আওয়ামী লীগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির মধ্যদিয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন
আওয়ামী লীগ ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণের মধ্যদিয়ে বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে জেলা শহরের শান্তির মোড়, বাতেন খাঁর মোড় ও সোনার মোড়ে নৌকা প্রতীক ও আপেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুর ২টার পর এই ঘটনা ঘটে। এসময় নৌকা প্রতীকের দুই কর্মী আহত হয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
শান্তির মোড়ের আপেল প্রতীকের দুটি নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ উপনির্বাচনে ২ প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল উদ্ধার
সিপিডি রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) অবশ্যই রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, সিপিডি রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে অনেক জরিপ করে। তারা একটি রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আনতে চায় ও তারা সেই দলের অংশীদার।
এছাড়া এর আগেও ড. ইউনূসকে নিয়ে সিপিডি আন্তরিকতার সঙ্গে জোরেশোরে মাঠে নেমেছিল। তখন জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কৃষি উন্নত ও আধুনিক হচ্ছে: বার্লিনে কৃষিমন্ত্রী
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির অগ্রগতি সংক্রান্ত সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘দেশে ব্যবসায়ে বড় বাধা দুর্নীতি’ সিপিডির সাম্প্রতিক জরিপের এমন ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, তাদের জরিপ পদ্ধতি মানুষকে জানানো দরকার। কী পদ্ধতিতে, কীভাবে কতটা বস্তুনিষ্ঠভাবে তারা জরিপ করেছে তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
আর সিপিডি ধোয়া তুলসি পাতা নয়, নিরপেক্ষও নয়।
মন্ত্রী বলেন, করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারতের মতো দেশেও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ যে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে, এটিকে সিপিডি কীভাবে দেখে? এ অর্জন কী যাদু বলে হয়েছে?
বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে, দেশে এখন প্রবৃদ্ধি প্রায় শতকরা ছয় ভাগ। সিপিডি কি জানে দাম বৃদ্ধির কারণে টনপ্রতি ২৫০ ডলারের পটাশিয়াম সার কীভাবে আমরা ১২০০ ডলারে কিনে কৃষকদেরকে ভর্তুকিতে দিয়েছি।
উন্নত দেশসহ সারা বিশ্বেই কম-বেশি দুর্নীতি রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে, জার্মানিতেও দুর্নীতির অনেক নজির রয়েছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশেও কিছুটা দুর্নীতি আছে। খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় জেল খাটছেন। দেশ থেকে দুর্নীতি একেবারে নির্মূল হয়ে গেছে-তা বলা যাবে না।
কৃষিপণ্য ও আলু রপ্তানির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য ও আলু রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আমরা দুটি রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করছি। ইতোমধ্যে বিমান বন্দরে কৃষিপণ্যের জন্য আলাদা স্ক্যানার স্থাপন, মধ্যপ্রাচ্যে সরাসরি (সিঙ্গাপুরে হয়ে যাওয়ার পরিবর্তে) কার্গো জাহাজ যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা বাস্তবায়ন ও পূর্বাচলে আধুনিক প্যাকিং হাউজ স্থাপনের কাজ চলছে। তবে এখনও ব্যাংকিং সমস্যা, কৃষিপণ্যের রপ্তানিতে প্রদত্ত শতকরা ২০ ভাগ প্রণোদনা ঠিকমতো না পাওয়াসহ কিছু সমস্যা রয়েছে; এগুলো নিরসনেও কাজ চলছে।
সভায় কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির রোডম্যাপ ও আলু রপ্তানি বৃদ্ধির রোডম্যাপ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
এতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উন্নত দেশগুলোর প্রতি খাদ্যকে যুদ্ধ ও অবরোধের বাইরে রাখার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
বার্লিনে জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক
সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে মরিয়া: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, চলমান গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে ভয় পেয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনে সরকার ‘মরিয়া’ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, আপনি (আ.লীগ নেতা) কয়েকদিন আগে বলতেন, আমাদের রাজপথে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই, আমাদের পিঠ ভেঙে গেছে। কিন্তু এখন আপনারা (আ.লীগ) এতটাই অস্থির হয়ে পড়েছেন যে আমাদের আন্দোলন থামানোর জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করে জনগণকে নিপীড়ন করছেন।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার ফরিদপুর ও ময়মনসিংহসহ দেশের আরও কয়েকটি এলাকায় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার নিন্দা জানিয়ে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশ ও মিছিলের ঘোষণা বিএনপি’র
তিনি বলেন, ‘সরকার পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে ফেলেছে। সরকার এতটাই ভীত হয়ে পড়েছে যে তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালাচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তাদের পতন টের পেয়ে চলমান আন্দোলন নিয়ে নানা রকম অসংযত মন্তব্য করছেন।
ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেখানে পুলিশ শুধু নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেনি, বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে।
এই বিএনপি নেতা দাবি করেন, হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুই বিভাগের শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আরও ২৫০ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার নতুন শপথ নিলেন ফখরুল
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে বলেও জানান তিনি।
ছোট দল নিয়ে একযোগে আন্দোলনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের বিষয়ে তার মন্তব্য জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা কী বলেন, জনগণ তা আমলে নেয় না। ‘আমার মতো, সারা দেশের মানুষ তার মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয় না।’
১৬ জানুয়ারি জেলা পর্যায়ে কোনো কর্মসূচি নেই:
ফখরুল বলেন, সরকারের বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে ১৬ জানুয়ারি সব মহানগরী ও উপজেলা সদরে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পালন করবে তাদের দল।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) আমি বলেছিলাম সব জেলায়ও কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে জেলায় নয়, সব মেট্রোপলিটন শহর ও উপজেলাতেই কর্মসূচি পালন করা হবে।’
আরও পড়ুন: ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আরও জেগে ওঠুন: জনগণের প্রতি ফখরুল
সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে।
তিনি বলেন, দয়া করে আর ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করবেন না। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির কোমর ভেঙেছে, আবার ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করলে পা ভেঙে যাবে।
বুধবার বিকালে রাজধানীর মিরপুরে শাহ আলী ঈদগাহ ময়দানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি অস্থিরতা তৈরি করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। ক’দিন আগে আইএমএফ (আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল) রিপোর্ট দিয়েছে-বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন পৃথিবীর ৩৫তম। আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেছিলাম, দেশ ছিল ৬০তম। আমরা গত ১৪ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ অনেক দেশকে এবং পাকিস্তানকে বহু আগেই পেছনে ফেলেছি।
এই উন্নয়ন বিএনপি, খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের পছন্দ হয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে সরকার উন্নয়নের চাকাকে ধাবমান চাকায় পরিণত করে আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সেই সরকারকে তারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চায়। তারা ১০ ডিসেম্বর ধাক্কা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ কোনও ধাক্কায় পড়ে যাওয়ার দল নয়, বরং যে ধাক্কা দেয় সে-ই পড়ে যায়। ১০ তারিখ সেটিই প্রমাণ হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর বিএনপি আমাদের ধাক্কা দিতে গিয়ে তারাই পড়ে গিয়ে নয়াপল্টন থেকে গরুর হাটে চলে গেছে, তাই আজকে সুর পাল্টে ফেলেছে' উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, আজকে মির্জা আব্বাস বক্তব্য রেখেছেন আমরা কোনও সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চাই না। অর্থাৎ ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করে বুঝতে পেরেছে ১০ ডিসেম্বর তাদের কোমর ভেঙে গেছে। সুতরাং এখন লাইনে এসেছে, বলে কী—আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় দেবো।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখন কর্মসূচি দিয়েছে ১৬ তারিখ নাকি তারা গণমিছিল করবে। আমরা রাজপথে নেমেছি, আমরা রাজপথ ছাড়বো না, আমরা রাজপথে থাকবো। কারণ, এই রাজপথেই জন্ম আওয়ামী লীগের। আর বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। রাজপথ আর কাউকে দখলে নিতে দিবো না।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যে দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে বাংলাদেশে পর্দাপণ করেছিলেন, সে দিনই আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়, তখন আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯.৫৪ শতাংশ। আমরা আজ পর্যন্ত সেই রেকর্ড ভাঙতে পারিনি।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
ভারতীয় সাংবাদিকদের সফর দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় এলে একাত্তরের চেতনা বিলুপ্ত হয়ে যাবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে না।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপিকে আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারি না।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বুধবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় যোগ দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
এছাড়া পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় ফিরে আসেন।
কাদের বলেন, বাংলাদেশের আরেক নাম শেখ মুজিবুর রহমান। যতদিন এই ভূমি থাকবে বঙ্গবন্ধু থাকবেন।
বুধবার বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বিরোধী দলের কড়া সমালোচনা করে বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৫৪টি দল হাত মিলিয়েছে। কিন্তু ৫৪ দল কী করবে? তারা কিছু করতে পারে না।
কাদের বলেন, বিএনপির দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে যা ধ্বংস করেছিল হাসিনা তা মেরামত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা একদিনে শত শত সেতু ও শত শত রাস্তার উদ্বোধন করেছেন। শেখ হাসিনাই পারেন, একমাত্র শেখ হাসিনাই পারেন। আসুন আমরা তার হাতকে শক্তিশালী করি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে কাদের বলেন, বিএনপির শাসনামলে ৫০ দিনও তিনি ঘরে থাকতে পারেননি। এখন বিএনপির দুই নেতা ২৬ দিন ধরে কারাগারে ছিলেন।
এছাড়া কিছু মিডিয়া এমনভাবে লিখছে যেন তারা ২৬ হাজার বছর ধরে জেলে ছিল।
এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
আরও পড়ুন: নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই: ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
ভুজপুরে আ.লীগের ৩ নেতাকর্মী হত্যামামলা স্থগিতের আবেদন খারিজ: হাইকোর্ট
প্রায় ১০ বছর আগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভুজপুরে বিএনপি-জামায়াতের হরতালের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মিছিলে হামলায় তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় করা এক মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ওই মামলার কয়েকজন আসামির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এবং বিচারপতি খোন্দকার খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে দেন।
ফলে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।
২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভুজপুরে বিএনপি জামায়াতের হরতালের ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আয়োজিত আওয়ামী লীগের মিছিলে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: রিতা দেওয়ানের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
সেদিন দেড় শতাধিক মোটরসাইকেল, ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি, পাঁচটি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার, তিনটি পিকআপ ও চারটি চাঁদের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। হামলায় আহত হন আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী। হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মীকে।
তারা হলেন- ফারুক ইকবাল বিপুল (৩৯), মো. রুবেল (২২) ও ফোরকান উদ্দিন (২৭)।
ওই ঘটনায় ভুজপুর থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়। মামলায় আসামি করা হয় ১৬ হাজার ৪৭১ জনকে। এর মধ্যে ৪৭১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। বাকিরা অজ্ঞাতপরিচয় আসামি। মামলায় আসামিদের মধ্যে ছিলেন ভুজপুর থানা জামায়াতের সাবেক আমির শফিউল আলম নুরী ও ফটিকছড়ি উপজেলা জামায়াতের আমির হাবিব আহমেদ।
এ পাঁচ মামলার মধ্যে এক মামলায় ২০১৫ সালের ৩০ জুন জামায়াতের সাবেক আমির শফিউল আলম নুরীকে প্রধান আসামি করে ২৭৮ জনের অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
পরে চট্টগ্রামের দায়রা জজ আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর বিচারের জন্য মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠায়।
দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আইনের ১০ ধারা অনুযায়ী ওই ট্রাইব্যুনাল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় আসামি শফিউল আলম নুরী সহ আরও কয়েকজন আসামি মামলাটি পুনরায় দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর আবেদন করেন।
সে আবেদন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল খারিজ করেন। দ্রুত বিচার আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে শফিউল আলম নুরীসহ কয়েক আসামি হাইকোর্টে বিরিভিশন মামলা দায়ের করেন। আবেদনে রুল জারির আর্জি জানিয়ে মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া জানান, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১৩৫ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে পারে নাই বলে মামলাটি আগের আদালতে ফেরত পাঠাতে আবেদন করা হয়েছিল। সে আবেদন খারিজের পর আসামিরা হাইকোর্টে রিভিশন করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট আসামি পক্ষের আবেদন সরাসরি খারিজ করেন। ফলে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচার চলতে কোন বাধা নেই।
আরও পড়ুন: বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল স্লোগান: ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
তাকসিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দুদককে পদক্ষেপ জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট
আমরা রাজনীতিকে ভালো মানুষের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভালো মানুষ রাজনীতিতে আসতে চায় না। কারণ আমরা রাজনীতিকে তাদের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি, আকর্ষণীয় করতে পারিনি।
তিনি বলেন, নষ্ট রাজনীতিকরা নষ্ট রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করবে সরকার: সেতুমন্ত্রী
রবিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনের জাতীয় পার্টির (জেপি) ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ছাত্র রাজনীতির সুনামের ধারা হারিয়ে গেছে বলে ওবায়দুল কাদের বলেন, খারাপ লোকদের হাতে রাজনীতি থাকলে দেশটি খারাপ হয়ে যাবে। চরিত্রবানদের রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া ভালো, সৎ ও মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে হবে, না হয় রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে যাবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রকে বাঁচানোর তাগিদ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। বিজয়কে সুসংহত করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে।
এছাড়া তিনি গণতন্ত্রকে বাঁচাতে শক্তিশালী বিরোধীদলের প্রয়োজনীয়তাকে জোর দেন তার বক্তব্যে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশের উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ১৯৭৫ এর হত্যাকাণ্ড বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। চার নেতার হত্যার মাধ্যমে রাজনৈতিক দেয়াল তৈরি হওয়া শুরু হলো, রাজনীতিতে সে দুরত্ব ঘোচাতে সেতু নির্মাণ করতে ব্যর্থ।
তিনি সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তার বক্তব্যে।
জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সম্মেলন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপুল ভোটে জয়
পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজাহার আলী বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ছয় হাজার ৭৪০ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৌরসভা নির্বাচনে সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বোদা পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) থেকে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
আজাহারের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বোদা উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন হাসান নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৫৯৭ ভোট।
এ ছাড়া অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বোদা পৌর কমিটির সদস্য সচিব দিলরেজা ফেরদৌস চিন্ময় জগ প্রতীকে ৭৮৩ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বোদা উপজেলা কমিটির মো. মওদুদ খান হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৩২ ভোট।
সংরক্ষিত আসনে নারী কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে (১ থেকে ৩নং ওয়ার্ড) ইসমতারা দ্বিতল বাস প্রতীকে দুই হাজার ২১৮, ২নং ওয়ার্ডে (৪ থেকে ৬নং ওয়ার্ড) মোছা. ঝর্না আনারস প্রতীকে দুই হাজার ২২৫ ও ৩নং ওয়ার্ডে (৭ থেকে ৯নং ওয়ার্ড) মোছা. সুলতানা বেগম চশমা প্রতীকে ১৭৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে- ১নং ওয়ার্ডে মো. আরিফুর রহমান আরিফ উট পাখি প্রতীকে এক হাজার ৯৭, ২নং ওয়ার্ডে আমজাদ হোসেন বাবলা টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৯৮৮, ৩নং ওয়ার্ডে মো. খাদেমুল ইসলাম টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৭৪১, ৪নং ওয়ার্ডে মো. জামাল উদ্দীন পাঞ্জাবি প্রতীকে ৫২৫, ৫নং ওয়ার্ডে আব্দুল মালেক টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৯১০, ৬নং ওয়ার্ডে আবু সাদাত মো. সায়েম রুবেল পাঞ্জাবি প্রতীকে ২৯৪, ৭ নং ওয়ার্ডে কাউসার আলম রুমি উটপাখি প্রতীকে ৬১১, ৮নং ওয়ার্ডে মো সৈয়দ আলী পাঞ্জাবি প্রতীকে ৪২৬ ও ৯নং ওয়ার্ডে মো. শাহজাহান আলম গাজর প্রতীকে ৫৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রের ৪৮টি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ইভিএমে ভোটগ্রহণে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও ভোটাররা সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এছাড়া নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে একজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯টি কেন্দ্রে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বোদা পৌরসভার ১৪ হাজার ৫১২ জন ভোটারের মধ্যে নির্বাচনে ১১ হাজার ৮১২ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুন: পৌরসভা নির্বাচন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেয়র পদে লড়বেন ৬ জন
ভোলা পৌরসভা নির্বাচন: দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ২০
রংপুরে ভোটের এত ব্যবধান হওয়ার কথা না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নানা বিবেচনা হয়। জনমত জরিপেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী এগিয়ে ছিল। আমাদের ভেতরে কিছু সমস্যাও আছে। না হয় ভোটের এত ব্যবধান হওয়ার কথা না।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রংপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ভরাডুবির কারণ জানতে চাইলে জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, মেয়র হবে লাঙ্গলের, দ্বিতীয় হবে নৌকা-রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল নিয়ে এমন ধারণাই ছিল অধিকাংশের। কিন্তু সব হিসাব উল্টে গেছে ভোটের ফলাফলে। নৌকার প্রার্থী চতুর্থ হয়ে জামানত হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি নির্বাচন: ভোট কক্ষে ২ জনের বেশি সাংবাদিক নয়
কাদের বলেন, ‘আমাদের ভেতরে কিছু সমস্যা ছিল। আমরাতো কেউ সেখানে যাইওনি। আমরা কোন প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অংশ নেইনি। আমরা আগেই জানতাম এখানে এগিয়ে আছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এখানে সরকারি দল থেকে কোন বাড়াবাড়িও হয়নি। আমরা পিছিয়ে আছি বলে জোর করে এগিয়ে যাওয়ার কোন চেষ্টা করিনি। সেদিক থেকে এখানে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে৷ আমি এটা মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি, তদন্ত করে দেখছি। আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি বড় রকমের। এক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা বড় রকমের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।’
দু-একদিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে বলেও জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি নির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা
রংপুরে সংরক্ষিত ইভিএমের ৬০ শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ
বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির ১০ দফা দাবির মধ্যে নতুন কিছু নেই, সব পুরনো কথা।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামের সামনের মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি তার রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর সব অচল করে দেয়ার ছক এঁকে বিএনপি এখন নিজেরাই অচল হয়ে গেছে। বিএনপির সংসদ সদস্যরা চলে গেলেন, এভাবে বয়কট করা বড় ভুল, অচিরেই তারা বুঝতে পারবেন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, নির্বাচন চালনায় নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনের মূলশক্তি। সরকার শুধু সহযোগিতা করবে।
বিএনপির মতো আওয়ামী লীগেরও দাবি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন বলেও তিনি জানান।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দীন আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলনের ২য় অধিবেশন সর্বসম্মতিক্রমে মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও মফিজুর রহমানকে সাধারণ করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন মাহবুব উল আলম হানিফ।
আরও পড়ুন: সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী