সাকিব আল হাসান
সাকিবের অনন্য রেকর্ড, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর অভিনন্দন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব আল হাসান একইসাথে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেটের মাইলফলক অর্জন করেছেন।
মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ টি-২০ ম্যাচে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এই অনবদ্য রেকর্ড গড়েন। সাকিবের এমন অর্জনে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি।
আরও পড়ুন: শেষ ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়াকে হারাল বাংলাদেশ
অভিনন্দন বার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ইতিহাসে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আজ এক অনন্য রেকর্ড গড়লো। তার এ অসামান্য অর্জনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। আমি তার সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।’
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা ছাড়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না: মেসি
উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নেওয়ায় তালিকায় সাকিব দ্বিতীয় বোলার। তার আগে এই অর্জন আছে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গার। তবে লাসিথ মালিঙ্গা শুধু ১০০ (১০৭) উইকেটের মালিক, ১০০০ রানের কোটা পার করেননি।
জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল টাইগাররা
হারারেতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত বোলিং আর লিটন দাসের দাপুটে সেঞ্চুরির ওপর ভর করে জিম্বাবুয়েকে সহজেই হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার ১৫৫ রানের বিশাল ব্যবধানে স্বাগতিকদের হারিয়ে সিরিজে নিজেদের এগিয়ে রাখলো টাইগাররা ।
আরও পড়ুনঃ ১৭ মাস পর টেস্ট জয় বাংলাদেশের
ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটনের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ২৭৬ রান করে বাংলাদেশ।
লিটন দাস ১১০ বলে নিজের চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে ১০২ রানের মাথায় ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়ে যান।
২৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৩ রানে দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। শুরুর ধাক্কা সামলে রেজিস চকব্বা এবং ব্র্যান্ডন টেইলর যথাক্রমে ৫৪ এবং ২৪ করে দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পরাস্ত হন তাঁরা।
১৬ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১২১ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
আরও পড়ুনঃ পারিবারিক কারণে দেশে ফিরছেন মুশফিক
সাকিব ৩০ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এবং শরিফুল ইসলাম একটি করে উইকেট পান।
সিরিজের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচ জুলাইয়ের ১৮ এবং ২০ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
৩ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব, ৫ লাখ টাকা জরিমানা
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শুক্রবার আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে স্টাম্পে লাথি মারা ও মাটিতে ছুঁড়ে ফেলার ঘটনায় বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও তিন ম্যাচের বহিষ্কারাদেশ দিয়েছেন ম্যাচ রেফারি।
শনিবার সন্ধ্যায় সিসিডিএম কমিটির চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ গুলশানে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসানের বাসায় গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে সাকিবের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাকিবও শাস্তি মেনে নিয়েছেন তিনি জানিয়েছেন।
শুক্রবার এই অলরাউন্ডার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি২০ ক্রিকেট লীগের খেলায় মুশফিকুর রহিমের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউয়’র আবেদন জানিয়ে ব্যর্থ হয়ে মেজাজ হারিয়ে স্ট্যাম্পে লাথি মারেন। পরবর্তী ওভারে আবারও মেজাজ হারিয়ে আম্পায়ারের দিকে তেড়ে যান এবং স্ট্যাম্প তুলে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলেন।
আবাহনী লিমিটেড এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে খেলা চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার কাজী ইনাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খেলায় অনেক কিছুই ঘটে। আমরা আজ মোহামেডান এবং আবাহনীর মধ্যে খেলায় কিছু ঘটনা দেখেছি। এটি দুর্ভাগ্যজনক ছিল। এটি ছিল উত্তপ্ত ঘটনা। আমরা সবসময়ই খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই। এটি একটি টি-২০ ইভেন্ট এবং আমরা এই ইভেন্টে সব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আইন প্রয়োগ করি। ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের প্রতিবেদন পেলে আমরা এই ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাকিব তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইলেন সাকিব!
.পেজে তিনি লেখেন, ‘প্রিয় ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা, যারাই আজকের ম্যাচে আমার আচরণ দেখে কষ্ট পেয়েছেন বিশেষ করে ঘরে বসে যারা খেলা দেখেছেন, তাদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার মতো অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমনটা মোটেও কাম্য নয়, কিন্তু মাঝে মাঝে প্রতিকুল পরিবেশে এমনটা হতেই পারে। এমন ভুলের জন্য সকল দল, কর্তৃপক্ষ, টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও অর্গানাইজিং কমিটির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করি ভবিষ্যতে এমন কোন কাজে আমি আর জড়াব না। সকলের জন্য ভালোবাসা।’
ক্ষমা চাইলেন সাকিব!
‘বাংলাদেশের জান, বাংলাদেশের প্রাণ, সাকিব আল হাসান’, যেন ক্রিকেটে বিতর্ক তৈরি করাই তার নেশা। আবারও আলোচনার ঝড় তুললেন তিনি।
শুক্রবার বিশ্ববিখ্যাত এই অলরাউন্ডার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি২০ ক্রিকেট লীগের খেলায় উইকেট পতনের দাবি জানিয়ে ব্যর্থ হয়ে মেজাজ হারিয়ে স্ট্যাম্পে লাথি মারেন। পরবর্তী ওভারে আবারও মেজাজ হারিয়ে আম্পায়ারের দিকে তেড়ে যান এবং স্ট্যাম্প তুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন।
আরও পড়ুন: আইসিসি র্যাংকিং: নেতৃত্বে আছেন সাকিব, বাবর আর বোল্ট
ক্রিকেট ভদ্র লোকের খেলা হলেও, সকল ভদ্রতার বাঁধ যেন আজ ভেঙে যায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের।
কিন্তু এত নাটকীয়তার ম্যাচটি অবশ্য জিতে যায় সাকিবের দল মোহামেডান।
আরও পড়ুন: পুত্র সন্তানের বাবা হলেন সাকিব
তবে দিন শেষে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব। তিনি তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘প্রিয় ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা, যারাই আজকের ম্যাচে আমার আচরণ দেখে কষ্ট পেয়েছেন বিশেষ করে ঘরে বসে যারা খেলা দেখেছেন, তাদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার মতো অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমনটা মোটেও কাম্য নয়, কিন্তু মাঝে মাঝে প্রতিকুল পরিবেশে এমনটা হতেই পারে। এমন ভুলের জন্য সকল দল, কর্তৃপক্ষ, টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও অর্গানাইজিং কমিটির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করি ভবিষ্যতে এমন কোন কাজে আমি আর জড়াবোনা। সকলের জন্য ভালোবাসা।’
আইসিসি র্যাংকিং: নেতৃত্বে আছেন সাকিব, বাবর আর বোল্ট
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (ওডিআই) ব্যাটিং, বোলিং এবং অলরাউন্ডার ক্যাটাগরিতে আইসিসির শীর্ষ স্থান দখল করেছে যথাক্রমে বাবর আজম, ট্রেন্ট বোল্ট এবং বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।
পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম গত কয়েক বছরে ওডিআই ফরম্যাটে দারুণ খেললেও র্যাংকিং এর শীর্ষ স্থানটি নিজের দখলে নিতে পারছিলেন না। কিন্তু এবার ভিরাট কোহলিকে টোপকে শীর্ষ স্থান বাগিয়ে নিলেন এই ক্রিকেটার।
অন্যদিকে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে কিউই বোলার ট্রেন্ট বোল্ট সেরা বোলারদের একজন। আর আইসিসি র্যাংকিং যথাযথ বিচারই করেছে তার নামের প্রতি।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা সিরিজের ২ ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা, বাদ পড়লেন শান্ত
অপরদিকে দীর্ঘ এক বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে এসে আবারও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের তকমা নিজের দখলে নিলেন টাইগার সাকিব আল হাসান।
সাম্প্রতিক ওডিআই র্যাংকিং
ব্যাটিংয়ে ৮৬৫ স্কোর নিয়ে সেরার অবস্থানে আছেন পাকিস্তানের বাবর আজম। এরপরেই ৮৫৭ স্কোর নিয়ে ভিরাট কোহলি ও ৮২৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। চতুর্থ ও পঞ্চম তালিকায় আছে যথাক্রেমে অস্ট্রেলিয়ান অ্যারন ফিঞ্চ এবং নিউজিল্যান্ডের রস টেইলর।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের মধ্যে সেরার অবস্থানে আছে মুশফিকুর রহিম।
আরও পড়ুন: সাকিব-মোস্তাফিজ ঢাকায়
বোলিংয়ের ক্ষেত্রে ৭২৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষে আছেন কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। এরপরের সেরা চারটি অবস্থানে আছে যথাক্রমে আফগানিস্তানের মুজিব-উর-রহমান, নিউজিল্যান্ডে ম্যাট হেনরি, ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ এবং বাংলাদেশের মেহেদি হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ থেকে ১৬তম অবস্থানে আছে সাকিব এবং ১৮তম অবস্থানে আছে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: ওয়ানডে খেলতে ঢাকায় শ্রীলঙ্কা দল
অলরাউন্ডারদের তালিকার শীর্ষ স্থানকে আবারও নিজের নামেই লিখিয়েছেন সাকিব। তার স্কোর ৪০৮। এরপরে শীর্ষ চার অবস্থানে আছেন যথাক্রমে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস্, আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী, ইংল্যান্ডে ক্রিস ওয়েক্স এবং আফগান তারকা রশীদ খান।
বাংলাদেশের মেহেদি হাসান মিরাজ এই তালিকার ২০ নাম্বারে অবস্থান করছেন।
সাকিব-মোস্তাফিজ ঢাকায়
ভারত থেকে বৃহস্পতিবার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং বাহাতি পেসার মোস্তফিজুর রহমান দেশে ফিরেছেন।
তারা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) যথাক্রমে কলকাতা নাইট রাইর্ডাস (কেকেআর) এবং রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলছিলেন।
বৃস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে একটি বিশেষ বিমানে সাকিব ও মোস্তাফিজ ঢাকায় পৌঁছেন। আপাতত তারা ঢাকার হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
আরও পড়ুন: কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত
এর আগে মঙ্গলবার চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলোয়াড় ও কর্মীরা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর আইপিএল স্থগিত করা হয়।
৩ মে করোনার কারণে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরের মধ্যকার নির্ধারিত ম্যাচটি পেছানো হয়েছিল।
এছাড়া মঙ্গলবার চেন্নাই সুপার কিংসের দুই কর্মী, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান সাহা ও দিল্লি ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্রও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই লীগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেয়।
আরও পড়ুন:ভারতে করোনা আক্রান্ত ২ কোটি ছাড়াল
করোনার কারণে ভারতের সাথে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সাকিব-মোস্তাফিজের দেশে ফেরা কঠিন হয়ে পড়েছিল। পরে দুদিরের অপেক্ষার নিজ নিজ ফ্র্যাঞ্চাইজির উদ্যোগে চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন তারা
আগামী ২৩ মে থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার তিন মাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজের প্রাথমিক দলে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:করোনায় ১৭২০ ক্রিকেটারের পাশে বিসিবি
আইপিএলে অংশগ্রহণ করতে যাওয়ার কারণে দুজনই শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অংশ নিতে পারেননি।
বাংলাদশের সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশ!
ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরনো এবং ধ্রুপদী ধরন হল টেস্ট ক্রিকেট। গত দুই দশকে বাংলাদেশের হয়ে অনেক খ্যাতিমান টাইগাররা ব্যাট এবং বল হাতে খেলেছেন। এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯৮ জন খেলোয়াড় বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেটের টেস্ট সংস্করণে অংশ নিয়েছেন।
তাই সহজেই সেরা ১১ জন খেলোয়াড়ের নাম নেয়াটা অতটা সহজ নয়। তবে ক্রিকেটারদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটর সেরা ১১ তারকার নাম উল্লেখ করা যেতেই পারে। চলুন দেখে নেই বাংলাদেশে টেস্ট ক্রিকেটর সর্বকালের সেরা ১১ টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা।
১) তামিম ইকবাল
৬৪টি টেস্ট খেলা তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৭৬৪ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করেছেন। সর্বোচ্চ ২০৬ রান এবং ৯টি শতকের অধিকারী তিনি। বাংলাদেশের সর্বকালে সেরা ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবেও তাকে গণ্য করা হয়।
২) ইমরুল কায়েস
টেস্টে ৩৯টি ম্যাচ খেলা এবং ১ হাজার ৭৯৭ রানের মালিক ইমরুল কায়েস দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। মাত্র তিনটি শতকের দেখা পাওয়া এই ব্যাটারের সর্বোচ্চ রান ১৫০। বাংলাদেশের হয়ে তামিমের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩১২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন এই ক্রিকেটার।
৩) মুমিনুল হক
বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের বর্তমান দলপতি মুমিনুল এই অবস্থানে আছেন ৪৪টি ম্যাচ এবং ৩ হাজার ২৪৭ রানের সুবাদে। তার সর্বোচ্চ রান ১৮১ এবং মোট শতকের সংখ্যা ১১টি।
৪) মুশফিকুর রহিম
মিডল অর্ডারে সবচেয়ে ভরসার জায়গায় আছেন মুশফিকুর রহিম। তার ঝুলিতে আছে ৭৪ ম্যাচ, ৪ হাজার ৬৪৫ রান এবং ৭টি শতক। তার সর্বোচ্চ রান ২১৯ (অপরাজিত)।
৫) মোহম্মাদ আশরাফুল
বিতর্কিত ও সমালোচিত এই প্লেয়ারকে নিয়ে অনেক কথা হতে পারে, কিন্তু টেস্টে তার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ৬১ ম্যাচ খেলা আশরাফুলের মোট রান ২ হাজার ৭৩৭ এবং সর্বোচ্চ রান ১৯০। অপরদিকে সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট শতকের রেকর্ডটি’ও তার দখলে।
আরও পড়ুন: করোনায় ১৭২০ ক্রিকেটারের পাশে বিসিবি
৬) সাকিব আল হাসান
বাংলাদেশ সেরা টেস্ট একাদশে ষষ্ঠ অবস্থানে আছেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ৫৭ ম্যাচে ৩ হাজার ৯৩০ রান, সর্বোচ্চ ২১৭ রান এবং ৫টি টেস্ট শতক আছে তার ঝুলিতে। এছাড়াও টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ২১০ উইকেট সংগ্রহের রেকর্ডও আছে তার ঝুলিতে।
৭) মোহম্মদ রফিক
নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই স্পিনার বাংলাদেশের হয়ে সর্বপ্রথম টেস্টে ১০০ উইকেট শিকার করতে সক্ষম হন। ৩৩ ম্যাচ খেলে ১ হজার ৫৯ রান এবং সর্বোচ্চ ১১১ রান করা এই ক্রিকেটার মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসাদায়ক খেলোয়াড় ছিলেন।
৮) মেহেদি হাসান মিরাজ
২৬ টেস্ট খেলা ৮৫৫ রানের অধিকারী মিরাজকে এই তালিকায় একজন অলরাউন্ডার হিসেবেই যুক্ত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০৩ রান এবং এ পর্যন্ত ১০৩ উইকেট শিকার করেছে এই তরুণ ক্রিকেটার।
৯) মাশরাফি বিন মর্তুজা
টেস্টে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের জন্য প্রথম নামটি ই হবে মাশরাফির। দেশের প্রকৃত এই পেইসার ১৪০ কি.মি ঘণ্টায় বল ছুড়তে পারেন। ৩৬ টেস্টে এ পর্যন্ত ৭৮ উইকেট নিয়েছেন সাবেক টাইগার দলপতি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ: টাইগারদের টেস্ট স্কোয়াড বিশ্লেষণ
১০) তাইজুল ইসলাম
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় সফল বোলার হল তাইজুল ইসলাম। ৩৩ ম্যাচ খেলা এই স্পিনার ১৩০ উইকেট নিয়েছেন। অপরদিকে বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে ৩৯ রান দিয়ে ৮ উইকেট শিকারের রেকর্ডটিও আছে তার দখলে।
১১) শাহাদাৎ হোসেন
৩৮ ম্যাচ খেলে ৭২ উইকেট নেয়া শাহাদাতকে মাশরাফির পরই সেরা ফাস্ট বোলার হিসেবে গণ্য করা হয়।
যদিও অনেক বড় তারকা খেলোয়াড়রা এই তালিকায় নেই। তবে নিজেদের ব্যক্তিগত রেকর্ডের কারণে এই তালিকায় অবস্থান জমিয়ে নিয়েছেন সেরা টেস্ট টাইগাররা।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ: টাইগারদের টেস্ট স্কোয়াড বিশ্লেষণ
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ম্যাচের সিরিজে অংশ নিতে ২১ সদস্যের বাংলাদেশের প্রাথমিক টেস্ট স্কোয়াড ইতোমধ্যেই শ্রীলঙ্কা পৌঁছে গেছে।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে বিশ্বসের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান ভারতের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) অংশগ্রহণের কারণে এই টেস্ট সফরে থাকছেন না।
তবে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবার টেস্ট দলে জায়গা করে নিয়েছেন শুভাগত হোম। আর লঙ্কানদের সাথে এই টেস্ট সিরিজেই তিন জন পেসারের অভিষেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি নির্বাচকরা। বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের জন্য টেস্ট দলের বিশ্লেষণ তুলে ধরা হল।
বাংলাদেশ টেস্ট স্কোয়াড
শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য গত শুক্রবার (৯ এপ্রিল) ২১ সদস্যের প্রাথমিক টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবারের টেস্ট দলে নির্বাচকরা যুক্ত করেছেন সাতজন পেসার ও চারজন স্পিনার।
আসন্ন টেস্ট দুটিতে অভিষেক হতে যাওয়া তিনজন পেসার হলেন, বাহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম এবং ডানহাতি ফাস্ট বোলার শহিদুল ইসলাম এবং মুকিদুল ইসলাম। এদিকে দীর্ঘ পাঁচ বছর বিরতির পর সাকিবের বদলে দলে জায়গা পেয়েছেন শুভাগত হোম। বাংলাদেশ দলে হয়ে ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডে বিপক্ষে শুভাগত তার শেষ ম্যাচটি খেলেন ।
লঙ্কা বধের নেতৃত্বে রয়েছেন মমিনুল হক। কিন্তু এবারও টেস্ট দলে সুযোগ পাননি দলের পরীক্ষিত ও সিনিয়র খেলোয়াড় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে বরাবরের মতই দলে থাকছেন তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিম। এবার তাদের একটু অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়েই খেলতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশের ২১ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড:
মুমিনুল হক (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল খান, সাদমান ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি, তাইজুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ সাইফ হাসান, ইয়াসির আলি রাব্বি, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, শুভাগত হোম, শহীদুল ইসলাম ও নুরুল হাসান সোহান।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে টাইগাররা
সিরিজ সূচি:
২১-২৫ এপ্রিল প্রথম টেস্ট ও ২৯ এপ্রিল থেকে ৩ মে সিরিজের শেষ টেস্টে লঙ্কানদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
শ্রীলঙ্কা সফর: বাংলাদেশ দল ২০১৭ বনাম বাংলাদেশ দল ২০২১
শ্রীলঙ্কা সফরে ২০১৭ ও ২০২১ সালের দল দুটির পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৭ সালের টেস্ট দলটি ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। ওই দলের অধিনায়কত্ব করেন মুশফিকুর রহিম এবং শেষ ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে সিরিজটি ড্র করে বাংলাদেশ দল।
এই সিরিজ জয়ের জন্য অধিনায়ক মুমিনুল এবং টিম ম্যানজমেন্টকে গেইম প্ল্যান সাজাতে হবে দলের কথা বিবেচনায় রেখেই।
২০১৭ সালে দলের টপ অর্ডারে ব্যাটিং করেছিল তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস এবং সৌম্য সরকারের মত ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশ দলের হয়ে ওই সিরিজে ওপেনিং জুটি হিসেবে তামিম এককভাবে ২০৭ এবং সৌম্য এককভাবে ১৯৫ রান করে।
এবার তামিমের সাথে ওপেনিং জুটি হিসেবে নামবে সাদমান ইসলাম। এবার দলে জায়গা হয়নি সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসের।
এছাড়া এবার মিডল অর্ডারে সাকিবের জায়গায় খেলবেন মোহাম্মদ মিঠুন এবং ৬ নাম্বারে ব্যাটিং করবে লিটন দাস (উইকেট রক্ষক)।
শ্রীলঙ্কার স্পিন সহায়ক পিচের কথা মাথায় রেখেই বাংলাদেশ একাদশের হয়ে খেলতে পারে তিনজন স্পিনার। বাংলাদেশ ২০১৭ সালে তিনজন স্পিনার খেলিয়েই সফলতা পেয়েছিল।
সবদিক বিবেচনায় এবারের দলে যেমন রয়েছে সম্ভাবনাময় নতুন খেলোয়াড় এবং তেমনি রয়েছে দলকে জয় এনে দেয়ার মত খেলোয়াড়। শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে জয়লাভের যথেষ্ট শক্তি এবং সামর্থ্য রয়েছে বর্তমান বাংলাদেশ দলের। কিন্তু এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে, বর্তমান টেস্ট দলের তুলনায় অভিজ্ঞ এবং ভালো ছিল ২০১৭ সালের টেস্ট দল।
সম্ভাব্য একাদশ
তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি এবং এবাদত হোসাইন।
আরও পড়ুন: সাকিব-মুস্তাফিজ ছাড়াও শ্রীলঙ্কায় জিততে পারি: মুমিনুল
ফল
আসন্ন দ্বিপক্ষীয় এই সিরিজে বাংলাদেশের জয় সুনিশ্চিত বলা যাবে না। অপরদিকে, বর্তমান শ্রীলঙ্কান দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের জয় একেবারেই অসম্ভবও না। পরিসংখ্যান বলে, শ্রীলঙ্কা তাদের সর্বশেষ ১১ ম্যাচে জয় পেয়েছে মাত্র একটি ম্যাচে। আবার গত দুই বছরে বাংলাদেশ আটটি টেস্ট ম্যাচ খেলে মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে।
একথা বলা ই যায় যে, ক্রিকেটের টেস্ট ফর্মেটে ভালো করর জন্য দুই দলই সমান চাপে রয়েছে। দুই দলের-ই দরকার জয়ের স্বাদ। আর এটা সুনিশ্চিত যে, আসন্ন ম্যাচ দুটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পাবে ক্রিকেট প্রেমিরা।
শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে টাইগাররা
২১ সদস্যের বাংলাদেশ টেস্ট স্কোয়াড দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার জন্য সোমবার (১২ এপ্রিল) শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে। বাংলাদেশ বিমানের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে রওনা হয়।
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে দুই ম্যাচের টেস্ট খেলার জন্য পূর্বেই ২১ সদস্যের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বাংলাদেশের দলের তিন তারকা - বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান এবং অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থাকছেন না এই সফরে।
আরও পড়ুন: করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন অধিকাংশ ক্রিকেটার
উল্লেখ্য, কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে সাকিব এবং রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে মুস্তাফিজ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) অংশগ্রহণের কারণে এই সফরে থাকছেন না।
দেশ ত্যাগের পূর্বে রবিবার সন্ধ্যায় সফরকারী দলের প্রধান খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, শ্রীলঙ্কাকে হারানোর সক্ষমতা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আছে। এছাড়া, শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের উইকেট এবং আবহাওয়ার মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশ্য থাকাকেও জয়ের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন সুজন।
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কা সফর: নতুন ৩ মুখ নিয়ে প্রাথমিক টেস্ট দল ঘোষণা
সুজনের কথায় তাল মিলিয়েই টেস্ট দলের ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক রবিবার জানান, সাকিব এবং মুস্তাফিজকে ছাড়াও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দুটি জেতার আত্মবিশ্বাস আছে বাংলাদেশ দলের। মিরপুর হোম অব ক্রিকেট শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি পর্ব শেষ করে এভাবেই নিজেদের আত্মবিশ্বাসের কথা জানান দেন টেস্ট অধিনায়ক।
সোমবার বিকালেই শ্রীলঙ্কা পৌঁছাবার পর বাংলাদেশ দলকে তিন দিনের রুম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে নেগেম্বোতে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) টাইগারদের কোয়ারেন্টাইন শেষে হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধের লক্ষ্যে ১৭ এবং ১৮ এপ্রিল নিজেদের মধ্যেই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। প্রস্তুতি ম্যাচের পরেই ঘোষণা করা হবে মূল টেস্ট দল।
আরও পড়ুন:সাকিব-মুস্তাফিজ ছাড়াও শ্রীলঙ্কায় জিততে পারি: মুমিনুল
২১ এপ্রিল প্রথম টেস্ট ও ২৯ এপ্রিল সিরিজের শেষ টেস্টে লঙ্কানদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য বাংলাদেশের ২১ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল খান, সাদমান ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি, তাইজুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ সাইফ হাসান, ইয়াসির আলি রাব্বি, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, শুভাগত হোম, শহীদুল ইসলাম ও নুরুল হাসান সোহান।
আসন্ন টেস্ট দুটিতে অভিষেক হতে যাওয়া তিনজন পেসার হলেন- শহীদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম এবং মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
সাকিব-মুস্তাফিজ ছাড়াও শ্রীলঙ্কায় জিততে পারি: মুমিনুল
বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেছেন, সাকিব আল হাসান এবং মুস্তাফিজুর রহমান না থাকলেও শ্রীলঙ্কায় দু’ম্যাচের সিরিজ জয়ের ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী।
স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য সোমবার শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশের ২১ সদস্যের প্রাথমিক টেস্ট স্কোয়াড।
সিরিজটি ২১ এপ্রিল ক্যান্ডির পাল্লেকেল্লে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে। দুটি ম্যাচ একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন অধিকাংশ ক্রিকেটার
বাংলাদেশের সর্বশেষ সফর ছিল নিউজিল্যান্ডে যেখানে টাইগাররা স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ছয়টি সীমিত ওভারের কোনো ম্যাচেই জিততেপারেনি।
সাকিব এবং মুস্তাফিজুর শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হতে পারতেন। তবে দু'জনই আইপিএল খেলতে ভারতে থাকায় টাইগাররা তাদের সেবা মিস করতে চলেছে। তাদের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও মুমিনুল বিশ্বাস করেন যে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর ক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে।
রবিবার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে মুমিনুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি না আমরা সাকিব ও মুস্তাফিজুর ছাড়া জিততে পারি না। আমাদের দলে আরও অনেক খেলোয়াড় রয়েছে। তাদের তো ১০-১২ হাত নেই (অন্যের চেয়ে ভালো খেলতে)। আমাদেরও ১০-১২ হাত না। আমি মনে করি না যে তাদের অনুপস্থিতি কোনো প্রভাব ফেলবে। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে হয়তো দলগতভাবে খেলতে পারছি না এই কারণে ইতিবাচক ফলাফল হচ্ছে না। আর কোনো কিছু না।’
মুমিনুল এ পর্যন্ত ছয়টি টেস্টে টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ব্যতীত সকল টেস্টেই হেরেছেন। অন্য পাঁচ ম্যাচ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ ছিল। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজও একই ইভেন্টের অংশ।
মুমিনুল বলেন, ‘আমরা সাকিব, মুস্তাফিজুর ছাড়াও শ্রীলঙ্কায় জিততে পারি।’
শ্রীলঙ্কার ধীর উইকেটে নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম দুর্দান্ত পারফর্ম করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
‘ভবিষ্যতে কি হবে আমরা তা বলতে পারি না। আমরা যা করতে পারি তা হলো আমাদের ভালো খেলার চেষ্টা করা। একটি টেস্ট ম্যাচ জিততে আমাদের খেলার প্রতিটি সেশনে ভালো খেলতে হবে। আমরা ভালো খেললে ফলাফল আমাদের পাশে থাকবে অন্যথায় আমরা হেরে যাব।’
কোভিড -১৯মহামারি চলাকালীন শ্রীলঙ্কা সফর টেস্টের জন্য বাংলাদেশের প্রথম বিদেশ সফর।
মুমিনুল বলেন, ‘মহামারির সময় আপনি খুব বেশি প্রস্তুতি নিতে পারবেন না। তবে আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছি। কেবলমাত্র সাদা বলের ক্রিকেট খেলতে থাকা খেলোয়াড়দের পক্ষে এটি কঠিন। অন্যান্য খেলোয়াড়রা দুটি চার দিনের ম্যাচে (জাতীয় ক্রিকেট লিগে) অংশ নিয়েছে।
এর আগে আসন্ন শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজের জন্য নতুন তিনজন এবং ব্যাটিং অলরাউন্ডার শুভাগত হোমসহ ২১ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন তিন পেসার শরিফুল ইসলাম, মুকিদুল ইসলাম ও শহীদুল ইসলাম। তাদের পাশাপাশি ইয়াসির আলী রাব্বি প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন।
বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, তরুণ খেলোয়াড়েরা মিডিয়া এবং দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।
তিনি বলেন, তরুণ খেলোয়াড়রা খেলার বৃহত্তর পর্যায়ে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করতে প্রস্তুত।
এই সিরিজের পর মে মাসের মাঝামাঝিতে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য বাংলাদেশ সফর করার কথা রয়েছে। বিসিবি সম্প্রতি জানিয়েছে দেশে কোভিড-১৯ সাম্প্রতিক পরিস্থিতি অবনতি সত্ত্বেও তারা সিরিজটি আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।