পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
র্যাব ইজ আ ব্র্যান্ড নেম ফর পিস: শাহরিয়ার
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) ‘ব্র্যান্ড নেম ফর পিস’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, এই প্রতিষ্ঠানের বদনাম করা উচিত নয় যা দেশকে জঙ্গিবাদ দমনে সহায়তা করেছে।
তিনি বলেন, ‘প্লিজ ডু নট ট্রাই মেলাইন দিস ইনস্টিটিউশন দ্যাট উই রিলাই আপঅন হেভিলি।’
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামে-গঞ্জে যাবেন, র্যাব ইজ আ ব্র্যান্ড নেম ফর পিস। র্যাব ইজ আ ব্র্যান্ড নেম হোয়্যার ইউ গেট জাস্টিস। র্যাব ইজ আ ব্র্যান্ড নেম ফর অ্যান্টি টেরোরিজম অ্যাক্টিভিটিস।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা তুলনামূলক কম ক্ষতিতে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি এবং এই লড়াই শেষ না হলেও মূল উৎপাটন করতে সক্ষম হয়েছি।’ বাংলাদেশের মতো দেশ যে কোনো সময়ে এই জাতীয় সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে বলেও যোগ করেন তিনি।
শাহরিয়ার বলেন, যারা সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে দেখতে চান যেখানে সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে, যেখানে সকলের মতামতের পরিবেশ বজায় থাকবে; তাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে হবে যা জাতির গর্ব।
তিনি বলেন, ‘র্যাবকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা আগেও ছিল এবং প্রশিক্ষণ ও অর্থ দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনের সমালোচনা সরকারের
তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা যে কাজগুলো করেছেন, সেখানে যে ব্যত্যয় হয়েছে সেইগুলো নিয়েও কিন্তু এখন উই আর এনগেইজড, উই আর ওপেন। আমরা এগুলো সুরাহারও পথ খুঁজছি।
তিনি বলেন, তারা খুব জটিল বিশ্বে এবং খুব জটিল পরিবেশে কাজ করছে যেখানে বাহ্যিক, কারণ অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো মহল থেকে কোনো হস্তক্ষেপ চায় না।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
সম্প্রতি প্রকাশিত মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে মৌলিক ত্রুটি রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আলোচনার বিষয় রয়েছে। তাই সরকার মার্কিন সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। এ দেশ আইনের শাসন, মানবাধিকার ও সুশাসন অনুসরণ করে এবং তাই এর অর্থনৈতিক অর্জনও উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো: তথ্যমন্ত্রী
এদিকে পৃথক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিবেদনটি সমাজ ও সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি ‘অরাজকতার সমাজ’ তৈরিতে উৎসাহিত করছে বলে মনে হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, সব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সরকার জনগণের কাছে করা নিজস্ব প্রতিশ্রুতির জন্য জনগণের মঙ্গল, অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল ‘বাংলাদেশ ২০২১ হিউম্যান রাইটস রিপোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও শ্রম ব্যুরো প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে তথ্য বিভ্রাট হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
(এ প্রতিবেদনের জন্য) সংগৃহীত সব পর্যবেক্ষণ প্রধানত এনজিও/আইএনজিও রিপোর্টিং উৎস থেকে সংগৃহীত বলে নোট করেছে সরকার।
সংবাদপত্র থেকে তথ্য/উপাত্তও সংগ্রহ করা হয়েছে যা থেকে বুঝা যায় গণমাধ্যম প্রতিবেদন করার ক্ষেত্রে তাদের পদ্ধতি অনুশীলন করতে সক্ষম।
মানবাধিকার পরিস্থিতির বিপরীতে বেশ কিছু অপ্রমাণিত পরিসংখ্যান উৎসের উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। এছাড়া প্রতিবেদনে কিছু বাস্তবিক ত্রুটি রয়েছে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।
মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনের সমালোচনা সরকারের
বাংলাদেশে মানবাধিকার অনুশীলনের বিষয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে ‘সরকারবিরোধী প্রচারণা মেশিন’ থেকে সংগ্রহ করা কিছু ‘ভুল তথ্য’ রয়েছে দাবি করে এর সমালোচনা করেছে সরকার।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা প্রতিবেদনটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অধ্যয়ন করছি এবং রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে (এ বিষয়ে) বিস্তারিত শেয়ার করবো।’
বুধবার প্রতিবেদনটির বিষয়ে তার প্রাথমিক মন্তব্য চাওয়া হলে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার চুক্তি করছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
তিনি বলেন, মার্কিন সরকারকে ‘ভুল ধারণা’ থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা করবে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী প্রতিবেদনের বেশ কয়েকটি দিক তুলে ধরেন যেখানে কোনো যুক্তি ছাড়াই সরকারকে দোষারোপ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ‘এটা ভুল। এটি মিথ্যা। এটা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ২০২১ সালের কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে এই বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে মানবাধিকার রেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি বিশ্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে মানবাধিকার সুরক্ষিত হয়, এর রক্ষকদের প্রশংসা করা হয় এবং যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাদের জবাবদিহি করা হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়াতে আমাদের অবশ্যই নিজেদের নিবেদিত করতে হবে, একসঙ্গে কাজের মাধ্যমে। আমরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব সে সম্পর্কে সততার সঙ্গে কথা বলতে হবে। মানবাধিকার পরিস্থিতির অগ্রগতি শুরু হয় তথ্য দিয়ে।’
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা: যুক্তরাষ্ট্রে আইনজীবী নিয়োগ দেবে সরকার
জাতিসংঘের মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা এবং তৎপরবর্তী মানবাধিকার চুক্তিগুলোতে দেখানো পথ অনুসরণ করে, কান্ট্রি রিপোর্টে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের পরিপালন ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা তুলে ধরা হয়।
দেশভিত্তিক প্রতিবেদনে আইনি উপসংহার টানে না, দেশগুলোকে রেট করে না বা তারা মান পূরণে ব্যর্থ হয়েছে কি না তাও ঘোষণা করে না।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানায়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এমন একটি পররাষ্ট্রনীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে আমাদের কূটনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে যুথবদ্ধ করে এবং যা গড়ে উঠেছে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সুরক্ষাকে কেন্দ্রে রেখে।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এই ৫০তম বার্ষিকীতে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকারের উন্নয়ন সবার ওপরে থাকবে।
বাংলাদেশকে এলএনজি সরবরাহ অব্যাহত রাখবে কাতার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও বাংলাদেশকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ অব্যাহত রাখবে কাতার।
রবিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলী আল-কাহতানি এ আশ্বাস দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী কাতারে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভ্যাকসিন সহায়তা এবং কোভিড সংকটের সময় তাদের ফেরত না পাঠানোর জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে আরও জোরালো অংশীদারিত্ব চায় সুইজারল্যান্ড
তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে একে অপরকে সমর্থন করার জন্য কাতার সরকারের প্রশংসা করেন।
শাহরিয়ার আলম রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে অবহিত করেন এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত দেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং অব্যাহত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন।
এছাড়াও তিনি কোভিডের সময় কাতারে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
পড়ুন: এফএওকে একটি আন্তর্জাতিক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব শেখ হাসিনার
নিরাপদে পোল্যান্ড, রোমানিয়ায় প্রবেশ করেছেন ২০০ বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
ইউক্রেন থেকে প্রায় ২০০ বাংলাদেশি নাগরিক পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় প্রবেশ করেছেন। শনিবার রাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এই তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশি নাগরিকদের ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও মলদোভায় যেতে সহায়তা করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা প্রায় ৭০০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সঙ্কট: রাজধানী কিয়েভে কারফিউ অব্যাহত
ওয়ারশতে বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি দল পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্তের কাছে পোল্যান্ডে প্রবেশে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকদের সহায়তা করতে কাজ করছে।
এর আগে, ইউক্রেনে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের প্রতিবেশী ইউরোপীয় দেশগুলোতে দেশের কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আহ্বান করে বাংলাদেশ। তাছাড়া পোল্যান্ড ও রোমানিয়া বাংলাদেশিদের অস্থায়ী আশ্রয় দিতে এগিয়ে এসেছে।
শনিবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার বরাত দিয়ে এপি জানিয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ এখন পর্যন্ত ইউক্রেন ছেড়ে পোল্যান্ড ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: রুশ হামলায় ১৯৮ জন নিহত, আহত সহস্রাধিক: ইউক্রেনের মন্ত্রী
রুমানিয়া যেতে পারবেন ইউক্রেনের নাগরিকরা
ইউক্রেনের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নাগরিকদের রোমানিয়ায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রুমানিয়া সরকার দুই দিনের থাকার ব্যবস্থা করবে এবং তারপর বুখারেস্টে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে রেখে তাদের বাংলাদেশে আসার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, রুমানিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস আরও বিস্তারিত নোটিশ আকারে কিছুক্ষণের মধ্যে প্রকাশ করবে।
আরও পড়ুন: ভিসা ছাড়া পোল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন ইউক্রেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক গভীরতর করতে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ বাংলাদেশের
ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি (ইউএনবি)- ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক আরও গভীর করতে এক বছরের জন্য সম্প্রতি একটি মার্কিন লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক বজায় রাখতে আমরা সম্প্রতি নেলসন মুলিনসকে নিয়োগ দিয়েছি। এটি একটি জিআর (সরকারি সম্পর্ক) ফার্ম।’
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শাহরিয়ার আলম।
এই জিআর ফার্মের নিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খুবই স্বচ্ছ উপায়ে গভীর ও বেগবান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মাসিক ২০ হাজার মার্কিন ডলার চুক্তিতে প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর এ পদক্ষেপ নিলো সরকার।
শাহরিয়ার আলম বলেন, এটি একটি সরকারি নথি এবং আরও তথ্যের জন্য যে কেউ এটি দেখতে পারবেন।
এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়ার ইঙ্গিত দেন।
আরও পড়ুন: লবিস্ট নিয়োগে খরচ করা প্রতি পয়সার হিসাব দিতে হবে বিএনপিকে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি এও স্পষ্ট করেন যে এই বিষয়টি মোকাবিলায় তাদের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। এটা হতে পারে আইনি প্রক্রিয়ায় বা কূটনৈতিকভাবে। বাংলাদেশ সরকার এর জন্য তৃতীয় কোনো রাষ্ট্রকে জড়িত করতে চায় না।
এর আগে র্যাব এবং এর বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন রাজস্ব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশ।
ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, যে সব বাংলাদেশি ইউক্রেন ছেড়ে পোল্যান্ডে আসবে তাদের ফিরিয়ে আনতে সরকার চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হলো আমাদের নাগরিকদের ইউক্রেন থেকে নিরাপদে পোল্যান্ডে নিয়ে আসা।’
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সম্ভাব্য অপসারণের বিষয়ে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ক্যাব) ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা পোল্যান্ড থেকে (বাংলাদেশি নাগরিকদের) সরিয়ে নেয়ার পদ্ধতি চূড়ান্ত করবেন এবং প্রয়োজনে তারা বিদেশি এয়ারলাইন্সের সঙ্গেও কথা বলবেন।
পোলিশ সরকার বাংলাদেশিদের সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য ভিসা দেয়ার আশ্বাস দিলেও তা এখনও শুরু হয়নি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (বাংলাদেশিদের) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ড সীমান্তে আসতে হবে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে বাংলাদেশিদের নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ
ইউক্রেন থেকে আসা বাংলাদেশিদের ১৫ দিন পর্যন্ত থাকতে দেবে পোল্যান্ড এবং এর আগেই বাংলাদেশ সরকার তাদের ফিরিয়ে আনার আশাবাদ ব্যক্ত করে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের অপসারণের আগ পর্যন্ত বাসস্থান সুবিধা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ওয়ারশে বাংলাদেশ দূতাবাস বৃহস্পতিবার সকালে দ্রুত অন অ্যারাইভাল ভিসা দেয়ার জন্য পোলিশ সরকারের কাছে আবারও আহ্বান করে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইতালি ও জার্মানির বাংলাদেশ মিশন থেকে অতিরিক্ত কর্মকর্তা পাঠানো হচ্ছে যেন কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় সেবা দেয়া যায়।’
এর আগে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয় বাংলাদেশ।
শিক্ষার্থীসহ আনুমানিক ৫০০ বাংলাদেশি নাগরিক বর্তমানে ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: রুশ হামলা বন্ধে ভারতের হস্তক্ষেপ চায় ইউক্রেন
পোল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাস জানিয়েছে, তারা ‘ইউক্রেনে বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও পদক্ষেপের বিষয়ে’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন ওয়ারশ থেকে ফোনে ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রায় ৫০০ বাংলাদেশির সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগে আছে। আমরা তাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলেছি।’
রাষ্ট্রদূত সুলতানা অবশ্য আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ইউক্রেনে আরও বাংলাদেশি থাকতে পারে যারা এখনও দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’
ইউক্রেনে বর্তমানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস বা কনস্যুলেট নেই। পোল্যান্ডে দেশটির দূতাবাস ইউক্রেনের ডি-ফ্যাক্টো কূটনৈতিক মিশন হিসেবে কাজ করে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশিদের সাময়িকভাবে দেশটি ত্যাগ করার পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে। অবিলম্বে অন্য কোন দেশে যেতে না পারলে তারা বাংলাদেশে ফিরে যেতে পারেন। ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে পরামর্শ হালনাগাদ করা হবে।
আরও পড়ুন: বেলারুশ থেকে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া: ইউক্রেন
এতে আরও বলা হয়েছে, একই সঙ্গে অত্যাবশ্যক না হলে বাংলাদেশিদের ইউক্রেনে সব ধরনের ভ্রমণ পরিহার করার জন্য পরামর্শ দেয়া হলো।
এছাড়া ইউক্রেনে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের তাদের অবস্থানের তথ্য দূতাবাসকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে যেন জরুরি প্রয়োজনে দূতাবাস তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আইনি সিদ্ধান্ত এ সপ্তাহে
র্যাব ও এর সাত বর্তমান-সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে এ সপ্তাহে সরকার আইনি সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য কূটনৈতিক উপায় বের করা ছাড়াও কীভাবে আইনি পথে এগোবে সে বিষয়ে সরকার এখন সিদ্ধান্তের কাছাকাছি। আমরা আশা করছি এই সপ্তাহে একটি সিদ্ধান্তে আসব।’
মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
তিনি আরও জানান, তারা তিনটি আইনি সংস্থার সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা বলেছেন এবং সেই সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সেরা পরামর্শ নেবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইনি বা কূটনৈতিক উপায়ে বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য তাদের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার এই প্রক্রিয়ায় তৃতীয় কোনো দেশকে জড়াতে চায় না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র আগামী মাসগুলোতে ‘পার্টনারশিপ ডায়ালগ’ সহ বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আরও বেশি সম্পৃক্ততা দেখতে পাবে।
এর আগে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বর্তমান ও সাবেক কিছু কর্মকর্তার ওপর মার্কিন ট্রেজারি ও স্টেট বিভাগের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বাংলাদেশ তার ‘অসন্তোষ’ জানিয়েছিল।
বাংলাদেশ বলেছে যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই মার্কিন প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত ‘একতরফাভাবে’ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সংলাপ, সম্পৃক্ততা এবং সহযোগিতার পথ অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছে।
আর পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের ওপর গণহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে বিশ্বাস করি না: মার্কিন কংগ্রেসম্যান
মার্কিন চাপের কথা প্রত্যাখ্যান ঢাকার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো চাপ নেই। আগামী মাসগুলোতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর হবে। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
মঙ্গলবার বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র চাপে রেখেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,‘মোটেই না, একেবারেই না।’
এরপর মার্কিন চাপের বিষয়ে পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মিডিয়া রিপোর্টের বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, তিনি এ ব্যাপারও অস্বীকার করে বলেন, ‘কমিটির কোনো সদস্য এই ধরনের কোনো মন্তব্য করেননি (বাংলাদেশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিচ্ছে)।‘
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদীয় স্থায়ী কমিটির যেকোনো কথোপকথন অত্যন্ত গোপনীয়। এই কথোপকথন কমিটির বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, আগামী মাসে ‘পার্টনারশিপ ডায়ালগ’সহ বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রুশ হামলার আশঙ্কা, ইউক্রেন থেকে দূতাবাস সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
শাহরিয়ার বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম রজার্সের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবাদ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
ব্লিঙ্কেনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের আমন্ত্রণ এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মনোনীত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি মনে করি এই সম্পৃক্ততাগুলোর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্রও বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে আগ্রহী।’
সূত্র জানায়, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বাংলাদেশ মিশনগুলো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার পাশাপাশি বর্তমান ও প্রাক্তন র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য তাদের কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে।
এর আগে, গত শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ মিশন পরিদর্শন করার সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছেন, তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে ‘এগিয়ে ও চালিয়ে যেতে’ ঢাকার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
পিটার ডি হাস আগামী মার্চের শুরুতে ঢাকায় আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পিটার আরও বলেছেন, তারা বছরব্যাপী কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপন করতে চান এবং সম্ভাবনাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে চান। এবং গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের যে অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে তার স্বীকৃতি দিতে চান।
পড়ুন: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী
কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্চ মাসে ‘অংশীদারিত্বের সংলাপ’ এর পরবর্তী রাউন্ড আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। কারণ দুই পক্ষই পারস্পরিক স্বার্থের মূল বিষয়গুলোতে ‘গভীর সম্পৃক্ততা’ রক্ষা করতে চায়৷
উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা, দুর্যোগে ত্রাণ, শাসন, বিশেষ করে মানবাধিকার, নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা সম্পর্কিত বিষয় এবং অংশীদারিত্ব সংলাপে করোনা মহামারি ইস্যুতে সহযোগিতা পর্যালোচনা ও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসেডর ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব সংলাপের সহ-সভাপতিত্ব করতে ঢাকায় আসবেন।
পড়ুন: বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার: যুক্তরাষ্ট্র