ছাত্রলীগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওর কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার(৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের কাউতলীর স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকালে শহরের টেংকের পাড় থেকে জেলা ছাত্রলীগের একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের কুমারশীল মোড়, হাসপাতাল রোড, কোর্ট রোড, টি. এ রোড এলাকা হয়ে স্টেডিয়াম এলাকায় যায়। এসময় মিছিল থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওর (কাঁচি) মার্কার কেন্দ্রীয় নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায়।
এসময় তারা অফিসে ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে অফিসে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে কলাপসিবল গেইট ও শাটার লাগিয়ে আত্মরক্ষা করেন। পরে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: বরিশাল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা-গুলির অভিযোগ
টিএসসিতে মেট্রো স্টেশনের জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রলীগ
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্রের (টিএসসি) পাশে মেট্রোরেলের স্টেশন নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার নেতা-কর্মীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু স্মৃতি ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে ‘টিএসসিতে মেট্রো: ধন্যবাদ শেখ হাসিনা’- শীর্ষক দিনব্যাপী ধন্যবাদ জ্ঞাপন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকত।
ঢাবি ছাত্রলীগের জিএস সৈকত বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি মেট্রোরেল ঢাবি শিক্ষার্থীদের পরিবহন চ্যালেঞ্জগুলো দূর করবে।’
উদ্বোধনের পর দেশাত্মবোধক গান, প্ল্যাকার্ড, পোস্টার প্রদর্শন ও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনী, ছবি আঁকা, গণস্বাক্ষর গ্রহণ অভিযান এবং শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে গানসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
চালক নিয়োগ: অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় ইবি ছাত্রলীগ সভাপতির জিডি
বুধবার রাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিক আরাফাত এবং অপর এক ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথনের তিনটি অডিও ক্লিপ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় শুক্রবার রাতে ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এ বিষয়ে ইবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুন্সী কামরুল হাসান অনিক সাধারণ ডায়েরি করেন বলে জানান ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আন্নুর জায়েদ বিপ্লব।
পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানান ওসি।
বুধবার রাতে শানজিদা আক্তার তানিয়া নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা অডিও কথোপকথন অনুসারে, ৩ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে চালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মিলনকে টাকা দিতে বলতে শোনা যায় আরাফাতকে। তাদের চুক্তি অনুযায়ী মিলনের টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি সময়মতো পরিশোধ করেননি।
বৃহস্পতিবার ইবি ক্যাম্পাস পেজ থেকে শেয়ার করা অডিও কথোপকথনে আরাফাতকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য ফোনে এক ব্যক্তিকে চাপ দিতে শোনা গেছে।
শুক্রবার রাতে ইবি ক্যাম্পাস পেজ থেকে শেয়ার করা আরেকটি অডিও কথোপকথনে শোনা যায়, আরাফাত ও ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের মধ্যে ফোনে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। যেখানে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলছিলেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ১২
আরাফাত এই ধরনের নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে তার শাস্তি দাবি করেন ইবি শাখার অনেক কর্মী।
যোগাযোগ করা হলে ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিক আরাফাত বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া অডিও কথোপকথন এডিটেড এবং এ ধরনের ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, একটি মহল এডিটেড অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে দিয়ে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে।
এর আগে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ইবির উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালামের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তির কথোপকথনের মোট ১৪টি অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ইবির ভিসি ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
১৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান এবং একজন ঠিকাদারের মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইবি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীসহ ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ইবিতে নিয়োগে অনিয়ম: ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
সিলেটে ছাত্রলীগকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
সিলেট নগরীর বালুচরে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের বালুচরের টিভি গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রলীগকর্মী আরিফ নগরীর টিবি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে এবং ছাত্রলীগ সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী।
আরও পড়ুন: নাটোরের লালপুরে আ. লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নগরীর বালুচরে ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপের মধ্যে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আরিফকে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে নিহত আরিফকে দেখতে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ।
ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, নিহত আরিফ সিলেট সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। চার-পাঁচ দিন আগে আরিফের উপর হামলা করেছিল এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সোমবার বিকালে আরিফ হামলার ঘটনায় নগরীর শাহপরান থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। সেখান থেকে ফেরার সময় তার উপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ কর্মসূচি দেবে বলে জানান নাজমুল ইসলাম।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ বলেন, নগরের বালুচর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একজন রাত দেড়টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
মা ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা: প্রধান আসামি জহিরুল গ্রেপ্তার
চবি’র ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে তালা ঝুলানোর অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে তালা ঝুলানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের একাংশের বিরুদ্ধে। এর আগে সোমবার অবরোধে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়েছিল ছাত্রদল।
চবির দুই শিক্ষার্থীর ফলাফল প্রকাশের দাবিতে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিভাগের অফিস ও পরীক্ষার হলে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের একাংশের দল ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চবিতে প্রথম আলোর প্রতিনিধির উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ২০৪ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা চলাকালীন হাসিব ও হাবিব নামে দুই শিক্ষার্থীর নকল ধরেন দায়িত্বরত শিক্ষক সভাপতি আসমা আক্তার। ওই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসেম। পরে তাদের পরীক্ষার খাতা রেজিস্ট্রার অফিসে পাঠানো হলে গত এক বছরেও তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি চবি শৃঙ্খলা কমিটি।
যার কারণে, ওই দুই শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় বর্ষের রেজাল্ট আসেনি। এমনকি তারা তৃতীয় বর্ষেও ভর্তি হতে পারেননি।
এর মধ্যে বছর ঘুরে তৃতীয় বর্ষের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, গত এক বছরেও তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় ছাত্রলীগের কর্মীরা বিভাগের অফিস ও পরীক্ষার হলে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসেম বলেন, এটা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাজ। আমরা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিসে খাতা পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা সিদ্ধান্ত নিবেন। এখানে আমাদের কোনো কাজ নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমির মোহাম্মদ মুছা বলেন, গত বছর তাদের নকল ধরা হলেও বিভাগ আমাদের খাতা দিয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। তাছাড়া, এরইমধ্যে শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং না হওয়ায় কিছুদিন আগেও আমরা উপাচার্যকে জানিয়েছি। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন না। মিটিং হলে সেখানে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এরকম নকল ধরা পড়লে শিক্ষার্থীদের সাধারণত এক বছরের জন্য এক্সপেল করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই দুই শিক্ষার্থীকে বলেছিলাম, তোমরা দ্বিতীয় বর্ষের সঙ্গে আবারও পরীক্ষা দাও। তারা কথা শুনেনি। ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় বর্ষের দুইটা পরীক্ষা চলে গেছে। এখন তারা যদি এক বছরের জন্য এক্সপেল হয়, তাহলে দুই বছরের একাডেমিক গ্যাপে পড়ে যাবে। তবে, বিভাগ যদি সুপারিশ করে শাস্তি কমানোর জন্য, তাহলে শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে তাদের বিষয়ে উপাচার্য বিবেচনা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ‘অবরোধ’ লিখে চবি প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রদলের তালা!
সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ
বরিশালে ‘রাজনৈতিক কর্মসূচিতে’ না আসায় ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ
বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আবাসিক হলের অন্তত ১৫ শিক্ষার্থীকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কলেজ শাখার নেতা-কর্মীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় ক্যাম্পাসের বয়েজ হলে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারা হলেন- তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আতিক শাহরিয়ার (২৪), দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী স্বপ্নীল ও আশিকুজ্জামান সজীব।
শিক্ষার্থীরা জানান, রবিবার রাতে ছাত্রলীগ নেতারা সোমবারের অনুষ্ঠানে সবাইকে উপস্থিত থাকার দাবি জানান।
সোমবার রাত ৮টার দিকে নিজেকে ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাকিব ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন ওই কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়া ১৫ শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও মারধর করে।
আরও পড়ুন: বরিশালে অবরোধের শেষ সময়ে বাসে আগুন
বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাকিব দাবি করেন, ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে। বিএনপি, জামায়াতের অনুসারীরা ম্যুরাল ভাংচুরের চেষ্টা করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেয়, ফলে সংঘর্ষ হয়।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক লিটন রাব্বানী বলেন, বর্তমানে আমরা শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার দিকে নজর দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
বরিশালে জামায়াতের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ছাত্রলীগের ৬ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার
বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
এ ছাড়া, সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ব্যক্তিদের কেন তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান তৌহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আল ইমরান হোসেন, সরকারি আজিজুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সাদেকুল ইসলাম শুভ, জোবায়ের সরদার সিহাব ও মোহন সরদার।
গত বৃহস্পতিবার অবরোধবিরোধী মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের বিবাদমান দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হন। এ ঘটনার জের ধরে ওই ছয় নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে চতুর্মুখী সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগ
বহিষ্কার প্রসঙ্গে তৌহিদুর রহমান তৌহিদ বলেন, ‘কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিয়ে বলার কিছু নেই। তবে সঠিক তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে ইতিবাচক বার্তা আসত।’
অপর নেতা মাহফুজার রহমান বলেন, ‘আমি আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেব।’
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনোই বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রশ্রয় দেয় না। সংগঠন করতে হলে সংগঠনের চেইন অব কমান্ড মেনেই করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের ৩০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সজীব সাহাকে সভাপতি ও আল মাহিদুল ইসলাম জয়কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কমিটির সহসভাপতি করা হয় তৌহিদুর রহমান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয় মাহফুজার রহমানকে।
তখন থেকেই তৌহিদ ও মাহফুজার কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে তৃণমূল ছাত্রলীগ ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরপর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এর জেরে তাদের মধ্যে কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘সরকারি আজিজুল হক কলেজে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
আরও পড়ুন: ইবি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীসহ ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৩
বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে অবরোধের প্রতিবাদে আয়োজিত ক্ষমতাসীন দলের সংগঠন ছাত্রলীগের সমাবেশে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৩ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার(৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলের অবরোধের প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহার নেতৃত্বে একদল নেতা-কর্মী মিছিল বের করে।
মিছিল শেষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বটতলায় সমাবেশ করার সময় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমানের নেতৃত্বে অন্য একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় সভাপতি সজীবের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষে সজীব ও মাহফুজারসহ ছাত্রলীগের অন্তত ১৩ জন আহত হন।
সংঘর্ষের সময় ক্যাম্পাসে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: সাভারে ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী পরিচয়ে হাসপাতালে মারামারি, আহত ৪
সজীব সাহা অভিযোগ করেন, ক্যাম্পাসে সমাবেশ করার সময় ছাত্রলীগের একটি 'তথাকথিত' গ্রুপ তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, 'আমরা তাদের প্রতিহত করতে বাধ্য হয়েছি এবং তারা আমাকে ছুরিকাঘাত করেছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে মাহফুজার রহমান দাবি করেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা অযোগ্য কমিটিকে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কলেজের অধ্যক্ষ ড. সবুর উদ্দিন বলেন, তারা কোনো গ্রুপকে চিনতে পারেননি।
স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: বিতর্কিতদের নিয়ে রাবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠন, বিক্ষুব্ধ নেতাদের অভিযোগ
সাভারে ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী পরিচয়ে হাসপাতালে মারামারি, আহত ৪
সাভারে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনদের চারজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে সাভার থানা স্ট্যান্ডের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চতুর্থ তলায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মাদরাসা শিক্ষক মোশাররফ হোসেন, তার স্ত্রী রূপালী বেগম ও ছেলে শিবলী আহম্মেদ। এ ছাড়াও আহত আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসেন ব্যাংক কলোনি এলাকার আঁখি নামে এক নারী। তিনি সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পরে এসে আগে সিরিয়াল চাওয়ায় বাধা দেন কয়েক রোগী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রোগীকে মারধর শুরু করেন আঁখি।
আঁখি রোগীকে মারধর করলে বাধা দেন মাদরাসা শিক্ষক মোশাররফ হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আঁখি ছাত্রলীগ নেতা আতিককে ফোন করলে ঘটনাস্থলে আসেন আতিকের ব্যক্তিগত সহকারী নজরুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জামানসহ ১০-১৫ জন।
আরও পড়ুন: সাভারে ১৬ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
পরে মোশাররফ হোসেন নিজেকে মাদরাসার শিক্ষক ও ব্যাংক কলোনি মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল্লাহর আপন ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে সবাইকে শান্ত হতে বলেন।
এ সময় মোশারফকে মারধর ও হুমকি দিয়ে একজন বলেন, ‘তুই জানিস না, আঁখি আপা আতিক ভাইয়ের কী হয়?’
এই কথা শুনে শিক্ষক মোশাররফ হোসেনের ছেলে শিবলী আহম্মেদ এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন। তাকে ধাক্কা দিয়ে কিল ঘুষি মারেন নজরুল। এসময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এলোপাথাড়ি শিবলীকে পেটানো শুরু করেন।
চোখের সামনে ছেলেকে মারতে দেখে শিবলীর মা রূপালী বেগম এগিয়ে আসার পর তাকেও সজরে ধাক্কা দিলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে হাসপাতালের ম্যানেজার আবদুল খালেক এসে শিবলী আহমেদকে উদ্ধার করেন। পরে আহত অবস্থায় তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান। তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
এদিকে এর আগে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই বিষয়টি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ হামলায় দোষীদের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আঁখি ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাভারের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীকে পেটানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেয়ে ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সরকারি খাদ্যগুদামে দুই প্রহরীর মারামারি, নিহত ১
সিলেটে দুই অটোরিকশাচালকের মারামারিতে একজনের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ছাত্রলীগ কর্মীর
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাইতুল ইসলাম রনি নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ জাগির পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত রনি উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ জাগির পাড়া এলাকার আলম বাদশার ছেলে। রনি উলিপুর উপজেলা শাখার ছাত্রলীগের কর্মী এবং রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করেছেন।
আরও পড়ুন: যশোরের ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের জখম
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রনি বুধবার দুপুরে নিজ বাড়িতে বৈদ্যুতিক পাখা মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উলিপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈনুর রশিদ নোমান বলেন, রনির মতো একজন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীকে হারিয়ে আমরা মর্মাহত। রনির রুহের মাগফেরাত কামনা করছি ও তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় এ ঘটনায় ইউডি মামলা দায়ের করে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে সাপের কামড়ে ঘুমন্ত স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
ফটিকছড়িতে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার