ঈদ
ঈদে কনার সঙ্গে তৌহিদের গান ‘রোদ্দুরে’
দেশের জনপ্রিয় গায়িকা দিলশাদ নাহার কনা। তার সুমিষ্ঠ কণ্ঠে বহু গান এদেশের শ্রোতাদের মন জয় করেছে। অডিও কিংবা ভিডিও (সিনেমা), সবখানেই কনার গানের জয়জয়কার। বিশেষ করে সিনেমায় গেল কয়েক বছর ধরেই তিনি গান করে যাচ্ছেন চাহিদার শীর্ষে থেকে। সেই কনা রোজার ঈদে থাকছেন নতুন গান নিয়ে।
এই গানের শিরোনাম ‘রোদ্দুরে’। তার সঙ্গে গানটিতে যৌথ কণ্ঠ দিয়েছেন তৌহিদ। এটি তৌহিদের গাওয়া দ্বিতীয় গান। এর আগে তিনি গেল বছর গেয়েছিলেন ‘খুব যতনে’ শিরোনামের গান।
এবার তিনি কনার সঙ্গে গাইলেন ‘রোদ্দুরে’। সোমেশ্বর অলির গীতিকবিতায় গানটিতে সুর ও সংগীত করেছেন আকাশ মাহমুদ। গানের মিক্স মাস্টারিংয়ে ছিলেন আশিক মাহমুদ।
আরও পড়ুন: ঈদে জেমসের নতুন গান ‘সবই ভুল’
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ৭টায় টি আর মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘রোদ্দুরে’ গানটি প্রকাশ হবে ভিডিও আকারে। এস আর ফিল্মসের আয়োজনে গানচিত্রটি নির্মাণ করেছেন সৈকত রেজা।
গানটি নিয়ে কনা ইউএনবিকে বলেন, ‘চমৎকার মিষ্টি কথায় সাজানো, অসাধারণ সুর ও সংগীত আয়োজনে আমার এবং তৌহিদ ভাইয়ের কণ্ঠে এই গানটি আশা করছি সবার মন ছুঁয়ে যাবে।’
গায়ক তৌহিদ বলেন, ‘এই গানের গীতিকার ও আমার সহশিল্পী দুজনই এমন মানুষ যাদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। ঈদের গান হিসেবে ‘রোদ্দুরে’ সবার হৃদয় ছুঁয়ে যাক সেই প্রত্যাশা করছি।’
গানচিত্রটি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এর সুর ও সংগীত পরিচালক আকাশ মাহমুদও।
আরও পড়ুন: মাইক সিনেমার গান ‘একটা আঙুল’ এর মুক্তি
ঈদের যাত্রা শুরু হওয়ায় ঢাকা শান্ত
ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য মানুষ রাজধানী ছাড়তে শুরু করায় ঢাকার রাস্তাগুলো ফাঁকা হয়ে পড়েছে।
বেসরকারি সংস্থা নৌ পরিবহন, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ লোক ঢাকা ও আশপাশের এলাকা ছেড়ে চলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের আগে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকগুলো
ঈদুল ফিতরের আগে সরকারি, আধা-সরকারি এবং অনেক বেসরকারি অফিসে শেষ কর্মদিবস হওয়ায় মঙ্গলবার বিকাল থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ শহর ছেড়েছে।
এ বছর বুধবার থেকে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের ঈদের ছুটি।
এনসিপিএ্সআরআর-এর তথ্য অনুযায়ী, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ প্রতি বছর তাদের গ্রামের বাড়িতে যান। এর মধ্যে ২০ শতাংশ যাবে নৌপথে এবং ২০ শতাংশ রেলপথে।
এনসিপিএসআরআর-এর সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া বলেন, ঈদের আগে ১৩ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত নয় দিনে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে ঢাকা ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে সদরঘাট টার্মিনাল দিয়ে প্রতিদিন তিন লাখ মানুষ উপকূলীয় জেলায় যাবেন এবং বাকি তিনজন। নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর দিয়ে ঈদের ছুটি কাটাতে যাবে লাখ লাখ মানুষ।
এছাড়া শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) জানিয়েছে, ঈদে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ সড়কপথে ঢাকা ছাড়বেন, যা মোট ঈদের ছুটির ৬০ শতাংশ।
এদিকে ট্রেনে যাবে আরও প্রায় ৩০ লাখ মানুষ।
ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক পূর্ব) আখের হুসাইন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত থেকে অনেকে আবদুল্লাহপুর থেকে উত্তর জেলা, ময়মনসিংহ জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
পরে বুধবার সকাল ১১টা থেকে আজ বুধবার সকাল ১১টা পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক মানুষ একই গন্তব্যের উদ্দেশে আব্দুল্লাহপুর ত্যাগ করেন।
তবে ঢাকায় বসবাসকারী গৃহমুখী মানুষের সংখ্যা এখন তুলনামূলক কম, সন্ধ্যার পর তা বাড়বে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অধিকাংশ বাস সময়সূচি অনুযায়ী আব্দুল্লাপুর ছেড়েছে।
মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার (দারুস সালাম জোন) ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, বুধবার ভোরে বাড়িমুখী মানুষের ভিড় শুরু হয় এবং তা সকাল ৮টা পর্যন্ত চলে।
তিনি আরও বলেন, গাবতলী থেকে অধিকাংশ বাস প্রায় সময় মতো বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
একইভাবে সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড সূত্র জানায়, বেশিরভাগ বাস চট্টগ্রাম ও সিলেট সড়কের পাশাপাশি অন্যান্য গন্তব্যের জন্য টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণের সময়সূচিতেই ছেড়েছে।
একইভাবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, সকাল থেকে অধিকাংশ ট্রেন সময়সূচি অনুযায়ী স্টেশন ছেড়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে কাজ করছে জেলা হাইওয়ে পুলিশ
ঈদ উপলক্ষে ৯ দিন বন্ধ থাকবে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর
ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন এলাকায় ৭২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ
দেশে বিদ্যমান গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের কারণে ঈদের ছুটি পালনের সময় নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ২৩ এপ্রিল (রবিবার)দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২৬ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত ৭২ ঘন্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার কিছু এলাকায় ৮ ঘণ্টা ও নারায়ণগঞ্জে ৯ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে রয়েছে জাপানিজ ইকোনমিক জোন, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এলাকা, রূপসী, রূপগঞ্জ, ভুলতা, কাঞ্চন, ভাটপাড়া, মুরাপাড়া, বরপা, তারাবো এবং পেরাবো, সিটি ইকোনমিক জোন, মেঘনা এনার্জি। সামিট পাওয়ার আরইবি (মাধবদী) এবং সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ।
এসময় আড়াইহাজার, মাধবদী, পাঁচদোনা, নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ভোক্তারা। ফতুল্লা, শ্যামপুর, কদমতলী, কেরানীগঞ্জ, জিনজিরা এবং ঢাকা শহরের দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে নিম্নচাপ থাকবে বলে তিতাস গ্যাস সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: পদক্ষেপ সত্ত্বেও দেশে দৈনিক গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেবে ১০০০ এমএমসিএফডি: পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
সম্প্রতি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বঙ্গবাজারের দোকানের শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও মালিকদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে নয় কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে তাদের মোবাইল ফোনে টাকা পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ মে ঢাকায় ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি দোকান মালিক সমিতির
নিটওয়্যার খাতে ১ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার অর্থসহায়তা ছাড় অর্থ মন্ত্রণালয়ের
রপ্তানিমুখী নিটওয়্যার খাতে ১ হাজার কোটি টাকার নগদ প্রণোদনার অর্থসহায়তা ছাড় দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
ঈদুল ফিতরের আগে বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়ার জন্য আর্থিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) আবেদন পাওয়ার ১১ দিন পর মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ৩০ মার্চ বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমানের সই করা এক চিঠিতে সরকারের কাছে নগদ সহায়তার আবেদন জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, আর্থিক সহায়তা না দিলে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে পারে রপ্তানি খাত।
নগদ সহায়তার অর্থ ছাড়করণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় এবং হিসাবরক্ষক মহাপরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বেতন দিতে ১৫০০ কোটি টাকা সরকারি সহায়তা চায় বিকেএমইএ
বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সদস্য কারখানাগুলো ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ
বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ-কে পর্যায়ক্রমে ঈদের ছুটি প্রদানের আহ্বান জানালেন কাদের
ঈদে জেমসের নতুন গান ‘সবই ভুল’
রোজার ঈদে আবারও প্রকাশ হতে যাচ্ছে জেমসের নতুন আরও একটি গান। আর জেমসের গান মানেই তার ভক্তদের জন্য ঈদে বাড়তি আনন্দ। ‘সবই ভুল’ শিরোনামে গানটি চাঁদ রাতে উন্মুক্ত হবে বসুন্ধরা ডিজিটালের ইউটিউব প্লাটফর্মে। জেমস এবং বিশু শিকদারের যৌথভাবে কথায় গানটির সুর করেছেন জেমস নিজেই।
১৭ এপ্রিল (সোমবার) বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টার-২ এর কনফারেন্স রুমে জেমসের আসন্ন নতুন গানটি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে বসুন্ধরা ডিজিটালের পক্ষ থেকে জেমসের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গানটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশের তারিখও ঘোষণা করা হয়।
মাহফুজ আনাম জেমস বলেন, ‘গতবারের গানটি থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছে সেটি মাথায় রেখে নতুন এই গান করা। কাজের স্বাধীনতা ছিলো বলে সময় নিয়েছি ভালো কিছু উপহার দেয়ার জন্য। এই প্ল্যাটফর্মের ভবিষ্যতে আরও কিছু একক গান তাদের সঙ্গে করব।’
বসুন্ধরা ডিজিটাল চ্যানেলের জন্য বেশ কয়েকটি গানের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জেমস। তার প্রথম গানটি প্রকাশিত হয়েছিলো গেলো বছরের ঈদ উল ফিতরে। পরবর্তীতে অন্যান্য গানগুলো এই চ্যানেল থেকেই প্রকাশিত হবে।
আরও পড়ুন: প্রয়াত গীতিকার বিশুর দুই মেয়ের দায়িত্ব নিলেন জেমস
আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন জেমস
কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে জেমসের মামলা
ঈদে মাহফুজুর রহমানের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘হৃদয় তোমাকেই চায়’
প্রতি বছরের মতো এ বছরের ঈদেও একক সঙ্গীতানুষ্ঠান নিয়ে দর্শকদের মাঝে হাজির হচ্ছেন ড. মাহফুজুর রহমান।
২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এটিএন বাংলায় প্রচার হচ্ছে তার গাওয়া গান নিয়ে একক সঙ্গীতানুষ্ঠান।
এবারের ঈদেও তার গাওয়া একগুচ্ছ গান নিয়ে ঈদের দিন রাত ১০টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে একক সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘হৃদয় তোমাকেই চায়’। এবারের অনুষ্ঠানে রয়েছে মোট ১২টি গান।
অ্যালবামের গানগুলোতে সুরারোপ করেছেন মান্নান মোহাম্মদ, রাজেশ ঘোষ ও এস আই সুমন। গানের কথা লিখেছেন নাজমা মোহাম্মদ, রাজেশ ঘোষ, এস আই সুমন এবং ড. মাহফুজুর রহমান।
আরও পড়ুন: জীবনের গল্প নিয়ে টিভি চ্যানেলে শিগগিরই আসছেন অঞ্জন দত্ত
অ্যালবামে রয়েছে জানো না, ভালোবাসি বলে, আমি তোমার, বেইমান, ঠিকানা, জীবন সাথি, আমার ভালোবাসা অন্যরকম, তুমি সত্যি করে বলো এবং রিমিক্স দাইমা-২ শিরোনামের গান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে থাকছে জনপ্রিয় তিনটি গজল। এগুলো হলো- গজল সম্রাট মেহেদী হাসানের গাওয়া প্যায়ার ভারে দো শার্মিলে ন্যান ও রাফতা রাফতা এবং চকোরী চলচ্চিত্রের ওহ মেরে সামনে তাসভীর বানে।
এটিএন বাংলার স্টুডিওতে গানগুলো চিত্রায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৫তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জয়া ও আতিকের ‘পেয়ারা সুবাস’
ঈদের আগে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকগুলো
ব্যাংকিং খাতে নগদ টাকার চাহিদা বেড়েছে, কারণ ব্যবসা এবং ব্যক্তি পর্যায়ে অর্থ সরবরাহের জন্য টাকা উত্তোলন বেড়েছে। ফলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন নগদ টাকার বিপুল চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা থেকে ৮ হাজার কোটি টাকার মতো কল মানির চাহিদা ছিল।
কল মানি হল যেকোনো ধরনের স্বল্প-মেয়াদী, সুদ-আর্জিত আর্থিক ঋণ, যা ঋণদাতা যখনই দাবি করে তখনই ঋণগ্রহীতাকে ফেরত দিতে হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, গত মঙ্গলবার কয়েকটি ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে ৭ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। আগের দিন ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। এপ্রিলের শুরু থেকেই আন্তঃব্যাংক স্বল্পমেয়াদি ঋণের চাপ বেড়েছে। প্রথম আট কার্যদিবসে কল মানি মার্কেট থেকে ধার করা হয়েছে ৬ হাজার ২৭১৯ কোটি টাকা।
সেক্টর সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিবছর ঈদের আগে নগদ টাকার চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ফলে এ সময়ে অনেক ব্যাংকে নগদ অর্থের সংকট রয়েছে।
এ অবস্থা মোকাবিলায় ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক ঋণ নেয় (কল মানি)।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের
এই বছর, কিছু ব্যাংক অতিরিক্ত চাপের সম্মুখীন হচ্ছে কারণ তারা ইতোমধ্যে তারল্য সংকট মোকাবিলা করছে। নগদ অর্থের ঘাটতি মেটাতে এখন এসব ব্যাংককে কল মানি মার্কেটে বেশি সুদ দিতে হচ্ছে।
কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, অনিয়মের কারণে গ্রাহকদের আস্থা নষ্ট হওয়ায় অনেক ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে। ডলার কেনার কারণে কিছু ব্যাংকের নগদ অর্থের জরুরি প্রয়োজন।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি, আমানতের প্রবৃদ্ধি হ্রাস এবং ঋণের চাহিদা বৃদ্ধি তারল্য সংকট সৃষ্টি করছে। ফলে আন্তঃব্যাংক বাজারে স্বল্পমেয়াদি ঋণের চাহিদা বেড়েছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, প্রতি বছরই ঈদের আগে নগদ টাকা তোলার চাপ থাকে। কারণ ঈদের আগে কোম্পানিগুলো তাদের কর্মচারীদের বেতন-বোনাস দেয়।
এছাড়া ঈদ-সংক্রান্ত খরচের জন্য মানুষ হাতে নগদ টাকা রাখে। তাই ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার চাহিদা বেশি। এই চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলো কল মানি মার্কেট থেকে ঋণ নেয়।
আরও পড়ুন: এনবিএফআই ৮ বছরের আগে গাড়ি পরিবর্তন করতে পারবে না: বাংলাদেশ ব্যাংক
৩৩০টি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে এনবিআর
ঈদের আগে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড রহস্যজনক: বিএনপি
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ‘রহস্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাজধানীসহ দেশের বড় বড় মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খুবই রহস্যজনক। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই জনগণ ও ব্যবসায়ীদের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উদাসীনতা, নিষ্ক্রিয়তা ও জবাবদিহিতার অভাবে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
নিউ সুপার মার্কেটসহ সব অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন বিএনপি নেতা।
একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বাংলাবাজার মার্কেট ও নবাবপুর মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ফখরুল বলেন, আজ আবারও নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লেগেছে। ‘এটা প্রমাণ করে যে অবৈধ আওয়ামী সরকারের অগ্নি প্রতিরোধে কোনো আগ্রহ নেই, কারণ তারা শুধু রাষ্ট্রক্ষমতা রক্ষায় ব্যস্ত।’
আরও পড়ুন: ‘আমার দোকান, আমার মালপত্র, আমার জীবিকা- সব শেষ'
তিনি অভিযোগ করেন, দেশের বিভিন্ন মার্কেটে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ও বহু ব্যবসায়ী ধ্বংসের ঘটনায় আওয়ামী সরকার সামান্যতমও মাথা ঘামায় না।
এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও প্রতিবেদনগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা হয় না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের কাছে জনগণের জীবনের কোনো মূল্য নেই। একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও সরকার তা রোধ করতে পারছে না।’
আজ ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার নিউ মার্কেটের পাশে নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং ফায়ার সার্ভিস সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে তা নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করার সময় ঘন ধোঁয়ায় ৩০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: নিউ সুপার মার্কেটে আগুন: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালামাল সরাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড: ঘন ধোঁয়ায় অসুস্থ ১৯
ঈদের ছুটিতে ঢাকার ৬০ শতাংশ মানুষ সড়কপথে বাড়ি যাবে: এসসিআরএফ
ঈদুল ফিতরের সময় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঢাকারে বাইরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ যাবে সড়ক পথে। বাকি ৪০ শতাংশ চলে যাবে নৌ ও রেলপথে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক দিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়া যাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ।
তবে সরকারি-বেসরকারি কোনো দপ্তরে সম্পূর্ণ ডাটাবেজ না থাকায় প্রতিবেদনটি শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল ঈদের আগের ৯ দিনে বিপুল সংখ্যক মানুষকে সুশৃঙ্খলভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা সড়ক পরিবহন খাতের নেই।
এসসিআরএফ পর্যবেক্ষণ অনুসারে, জাতীয় মহাসড়কসহ অনেক রাস্তায় টোল আদায় করা হয় ম্যানুয়ালি। বেশ কিছু দূরপাল্লার রাস্তার কিছু জায়গা জরাজীর্ণ। সারা দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। এছাড়া ঈদে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলবে। সব মিলিয়ে বাসের সময়সূচি বিঘ্নিত হওয়া, বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘ যানজট ও অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদে নৌপথের ২৭ লাখ যাত্রীর চাপ পড়বে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে: জাতীয় কমিটি
তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের নির্দেশনার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সড়কে জনদুর্ভোগ কমবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসসিআরএফ জানিয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহৎ জনবহুল শহরসহ শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকার অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষ তাদের বর্তমান আবাসস্থল ত্যাগ করে।
গবেষক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা অঞ্চল থেকে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি মানুষ চলে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে ঈদুল ফিতরে ২৫ শতাংশ মানুষ নৌপথে এবং ৫৫ শতাংশ সড়কপথে যাতায়াত করত। পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রীর হার কমেছে ৫ শতাংশ। অন্যদিকে সড়কে যাত্রীর হার ৫ শতাংশ বেড়ে ৬০ শতাংশ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি আরও ১ দিন বাড়ল