জাপান
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের সহায়ক: জাপান
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা, তাদের ‘মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিক’-এর জন্য সহায়ক হবে।
বুধবার ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ভাসান চরে তাদের কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য প্রথম দাতা হিসেবে জাপান ইউএনএইচসিআর এবং ডব্লিউএফপিকে ২০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থায়ন করেছে।
তারা আরও জানিয়েছে, মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা চালিয়ে কক্সবাজার ও ভাসান চরের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উন্নত জীবনযাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আরও সহযোগিতা করবে জাপান।
সম্প্রতি রাষ্ট্রদূত নাওকি ভাসানচর পরিদর্শন করেন। যেখানে ২৫ হাজারেরও বেশি ‘রোহিঙ্গা’ শরণার্থী বসবাস করে।
জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়াও দুই দিনের এই মিশনে যোগ দেন।
এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল জাপানের অর্থায়নের অধীনে চলমান কার্যক্রমের পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে জাইকার সম্ভাব্য দ্বিপক্ষীয় সহায়তা অন্বেষণ করা।
জাপান সফরের একই দিনে দ্বীপে স্থানান্তরিত দুই হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাসহ প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এলসিইউতে ভাসানচরে চলে যায়।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমনে র্যাবের ভূমিকা স্বীকৃত, তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সময় লাগবে: ব্লিনকেন
অস্কার ২০২২:সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম 'ড্রাইভ মাই কার'
অস্কারে সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম পুরস্কার জিতেছে জাপানের ‘ড্রাইভ মাই কার’।
হারুকি মুরাকামির ছোটগল্পের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে ‘ড্রাইভ মাই কার’ চলচ্চিত্রটি। এটি পরিচালনা করেছেন রিসুকে হামাগুচি, যিনি চিত্রনাট্য লেখার জন্যও মনোনীত হয়েছেন।
‘ড্রাইভ মাই কার’ সেরা ছবির জন্যও মনোনীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহামারির কারণে পেছাল অস্কার-২০২১ অনুষ্ঠান
চলচ্চিত্রটি জাপান থেকে পঞ্চমবারের মতো অস্কারের পুরস্কার জিতেছে এবং ২০০৮ সালের পর প্রথমবার মতো এই পুরস্কার জিতল দেশটি।
ইতালির ‘দ্যা হ্যান্ড অব গড’, নরওয়ের ‘দ্য ওয়ার্স্ট পারসন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’, ডেনমার্কের ‘ফ্লি’ এবং ভুটানের ‘লুনানা: এ ইয়াক ক্লাসরুম’কে হারিয়ে ‘ড্রাইভ মাই কার’ সেরা পুরস্কার জিতে নিল।
জাপানের পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন জেলেনস্কি
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা হিসেবে বুধবার জাপানের পার্লামেন্টে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে ভাষণ দেবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের এক মিটিং রুমে প্রায় ১০ মিনিট এই ভাষন দেবেন তিনি।
ইউক্রেনে রাশিয়ান হামলা শুরুর পর জেলেনস্কি ইতোমধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত ইউক্রেন: জেলেনস্কি
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট গ্লোরিয়া ম্যাকাপাগাল অ্যারোয়োসহ বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে জাপান সফরের সময় ব্যক্তিগতভাবে তাদের ভাষণ দিয়েছেন। তবে একজন বিদেশি নেতার অনলাইন বক্তব্য এবারই প্রথম।
এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে টোকিওর নিষেধাজ্ঞার কারণে বিতর্কিত কুরিল দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে জাপানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি আলোচনা বন্ধ এবং যৌথ অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: চীনে বিমান বিধ্বস্ত: বেঁচে যাওয়া কাউকে পাওয়া যায়নি
জাপানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৪
জাপানের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃহস্পতিবার ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত চারজন মারা গেছে এবং ১০৭ জন আহত হয়েছে। ভূমিকম্পে বিপুল সংখ্যক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বিশাল এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে দেশটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো গণমাধ্যমকে বলেছেন, ভূমিকম্পের সময় চারজন মারা গেছে এবং ১০৭ জন আহত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহতদের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
জাপানের কিয়োডো নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের সময় সোমা শহরে ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি দ্রুত তার বাড়ি থেকে বের হতে গিয়ে দোতলা থেকে পড়ে মারা যান। এবং সত্তরোর্ধ্ব এক ব্যক্তি ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।
বৃহস্পতিবার ভোরে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা ফুকুশিমা এবং মিয়াগি প্রিফেকচারের উপকূলে সুনামির ঝুঁকির কথা জানিয়েছে। রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় ৩৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ইশিনোমাকিতে ৩০ সেন্টিমিটার উচ্চতার সুনামি ঢেউ উপকূলে আঘাত হানে।
আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা প্রাথমিক ৭ দশমিক ৪ থেকে ৭ দশমিক ৫ এবং সমুদ্রের নীচে এর বিস্তার ৬০ কিলোমিটার থেকে ৫৬ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন: জাপানে অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
বৃহস্পতিবার দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী সোমা, আইতাতে ও ফুকুশিমার অন্যান্য উপকূলীয় শহরগুলোর বাসিন্দাদের কাছে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করেছে। কারণ ভূমিকম্পে এসব এলাকার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
‘ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক প্ল্যান্ট’ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি হোল্ডিংস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভূমিকম্পের সময় সাইটের কর্মীরা তেজস্ক্রিয় জল আওতার বাইরে ছিল।
তোহোকু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি জানায়, টোকিও অঞ্চলসহ ১৪টি প্রিফেকচারে ২২ লাখেরও বেশি বাড়ি সাময়িকভাবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফুকুশিমা এবং মিয়াগি প্রিফেকচারের প্রায় ৩৭ হাজার বাড়িতে সকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ভূমিকম্পের কারণে ফুকুশিমা এবং মিয়াগির মধ্যে একটি তোহোকু শিনকানসেন এক্সপ্রেস ট্রেন আংশিকভাবে লাইনচ্যুত হয়েছিল, তবে কেউ হতাহত হয়নি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাতসুনো বলেছেন, ‘আমরা উদ্ধার তৎপরতায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং মানুষের জীবনকে প্রাধান্য দিচ্ছি।’
তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সম্ভাব্য বড় আফটার শকগুলোর জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১১ বছর আগে এই অঞ্চলেই ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ও প্রলয়ংকারী সুনামির কারণে পারমাণবিক চুল্লি গলে যায়। ফলে ব্যাপক মাত্রায় বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে এখনও এই অঞ্চলের কিছু অংশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে আছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করছে জাপান
জাপানে কাদার স্রোতে ২ মৃত্যু, নিখোঁজ ২০
জাপানকে বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরির আহ্বান মন্ত্রীর
কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা জাপানের প্রতিষ্ঠান ইয়ানমারকে বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরির জন্য কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিযন্ত্রে ব্যাপক ভর্তুকি দিচ্ছে। ফলে, কৃষিকাজে যন্ত্র ব্যবহারে কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কৃষিযন্ত্রের বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। জাপানি ইয়ানমার কোম্পানির যন্ত্রেরও চাহিদা অনেক। কাজেই, বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে ইয়ানমার কৃষিযন্ত্র তৈরি করতে পারে।’
শুক্রবার বিকালে ঢাকায় দীপ্ত টেলিভিশন চত্বরে ইয়ানমার কোম্পানির কৃষিযন্ত্র প্রদর্শনী পরিদর্শনকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকিকে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
এসময় জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জানান, বাংলাদেশের সাথে যৌথ উদ্যোগে এদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরিতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
পরিদর্শনকালে বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিজি বেনজীর আলম, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি দেবাশীষ রায়, এসিআই এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফম আনসারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: দেশে কেউ ঘরহীন থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী
পরে কৃষিমন্ত্রী এসিআই দীপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ এক সময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। এখন প্রায় ১৭ কোটি মানুষের প্রয়োজনীয় খাবার আমরা ছোট্ট এদেশ থেকে উৎপাদন করছি। বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোন অভাব নেই। তবে এখন চ্যালেঞ্জ হলো সকলের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
জাপানের প্রসঙ্গ তুলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, জাপান খুবই শিল্পোন্নত দেশ। তারপরও তারা কৃষি উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে, যাতে খাদ্যের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকতে না হয়।
আমরাও খাদ্যের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকতে পারি না। সেজন্য, বর্তমান সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করছে।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফা উসমান তুরান, দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পড়ুন: দ্রুত চালের উৎপাদন বাড়াতে রোডম্যাপ হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
দেশের উপকূলীয় এলাকার মৎস্য খাতের উন্নয়নে সহায়তা দেবে জাপান
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় মৎস্য খাতের উন্নয়নে সহায়তা দেবে জাপান। এ লক্ষ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) প্রাথমিকভাবে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে কারিগরি সহায়তা প্রদানের একটি পাইলট প্রকল্প প্রস্তাব করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে তার দপ্তর কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইয়োহো হায়াকাওয়া এর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল এসব কথা জানায়।
তারা জানায়, পাঁচ বছর মেয়াদী প্রস্তাবিত প্রকল্পটি কক্সবাজার জেলার পাঁচটি উপজেলা টেকনাফ, উখিয়া, সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়ায় বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে জাইকা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে জাইকা মৎস্য খাতের ভ্যালু চেইন উন্নয়ন, সামুদ্রিক মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ, আর্থসামাজিক জরিপ সম্পাদন, প্রশিক্ষণ প্রদান, সীফুড প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা, পুষ্টিমান উন্নয়নসহ এবং মৎস্য খাত সংশ্লিষ্টদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কারিগরি সহায়তা দিতে আগ্রহী।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু রাষ্ট্র। দুই দেশের জনগণ ও সরকারের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। কারিগরি সহায়তা ছাড়াও বাংলাদেশের মৎস্য খাতে জাপানের সহযোগিতা বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। আমাদের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ সমুদ্র এলাকায় আমাদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে সুনীল অর্থনীতির নব দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে যাচ্ছে। এ খাতে দুই দেশের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ আছে। সীউইড, খনিজ সম্পদ, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদসহ সুনীল অর্থনীতির নানা সম্ভাবনা উন্মোচনে বাংলাদেশ ও জাপান যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মৎস্য খাতে বাংলাদেশ স্বর্ণালী অধ্যায় সৃষ্টি করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সব সময় জাপানের মতো দেশের বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদান করে থাকে। সুতরাং জাপান ও জাইকা বাংলাদেশের সামুদ্রিক এলাকায় মৎস্যসম্পদ অনুসন্ধানসহ নানা খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।
এসময় ইয়োহো হায়াকাওয়া বলেন, জাইকা বাংলাদেশের কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করতে চায়। এর মাধ্যমে কক্সবাজারের ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের আয়বর্ধক কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সীউইড প্রক্রিয়াকরণ, অ্যাকুয়াকালচার, মৎস্যজাত পণ্য বাজারজাতকরণ, মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় কারিগরি সহায়তা দিতে জাইকা প্রস্তুত আছে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মৎস্য খাতে জাইকার বিনিয়োগের আরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েত হুসেন, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি তাকেশি সাহেকি জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রোগ্রাম উপদেষ্টা রাইউইচি কাতসুকি এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার মো. মেহেদী হাসান সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের বাইরে থেকে কোরবানির পশু আসতে দেওয়া হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
জীবাণু সংক্রমণে সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ লাখ মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি জাপানের
ভাসান চরে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য মোট ২০ লাখ মার্কিন ডলার জরুরি অনুদান সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছে জাপান।
শুক্রবার ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই অনুদানের মধ্যে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এর জন্য এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডাব্লিউএফপি) এর জন্য এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানিয়েছে, এই সহায়তা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়নের অনুমতি দেবে। কেননা ভাসানচরে তাদের খাদ্য ও স্বাস্থ্যখাতে জরুরি সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব যাচাই ত্বরান্বিত করতে সম্মত বাংলাদেশ-মিয়ানমার
বিজ্ঞপ্তিতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, আমি রোহিঙ্গা জনগণকে রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আন্তরিকতার প্রশংসা করি।
দূতাবাস বলেছে, ‘জাপান ২০২১ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের মধ্যে স্বাক্ষরিত এমওইউ-এর অধীনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির স্থির ও মসৃণ কার্যক্রমকে সমর্থন করে যেটা কিনা ভাসান চরের সহায়তার জন্য একটি মৌলিক কাঠামো।’
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, ‘জাপান আশা করে যে ভাসানচরে বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান মানবিক ও সুরক্ষার প্রয়োজনে জাতিসংঘ সাড়া দেবে এবং দৃঢ়ভাবে আশা করেন যে এই সহায়তা চরে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতিতে অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রত্যাশা বাংলাদেশের
দূতাবাস তাদের বিবৃতিতে বলেছে, জাপান বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি উভয় স্থানেই আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে কাজ করবে।
দূতাবাস বলছে, এই সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সমগ্র অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ। যেটা এ অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক’ দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পক্ষে একা রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নেয়া উচিত না: জাতিসংঘ
বাংলাদেশ- জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর: আসছে ৫০ টাকার স্মারক রৌপ্য মুদ্রা
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫০ টাকা মূল্যের একটি নতুন স্মারক রৌপ্য মুদ্রা চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাপানি মুদ্রা উৎপাদনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি জাপান মিন্টের যৌথ উদ্যোগে মুদ্রাটি চালু করা হবে।
১০ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস এবং মিরপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা জাদুঘরে নতুন রৌপ্য মুদ্রাটি বিক্রি করা হবে।
জাপান মিন্টের মাধ্যমে জাপানেও বিক্রি করা হবে এ মুদ্রা। স্মারক বাক্সসহ মুদ্রার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে সরকারের উন্মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা ইইউ’র
৩৫ মিমি ব্যাসের গোলাকার এই মুদ্রার ওজন ২০ গ্রাম। স্মারক মুদ্রার সামনের লোগোটি বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী বহন করে।
লোগোর উপরের অংশে কালার প্রিন্ট প্রযুক্তিতে ছাপা হয়েছে ডালপালাসহ চেরি (জাপানের জাতীয় ফুল) এবং জলে ভাসমান কুঁড়িসহ শাপলা (বাংলাদেশের জাতীয় ফুল)। এছাড়া লোগোর বাম পাশে, উপরে ও নিচে ইংরেজি ও বাংলায় '৫০ টাকা' লেখা রয়েছে।
স্মারক মুদ্রাটির পেছনে বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ মুদ্রিত। স্মৃতিসৌধের নিচে ছাপা হয়েছে ১৯৭২-২০২২ ।
বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী জাপান, স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: ইইউ
টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
জাপানের টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে। সোমবার টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
দুতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুরুতে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ দূতাবাসের কর্মকর্তা – কর্মচারীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
তারপর বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট-এর কালরাতে দেশদ্রোহী ঘাতকের নির্মম বুলেটে শাহাদাৎবরণকারী সকল শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি এবং দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া (মোনাজাত) করা হয়।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে মুক্ত আলোচনা ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত বলেন দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করলেও বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া সেই বিজয় ছিল অপূর্ণ ও অতৃপ্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আরও ৭ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান
তিনি বলেন, ‘সেদিন ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু সসম্মানে, মাথা উচু করে, বীরের বেশে স্বাধীন দেশে ফিরে আসেন, দেশ ফিরে পায় তাঁর প্রিয় সন্তানকে, জাতি ফিরে পায় তাঁদের মহান নেতা জাতির স্থপতি’ বঙ্গবন্ধুকে। মুক্ত স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুকে ফিরে পেয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ী বাঙ্গালী জাতি অনুভব করে বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ।
রাষ্ট্রদূত বলেন দেশ বিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথ রোধ করতে চেয়েছে। কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন ধবংস করতে পারে নাই।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের সোপান বেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাপানে ওমিক্রন কোভিড ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক বাস্তবায়নে সহায়ক হবে: জাপান
আগামী বছর টোকিও সফর করবেন শেখ হাসিনা, প্রত্যাশা জাপানের
বাংলাদেশে নিরাপদ ও কার্যকর টিকার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হবে: জাপান
জাপান বলেছে, বাংলাদেশে নিরাপদ ও কার্যকর টিকার ‘ন্যায্য ও ব্যাপক’ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হবে। বুধবার বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন,‘আমি আবারও বলতে চাই, জাপান করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।
বুধবার ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাপান বাংলাদেশকে প্রায় ১৫ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিয়েছে। এরপর মঙ্গলবার জাপান বাংলাদেশকে আরও সাত লাখ চার হাজার ১০ ডোজ টিকা দিয়েছে।
এর আগে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় জুলাই ও আগস্ট মাসে জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৩০ লাখেরও বেশি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা সরবরাহ করে। সে সময় জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘদিন অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার অপেক্ষায় ছিল।
এখনও বাংলাদেশি নাগরিকদের অনেকের টিকা প্রয়োজন; এই বিষয়টি বিবেচনা করে এবং জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আলোকে, জাপান সরকার বাংলাদেশের জনগণকে আরও ১৫ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: কানাডা থেকে এলো ২২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা
বাংলাদেশকে আরও ৭ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান
কোভ্যাক্সের আওতায় ১২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেলো বাংলাদেশ