রাশিয়া
ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়া বাজার ও প্রযুক্তি পণ্য অবরোধের মুখে পড়বে
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাহী কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেন বলেছেন, ইউক্রেনে হামলা চালালে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে আর্থিক বাজার এবং উচ্চ প্রযুক্তিগত পণ্যের বাজারে মস্কোর প্রবেশাধিকার সীমিত হয়ে পড়বে।
শনিবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে উরসুলা ভন ডার লেন ইউক্রেন নিয়ে সৃষ্ট সাম্প্রতিক উত্তেজনা ও রাশিয়ার প্রতি দেয়া পশ্চিমা হুমকির পুনরাবৃত্তি করে এসব বলেন।
এর আগে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি নিশ্চিত হয়েছেন ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিবেশী দেশটিতে (ইউক্রেন) আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
ভন ডার লেন বলেন, ক্রেমলিন এখনও চাইলে বিপজ্জনক চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, রাশিয়াকে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যত দিতে পারে।
ভন ডের লেন আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী শাখা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার সঙ্গে মিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার জন্য একটি ‘শক্তিশালী ও বিস্তৃত প্যাকেজ’ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, যদি রাশিয়া হামলা চালায়, আমরা রুশ অর্থনীতির জন্য আর্থিক বাজারে প্রবেশাধিকার সীমিত করব এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করব (অবরোধ)। যাতে রাশিয়ার অর্থনীতির আধুনিকীকরণ ও বৈচিত্র্যকরণের সম্ভাবনাকে বন্ধ করে দেবে।
আরও পড়ুন: বাইডেন ‘নিশ্চিত’ পুতিন ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন
তিনি আরও বলেন, এছাড়া আমাদের প্রচুর উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য রয়েছে এবং এ ব্যাপারে আমাদের বিশ্বব্যাপী আধিপত্যও রয়েছে। এটি (প্রযুক্তি পণ্য) রাশিয়ার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় এবং সহজে তারা এর বিকল্প পাবে না।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে মঙ্গলবারের বৈঠকে তিনিও ‘স্পষ্ট করেছেন যে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন করলে, রাশিয়াকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ভূ-কৌশলগতভাবে উচ্চ মূল্য দিতে হবে।’
স্কোলজ আরও বলেন, একই সময়ে, আমি জোর দিয়ে বলেছি, আমাদের যৌথ কূটনীতি ব্যর্থ হবে না।
তবে পশ্চিমা নেতারা এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে রাশিয়ার কোন কোন বিষয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে তা নির্দিষ্ট করেনি।
এক ফরাসি কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার বাইডেন বেশ কয়েকটি মিত্রপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বলেছেন, ইউক্রেনে আক্রমণ করলে ... আমরা যে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার কথা বলছি তা শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সীমান্তে আরও ৭ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি
রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করলে তার পরিণতি ধ্বংসাত্মক হবে। আর যুদ্ধ ইউরোপে ছড়িয়ে পড়লে তা আরও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। এই যুদ্ধ বৃহত্তর পরিসরে ছড়াবে কিনা তা আংশিকভাবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার ওপর, আংশিকভাবে পশ্চিমের সামরিক প্রতিক্রিয়ার ওপর এবং আংশিকভাবে ভাগ্যের ওপর নির্ভর করবে।
মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তারা কয়েকদিন ধরে বলে আসছেন, যে রুশ আক্রমণ আসন্ন বলে মনে হচ্ছে। যদিও মঙ্গলবার প্রকাশ্যে পুতিনের সরকার পশ্চিমা বিশ্বকে নিরাপত্তা আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, ইউক্রেন সীমান্তে মহড়ার পর সেনারা তাদের নিয়মিত ঘাঁটিতে ফিরে আসবে।
এই যুদ্ধ শুধুমাত্র ইউক্রেনের জন্য নয় বরং ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে প্রতিষ্ঠিত ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং তারপরে জার্মানির পুনর্মিলন, পূর্ব ইউরোপে কমিউনিজমের পতন, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এবং ন্যাটোর সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই করবেন না। কিন্তু পুতিন যদি ইউক্রেনের সীমানা ছাড়িয়ে ন্যাটো অঞ্চলে আক্রমণ চালায়, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতে জড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ ওয়াশিংটন উত্তর আটলান্টিক চুক্তি দ্বারা তার মিত্রদের রক্ষা করতে বাধ্য। এ অঞ্চলের বেশ কিছু মার্কিন মিত্র দেশ রুশ আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হওয়ার আশঙ্কা করছে।
মঙ্গলবার বাইডেন এ বিষয়ে বলেছেন, ‘কোনো ভুল নেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পূর্ণ শক্তি দিয়ে ন্যাটো অঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করবে।’
আরও পড়ুন: নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের আহ্বান ভারতের
তিনি বলেন, ‘ন্যাটোভুক্ত একটি দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ মানে আমাদের সকলের বিরুদ্ধে আক্রমণ।’
বাইডেন আরও বলেন, ইউক্রেনের কোনো আমেরিকানকে যদি রাশিয়া লক্ষ্য করে, তাহলে আমরা এর জবাব দেব।
পুতিন ইউক্রেনের বাইরে আগ্রাসন প্রসারিত করতে পারে এমন ভুল বোঝাবুঝির ফলেও একটি খণ্ড যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। আর একবার লড়াই শুরু হলে তা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগবে না।
এমনকি যদি পুতিন আগামী দিনে পিছিয়ে যায় এবং নিজ দেশের নিরাপত্তার জন্য আলোচনার পথ অনুসরণ করেও,তবুও ইউক্রেনের সীমান্তে তার বিশাল বাহিনী গড়ে তোলার ফলে তৈরি উত্তেজনা ইউরোপের অন্য কোথাও স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন- ন্যাটোর পূর্ব ফ্রন্টে মার্কিন মিত্ররা বিশেষ করে এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়ার বাল্টিক রাজ্যগুলোতে (যেগুলো একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল) বৃহত্তর ও স্থায়ী মার্কিন সামরিক উপস্থিতির জন্য চাপ দিতে পারে৷
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে হামলা করলে চড়া মূল্য দিতে হবে, পুতিনকে বাইডেনের হুঁশিয়ারি
রুশ হামলার আশঙ্কা, ইউক্রেন থেকে দূতাবাস সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
সমস্যা কি শুধুই ইউক্রেনের?
ইউক্রেনের বর্তমান অবস্থা দৃশ্যতঃ রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে নিজের দেশকে রক্ষা করা, স্বাধীনভাবে চলার শক্তি অর্জন করা বোঝায়। ইউক্রেন সে চেষ্টাই করছে। সুখে দুঃখে আপনজনের মত আমেরিকা এগিয়ে এসেছে। ওরা বোঝাতে চাচ্ছে কূটনীতি, সামরিক হুমকি সব কিছু দিয়ে রাশিয়াকে ইউক্রেনের কাছে ঘেঁষতে দেবে না। আধুনিক অস্ত্র এবং সৈন্য ও ন্যাটো (উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট) মিত্ররা সাথে থাকবে। তারপরও ইউক্রেন কি রাশিয়াকে ঠেকাতে পারবে?
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া অস্ত্র ও সেনা মোতায়েন করেছে। চীন সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কমিউনিস্ট পন্থী। দেশের জনগণ ও বিভক্ত। শতকরা ৮০ ভাগ লোক ইউক্রেনিয়ান ভাষায় কথা বললেও রাশিয়ান ভাষা সবার জানা যা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কালচার ছিল। এখন যেকোনো মুহূর্তে বিমান হামলার মাধ্যমে যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে বলে মিডিয়া জানাচ্ছে । অপর দিকে বাইডেন ও পুতিন সংলাপের পথে এগোচ্ছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে বিজয়ী মিত্র শক্তি দুই মেরুতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। আমেরিকার নেতৃত্বে ইউরোপীয় পুঁজিবাদী দেশগুলো ন্যাটো নামীয় সামরিক জোট গঠন করে। উদ্দেশ্য জোটের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বে আধিপত্য বজায় রাখা তথা সমাজতান্ত্রিক আগ্রাসন থেকে বিশ্বকে রক্ষা করা।
অপরদিকে সমাজতান্ত্রিক আদর্শে সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোকে নিয়ে ওয়ারশ প্যাক্ট নামীয় সামরিক জোট আত্মপ্রকাশ করে। দুই সামরিক জোটের শক্তির টানাপোড়েনে বিশ্ব বার বার অস্থির হয়েছে, শান্তির বার্তা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হয়েছে। বৃহৎ শক্তিগুলো নিজেকে নিরাপদ রেখে অন্যের দুর্গে হানা দেয়ায় ব্যস্ত। এদিক দিয়ে আমেরিকা তার সীমান্ত নিরাপদ করেছে। একদিকে মেক্সিকো অন্য দিকে কানাডা।
রুশ বলশেভিক বিপ্লবের পর সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিবেশী দেশগুলোকে সোভিয়েতের অন্তর্ভুক্ত করে একটি নিরাপদ সীমান্ত বলয় সৃষ্টি করে। ভাষা, সংস্কৃতি বিভিন্ন বিষয়ে আধিপত্যবাদের সৃষ্টি হয়।
১৯৯১ এ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলে এর রিপাবলিক দেশগুলো স্বাধীন হয়ে যায়। কমিউনিস্ট ঐক্যমত ধরে রাখার জন্য সিআইএস (কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্টে স্টেট) নামীয় সংস্থার সৃষ্টি হয়। গুরুত্বপূর্ণ রিপাবলিক সমূহকে নিয়ন্ত্রণে রাখে রাশিয়ান ফেডারেশন। তার মধ্যে ইউক্রেন ছিল অন্যতম। সোভিয়েত ইউনিয়নের রিপাবলিক সমূহের মাঝে ইউক্রেন ছিল সমৃদ্ধশালী। পারমাণবিক সাইলো ও অন্যান্য স্থাপনাগুলো এখানেই অবস্থিত। সে জন্যে নিরাপদ সীমান্তের জন্য ইউক্রেনকে হাতে রাখা রাশিয়ার অতি প্রয়োজন।
অপরদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের ফল ভোগ করতে থাকে ইউরোপ ও ন্যাটো দেশগুলো। মার্কিন পণ্য বিশাল কমিউনিস্ট অঞ্চলে প্রবেশ করে। আমেরিকা বিশ্ব নেতৃত্বের একক কর্তৃত্ব লাভ করে।
ওয়ারশ জোট ভেঙে গেলে আমেরিকা এই জোট থেকে কিছু রাষ্ট্রকে ন্যাটো সদস্য হওয়ার প্রস্তাব দেয়। অনেক দেশ নুতন জীবনের আশায় পশ্চিমা সুখ ও সমৃদ্ধির লোভে জোটে যোগ দেয়। নব্য যোগ দেয়া সশস্ত্র বাহিনীর বেশির ভাগই ন্যাটো স্ট্যান্ডার্ড রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়। ফলে এসব দেশগুলোর যুদ্ধকালীন মোতায়েন কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে করা হয়। রাশিয়ান বলয় খর্ব করাই পূর্ব ইউরোপের সাবেক কমিউনিস্ট দেশগুলোকে আমেরিকা সাহায্য সহায়তা করে আসছে। ইউক্রেন সুকৌশলে ন্যাটো যোগদান এড়িয়ে যায়। এখন ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, নিরাপদ সীমান্ত, রাশিয়ান আধিপত্যবাদ থেকে মুক্তি ও বিবিধ কর্মকাণ্ডে আমেরিকা তার মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে আসছে।
রাশিয়ান ফেডারেশন নিজ সীমান্তে আমেরিকা ও তাদের মিত্রদের ঘেঁষতে দেবে না। রাশিয়ার ভূখণ্ডে লড়তে এসে অনেক দেশ পরাজিত হয়ে ফিরে গেছে।
দুটি বৃহৎ শক্তি পরস্পরের সাথে লড়বে না। তারা লড়াইটা অন্যের মাঠে লড়তে ভালো বাসেন। সম্পদ লুটের সম্ভাবনা থাকলে হয়তো আমেরিকা মিত্রদেরকে দিয়ে এ কাজটা করাবে। এর মাঝে বাইডেন পুতিনের সাথে সংলাপ বন্ধ দিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সাথে শলা পরামর্শ করছেন। রুশ বাহিনীও সীমান্তে দহরম মহরম দেখিয়ে পেছনে সরে গেছে।
দেখা যাক, সমস্যাটা কার? আমেরিকা, রাশিয়া নাকি ইউক্রেনের।
লেখক: কলামিস্ট কর্নেল (অব.) মো. শাহ জাহান মোল্লা
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি-১
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি- ২
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি-৩
ইউক্রেনে সংকট বাড়াবে না রাশিয়া: ম্যাক্রোঁ
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মঙ্গলবার বলেছেন, মস্কো ইউক্রেনে সংকট আর বাড়াবে না বলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অঙ্গীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে পেতে সময় লাগবে।
মস্কো সফর শেষে কিয়েভে ইউক্রেনের নেতার সঙ্গে বৈঠকের আগে ম্যাক্রোঁ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুতিন সঙ্কট কমানোর বিষয়ে অঙ্গীকার করেছেন।
তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মস্কো এবং প্যারিস কোনও চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে না।’
আরও পড়ুন: পুতিনের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রস্তুত শি জিনপিং
রাশিয়ার আগ্রাসনের আশঙ্কার মধ্যে মঙ্গলবার ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মস্কো ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে এক লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে। তবে ইউক্রেনে আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে মস্কো বরাবরই দাবি করে আসছে।
জেলেনস্কির সাথে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘পুতিনের সাথে সোমবার পাঁচ ঘন্টার বেশি সময় বৈঠক হয়েছে। সেখানে তিনি কোনও উত্তেজনা বাড়াবেন না বলে জানিয়েছেন। আমি মনে করি এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
ফরাসি প্রেসিডেন্টের মতে, পুতিন আরও বলেছেন যে বেলারুশে রাশিয়ার কোন স্থায়ী (সামরিক) ঘাঁটি থাকবে না, যেখানে রাশিয়া যুদ্ধের জন্য বিপুল সংখ্যক সৈন্য পাঠিয়েছিল।
পেসকভ বলেছেন, যুদ্ধের পর বেলারুশ থেকে রুশ সৈন্য প্রত্যাহার করা আমাদের পরিকল্পনাতেই ছিল।
এদিকে জেলেনস্কি বলেছেন, উত্তেজনা প্রশমনে পুতিন কোনো পদক্ষেপ নিলে তিনি স্বাগত জানাবেন। তবে কোনো মুখের কথায় নয়, জোরালো পদক্ষেপকে তিনি বিশ্বাস করেন বলে জানান।
পড়ুন: তুষারধসে চীন সীমান্তের কাছে ৭ ভারতীয় সেনার মৃত্যু
পুতিনের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রস্তুত শি জিনপিং
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভবিষ্যত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এবং ভবিষ্যতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নির্ধারণে কাজ করতে প্রস্তুত।
শুক্রবার শি বলেছেন, তিনি চীন ও রাশিয়ার মধ্যে উচ্চ-পর্যায়ের পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে এবং দুই দেশের জনগণের জন্য কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুতিনের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।
শি বলেন, বর্তমান বিশ্বে উদ্ভূত একাধিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও চীন ও রাশিয়া তাদের মূল নীতিতে অটল থেকেছে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্থিতিশীল বজায় রেখেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে প্রস্তুত চীন: শি জিনপিং
তিনি বলেন, দুই দেশ তাদের নিজ নিজ মূল স্বার্থ সমুন্নত রাখতে একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে এবং তাদের রাজনৈতিক ও কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি করেছে। তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
শি জানান, উভয় পক্ষ সক্রিয়ভাবে বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার সংস্কার ও উন্নয়নে অংশ নিয়েছে, তারা সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতা চর্চা করেছে এবং সত্যিকারের গণতান্ত্রিক চেতনা সমুন্নত করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই কঠিন সময়ে এই পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারকে সমুন্নত রেখেছে এবং আন্তর্জাতিক সমাজের সংহতিকে শক্তিশালী করেছে।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারি ইস্যুতে শি জিনপিং-পুতিন ফোনালাপ
‘কোভিড-১৯’ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণের কাজ পরিদর্শনে উহানে শি জিনপিং
বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর ঢাকা
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ২৫৮ রেকর্ড করা হয়েছে, যা বাতাসের মানকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।
রাশিয়ার ক্রেসনোয়ারস্ক ২৯০ একিউআই স্কোর নিয়ে শীর্ষস্থান এবং ভারতের দিল্লি ২৫৭ স্কোর নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ঢাকা
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: শরণখোলায় অজগর উদ্ধার, সুন্দরবনে অবমুক্ত
ভারত-রাশিয়ার মধ্যে একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরির চুক্তি স্বাক্ষর
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে পাঁচ লাখ একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল উৎপাদনের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিনের মুখোমুখি বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।
সোমবার বিকেলে দিল্লিতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গে সইগুর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর পাঁচ হাজার কোটি টাকার ব্যয়বহুল এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া, আগামী ২০২১-২০৩১ সাল পর্যন্ত দুদেশ সামরিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে একে অপরকে সহায়তা করার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক টুইটে জানিয়েছেন, ভারতের প্রতি রাশিয়ার এই সমর্থন প্রশংসার যোগ্য। আমাদের আশা এই পারস্পরিক সহযোগিতা গোটা অঞ্চলে শান্তি, স্থিতাবস্থা আনবে। স্মল আর্মস ও মিলিটার কো অপারেশনের ক্ষেত্রে একাধিক চুক্তি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সূত্রের খবর, ভারত ও রাশিয়ার যৌথ সহযোগিতায় উত্তরপ্রদেশে তৈরি হবে একে-২০৩ রাইফেল। ইন্দো-রাশিয়ান রাইফেল প্রাইভেট লিমিটেডের নামে তৈরি হবে এই অত্যাধুনিক রাইফেল। গত সপ্তাহেই ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি এই প্রজেক্টটি অনুমোদন করেছে।
প্রায় তিন দশক আগে তৈরি ইনসাসের জায়গা নেবে অত্যাধুনিক একে-২০৩। এদিকে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম যেকোনও সময় সম্পূর্ণ হতে পারে। এটাও রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের নানা হুঁশিয়ারির মধ্যেই গত প্রায় দু বছর ধরে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতাপূর্ণ মত বিনিময় শুরু হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে দুপক্ষের মধ্যে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের টার্গেটও নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলার ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকা সফরের সম্ভাবনা
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়: প্রধানমন্ত্রী
রাশিয়ায় কয়লা খনি বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৫২
রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জনে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার দেশটির জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিন সকালে সাইবেরিয়ার লিস্টভ্যাজনায়ার ওই খনিতে মোট ২৮৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। মিথেন গ্যাস বিস্ফোরণ এবং আগুনের কারণে খনিটি বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভরে গেলে বাতাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শ্রমিকেরা প্রায় ২৫০ মিটার মাটির নিচেই মারা যান।
এর কয়েক ঘণ্টা পরে উদ্ধারকারীরা প্রথমে ১৪টি লাশ খুঁজে পান। কিন্তু আগুন থেকে মিথেন ও কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস বেড়ে গেলে নিখোঁজ বাকি ৩৮ জনের অনুসন্ধান থামাতে বাধ্য হন তারা। পরবর্তীতে আরও ২৩৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস এবং আরআইএ-নভোস্তি জরুরি উদ্ধার কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম সাইবেরিয়ার কেমেরোভো অঞ্চলের লিস্টভ্যাজনায়া খনিতে আর কোনো জীবিত ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি আঞ্চলিক প্রশাসনের একজন প্রতিনিধিকে উদ্ধৃত করেছে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৫২, তারা কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় মারা গেছে।
২০১০ সালের পর রাশিয়ায় সবচেয়ে বড় খনি দুর্ঘটনা এটি। সে বিস্ফোরণে এই অঞ্চলের রাস্পাদস্কায়া খনিতে বিস্ফোরণে ৯১ জন নিহত হয়েছিল। পরের দিন খনির একটি সরু অংশে আটকে পড়া শ্রমিকদের সন্ধান করতে গিয়ে ছয়জন উদ্ধারকর্মীও মারা যান।
বৃহস্পতিবারের এই দুর্ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন দেশটির স্থানীয় সরকার।
রাশিয়ার সহকারী প্রসিকিউটর জেনারেল দিমিত্রি দেমেশিন সাংবাদিকদের বলেছেন, সম্ভবত একটি স্ফুলিঙ্গের কারণে মিথেন বিস্ফোরণ ও আগুন লেগেছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের সব ধরণের সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইংলিশ চ্যানেলে অভিবাসী প্রত্যাশীদের নৌকাডুবি, নিহত ৩১
আগামী মার্চের মধ্যে ইউরোপে করোনায় আরও ৭ লাখ মানুষ মারা যাবে: ডব্লিউএইচও
রাশিয়ায় বৃত্তিপ্রাপ্তদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকায় বিদায় সভা
রুশ ফেডারেশন সরকার প্রদত্ত বৃত্তিপ্রাপ্ত রুশ ফেডারেশনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ২০২০-২০২১ সালে নির্বাচিত সকল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী বিদায়ী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার রাশিয়ান হাউসে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের পরিচালক ম্যাক্সিম দোব্রোখোতোভ উচ্চ শিক্ষার গন্তব্য হিসেবে রাশিয়াকে বেছে নেয়ার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঠিক সিদ্ধান্তের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা চালু হচ্ছে রাজশাহীতে
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ অপেক্ষার পরে তারা অবশেষে রাশিয়ায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে। তাদের সবার জন্য তার শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে সোভিয়েত/রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পাঁচ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি স্নাতক দেশে ও বিদেশে মর্যাদাপূর্ণ এবং ভালো বেতনের চাকরি পেয়েছেন যারা এখন উচ্চ খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।’
এ সময় সভায় বলা হয়, মহামারির করোনা কারণে প্রায় অনেক দিন লকডাউন ছিল।
বৈঠকে বাংলাদেশস্থ রুশ ফেডারেশনের দূতাবাসের মিনিস্টার-কাউন্সেলর মিসেস একাতেরিনা এ. সেমেনোভা এবং সেকেন্ড সেক্রেটারি মিখাইল ভি. কাত্সুরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
এর মধ্যে রাশিয়ায় অধ্যয়নরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রাশিয়ায় তাদের থাকার বাস্তব অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত প্রক্রিয়া সম্পর্কিত কিছু দিক সম্পর্কেও কথা বলেন।
দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার রাশিয়ার রোসাটম স্টেট আণবিক শক্তি করপোরেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) অ্যালেক্সি লিখাচেভ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ সহয়তা চান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন হলে আমরা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি নির্মাণ করবো। এই জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে আমাদের নিরবিচ্ছিন্ন সহায়তা প্রয়োজন।’
এই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ব্রিফ করেন। বাংলাদেশের শক্তি খাতে রাশিয়া সহযোগিতা করতে চায় বলে জানিয়েছেন রোসাটম মহাপরিচালক।
শেখ হাসিনা জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এটি রাশিয়ার সহযোগিতা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সময় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যথাযথ নিরাপত্তার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে রোসাটম মহাপরিচালককে অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘুরে দেখালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতা বৃদ্ধি করার জন্য রাশিয়ার প্রশংসা করেন তিনি।
করোনার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে সব দিক দিয়েই করোনা মহামারি কিছুটা কমেছে এবং বাংলাদেশ এ থেকে রিকভার করছে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে রুশ ফেডারেশনের সাহায্য ও সহযোগিতা কৃতজ্ঞার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।