চাল
যে কোনো মূল্যে আমাদেরকে চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক কৃষি কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের যে কোনো মূল্যে চালের উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, রেকর্ড উৎপাদন ও সর্বকালের সর্বোচ্চ সরকারি মজুদ থাকার পরও দেশে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। চাল আমাদের প্রধান খাদ্য, তাই যে কোনো মূল্যে চালের উৎপাদন আমাদেরকে বাড়াতে হবে।
রবিবার সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হাওর- উপকূলসহ প্রতিকূল এলাকায় ধানের চাষ সম্প্রসারণ এবং নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ উৎপাদনশীল জাতগুলোকে দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সকল কর্মকর্তাদের সমন্বিত ও নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: মাটির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক উদ্যোগ জরুরি: কৃষিমন্ত্রী
প্রকল্প পরিচালকদের প্রতি (পিডি) অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেয়ার আশা না করে সততা, নিষ্ঠা ও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পেশাগত দক্ষতা, যোগ্যতা, নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনার সামর্থ্যসহ নানা দিক বিবেচনা করে পিডি নিয়োগ দেয়া হয়। পিডি হয়ে অনিয়ম দুর্নীতি করে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিবেন ও পাবেন এই আশায় তদবির করে পিডি হবেন না। আর যারা পিডি হয়েছেন, তাদেরকে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করতে হবে। সততা, নিষ্ঠা ও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
এসময় সরেজমিনে কঠোরভাবে প্রকল্পের কাজ তদারকি করতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন কৃষিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপির প্রভু হলো পাকিস্তান: কৃষিমন্ত্রী
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭১টি। মোট বরাদ্দ দুই হাজার ৯২৮ কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ, যা জাতীয় গড় অগ্রগতিরে চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ২৪ শতাংশ।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ, কমলারঞ্জন দাশ, মো. রুহুল আমিন তালুকদার, বলাই কৃষ্ণ হাজরা, আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলায় ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি শুরু বৃহস্পতিবার: খাদ্যমন্ত্রী
দেশের সব উপজেলায় বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে খোলাবাজারের (ওএমএস) মাধ্যমে চাল ও আটা বিক্রি শুরু করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সারাবছর আমাদের ওএমএস চালু আছে। তবে এটা সীমিত ছিল। ৭৩০টি দোকানে চালু ছিল। আগামীকাল থেকে উপজেলা পর্যায়ে প্রায় এক হাজার ৭৬০টি ডিলারের মাধ্যমে আমাদের এএমএস চালু হবে। আমাদের চালের মজুদ এখন সর্বকালের সর্ববৃহৎ মজুদ। এটা কোয়ালিটিফুল চালের মজুদ। আমি আশা করি মানুষ এটা নিয়ে খাবে।
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে যেহতু খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আছে, ১০ টাকা কেজি চাল আছে এ জন্য ইউনিয়নে এটা চলবে না। কিন্তু একটা উপজেলায় যদি তিনটা পৌরসভা থাকে সেখানে কর্মসূচি চলবে।’
আরও পড়ুন: মিনিকেট-নাজিরশাইল নামে কোনো ধান নেই: খাদ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ওএমএসের মাধ্যমে যে চাল বিক্রি করা হবে সেটির দাম রাখা হয়েছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা। আর আটা পাওয়া যাবে প্রতি কেজি ১৮ টাকায়।
তিনি বলেন, আবার আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, গমের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই কিন্তু ব্র্যান্ড আছে। ভারত থেকে মিনিকেট নামে যেটা আসে আমরা ২৫ ভাগ পর্যন্ত ট্যাক্স এনে দেয়ার পরও ১৭ লাখের অর্ডার করে মাত্র ১০ হাজার পেয়েছি। তার অর্থ সেখানে এতো দাম বেড়েছে সেটা এনে এখানে পোষাচ্ছে না। শিপের ভাড়াও চার-৫ গুন বেশি বেড়েছে।
ওএমএস কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ওএমএস যাতে সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায় এ জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে মনিটরিং টিম করা হয়েছে। উপজেলা ও জেলায় যেন সব সময় মনিটরিং হয়।
তিনি বলেন, যদি কেউ অবৈধ মজুদ করে রাখে তাদেরকে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মজুদ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে আমরা চিঠি দিয়ে নির্দেশ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: পরনির্ভরতা কমাতে কৃষি প্রণোদনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
সরকার চলতি অর্থবছরে সাড়ে ৯ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করবে
সরকার চলতি অর্থবছরে সারাদেশে কৃষকদের কাছ থেকে মোট সাড়ে ৯ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করবে। কর্মসূচির আওতায় তিন লাখ মেট্রিক টন ধান, পাঁচ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল এবং দেড় লাখ মেট্রিক টন গম সংগ্রহ করা হবে।
রবিবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের এক ভার্চুয়াল সভায় এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এ বছর আমন ধান, চাল ও গমের সরকারি সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। সভায় আমন ধানের সরকারি ক্রয় মূল্য প্রতি কেজি ২৭ টাকা, চালের মূল্য প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং গমের মূল্য প্রতি কেজি ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। চলতি অর্থ বছরে (২০২১-২২) উল্লিখিত মূল্যে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে। এসময়ে তিন লাখ মেট্রিক টন আমন ধান, পাঁচ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ক্রয় করা হবে। এছাড়া আগামী ১ এপ্রিল থেকে দেড় লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সভায়।
উল্লেখ্য, গত বছর আমন ধান ও চালের দাম ছিল যথাক্রমে ২৬ ও ৩৬ টাকা।
সভায় অন্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
সভাপতির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষকের জন্য নায্য মূল্য নিশ্চিত করতে চায় সরকার। পাশাপাশি খাদ্যের নিরাপত্তা মজুতও বৃদ্ধি করতে চায়। বেরো ধান সংগ্রহে সফল হয়েছে সরকার। সে ধারাবাহিকতায় আমন সংগ্রহেও সফলতা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রান্তিক কৃষকের কাছে প্রণোদনার সুফল পৌঁছে দিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি প্রকৃতি ও অঞ্চল নির্ভর। দেশে ধানের পাশাপাশি পেয়াজ, রসুনসহ আরও বেশ কিছু কৃষি পণ্য দেশে উৎপাদিত হলেও সংরক্ষণের অভাবে কৃষক নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। দেশে কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাওয়া, শিল্পকারখানা বৃদ্ধি পাওয়া এবং সর্বোপরি নন হিউম্যান কনজামশন বেড়ে যাওয়ার পরও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। ধানের উৎপাদন টেকসই করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ খাদ্য পণ্যসহ আরও বেশ কিছু পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে থাকে। মান সম্পন্ন পণ্য উৎপাদন হলে রপ্তানি সম্ভাবনা আরও বাড়বে।
সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং দূর্যোগ ব্যবন্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সিনিয়র সচিব ও সচিবগণ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মতামত তুলে ধরেন এবং খাদ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে স্মার্ট কার্ড: খাদ্যমন্ত্রী
চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮.১৩ শতাংশে উন্নীত হবে: অর্থমন্ত্রী
মাগুরায় ভিজিএফের চাল আত্মসাত: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলায় ভিজিএফের চাল আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগে নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী মিয়াসহ তিনজনের নামে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. লাল্টু মিয়া বাদী হয়ে মহম্মদপুর থানায় মামলাটি করেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন নহাটা বাজারের চালের ব্যবসায়ী আনন্দ কুমার দে ও তাঁর ভাই সমীর কুমার দে।এদিকে একই অভিযোগে নহাটা ইউপির সচিব আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মঞ্জুর রহমান নামে অপর এক চাল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ৯০০ কেজি ভিজিএফের চালসহ আটক ১
থানা-পুলিশ ও ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার নহাটা ইউনিয়নে এক হাজার ৬২৭ জন দুস্থ, অসহায় ব্যক্তির জন্য ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ওই চাল তাঁদের মধ্যে বিতরণ না করে স্থানীয় দুই ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে ইউপির চেয়ারম্যান আলী মিয়ার বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে গত রবিবার বেলা ১১টার দিকে ইউএনও মো. শাহিন হোসেন নহাটা গ্রামে চাল ব্যবসায়ী আনন্দ কুমার দে ও তাঁর ভাই সমীর কুমার দের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভিজিএফের ২২ বস্তা চাল (১ হাজার ১০০ কেজি) উদ্ধার করেন।
এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নহাটা বাজারের আরেক চাল ব্যবসায়ী মঞ্জুর রহমানের গুদামে অভিযান চালিয়ে ভিজিএফের ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার করেন ইউএনও মো. শাহিন হোসেন। এ সময় মঞ্জুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় মামলা করেন নহাটা ইউপির সচিব আলমগীর হোসেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ভিজিএফের ২৯ বস্তা চাল জব্দ
তবে চাল আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আলী মিয়া বলেন, ‘মেম্বারদের (ইউপি সদস্য) উপস্থিতিতে ৩২২ বস্তা চাল এক হাজার ৬২৭ জন দুস্থ লোকের মধ্যে তিন দিন ধরে বিতরণ করেছি। মাস্টার রোলে সদস্যদের স্বাক্ষর আছে। ভিজিএফের চালে গন্ধ থাকে। তাই গরিব মানুষ ওই চাল খেতে চান না, ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন। উদ্ধার হওয়া চালের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউএনও সাহেব আমার কাছে ভিজিএফের ৩০০টি কার্ড দাবি করেন। কিন্তু তালিকা চূড়ান্ত হওয়ায় তাঁকে কোনো কার্ড দিতে পারিনি। তাই আমার ওপর তাঁর রাগ ছিল।’
কার্ড চাওয়ার কথা স্বীকার করে ইউএনও মো. শাহিন হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকেরা আমার কাছে এসেছিলেন। তাঁরা কিছু কার্ড চেয়েছিলেন। তাঁরা রাজনীতি করেন। এ জন্য তাঁদের কার্ডের দরকার হয়। আমি চেয়ারম্যানকে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি তা দিতে পারেননি। এর সঙ্গে ভিজিএফের ওই চাল উদ্ধার বা মামলার কোনো সম্পর্ক নেই।’
আরও পড়ুন: চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে, দাবি খাদ্যমন্ত্রীর
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরীকুল ইসলাম বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা মামলাটি রেকর্ড করার পর দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠিয়ে দিয়েছি। কমিশন মামলা তদন্ত করবে।’
চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে, দাবি খাদ্যমন্ত্রীর
দেশে চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে খাদ্য পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্যবান্ধব সরকারের যথপোযুক্ত পদক্ষেপের কারণে বিশেষ করে চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে। দেশে কোন খাদ্য সংকট নেই।’
রবিবার সকাল ১০টার দিকে নওগাঁর সান্তাহার কেন্ত্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারে (সিএসডি) বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের মানুষের কল্যাণই প্রধানমন্ত্রীর ‘ধ্যান জ্ঞান’: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে ১০ টাকা কেজি মূল্যে খোলা বাজারে চাল বিক্রি ব্যবস্থা চালু রয়েছে। গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচি যথাযথভাবে চলমান রয়েছে। সারাদেশে খাদ্য সংরক্ষণের জন্য গুদামগুলোতে ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সেগুলোতে মানসম্মত খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ছোঁয়া সবখানে পৌঁছে গেছে: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদর বলেন, খাদ্য গুদামগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের জীবনমান উন্নত করতে আধুনিকমানের আবাসন ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারগুলোতে গেস্ট হাউজ ও কনফারেন্সরুম নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাকালেও দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে: খাদ্যমন্ত্রী
সান্তাহার কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারে (সিএসডি) এক কোটি ৩৩ লাখ ৫ হাজার ৪৭৬ টাকা ব্যয়ে দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট আনসার ব্যারাক, সাত কোটি ৫৫ লাখ ৫৮ হাজার ১১০ টাকা ব্যয়ে আভ্যন্তরীণ আরসিসি রাস্তা নির্মাণ এবং ৯৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ম্যানেজারের দ্বিতল অফিস ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। মন্ত্রী এসব প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন করে কাজরে অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
চাল ব্যবহারের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটতি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মাছ, পোল্ট্রি, প্রাণিখাদ্য ও স্টার্চ হিসেবে চালের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব মিলে দেশে চালের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বছর বছর জনসংখ্যা বাড়ছে, চাষের জমি কমছে। অন্যান্য ফসলের চাষেও জমি ব্যবহার হচ্ছে। দেশে বছরে এখন ৬০ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হচ্ছে। আগে যে খেতে ধানের চাষ হতো সেখানেই ভুট্টা চাষ হচ্ছে। একইসাথে, চালের নন-হিউম্যান কনজামশন অনেক বেড়েছে। মাছ, পোল্ট্রি, প্রাণিখাদ্য ও স্টার্চ হিসেবে চালের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব মিলে দেশে চালের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় কৃষিবিপ্লব ঘটবে: কৃষিমন্ত্রী
বুধবার ঢাকার ফার্মগেটে বিএআরসি মিলনায়তনে ‘ফার্ম সেক্টর অব বাংলাদেশ: প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
১৭ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিল সরকার
দেশে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ৪২৮ জন ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানকে কম শুল্ক হারে ১৭ লাখ ২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
খাদ্য মন্ত্রণালয় ১৭ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এই অনুমতি দিয়েছে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে অবহিত করেছে বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনাঞ্চলে চালের দাম আবারও বৃদ্ধি
সোমবার (৩০ আগস্ট) ৭৯টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ১ লাখ ১ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ ও আতপ (নন-সেদ্ধ) চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। এনিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় মোট ৪২৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭ লাখ ২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
তবে আমদানিকারকদের আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমদানিকৃত চাল বাজারজাত করতে হবে বলে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে অন্যান্য শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে আমদানিকৃত চালের মধ্যে সর্বাধিক ৫ শতাংশ ভাঙা শস্য নিশ্চিত করা, ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অফ ক্রেডিট) খোলা এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ইমেইলের মাধ্যমে এলসি সম্পর্কিত তথ্য অবিলম্বে জানানো।
আরও পড়ুন: শেরপুরে চালের দাম বাড়ানোর দাবি চালকল মালিকদের
এছাড়া আমদানিকৃত চাল আমদানিকারকদের নাম ব্যবহার করে পুনরায় প্যাকেজ করা যাবে না এবং চাল প্লাস্টিকের বস্তায় বিক্রি করতে হবে।
যদি কেউ নির্ধারিত সময়ে এলসি খুলতে ব্যর্থ হয়, তবে অনুমতি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এর আগে ১২ আগস্ট স্থানীয় বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। চালের আমদানির শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে এনবিআর। কম আমদানি শুল্কের সুবিধা আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ওএমএস’র ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার: আটক ১
আমদানি করা চাল ইতোমধ্যে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু করেছে।
শরীয়তপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে মিলল ৭২ বস্তা সরকারি চাল
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় সরকারি খাদ্য গুদামের ৭২ বস্তা চাল পাওয়া গেছে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। সোমবার দুপুরে আংগারিয়া ইউনিয়নের চরপাতাং গ্রামের ব্যবসায়ী রব হাওলাদারের বাড়ি থেকে এই চাল উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, রব হাওলাদারের বাড়িতে সরকারি চাল নিতে দেখে স্থানীয়রা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা খাতুন পুলিশ নিয়ে চরপাতাং গ্রামের ব্যবসায়ী রব হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে ৭২ বস্তা সরকারি চাল দেখতে পান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ওএমএস’র ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার: আটক ১
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা খাতুন বলেন, ‘খবর পেয়ে ব্যবসায়ী রব হাওলাদারের বাড়ি গিয়ে ৭২ বস্তা সরকারি গুদামের চাল পেয়েছি। ওসি এলএসডি এসে বিষয়টি তদন্ত করবেন। সেক্ষেত্রে যদি অনিয়ম পাওয়া যায় এবং আইনি ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেন তাহলে অবশ্যই আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। তদন্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত চালগুলো পুলিশের পাহারায় রাখার ব্যবস্থা নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ৮৬ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার
জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. নুরুল হক বলেন, ‘এই চাল আমরা রেশন হিসেবে জেলা পুলিশকে দিয়েছি। পুলিশ চাল কি করেছে তা বলতে পারব না। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।’
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ১০০ বস্তা ভিজিডির চাল উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় ওএমএস’র ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার: আটক ১
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা স্কুলপাড়া থেকে ওএমএস’র ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে আবু সামাদ নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে এই চাল উদ্ধার করে। এসময় আবু সামাদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আটককৃত আবু সামাদ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা স্কুলপাড়ার মৃত সোনা শেখের ছেলে।
আরও পড়ুনঃ মুষ্ঠির চাল সংগ্রহ নিয়ে গাইবান্ধায় সংঘর্ষে নিহত ১
জানা গেছে ওএমএস’র ডিলার আজাদ আলী ১৯ আগস্ট রাতে উদ্ধার হওয়া চালগুলো তারই আপন চাচাতো ভাই আবু সামাদের বাড়িতে রাখে। রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সেখান থেকে ওই চালগুলো উদ্ধার করে। আবু সামাদ বলেন, ‘গতকাল রাতে আমার বাড়িতে চালগুলো রেখে যায় আমার চাচাতো ভাই আজাদ আলী বলে চালগুলো তোমার বাড়িতে রাখ। ৪/৫ দিন পর নিয়ে যাবো।‘
এ ব্যাপারে ওএমএস’র ডিলার আজাদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চালগুলো আমার বাড়িতে থাকলেও সেখানে রাখা নিরাপদ না। সে কারণে আমি ২৭ বস্তা চাল আমার চাচাতো ভাই আবু সামাদের বাড়িতে রাখি।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৩০০ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশের একটি টিম বৃহস্পতিবার রাতে আব্দুস সামাদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তার ঘর থেকে সরকারি ওএমএস’র ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আবু সামাদ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হবিগঞ্জ পাচারের সময় ভিজিডির ৩ হাজার কেজি চাল উদ্ধার, আটক ১
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবু সামাদ বলেছে আজাদ আলী তার বাড়িতে চালগুলো রেখে যায়। প্রকৃত ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখছি। সুনিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হবিগঞ্জে ৯০০ কেজি ভিজিএফের চালসহ আটক ১
হবিগঞ্জে ভিজিএফের ৯০০ কেজি চালসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ ও জাতীয় গোয়েন্দা নিরাপত্তা সংস্থা। এসময় খাদ্য গুদামের সিল দেয়া ১৭টি খালি বস্তাও উদ্ধার করা হয়।শুক্রবার সদর উপজেলার লোকড়া বাজারে একটি গুদাম থেকে এসব চাল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর ইউপি মেম্বারের ছেলে ও পুত্রবধূর নামে ভিজিএফ চাল!
আটক হাছন আলী (৪৫) উপজেলার লোকড়া গ্রামের শিরিষ আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লোকড়া বাজারে অভিযান চালায়। এসময় একটি গুদাম থেকে ১০টি এবং
আরও পড়ুন: জেলেদের জন্য ১৬ হাজার ৭২১ মেট্রিক টন ভিজিএফ বরাদ্দ
গোডাউনের মালিকের বাড়ি থেকে আটটি বড় প্লাস্টিকের বস্তায় ভিজিএফের প্রায় ৯০০ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে খাদ্য গুদামের সিল দেয়া ১৭টি খালি বস্তা উদ্ধার করা হয়।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার এসআই আব্দুর রহিম জানান, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।