ঈদ
রাজনৈতিক অঙ্গন ফের উত্তপ্ত হবে: আশঙ্কা কৃষিমন্ত্রীর
রাজনৈতিক অঙ্গন ফের উত্তপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলাসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, রোজার পর আবার রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হবে বলে মনে হচ্ছে। আমরা মনে করি যাই হোক দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেমে থাকবে না। যে সরকারই আসুক রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক, ইনশাআল্লাহ দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে দেশে ইনশাল্লাহ কোনো হরতাল নেই, ধর্মঘট নেই রাজনৈতিক অঙ্গন ওইভাবে উত্তপ্তও হয়নি। ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলেছে।'
আরও পড়ুন: হাওরের ফসলের ঝুঁকি কমাতে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উত্তপ্তের কথা যেটা বলেছি, তারা (বিএনপি) আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। তারা ধর্মঘট করবে, বাংলাদেশকে অচল করে দিবে। তারা বলেছে, বাংলাদেশে ঈদ উদযাপনের মতো পরিবেশ নেই। আমি সম্পূর্ণভাবে তাদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি। তারা হয়তো মনে করতে পারে তাদের জন্য সুন্দরভাবেই ঈদ উদযাপনের পরিবেশ নেই।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমি শুনলাম আমার পাশের গ্রামে ১৯টা গরু জবাই করেছে ঈদের আগে। চিন্তা করা যায় না? গ্রামের দোকানগুলোতে এতো ভিড় যে মানুষ লাইন ধরে জিনিসপত্র কিনছে, কেউ দামাদামি করলে বলছে, একটু সরে যান, আর একজন গ্রাহক আছে। এত বিক্রি হয়েছে যে, দামাদামি করার সুযোগ ছিল না।'
করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরেও দেশের অর্থনীতি ভাল অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'তারা (বিএনপি) যতই আন্দোলনের ডাক দিক, হরতালের ডাক ডাক দিক, কেউ তাদের হরতালে যোগ দেবে না। ২০১৫ সালের পরে তারা সফল হয়নি, আগামী দিনেও হরতালের ডাক দিয়ে তারা সফল হবে না। কারণ তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই। আমার মনে হয় না, আন্দোলন সংগ্রাম করে এই সরকারের পতন ঘটানো যাবে।'
তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, ব্যবসা-বাণিজ্য থমকে আছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি রয়েছে এই পরিস্থিতিতে অতীতে যেভাবে এগোচ্ছিল সেভাবে এগুতে পারবো। আমরা বলি আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে। এই মহাসড়কের যাত্রা আরও গতিময় আরও বেগবান হবে, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।'
আরও পড়ুন: বিএনপিকে গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, 'আওয়ামী লীগ এ দেশের প্রাচীনতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাক বা না থাক এটি এমন একটি দল এটি দেশের বিভিন্ন জাতীয় ইস্যু নিয়ে সবসময় তৎপর থাকে। সুতরাং আমাদের কর্মকাণ্ড কখনও বসে থাকে না, এটি একটি ডাইনামিক রাজনৈতিক দল। সবসময় বিভিন্ন বিষয়ে তাদের তৎপরতা অব্যাহত রাখে। সম্মেলন করা আমাদের একটি রুটিন। প্রত্যেক তিন বছর পর পর আমরা সম্মেলন করি। সম্মেলনের জন্য যে সকল প্রস্তুতি দরকার, ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র এগুলোকে যুগোপযোগী করি, সেটা আমরা করব। আর কাউন্সিলরা নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবে।
ঈদের ছুটি শেষে সরকারি অফিস খুলেছে
ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার সরকারি অফিসগুলো খুলেছে।
এ বছর সরকারি কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা ২৯ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত ছুটি পেয়েছেন। ২৯ ও ৩০ এপ্রিল ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। ১ মে ছিল মে দিবসের ছুটি। এরপর ২, ৩ ও ৪ মে ছিল ঈদের সরকারি ছুটি।
আজ সকালে বাস স্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে কর্মস্থলে ফিরে আসা লোকদের ভিড় দেখা গেছে।
তবে ঢাকায় সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ছিল কম।
বৃহস্পতিবার থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আবার কার্যক্রম শুরু করেছে।
এ বছর মুসলমানদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালিত ৩ মে হয়েছে।
লাখ লাখ মানুষ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা ছেড়েছে।
পড়ুন: মহামারি শেষে উৎসবমুখর ঈদ
ঈদের ছুটিতে জাফলংয়ে পর্যটকের স্রোত
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে আনন্দ ভাগাভাগি করতে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। ঈদের পরদিন বুধবার সকাল দেশের অন্যতম এ পর্যটন কেন্দ্র জনস্রোতে মুখর হয়ে উঠে।
পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদুল ফিতরের আনন্দ কাটাতে জাফলংয়ে ভিড় করেছেন পর্যটক ও দর্শনার্থীরা।
বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরো জাফলং যেন লোকে লোকারণ্য। পিকআপ, প্রাইভেট কার, বাস ও ট্রাকযোগে যে যেভাবে পেরেছে পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছেছে। পুরো এলাকা ছিল পর্যটকবাহী যানবাহনের সারি। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের গুচ্ছগ্রাম থেকে তামাবিল পর্যন্ত দীর্ঘকায় যানযট ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিকে প্রচণ্ড গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েন পর্যটকরা।
অপরদিকে পর্যটক স্বেচ্ছাসেবক ও জাফলংয়ে নিযুক্ত টুরিস্ট পুলিশদের ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যটন স্পটের গুরুত্বপূর্ণ সবকটি পয়েন্টে সার্বক্ষনিক পর্যটক নিরাপত্তায় থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এমরুল, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মশিউর রহমানের সমন্বয়ে একাধিক টিমের টহল চোখে পড়ে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের বেডে ঈদ
পর্যটন পুলিশের ইন্সপেক্টর রতন শেখকে সাঁতার না জানা পর্যটকের উদ্দেশে হ্যাণ্ড মাইকে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিতে দেখা যায়।
এমনকি লাইফ জ্যাকেট জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও প্রস্তুত রয়েছেন।
পর্যটক দম্পতি সোহেল মাহমুদ ও তামান্না ইসলাম বলেন, সারা দেশ এমনকি বহিঃবিশ্বেও জাফলং পর্যটন কেন্দ্রের আলাদা পরিচিতি রয়েছে। খুব ভালো এখানকার পরিবেশ প্রকৃতি। পাহাড় টিলা সবুজের সমারোহ, স্বচ্ছ জলারাশি, দিগন্ত জুড়ে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর দৃশ্যাবলী হৃদয়ে বাড়তি আনন্দের খোরাক জোগায়।
ঈদে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া ৩ শিশু চট্টগ্রামে উদ্ধার
ঈদের দিন বেড়াতে বেরিয়ে লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানা এলাকা থেকে হারিয়ে যাওয়া তিন শিশুকে চট্টগ্রামের একে খান এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে পরিবারের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া তিন শিশু হল, সুমাইয়া আক্তার (১১), রিয়া আক্তার (১০) ও তাসলিমা আক্তার (৭)। তারা সবাই লক্ষীপুরের বাসিন্দা।
সিএমপির আকবরশাহ থানার ওসি (তদন্ত) শাকের আহমেদ বলেন, তিন শিশু ঈদের দিন তাদের ফুফুর বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে ফেরার সময় ভুলে চট্টগ্রামগামী বাসে উঠে যায়। পরে তাদের বাস থেকে একে খানে নামিয়ে দেয়। তিন শিশু একে খান এলাকায় বাস থেকে নেমে কান্নাকাটি করার সময় আকবরশাহ থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাদের হেফাজতে নেয় এবং শিশুদের অভিভাবকদের ঠিকানা নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
আরও পড়ুন: ঈদে ১০ টাকায় ‘গরীবের কসাইখানা’র গরুর মাংস!
শোলাকিয়ায় এশিয়ার বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
সুব্যবস্থাপনায় নির্বিঘ্ন ঈদ যাত্রা হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সুব্যবস্থাপনায় নির্বিঘ্ন ঈদ যাত্রা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের সুব্যবস্থাপনায় এই বছর মানুষের নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পেরেছে, এর পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যও স্থিতিশীল রয়েছে।
ঈদের দিন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় নিজগ্রাম সুখবিলাসের প্রধান মসজিদে ঈদের জামাতে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যু দেশের অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখা প্রাজ্ঞপ্রাণের প্রস্থান: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'সারাদেশে মানুষ যাতে ঈদ উদযাপন করার জন্য ভালোভাবে যেতে পারে, সেজন্য মহাসড়ক, রেল, লঞ্চ ও অন্যান্য যাতায়াতের সুব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। সেকারণে স্রষ্টার কৃপায় এই বছর ঈদ যাত্রায় মানুষের ভোগান্তি হয়নি। একইসাথে দ্রব্যমূল্যও যাতে না বাড়ে সেজন্যও প্রশাসন সতর্ক ছিল।'
বিশ্বের অন্যান্য দেশের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, 'বিদেশে আমরা দেখি, কোনো উৎসবের সময় সেখানে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দেয়, আর আমাদের দেশে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়, যেটি অন্যায় এবং ইসলামের রীতিনীতি ও বিধানের পরিপন্থী। সুতরাং এগুলো যাতে কেউ না করতে পারে, সেদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।'
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গঠন করা ট্রাস্ট সব দলমতের সাংবাদিকদের জন্য অবারিত: তথ্যমন্ত্রী
এসময় সবার সুন্দর জীবন কামনা করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'করোনা স্থায়ীভাবে আমাদের দেশ ও পৃথিবী থেকে চলে যাক -মহান স্রষ্টার কাছে এই ফরিয়াদ করি। একই সঙ্গে আজকের এই পবিত্র দিনে আমরা সবাই দেশের উন্নতি এবং মানুষের সুখ-সমৃদ্ধির জন্য স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি।'
ঈদের জামাত শেষে সর্বসাধারণের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
গাজীপুরে ঈদের দিন সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার সাদুল্লাপুর গ্রামের মৃত আলতাব হোসেনের স্ত্রী রেণু বেগম (৫০) ও গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলকার মোহাম্মদ হোসেন (৪৫)। অপরজন নিহত শরিফের (২৮) পুরো পরিচয় জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানিয়েছে,সফিপুর এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী এনা পরিবহনের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালক মারা যান। এ সময় আরও কয়েকজন আহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পথে একজন পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজন মারা যান।
সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থার ২ সদস্য নিহত
চার জেলায় বজ্রপাতে নিহত ৬, আহত আরও ৩
টাঙ্গাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মেহেরপুর ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার বজ্রপাতে দুই কিশোরসহ ছয়জন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার হাতিয়ায় সকাল ৯টার দিকে ধলেশ্বরী নদীতে গোসল করতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই কিশোরসহ তিনজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- রবিউলের ছেলে মো. আরিফ মিয়া (১৫), হাতিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ের জামাই মোস্তফা কামাল (২১) ও দশকিয়া ইউনিয়নের দশকিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের জুলহাস উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল উদ্দিন (১৬)।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
আহতরা হলেন- রাকিব মিয়া ও জাহিদ হোসেন।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে দশকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মালেক ভূঁইয়া জানান, আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌরসভার দুর্গাপুরের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে রনি মিয়া (২২) সকালে ঈদের জামাতের পর দাদা-দাদির কবরে নামাজ পড়ার সময় বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।
মেহেরপুরের সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে সকালে ঈদের জামাতে যোগ দিতে স্থানীয় ঈদগাহ ময়দানে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তি নিহত ও তার ভাই মন্টু আহত হয়েছেন।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোকলেছুর রহমান ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হবিগঞ্জের আজমেরীগঞ্জে সকালে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে বজ্রপাতে শাহজাহান মিয়া (৬০) নামে একজন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু
ঈদে ১০ টাকায় ‘গরীবের কসাইখানা’র গরুর মাংস!
‘গরীবের কসাইখানা’ নামের ব্যতিক্রমী ঈদ বাজার আয়োজনের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মুখে মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে হাসি ফুটিয়েছে বিক্রমপুর মানব সেবা ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার কামারখাড়া স্কুল মাঠে ১০ টাকার বিনিময়ে নিম্ন আয়ের তিন শতাধিক পরিবার ১০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস, এক কেজি পোলাও চাল ও মাংসের মশলা কিনে নেয়।
এমন আয়োজনে হাসি ফুটেছে অসহায় নিম্নআয়ের মানুষের মুখে। এর আগে রমজানের শুরুতে ১০ টাকায় ইফতার বাজার আয়োজন করেছিলো সংগঠনটি। এ নিয়ে ১০ টাকার বাজার থেকে ৫১৩টি পরিবার বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করেন।
আরও পড়ুন: শোলাকিয়ায় এশিয়ার বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
জেলার টংগিবাড়ী উপজেলার হাইয়ারপাড় গ্রামের সেফালি বেগম (৩৫) বলেন, ‘বাজারে অনেকগুলো গরু জবাই করছে। তা দেখে ছোট পোলায় বায়না ধরছে ঈদ গরুর মাংস খাবে। তিনদিন ধরে পোলারে বুঝাইতাছি আজ না কাল, কিন্তু গরুর মাংস তো সাড়ে ছয়’শ টাকা কেজি কেমনে আনবো। ঈদর দিন পোলায় মন খারাপ করবো। সেই চিন্তায় ঘুম আসে না। কিন্তু আল্লাহ ছোট বাচ্চাটার মনের ইচ্ছে পূরণ করছে। তাই তো হঠাৎ করে এতো কম টাকা দিয়ে গরুর মাংস কিনলাম। এই দামে তো আমার বাপ-দাদারাও কিনে নাই।’
চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মধ্যে ভারতে ঈদ উদযাপিত
ভারতে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মধ্যেও দেশজুড়ে মুসলমানরা মঙ্গলবার মসজিদের বাইরে নামাজ আদায় করে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করেছেন।
মুম্বাইয়ের একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাবিব উর রেহমান বলেছেন, এটি ভারতীয় মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে খারাপ স্মৃতি সহ সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঈদ।
গত মাসে দেশ জুড়ে মুসলিম বিরোধী মনোভাব এবং হামলা বেড়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় মিছিলের সময় হিন্দু ও মুসলিম গোষ্ঠীর মধ্যে পাথর নিক্ষেপ এবং পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের দ্বারা বেশিরভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীর সম্পদের ক্ষতিসাধন।
দেশটিতে মোট জনসংখ্যার এক দশমিক চার মিলিয়ন জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে মুসলিম বিরোধী অবস্থানের শিকার হয়ে আসছে।ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির কিছু নেতা নির্বিকারভাবে চলমান সহিংসতাকে সমর্থন করে আসছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনও পর্যন্ত নীরব আছেন।
আরও পড়ুন: মহামারি শেষে উৎসবমুখর ঈদ
সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদ আনন্দ নেই: বিএনপি
সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদ আনন্দ নেই: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদ আনন্দ নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, ঈদে আমরা সব সময়ই আশা করি, দেশের সব মানুষ আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যেভাবে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে এবং ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে এই ঈদুল ফিতর আনন্দে উদযাপন করা সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের সংকটের জন্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দুষছে বিএনপি
ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রার্থনা করেছি যাতে স্বৈরাচারের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করতে সরকার দমনমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এবং আরও ৬০০ জনকে গুম করা হয়েছে। মানুষ তাদের মৌলিক মানবাধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম ব্যাংককে গেলেও সরকার দীর্ঘদিন ধরে শুধু রাজনৈতিক কারণে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাজী সেলিমের বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা প্রমাণ করে খালেদাকে রাজনৈতিক কারণে ‘মিথ্যা’ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ফখরুলের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খানসহ দলের সিনিয়র নেতারা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া পাঠ করেন।
আরও পড়ুন: হারানো অধিকার ফিরে পেতে সোচ্চার হউন: মির্জা ফখরুল
ইলিয়াস আলীর পরিবার অনেক বিপদে আছে: ফখরুল