জাপান
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস: দূতাবাস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস। ২০২১ সালের হিসেব অনুযায়ী যা এক ট্রিলিয়নের কাছাকাছি।
এছাড়া বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় উৎসও যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে দেশটি ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
পঞ্চম ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম আগামী ১২ জানুয়ারি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। যা মানুষদের ইন্দো-প্যাসিফিক এবং মার্কিন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হতে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে: মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারিকে শাহরিয়ার আলম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সরকার পঞ্চম ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, শিল্প নির্বাহী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের স্বাগত জানাবে।
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় ও ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম (আইপিবিএফ) এর সহযোগিতায় এবং জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে অংশীদারিত্বে মার্কিন বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার আয়োজন
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল জুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর অংশীদারদের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে উন্নীত করতে দেশটির সরকারি-বেসরকারি অংশগ্রহণের মূল প্লাটফর্ম।
জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অন্যান্য ইন্দো-প্যাসিফিক দেশ এবং সারা বিশ্বের অংশগ্রহণকারীদের জন্য শক্তিশালী ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের 'সুবিধা ও অসুবিধা' মূল্যায়ন করছে বাংলাদেশ: মোমেন
সব কূটনীতিকদের সম্পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়
জাপান ও বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় ইস্যু ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে এক মতবিনিময় করেছে।
সোমবার বিকালে মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু এটি আমাদের প্রথম বৈঠক, তাই আমরা মতবিনিময় করেছি।’
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ডিক্যাব সদস্যদের সংবর্ধনা
২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বঙ্গভবনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তার প্রমাণপত্র পেশ করেন।
তিনি তার প্রমাণপত্র জমা দেয়ার পরে বলেছিলেন, ‘আমি ২০২২ সালে রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমার দায়িত্ব শুরু করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। কেননা এ বছর জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।’
বাংলাদেশে আসার আগে তিনি জেনেছেন যে, অনেক জাপানি বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে ৫০ বছর ধরে এদেশের উন্নয়নে জড়িত এবং কঠোর পরিশ্রম করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট উদ্যোগের (বিআইজি-বি) অধীনে অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উন্নতিতে অবদান রাখার জন্য অনেক মেগা প্রকল্প চলছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের একটি প্রধান ও বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে জাপানের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তাই বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশটি ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে উন্নীত হবে।
কিমিনোরি বলেন, ‘এই দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে আমি অনুভব করছি যে জাপানি ব্যবসায়িক মহলের পক্ষ থেকে এই দেশে ব্যবসা করতে আগ্রহীদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রত্যাশা রয়েছে। রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি জাপানি কোম্পানিগুলোর কথা শুনে ও সমর্থন করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আরও অবদান রাখতে চাই।’
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানালেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি
রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে: মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারিকে শাহরিয়ার আলম
বিশ্বকাপ ফুটবল-২০২২: কোস্টারিকার কাছে জাপানের হার, স্পেন ও জার্মানির পথ সুগম
কোস্টারিকার কাছে জাপানের হারে স্পেন ও জার্মানির পথ সুগম হয়েছে। কেশার ফুলার ৮১তম মিনিটে জাপানের বিপক্ষে গোল করে কোস্টারিকাকে ১-০ ব্যবধানে জয় এনে দেয়। বিশ্বকাপের গ্রুপ ই-তে দু’টি খেলার পর উভয় দলই তিন পয়েন্ট নিয়েছিল।
জাপান বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ফুলার একটি রক্ষণাত্মক ত্রুটির সুযোগ নিয়েছিলেন এবং জাপানের গোলরক্ষক শুইচি গোন্ডার লাফানোর আঙুলের ঠিক ১৮ মিটার দূর থেকে জালে আঘাত করেন।
আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে রবিবারের ম্যাচটি কৌশলগত এবং অনেকটাই দুর্বল ছিল। বিশেষ করে প্রথমার্ধে গোলে একটি শটও দেয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ভালো ছিল জাপানের চাপে ছিল কোস্টারিকা বিপর্যস্থ না হওয়া পর্যন্ত।
শেষ মিনিটে বেশ কয়েকটি আকস্মিক আক্রমণ রুখে দিয়ে জয় নিশ্চিত করেন কোস্টারিকার গোলকিপার কিলর নাভাস।
আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপ ২০২২: পর্তুগালের কাছে ৩-২ গোলে ঘানার পরাজয়
গ্রুপ ‘ই’ তে স্পেনের সঙ্গে জাপানের একটি খেলা বাকি আছে। আর কোস্টারিকা তাদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে জার্মানির মুখোমুখি হবে। জয়ের সঙ্গে জাপান তার উদ্বোধনী ম্যাচে জার্মানিকে ২-১ গোলে বিপর্যস্ত করে নকআউট পর্বে জায়গা করে নিতে পারত। কোস্টারিকা তার প্রথম খেলায় স্পেনের কাছে ৭-০ গোলে হেরেছিল এবং টিকে থাকার চেষ্টা করেছিল।
জাপান কর্নার শট এবং মাঠ দখলে রাখতে পেরেছিল কিন্তু জালে বল গড়াতে পারেনি।
প্রথমার্ধটি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে খারাপ হতে পারে যা ইতোমধ্যে চারটি ০-০ ড্র দেখেছে। কৌশলগত অচলাবস্থায় কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি।
জার্মানির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে জাপানের একটি গোল করা রিতসু ডোয়ান, ডান দিক থেকে ক্রস কাটতে চেয়ে শুরুতে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বলে মনে হয়েছিল।
জোয়েল ক্যাম্পবেলের মতো দেখতে কোস্টারিকার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর খেলোয়াড় সবসময় বাম দিকে তার গতি ব্যবহার করার চেষ্টা করে।
পুরো প্রথমার্ধের চেয়ে বিরতির পর প্রথম দুই মিনিটে বেশি অ্যাকশন ছিল।
হিডেমাসা মরিতা প্রথম মিনিটে নাভাসকে একটি ব্লিস্টারিং শটের মুখোমুখি হন এবং তাকুমা আসানো এক মিনিট পরে আরেকটি আক্রমন রুখে দিতে বাধ্য করেন।
জাপানের আক্রমণাত্মক খেলা সত্ত্বেও আগের রক্ষণাত্মক ত্রুটির জন্য দলটিকে মূল্য দিতে হয়েছিল। যা ড্র এবং একটি মূল্যবান পয়েন্টের দিকে এগিয়েছিল বলে মনে হয়েছিল।
জাপানকে এবার সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে দেখা গেল। এর আগে তিনবার নকআউট পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে প্রতিবারই হেরেছে রাউন্ড অফ ১৬ -এ। কোস্টারিকা ২০১৪ সালে ব্রাজিলে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল।
জাপান বিশ্বকাপ নাও জিততে পারে, কিন্তু ম্যাচের পরে ভক্তদের এবং খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুম পরিচ্ছন্ন ঐতিহ্যের সঙ্গে তারা বাহবা পেয়েছে। ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপে জাপানের প্রথম অভিষেক হয়। এবার জাপানি দলের কর্মকর্তারা আরব, জাপানি এবং ইংরেজিতে ধন্যবাদ-সম্ভাষণসহ আট হাজার ট্র্যাশ ব্যাগ নিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২: মেসির গোলে মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলে আর্জেন্টিনার জয়
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২: সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে ব্রাজিলের জয়
প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক আরও গভীর হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাপান দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
বুধবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। এই সফরের মাধ্যমে তা আরও গভীর হবে।’
মোমেন বলেন, জাপান বিস্তৃত সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করতে আগ্রহী। আমরা একে অপরকে পছন্দ করি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২৯ নভেম্বর টোকিওর উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সাম্প্রতিক নির্বাচন সংক্রান্ত মন্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, অবশ্যই কেউ তাকে এইভাবে অবহিত করেছে, তিনি যেভাবে শুনেছেন সেভাবে বলেছেন।
মোমেন বলেন, তিনি (রাষ্ট্রদূত) সাদাসিধাভাবে এ কথা বলেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন ভালো বন্ধু।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ‘কৌশলগত’ অংশীদারিত্ব চায় জাপান
জাতীয় নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’: পুলিশ সংগঠন
কাতার বিশ্বকাপ: জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে জাপান
কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ এ বিপর্যয়ের গল্প একের পর এক রচিত হচ্ছে। কারণ জাপানের সামুরাই আর্মি গ্রুপ ই-তে প্রথম খেলায় জার্মানিকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছে।
প্রথমার্ধে জার্মানি আধিপত্য বিস্তার করে বেশ কয়েকটি বল জাপানি গোলে নিক্ষেপ করে। ডেভিড রাউমকে গোলরক্ষক শুইচি গোন্ডার ফাউল জার্মানি তাদের পেনাল্টি দেয়। যা ইল্কে গুন্ডোগান আধা ঘণ্টার ব্যবধানে রূপান্তরিত করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে দর্শকদের জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃশ্য ছিল, কারণ জাপান প্রচণ্ডভাবে লড়াই করে এবং ৭৫তম মিনিটে বিকল্প রিতসু দোনের মাধ্যমে নিজেদেরকে সমতা এনে দেয়।
আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপ: জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে জাপান
৮৩তম মিনিটে নিকো স্লোটারবেকের ভুলের পর সত্যিকার অনুশোচনার মধ্যে জার্মানি-ভিত্তিক টাকুমা আসানো জয়সূচক গোলটি করে জাপানকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেয়।
দৃঢ় রক্ষণাত্মক পারফরম্যান্স এবং শুইচি গোন্ডার কিছু দুর্দান্ত গোলকিপিং নিশ্চিত করেছে জাপান গ্রুপ ই ওপেনারে তিন পয়েন্ট পায়।
মূল ভূমিকায় যারা-
ইল্কে গুন্দোগান: জার্মান গোলরক্ষক, গুন্ডোগানের বেশ কয়েকটি সুযোগ ছিল, যা জাপানি রক্ষণভাগ বাদ দিয়েছিল। ভুলগুলো তাকে বার বার পীড়িত করছিল।
জামাল মুসিয়ালা: উদীয়মান তারকা দুর্দান্ত ছিল এবং তার দুর্দান্ত পায়ের জাদুকরি খেলার মাধ্যমে ঝলক দেখিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত গুনফলের অভাব ছিল ।
তাকুমা আসানো: প্রাক্তন আর্সেনাল ফরোয়ার্ড যখন বদলি খেলোয়ার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন এবং সামুরাই ব্লু-এর হয়ে জয়সূচক গোলটি শেষ করেছিলেন তখন খেলার চিত্র বদলে যায়।
হিরোকি সাকাই: অভিজ্ঞ ফুলব্যাক দুর্দান্তভাবে খেলেছে এবং ডান দিকে একটি হুমকি ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে তার দলের জন্য মাত্রাতিরিক্ত সুযোগ তৈরি করেছিলেন তিনি।
শুইচি গোন্ডা: জাপানের এক নম্বর খেলোয়ার। তার শট-স্টপিংয়ের মাধ্যমে সংশোধন করেছে এবং নিশ্চিত করেছে যে খেলাটি জাপানের ইতিহাসের পক্ষে যাবে।
ফলাফল
গ্রুপ ই-তে জাপান শীর্ষে আছে। আর জার্মানি নীচে। কারণ স্পেন এবং কোস্টারিকা এখনও খেলতে পারেনি। জাপানের কাছে ২-১ ব্যবধানে হারের পর কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ ই-তে জার্মানির প্রথম হওয়ার সম্ভাবনা এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ২৮ নভেম্বর স্পেনের বিপক্ষে তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে জার্মানি। আর ২৭ নভেম্বর জাপান খেলবে কোস্টারিকার বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: রোনালদোর গায়ে দেখা যাবে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি
কাতার বিশ্বকাপ ২০২২: গোলশূন্য ড্র ডেনমার্ক-তিউনিসিয়ার
নির্বাচন নিয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য ‘সম্পূর্ণ সত্য’: বিএনপি
বাংলাদেশের গত সাধারণ নির্বাচনের সময় ‘রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি’ নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সাম্প্রতিক বক্তব্য ‘সম্পূর্ণ সত্য’ বলে দাবি করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাপানি রাষ্ট্রদূত (নির্বাচন সম্পর্কে)যা বলেছেন তা একেবারেই সত্য।
তিনি বলেন, সরকার এখন ভিয়েনা কনভেনশনের কথা বলছে যা কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের মন্তব্য করতে বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে জনগণ গর্জন করছে: ফখরুল
‘আপনারা(সরকার) যখন মানুষকে হত্যা করেন, তাদের গুম করেন, রাতে দিনের ভোট দেন এবং ভোট না দিয়ে নিজেকে সরকার ঘোষণা করেন, তখন ভিয়েনা কনভেনশন কোথায় দাঁড়ায়?’ -ফখরুল প্রশ্ন করেন।
এর আগে সোমবার, জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন যে তিনি ‘ব্যালট বাক্স ভর্তি’ -এর উদাহরণ সম্পর্কে শুনেছেন এবং কিছু পুলিশ আগের রাতে ‘ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছে’ – যা তিনি অন্য কোনো দেশে শোনেননি।
‘ব্যালট বাক্স ভর্তি’ কখনই পুনরাবৃত্তি করা উচিত নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান আশা করে যে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন সব প্রধান রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহনে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যুবলীগকর্মীর মামলা
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে কী ঘটছে তা দেখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চোখ খুলেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়... এই দিনে ও যুগে কেউ কোনও প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়ে খেয়াল খুশি মতো কিছু করতে পারে না।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমার বা উত্তর কোরিয়ার মতো ‘অবরুদ্ধ’ দেশ নয় যে সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘এটি (বাংলাদেশ) মোটামুটি একটি স্বাধীন দেশ। যারা আমাদের (উন্নয়ন) অংশীদার এবং যারা এখানে বিনিয়োগ করে এবং দেশকে আর্থিক সহায়তা দেয় তারা এটা (নির্বাচন) সম্পর্কে কথা বলতে পারে।’
বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে বিএনপি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্ররোচিত করছে বলে সরকারের অভিযোগ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, এর মানে হচ্ছে, ‘বিএনপি দেশের জনগণের সঙ্গে একত্রে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সেদিকে নজর দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার জনসভা থেকেই বৃহত্তর আন্দোলন শুরু, বললেন ফখরুল
মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখন পূর্ণ মাত্রায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল নয়: জাপান
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে শিগগিরই পূর্ণ মাত্রায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন,‘শিগগিরই পূর্ণ মাত্রায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা খুবই কঠিন হবে। মিয়ানমারে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা আমাদের জন্য খুবই কঠিন হবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং সেখানে সহিংসতা বন্ধ,বন্দীদের মুক্তি এবং সেখানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: বেইজিংয়ের প্রচেষ্টার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে ঢাকা
তিনি বলেছিলেন যে তারা এই মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারে,তবে তা তাদের পূর্ণ মাত্রায় স্বদেশে প্রত্যাবাসন নয়।
বাংলাদেশ কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং গত পাঁচ বছরে একজনও রোহিঙ্গাকেও নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা হয়নি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পার হয়েছে। এ পরিস্থিতি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। প্রত্যাবাসন অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে।’
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তারা কাজ করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিয়ানমারের পরিস্থিতির কারণে রোহিঙ্গাদের শিগগিরই প্রত্যাবাসন করা যাচ্ছে না।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, জাপান বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করেছে এবং তারা বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ও উদারতার প্রশংসা করে।
সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশের সহযোগিতায় এটি আয়োজন করে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার পরিচালনায় ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য ইইউ’র ৩ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা
বাংলাদেশের সঙ্গে ‘কৌশলগত’ অংশীদারিত্ব চায় জাপান
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার মতো আরও কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি ‘কৌশলগত’ পর্যায়ে উন্নীত করতে চায় জাপান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফরের সময় এই বিষয়ে সম্ভাব্য আলোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাপক অংশীদারিত্ব রয়েছে। আমরা এটিকে বৃদ্ধি করতে চাই। আশা করি আমরা আমাদের অংশীদারিত্বকে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব বলতে আমরা একমত হতেই পারি।’
সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাপান দূতাবাসে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উদযাপিত
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশের সহযোগিতায় এটি আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানির বিষয়ে তার দেশের আগ্রহের কথা জানিয়ে তিনি বলেন যে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আরও আলোচনা হবে।
ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক (এফওআইপি)নিয়ে জাপানের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি খুব ব্যাপক, তবে কোনও দেশের বিরুদ্ধে নয় বা কোনও দেশের পক্ষেও না।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশকে এফওআইপি এর অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। ‘আমরা আমাদের ব্যবহারিক সহযোগিতার প্রচার চালিয়ে যাব।’
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সংযোগ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি হচ্ছে বাস্তব সহযোগিতার অংশ; যা তারা প্রচার করে।
বিনিয়োগ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন যে চ্যালেঞ্জ আছে, তবে বিনিয়োগের পরিবেশের উন্নতি হবে বলে আশা করছি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী ২৯শে নভেম্বর-১ ডিসেম্বর, ২০২২ জাপান সফরে যাবে। সেসময় বৃহৎ প্রকল্পে ‘বিনিয়োগ ও অর্থায়নের’ মাধ্যমে উন্নয়ন প্রচেষ্টায় জাপানের ‘শক্তিশালী সম্পৃক্ততা’ চাইবে বাংলাদেশ।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ইউএনবিকে বলেন যে জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি ‘উত্তম বিনিয়োগকারী’ এবং তারা অনেকগুলো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
মোমেন বলেন, ‘মূল কথা হল জাপান অর্থায়নে সক্ষম এবং তারা সবসময় কোনো কঠিন শর্ত ছাড়াই অর্থায়ন করে। তাদেরও প্রযুক্তি আছে।’
২০১৪ সালের মে মাসে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে টোকিওতে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠক করেন এবং তারা যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ-জাপান ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ শুরু করেন।
একই বছরের সেপ্টেম্বরে আবে ঢাকায় শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন।
১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জাপান বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ২০২২ সাল বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপন করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর: বিনিয়োগ ও বড় প্রকল্পে অর্থায়ন খুঁজবে বাংলাদেশ
জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লো উ. কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
মঙ্গলবার পারমাণবিক সক্ষমতার অস্ত্র উৎক্ষেপণের সময় জাপানকে নোটিশ দিয়ে ট্রেন স্থগিত করতে বাধ্য করেছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটি মার্কিন অঞ্চল গুয়াম এমনকি তার বাইরেও পৌঁছাতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চলতি বছর উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে উত্তেজক অস্ত্রের প্রদর্শনী। কারণ দেশটি একটি পূর্ণাঙ্গ পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার তৈরি করতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে এবং এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মার্কিন ভূমি ও এর মিত্রদের কার্যকরভাবে ছাড় না দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রটির আনুমানিক সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার (২৮০০ মাইল) উড্ডয়নের ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর কোরিয়ার অন্য কোনও ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে দীর্ঘতম পাল্লার। যদিও এর আগে উত্তর কোরিয়া প্রতিবেশী দেশগুলোকে পিছনে ফেলে কার্যকর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
জাপানের ওপর দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ‘দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র’ উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্তকে ‘বিপজ্জনক এবং বেপরোয়া সিদ্ধান্ত’ হিসাবে বর্ণনা করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার নিষিদ্ধ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং গণবিধ্বংসী কর্মসূচি, মিত্র ও জাতিসংঘের অংশীদারদের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার জন্য (উত্তর কোরিয়ার) ক্ষমতা সীমিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।’
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেছিলেন যে ক্ষেপণাস্ত্রটির একটি মধ্যবর্তী পাল্লা রয়েছে। অন্যদিকে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেছিলেন যে এটি একটি মধ্যবর্তী পাল্লা বা তার বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। যদি মঙ্গলবারের উৎক্ষেপণ একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র জড়িত থাকে, তবে এটি মার্কিন ভূমিকে লক্ষ্য করে একটি অস্ত্রের পরীক্ষা হতে পারে।
২০১৭ সালের পর প্রথম ‘জে-অ্যালার্ট’-এ জাপানি কর্তৃপক্ষ উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে সতর্ক করেছিল, যখন উত্তর কোরিয়া দ্রুতগতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল। সে সময় উত্তর কোরিয়া কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে জাপানের ওপর দিয়ে দুই বার মধ্যম পাল্লার হোয়াসং-১২ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।
মঙ্গলবার উৎক্ষেপণ করা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে পতিত হয়েছে। তাই সরকার পরবর্তী নোটিশ জারি না করা পর্যন্ত হোক্কাইডো এবং আওমোরি অঞ্চলে ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়েছিল। সাপ্পোরো শহরে জাপানের উত্তরতম প্রধান দ্বীপ হোক্কাইডোর প্রিফেকচারাল রাজধানী, সাবওয়েগুলোও অস্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয়েছিল, স্টেশনগুলো সকালের যাত্রীদের দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, সর্বশেষ উৎক্ষেপণ একটি বেপরোয়া কাজ এবং আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার অন্তর্দেশীয় উত্তর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোঁড়া হয়েছিল। এটি সতর্ক করে দিয়েছে যে উত্তরের বারবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ তার আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতাকে আরও বাড়াবে এবং সিউল ও ওয়াশিংটনকে তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে প্ররোচিত করবে।
ইউন বলেন যে উত্তর কোরিয়ার ‘বেপরোয়া পারমাণবিক উস্কানি’ দক্ষিণ এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ান এবং জাপান ধারণা করছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় সাড়ে চার হাজার থেকে চার হাজার ৬শ’ কিলোমিটার সর্বোচ্চ ৯৭০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যায়।
হামাদা বলেছে যে এটি উত্তর জাপানি উপকূল থেকে প্রায় তিন হাজার ২০০ কিলোমিটার (এক হাজার ৯৯০ মাইল) দূরে প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করেছে। এ সময় জাপানি বিমান এবং জাহাজের কোনও ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া অন্য যে কোনো অস্ত্রের চেয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি অনেক বেশি দূরে উড়েছে। মঙ্গলবার উৎক্ষেপণের আগে, ২০১৭ সালে হোয়সং-১২-এর ৩৭০০-কিলোমিটার (২৩০০ মাইল) দীর্ঘ ফ্লাইটটি ছিল উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘতম। এটি পূর্বে খাড়া কোণে আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে যাতে তারা অল্প দূরত্বে উড়ে যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান তার দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানি মিত্রদের সঙ্গে তাদের উপযুক্ত এবং শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে পরামর্শ করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান উভয়ই পৃথকভাবে তাদের নিজস্ব জরুরি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বান করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্রের উড়ে যাওয়ার পাল্লায় দেখা যায় যে এটি মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামে আঘাত হানতে যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। যেখানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে যা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে অতীতের উত্তেজনার শক্তি প্রদর্শনে কোরীয় উপদ্বীপে উন্নত যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল।
২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়া তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান শত্রুতার মধ্যে গুয়ামের কাছে হোয়াসং-১২ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ‘একটি এনভেলপিং ফায়ার’ করার হুমকি দিয়েছিল।
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে বক্তৃতা দিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি মঙ্গলবার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে (এনডিসি) ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ২০২২-এর প্রধান অতিথি হিসেবে ‘সমসাময়িক জাপান: এর বৈদেশিক নীতি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন কৌশল’ বিষয় নিয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত নাওকি বিশেষ করে এশিয়ার চ্যালেঞ্জিং নিরাপত্তা পরিবেশ এবং জাপানের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতার কৌশল ব্যাখ্যা করেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
এ সময় তিনি নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার তাৎপর্যসহ বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জাপানের সম্পৃক্ততার ওপর জোর দেন।
এছাড়াও, রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য একটি ‘ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক (এফওআইপি)’এর রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সফর শেষ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
এতে ১৭টি দেশের প্রায় ৯০টি কোর্সের সদস্য বক্তৃতায় অংশ নেন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং জাপান ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।