ছাত্রলীগ
ছাত্রলীগের ৩৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেত্রীর মামলা
চুরি, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদারসহ ৩৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মানসুরা আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এর আগে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। শুনানি শেষে মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৬ জুন শাহবাগ থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-ছাত্রলীগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন রহমান, সহ-সম্পাদক রাশেদ ফেরদৌস আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, ঢাবির সামছুন নাহার হলের সভাপতি খাদিজা আক্তার উর্মি, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সামাদ আজাদ জুলফিকার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামীম পারভেজ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হিল বারী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. নাজির, খান মোহাম্মদ শিমুল, উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক শাহিন তালুকদার, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাবির জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের অভিজ্ঞান দাস অন্তু, অমর একুশে হলের সভাপতি এনায়েত এইচ মনন, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ, সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন, বিজয় একাত্তর হলের মজিবুল বাশার, সলিমুল্লাহ হলের নাজিমুদ্দিন সাইমুন, চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকের।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন: ফখরুল
ছাত্রলীগ কর্মী মাহমুদ চৌধুরী, শহিদুল্লাহ হলের সভাপতি শরীফ আহাম্মদ, এম রহমান হলের আব্দুর রাহিম, ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান পিকুল, এসএম হলের সায়েম, এফ রহমান হলের সভাপতি রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ঢাবির সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফারিয়াল, শহীদুল্লাহ্ হলের সাধারণ সম্পাদক মুনিম শাহরিয়ার, সূর্যসেন হলের নাহিদ সাদি, জগন্নাথ হলের ঐশিক শুভ্র ও সৌরভ চক্রবর্তীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও মামলায় ছাত্রলীগের অজ্ঞাত ১০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, পূর্বঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দোয়েল চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে বের হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, বিভিন্ন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন ইউনিটের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের মিছিলে অতর্কিত হামলা শুরু করে। এক পর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে আশ্রয় নিলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর তাদের হাতে থাকা লোহার রড, রাম দা, চাপাতি, বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে এলোপাতাড়ি ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। হামলায় নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা। তাদের হামলায় প্রায় ৭০-৮০ নেতাকর্মী আহত হন।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সন্ধ্যায় টিএসসির বাইরের চত্বরের পশ্চিম পাশে মানসুরা আলম ও জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রদলের কর্মী আতিক মুর্শেদসহ বেশ কয়েকজনকে পেটায় ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষে উত্তেজনা চরমে
জেসিডির নারী নেত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা কাপুরুষোচিত: বিএনপি
ছাত্রলীগ উসকানি দেয়নি, দিয়েছে ছাত্রদল: তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদল উসকানি দিয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ উসকানি দেয়নি, দিয়েছে ছাত্রদল। যখন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে চায় তখন তো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্ররা বাধা দেবে খুবই স্বাভাবিক।’
রবিবার দুপুর সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক ও অপশক্তি দমনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: তথ্যমন্ত্রী
গত ২৬ ও ২৪ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয় এবং সংঘর্ষকে ঘিরে ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদল যারা করে তাদের বয়স কত এখন। যারা ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদক তারা কি ছাত্র? তাদের বয়স ৪০ এর কোঠায়। তারা তো ছাত্রের বাবা। ছাত্রের বাবারা যখন শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করতে চায় তখন ছাত্ররা তো উত্তেজিত হবেই, সেটি খুব স্বাভাবিক। উসকানিটা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এসেছে। ছাত্রদের বাবা স্থানীয় যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের পক্ষ থেকে এসেছে।
খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু বেগম জিয়া মুক্ত আছেন, তিনি জেলখানায় থাকলে এই প্রশ্ন আসত না। তার দণ্ড স্থগিত করে যেহেতু বেগম জিয়াকে মুক্তভাবে জীবন যাপন করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং দেশে বিএনপির নেতৃত্বে বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে এবং দেশে অগ্নিসন্ত্রাস নৈরাজ্যের মতো ঘটনা ঘটলে সেটার দায় দায়িত্ব বেগম জিয়ার ওপরও বর্তায়। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর তো বর্তায় বটেই বেগম জিয়ার ওপরও বর্তায়। সেজন্যই প্রশ্ন এসেছে বেগম জিয়াকে এভাবে বাইরে রাখার প্রয়োজন আছে কি না। সেজন্যই অনেকে দাবি তুলেছে তাকে আবার কারাগারে পাঠানোর।
আরও পড়ুন: বিএনপির মুখে অর্থ পাচার নিয়ে কথা মানায় না: তথ্যমন্ত্রী
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেতু আমরা করতে পারবো না বলে বিএনপির বেগম খালেদা জিয়া, ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আরও অনেকেই আস্ফালন করেছিল। এটির বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার বলতে দ্বিধা নেই এবং তার প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই ড. মোহ্ম্মদ ইউনূস সাহেব তিনিও পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছেন। সেখানে যাতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করে সেজন্য তার পক্ষ থেকে নানা অপতৎপরতা ছিল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা চোর, যারা দেশকে পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান বানিয়েছিল। তারা এসব কথা স্বাভাবিকভাবেই বলবে। কারণ তারা অন্যদেরও একই জায়গায় নেয়ার চেষ্টা করে।
সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে: বিএনপি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুন্ডাদের দ্বারা ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে নির্মম হামলা এবং ছাত্রদলের নারী নেত্রীদের ওপর নিপীড়ন সম্বলিত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে…আমরা বলতে চাই আওয়ামী লীগ এবং সরকারের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশে অপরাধীরা এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।’
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তৃতায় বিএনপির এই নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের ‘নিষ্ঠুর’ হামলারও তীব্র নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সহিংসতা: প্রধান বিচারপতি বিবৃতি না দেয়ায় ফখরুলের ক্ষোভ
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ ছাত্রলীগ নেতাদের সতর্ক করে বলেছেন, তাদের ঊর্ধ্বতনদের কু-পরামর্শে সহপাঠীদের ওপর হামলার অপকর্মে লিপ্ত হলে তাদের রেহাই দেয়া হবে না। আগামী দিনে জনগণের আদালতে আপনাদের অপকর্মের বিচার হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের (ছাত্রলীগের সদস্যদের) সতর্ক করতে চাই যে আপনাদের সিনিয়র নেতাদের প্ররোচনায় নিজেদের জীবন নষ্ট করবেন না। জনসমর্থনের অভাবে সরকার ছাত্রদের সন্ত্রাসীতে পরিণত করছে এবং স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী স্টাইলে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার জন্য তাদের ব্যবহার করছে।’
মোশাররফ বলেন, সরকারের নানা অপকর্মের জন্য দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। ‘দেশে এখন গণতন্ত্রের অভাব রয়েছে; এখানে জনগণের ভোটাধিকার সহ কোনো অধিকার নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষও অসহায় হয়ে পড়েছে।’
ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, তাদের নানা অপকর্মের জন্য দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ‘দেশ ও বিদেশে সর্বত্র এই শাসকগোষ্ঠী সমর্থন শূন্য হয়ে গেছে। তাই এই সরকার ও শেখ হাসিনা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটি একটি দুর্বল শাসন এবং এটি অপসারণের জন্য শুধুমাত্র একটি ধাক্কা প্রয়োজন।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল রাজপথে গণজাগরণ সৃষ্টি করে সরকারের পতন নিশ্চিত করবে। ‘আমাদের ছাত্রদল ঢাকায় রক্ত দিয়ে এই শাসকদলকে অপসারণের জন্য আন্দোলন শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়, প্রশ্ন আমীর খসরুর
ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: বিএনপি
ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস ও হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ‘সহিংস’ হামলায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। এতে ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালে ছাত্রদলের আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, ছাত্রলীগের ‘ক্যাডাররা’ হাইকোর্টে ঢুকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেরও আঘাত করেছে। তারা হাইকোর্টের বিভিন্ন কক্ষে যাওয়া ছাত্রদলের কর্মীদের মারধর করে। এমনকি তারা ছাত্রীদেরও রেহাই দেয়নি।
আরও পড়ুন: আ.লীগের `দুঃশাসন’ এর বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান ফখরুলের
ফখরুল জানান, শমরিতা হাসপাতালে তিনি প্রায় ৫০ জন আহত নেতা-কর্মীকে দেখেছেন। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নেতাকর্মীদের মাথায় আঘাত করেছে। তাদের মধ্যে দুজনকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আহত ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা এখন সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। এটা ফ্যাসিবাদী শাসনের চরিত্র। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: সেতু প্রকল্পে অর্থ লুটপাটের কারণেই বিএনপির গায়ে জ্বালা হচ্ছে: ফখরুল
অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা নতুন কিছু নয় যে আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতায় থেকেছে এবং তারা একইভাবে তা চালিয়ে যেতে চায়। সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়ে ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের এ ধরনের সন্ত্রাসের পতন ঘটবে।
এর আগে তিনি রাজধানীর মহাখালী এলাকার ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল, কাকরাইল ও আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ছাত্রদলের আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে যান।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
ঢাবিতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষে উত্তেজনা চরমে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল) ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে শিল্পকলা একাডেমির সামনে সংঘর্ষে ছাত্রদলের সাতজন কর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রদলের নেতাদের দাবি, সংঘর্ষে তাদের ৩০ জনের বেশি কর্মী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে দোয়েল চত্বরের দিকে যাওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে বাঁশের লাঠি, কাঠ, লোহার রড, স্টিলের পাইপ ও হেলমেটে সজ্জিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে।
আরও পড়ুন: জেসিডির নারী নেত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা কাপুরুষোচিত: বিএনপি
জেসিডির নারী নেত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা কাপুরুষোচিত: বিএনপি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) নারী নেত্রীদের ওপর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ কাজ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে কাপুরুষ, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বানিয়েছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের ক্যাডাররা যেভাবে হামলা করেছে তা কাপুরুষোচিত কাজ।’
বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মনে করে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ঠেলে দেয়ার যে মন্তব্য করেছেন তা প্রাণনাশের হুমকির শামিল।
আওয়ামী লীগ অবশ্য বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সংলাপ শুরু করল বিএনপি
শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা কীভাবে বিএনপির নারী নেত্রীদের মারধর করতে পারে তা নিয়ে বিস্মিত রিজভী বলেন, ছাত্রদের মানবতাবোধ থাকা উচিত।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি গতকাল (মঙ্গলবার) একটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম যেখানে মনসুরা এবং তৃনা ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।’
তিনি বলেন, নারী জেসিডি নেতাদের ওপর হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ‘কাপুরুষ ছাড়া আর কেউ মেয়েদের এত নৃশংসভাবে আঘাত করতে পারে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অনেক জেসিডি নেতা-কর্মীকে মারধর করেছে। তাদের মধ্যে রাশেদ ও আফসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রিজভী এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং নারীসহ জেসিডির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও জেসিডির মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভের পরিকল্পনা বিএনপির
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু আজ
সালাম না দেয়ায় ঢাবি ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলে সালাম না দেয়ায় এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সাজ্জাদুল হক সাঈদী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও সূর্য সেন হলের আবাসিক ছাত্র।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মানিকুর রহমান মানিক। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী।
ভুক্তভোগী সাঈদী মানিকুর রহমানের বিরুদ্ধে হল প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
তিনি তার চিঠিতে লিখেছেন, ‘মঙ্গলবার রাতে আমি অনলাইন ক্লাস করছিলাম। এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী আমার কক্ষে প্রবেশ করে। আমি ক্লাসে ব্যস্ত থাকায় তাদের সালাম দিতে পারিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ কর্মী মানিকুর রহমান আমাকে চড় ও লাথি মারেন।’
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
তিনি আরও লিখেছেন, ‘মানিকুর আমাকে এবং আমার রুমমেটদের তাদের প্রোগ্রামে না আসার জন্য বকাঝকা করেছিল এবং তাদের সালাম না দেয়ায় আমাকে হুমকি দিয়েছিল। জুম লিঙ্ক কাটার পর যখন আমি উঠে দাঁড়ালাম, তখন সে আমাকে চড় মেরে ও বুকে লাথি মেরে দূরে ফেলে দেয়।’
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অভিযুক্ত মানিকুরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মারধরের ঘটনার কথা স্বীকার করে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান বলেন, গতরাতে যে ঘটনা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। আজ বিকালে তাদের সঙ্গে বিষয়টি মিমাংসা করব।
সূর্য সেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মকবুল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, আমি অভিযোগপত্র পেয়েছি এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবির হল থেকে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মী আজীবন বহিষ্কার
ঢাবির দুই ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
ঢাকায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষে আহত ৩৫
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত হাসপাতালে সংঘর্ষে আহত প্রায় ৩৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে কিন্তু কাউকে এখনও ভর্তি করা হয়নি।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অভিমুখে মিছিল করার সময় শহীদ মিনার এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এর আগে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ছাত্রলীগ ও এলডিপির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২, এলডিপি মহাসচিব আটক
ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান অভিযোগ করে বলেন, সংবাদ সম্মেলন করতে টিএসসির দিকে রওনা দিলে শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র, হকি স্টিক ও লোহার রড নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর আক্রমণের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন ‘ছাত্রদলের নেতাদের বক্তব্যে আমরা যে ধরনের শিষ্টাচার দেখি, সেটি খুনি ও দণ্ডপ্রাপ্ত উচ্চমাধ্যমিক পাস না করা একজন নেতা এবং অষ্টম শ্রেণি পাস প্রধানমন্ত্রীর মানদণ্ডেরই উপযুক্ত৷ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড, বক্তব্য-বিবৃতি এবং অছাত্র-বহিরাগতদের কাছে ছাত্র রাজনীতিকে ঠিকাদারি দেয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই তাদের ওপর শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ আছে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে যদি প্রতিবাদ জানায় আমরা সেটাকে স্বাগত জানাই।'
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সহিংসতায় ছাত্রলীগ জড়িত: ফখরুল
কুমিল্লায় ছাত্রলীগ ও এলডিপির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২, এলডিপি মহাসচিব আটক
কুমিল্লায় ছাত্রলীগ ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতাকর্মীদের মধ্যকার সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার চান্দিনা উপজেলার রেদওয়ান আহমেদ কলেজ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ মাহমুদুল হাসান জনি ও নাজমুল হাসান উভয়েই ছাত্রলীগ কর্মী।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) মো. ফয়েজ ইকবাল জানিয়েছেন,সোমবার দুপুরে এলডিপি কর্মীরা পূর্বনির্ধারিত ঈদের অনুষ্ঠানের জন্য কলেজ প্রাঙ্গণে আসলে সেখানে আগে থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বগি লাইনচ্যুত: ৩ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ
উত্তেজনার মধ্যে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী এলডিপি মহাসচিব ও কুমিল্লা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেদোয়ান আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তার ব্যক্তিগত গাড়িকে ধাওয়া দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় তিনি গাড়ির জানালা দিয়ে গুলি করেন। এ ঘটনায় গুলি করার অভিযোগে রেদোয়ান আহমেদকে আটক করা হয়েছে।
ফয়েজ ইকবাল বলেন, রেদওয়ান সাহেব পুলিশ হেফাজতে আছে। ঘটনার সত্যতা জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুমিল্লা উত্তর আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার ঘটনার বিচার দাবি করে জানান, গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ঈদের জামাতে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ ১
শাবিপ্রবিতে সুমন হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস হত্যা মামলায় অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
রবিবার নির্ধারিত দিনে শুনানিতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত।
তারা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ, সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েম, শরিফুল ইসলাম বুলবুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আশিকুজ্জামান রূপক ও ছাত্রলীগ কর্মী সজল চন্দ্র ভৌমিক।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুর রহমান আফজাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে জামিন না মঞ্জুর করে চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
তারা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির আহমেদ তালুকদার, মোস্তাক আহমদ মিয়াজী ও ছাত্রলীগ কর্মী নয়ন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: করোনায় কর্মজীবন নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিষন্নতা-মানসিক চাপ বেড়েছে: শাবিপ্রবির গবেষণা
এর আগে গত ২১ এপ্রিল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক জহির হোসাইন, সহ-সভাপতি এস কে হাসিবুর রহমান, নূরে আলম, ছাত্রলীগ কর্মী জুনায়েদ আহমদ ও মো. জেসমুল হাসান আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকেও কারাগারে পাঠান।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের সঙ্গে সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় ও ছাত্রলীগ নেতা উত্তম কুমার দাসের অনুসারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত সুমনের মা প্রতিভা দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২০ জনের বিরুদ্ধে নগরীর জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ছয় বছর পর ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজসহ ২৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। পরবর্তীতে গত বছরের জানুয়ারিতে এ চার্জশিট আমলে নেয় আদালত।
আরও পড়ুন: র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে শাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে সতর্কতামূলক ব্যানার