জাপান
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর ওপর বোমা হামলা
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ওপর বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার পশ্চিম জাপানের একটি মাছ ধরার বন্দরে প্রচারণা চালানোর সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এদিন কেউ একজন তার দিকে একটি বোমা নিক্ষেপ করে। তবে তাকে অক্ষত অবস্থায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
কিশিদার ওপর হামলার বিষয়টি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের নয় মাস আগের হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আবের ওপরও প্রচারাভিযানেই হামলা করা হয়েছিল।
কিশিদা স্থানীয় নির্বাচনে তার ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে সমর্থন করার জন্য ওয়াকায়ামা প্রিফেকচারের সাইকাজাকি বন্দর পরিদর্শন করছিলেন এবং তার বক্তৃতা শুরু করার ঠিক আগে হামলা ঘটে।
চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি হিরোকাজু মাতসুনো সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাপানে শিনজো আবের হত্যায় ইয়ামাগামিকে অভিযুক্ত দেশটির আইনজীবীদের
তবে মাতসুনো সন্দেহভাজন ব্যক্তির উদ্দেশ্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তিনি শুধু বলেছেন যে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
বিস্ফোরক বস্তুটি কী বা সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে আরও কেউ ছিল কি-না তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার জানা যায়নি, তবে কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এটি একটি স্মোক বা পাইপ বোমা।
মাতসুনো আরও বলেছেন, কিশিদা অক্ষত আছেন এবং শনিবারের ঘটনার পরেও তার প্রচারাভিযানের বক্তৃতা দেওয়ার পর সন্ধ্যায় টোকিওতে ফিরে আসেন।
মাতসুনো বলেন, ‘নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রাণ এবং আমাদের কখনই সহিংসতার হুমকি বা বাধা সহ্য করা উচিত নয়।’
তিনি বলেন, মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য গ্রুপ অব সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের সময় জাপান সফররত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিশ্চিত করতে জাতীয় পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পশ্চিমের শহর নারাতে একটি প্রচারাভিযানের বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের হত্যাকাণ্ড পুরো দেশকে হতবাক করেছিল। যার ফলে জননিরাপত্তা এবং বন্দুক আইন আরও কঠোর করা হয়। পুলিশ তদন্তের পরে তাদের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে, তারা আবের নিরাপত্তায় ত্রুটি খুঁজে পায়।
আরও পড়ুন: জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ
আবের মৃত্যু: পুলিশের নিরাপত্তাকে দায়ী করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ২৫-২৮ এপ্রিল জাপান সফরে যাচ্ছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিওর আমন্ত্রণে আগামী ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল জাপানে সরকারি সফরে যাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফরে বেশ কিছু সহযোগিতা স্মারক সাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও জাপান উভয় সরকারই আশা করছে, এই সফর দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।
এটি হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ষষ্ঠ জাপান সফর।
এর আগে, তিনি ১৯৯৭, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে জাপান সফর করেছিলেন।
জাপানে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রীকে জাপানের সম্রাট অভ্যর্থনা জানাবেন।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক করবেন এবং তারপরে তার সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অমূল্য জাতীয় সম্পদ: প্রধানমন্ত্রী
সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি কয়েকজন জাপানি নাগরিকের হাতে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’- তুলে দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক মহাসড়কে টোল আরোপ করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
চিকিৎসা বিজ্ঞানে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
জাপানে গণহত্যা দিবস পালন
যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে শনিবার (২৫ মার্চ) ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে।
টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে কালো ব্যাজ ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদত বরণকারী তার পরিবারের সদস্যসহ ২৫ মার্চ কালরাতে ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের নাম জানা-অজানা ৩০ লাখ শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশে গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে আজ
এছাড়া দিবসটি স্মরণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সাহাবুদ্দিন আহমদ প্রথমেই ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের ভয়ঙ্কর কাল রাতে পাকিস্তানি হানাদারদের ঘৃণ্য ও কাপুরুষোচিত আক্রমণে যে সব বীর বাঙালি শাহাদত বরণ করেছিলেন তাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত সাহাবুদ্দিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্ নেসা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।
তিনি স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, সব শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে যাদের চরম ত্যাগের বিনিময়ে নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র লড়াই করে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে।
তিনি বলেন, ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিচিত এ পাকিস্তানের দখলদার শাসকদ্বারা সংগঠিত এ গণহত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ঢাকাসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলোতে বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতারা, ছাত্র ও স্বনামধন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অসহযোগ আন্দোলনকে কঠোর হস্তে দমন করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।
রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা গণহত্যা দিবসের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
বক্তারা বিশ্বের সচেতন নাগরিকদের বাংলাদেশের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিতে এবং গণহত্যাকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শেষে গণহত্যা দিবসের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: গণহত্যা দিবস পালিত হবে শনিবার
পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
জাপানে আম রপ্তানি শুরু হবে শিগগিরই: কৃষিমন্ত্রী
জাপানে আম রপ্তানির কাজ প্রায় চূড়ান্ত। শিগগিরই রপ্তানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আম নিতে জাপানের আগ্রহ রয়েছে। রপ্তানির ক্ষেত্রে জাপানের পূর্বশর্ত পূরণে কাজ চলছে। দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। শিগগিরই জাপানে আম রপ্তানি শুরু হবে। একইসঙ্গে অন্যান্য ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: জনগণই আওয়ামী লীগের পাহারাদার: কৃষিমন্ত্রী
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাপান কৃষিবিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরির কারখানা স্থাপন ও কৃষিখাতে সহযোগিতা আরও বাড়াবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় এসব বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেন, কৃষিখাতে জাপান-বাংলাদেশের সহযোগিতা আরও বাড়াতে চাই। সেজন্য, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে চাচ্ছি যাতে করে সহযোগিতার অগ্রাধিকার খাতগুলো চিহ্নিত করে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা যায়।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই। তিনি জেলে থেকেও দল পরিচালনা করতে পারবেন, বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে পারবেন। তবে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসাবে আইন অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচনী আইনে যা আছে, তাই মানতে হবে। এখানে সরকার বা নির্বাচন কমিশনসহ কারো কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচন হবে; এর কোন ব্যত্যয় হবে না। সংবিধানের বাইরে কারো কিছু করার নেই। নির্বাচন পর্যন্ত বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকবে, তারপর নির্বাচনে জনগণ ভোট না দিলে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাবে।
আরও পড়ুন: রোজায় নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী
জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে চায় জাপান: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেছেন, দেশটির প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করতে তিনি জাপানি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য উৎসাহিত করবেন।
বুধবার স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠকে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়নে আরও সম্পৃক্ত হতে চায় জাপান।
রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রাম পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থায় বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বেশ কিছু জাপানি কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
নারায়ণগঞ্জ শহর এবং জাপানের নারুতো শহরের মধ্যে মিল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি শহরভিত্তিক অংশীদারিত্ব চুক্তি হতে পারে যা উভয় শহরকে উপকৃত করবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে: ডেরেক শোলে
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ শ্রমিক চায় জাপান।
তিনি উল্লেখ করেন, অবকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপান বিনিয়োগ বাড়াবে।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বড় প্রকল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
তাজুল ইসলাম তথ্য ও প্রযুক্তি এবং সাংস্কৃতিক খাতে সহযোগিতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তারা জাপানের সহায়তায় বাংলাদেশে চলমান বেশ কয়েকটি প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলেন।
তারা উভয়েই উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা জোরদারের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর
বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের জন্য ৫.৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে জাপান
বাংলাদেশের কক্সবাজার ও ভাসান চরে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নয়ন এবং আশ্রয়কেন্দ্রের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায় (আইওএম) ৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান সরকার।
সোমবার বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং আইওএম বাংলাদেশের চিফ অব মিশন আবদুসাত্তর এসোয়েভ এ সংক্রান্ত একটি এক্সচেঞ্জ অব নোটস (দ্বিপক্ষীয় বেসরকারি চুক্তি) সই করেছেন।
এসময় বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেছেন, জাপান রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনসহ টেকসই সমাধানের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং শরণার্থী ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের জন্য উন্নত জীবনযাত্রার জন্য আইওএম-সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, এই সংকটে টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা আমাদের জন্য একটি মুক্ত এবং স্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিকের ধারণার জন্য সহায়ক হবে।’
ইওয়ামা আশা প্রকাশ করেন যে জাপান সরকারের সহায়তা রোহিঙ্গা এবং স্বাগতিক উভয় সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে চিনি শিল্প, বায়োমাস বিদ্যুৎ ও প্রিপেইড গ্যাস মিটারে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান
তিনি বলেন, ‘গত মাসে আমার শেষ কক্সবাজার সফরের সময় আইওএম পরিচালিত রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক স্মৃতি কেন্দ্রসহ আইওএম-এর পরিশ্রমী প্রচেষ্টায় আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম।
এসোয়েভ বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের ষষ্ঠ বছরে চলছে; আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই দুর্বল জনগোষ্ঠীকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়, তারা এখনও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জাপান সরকারের কাছে তাদের অব্যাহত সহায়তার জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, যা আইওএম বাংলাদেশকে কক্সবাজার এবং ভাসান চরে দুর্বল রোহিঙ্গা ও হোস্ট সম্প্রদায়কে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা দিতে সাহায্য করবে। এই সহায়তা আরও ভাল বসতি, সুরক্ষা এবং জীবিকার সুযোগ প্রদান নিশ্চিত করবে।’
ঢাকায় জাপান দূতাবাস সোমবার বলেছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়গুলো পর্যাপ্ত আশ্রয়ের অভাবের কারণে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন; যেখানে তাদের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও মর্যাদা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এছাড়াও ভাসান চরে জীবিকার সুযোগ যেমন- অ্যাকুয়াকালচার, ছোট গবাদি পশু পালন, বৃত্তিমূলক এবং দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ আরও বাড়াতে হবে।
এতে বলা হয়, ‘দ্য প্রজেক্ট ফর প্রমোটিং শেল্টার আপগ্রেড এন্ড কমিউনিটি বিল্ডিং ইন ভাসান চর এন্ড কক্সে’স বাজার ডিস্ট্রিক্ট’-শিরোনামের প্রকল্পটি কক্সবাজার ক্যাম্প এবং হোস্ট সম্প্রদায়ের ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থান, সুরক্ষা এবং মনোসামাজিক কার্যকলাপের সুযোগ বাড়াতে সক্ষম করবে। এবং ১১ হাজার ৫০০টিরও বেশি পরিবার আশ্রয়ের আপগ্রেড ও রক্ষণাবেক্ষণ সহায়তা পাবে।
সাইট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাইট ডেভেলপমেন্ট (এসএমএসডি) প্রকল্পটির কাজের মাধ্যমে ক্যাম্পের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।
প্রকল্পটি ভাসান চরে উন্নত জীবিকার সুযোগের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের, বিশেষ করে নারী ও যুবকদের আত্মনির্ভরশীলতাকে শক্তিশালী করবে।
২০১৭ সালের আগস্টে জরুরি অবস্থার শুরু থেকেই, জাপান বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার ব্যাপারে সমর্থন জানিয়ে আসছে এবং এবারের এই অর্থায়নের মাধ্যমে আইওএম ও অন্যান্য জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশে এনজিওগুলোতে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: জাপানের কাছ থেকে আরও বড় ধরনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে কাজ চালিয়ে যাবে জাপান
জাপানের কাছ থেকে আরও বড় ধরনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশ জাপানের কাছ থেকে আরও বড় ধরনের বিনিয়োগ আশা করে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী হচ্ছে জাপান। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এছাড়া অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। জাপানও এখানে বিনিয়োগ করছে।
আরও পড়ুন: এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বাংলাদেশকে: বাণিজ্যমন্ত্রী
সচিবালয়ে রবিবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবে, তখন বিভিন্ন দেশ থেকে বাণিজ্য সুবিধা পেতে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য আমরা কাজ করছি। তখন বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাপানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও দক্ষ নেগোসিয়েশনের সুবিধার্থে একটি জয়েন্ট স্টার্ডি গ্রুপ কাজ করার জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর এফটিএ বা পিটিএ এর মতো বাণিজ্য সহযোগিতা চুক্তি করে উভয় দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য কাজ করা হবে। জাপান ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছে, সে মোতাবেক কাজ চলছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা সফর বিনিময় করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত সহজ হবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, জাপান সরকার বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে। জাপানের অনেক বিনিয়োগ আছে এখানে, বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী জাপান। জাপান-বাংলাদেশ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট(ইপিএ) স্বাক্ষরের জন্য করণীয় ঠিক করতে সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করছে জাপান।
এছাড়া বাংলাদেশও একই ধরনের দক্ষ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গ্রুপ গঠন করলে কাজ অনেক সহজ হবে। এতে দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রতিনিধি থাকবে। যাতে করে সঠিকভাবে এ বিষয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সঠিক সময়েই এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনকে লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে কাজ চালিয়ে যাবে জাপান
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার প্রথম সরকারি সফরে এসে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে জাপানের কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এ সংক্রান্ত তৎপরতা চলমান দেখে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এটাই তার প্রথম সফর এবং বর্তমান পরিস্থিতি তিনি নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষাকেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত
জাপানে শিনজো আবের হত্যায় ইয়ামাগামিকে অভিযুক্ত দেশটির আইনজীবীদের
জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের হত্যায় তেতসুয়া ইয়ামাগামিকে (৪২) অভিযুক্ত করেছেন দেশটির আইনজীবীরা। শুক্রবার বিচারের জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের জুলাই মাসে পশ্চিম জাপানের নারাতে একটি ট্রেন স্টেশনের বাইরে নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তৃতা দেয়ার সময় গুলি লেগে মারা যান আবে। তাকে গুলি করার অভিযোগে অবিলম্বে তেতসুয়া ইয়ামাগামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শিনজো আবের শেষকৃত্য আজ
এরপর ইয়ামাগামিকে প্রায় ছয় মাসের জন্য ওসাকার একটি মানসিক মূল্যায়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার যার মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর ইয়ামাগামি নারায় পুলিশ হেফাজতে ফিরে এসেছে।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ইয়ামাগামির মানসিক মূল্যায়নের ফলাফলে জানা গেছে তিনি বিচারের উপযুক্ত।
এছাড়া নারা জেলা আদালতে ইয়ামাগামির বিরুদ্ধে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও আনা হয়েছে।
পুলিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিতে ইয়ামাগামি বলেছিলেন যে, একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকার কারণে তিনি আবেকে হত্যা করেন।
তার দেয়া বিবৃতিতে এবং তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলোতে ইয়ামাগামি বলেছিলেন, তিনি (আবে) বিদ্বেষ তৈরি করেছিলেন। যার কারণে তার মাকে ইউনিফিকেশন চার্চে অনেক বড় অংকের টাকা দিতে হয়। যার ফলে তার পরিবার দেউলিয়া হয়ে যায়; যা তার জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।
তার আইনজীবীদের একজন মাসাকি ফুরুকাওয়া বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ওসাকায় তার মানসিক মূল্যায়নের সময় ইয়ামাগামি সুস্থ ছিলেন। সেসময় কেবল তার বোন এবং তিনজন আইনজীবীকে তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়।
ফুরুয়া বলেছেন, মামলার জটিলতার কারণে তার বিচার শুরু হতে অন্তত কয়েক মাস সময় লাগবে।
পুলিশ ইয়ামাগামির বিরুদ্ধে অস্ত্র উৎপাদন, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন এবং ভবনগুলোর ক্ষতিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ যুক্ত করার কথাও বিবেচনা করছে।
তবে কিছু জাপানি ইয়ামাগামির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে যারা দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক ইউনিফিকেশন চার্চের অনুসারীদের সন্তান। অনুগামীদের বড় দান করার জন্য চাপ দেয়ার জন্য এটি পরিচিত এবং জাপানে এটি একটি ধর্ম বলে বিবেচিত হয়।
হাজার হাজার মানুষ ইয়ামাগামির লঘু শাস্তির জন্য অনুরোধ জানিয়ে একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছে এবং অনেকে তার আত্মীয়দের বা আটক কেন্দ্রে কেয়ার প্যাকেজ পাঠিয়েছে।
এই মামলার তদন্তের ফলে আবের শাসক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং গির্জার মধ্যে বছরের পর বছর ধরে চলা নিবিড় সম্পর্কের রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে।
কারণ আবের দাদা ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নোবুসুকে কিশি ১৯৬০-এর দশকে রক্ষণশীল ও বিরোধীদের মধ্যে পারস্পারিক স্বার্থের জন্য জাপানে এই চার্চের শিকড় বিস্তৃত করতে সাহায্য করেছিলেন।
আরও পড়ুন: শিনজো আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যোগদান
শিনজো আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেন মোদি
প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেয়ায় জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
বাংলাদেশে জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরিকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ।
মঙ্গলবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ, বিশেষ করে বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের প্রতি জাপানি সহায়তা এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসহ পারস্পরিক স্বার্থের দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: পায়ে হেঁটে ১৫ হাজার কি.মি. পাড়ি দিয়ে রোহান এখন হিলিতে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জাপানের অব্যাহত সমর্থনের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে জাপান তার সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
নতুন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের সফল মেয়াদ কামনা করেন এবং তার দায়িত্ব পালনে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস: দূতাবাস