রাশিয়া
জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট না দেয়ায় বাংলাদেশকে টিকা দেবে না লিথুয়ানিয়া
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে করোনার টিকা দেবে না লিথুয়ানিয়া। সোমবার দেশটির ন্যাশনাল রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন (এলআরটি) এ তথ্য জানিয়েছে।
লিথুয়ানিয়ান প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র রাসা জাকিলাইটিয়েনের বরাতে এলআরটি জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আনা প্রস্তাবে ভোটদানে বাংলাদেশ বিরত থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে ২ মার্চ লিথুয়ানিয়ান সরকার ঘোষণা করেছিল, তারা বাংলাদেশকে মানবিক সহায়তা’ হিসাবে চার লাখ ৪ হাজার ৬০০ ফাইজার ডোজ টিকা সরবরাহ করবে।
ইতোমধ্যে ইউক্রেন, লাটভিয়া, মলদোভা, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, তাজিকিস্তান, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামকে ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করেছে লিথুয়ানিয়া।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে ভোট দেয়া থেকে বিরত বাংলাদেশ
রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘শান্তি রক্ষার স্বার্থে’ ইউক্রেন সংকট নিয়ে একটি প্রস্তাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোটদানে বাংলাদেশ বিরত ছিল।
এর আগে বুধবার ইউক্রেনের ওপর মস্কোর আগ্রাসন বন্ধ করা এবং অবিলম্বে সব রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জরুরি অধিবেশনে উত্থাপিত প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ- ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানসহ জাতিসংঘের ৩৫টি সদস্য রাষ্ট্র ইউক্রেন ইস্যুতে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ শিরোনামের প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির সময় জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪১টি প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। আর বেলারুশ, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরিত্রিয়া এই চারটি দেশ রাশিয়ার পক্ষ নিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।
পড়ুন: পাঁচ বছর বয়সীদের করোনার টিকা শিগগিরই
কিয়েভসহ ইউক্রেনের ৪ শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদে শহর ছাড়ার সুযোগ দিতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ চারটি শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তি এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, যুদ্ধের ১২তম দিন সোমবার সকালে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। রাজধানী কিয়েভ ছাড়াও অন্য তিনটি শহর হচ্ছে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ, মারিউপোল এবং সুমি।
বিবৃতি অনুযায়ী, উল্লিখিত অঞ্চলগুলোর বাইরে যুদ্ধ বন্ধ থাকবে কি না বা কখন যুদ্ধবিরতি শেষ হবে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার ছিল না।
ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর অনুরোধে যুদ্ধবিরতি এবং করিডোর খোলার ঘোষণা করা হয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এর আগে রবিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে কথা বলেন ম্যাক্রোঁ।
যুদ্ধবিরতির ফলে বেসামরিক লোকেরা রাশিয়া এবং বেলারুশে যেতে পারেবে। এছাড়া মানবিক করিডোর খুলে দেবে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী।
পড়ুন: আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ জোরদার করেছে রাশিয়া, অভিযোগ ইউক্রেনের
এদিকে, রুশ সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের উত্তর ও দক্ষিণের শহরগুলোর আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ জোরদার করেছে বলে একজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ বলেছেন, রবিবার গভীর রাতে কিয়েভের উপকণ্ঠ উত্তরে চেরনিহিভ, দক্ষিণে মাইকোলাইভ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ব্যাপক গোলাবর্ষণ হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ভারি কামান খারকিভের আবাসিক এলাকায় আঘাত করেছে এবং গোলাবর্ষণে একটি টেলিভিশন টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের জনগণকে লড়াই অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
অপরদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আক্রমণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে বলেছেন, মস্কোর আক্রমণ বন্ধ করা যেতে পারে ‘কেবল কিয়েভ যদি শত্রুতা বন্ধ করে।
পড়ুন: দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ভেস্তে গেছে: ইউক্রেন
আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ জোরদার করেছে রাশিয়া, অভিযোগ ইউক্রেনের
রুশ সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের উত্তর ও দক্ষিণের শহরগুলোর আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ জোরদার করেছে বলে একজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ বলেছেন, রবিবার গভীর রাতে কিয়েভের উপকণ্ঠ উত্তরে চেরনিহিভ, দক্ষিণে মাইকোলাইভ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ব্যাপক গোলাবর্ষণ হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ভারি কামান খারকিভের আবাসিক এলাকায় আঘাত করেছে এবং গোলাবর্ষণে একটি টেলিভিশন টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের জনগণকে লড়াই অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
পড়ুন: দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ভেস্তে গেছে: ইউক্রেন
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আক্রমণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে বলেছেন, মস্কোর আক্রমণ বন্ধ করা যেতে পারে ‘কেবল কিয়েভ যদি শত্রুতা বন্ধ করে।
সোমবার ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযান ১২তম দিনে পৌঁছেছে। যুদ্ধের কারণে ১৫ লাখ লোক দেশ ছেড়ে প্রতিবেশি দেশে পালিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান বলেছেন ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে দ্রুততম ক্রমবর্ধমান শরণার্থী সংকট দেখা দিয়েছে।’
সোমবার রাশিয়ান ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে তৃতীয় দফা আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে চীন: ইউক্রেন যুদ্ধের আগুনে ঘি দিয়েন না
ইউক্রেনের আকাশ সীমায় ‘নো-ফ্লাই জোন’ নিয়ে পুতিনের হুঁশিয়ারি
ইউক্রেনের আকাশ সীমায় কোন দেশ ‘নো-ফ্লাই জোন‘ ঘোষণা করলে তা যুদ্ধে যোগদানের শামিল হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শনিবার রুশ টিভিতে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এই হুঁশিয়ারি করেন।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
পুতিন বলেন, কোন দেশ এই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিলে সেটা এই সশস্ত্র সংঘাতে যোগদান বলে বিবেচনা করা হবে।’
সামরিক দিক থেকে এই নো-ফ্লাই জোন হচ্ছে এমন এলাকা যেখানে হামলা চালানো বা পর্যবেক্ষণের জন্য বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।
তবে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয় সামরিক পন্থায়-এই আদেশ লঙ্ঘনকারী বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করতে হয়।
এদিকে, দেশজুড়ে নো-ফ্লাই জোন বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য ন্যাটো নেতাদের নিন্দা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি।
পড়ুন: এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরের নিষেধাজ্ঞা
বিবিসি জানিয়েছে, রাজধানী কিয়েভ থেকে দেয়া এক জ্বালাময়ী বক্তৃতায় ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেন, পশ্চিমাদের মধ্যস্থতায় অনীহা রাশিয়াকে ইউক্রেনের একের পর এক শহর ও গ্রামে বোমাবর্ষণ চালিয়ে যেতে ‘সবুজ সঙ্কেত’ দিয়েছে।
অন্যদিকে ন্যাটোর যুক্তি হলো, নো-ফ্লাই জোনের ফলে মস্কোর সঙ্গে সংঘর্ষ বাড়বে।
তবে জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ন্যাটোর এই মতের সঙ্গে একমত নন। সরাসরি পদক্ষেপ ‘ন্যাটোর বিরুদ্ধে সরাসরি রুশ আগ্রাসনকে উস্কে দিতে পারে’ বলে তিনি মনে করেন না।
জেলেনস্কি বলেন, এই যুক্তিটি ‘যারা দুর্বল ও আত্মবিশ্বাসহীন তাদের মনগড়া’। পশ্চিমাদের অবস্থানে বোঝা যায় যে তারা সব দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে ইউরোপের প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করে না’।
এর আগে শুক্রবার ন্যাটোর সেক্রেটারি-জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে বলেছেন, নো-ফ্লাই জোন প্রবর্তন ‘ইউরোপের আরও অনেক দেশকে জড়িত করতে পারে এবং অনেক বেশি দুর্ভোগের কারণ হতে পারে।’
পড়ুন: ইউক্রেনের ২ শহরে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা রাশিয়ার
এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরের নিষেধাজ্ঞা
ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর জন্য রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বড় ও ছোট সব দেশের সার্বভৌমত্ব, রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা দেখানো উচিত।
বিবৃতিতে সিঙ্গাপুর রাশিয়ার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সব ধরনের সরঞ্জাম রপ্তানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথা জানিয়েছে। সিঙ্গাপুর বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হলো রাশিয়ার যুদ্ধ করার এবং ‘সাইবার আগ্রাসনে জড়িত হওয়ার ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে যুদ্ধ: নো-ফ্লাই জোন প্রত্যাখ্যানের জন্য ন্যাটোর নিন্দা জেলেনস্কির
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ বাণিজ্যিক কেন্দ্র সিঙ্গাপুর আরও বলেছে, তাদের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চারটি রাশিয়ান ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন সীমিত করার পদক্ষেপ নেবে। এই ব্যাংক চারটি হলো- ভিটিবি ব্যাংক, ব্যাংক রশিয়া, প্রমসভিয়াজব্যাঙ্ক পাবলিক জয়েন্ট স্টক কোং এবং করপোরেশন ব্যাংক ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফরেন ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স ভেনেশেকোনমব্যাঙ্ক। এই চারটি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করলে, সেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করা হবে।
সিঙ্গাপুর আরও জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করার ব্যাপারে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ২ শহরে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা রাশিয়ার
রাশিয়ায় বিবিসিসহ একাধিক বিদেশি গণমাধ্যম নিষিদ্ধ
ইউক্রেনের ২ শহরে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা রাশিয়ার
ইউক্রেনের দুটি শহরে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে শনিবার থেকে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এপি।
শহর দুটি হলো- ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বের কৌশলগত বন্দর মারিউপোল ও পূর্বাঞ্চলের ভলনোভাখার।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বিবিসিসহ একাধিক বিদেশি গণমাধ্যম নিষিদ্ধ
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে দেশটির বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তি ও তাস জানিয়েছে, শহর দুটি থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে অপসারণ রুটের বিষয়ে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্মত হয়েছে রাশিয়া।
তবে তাৎক্ষনিকভাবে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এটি নিশ্চিত করা যায়নি এবং এ অপসারণ রুট কতদিন খোলা থাকবে তাও স্পষ্ট না।
আরও পড়ুন:পুতিনের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল চায় ইউক্রেন
রাশিয়ায় বিবিসিসহ একাধিক বিদেশি গণমাধ্যম নিষিদ্ধ
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটিতে বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর দমনমূলক ব্যবস্থা তীব্রতর করেছেন। এছাড়া দেশটিতে ‘ভুয়া’ প্রতিবেদন ছড়ানোকে অপরাধ গণ্য করে একটি আইন পাস করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার; ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি, মার্কিন গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা, রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টি, জার্মান ডয়েসে ভেলে, লাটভিয়া ভিত্তিক ওয়েবসাইট মেডুজাকে রাশিয়ায় নিষদ্ধ করা হয়েছে।
রুশ যোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোসকোমনাডজোর জানায়, তারা প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয়ের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টুইটার ও ফেসবুক বন্ধ করেছেন। এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি টুইটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তারা রুশ সরকারের নিষিদ্ধ করা আধেয় মুছে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুতিনের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল চায় ইউক্রেন
শুক্রবার বিকালে টুইটার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি রাশিয়ায় তাদের প্লাটফর্ম বন্ধের বিষয়ে জ্ঞাত রয়েছে। তবে বিষয় সেটা কি না তারা এখনও নিশ্চিত নয়।
রুশ সংসদের উভয় কক্ষে পাস হওয়া আইনে বলা হয়েছে, রুশ সামরিক বাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোর দায়ে তিন বছর পর্যন্ত সাজা বা জরিমানা এবং ‘গুরুতর পরিণতি’ রয়েছে এমন ক্ষেত্রে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।
রুশ সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভোলোডিন বলেছেন, এই ব্যবস্থা ‘যারা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে অসম্মান করে এমন বিবৃতি দিয়েছে এবং তাদের কঠোর শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য করবে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নিভল
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে তারা রাশিয়ায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। এদের মধ্যে সিএনএন ও ব্লুমবার্গও রয়েছে। এছাড়া বিবিসি রাশিয়ায় কর্মরত তাদের সাংবাদিক কাজ সাময়িক স্থগিত করেছে।
রাশিয়ান প্রকল্পে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সরকার: পররাষ্ট্র সচিব
রাশিয়ান প্রকল্পগুলোর সঙ্গে জড়িত আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, তবে এই মুহূর্তে সমস্যা হবে না বলে মনে হচ্ছে।
মাসুদ বিন মোমেন শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, তবে পরিস্থিতির ওপর সবকিছু নির্ভর করছে। ভবিষ্যতে আরও ব্যাংক (রাশিয়ান) বা সুইফট অথবা বড় কোম্পানিগুলোর ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আসলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।
ইউক্রেনে মস্কোর হামলার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-৭ দেশগুলো ইতোমধ্যে অনেক রাশিয়ান ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এদিকে, গ্লোবাল পেমেন্ট মেসেজিং নেটওয়ার্ক সুইফট, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে সাতটি রাশিয়ান ঋণদাতার সঙ্গে লেনদেন স্থগিত করতে বলেছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না জানতে চাইলে মাসুদ মোমেন বলেন, এখনও স্পষ্ট হয়নি সব কিছু। এখনও নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনগুলো কাটছে।
তিনি বলেন, পুরোপুরি প্রভাব কী হয় সেটি নিয়েও আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। বৃহস্পতিবারও আমরা সব স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে মিটিং করেছি। আগামীতে আমরা আরও কিছু মিটিং করব।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আটকে পড়া নাবিকদের রোমানিয়ায় নেয়ার চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, যে প্রকল্পগুলোতে রাশিয়ার সম্পৃক্ততা রয়েছে, সরকার সেগুলোর আমদানি ও রপ্তানিতে সম্ভাব্য প্রভাবগুলো মূল্যায়ন করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নির্ধারণ করব। এই মুহূর্তে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না মনে হচ্ছে। আগামী দিনের পরিস্থিতির ওপর সবকিছু নির্ভর করছে।’
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের একটি বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ 'বাংলার সমৃদ্ধি'-এ রকেট হামলার জন্য কে দায়ী, রাশিয়ার পক্ষ থেকে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তারা হামলায় বাংলাদেশি নাবিকের মৃত্যুর জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা দাবি করেছে যে তারা এটি করেনি।’
তিনি আরও বলেন, তবে, ‘ফগ অব ওয়ার’-এ কে কোথা থেকে কী করছে এবং কোন দিক থেকে করছে, তা নিশ্চিত করা খুবই কঠিন। তবে রাশিয়ানরা আশ্বাস দিয়েছে তারা আমাদের জানাবে, ঠিক কী হয়েছিল।
মাসুদ আরও বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’-এর ২৮ জন নাবিককে রোমানিয়ায় আনার চেষ্টা চলছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের অগ্রাধিকার এখন ভিন্ন। তারা এখন নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় বেশি ব্যস্ত। তাই আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে।’
আরও পড়ুন: আটকা পড়া ২৮ বাংলাদেশি নাবিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, প্রায় ৬০০ বাংলাদেশি নিরাপদে ইউক্রেন ছেড়ে এখন পোল্যান্ডে রয়েছে। আমাদের ধারণা মতে ইউক্রেনে আর একশ’র মতো বাংলাদেশি অবস্থান করছে।
তিনি আরও বলেন, তবে তারা অনেকেই হয়তো ইউক্রেনেই পরিবার আছে বা ইউক্রেনীয় স্ত্রী আছে। তারা হয়তো এতটা ঝুঁকিতে নেই। ঝুঁকিতে যারা ছিলেন তারা মোটামুটি সবাই বেরিয়ে গেছে।
গতকাল আমরা জেনেছি যে কিছু কিছু পকেট আছে যেখানে অল্প বিস্তর কিছু আছে ভারতীয়। সেখানে ভারতীয় দূতাবাস প্রধান যারা আছেন বা যারা সেটি সমন্বয় করছেন তাদেরও আমরা অনুরোধ করেছি যে দু’চার জন যদি বাংলাদেশি থাকেন তাদের যেন তারা সাহায্য করেন।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে এমন কিছু পকেট আছে, যেখানে অল্প বিস্তর ভারতীয় অবস্থান করছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ ইউক্রেনে ভারতীয় মিশনকে অনুরোধ করেছে যে, তারা সেখানে দুই-চারজন বাংলাদেশি থাকলে তাদের সাহায্য করার জন্য।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ সারা বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে জ্বালানির দাম দশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘তেল, গ্যাস ও জ্বালানির ওপর বিশাল চাপ পড়বে। ইউরোপের অনেক দেশেই এই মুহূর্তে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। তাই সবাই এখনও এটি নিয়ে চিন্তিত।’
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ কারও জন্যই কাঙ্খিত নয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে ভোট দেয়া থেকে বিরত বাংলাদেশ
ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নিভল
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর গোলার আঘাতে দেশটির জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে লাগা আগুন নেভানো হয়েছে। শুক্রবার দেশটির কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে। তবে রুশ বাহিনী ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে বলেও জানানো হয়।
এর আগে শুক্রবার ভোরে রুশ হামলায় জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন ধরে যায়। এটি ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এ প্লান্ট থেকে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক-চতুর্থাংশ আসে।
দেশটির এনেরহোদার শহরের মেয়র দিমিত্রো অরলভ শুক্রবার সকালে বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নেভানো হয়েছে।
ইউক্রেনের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানায়, জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লির এক নম্বর বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এর পাওয়ার ইউনিট সুরক্ষার কোনো ক্ষতি হয়নি।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বান করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অপারেশনাল কর্মীরা বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। এছাড়া ওই এলাকায় বিকিরণের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে ছিল না। তবে এ ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ হামলার পরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অন্যান্য বিশ্ব নেতা ফোনালাপ করেছেন। এছাড়া মার্কিন জ্বালানি বিভাগ সতর্কতা হিসাবে এর নিউক্লিয়ার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমকে সক্রিয় করেছে।
এর আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মুখপাত্র আন্দ্রি টুজ ইউক্রেনীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, গোলা সরাসরি জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে পড়ছিল এবং এর ছয়টি চুল্লির মধ্যে একটিতে আগুন ধরে যায়। ওই চুল্লিটি কাজ করছে না এবং সংস্কার করা হচ্ছে। তবে এর ভেতরে পারমাণবিক জ্বালানি রয়েছে।
জাপোরিঝিয়ার আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসন জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় করা পরিমাপে দেখা যায় এই অঞ্চলে বিকিরণের মাত্রা ‘অপরিবর্তিত এবং জনসংখ্যার জীবন ও স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করে না’।
এদিকে এ হামলার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান করবেন বলে জানিয়েছে তাঁর কার্যালয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার হামলায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, জনসন শুক্রবার ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। ব্রিটেন অবিলম্বে রাশিয়া ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের কাছে এ বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানান।
মধ্যরাতে একটি আবেগঘন বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি একটি বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছিলেন যা ‘সবাইকে শেষ করে দেবে। ইউরোপকে শেষ করে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘ইউরোপের জরুরি পদক্ষেপই রুশ সেনাদের থামাতে পারে। একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপর্যয় থেকে ইউরোপ ধ্বংসের অনুমতি দেবেন না।’
রাশিয়ার হামলায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর গোলার আঘাতে শুক্রবার ভোরে দেশটির জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন ধরে গেছে। এটি ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এ প্লান্ট থেকে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক-চতুর্থাংশ আসে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মুখপাত্র আন্দ্রি টুজ ইউক্রেনীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, গোলা সরাসরি জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে পড়ছিল এবং এর ছয়টি চুল্লির মধ্যে একটিতে আগুন ধরে যায়। ওই চুল্লিটি কাজ করছে না এবং সংস্কার করা হচ্ছে। তবে এর ভেতরে পারমাণবিক জ্বালানি রয়েছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমরা তাদের ভারী অস্ত্র নিক্ষেপ বন্ধের দাবি জনাই। বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরমাণু বিপদের সত্যিকারের ঝুঁকি রয়েছে।’
দমকলকর্মীদের গুলি করা হচ্ছে বলে তারা আগুন নেভাতে এর কাছে যেতে পারেছেন না বলেও জানান তিনি।
এদিকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা এক টুইট বার্তায় জানায়, ইউক্রেনীয় পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বলছে রুশ সেনাদের হামলার শিকার ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিকিরণের মাত্রার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
সংস্থাটি বলছে, তাদের মহাপরিচালক মারিয়ানো গ্রসি ইউক্রেনীয় প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিগাল ও দেশটির নিয়ন্ত্রক ও অপারেটরের সঙ্গে জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে যোগাযোগ করছেন।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, চুল্লিগুলো এখনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং বিকিরণের মাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে।