আওয়ামী লীগ
ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলে দেয়া যাবে না: হানিফ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার কচু পাতার পানি নয়, তাই ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলে দেয়া যাবে না।
শনিবার দুপুরে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বিএনপি স্বপ্ন দেখছেন, সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবেন। এটা আওয়ামী লীগ সরকার। এ দলের শিকড় বাংলার মাটিতে অনেক গভীরে।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করুন: হানিফ
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যত মানুষকে হত্যা করেছেন, ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালে তথাকথিত আন্দোলনের নামে যত মানুষকে হত্যা করেছেন, এই পাপের দায়ভার বিএনপিকে বহন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব এমপি।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলু সহ কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
সভায় অর্থমন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.হ.ম মুস্তফা কামাল ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে: হানিফ
জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন আ.লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবে: হানিফ
মামলা পুনরুজ্জীবিত: সরকারবিরোধী আন্দোলনকে লাইনচ্যুত করার কৌশল হিসেবে দেখছেন বিএনপি নেতারা
বিএনপির সাম্প্রতিক সময়ের সব ধরনের বাধা উপেক্ষা করে সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রস্তুতিকালে দলের নেতারা বলছেন, আন্দোলনকে লাইনচ্যুত করার উদ্দেশ্যে সরকার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কিছু বিচারাধীন মামলা পুনরুজ্জীবিত করছে।
কিছু বিএনপি নেতা ও আইনজীবী বলছেন, সরকার বিরোধী দলকে একটি বার্তা দিতে কিছু দলের নেতাদের কারাগারে পাঠাতে পারে যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে তাদের ছাড় দেয়া হবে না।
কিন্তু সরকার অতীতে বারবার বিএনপির এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা আদালতকে প্রভাবিত করে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ থাকলেও সরকার সামগ্রিক সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে খুব ‘নার্ভাস’ হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে সতর্ক সুসংঘবদ্ধ বাধা সত্ত্বেও সরকার আমাদের সমাবেশে জনগণের অংশগ্রহণ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই, সরকার আমাদের দমন করতে তাদের দমনমূলক কর্মকাণ্ডকে আরও জোরদার করতে মরিয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমাদের সাম্প্রতিক সফল সমাবেশ থেকে এটা স্পষ্ট যে এই ধরনের রাজনৈতিক কৌশল কাজ করবে না।’
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে নিম্ন আদালতের বিচার চালিয়ে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করে দিয়েছে। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়াও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ২০০১-২০০৬ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের অভিযোগে ২০১৪ সালে মামলাটি করে দুদক।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ আরও নয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বলছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অনেক মামলার বিচার ঢাকাসহ অন্যত্র নিম্ন আদালতে চলছে।
আরও পড়ুন: খুলনার সমাবেশে খারাপ কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে: ফখরুল
বিএনপি বলছে, বর্তমানে প্রায় ৩৬ লাখ বিএনপি নেতাকর্মী এক লাখের বেশি মামলার মুখোমুখি। তারা বলছেন, এই অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার প্রায় ১৪ বছর ধরে হত্যা, গুম, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাসহ বিভিন্ন দমনমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিয়ে বিএনপিকে নির্মূল করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের নেতাদের মিথ্যা অভিযোগে কারাগারে পাঠানোর চেষ্টা করতে পারে এবং আমাদের কর্মীদের নিরাশ করার জন্য বারবার আমাদের আক্রমণ করতে পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা পাল্টে যাবে।’
মোশাররফ সতর্ক করে বলেন, ‘এটা হলে আমাদের নেতারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন জোরদার করতে আরও উৎসাহিত হবেন। এটি সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করবে এবং দেশে ও বিদেশে শাসনের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে সাহায্য করবে যা এর ক্ষমতাচ্যুতকে ত্বরান্বিত করবে।’
এই নেতা বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা এখন বাঁচা-মরার আন্দোলনে থাকায় জেলে যেতে ভয় পান না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দলের চেয়ারপার্সন চার বছর আগে জেলে গেলেও আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে অবস্থান করছেন। তা সত্ত্বেও আমাদের দল ঐক্যবদ্ধ এবং আমাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে তারা যখন বিএনপির ক্ষতি করতে ব্যর্থ হয়েছে, তখন দলের আরও কয়েকজন নেতাকে কারাগারে রেখে তারা দলকে দুর্বল করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বের কাঠামো দুর্বল নয় এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে সরকারবিরোধী আন্দোলন চালানোর জন্য দলটির অনেক ‘বিকল্প নেতা’ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তাই সরকারের কৌশল হিসেবে কিছু নেতা বা কর্মীদের জেল দিয়ে কোনো লাভ হবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা
খুলনায় বিএনপি কর্মীদের বহনকারী ট্রলারে আ.লীগের হামলা
খুলনা মহানগরীতে শনিবার অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলায় ফুলতলা উপজেলা বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শনিবার সকাল ৯টায় ভৈরব নদীর ফুলতলা ও শিকিরহাট ঘাট দিয়ে নয়টি ট্রলারে করে যাত্রা শুরু করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সড়কে পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যে বিএনপি সমর্থকরা যাত্রায় বেশ কয়েকটি ট্রলার ভাড়া করেছিল।
ফুলতলা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এনামুল ভূইয়া পারভেজ বলেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ট্রলার বহরটি খুলনার ৫ নং ঘাট এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশার, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ লুৎফর রহমানসহ অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। হামলার সময় শত শত নেতাকর্মী নিজেদের বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন। তাদের অনেককে এখনো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।
দলের বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার খুলনা মহানগর বিএনপি নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশটি দুই কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মর্জিা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনও সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে না। ‘তাই শেখ হাসিনাকে সরে যেতে হবে। এই শাসন দেশের সকল অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভয়ংকর ফ্যাসিবাদী’ ও ‘স্বৈরাচারী’ শাসনকে উৎখাত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া তাদের দলের আর কোনও বিকল্প নেই।
পড়ুন: বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: খুলনায় মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আ. লীগ ১০ আসনও পাবে না: খুলনায় ফখরুল
হলে আসন নিয়ে বাণিজ্য আ.লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি কাদেরের
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও হলের আসন বরাদ্দ নিয়ে বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের সতর্ক করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, আসন বরাদ্দ, আবাসিক হলে রাজনৈতিক কক্ষ নিয়ে বাণিজ্যে জড়িতদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং তাদের ছাড় দেয়া হবে না। তারা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।’
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে ‘স্বপ্ন ও সম্ভাবনার স্ফুলিঙ্গ-শেখ রাসেল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের নামে যারা অপকর্ম করছে তাদেরও হুঁশিয়ারি দেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘যারা অপকর্ম করছে তারা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবে না। এটা নেত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ।’
সম্ভাব্য খাদ্য ঘাটতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভবিষ্যতে দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক এটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে এবং শেখ হাসিনা শুধু তা উল্লেখ করেছেন।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তিনি এখানে কি ভুল দেখেছেন? বাংলাদেশে কি কেউ না খেয়ে মারা গেছে?
কাদের বলেন, ‘আমাদের তেলের সামান্য ঘাটতি রয়েছে। আমরা তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। ব্রুনাইয়ের সঙ্গে আমাদের একটি জ্বালানি সহযোগিতা চুক্তি হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল হালিম এবং পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দী।
পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বিতর্কের চর্চা করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের
আ.লীগ দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে: শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সব সময় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়ে ক্ষমতায় আসে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস জুড়ে আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের সমর্থনে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।’
সোমবার শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমান সেতু এবং মধুমতি নদীর ওপর বাংলাদেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে নপ্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইশা ইউসেফ আল দুহাইলান বক্তব্য দেন।
সেতুগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী।
অনুষ্ঠানে সেতু প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
পড়ুন: দেশের প্রথম ৬ লেনের সেতু উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
নাটোরে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাটোরের সিংড়ায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফতাব উদ্দিন (৫০) ও স্থানীয় ব্যবসায়ী রুহুল আমিন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বামিহাল গ্রামের ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে আফতাবের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান,রবিবার রাত ৯টার দিকে আফতাবের নেতৃত্বে একটি দল ফরিদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তিনজনকে আহত করে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় আ’লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ, হাসপাতালে ভর্তি
তিনি বলেন,খবর পেয়ে ফরিদ মেম্বারের সমর্থকরা পাল্টা হামলা চালিয়ে আফতাব ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামকে কুপিয়ে জখম করে।
সিংড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার জামিল আক্তার জানান, রবিবার রাতেই আফতাবকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুহুল আমিনের মৃত্যু হয়
আরও পড়ুন: বিএনপিকে মোকাবিলার শক্তি আ’লীগের আছে: কৃষিমন্ত্রী
স্থানীয়রা জানায়,রুহুল ইউপি সদস্য ফরিদের সমর্থক। অপর আহতরা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে ওসি মিজানুর জানিয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জামিল আক্তার জানিয়েছেন।
ফরিদপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী সাজেদা চৌধুরীর ছেলে লাবু চৌধুরী
ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা ও কৃষ্ণপুর) আসনের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নৌকার টিকিট পেয়েছেন সদ্য প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী।
মঙ্গলবার গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মনোনয়ন পাওয়ার খবর নিশ্চিত করে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, মহান আল্লাহর মেহেরবানীতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা রেখে ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার টিকেট আমাকে দিয়েছেন। আমি সবার কাছে দোয়া ও আর্শীবাদ চাই। আমি যেন আমার মায়ের (সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী) ও আমার নেত্রী শেখ হাসিনার সম্মান রক্ষা করতে পারি।’
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা-কৃষ্ণপুর) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য মোট ১৭ জন প্রার্থী আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্রের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহকারীরা ছিলেন, সদ্য প্রয়াত সাজেদা চৌধুরীর দুই ছেলে আয়মন আকবর বাবলু চৌধুরী ও শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী।
এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষ, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহালুল মজনু চুন্নু, ফরিদপুরের আটরশী পীরের নাতি জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সায়েম আমীর ফয়সাল, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদার, আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) আতমা হালিম দুলু, ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মো. সাব্বির হোসেন, ফরিদপুর জেলা মৎসজীবী লীগের আহ্বায়ক কাজী আব্দুস সোবহান, সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংবাদিক মো. লায়েকুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ইউসুফ মিয়া, কালাচাঁদ চক্রবর্তী, এয়ার কমোডর কাজী দেলোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব এবং এ বি এম শফিউল আলম বুলু।
আরও পড়ুন: রাজপথে থেকে আ.লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে: এনামুল হক শামীম
তবে এদের মধ্যে থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার মনোনয়ন পেলেন শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী।
সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশন গত ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সভায় এ তফসিল চূড়ান্ত করা হয়।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় আগামী ১০ অক্টোবর, বাছাই ১২ অক্টোবর ও প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১৯ অক্টোবর।
এ উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে ১১ সেপ্টেম্বর ওই আসনটি শূন্য হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না: পরিবেশমন্ত্রী
১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট করেনি: কৃষিমন্ত্রী
রাজপথে থেকে আ.লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে: এনামুল হক শামীম
রাজপথে থেকেই আওয়ামী লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে বলে মন্তব্য করেছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারবদ্ধ এবং যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত। তাই রাজপথে থেকেই আওয়ামী লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে।’
মঙ্গলবার শরীয়তপুরের সখিপুরে থানা শ্রমিকলীগের মতবিনিময় সভায় উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, আন্দোলনের ভয় আওয়ামী লীগকে দেখিয়ে লাভ নাই। দীর্ঘ আন্দোলন, লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এ অবস্থানে এসেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কারো কাছে ধরনা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। আওয়ামী লীগ জানে, রাজনীতি করতে হলে জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন প্রয়োজন। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করতে করতে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা গণধিকৃত দলে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাওরে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
তিনি বলেন, ৭০'র নির্বাচন ও ৭১'র মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং দেশের যেকোনো দুর্যোগে ছাত্রলীগ ও শ্রমিকলীগ গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। সুতরাং বিএনপি'র দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন শ্রমিকলীগ রাজপথেই মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: সরকারের এ মেয়াদেই দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে তিস্তা চুক্তি: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে বিদেশ নির্ভরতা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের নেতা তারেক রহমান দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে থেকে আয়েশী জীবন-যাপন করছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লুটার অপচেষ্টাও করেছে বিএনপি। তাই এসি রুমে আন্দোলনের প্রলাপ বকে। রাজপথের আন্দোলন আর এসিরুমে বসে প্রলাপ বকা এক কথা নয়।
আরও পড়ুন: বন্যায় সরকার ও দলের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপি তো তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সারাদেশে একটা মিছিল করতে পারে নাই। তারা আবার আন্দোলনের হুঙ্কার দেয়। ক্ষমতায় আসতে হলে জনগণের কাছে যেতে হয়, তাদের জন্য কাজ করতে হয়। জনগণের রায় ছাড়া কোনো প্রভু এসে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে না।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শুধুমাত্র আ.লীগের আমলেই হয়: বিবিসিকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।
রবিবার প্রচারিত বিবিসির সাংবাদিক লরা কুয়েনসবার্গকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই আপনারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে পাবেন।’
প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শ্রদ্ধা জানাতে বর্তমানে যুক্তরাজ্য সফররত শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে তার বাবাসহ পরিবারের ১৮ সদস্যকে হত্যার পর বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক স্বৈরশাসকরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এবং প্রকাশ্যে বা গোপনে দীর্ঘদিন দেশ শাসন করেছে।
হাসিনা বলেন, সামরিক শাসকরা রাজনৈতিক দল গঠন করেছে এবং তারা কখনোই জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চায়নি।
আরও পড়ুন: রাজার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময়
প্রধানমন্ত্রী বিবিসিকে বলেন, ‘তারা সেনাবাহিনী, প্রশাসন এবং সবকিছুকে শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য ব্যবহার করেছে।’
বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ব্রিটিশ হাইকমিশনারের তার সরকারের প্রতি আহ্বানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে তিনি সচেষ্ট।
গুমের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, যে কেউ অভিযোগ করতে পারে, তবে অভিযোগ কতটুকু সত্য তা আপনাকে মূল্যায়ন করতে হবে।
প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত স্মৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি প্রতিটি কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগদানে প্রয়াত রানির সাথে সাক্ষাত করেছেন এবং কথা বলেছেন।
প্রয়াত রানির সঙ্গে স্মৃতির কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘তার চমৎকার স্মৃতিশক্তি ছিল এবং তিনি আমাকে না দেখলে তখন খোঁজ নিতেন। বলতেন, হাসিনা কোথায়?
আরও পড়ুন: ‘একজন অভিভাবকের বিদায়’: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যুক্তরাজ্যের রানি হলেও তিনি কমনওয়েলথেরও নেতা ছিলেন। তাই, কমনওয়েলথের সদস্য হিসাবে তিনি আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান ছিলেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা রানিকে ভালোবাসি। তিনি খুব স্নেহশীল ছিলেন। আমি ভাগ্যবান যে তিনি সব সময় আমার নাম মনে রেখেছেন। আমি তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এখানে এসেছি।’
আরও পড়ুন: নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে: ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী
সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, জাতীয় সংসদ উপনেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে জাতির এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো, আমরা একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে হারালাম এবং আমি হারালাম একজন সত্যিকার অভভিাবক।’
আরও পড়ুন:সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে এফবিসিসিআই সভাপতির শোক
প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় থেকেই তাঁর সঙ্গে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পরিচয় এবং তখন থেকেই তিনি আওয়ামী রাজনীতিতে আকৃষ্ট হন। তিনি ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ’৬৬-এর ছয়দফা আন্দোলন এবং ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ’৭০-এর নির্বাচনে সাতজন নারী গণপরিষদ সদস্যের একজন ছিলেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল র্পযন্ত তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার পর তিনি জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
সাজেদা চৌধুরী ১৯৮৬-১৯৯২ পর্যন্ত পুনরায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মলেনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে সাজেদা চৌধুরীর ভূমকিা ছিল অপরিসীম।
৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার পর শেখ হাসিনা তাঁকে একজন অভভিাবক হিসেবে পেয়েছিলেন। সেই থেকে অসুস্থ হওয়ারপূর্ পর্যন্ত তিনি সার্বক্ষণিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছায়াসঙ্গী হিসেবেই ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন:সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
রানির জন্য শোক বই খুলছে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন