ছাত্রলীগ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ঢুকে ঘুমন্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেরে বাংলা হলে ঢুকে ঘুমন্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে হেলমেট পরিহিত একদল যুবক। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওই হলের ৪০১৮ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
আহত যুবকেরা হলেন- ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাত ও জিএম ফাহাদ।
প্রত্যক্ষদর্শী হলের আবাসিক ছাত্র জিয়া বলেন, ফজরের আযানের পর সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ করে ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি হেলমেট পরে হলে প্রবেশ করে। এরপর তারা সব রুম বাইরে থেকে আটকে দেয়। পরে তারা ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাতকে রুম থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে হাতুড়ি পেটা করে এবং জিএম ফাহাদের হাত ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি তাকে কুপিয়ে জখম করেছে। এরপর আহত অবস্থায় তাদের দুইজনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল (শেবামেক) কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত জিএম ফাহাদ বলেন, হামলাকারীরা সকলেই হেলমেটধারী ছিল। তবুও তাদের সনাক্ত করতে পেরেছি। হামলাকারী আলীম সালেহী, অমিত হাসান রক্তিম, রিয়াজ মোল্লা, সৈয়দ জিসান আহম্মেদ ও বাকিকে সনাক্ত করতে পেরেছি। এরা সকলেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাদের।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ মোল্লা বলেন, সিফাতের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ। তারা সিফাতের অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে তাকে প্রতিহত করেছে বলে আমার ধারণা।
আরও পড়ুন: কালিয়ায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম
এছাড়া সিফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায় জমি দখল থেকে শুরু করে নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। বহু মানুষ তার ওপর ক্ষিপ্ত। এখন মূলত কারা তার ওপর হামলা করেছে সেটা বলতে পারবো না।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাতের নানা অপকর্ম নিয়ে অতিষ্ঠ ছিল শিক্ষার্থী ও তার গ্রুপেরই ছাত্রলীগের কর্মীরা। আর শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঞ্চারিত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এই হামলা। কেননা সিফাতের ওপর হামলায় যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের মধ্যে আলীম সালেহী, সৈয়দ জিসান আহম্মেদ ও রিয়াজ মোল্লা সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র অনুসারী। পাশাপাশি অমিত হাসান রক্তিম পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুখ শামীমের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা। এছাড়া আধিপত্য বিস্তারের একটি বিষয় রয়েছে এখানে।
এদিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, আহত সিফাতের শরীরে ফোলা জখম রয়েছে এবং ফরহাদের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমের চিহ্ন পাওয়াসহ তার হাতও ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, আহতদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সুস্থ হলে আরও ভালোভাবে মূল ঘটনা জানতে পারবো। হামলাকারী কারা সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেনি আহতরা। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শের ই বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর বলেন, ম্যাথম্যাটিক্স ডিপার্টমেন্টের মাস্টার্সের ছাত্র সিফাতও লোকপ্রশাসন ডিপার্টমেন্টের মাস্টার্সের ছাত্র ফাহাদের ওপর অতর্কিত হামলায় তারা গুরুত্বর আহত হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করা যায়নি। পুরো বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখছে।
আরও পড়ুন: ফাইনাল উপলক্ষে পিকনিক, আর্জেন্টাইন সমর্থককে কুপিয়ে জখম
নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই: ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে নেতার দরকার নেই, স্মার্ট কর্মী দরকার।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: ভেন্যু সমস্যার সমাধানে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের
টেলিভিশন ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অপরাজেয় বাংলা স্মারকের সামনের উপচে পড়া মঞ্চটিতে ওবায়দুল কাদের বক্তব্য বক্তব্য দেয়ার সময় ভেঙে পড়ে।
বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় কাদের অক্ষত ছিলেন। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ঘটনার আগে তিনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিজেদের প্রস্তুত করতে বলেন।
তিনি ছাত্রলীগকে দ্রুত কমিটি গঠন করতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের কমিটিতে শীর্ষ দুই নেতার নাম ঘোষণা করেছি কিন্তু এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। জাতীয় নির্বাচনের আগে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে দ্রুত কমিটিগুলো গঠন করতে হবে।’
কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগরীর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা, ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা যোগ দেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাদের। পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী বলেন, ‘আমরা ২০২৪ সালের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অগ্রগামী হবো এবং আমরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেব না। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং এই ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপনে আমরা বছরে ৭৫টি বিজয় সমাবেশের আয়োজন করব।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি প্রধান সংগঠন। এর একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। আমাদের আবার আমাদের ট্র্যাকে ফিরে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, আগামী দিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও তাদের সহযোগী বিএনপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
অনুষ্ঠানটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় এবং অপরাজেয় বাংলা স্মৃতিস্তম্ভ থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি-৩২ পর্যন্ত একটি র্যালির মাধ্যমে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
সিকৃবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ ও অপর একটি বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা গেছে, কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ছাত্রলীগের কর্মীসভা দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এতে বাঁধা দেন ছাত্রলীগ শাখা সভাপতি আশিকুর রহমান ও সেক্রেটারি এমাদুল হোসেনের বিদ্রোহী সহসভাপতি শরীফ হোসাইন, সাব্বির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসাইন, আকাশ ভূইয়া ও প্রান্ত ইসলামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী গ্রুপ। এসময় দুপক্ষের অনুসারীরা সভাস্থলে এসে অবস্থান নেয়। তখন উভয় পক্ষে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বিজয় মেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
চবির শাটলে কথা কাটাকাটি, ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাটল ট্রেনে কথা কাটাকাটির জেরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল স্টেশনে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলে।
আহতরা হলেন- ২০১৯-২০ সেশনের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মামুন, ২০১৮-১৯ সেশনের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মানিক এবং ২০১৭-১৮ সেশনের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শাহ পরান। এর মধ্যে শাহ পরানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গ্রুপ দুইটি হল- ভিএক্স ও সিক্সটি নাইন। গ্রুপ দুইটিই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
আরও পড়ুন: চবির শাটলে কথা কাটাকাটি, ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩
দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিতে ভূমিকা রাখবে ছাত্রলীগ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, অতীতের গৌরবোজ্জ্বল পথ বেয়ে ছাত্রলীগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে ভূমিকা রাখবে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হাছান মাহমুদ এ আশা প্রকাশ করেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ছাত্রলীগের মিছিলের পেছনের সারির কর্মী হিসেবে আমার রাজনীতি শুরু হয়েছিল। সুতরাং আজকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আমাদের বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনসহ সব ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সেই অতীতের গৌরবোজ্জ্বল পথ বেয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে ছাত্রলীগ ভূমিকা রাখবে, সেটিই আমার প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: আ'লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল: তথ্যমন্ত্রী
এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপির আগামী কর্মসূচির ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, আমরা বিএনপির সমস্ত কর্মসূচির সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখবো, প্রয়োজনে সতর্ক পাহারায় থাকবো এবং এই দেশে আর কখনো ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের মতো পরিস্থিতি কাউকে তৈরি করতে দেবো না।
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রণয় ভার্মার সাক্ষাৎ
এর আগে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি, টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি ও কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের ত্রিপুরা, দিল্লি ও অন্যান্য রাজ্যে আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রচারে তেমন কোনো অসুবিধা না থাকলেও পশ্চিম বাংলায় দেখাতে পারে না। সেখানকার কেবল অপারেটররা শুরুতেই কয়েক কোটি টাকা এবং বছর প্রতি কোটি টাকা দাবি করে। যা আমাদের চ্যানেলগুলোর পক্ষে দেয়া সম্ভব না। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু করা যায় কি না, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সঙ্গে এটিই আমার প্রথম সাক্ষাৎ। অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে অনন্য বন্ধন রচিত হয়েছে। গত এক দশকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
তাদের নির্দেশিত বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়ন এবং মানুষে মানুষে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন: সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে বিএনপিই বেকায়দায়: তথ্যমন্ত্রী
সাপের মতো খোলস বদলায় বিএনপি জোট: তথ্যমন্ত্রী
অ্যালকোহলের বিষক্রিয়ায় ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
ফরিদপুরে অ্যালকোহলের বিষক্রিয়ায় রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব (২৭) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।
রাকিব ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটির সহ-সভাপতি।
সোমবার (০২ জানুয়ারি) দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ কোনো প্রেস বিজ্ঞপ্তি না দিলেও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সোমবার (০২ জানুয়ারি) রাতে শোক প্রকাশ করে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফের যৌথ স্বাক্ষরিত ওই শোক বার্তায় দাবি করে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ফরিদপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম সোমবার বিকাল আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের এ শোক বার্তার পর বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে ফরিদপুরের সাংবাদিক ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
জানা যায়, রাকিবকে সোমবার (০২ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ৪২৭৮৩/২৩ সিরিয়ালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার বন্ধু পরিচয়ে আবির নামে এক তরুণ এসে ভর্তি করায়। ভর্তির জায়গায় ‘পুলিশ কেস’ সিল মারা ছিল।
ভর্তি করতে এসে আবির জানায়, বমির প্রবণতা থাকায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক নারী কর্মচারী জানান, ভর্তি হওয়ার সময় রাকিবুল আবিরকে বলেছিল, ‘মদের সাথে কি খাওয়ালি আমার বুক ও গলা জ্বলে যাচ্ছে। ’
এর পর থেকে আর আবিরকে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে আবিরের যে মোবাইল ফোন নম্বরটি দেয়া ছিল তাতে ফোন করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মেডিকেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বমির কথা বলে রাকিবুলকে ভর্তি করা হলেও তার সমস্যা ছিল অ্যালকোহলজনিত বিষক্রিয়া।
তাকে দ্রুত আইসিতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
ওই হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আতিয়ার রহমান বলেন, এটি একটি পুলিশ কেস, এ জন্য রাকিবুলের মৃত্যুর পর যাবতীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহরিয়ার বলেন, এ মৃত্যু সংক্রান্ত কোনো তথ্য থানায় নেই।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ ওরফে রিয়ান বলেন, আমার জানামতে রাকিবুল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। অ্যালকোহলজনিত মৃত্যুর ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৩১
নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু
বিজয় মেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিজয় মেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা হয় ছয়টি মোটরসাইকেল।
বিজয় মেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে রবিবার ভোরে উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা সবাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মী।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ হাজারের বেশি জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন-চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাউছার আহমেদ আরিফ, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন ইমন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ, আব্দুর রহমানসহ আরও দুই যুবলীগ কর্মী।
যাদের মধ্যে কাউছার আহমেদ আরিফের অবস্থা আশাংকাজনক বলে জানা গেছে।
এছাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি সাহেদ বিন কামাল অনিককে পিটিয়ে জখম করে পায়ের রগ ছিঁড়ে দেয়া হয়। তাকেও আশাঙ্কাজনক অবস্থায় চমেকে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া পাথর মেরে এবং গুলিতে আহত করা হয় আরও অন্তত ২০ জনকে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, রবিবার ভোররাতে জোরারগঞ্জ বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে আমাদের ফোর্স সেখানে ছুটে যায়।
এছাড়া কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
জাহিদ হোসেন আরও বলেন, এই ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এলাকাজুড়ে।
এছাড়া জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটুর নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন আহত নেতাকর্মীরা।
এই বিষয়ে জানতে মাঈন উদ্দিন টিটুর ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আগত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ কারা করেছে সেটি সবাই দেখেছে এবং সবাই জানে।
এছাড়া যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কিংবা মানুষ হত্যা করে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
জোরারগঞ্জ বিজয়মেলা উদযাপন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান শ্যামল দেওয়ানজী বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা প্রত্যেকেই সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী ছাড়া এই ধরনের ঘটনা ঘটানো সম্ভব না।
আরও পড়ুন: মালিবাগে গণমিছিল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ
পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৮১ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ২ হাজার
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বে সাদ্দাম-ইনান
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটিতে সাদ্দাম হোসেনকে সভাপতি ও শেখ ওয়ালি ইয়াসির ইনানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিলের ৪৫ দিন পর মঙ্গলবার রাতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নবগঠিত ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি সাদ্দাম ও সাধারণ সম্পাদক ইনান দুজনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের ছাত্র এবং তাদের সেশন ২০১১-২০১২। এর আগে সাদ্দাম ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
এছাড়া মাজহারুল কবির শয়ন ও তানভীর হাসান সৈকতকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
তারা যথাক্রমে নৃবিজ্ঞান এবং থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র এবং তাদের অনার্স সেশন ২০১১-২০১২ ও ২০১৩-২০১৪।
ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে রিয়াজ মাহমুদ ও সাগর আহমেদ এবং ঢাকা দক্ষিণ শাখায় রাজিবুল ইসলাম ও সজল কুন্ডুর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতির মুখোমুখি অবস্থানে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ
জাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলায় ৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত
নড়াইলে বিজয় দিবসে শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মারধর, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
আহতদের মধ্যে একজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হাত ভেঙ্গে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হবে।
বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতি বছরের মতো ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে শিল্পকলায় স্মৃতিসৌধে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গেলে পুলিশের সামনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আমাদের বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এতে পাঁচ থেকে ছয় জন নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় আমাদের ফুলের বেদি ভেঙ্গে ফেলে ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো, মাহমুদুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ২
নড়াইলে গলায় কলসি বাঁধা অজ্ঞাতনামা নারীর লাশ উদ্ধার
বগুড়ায় বিজয় দিবসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি
বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মহান বিজয় দিবসে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দুই গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় পতাকাসহ দলীয় সব পতাকা উত্তোলনের পরে এ ঘটনা ঘটে৷
এ সময় দলীয় কার্যালয়সহ সাতমাথা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে হাতাহাতি ও ধাওয়ার ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
আরও পড়ুন: সিলেটে আ'লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও নিরব দর্শক ছিলেন তারা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলনসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতারা জাতীয় পতাকাসহ দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপরেই জেলা ছাত্রলীগের কাঙিক্ষত পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা শ্লোগান শুরু করেন।
এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা শ্লোগান শুরু করলে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ও ধাওয়া দেন।
এ সময় দলীয় কার্যালয় ও সাতমাথা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনায় ছাত্রলীগের দু'পক্ষের কেউ আহত হয়নি বলে জানা গেছে।
এসময় সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তারা কোন অ্যাকশনে যাননি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোন পক্ষ কথা বলেননি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৮ জন আহত
কুষ্টিয়ায় শোক সভায় আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০