ডিআরইউ
ডিআরইউতে শ্রদ্ধায় সিক্ত সাংবাদিক হাবীবুর রহমান
সাংবাদিক, বন্ধু-স্বজন, শুভানুধ্যায়ীদের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার জ্যৈষ্ঠ প্রতিবেদক হাবীবুর রহমান।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৫ বছর। তিনি বাবা-মা, স্ত্রী, আড়াই বছরের শিশুপুত্র, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বুধবার বাদ যোহর ডিআরইউ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধায় তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়। প্রথমেই ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের নেতৃত্বে হাবীবুর রহমানের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে কার্যনির্বাহী কমিটি। এরপর আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং ও বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তার মৃত্যুতে ডিআরইউ’র পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
শ্রদ্ধা জানাতে আসা সমবেতদের উদ্দেশ্যে ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘হাবীবুর রহমান একজন প্রতিশ্রুতিশীল সাংবাদিক ছিলেন। তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন। অসাবধানতার কারণে এ রকম ভালো মানুষ যেন হারিয়ে না যায়, ভালো সাংবাদিক যেন হারিয়ে না যায়।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব বলেন, ‘আমরা একসাথে ২০১৭ সালে কার্যনির্বাহী কমিটিতে কাজ করেছি। তিনি তখন কার্যনির্বাহী সদস্য। আমি দেখেছি হাবীবুর রহমানের সাংগঠনিক দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠা। তিনি ডিআরইউ’র জন্য ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ।’
ডিআরইউ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে হাবীবুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তারা বলেন, ডিআরইউ আগামী দিনগুলোতেও হাবীবুর রহমানের পরিবারের পাশে থাকবে। শিগগিরই হাবীবুর রহমান স্মরণে একটি শোকসভার আয়োজন করা হবে বলে তাঁরা জানান।
ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, অর্থ সম্পাদক এস এম এ কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান, কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য মাহমুদুল হাসান, সোলাইমান সালমান, সুশান্ত কুমার সাহা, মো. আল-আমিন, এস কে রেজা পারভেজ ও তানভীর আহমেদ।
এছাড়া ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, শাহেদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, ইলিয়াস হোসেন, মুরসালিন নোমানী; সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাজ্জাদ আলম খান তপু, রাজু আহমেদ, সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, কবির আহমেদ খান ও মসিউর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক হাবীবুর নিহত
আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, হাবীবুর রহমান দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ বিট কাভার করতেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন ও হাসান জাহিদ তুষার, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব মু. আশরাফ সিদ্দিকী বিটু ও এ.বি.এম সরওয়ার-ই-আলম সরকার এবং সাবেক উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সাংবাদিক সংগঠনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ বিট পরিবার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম, রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম ও দিনাজপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা শেষে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকেই বেছে নিয়েছিলেন হাবীবুর রহমান। সময়ের আলোতে যোগদানের আগে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে কাজ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুতে ডিআরইউর শোক
ডিআরইউ’র পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা এবং তার কর্মস্থল দৈনিক সময়ের আলো কার্যালয়ে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়। কুমিল্লার জেলার ব্রাহ্মণপাড়ার শশিদল ইউনিয়নের মানোরা গ্রামে চতুর্থ জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান হাবীবের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে হাতিরঝিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হাবীবুর রহমান নিহত হন।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক হাবীবুর নিহত
সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুতে ডিআরইউর শোক
সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুতে ডিআরইউর শোক
হাতিরঝিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত সংবাদিক হাবীবুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
বুধবার এক শোক বার্তায় তার মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
ডিআরইউর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ‘সময়ের আলো’ এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন হাবীবুর রহমান।
মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে হাতিরঝিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন।
এদিকে, আজ বুধবার দুপুর ২টায় হাবীবুর রহমানের নামাজে জানাজা ডিআরইউ চত্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক হাবিব নিহত
ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যা মামলা: সাংবাদিক শাকিলের অন্তবর্তীকালীন জামিন
সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে প্রেসক্লাব ও ডিআরইউ’র শোক
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি,ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ও দি ফিনান্সিয়াল হেরাল্ড পত্রিকার সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে জাতীয় প্রেসক্লাব ও ডিআরইউ’র পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। রবিবার দুপুরে নামাজে জানাযা শেষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান এক বিবৃতিতে সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রখ্যাত সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে সাংবাদিকতা পেশার অপূরণীয় ক্ষতি হল। তিনি ছিলেন সাংবাদিক সমাজের অভিভাবক। নেতারা শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অন্যদিকে, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে এক পৃথক বিবৃতিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুল ইসলাম হাসিব গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে ডিআরইউ নেতারা তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শহীদজায়া মুশতারী শফীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ গত শনিবার (১১ ডিসেম্বর) করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়।
উল্লেখ্য,রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ১৯৪৫ সালের ৩০ নভেম্বর নরসিংদীর মনোহরদীতে জন্মগ্রহণ করেন। খ্যাতিমান এই সাংবাদিক ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এ ছাড়াও তিনি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও দি নিউজ টুডে পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একুশে পদক, মওলানা আকরম খাঁ পদক, অতীশ দীপঙ্কর পদক লাভ করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা হচ্ছে ‘সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন’। রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সত্তর ও আশির দশকে অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৫ সাল থেকে ১৯৯৮ এবং ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মোট চার মেয়াদে আট বছর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া সাউথ এশিয়ান ফ্রি মিডিয়া এসোসিয়েশন (সাফমা) সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতা গোলাম হাসনাইনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ডিআরইউ সভাপতি মিঠু, সম্পাদক হাসিব
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি পদে নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম হাসিব নির্বাচিত হয়েছেন।
সভাপতি পদে মিঠু ৪৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াজ চৌধুরী ৩০৪, শাখাওয়াত হোসেন বাদশা ২৫৩, কবির আহমেদ খান ২৩৬ ও সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ১৯৯ ভোট পান।
সাধারণ সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম হাসিব পেয়েছেন ৫০০ ভোট এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী মশিউর রহমান খান ৩৩৬, তোফাজ্জেল হোসেন ২৩১, মঈন উদ্দিন খান ২২৭ ও জামিউল আহসান শিপু ১৪৮ ভোট পেয়েছেন।
অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন সহ-সভাপতি পদে ওসমান গনি বাবুল (৩৮৩ ভোট), যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন (৮৩২ ভোট), অর্থ সম্পাদক এস এম এ কালাম (৬৭৮ ভোট), সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি (৮৩৭ ভোট), দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি (৭১৫ ভোট), সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নাদিয়া শারমিন (৯৭৩ ভোট), নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি (৮৫৯ ভোট), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন (৭২৩ ভোট), তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক পদে কামাল মোশারেফ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাকসুদা লিসা (৭২৩ ভোট), আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে কামরুজ্জামান বাবলু ৭৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পেশাগত উন্নয়ন ও মর্যাদার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে ডিআরইউ: স্পিকার
নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- হাসান জাবেদ (৮২১ ভোট), সোলাইমান সালমান (৭৩৯ ভোট), মাহমুদুল হাসান (৭৩৯ ভোট), সুশান্ত কুমার সাহা (৭০১ ভোট), আল আমিন (৬৮৬ ভোট), এসকে রেজা পারভেজ (৬৬৫ ভোট), তানভীর আহমেদ (৬৪৪ ভোট) ও সলিমুল্লাহ মেসবাহ (৬৪৪ ভোট) পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ডিআরইউ কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোট চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে ১ হাজার ৭২২ ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৪৫৪ জন ভোট দিয়েছেন।
ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার মনজুরুল আহসান বুলবুল।
আরও পড়ুন: ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবে ডিআরইউ’র প্রতিবাদ
১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবে ডিআরইউ’র প্রতিবাদ
সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠনগুলোর ১১ নেতার ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ)। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডিআরইউ নেতারা এই প্রতিবাদ জানান। সংগঠনটি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, সারাদেশের সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বকারী এই সংগঠনগুলোর নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের নাম ও প্রতিষ্ঠানকে একীভূত করে ঢালাওভাবে তাদের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় সারাদেশের সাংবাদিকদের মনে গভীর উদ্বেগ-উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। দেশের পেশাদার সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলোর নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের ব্যাংক হিসাব এভাবে তলব করা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। কেননা এর আগে কোন দিন কোন সময়ে এরকম ঘটনা ঘটেনি। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত হতেই পারে। কিন্তু সাংবাদিকতা পেশায় প্রতিষ্ঠিত সংগঠনসমূহের নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের নামে ঢালাওভাবে এ ধরনের পদক্ষেপ উদ্দেশ্যমূলক বলে আমরা মনে করি। নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সব সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকতা পেশাকে জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতারা।
আরও পড়ুন: ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবে ডিইউজের উদ্বেগ
ডিআরইউ নেতারা বলেন, বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কেন, কী কারণে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এতে সারাদেশের সাংবাদিকদের মনে নানা ধরনের আশঙ্কারও সৃষ্টি করেছে।
নেতারা প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএফআইইউ সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে যে চিঠি দিয়েছে তাতে তথ্য পাওয়ার আগেই তথ্য চাওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ করে দেয়ার উদ্দেশ্য কী ? সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে বিএফআইইউ’র দেয়া চিঠি গণমাধ্যমে প্রকাশ করায় সমাজের মানুষের কাছে সাংবাদিক নেতারা তথা সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে সরকারের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে এ ঘটনার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও প্রতিকার দাবি করছি। কেননা এতে করে সরকার ও গণমাধ্যমকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়ার প্রয়াস চালানো হয়েছে। যা কারো কাম্য নয়।
আরও পড়ুন: করোনা টিকা: ডিআরইউ সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেয়ার আহ্বান
নেতারা জানান, যেসব সংগঠনের নেতারা ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে তাদের মধ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল ,ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের-বিএফইজে সভাপতি এম.আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান এর নাম রয়েছে।
সাংবাদিক সাইফ ইসলাম দিলালের মা মারা গেছেন
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক অর্থ সম্পাদক ও একুশে টিভির ডেপুটি হেড অব নিউজ সাইফ ইসলাম দিলালের মা শাহানারা বেগম মারা গেছেন। রবিবার (২৯ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ছেলের বাসায় মারা যান তিনি। শাহানারা বেগম বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্বামী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজ বাদ মাগরিব রাজধানীর কাকরাইলে প্রথম নামাজে জানাজা ও আগামীকাল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মৌলভীপাড়ায় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমাকে দাফন করা হবে।
সাইফ ইসলাম দিলালের মা শাহানারা বেগমের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সহ সভাপতি ওসমান গনি বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান আজ এক বিবৃতিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রবীণ ফটোসাংবাদিক লুৎফর রহমান বীনু মারা গেছেন
হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী মারা গেছেন
ডিআরইউ নেতারা মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাবেক সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের মায়ের মৃত্যুতে সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি শারমীন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম এক শোক বার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
এছাড়া চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের সংগঠন চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরাম ঢাকা (সিজেএফডি) সাইফ ইসলাম দিলালের মায়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে।
অনেক উন্নত দেশেও বাংলাদেশের মতো গণমাধ্যম স্বাধীন নয়: তথ্যমন্ত্রী
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম যে পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করে, অনেক উন্নত দেশেও এ পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করে না।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে প্রতিনিয়ত ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমকে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হয়। আমাদের দেশে অসত্য সংবাদ, ভুল সংবাদ পরিবেশিত হয় না এটি কেউ বলতে পারবে না, প্রচুর হয়। কিন্তু এ অসত্য বা ভুল সংবাদ পরিবেশনের কারণে কোনো সংবাদপত্র বন্ধ হয়েছে এমন ঘটনা ঘটেনি।’
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘৫০ বছরে গণমাধ্যমের অর্জন ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে একটি ভুল সংবাদ পরিবেশনের কারণে ১৬৭ বছরের পুরোনো পত্রিকা 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড', যেটি এক সময় বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক ছিল, সেটি বন্ধ হয়ে যায়। বিবিসিকে পৃথিবীর প্রথম সারির গণমাধ্যম হিসেবে ধরা হয়, সেখানে একজন এমপির বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ পরিবেশনের প্রেক্ষিতে মামলা হয়। সেজন্য বিবিসির প্রধান নির্বাহী থেকে শুরু করে পুরো 'টিম'কে পদত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু অসত্য বা ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য বাংলাদেশের কোনো সংবাদপত্র বন্ধ হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো একজনের বিরুদ্ধে ভুল সংবাদ পরিবেশন করা হলে প্রতিবাদটিও সমান গুরুত্বে ছাপা হওয়া এবং টিভিতে কোনো অসত্য প্রতিবেদন হলে তার প্রতিবাদও সমগুরুত্বের সাথে প্রচার হওয়ার বিষয়ে যত্নবান হওয়া আবশ্যক।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য নয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কোনো সাংবাদিকের চরিত্রহরণ করে বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখা হলে তিনি এ কোন আইনের বলে প্রতিকার পাবেন? ডিজিটাল আইন যখন ছিল না তখন ডিজিটাল আইনের প্রয়োজনও ছিল না। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে এতো কথা হচ্ছে, ডিজিটাল আইনের মতো ভারতে ইনফরমেশন টেকনলজি অ্যাক্ট এবং সারাবিশ্বের এ বিষয়ে আইন রয়েছে।’
'তবে আইনের যেন অপপ্রয়োগ না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখা আবশ্যক যাতে কেউ অহেতুক নিগৃহীত না হয়, আমিও আইনের অপপ্রয়োগের বিপক্ষে,’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।
দেশে গণমাধ্যমের অর্জন নিয়ে তিনি বলেন, ‘৫০ বছরের প্রান্তে আজ গণমাধ্যমের অনেক বিকাশ ঘটেছে। গত ১২ বছরের কথা আমি বলতে চাই। ১২ বছর আগে বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল সাড়ে ৪০০। এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১ হাজার ২৫০। ১২ বছর আগে টেলিভিশনের সংখ্যা ছিল ১০টি, প্রাইভেট টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রথমবার দায়িত্ব গ্রহণের পর। এখন সম্প্রচারে আছে ৩৪টি টিভি চ্যানেল, আরও আসার অপেক্ষায় আছে ১১টি। অনলাইন গণমাধ্যম ১২ বছর আগে হাতে গোনা কয়েকটি ছিল। এখন কয়শ’ কিংবা কয় হাজার সেটি দেখার বিষয়। তবে আমাদের কাছে ৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে নিবন্ধনের জন্য। আমরা ইতোমধ্যেই কিছু নিবন্ধন দিয়েছি, আরও দেয়া হবে, প্রক্রিয়া চলছে।’
ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
এ সময় সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, শওকত মাহমুদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা, ডিআরইউ’র স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এবং সদস্য সচিব ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান বক্তব্য দেন।
সভা শেষে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘সিটি ব্যাংক-ডিআরইউ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট’ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।
করোনা টিকা: ডিআরইউ সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেয়ার আহ্বান
প্রথম ধাপেই মাহমারি করোনাভাইরাসের টিকা নিতে আগ্রহী সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
বিএনপির মুখে নিরাপত্তাহীনতার কথা উঠলে জনগণ আতঙ্কিত হয়: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির মুখে নিরাপত্তাহীনতার কথা উঠলে জনগণ আতঙ্কিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।