বাজেট
সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন বুধবার (৩১ মে) বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয়েছে।
সংসদের এ অধিবেশনে বৃহস্পতিবার (১ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হবে। বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
আরও পড়ুন: ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহের সুপারিশ জাতীয় সংসদের
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৭২(১) অনুচ্ছেদ দ্বারা তাকে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে সংসদের ২৩তম অধিবেশন (বাজেট অধিবেশন) আহ্বান করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে।
যা পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ৭৫ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা (২৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ)।
মূল এডিপি বরাদ্দের মধ্যে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা স্থানীয় উৎস থেকে এবং ৯৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া হবে।
২০২২ সালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন।
আরও পড়ুন: সংসদের ২৩তম অধিবেশনের জন্য ৫ সদস্যের প্যানেল চেয়ারম্যান মনোনীত
মন্ত্রণালয়ে ক্রয় ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
৭৫ হাজার কোটি টাকার কম রাজস্বে বাড়বে বাজেট ঘাটতি: সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে যে চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) রাজস্ব ঘাটতি প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা হবে, যার ফলে বাজেট ঘাটতি আরও বাড়বে।
এতে বলা হয়েছে, ‘সরকার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৫৪ হাজার ৫০১ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বেড়ে ৭৫ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা হয়েছে, এটি সামষ্টিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
সিপিডি ইঙ্গিত দিয়েছে যে সরকার দেশীয় উৎস (ব্যাংক) থেকে ঋণ গ্রহণ করলে অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতিমূলক ব্যবস্থা তৈরি হবে। বরং এটি পরামর্শ দেয় যে সরকারের উচিত বিদেশি অর্থায়নে বাজেটের সহায়তা জোগাড় করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
শনিবার ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ফাহমিদা খাতুন বাংলাদেশের অর্থনীতির থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন, এটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের তৃতীয় পর্যালোচনা।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সিপিডি জানিয়েছে, বিপিসি’র গত সাত বছরে অর্থবছর ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট মুনাফা ছিল প্রায় ৪৩ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। আয়কর হিসাবে সাত হাজার ৭২৭ কোটি টাকা দেওয়ার পরে বিপিসির নিট মুনাফা ছিল ৩৬ হাজার ৭৪ কোটি টাকা।
এতে বলা হয়েছে, একচেটিয়া ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় দেশের নাগরিকদের জরিমানা করে ক্ষতিপূরণ লাভ করা ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না।
থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সরকারকে মধ্যপ্রাচ্যের পরিবর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে, যেখানে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসী কাজ করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী বছরের বাজেটের আগে মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব ঘাটতি ও ডলার সংকট অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
থিঙ্ক ট্যাঙ্কটি বলেছে যে ২০২১-২২ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সৌদি আরব থেকে দেশে প্রায় তিন দশমিক ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, কিন্তু চলতি অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স কমে তিন দশমিক ০৪ বিলিয়ন হয়েছে।
সিপিডি সন্দেহ করছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্সের আকস্মিক বৃদ্ধির কারণে বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিংয়ের বিভিন্ন আকারে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় পাঠানো চোরাচালানকৃত অর্থের পুনর্ব্যবহার হচ্ছে।
এটি দাম কমানোর জন্য সাময়িকভাবে স্বস্তি হিসাবে সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক কমানোর পরামর্শ দিয়েছে। সেক্ষেত্রে বাজার মনিটরিংও প্রয়োজন।
সিপিডির দৃষ্টিতে দরিদ্রদের সরাসরি সহায়তার সুযোগ বাড়ানো দরকার। সঠিক মানুষ পাচ্ছে কিনা তাও নিশ্চিত করতে হবে।
এটি উল্লেখ করেছে, রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার ইতিবাচক নয় এবং লক্ষ্যমাত্রার কম হচ্ছে। মে ও জুন মাসে (চলতি অর্থবছরের শেষ দুই মাস) তা ৪১ শতাংশ বাড়াতে হবে, যা খুবই কঠিন।
বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক ডা. মুস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আসন্ন বাজেটে ওয়াশ খাতের বরাদ্দে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান
নির্বাচনী বছরের বাজেটের আগে মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব ঘাটতি ও ডলার সংকট অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের প্রস্তুতিকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের সঙ্গে নির্বাচনী বছরে প্রত্যাশার ভারসাম্য রাখতে হবে এবং মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট এবং রাজস্ব ঘাটতি মোকাবিলা করতে হবে।
এক্ষেত্রে জনসন্তুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখা এবং অর্থনীতি রক্ষা করা একটি প্রধান বিষয়।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, অতীতে দেখা গেছে নির্বাচনী বছরের বাজেটে প্রায়ই অর্থনীতির উন্নতির চেয়ে, জনগণের সন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) একজন বিশিষ্ট ফেলো এবং সামষ্টিক অর্থনীতিবিদ ওজননীতি বিশ্লেষক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, এবার সন্তোষজনক বাজেট পেশ করার সুযোগ খুবই সীমিত।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সব সরকারই জনগণকে সন্তুষ্ট করে এমন বাজেট দিতে চায়। কিন্তু আর্থিক পরিস্থিতি, রাজস্ব ঘাটতি ও বাণিজ্য ঘাটতির কারণে সরকারের জন্য সেই সুযোগ খুবই সীমিত। যদি এ বিষয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়াও হয়, তা সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে দুটি সরকার এই বাজেট বাস্তবায়ন করবে। এই বাজেটে নমনীয়তাও রক্ষা করতে হবে। কারণ, সরকার যদি বড় কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে তারা কতটা বাস্তবায়ন করতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ৩১ মে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ১ জুন পেশ করা হবে
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১ জুন সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সোমবার মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তাওহিদুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সোমবার অর্থ বিভাগ প্রাসঙ্গিক দাপ্তরিক নথির অনুমোদন পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃদ্ধাশ্রমে ইফতার কর্মসূচির বাজেটে দান করবে বিজিএমইএ
তিনি বলেন, নথিতে বাজেটের দিনের দায়িত্বগুলোও সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যাতে প্রত্যেকে তাদের নিজ নিজ কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে পারে।
ঈদুল আজহার ছুটির আগেই আগামী জাতীয় বাজেট শেষ করতে রাজি সরকার।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৭ দশমিক ৫ লাখ কোটি টাকা, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেটের পরিমাণ।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ ১১ মে ২ দশমিক ৭৪ লাখ কোটি টাকার নতুন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী বাজেট ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে খুশি করবে: অর্থমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতি বাজেটেই অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে: মেয়র তাপস
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে: ইসি
নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আংশিকভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।
শনিবার শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে জাতীয় পরিচয় পত্র (স্মার্ট কার্ড) প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কমিশনার বলেন, বাজেট সংকটের কারণে আগামী নির্বাচনে সব আসনে ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ‘কিছু নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম আংশিকভাবে ব্যবহার করা হবে এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট নেয়া হবে।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এমন প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে প্রস্তাব পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব না: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
তিনি বলেন, বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এর আগের মতো সমালোচনা হকবে না।
কমিশনার আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের কোনও সুযোগ নেই।
ফরিপুর বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান, পুলিশ সুপার সাইফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
চলতি অর্থবছরে বাজেটের প্রথম ত্রৈমাসিক কর্মক্ষমতা সন্তোষজনক: অর্থমন্ত্রী
চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব সংগ্রহ, রেমিট্যান্স, রপ্তানি বৃদ্ধি, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ব্যয় এবং অর্থ সরবরাহসহ মৌলিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোর অবস্থান সন্তোষজনক ছিল।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ২০২২-২৩ বাজেট বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে সংসদে পেশ করা এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় হয়েছে, আমদানি-রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে এবং এর ফলে বর্তমান বাজেটে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব বলে আশা করছি।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ যা গত অর্থবছরে ছিল ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।
২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে সরকারি ব্যয় ছিল ১১ দশমিক ৯০ শতাংশের বিপরীতে ১১ দশমিক ১৪ শতাংশ, যেখানে এডিপির বাস্তবায়নের হার ছিল আট দশমিক ২৬ শতাংশের বিপরীতে আট দশমিক ৫৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারিতে পাওয়া যাবে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে চলতি হিসাবের স্থিতি ঘাটতি ছিল যা ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর-এ রিজার্ভে ৩৬ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে আসে যা ২০২১ সালের একই সময়ে ছিল ৪৬ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধি ছিল চার দশমিক ৮৯ শতাংশ যা আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির হার ছিল ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশের বিপরীতে ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির ইতিবাচক প্রবণতা আমাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনশীল ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, আমদানি ব্যয় (সিঅ্যান্ডএফ) বেড়েছে ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সময়কালের পর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্বাভাবিককরণ এবং মধ্যস্থতাকারী ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির ফলে আমদানি ব্যয় ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিলাসবহুল আইটেম এড়িয়ে চলা এবং সরকারের কঠোরতা প্রয়োগের কারণে আমদানি ব্যয় হ্রাস পেয়েছে।’
২০২২ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে এলসি খোলার পরিমাণ ছিল ১৮ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চার দশমিক ৫৭ শতাংশ কম।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে পাঁচ দশমিক ৫০ শতাংশ ছিল যেখানে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এটি ছয় দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মুদ্রাস্ফীতি ছিল পাঁচ দশমিক ৫৯ শতাংশ, যেখানে ২০২২ সালে তা বেড়ে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিকে অসামান্য বলেছে আইএমএফ: অর্থমন্ত্রী
বাজেট ঘাটতি প্রসঙ্গে মোস্তফা কামাল বলেন, প্রাক্কলিত ঘাটতি জিডিপির পাঁচ দশমিক ৫১ শতাংশ। ঘাটতি অর্থায়নের জন্য দুই দশমিক ২২ শতাংশ সিল আসে বাহ্যিক উৎস থেকে এবং তিন দশমিক ২৯ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে প্রশমিত হবে।
তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতির চাপ সামলাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম ও খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাচারকৃত অর্থ দেশে আনার আইনি প্রক্রিয়া চলছে: অর্থমন্ত্রী
২৫ অর্থবছরের মধ্যে বাজেট ঘাটতি ৫% এর মধ্যে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য সরকারের
সরকার বর্তমান ৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে বাজেট ঘাটতিকে জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে ফিরিয়ে আনবে।
একটি সরকারি বাজেট নথি অনুসারে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি ৫ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
২০২১-২০২২ অর্থবছরে সংশোধিত ঘাটতি ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।
কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাবের আগে বর্তমান ঘাটতি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল: ১৫ অর্থবছর থেকে ১৯ অর্থবছর পর্যন্ত ঘাটতি গড় জিডিপির ৩ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল।
নথি অনুযায়ী, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের জিডিপির আকার ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা।
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য এটি ৪৯ লাখ ৯১ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা হবে এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৫৬ লাখ ৬ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা।
নথিতে বলা হয়েছে, বাজেট ঘাটতি কমাতে সরকার অভ্যন্তরীণ সম্পদের ওপর নির্ভর করবে।
চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ আসবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে এবং জিডিপির ২ দশমিক ৪ শতাংশ আসবে ব্যাংকিং খাত থেকে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পাস
নথি অনুযায়ী, বহিরাগত অর্থায়ন চলমান অর্থবছরে জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ২ শতাংশ অবদান রাখবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপির ২ দশমিক ৯ শতাংশ আসবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে এবং জিডিপির ২ দশমিক ৩ শতাংশ আসবে ব্যাংকিং খাত থেকে।
বাহ্যিক অর্থায়ন চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ২ শতাংশ অবদান রাখবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপির ২ দশমিক ৮ শতাংশ আসবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে এবং ২ দশমিক ৩ শতাংশ আসবে ব্যাংকিং খাত থেকে।
নথি অনুসারে, বাহ্যিক অর্থায়ন চলমান অর্থবছরে জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ অবদান রাখবে।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, তখন নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় বিশ্ব আরেকটি ধাক্কা খায়।
নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে একটি সম্ভাব্য বিশাল বৈশ্বিক সরবরাহ-সাইড শক প্রবৃদ্ধি হ্রাস করতে পারে এবং মুদ্রাস্ফীতিকে ধাক্কা দিতে পারে, যা কোভিড-১৯-পরবর্তী পুনরুদ্ধারকে প্রভাবিত করবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং পরবর্তীতে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
নথিতে বলা হয়েছে যে রাশিয়া বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ শক্তি সরবরাহ করে, যার মধ্যে ১৭ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ১২ শতাংশ তেল রয়েছে।
তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি শিল্পের খরচ বাড়াবে এবং ভোক্তাদের প্রকৃত আয় হ্রাস করবে।
বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশে রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি বর্তমানে স্পষ্ট।
দেশে ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ২১ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। বাণিজ্য অংশীদারদের মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ২২ অর্থবছরের জন্য মুদ্রাস্ফীতির অনুমান সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২৩ অর্থবছরের জন্য ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
অন্যদিকে, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২২ মার্চ ৬ দশমিক ২৯ শতাংশে উন্নীত হচ্ছে, যা আগের বছর ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ ছিল।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
বাজেটের মধ্যে ঢাকার সেরা ১০টি বুফে রেস্টুরেন্ট
বাঙালি শব্দটির সাথে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর তা যদি হয় বুফে, তাহলে তো কথাই নেই! পশ্চিমা খাবার প্রথা থেকে শুরু হলেও বুফে এখন বাংলাদেশিদের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানী জুড়ে পুরনো নামকরা রেস্টুরেন্টগুলোর পাশাপাশি নতুন অনেক ক্যাফে চালু হচ্ছে এই বুফেকে কেন্দ্র করে। শুধু তাই নয়, নানা উপলক্ষ ছাড়াও কম খরচে বুফে খাওয়ার সুবিধা দিচ্ছে রসনা নির্ভর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন বাজেটের মধ্যে ঢাকার সেরা বুফে রেস্টুরেন্টগুলোতে সময় কাটানো মানেই আনলিমিটেড পেটপূর্তি। চলুন, সেই রেস্টুরেন্টগুলোর সেরা বুফে ডিল নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
ঢাকার সেরা ১০টি বাজেট বুফে রেস্টুরেন্ট
বুফে স্টোরিস (ধানমন্ডি, মিরপুর, গুলশান)
খাবারের স্বর্গ ধানমন্ডির বাজেট বুফের মধ্যে এই রেস্টুরেন্টটি অন্যতম। ধানমন্ডি-২ নাম্বার রোড এবং মিরপুর-১১ এর দুই শাখাতেই বেশ সাশ্রয়ী এবং পুষিয়ে নেয়ার মত মূল্যের বুফে পরিবেশন করা হয়। এদের ৬০০ টাকার ৬৫টি আইটেমের প্যাকেজটিতে আলাদা করে ভ্যাটসহ অন্যান্য খরচের কথা ভাবতে হবে না। আর খাবারের কোয়ালিটিতে যে কোন ভোজন রসিক অনুভব করবেন, যে তিনি সঠিক মূল্যের খাবারটিই নির্বাচন করেছেন। সবচেয়ে চমৎকার বিষয়টি হল যে, তারা রেগুলার পানির পাশাপাশি পছন্দনীয় একটি কোমল পানীয় দেয়। দেশি থেকে চাইনিজ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের খাবারের পাশাপাশি থাকে মিষ্টান্ন আইটেমের দারুণ সমারোহ।
গরুর মাংসের রেজালা এবং লাইভ কাবাব স্টেশন থেকে খাবার মেনুর দুটি প্রধান আকর্ষণ। যে কোন স্পট রিজার্ভ করার জন্য আগে থেকে কল করে যাওয়া উত্তম। কারণ যে কোন দিনেই রেস্তোরাঁটি খুব দ্রুত লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। সমস্যা হিসেবে শুধু এই ভিড়টাকেই বিবেচনা করা যেতে পারে। এছাড়া জায়গা বা খাবার নিয়ে কোনও উল্লেখযোগ্য অসুবিধা নেই। যেকোন ব্যক্তিগত বা কর্পোরেট ইভেন্টের জন্য ভেন্যু বুক করার জন্য উপযুক্ত একটি জায়গা বুফে স্টোরিস।
পড়ুন: গ্রীন কফি: উপকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও বানানোর নিয়ম
প্রিমিয়াম লাউঞ্জ, মিরপুর
প্রিয়জনদের সাথে একটি সুন্দর বুফে লাঞ্চ বা ডিনারের জন্য যে কেউ মিরপুরে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টটিতে দারুণ একটি স্পট লুফে নিতে চাইবে। লাঞ্চের জন্য ৬৫-এর বেশি আইটেম এবং রাতের খাবারের জন্য ৭৫-এর বেশি আইটেম সহ বুফের সাশ্রয়ী দামগুলো দেখে আশ্চর্য হতে হয়। খাবারের কোয়ালিটি নিয়ে যেখানে কোন আপোস করা হয়নি, এরপরও আরামদায়ক ইন্টেরিয়র; সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে চাহিদা থেকেও বেশি কিছু। লাঞ্চের বুফের জন্য ৫৯০ টাকা এবং ডিনার বুফের জন্য ৬৯০ টাকা; আর যাবতীয় চার্জ এর ভেতরেই।
প্যাকেজে মিলবে ভাজা ভাত, বিরিয়ানি, নান, মুরগি, গরুর মাংস সহ আরো কিছু। তবে তাদের মিষ্টান্নের ভান্ডারটি নজর কাড়ার মত। রেড ভেলভেট কেক, ট্রাইফেল পুডিং, চকোলেট ইক্লেয়ার-এর স্বাদ একবার নেয়ার পর আবার সেখানে ফিরে যেতে মন চাইবে।
রেডরেস, শ্যামলী
শ্যামলীর রিং রোডের এই রেস্টুরেন্টটি যে কোন ছুটির দিনে বন্ধু-বান্ধব বা পরিবার নিয়ে সময় কাটানোর মত দারুণ জায়গা হতে পারে। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে আশেপাশের অঞ্চলগুলো থেকে যে কেউ অনায়াসেই এখানে নিজের জায়গাটি বেছে নেন। ছুটি বা সপ্তাহান্তের কথা বিশেষ ভাবে বলার কারণ হচ্ছে শুধুমাত্র এই সময়গুলোতেই এখানে ৫০০ টাকায় বুফে পরিবেশন করা হয়।
পড়ুন: লাল চাল: কেন খাবেন এবং কারা এড়িয়ে চলবেন?
এই রেস্তোরাঁয় তাদের মেনুতে আনলিমিটেড চাইনিজ খাবার রয়েছে। আইটেমের মধ্যে আছে স্প্রিং রোলস, বিশেষ ফিরনি, মিষ্টি, টক চিকেন, গ্রিলড চিকেন, এবং ভাত। গরম খাবারগুলোর মধ্যে বিশেষ করে ঘন থাই স্যুপ দুর্দান্ত। অন্যান্য স্ন্যাক্স আইটেমের মধ্যে আনলিমিটেড পিৎজার কোন তুলনা হয় না। প্রচন্ড ভিড় সামলাতে না চাইলে আগে থেকেই কল দিয়ে পছন্দ মত জায়গা রিজার্ভ করে নিতে হবে।
ওয়াটার গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, বনশ্রী
দক্ষিণ বনশ্রীর বাগানবাড়িতে এই পার্টি সেন্টারটি প্রবেশমুখেই দর্শনার্থীদের স্বাগত জানায় নয়নাভিরাম কৃত্রিম ঝর্ণার দৃশ্য দেখিয়ে। একদম মুল অংশে দেয়ালে ফ্রেমে বাধা পেইন্টিংগুলো পুরো ইন্টেরিয়রে দিয়েছে নিপুন শৈল্পিকতার ছোয়া। সিড়ি বেয়ে রুফটপে উঠে গেলে একটু ভীড়মি খেতে হবে। মনে হবে অত্যাধুনিক শহর ছেড়ে যেন সবুজ অকৃত্রিম এক জগতে প্রবেশ করা হলো। ছোট ছোট টবের গাছের পাশে বাঁশে গড়া প্রতিটি বসার জায়গা।
খাবারের বিষয়ে বলতে গেলে ৬০-এর বেশি আইটেম নিয়ে এদের বুফে বেশ মান সম্মত। ৬৯৯ টাকার মধ্যে বিশাল প্যাকেজে আছে ফ্রাইড রাইস, চিকেন চিলি অনিয়ন, চাইনিজ সবজি, রোস্টেড তন্দুরি চিকেন, সেদ্ধ মাশরুম, ভাজা সবজি, ডিপ ফ্রাই পেঁয়াজ, ফ্রাইড চিকেন, গরুর মাংস সিজলিং, বিভিন্ন ধরনের কারি এবং মিক্সড সালাদ।
পড়ুন: জবা ফুলের চা: গুণাগুণ, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও বানানোর পদ্ধতি
বাফেট প্যালেস, মিরপুর, মোহাম্মদপুর
প্লাস্টিকের হলেও ফুল-পাতা ও অপূর্ব আলোকসজ্জার মাঝে বসে খেতে কার না ভালো লাগে। বুফের এই প্রাসাদটি সেই ভালো লাগার পুরোটাই পুরন করবে থাই, চাইনীজ, ভারতীয় ও বাঙালী খাবারের পরিমিত মেলবন্ধন দিয়ে। এদের আনলিমিটেড মাটন কাচ্চি সহ ৭৫-এর অধিক আইটেমের বুফের মূল্য ৬৫০/= টাকা। তবে শুধুমাত্র মোহাম্মদপুর শাখায় ৫৯৯ টাকায় পরিবেশ করা হচ্ছে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবারে। ৩ থেকে ৬ বছরের বাচ্চাদের জন্য অর্ধেক মূল্য।
সাধারণ বুফের আইটেম তো আছেই, তবে এদের বিশেষত্ব হচ্ছে মাটন কাচ্চি, চিকেন দম বিরিয়ানি, রুটি রশমালাই ও দোই ফুসকা। আনলিমিটেড কোমল পানীয়র সাথে থাই ও চাইনিজ আইটেমগুলোও এদের অতিথিদের ভালো লাগাটা ধরে রেখেছে।
জেড কিচেন, বসুন্ধরা
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা নতুন এই রেস্তোরাঁটি ইতোমধ্যেই স্থানীয়দের কাছে প্রিয় খাবারের জায়গায় পরিণত হয়েছে। বসুন্ধরার মত অভিজাত এলাকাতে এই কিচেনে ৬০-এর বেশি আইটেমের লাঞ্চ বুফের দাম ৬০০ টাকা। রাতে ৭০-এর বেশি আইটেমের জন্য বুফের দাম পড়বে ৭০০ টাকা। সাথে কোমল পানীয় যত খুশি তত নেয়া যাবে। ৭ বছরের ছোট বাচ্চাদের জন্য এখানে ৫০ শতাংশ এবং স্টুডেন্ট আইডি কার্ডধারীদের জন্য ১০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ছিমছাম এই রেস্টুরেন্টটি ১০০-এর বেশি অতিথিদের বসার জায়গা দিতে সক্ষম।
পড়ুন: কঠোর ডায়েটের স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ জেনে নিন
সালাদ লাভার্স, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল
জনপ্রিয় শপিং মল বসুন্ধরায় অবস্থিত এই ফুড কোর্টটি খাবার পরিবেশন করে বুফে মাধ্যমে। দাম নির্ধারণের বিষয়টিও অভিনব। বিভিন্ন আইটেম একটি বক্সে একসাথে করার পর বক্সটির ওজন করা হয়। তারপর প্রতি গ্রাম ৯৩ পয়সা ধরে ঠিক করা হয় বুফের আসল মূল্য। অল্প খরচে বেশি আইটেমের জায়গাগুলোতে আসলে অনেকেই পেটপূর্তি করে খেতে পারেন না। অল্প একটু খাওয়ার পরেই খাওয়ার শক্তি একদম ফুরিয়ে যায়। তাদের জন্য এই সালাদ লাভার্সটি সেরা জায়গা হতে পারে।
সালাদ নাম হলেও এখানে যে শুধু সালাদ আইটেম আছে তা নয়। ফ্রাইড রাইস থেকে শুরু করে গার্লিক মাশরুম, ভেজিটেবল, স্ফ্যাগেটি, চিকেন, পাস্তা; বলতে গেলে পূর্নাঙ্গ বুফের প্রায় সবি আছে। আর আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এই বুফেটি নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর।
রয়াল ক্যুসিন, উত্তরা
উত্তরা রাজলক্ষীতে অবস্তিত এই ক্যুসিনটি নামের মতই রাজকীয়। বিভিন্ন উপলক্ষের দিনগুলোতে আলবত পাল্টে যায় পুরো রেস্টুরেন্টের চেহারা। অভিজাত ইন্টেরিয়র ঘুরে বেড়ানোর পর বুফে নেয়ার সময় এর দামটা চমকে দিতে পারে। ৮৫-এর বেশি আইটেমের বুফে লাঞ্চ ৭০০ টাকা এবং ৮৫-এর বেশি আইটেমের বুফে ডিনার ৮০০ টাকা। এমন প্রাসাদতূল্য জায়গার তুলনায় দামটা একটু কমই বলা যায়।
পড়ুন: রন্ধন পাঠশালা: ঢাকায় কোথায় রান্না শেখার কোর্স করতে পারবেন?
তাছাড়া তালিকায় বাহারি আইটেমের বাহুল্যের সাথে খুব বেশি পেটুকরাও পাল্লা দিতে পারবেন না। তবে চেখে দেখার সময় অতিথিরা টের পাবেন যে, মানের দিক থেকে এগুলোতে কোন কার্পণ্য করা হয়নি। অন্য সব ঐতিহ্যবাহী বুফে আইটেমের মধ্যে এখানে চোখে পড়বে দেশ-বিদেশের সালাদ, মাছসহ বিভিন্ন সবজি। রুফটপে খেতে খেতে প্লেনের উঠা নামা উপভোগ করার জন্যও রয়াল ক্যুসিন উপযুক্ত একটি জায়গা।
ফুডল্যান্ড ক্যাফে, ওয়ারী
পরিবারের ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে দারুণ কিছু সময় কাটানোর জন্য এই রেস্টুরেন্টটি সেরা একটি নির্বাচন হতে পারে। মনোরম ইন্টেরিয়রের পাশাপাশি প্রতিটি আরামদায়ক বসার জায়গা অতিথিদের অনেকটা নিজের ঘরের মত অনুভূতি দেয়। আর এর সাথে যুক্ত হয় এদের সাশ্রয়ী মূল্যের বুফে। ৪০-এর অধিক আইটেমের জন্য লাঞ্চ বুফের খরচ ৬০০ টাকা, যা রাতের বেলা হয়ে যাবে ৭০০ টাকা।
আইটেমগুলোর মধ্যে ঘন থাই স্যুপটি আলাদাভাবে নজর কাড়বে। এছাড়া ফ্রাইড রাইস, চিকেন, চাইনিজ, সবজির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মিক্সড সালাদে পুরো খরচটা বেশ ভালো ভাবেই উশুল হবে। আর সাথে রঙ-বেরঙের মিষ্টান্ন তো আছেই।
পড়ুন: মধু কি সত্যি অমৃত?
আইরিশ স্কাই লাউঞ্জ, খিলগাঁও
খাবারের থেকে যারা আশেপাশের সৌন্দর্যটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তাদের জন্য এই রেস্টুরেন্টটি সঠিক জায়গা। রুফটপ রেস্টুরেন্ট হলেও খুব বেশি উপরে যে ঠিক তা নয়। চার তলায় অর্ধেক অংশ রুফটপ করে যথেষ্ট সুন্দর করে সাজানো হয়েছে খাবারের জায়গাটি। খিলগাঁওয়ের কেএফসি বিল্ডিং-এর সামনের এলাকাটি মোটামুটি একটু খোলামেলা হওয়ায় চার তলাতেই বেশ দারুণ স্কাই ভিউ পাওয়া যায়।
৪০-এর বেশি আইটেম সহ এদের বুফে প্যাকেজ ৫৬০ টাকা। সাথের পানীয়গুলোর জন্য অবশ্য আলাদা ভাবে খরচ করতে হয়। ফ্রাইড রাইস থেকে শুরু করে খাবারের শেষে মিষ্টান্ন সহ সবকিছুতেই পরিপূর্ণ বুফে। কিন্তু মানের দিক থেকে খাবারগুলো রেস্টুরেন্টটির সৌন্দর্য্যের সমকক্ষ হতে পারেনি। তাছাড়া এদের ফার্স্ট পেমেন্ট সিস্টেমটি নিয়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে বেশ মেলানো-মেশানো প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
শেষাংশ
ভোজন রসিক বাঙালির রেস্টুরেন্টমুখী হওয়ার সাথে সাথে বাড়ছে বাজেটের মধ্যে ঢাকার সেরা বুফে রেস্টুরেন্ট-এর সংখ্যাও। নান্দনিক ডিজাইন ও আরামদায়ক পরিবেশের কারণে কর্মজীবী মানুষদের প্রিয় জায়গায় পরিণত হচ্ছে ক্যাফেগুলো। এছাড়া সময়ের সাথে কর্মব্যস্ততা বৃদ্ধির গতি আরো দ্রুততর হওয়ায় রেস্তোরাগুলোর উপর আরো নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে সাধারণত মানুষ। এরই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রসনা নির্ভর ব্যবসার প্রসার। বর্তমান যুগে রন্ধন শিল্প বেশ সম্মানজনক এবং চাহিদাসম্পন্ন পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। তাই এ ধরনের খাবারের ব্যবসার প্রসিদ্ধি দেশ জুড়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির নির্ণায়ক।
পড়ুন: অপরাজিতা ফুলের নীল চা: জাদুকরী স্বাস্থ্যগুণ, বানানোর পদ্ধতি
‘দিন: দ্য ডে’ এর বাজেট নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন অনন্ত জলিল
কোরবানি ঈদে মুক্তি পাওয়া অনন্ত জলিল অভিনীত 'দিন: দ্য ডে' নিয়ে বিতর্কের জল সিনেমার বাজেট নিয়ে মিথ্যাচারে এসেছে পৌঁছেছে। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ-ইরানের যৌথ প্রয়োজনায় সিনেমাটির পরিচালক ও মূল প্রযোজক মুর্তজা অতাশ জমজম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি সামনে আনেন।
জানা যায়, সিনেমার বাজেট শত কোটি নয়। ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। এছাড়াও মুর্তজা শর্ত নিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন। তবে তা সবই অস্বীকার করেছেন অনন্ত জলিল। এই চিত্রনায়ক ও প্রযোজক বিষয়টি নিয়ে তার ফেসবুক পেজে বিস্তারিত জানান।
এবার অনন্ত জলিল দিলেন ভিডিও বার্তা। যেটি শনিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন।
ভিডিও বার্তায় অনন্ত জলিল বলেন, ‘সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০১৯ সালে। শেষ হয় ২০২০ সালের মধ্যে। আপনারা আমার ইন্টারভিউগুলো দেখতে পারেন। টেলিভিশন, নিউজ পেপার, সোশ্যাল মিডিয়াতেও মুভিটির রিলিজের আগমুহূর্ত পর্যন্ত ও রিলিজের পরে ইন্টারভিউতে দেখাতে পারবেন যে, আমি বলেছি-এ মুভিটির ইনভেস্টার শুধুই আমি? আমি সবসময় বলে এসেছি, শুধুমাত্র বাংলাদেশের শুটিংয়ের ইনভেস্টার আমি।’
তিনি বলেন, ২০২১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি লা-মেরিডিয়ান হোটেলে ‘দিন: দ্য ডে’ ও ‘নেত্রী দ্য লিডার’ মুভির একটি অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে মিস্টার মুর্তজা, ইরানের অভিনেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। সেসময় মুর্তজা আমাকে বলেন, শুটিংয়ের জন্য তিনি যে বাজেট নির্ধারণ করেছিলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ শুটিংয়ে খরচ করেন। মুর্তজার বলা অ্যামাউন্টটাই অনুষ্ঠানে আমি বলি। আমার ইন্টারভিউগুলোতেও একই কথা বলি। তিনি মুভির যে বাজেটের কথা বলেছিলেন।’
পড়ুন: দিন- দ্য ডে: ৪ কোটির সিনেমা ১২০ কোটি বলে প্রচার
অনন্ত জলিল আরও বলেন, ‘মুর্তজা তুলে ধরেছেন, আমার ৪-৫ লাখ ডলার তাকে শুটিং খরচের জন্য দেয়ার কথা। অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী সম্পূর্ণ টাকা দেইনি। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের শুটিংয়ে সমস্ত খরচ আমার দেয়ার কথা। সে অনুযায়ী বাংলাদেশের শুটিংয়ের সমস্ত খরচ আমি বহন করি। সেখানে এক কোটি টাকা লাগলো বা চার কোটি টাকা লাগলো সেটা তো মুর্তজার দেখার বিষয় না।’
চুক্তিপত্র অনুযায়ী সব খরচ দিয়েছেন দাবি করে অনন্ত জলিল বলেন, ‘বাংলাদেশের শুটিং খরচ ছাড়া বিদেশের কোনো শুটিং খরচই আমার দেয়ার কথা না। আমাদের ট্রাভেলিং কস্ট ছাড়া, এয়ার টিকিট ছাড়া সেখানে আমি তাকে ডলার দেব এটার প্রশ্ন উঠবেই বা কেন? তাহলে মুর্তজা এতগুলো দেশে যে শুটিং করলো, তাতে তো তার কোনো টাকাই খরচ হয়নি। তিনি যে অ্যামাউন্ট বলেছেন, আমার দেয়ার কথা সেটাই। তাহলে তিনি কীভাবে বলেন তার পোস্টে যে, আমি তাকে অ্যাগ্রিমেন্ট (চুক্তি) অনুযায়ী টাকা দেইনি। আপনারা তো ফলাও করে প্রচার করছেন মুভির বাজেট চার কোটি। তাহলে তো মুর্তজার শুটিংয়ে কোনো টাকাই খরচ করেননি’
অনন্ত জলিল আরও বলেন, ‘ইরানে মুভি রিলিজে সময় ডলবি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয় না। তাদের পোস্ট প্রোডাকশন এমনিতেই বেশ উন্নত। মুভি রিলিজের আগ পর্যন্ত আমার ও মুর্তজার সঙ্গে কখনই কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। আমি আশা করি, আগামীতেও থাকবে না। যাদের স্বার্থের জন্য তিনি এটা করেছেন, তাদের মুখোশ একদিন ঠিকই মিস্টার মুর্তজা প্রকাশ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’
পড়ুন: অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন ‘দিন: দ্য ডে’র পরিচালক
কেসিসির ৮৬১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য ৮৬১ কোটি ৬ লাখ ২৭ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এ বাজেট ঘোষণা করেন।
প্রস্তাবিত এ বাজেটে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯২ কোটি ১১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা এবং সরকারি বরাদ্দ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে উন্নয়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬৮ কোটি ৯৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০৮ কোটি ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। সংশোধিত বাজেটে এর আকার দাঁড়িয়েছে ৪৫০ কোটি ৬৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ৭৪.১২ শতাংশ।
বাজেট ঘোষণাকালে সিটি মেয়র বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরে বলেন, বাজেটে এবারও নতুন কোন কর আরোপ করা হয়নি। বকেয়া পৌরকর আদায়, নবনির্মিত সকল স্থাপনার ওপর প্রচলিত নিয়মে কর ধার্য্য এবং নিজস্ব আয়ের উৎস সম্প্রসারণের মাধ্যমে কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এটি একটি উন্নয়নমুখী বাজেট। বাজেটে সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, নাগরিক সেবা সম্প্রসারণ, কোভিড-১৯ প্রতিরোধ, মশক নিধন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, ধর্মীয় উপাসনালয়-পার্ক-বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-রাস্তাঘাট উন্নয়ন, কেসিসির বিভিন্ন দপ্তর আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় আনা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
মেয়র বলেন, কেসিসি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এটি কেবল সরকারি বা বিদেশি সাহায্য ও ঋণের ওপর নির্ভরশীল থাকতে পারে না। কেসিসিকে নিজস্ব আয়ের ওপর নির্ভর করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।
মেয়র জানান, কেসিসির নিজস্ব সংস্থাপন ব্যয় মিটিয়ে এবং ব্যয় সংকোচন করে রাজস্ব তহবিল থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে মোট ৫৬ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব খাত থেকে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪২ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট উন্নয়নের সাথে সাথে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। মানববর্জ্য উন্নয়ন এবং মশক নিধনের জন্য কনজারভেন্সি খাতে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাজেটে এডিপির জন্য থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬০ কোটি টাকা। উক্ত বরাদ্দ থেকে পূর্ত খাতে ২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা, নগরীতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের দায়িত্ব খুলনা ওয়াসার হলেও বিশেষ প্রয়োজনে জরুরি পানির চাহিদা মেটানোর জন্য গভীর ও অগভীর নলকূপকে সাবমারসিবল পাম্পে রূপান্তর করার জন্য এখাতে ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ভেটেরিনারি খাতে ৫০ লাখ টাকা, জনস্বাস্থ্য খাতে ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা, কনজারভেন্সি খাতে ১৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পে ২০২২-২০২৩ অর্থবছর ১৮৬ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার উন্নয়ন সহায়তা পাওয়ার আশা করা যায়। এছাড়া জাতীয় এডিপিভুক্ত তিনটি প্রকল্পে ৪২২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাজেট অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেসিসির অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর শেখ মো. গাউসুল আজম। এ সময় কেসিসির প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা, কেসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পাস
বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী