ট্রলার
করতোয়ায় ট্রলার দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে ট্রলার দুর্ঘটনায় নিহত বা আহতদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
সোমবার দূতাবাস এক শোকবার্তায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে,‘পঞ্চগড়ে মহালয়া উদযাপন শেষে ফেরার সময় করতোয়া নদীতে ট্রলার দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকারে থাকবে: ইইউ
এতে আরও বলা হয়েছে,‘আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের এবং তাদের পরিবারের জন্য আমাদের আন্তরিক সহানুভূতি ও প্রার্থনা জানাই।’
রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মহালয়া উপলক্ষে বধেশ্বর মন্দির থেকে ফেরার সময় নারী ও শিশুসহ ৬০ থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়।
সোমবার সকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে বিক্ষোভ-সম্পর্কিত সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ ইইউ’র
বাংলাদেশে ইরাসমাস প্লাস রোডশো শিক্ষাবৃত্তির উদ্বোধন ইইউ রাষ্ট্রদূতের
২১ দিনেও সন্ধান মেলেনি ৯ জেলের
২১ দিনেও সন্ধান মেলেনি বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ৯ জেলের।
নিখোঁজদের পরিবারে চলছে স্বজনদের আহাজারি। পরিবারগুলোর খোঁজ নেয়নি জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বছরের পর বছর ধরে জেলেরা নিখোঁজ থাকলেও তাদের নাম আসে না মৃতদের তালিকায়। যে কারণে তাদের স্বজনরা পান না সরকারি সহায়তা।
আরও পড়ুন: কুতুবদিয়া দ্বীপ থেকে ১৭ জেলে জীবিত উদ্ধার
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ঝড়ের কবলে ভেসে যাওয়া ৯০ জেলে ভারতের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আটকে থাকলেও বাংলাদেশের হাইকমিশনের সহযোগিতার অভাবে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না।
১৫ আগস্ট পাথরঘাটা বিএফডিসির খাল থেকে এফবি সিরাজ উদ্দিন ট্রলারটি নিয়ে ১১ জন জেলে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যান।
কিন্তু ১৮ আগস্ট সাগরে নিম্নচাপে সৃষ্ট ঝড়ে ডুবে যায় ট্রলারটি। পরে উত্তাল সাগরে ভাসতে ভাসতে ভারতীয় কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় পাঁচজন জেলে ফিরে এলেও ২১ দিনেও ফিরে আসেননি বাকি ছয়জন জেলে।
পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামের নিখোঁজ জেলে ইব্রাহিমের কলেজ পড়ুয়া ছেলে মাসুম বিল্লাহ। বাবা ফিরে আসার অনিশ্চয়তায় নিজের লেখাপড়া ও সংসার চালানো নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে ইব্রাহিমের স্ত্রী ও বৃদ্ধ মা-বাবার আহাজারি যেন থামছে না। তাদের অভিযোগ, এখনো কেউ খোঁজ নেননি তাদের।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জলসীমা থেকে ৩১ ভারতীয় জেলে আটক
ট্রলার মালিক সমিতি তথ্য অনুযায়ী, ওই ট্রলারের ৬ জন জেলে সহ বিভিন্ন ট্রলারের মোট ৯ জন জেলের সন্ধান মিলছে না। দরিদ্র জেলে পরিবার গুলোতে ৪-৫ জন সদস্য রয়েছেন। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন তারা, চাচ্ছেন সরকারের সহযোগিতা।
ঝড়ের কবলে ভেসে ভারতে চলে যাওয়া জেলেদের উদ্ধারে সম্প্রতি ভারত গিয়েছিলেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
তিনি বলেন, ভারতের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা জেলেদের মধ্যে নিখোঁজ ওই ৯ জন জেলেকে পাওয়া যায়নি। এমনকি বছরের পর বছর নিখোঁজ থাকলেও মৃতদের তালিকায় নাম না আসায় স্বজনরা বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারি সহায়তা থেকে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে আটকে পড়া জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনা বিলম্বিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, সঠিক তথ্য পেলে মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে। নিখোঁজ জেলেদের পরিবারে উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সহায়তা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে দেশে ফিরল ৮৮ জেলে
ভারত থেকে দেশে ফিরল ৮৮ জেলে
ঘন কুয়াশায়ার কারণে পথ ভুলে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পরার পর আটক হওয়া ৮৮ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত।
সোমবার বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এর প্রচেষ্টায় দেশে ফেরেন তারা।
বিজিবি’র হেডকোয়ার্টার্সের গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, বিজিবির দৃঢ় পদক্ষেপে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এফবি শাহ আমানত ও এফবি সোনার মদিনা-২ এর ৮৮ জেলেকে হস্তান্তর করে।
সোমবার সন্ধ্যায় কাইখালী বিওপি কাছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কালিন্দি নদীর মাঝখানে দুই ট্রলারসহ ৮৮ জেলেকে বিএসএফ-এর নীলদুমার ব্যাটালিয়ন-১৭ আনুষ্ঠানিকভাবে রিভারিয়ান বর্ডার গার্ড বাহিনীর হাতে হস্তান্তর
করে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি কুয়াশার কারণে দিকভ্রান্ত হয়ে ৮৮ জেলে ট্রলারসহ বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় অংশে ঢুকে পড়লে ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের আটক করে
কলকাতার বড়ইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধন কেন্দ্রে পাঠায়।
পরে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে তারা আজ দেশে ফিরল।
এসময় কক্সবাজারের স্থানীয় প্রতিনিধি বিজিবি, বিএসএফ, স্থানীয় পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
আরও উল্লেখ্য, বিজিবি’র ব্যবস্থাপনায় প্রত্যাবসানকারী ৮৮ বাংলাদেশি জেলের জন্য খাবার ও অন্যান্য প্রশাসনিক সহযোগিতা করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে দুই জেলের মৃত্যু
বঙ্গোপসাগরে ভোলার ৬ ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ৫৯ জেলে উদ্ধার
উদ্ধারকারী ট্রলারে ফিরেছেন দেড় শতাধিক জেলে, এখনও নিখোঁজ ২৫০
পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডুবে যাওয়া ১৮টি ট্রলারের দেড় শতাধিক জেলেকে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আড়াই শতাধিক জেলে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির উদ্ধারকারী ট্রলারসহ স্থানীয়রা এসব জেলেকে নিয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে পৌঁছায়।
এ সময় জেলেরা আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে ট্রলার থেকে পড়ে গিয়ে চরফ্যাশনের জনতা বাজার এলাকার জেলে রফিক (৩২) এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা এবং মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, আলীপুরের ডুবে যাওয়া ট্রলারের সকল জেলেকে সুন্দরবনসহ বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জনকে সাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আর ১১ জেলেকে ভারতের রায়দীঘির জেলেরা উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: আরও ৩ জেলের মরদেহ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, তারা বর্তমানে ভারতের সাউথ সুন্দরবন ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের হেফাজতে রয়েছে। আর বাকি জেলেদের আমাদের মালিক সমিতির ট্রলার ও স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করেছে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে ১২৬ জেলেসহ সাতটি ট্রলার। এছাড়া ডুবে যাওয়া ও নিখোঁজ ট্রলারের সকল মালিকদের বাড়ি আলীপুরে।
মহিপুর আড়ৎ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা জানান, মহিপুরের আড়তগুলোতে মাছ দেয়া ৯ টি ট্রলার ডুবে গেছে। আর এখনও অন্তত ১৩০ জেলেসহ ৯ টি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া গভীর সাগর থেকে তীরে ফেরার পথে একটি ট্রলার থেকে রফিক নামের এক জেলে বঙ্গোপসাগরে পড়ে যায়। তিনি এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। ডুবে যাওয়া ও নিখোঁজ ট্রলারের মালিকদের বাড়ি মহিপুর, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়।
কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার মোর্শেদ জানান, নিখোঁজ জেলে ও ট্রলার উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে আমাদের উদ্ধারকারী নৌ-যানের সংকট রয়েছে।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে ট্রলারডুবি: ২ জেলের লাশ উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারডুবি: ১৭ জেলে উদ্ধার
মেঘনা নদীতে সাড়ে ৩ হাজার বস্তা চিনিবোঝাই ট্রলার ডুবি
মেঘনা নদীতে একটি চিনিবোঝাই ট্রলার ডুবে গেছে। বুধবার সকাল ১০টায় নদীর হিজলা উপজেলার কাইছমা বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হিজলা নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দে জানান, এমভি ফারহান-ফাহিম নামের মাঝারীমানের একটি ট্রলার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে ফ্রেস কোম্পানির তিন হাজার ৭২০ বস্তা চিনি নিয়ে ভোলার উদ্দেশে রওনা দেয়। নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় ট্রলার চালক ডুবোচর খেয়াল করেনি। ট্রলারটি একটি ডুবোচরে উঠিয়ে দেয়। এতে ট্রলারটির তলা ফেটে কাত হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, নদীতে প্রচণ্ড বাতাস ও ঢেউয়ের আঘাতে কাত হওয়া ট্রলারে পানি ঢুকে ডুবতে থাকে। তখন টহলরত নৌ-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রলারে থাকা পাঁচ জন নাবিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে।
পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দে আরও জানান, স্থানীয় জেলে নৌকা ডেকে এনে ট্রলার থেকে ৩০০ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি তিন হাজার ৪২০ বস্তাসহ ট্রলারটি ডুবে গেছে।
পরিদর্শক বলেন, ওই চিনি ভোলার হোসেন ট্রেডার্স’র। তারা ঘটনাস্থলে এসেছে।
ট্রলার উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ২ ট্রলারডুবি, ৮ জেলে নিখোঁজ
পান্ডব নদীতে সিমেন্ট বোঝাই ট্রলারডুবি
বঙ্গোপসাগরে ৮ ট্রলারসহ ১৩৫ ভারতীয় জেলে আটক
বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরার সময় ৮টি ট্রলারসহ ১৩৫ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী। সোমবার রাতে গভীর সমুদ্রে টহল দেয়ার সময় নৌবাহিনীর সদস্যরা দুই দফায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ওই জেলেদের আটক করে।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম জানান, নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা প্রত্যয় এবং আলী হায়দার সোমবার রাতে সমুদ্রে টহলে ছিল। এসময় অবৈধভাবে বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ ধরার অপরাধে প্রথম দফায় অভিযান চালিয়ে ৪টি ট্রলারসহ ৬৮ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ৪টি ট্রলারসহ ৬৭ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে।
তিনি জানান, ভারতীয় ওই জেলেরা অবৈধভাবে বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করছিল। জব্দকৃত মাছধরা ট্রলারসহ মালামালের আনুমানিক মূল্যে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, ৪টি ট্রলারসহ ৬৮ জেলেকে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবৈধভাবে বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ ধরার অপরাধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক ওই ভারতীয় জেলেদের বাগেরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।
পড়ুন: পদ্মা সেতু: বাগেরহাট হবে নতুন অর্থনৈতিক হাব
ভারতে নবীজিকে নিয়ে মন্তব্য: বাগেরহাটে বিরোধের জেরে হিন্দু বাড়িতে হামলা
কর্ণফুলীতে ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সাম্পান ডুবি, কিশোর নিখোঁজ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যাত্রী বোঝাই সাম্পান উল্টে মো. সোহাগ (১৭) নামে এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছে।
শনিবার রাতে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ের মেরিন ফিশারিজ ঘাট থেকে নদীর উত্তর পাড়ে আসার সময় সাম্পানটি নদীতে নোঙর করে থাকা এফভি পারটেক্স-১ এর সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় যাত্রীরা সবাই সাঁতার কেটে উঠতে পারলেও, নদীতে ডুবে যায় কিশোর সোহাগ।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখী ঝড়ে সন্দ্বীপে স্পিডবোট ডুবি, শিশুর লাশ উদ্ধার
খবর পেয়ে রাতে তাৎক্ষনিক নৌ পুলিশ টিম ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তল্লাশি চালিয়ে ওই কিশোরে সন্ধান পায়নি। ফলে রবিবার দুপুর ১২টা থেকে ডুবুরি দল ফের নদীতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বলে জানান সদরঘাট নৌ থানার ওসি এবিএম মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, কিশোর সোহাগের বাড়ি কুমিল্লার লাকসামের কুলতি এলাকায়। তার বাবার নাম মো. করিম। সে বাবার সঙ্গে কর্ণফুলী এলাকা থেকে শহরে আসছিল। সাম্পান ডুবির খবর পেয়ে রাতে ফায়ার সার্ভিস ডুবরী টিম এবং আমরা যৌথভাবে তল্লাশি চালাই। কিন্তু নদীতে ভাটার টান থাকায় ছেলেটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রবিবার আবার অভিযান শুরু করেছি।
আরও পড়ুন: ভোলায় মেঘনা নদীতে বালু বোঝাই বাল্কহেড ডুবি
সিলেটে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আরেকজনের লাশ উদ্ধার
ঝড়ে পদ্মায় ট্রলার ডুবে ২ কৃষক নিখোঁজ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং টার্নিংয়ের কাছে ঝড়ের কবলে পরে পদ্মায় ১৫ আরোহীসহ ধানভর্তি ট্রলার ডুবিতে দুই কৃষক নিখোঁজ হয়েছেন। শনিবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ কৃষকেরা হলেন-মাদারীপুরের শীবচর উপজেলার রাজারচরের হেলাল ফকির (৫০) ও আলো ফকির (৬০)।
জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের আঁড়িয়াল বিলে ধান কেটে কৃষকেরা নিজেদের ভাগের প্রায় ১৫০ মণ ধানসহ বাড়ি ফিরছিলেন। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার যাওয়ার পথে তাদের ট্রলার মাঝ নদীতে লৌহজং টার্নিংয়ের কাছে ডুবে যায়। এই সময় ভেসে থাকা ১৩ কৃষককে আশাপাশের নৌযান উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। এসময় দুজন কৃষক নিঁখোজ হয়।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল আওয়াল বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি তলব করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে নিখোঁজদের সন্ধান চলছে। কোস্টগার্ডের টহল টিম পদ্মায় দুর্ঘটনাস্থল চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও জানান,কৃষকেরা ভাড়া ট্রলারে করে পদ্মা পার হচ্ছিল।
তবে নিষেধাজ্ঞা সত্বেও উত্তাল পদ্মায় ট্রলার চলাচল করায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশালে ট্রলারডুবি: ৩ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১
মেঘনায় ট্রলারডুবি: ২ জেলের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১
বরিশালে ট্রলারডুবি: ৩ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১
বরিশালের আড়িয়াল খাঁ নদীতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
বরিশাল নৌ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার খোরশেদ আলম বলেন,রাত ১টার দিকে ট্রলারটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। চার জনের নিখোঁজের খবর ছিল আমাদের কাছে। ইতোমধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বরিশাল নৌ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান বলেন,সিরাজগঞ্জ থেকে ট্রলারে করে চরমোনাই মাহফিলের উদ্দেশে আসছিলো কিছু মুসল্লি। চরমোনাইয়ের কাছাকাছি পৌঁছালে ট্রলারটি ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলারডুবি: আরও দুই জেলের লাশ উদ্ধার
খুলনায় র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় আটক ৫
খুলনায় র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি খুলনা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যাক্তিরা হলেন- দিঘলিয়া এলাকার মৃত গাজী রেজাউল হকের ছেলে গাজী সালাউদ্দিন সুমন (৩৯), খালিশপুর এলাকার মো. মফিজ হাওলাদারের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম(২১), মো. মফিজুর রহমান ভুইয়ার ছেলে মো. হারুন অর রশিদ (৩৭), মৃত রুস্তম শেখের ছেলে মো. মুরাদ শেখ (৪০) ও বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার মৃত আবুতাহের খানের ছেলে মো. খায়রুজ্জামান খান তুহিন (৪০)।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা মামলায় আসামি সাইফা আটক
র্যাব জানিয়েছে, চালনাবাজার মধ্যপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী চন্দন সাহা (৪৩) গত ১০ ফেব্রুয়ারি ভাড়া করা ট্রলারে করে চালনা বাজার ট্রলারঘাট থেকে কাবিখার বৈধভাবে ক্রয়কৃত ২০৮ বস্তা লাল গম নিয়ে খুলনার নতুন বাজার লঞ্চঘাট বরফকল এলাকায় পৌঁছান। এ সময় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যক্তি র্যাবের পরিচয় দিয়ে ট্রলারের মাঝি মধু সাহাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ট্রলারের পণ্যগুলো জব্দ করে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত চক্রের মূলহোতা গাজী সালাউদ্দিন সুমন খুলনার নতুন বাজার লঞ্চঘাট বরফকল এলাকায় অবস্থান করছে। ওই দির রাতেই সুমনকে আটক করে র্যাব। পরবর্তীতে তার তথ্য অনুযায়ী বাকিদের আটক করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ৪২ কেজি গাঁজা জব্দ, আটক ২