘটনাগুলোর বিভিন্ন কারণগুলোর মধ্যে প্রধান কারণগুলোর মধ্যে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং, জরাজীর্ণ রাস্তা, অযোগ্য যানবাহন, অদক্ষ চালক, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন বা হেডফোন ব্যবহার এবং সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাবকে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংস্থাটি অভিযোগ করেছে যে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দায়ী সংস্থাগুলোর অনিয়ম, দুর্নীতি এবং জবাবদিহিতার অভাবের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যানবাহনের ফিটনেস নিশ্চিত করে ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়া হয় যাত্রী কল্যাণ সমিতির ও প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
জিডিপি প্রতিবেদন প্রতি ৩ মাসে হালনাগাদ করার পরামর্শ আইএমএফের
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী প্রতি তিন মাসে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তথ্য হালনাগাদ করার পরামর্শ দিয়েছে।
সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সঙ্গে বৈঠক করেন।
আইএমএফের প্রতিনিধিদল বিবিএস কর্মকর্তাদের জিডিপি গণনা করার জন্য কিছু সরঞ্জাম ব্যবহার করার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
আইএমএফ দলের নেতৃত্বে ছিলেন মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ। আলোচনায় দলের নেতৃত্ব দেন বিবিএসের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মতিয়ার রহমান।
আরও পড়ুন: আইএমএফের সঙ্গে ঋণ নিয়ে আলোচনা সন্তোষজনক: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র
বিবিএস জানিয়েছে, সংস্থাটি আইএমএফের সুপারিশ অনুযায়ী ত্রৈমাসিক তথ্য সরবরাহ শুরু করবে।
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি পরিমাপ করা হয় ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরকে ভিত্তি বছর ধরে। এটিকে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে পরিবর্তন করার জন্য ২০১৭ সালে একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
তবে গত পাঁচ বছরে বিবিএস ভিত্তি বছর পরিবর্তন করতে পারেনি।
বর্তমানে, বিবিএস বছরে দুইবার জিডিপি বৃদ্ধির তথ্য সরবরাহ করে। আইএমএফ এই পদ্ধতি বাতিল করে বছরে চারবার প্রকাশ করার পরামর্শ দিয়েছে, যাতে দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন সবসময় জানা যায়।
আগস্টের মূল্যস্ফীতির তথ্য এবার দেরিতে প্রকাশ করা হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে তথ্য প্রকাশে দেরি হয়েছে কি না তা জানতে চেয়েছে আইএমএফ। এ বিষয়ে বিবিএস মহাপরিচালক তাদের বিস্তারিত জানান।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ বাজেট সহায়তা হিসেবে আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার নিয়ে বিএসইসি’র সঙ্গে আলোচনায় বসবে আইএমএফ
আইএমএফের হিসাবে আরও কমে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ!