বৃষ্টি
হিমাচলে দেড় মাসের টানা বৃষ্টিতে ১৯৯ জনের মৃত্যু, ৩১ জন নিখোঁজ
ভারতের হিমাচল প্রদেশে বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে গত ৪১ দিনে বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস ও সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৯৯ জন মানুষ মারা গেছেন এবং ৩১ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) ভারতের গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহত ১৯৯ জনের মধ্যে ৫৭ জন ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার কারণে এবং ১৪২ জন বর্ষাকালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘এখন পর্যন্ত বর্ষায় বিভিন্ন কারণে ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় ৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং সড়ক দুর্ঘটনা বা অন্যান্য কারণে ১৪২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়াও হিমাচল প্রদেশে ৩১ জন নিখোঁজ এবং ২২৯ জন আহত হয়েছে।’
রাজ্য সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখ্য সচিব অনিল খাচি বলেছেন, রাজ্যে বৃষ্টি ও বন্যায় প্রতিদিনই প্রাণহানি বাড়ছে।
আরও পড়ুন: চীনে ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও দিন দিন বাড়ছে।
তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে অবকাঠামোর আনুমানিক ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৬৩ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা।
বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় রাজ্যে ৭৭৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৭ হাজার ৩১৭টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৫৪টি দোকান ও ২ হাজার ৩৩৭টি গোয়ালঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এ সময় রাজ্যে ৭৯টি ভূমিধস এবং ৫৩টি আকস্মিক বন্যা হয়েছে। রাজ্যে প্রায় ৩০০টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। ২৭৪টি বিদ্যুৎ ও ৪২টি পানি সরবরাহ প্রকল্প ব্যাহত হয়েছে।
রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার আগামী দুই দিনের জন্য সতর্কতা জারি করেছে।
অন্যদিকে, সোলান জেলার কালকা-সিমলা চার লেন জাতীয় মহাসড়ক-৫ ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সিমলার পর্যটন শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে। এই বিপর্যয় রাজ্যের রাজধানীর ব্যবসার ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
হিমাচল প্রদেশ ট্যুরিজম স্টেকহোল্ডারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মহিন্দর শেঠ বুধবার বলেছেন, সাম্প্রতিক বৃষ্টি ও বন্যা শেষে আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে পর্যটকদের ভ্রমণ শুরুর আশা ছিল। তবে মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ভয়ে পর্যটকরা ভ্রমণ বন্ধ রেখেছেন।
আরও পড়ুন: চীনে বন্যায় নিহত ২০, নিখোঁজ ২৭
চীনে বন্যায় ১১ জন নিহত, ২৭ জন নিখোঁজ
ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়- রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
এতে আরও বলা হয়, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।
এদিকে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমী নিম্নচাপটি একই এলাকায় ঘনীভূত হয়ে মৌসুমী গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী রয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ঢাকায় যান চলাচল ব্যাহত, ভোগান্তিতে নগরবাসী
বর্ষার বৃষ্টির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের ঈদুল আজহা উদযাপন
বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাতাসের মান বুধবার সকালে ‘মধ্যম’
রাজধানীর বাতাসের মান বুধবার (২ আগস্ট) সকালে ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে। এর জন্য রাজধানীবাসী বৃষ্টিকে ধন্যবাদ দিতেই পারেন। এদিন সকাল ৯টা ৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৫৭ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত শহরের তালিকায় ৩৫ম স্থানে রয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং মালয়েশিয়ার কুচিং যথাক্রমে ১৫৩, ১৫২ ও ১৫১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর'বলে মনে করা হয়।
এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান বৃহস্পতিবার সকালেও ‘মধ্যম’
আবহাওয়ার পূর্বাভাস: দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঢাকাসহ সারাদেশের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘দেশের রাজশাহী, সিলেট বিভাগ, ঢাকা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, রংপুর, নেত্রকোনা, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।’
রবিবার (৩১ জুলাই) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ফেনী ও রংপুর জেলায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকার তাপমাত্রা ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এই সময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উত্তর বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে
৫ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ ৮ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়- চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু’-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান বৃহস্পতিবার সকালেও ‘মধ্যম’
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়াও, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, ওড়িশা, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: আবহাওয়ার পূর্বাভাস: দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সারাদেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর তার নিয়মিত বুলেটিনে জানিয়েছে যে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
এছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশে মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান শনিবার সকালেও ‘মধ্যম’
ঢাকার বাতাস শুক্রবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীদমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই পরিস্থিতি বিরাজ করবে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়।
এতে আরও বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ এবং দেশের অন্যান্য স্থানে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
এ ছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম হয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল অতিক্রম করে বিস্তৃত রয়েছে। এর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি নিম্নচাপ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
সুনামগঞ্জে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল না থাকায় কমছে নদ-নদীর পানি
সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল না থাকায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের পানি কমা অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, পানি কমায় এবং জেলায় বন্যার আশঙ্কা না থাকায় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে হাওরে ডুবে ৩ ভাইবোনের মৃত্যু
বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের নিশ্চন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল কালাম বলেন, গত কয়েকটা দিন গরু, বাছুর, ধান নিয়ে বিপদেই পড়েছিলাম। মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হলে পানি নেমে যাবে।
বংশীকুন্ডা বাজরের ব্যবসায়ী এবিএম জুয়েল তালুকদার বলেন, বাজারে বন্যার পানি না উঠলেও ব্যবসায়ীদের মনে আতঙ্ক ছিলো। যদিও বর্ষা মৌসুমে এরকম অবস্থা আমাদের নিত্যসঙ্গী। তবে বন্যা হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের নদীগুলো খনন করতে হবে।
শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের ছাতকে পানি কমে বিপদ সীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমার পানি।
সুনামগঞ্জ পয়েন্টে শূন্য দশমিক বিপদ সীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে সুরমা নদীর প্রবাহিত হচ্ছে।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) শীতেষ চন্দ্র সরকার জানান, পানি কমা আমাদের জন্য স্বস্তির বিষয়। তবে বন্যা পরিস্থিতি হলে তা মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জে বন্যার আশংকা নেই। গেল ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ও মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে খুবই কম বৃষ্টি হয়েছে।
এতে নদীর পানি কমছে। বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে কমছে নদীর পানি, স্বস্তিতে হাওরবাসী
সুনামগঞ্জে বন্যায় ১০ গ্রাম প্লাবিত, বৃষ্টি অব্যাহত
ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা হতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়- রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান বৃহস্পতিবার সকালেও ‘মধ্যম’
এছাড়া, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অধিদপ্তর সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলেছে- মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
কিশোরগঞ্জে গর্তে জমা বৃষ্টির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে গর্তে জমা বৃষ্টির পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের চারালদিয়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু মো. তাওহীদ (৩) একই ইউনিয়নের পূর্ব মসূয়া গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে তাওহীদ নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে। মঙ্গলবার বিকালে অন্য শিশুদের সঙ্গে বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করছিল। হঠাৎ সবার অজান্তে বাড়ির পাশেই বৃষ্টির পানি জমে থাকা একটি গর্তে পড়ে তলিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে সন্ধ্যা ৭টায় পানি ভরা গর্ত থেকে তাওহীদের লাশ উদ্ধার করে আত্মীয়-স্বজনরা।
এ বিষয়ে মসূয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বিকালে পানিতে ডুবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে সন্ধ্যায় আমাকে জানানো হয়।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু