আওয়ামী লীগ
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে সাজেদুলের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরীর (দীপু) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, সাজেদুল হোসেন চৌধুরী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।
আরও পড়ন: ড. সালিমুল হকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
সীতাকুণ্ডে আ. লীগ নেতার বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বাড়ির দরজার সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গোলাবাড়িয়াস্থ বাকের ভূঁইয়ার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া বলেন, সীতাকুণ্ড আসনে যিনি নৌকা প্রতীক পেয়েছেন তার সমর্থনে সীতাকুণ্ডে আনন্দ মিছিল হয়েছে। মিছিল শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে তার কর্মী-সমর্থকরা শ্লোগান দিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই আমার বাড়ির গেইটের সামনে ১০/১২টি ককটেল হামলা চালায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়ির সামনে কে বা কারা ককটেল ছুঁড়ে মারলে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়। তবে কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
রাজধানীর মৌচাকে ইউএনবি কার্যালয়ের কাছে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ
নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা ও অপপ্রচার প্রতিহত করাই আ. লীগের মূল লক্ষ্য: কাদের
নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা ও অপপ্রচার প্রতিহত করাই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো চেষ্টাই সফল হবে না।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনার উপ-কমিটিসমূহের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসক কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন এসে গেছে। ফুল কিছু ফুটতে শুরু করেছে। আরও অনেক ফুল ফুটবে। নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া পর্যন্ত শতফুল ফুটবে। কাজেই এ নিয়ে চিন্তা করার কোন কারণ নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপির মতো ‘সন্ত্রাসী দলের’ সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার চূড়ান্ত হয়েছে। বিদেশ নিয়ে এখন আর মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। তারা হামাস-ইসরায়েল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত। লেবানন এর মধ্যে জড়িয়ে গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এটি আরও পরিষ্কার হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ। আবারও সারা বাংলায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে।
নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটিসমূহের সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান কাজী জাফরুল্লাহ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতৃত্বাধীন শক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে: কাদের
এখন সংলাপের আর সুযোগ নেই: কাদের
খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাওয়ার জন্য নতুন ফেরি চালু
আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ।
সমাবেশকে ঘিরে খুলনা জুড়ে উৎসবের আমেজ বইছে। মহাসমাবেশের জন্য নৌকার আদলে মঞ্চ তৈরিসহ ওপরে প্রতীকী পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রূপসা ঘাটে পাঁচটি ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একদিন পর কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌবন্দরে ফেরি চলাচল শুরু
শুধু রূপসা ঘাটেই নয়, জেলখানা ঘাটে তিনটি ও নগরঘাটে দুটি ফেরি চলাচল করবে। সবমিলিয়ে খুলনার তিনটি ঘাটে ১০টি ফেরি চলাচল করবে আজ।
খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগ সওজ (ফেরি বিভাগ)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজম শেখ জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় নির্বিঘ্নে দলীয় নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য আমরা নদীপথে আগের চারটি ফেরির সঙ্গে আরও ছয়টি নতুন ফেরি যুক্ত করেছি।
আরও পড়ুন: চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু
একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
অতীতের ন্যায় আরেকটি ভুয়া ও একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে অভেযোগ করেছে বিএনপি।
শনিবার (১১ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
তিনি দাবি করেন, বিএনপির আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে সরকারি গাড়িতে আগুন দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার অতীতের মতো একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করতে কৌশলহীন ও বিপজ্জনকভাবে মরিয়া হয়ে উঠেছে। শেখ হাসিনা এখন ৫৭ সেকেন্ডে নৌকার জন্য ৪৩টি সিল মেরে নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।’
মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, 'সাধারণ মানুষ এখন যুদ্ধকালীন সময়ের মতো নীরব ভীতিকর পরিবেশে বসবাস করছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার প্রধান হিংস্র খুনি হয়ে উঠেছেন... তার (প্রধানমন্ত্রীর) নির্দেশে দেশকে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই: বিএনপি
প্রবীণ এই নেতা আরও বলেন, সরকারের অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা এখন আওয়ামী লীগ লিমিটেড কোম্পানির কর্মচারী হয়েছেন।
তিনি বলেন, রাত হলেই পুলিশি অভিযানের কারণে দেশে আতঙ্ক নেমে আসে, কারণ গণতন্ত্রপন্থী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিদিন অসংখ্য মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, থানাগুলো এখন প্রতিটি বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে গ্রেপ্তার ব্যাপক বাণিজ্যে লিপ্ত হচ্ছে। ‘শেখ হাসিনা জনগণের সকল সুখ-শান্তি বিনষ্ট করে দানবের শাসন কায়েম করেছেন।’
তিনি দাবি করেন, শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ৩১৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১২টি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ এবং হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার ৪০৫ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের উদ্যোগ জনগণই বানচাল করবে: রিজভী
তিনি আরও দাবি করেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে তাদের দলের ১১ জন নেতা-কর্মী ও একজন সাংবাদিক নিহত ও তিন হাজার ৯০৬ জন আহত হয়েছেন।
রিজভী বলেন, গত ২৮ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির ১৩ হাজার ৩৮৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৪৮ হাজার ৪৪৩ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ৬১৩টি মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রবিবার সকাল ৬টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আরও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কার্যকর করতে যাচ্ছে তাদের দল। কিন্তু আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিরোধী দলের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য যানবাহনে আগুন দিচ্ছে এবং তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমাদের হাতে এর অসংখ্য প্রমাণ, ভিডিও এবং ছবি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের তৃতীয় সপ্তাহের অবরোধ শুরু রবিবার
বিএনপি এখন গর্তে ঢুকে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি এখন গর্তে ঢুকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'বিএনপি এখন গর্তে ঢুকে গেছে। গর্তের ভেতর থেকেই তারা আন্দোলনের ডাক দেয়, অবরোধের ডাক দেয়। আর তাদের অবরোধ মানে জ্বালাও-পোড়াও; মানুষকে পুড়িয়ে মারা। এদের প্রতিহত করতে হবে।'
শনিবার (১১ নভেম্বর) কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ, রেলস্টেশন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরসহ দেশব্যাপী উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ২৮ অক্টোবর বিএনপি পুলিশের ওপর হামলা করেছে। শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছে। এক পুলিশকে পিটিয়ে মেরেছে। পরে ২০ মিনিটে রাস্তা খালি করে পালিয়েছে। এখন তারা গর্তে ঢুকেছে।'
আরও পড়ুন: ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
হাছান বলেন, 'বিএনপি কর্মসূচির নামে গাড়ি পোড়ায়, মানুষের উপর বোমা নিক্ষেপ করে। এরা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু, সমাজের শত্রু। এরা হিংস্র হায়েনার চেয়েও হিংস্র। সুতরাং এদের প্রতিহত করতে হবে।'
'শেখ হাসিনা শুধু কথা দেন না, কথা রাখেন' -উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে প্রায় ১৪০ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে কক্সবাজার রুটে রেললাইন করার সমীক্ষা হয়েছিল। তবে রেললাইন করার কথা থাকলেও এত বছর তা এ পথে হয়নি। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা করে দেখালেন। এতে প্রমাণিত হয় শেখ হাসিনা শুধু কথা দেন না, কথা রাখেনও।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আমলে সারাদেশে পরিবর্তন হয়েছে। কক্সবাজারবাসী কখনো ভাবেনি এখানে এমন একটি সুন্দর রেলস্টেশন হবে এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারে যাবে। এটি কক্সবাজারের মানুষ স্বপ্নে দেখেছে বাস্তবে রূপান্তরিত হবে তা ভাবেনি।
মন্ত্রী বলেন, 'মহেশখালীতে গভীর সমুদ্র বন্দর হবে এটি কেউ ভাবে নাই। এখানে এত উন্নয়ন হয়েছে অতীতে কোনো সরকার চিন্তা করে নাই। সুতরাং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মানুষ আবার ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাবে।'
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
যমুনা-বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়ার জন্য বিএনপির রোড মার্চ: তথ্যমন্ত্রী
পাড়া-মহল্লায় আগুনসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন: তথ্যমন্ত্রী
আগুনসন্ত্রাস রোধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড় তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘সরকার তাদেরই গ্রেপ্তার করছে যারা আগুনসন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত, হুমুকদাতা-অর্থদাতা-নির্দেশদাতা আয়োজনকারী। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী মানুষকে হত্যা করেছে কিন্তু জীবন্ত পোড়ায়নি, এরা পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়েও জঘন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে যেমন পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল, আজকে এদের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে গণপ্রকৌশল দিবস ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আইএস-তালেবানের কায়দায় বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা: তথ্যমন্ত্রী
‘উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা নীতি’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আইডিইবি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আগুনসন্ত্রাসীরা আসলে রাষ্ট্রের ওপর হামলা চালাচ্ছে। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের একটির প্রধান হচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। তার বাড়িতে হামলার অর্থ বিচার বিভাগের ওপর হামলা। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন আওয়ামী লীগও না, বিএনপিও না। এখানে কেন হামলা চালাল এটি আমার বোধগম্য নয়।’
হাছান বলেন, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্ররা পরামর্শ দিতে পারে কিন্তু এমন পরামর্শ না যেটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হতে পারে বলে প্রতীয়মান হয়। আমাদের সঙ্গে সবার সম্পর্ক ভালো।
বিএনপির সঙ্গে বিদেশিদের সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজেই পালিয়ে যায় তাদের কেউ আর বাতাস দেবে না।’
আরও পড়ুন: শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ইসরাইলি বাহিনী যখন পাখি শিকার করার মতো করে মানুষ শিকার করছে, শিশু হত্যা করছে, গতকালও ৬০০ জনকে হত্যা করেছে, এর বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীতে প্রতিবাদ হচ্ছে। শুধু বিএনপি-জামাত একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তারেক রহমানের সঙ্গে মির্জা ফখরুল সাহেবের কথোপকথনে ফখরুল সাহেব বলছেন, ‘গাজায় যেভাবে হত্যাযজ্ঞ হচ্ছে তাতে কিছু বলার দরকার।’ আর তারেক রহমান পরামর্শ দিচ্ছে ‘গাজা অনেক দূরে আমরা আমাদের সমস্যা নিয়ে আছি, এটা নিয়ে বলার দরকার নেই, কারণ কেউ নাখোশ হবে।’
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের সেতু এবং মেগাপ্রকল্পগুলোসহ অবকাঠামোগত যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে, সেখানে যারা মাঠে কাজ করেন তারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় দফা সরকার গঠনের পর আজ পর্যন্ত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের পাশে থেকেছে। দেশের উন্নয়নে অনন্য ভূমিকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা নেতা-কর্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সুসংগঠিতভাবে প্রতিটি এলাকায় অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দলের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, 'এখন শুধু ঢাকা শহরে নয়, দেশের সব অঞ্চলে এই অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সরকারের অর্জন নিয়ে ১১৩৭ ভিডিও কন্টেন্ট প্রকাশ
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা।
অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে জনগণের জানমালের সুরক্ষা দিতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'তারা (বিএনপি-জামায়াত) যদি কোনো জায়গায় এ ধরনের অগ্নিসংযোগ করে, তাহলে আপনাকে সেখানে কতজন বিএনপি বা জামায়াতের লোক আছে তা খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদের (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) কাছে হস্তান্তর করতে হবে।’
তিনি বলেন, জনগণের জানমালের সুরক্ষা নিশ্চিত করা তার দলের দায়িত্ব, যাতে এসবের কোনো ক্ষতি না হয় তা দেখা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন , ‘আমাদের কিছুই নেই। আমাদের কোনো পরামর্শদাতা নেই (মুরুব্বি)। আমাদের বাংলাদেশের জনগণ আছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক সংযোগ-জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার: ১ নভেম্বর ৩ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা-মোদি
শেখ হাসিনা তার দলের সব নেতা-কর্মীকে এমনভাবে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত একজন অপরাধীও ছাড়া না পায়। তিনি বলেন, 'আগুন লাগানোর সময় যদি কেউ হাতেনাতে ধরা পড়ে, তাহলে তাকে একই আগুনে নিক্ষেপ করতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, সেই পুড়িয়ে দেন... ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে। যদি তাই হয়, তাহলে তারা শিক্ষা নেবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সিনিয়র নেতা শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মির্জা আজম, তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন (রিমি), সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞ, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান শেখ হাসিনার
বিএনপির মতো ‘সন্ত্রাসী দলের’ সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মতো একটি ‘সন্ত্রাসী দলের’ সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) তাদের নাশকতা ও সন্ত্রাসের পুরোনো রূপে ফিরে গেছে। তাই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে না।’
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপথনকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একটি সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। আমিও বলছি, তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় বিএনপির নিন্দা ওবায়দুল কাদেরের
কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে অনেকবার সংলাপের জন্য ডাকা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের ডেকেছে, রাষ্ট্রপতিও তাদের ডেকেছেন; কিন্তু তারা সংলাপে আসেনি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নিজেরাই নিজেদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করেছে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যার পর তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে। অন্যান্য দেশ আমাদের পরামর্শের ভিত্তিতে নির্বাচন করে না, তাহলে আমরা কেন তাদের কথা শুনব?’
আরও পড়ুন: বিএনপি সত্যিকার অর্থে নির্বাচন চাইলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির শনি ও রবিবারের হামলা পূর্বপরিকল্পিত: ওবায়দুল কাদের
আড়াইহাজারে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, ৩ পুলিশসহ আহত ২০
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের প্রথমদিনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে আড়াইহাজারের পাঁচরুখী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় অবরোধকারীরা দুটি বাস ভাঙচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককের পাঁচরুখীতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা সড়কের উপর গাছের গুঁড়ি, সিমেন্টের পিলার ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় লাঠিসোটা হাতে তারা সরকার বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ৫
একই সময়ে বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করলে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় একটি বিআরটিসি বাসসহ দুটি বাস ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা।
আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, মঙ্গলবার বিএনপি নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ব্যারিকেড দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা অবরোধ করছেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের উপর হামলা চালায় তারা।
তিনি জানান, এ সময় তারা তিন পুলিশ সদস্য কুপিয়ে আহত করে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, আড়াইহাজারের পাঁচরুখী এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিএনপি নেতা-কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
তিনি বলেন, বিএনপিকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার সময়ে তাদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ও ককটেল বিস্ফোরণে আমাদের তিন পুলিশ সদস্য গুরুতরসহ ছয়জন আহত হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে পর্যন্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাতুয়াইলে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে ৪ পুলিশ আহত, আটক ৩০
কিশোরগঞ্জে বিএনপি-আ. লীগ-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২