খুলনা
খুলনায় বাসচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
খুলনায় বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহানগরীর হোগলাডাঙ্গা প্রগতি স্কুলের সামনে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস নামে বাসের চাপায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর কুমারিয়া জোলা গ্রামের মো. কাউসার হোসেনের ছেলে হাফেজ শরিফুল ইসলাম (২৩) এবং খুলনার ডুমুরিয়ার মো. মোস্তফার ছেলে বেলাল হোসেন (২৪)। শরিফুল রাজবাঁধ নুরানি হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন। রাজবাঁধ আয়েশাবাদ জামে মসজিদের মুয়াজ্জিনও ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাবনায় ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
জানা গেছে, নিহতরা মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস নামে একটি গাড়ি এসে তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে প্রায় ঘণ্টাখানেক খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয়রা।
আয়েশা জামে মসজিদের সেক্রেটারি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শরিফুলের কিছুদিন আগে একটা চাকরি হয়েছে। সে জন্য গাড়ি চালানো শিখতে যাচ্ছিলেন তিনি। শরিফুল ইসলাম মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন আর তার পেছনে ছিলেন বেলাল।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘাতক বাসটিকে এখনও আটক করা যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
খুলনায় বাসচাপায় মাদরাসা শিক্ষক ও মুয়াজ্জিন নিহত
খুলনা মহানগরীতে বাসচাপায় মোটরসোইকেল আরোহী মাদরাসার শিক্ষক ও মুয়াজ্জিন নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহানগরীর হোগলাডাঙ্গা প্রগতি স্কুলের সামনের মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আড়াইহাজার সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ বন্ধু নিহত
নিহতরা হলেন-বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের উত্তর কুমারিয়া জোলা গ্রামের মো.কাওছার হোসেনের ছেলে ও রাজবাঁধ নুরানি হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ শরিফুল ইসলাম (২৩) এবং রাজবাঁধ এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে ও রাজবাঁধ আয়েশাবাদ জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন বেল্লাল হোসেন (২৪)।
আরও পড়ুন: পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ কিশোর নিহত
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানান, শরিফুল ও বেল্লালের মোটরসাইকেলটি রাজবাদ এলাকা থেকে মেইন রোডে ওঠার পর পরেই সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের বাসটি চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থানেই তারা নিহত হন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত
এদিকে, ঘটনার পর থেকে প্রায় ঘণ্টাখানেক খুলনা ও সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন এলাকাবাসী।
‘আমি বাঁচতে চাইছিলাম, কিন্তু পারলাম না’
‘আমি সঠিকভাবে বাঁচতে চাইছিলাম, কিন্তু পারলাম না। ওরা আমার পেছনে খুব ভালোমতো লেগেছে। আমি না মরা পর্যন্ত শান্তি পাবে না। শুভ, আলিফ, মিহির ওরা আমাকে বাঁচতে দিলো না।’
খুলনার কয়রায় কলেজছাত্রী তনুশ্রী মাঝি (১৮) তিনজনকে দায়ী করে এই সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের হড্ডা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
মৃত তনুশ্রী মাঝি দীপক মাঝির একমাত্র মেয়ে। এছাড়া তনুশ্রী গড়ইখালী আবু মুছা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
আরও পড়ুন: মোবাইল গেম খেলতে না দেয়ায় স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
দীপক মাঝি জানান, দুপুরের খাবার খেয়ে নদীর চরে গাছ থেকে কেওড়া পাড়তে যান। বিকালে সাড়ে ৪টার দিকে জানতে পারেন তার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে। দ্রæত বাড়ি এসে মেয়ের ঘরে দরজা দেয়া দেখতে পেলে জানালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন। তিনি মেয়ের পা উঁচু করে ধরেন এবং তার মা দড়ি কেটে দেয়। তখন বেডে শোয়ানোর সময় মোবাইল দিয়ে চাপা দেয়া একটি কাগজ দেখতে পান।
ওই কাগজে তিনজনকে দায়ী করে নোট লেখা ছিল।
মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের মেম্বার চায়না মন্ডল বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে খবর পেয়েই আমি তনুশ্রীদের বাড়ি যাই। সেখানে গিয়ে দেখি সে ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ সেখান থেকে একটা সুইসাইড নোট উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)এবিএমএস দোহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ওই কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের সময় একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই নোটে মৃত্যুর জন্য তিনজনকে দায়ী করেছেন তনুশ্রী। সুইসাইড নোটের একটি অংশে লেখা ছিল-আমি সঠিকভাবে বাঁচতে চাইছিলাম, কিন্তু পারলাম না। ওরা আমার পেছনে খুব ভালোমতো লেগেছে। আমি না মরা পর্যন্ত শান্তি পাবে না। শুভ, আলিফ, মিহির ওরা আমাকে বাঁচতে দিলো না।
তিনি আরও জানান, লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের হাতের লেখা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আত্মহত্যার বিষয়ে করো প্ররোচনা থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় তরুণ-তরুণীর বিষপানে আত্মহত্যা
ডুমুরিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ
খুলনায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে যুবক খুনের অভিযোগ
খুলনায় ইয়াসিন আরাফাত (১৮) নামের যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ইয়াসিন মহানগরীর সন্ধ্যাবাজারে মাছ বিক্রি করতো।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে মহানগরীর শেরে বাংলা রোডে ইয়াসিনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন:খুলনায় রহিমা খাতুন নিখোঁজ মামলার তদন্তভার পিবিআইয়ের হাতে
পুলিশ ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ১০০ টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ইয়াসিনকে কুপিয়েছে তার বন্ধুরা। সাত থেকে আটজন একটি ইজিবাইকে করে ১১টার দিকে এসে প্রথমে ইট দিয়ে আঘাত করে। যাদের বয়স ১৫-১৮ বছরের মধ্যে। পরে ধারালো ছুরি বা চাপাতি দিয়ে ইয়াসিনের বুকে কুপিয়ে ইজিবাইক ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াসিন মারা যান।
নিরালা ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান বলেন, ইয়াসিন আরাফাতের হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি। ধারণা করা হচ্ছে চাপাতি দিয়ে ইয়াসিনের বুকে কোপ দেয়া হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতরা সবাই কিশোর।
তিনি আরও বলেন, হত্যার স্থান থেকে একটি ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:খুলনা-কলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেস থেকে ভারতীয় ওষুধ-পণ্য জব্দ
খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত
খুলনায় রহিমা খাতুন নিখোঁজ মামলার তদন্তভার পিবিআইয়ের হাতে
খুলনায় ৫৫ বছর বয়সী নারী নিখোঁজ ঘটনায় মামলার তদন্তভার নিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন খুলনার আদালত। নিখোঁজ নারীর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দিয়েছেন।
মহানগরীর দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়ায় গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে বের হন রহিমা খাতুন (৫৫)। দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি আর বাসায় ফেরেননি। পরে মায়ের খোঁজে বের হয়ে সন্তানরা মায়ের ব্যবহৃত স্যান্ডেল, গায়ের ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেয়ার পর তাকে না পাওয়া গেলে সাধারণ ডায়েরি এবং পরবর্তীতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন তারা।
গত ২০ দিনেও রহিমার খোঁজ মেলেনি। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের আবেদনে মামলাটি পিবিআইয়ের যাচ্ছে। এ পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ছয় জনকে গ্রেপ্তার করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি।
আরও পড়ুন: খুলনায় রহিমা ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৬
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের আদেশ হয়েছে। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নথি হস্তান্তর হয়নি। পিবিআই যেদিন চাইবে সেদিনই নথি হস্তান্তর করা হবে। এ জটিলতার কারণে এ মামলায় গৃহবধূর স্বামীর রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি। পিবিআই মামলাটি বুঝে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এ পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ, জুয়েল এবং হেলাল শরীফ।
নিখোঁজ রহিমা খাতুনের মেয়ে মরিয়ম মান্নান বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আমার মায়ের সন্ধান দিতে পারেনি। ফলে ১৩ সেপ্টেম্বর ১৮তম দিনে আমার ছোট বোন আদুরি আক্তার আদালতে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তরের আবেদন করে। শুনানি শেষে ওই দিনই আদালত মামলা পিবিআইতে হস্তান্তরের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনার রহিমা খাতুনের খোঁজ ১৫ দিনেও মেলেনি
১৫ সেপ্টেম্বর দেয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমার ভাই আজকেও পোস্টার লাগিয়েছেন। প্রতিদিন পোস্টার লাগানো হয়। খুলনার এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে পোস্টার লাগানো হয়নি! শুধু খুলনা শহর না, সারা বাংলাদেশে পোস্টার দিয়ে মুড়িয়ে দেবো, তারপরও আমরা আমাদের মাকে চাই। মাগো, কোথায় গেলে তোমাকে পাবো মা!’
আরও পড়ুন: নিখোঁজ মাকে ফিরে পেতে ৬ সন্তানের আকুতি
খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত
খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ছয় বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে জেলায় ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস অনুসারে, এই ২৪ ঘণ্টায় ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
টানা বর্ষণে জেলার নিরালা, মুজগুন্নী, বয়রা ও প্রান্তিকাস নিচু এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে আজ সকালে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৮ বিভাগে ২৪ ঘন্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা!
ভরা মৌসুমেও খুলনায় ইলিশের দাম চড়া
ভরা মৌসুমেও দাম বেশি হওয়া খুলনায় ইলিশ মাছ সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। বিভিন্ন বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় দাম কমার আশায় আছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা।
খুলনার পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১ জুলাই থেকে ইলিশ ধরা শুরু হলেও চাহিদার তুলনায় মাছের সরবরাহ কম থাকাতে এখন প্রতিটি পাইকারি ও খুচরা বাজারে ইলিশ দাম বেশি বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই বাজারে যাচ্ছেন কিন্তু ইলিশ না কিনে ফিরছেন।
খুলনার গল্লামারি বাজার, সন্ধ্যা বাজার, নিউমার্কেট বাজার, রুপসা বাজার, নতুন বাজার, বয়রা বাজার, খালিশপুর বাজারসহ সকল বাজারে ইলিশের দাম চড়া।
আরও পড়ুন: তীব্র খরায় বাগেরহাটে আমন উৎপাদন ব্যাহত
খুলনার পাইকারি মাছ বাজারের দেড় কেজি ইলিশ প্রতি মণ (৫৫ হাজার থেকে ৫৭ হাজার) টাকা, এক কেজি ইলিশ প্রতি মণ (৫০ হাজার থেকে ৫২ হাজার) টাকা, ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ (৪৩ হাজার থেকে ৪৪ হাজার) টাকা এবং ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ (৩২ হাজার থেকে ৩৩ হাজার) টাকা বিক্রি হচ্ছে। ফলে বড় ইলিশ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ভাগ্যে জুটছে না।
খুলনার ৫ নং ঘাটে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের আওতাধীন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং রূপসা মাছ বাজার খুলনায় পাইকারি ইলিশের উল্লেখযোগ্য দুটি ব্যবসা কেন্দ্র।
এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রায় ছয় দশক ধরে পাইকারি মৎস্য বিক্রয় করছেন শেখ সাইদুল ইসলাম। ১৯৫৯ সাল থেকে তার বাবা এই ব্যবসা শুরু করেন এবং বাবার হাত ধরে তিনি এই ব্যবসায় আসেন। তিনি ছাড়াও এই কেন্দ্রে ছয় জন মৎস্য ব্যবসায়ী (মহাজন) রয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্কুলশিক্ষকের তৈরি ভাসমান সেতুতে দুর্ভোগের অবসান হলো গ্রামবাসীর
শেখ সাইদুল ইউএনবিকে জানান, দক্ষিণ বাংলার বরিশাল, বরগুনা, ভোলা থেকে এখানে ট্রলারে করে ইলিশ মাছ আসে। যা সকাল ১০টার মধ্যে খুচরা বিক্রেতারা ক্রয় করে বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যায়। কিন্তু এখন সড়ক ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় জেলেরাই ট্রাক ও পিকআপে করে ইলিশ নিয়ে যায়। আগে মহাজনরা মাছ বিক্রি করে পাঁচ শতাংশ কমিশন পেত, এখন সেটি তিন শতাংশে নেমে এসেছে।
তিনি জানান, গত বছর তিনি আট কোটি টাকার মাছ বিক্রি করলেও তেমন মুনাফা অর্জন করতে পারেননি।
এর মধ্যে গত ৪ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে দুই হাজার ৪০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর ফলে আরেক দফা ইলিশের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
খুলনা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিভিন্ন নদীতে এক কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে যা ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘অপরিকল্পিত’ শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, মরে যাচ্ছে শত শত গাছ
খুলনা জেলার মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, এবার ইলিশের দাম বেশি হওয়ার কারণ ডিজেলের (তেল) দাম বৃদ্ধি, আশানুরূপ মাছ না পাওয়া এবং একশ্রেণির ধনী মানুষের নিম্নবিত্তের দিকে না তাকিয়ে ফ্রিজে ইলিশ কিনে ভর্তি করে রাখা।
উল্লেখ, গত ১ নভেম্বর ২০২১ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল। ১ জুলাই থেকে মাছ ধরা শুরু হলেও গত বছরের তুলনায় এবারের উৎপাদন কম। আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে অক্টোবরের শেষ দিন পর্যন্ত মা ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
খুলনায় কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
খুলনায় এক কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে শহরের মিস্ত্রিপাড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত স্বপ্নময় সাহা মিস্ত্রিপাড়া প্রফেসর রোকন উদ্দিন সড়কের সৈয়দ মোফাজ্জল হোসেনের ভাড়াটিয়া সত্যজিৎ সাহার ছেলে।
তিনি খুলনার সরকারি সুন্দরবন কলেজের ইকোনমিক্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন: নাটোরে দাখিল পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, স্বপ্নময় সাহা সুন্দরবন কলেজের ইকোনমিক্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ইকোনমিক্স’র একটি সাবজেক্টে খারাপ রেজাল্ট করায় বাবা মা তাকে বকাবকি করে। এরপর পরিবারের সকলের সঙ্গে কথা বন্ধ করে দেয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে পরিবারের সকলের অজান্তে বাথরুমের শাওয়ারের সঙ্গে গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। রাতেই পরিবারের লোকজন টের পেয়ে বাথরুম থেকে লাশ নামিয়ে সকালে পুলিশে খবর দেয়।
বাড়ির মালিক সৈয়দ মোফাজ্জল হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে খবর জানতে পেরে সেখানে উপস্থিত হই। সমস্ত বিষয়টি জেনে সকালে পুলিশে খবর দেই।
এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার উপপরিদর্শক বাধন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। লাশটি ফ্লোরে নামানো ছিল। তার গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
আত্মহত্যার কারণ হিসাবে স্বপ্নের বাবা বলেছেন রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় কয়েকদিন আগে তাকে বকাবকি করা হয়। এ কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।
সুরাতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে বলে উপপরিদর্শক জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
খুলনায় কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় সোনাডাঙ্গা থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) সোবহান মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আবদুস ছালাম খান এই পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সোবহান মোল্লা বর্তমানে বক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। তিনি মাগুরা জেলা সদরের ২০ নং চন্দন প্রতাপ গ্রামের আব্দুস সবুর মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: স্ত্রী নির্যাতন মামলা: চট্টগ্রামে সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম জানান, প্রথম স্ত্রীর তথ্য গোপন করে ২০২০ সালের ১২ মে ফারজানা বিনতে ফাকের নামে এক কিশোরীকে বিয়ে করেন সোবহান। সোবহান তখন নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। বিয়ের পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতে থাকেন তিনি। একাধিকবার স্ত্রীকে মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করান। উপায় না পেয়ে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ফারজানা বিনতে ফাকের।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ‘খুনি’ মোশতাকের ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
তিনি জানান, আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে কিছুটা গোঁজামিল প্রতিবেদন দিলে এই নিয়ে আদালতে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার আদালত সোবহান মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
খুলনায় রহিমা ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৬
খুলনায় ৫৫ বছর বয়সী এক নারী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপাড়া উপজেলার বণিকপাড়া এলাকায় বাড়ির পাশে পানি আনতে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন রহিমা খাতুন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতে রহিমার দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় এবং পরে তার সন্তানদের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে এই মামলায় আরও পাঁচজন- মহিউদ্দিন, পলাশ, জুয়েল, হেলাল শরীফ এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সহকারী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনার রহিমা খাতুনের খোঁজ ১৫ দিনেও মেলেনি
ওসি বলেন, এদের মধ্যে বাদী মামলার জবানবন্দিতে চারজনকে অভিযুক্ত করে।
ওসি নজরুল বলেন, পুলিশের পাশাপাশি র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বিষয়টি তদন্ত করছে।
ওসি বলেন, ‘২৭ আগস্ট রাত ১০টার পর যোগীপোল এলাকায় রহিমার মোবাইল ফোন চালু থাকলেও ট্র্যাক করার আগেই তা বন্ধ হয়ে যায়।’
রহিমার মেয়ে মরিয়ম হান্নান সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে বলেন যে তার মা গত ১৭ দিন ধরে নিখোঁজ। যদিও প্রশাসন দাবি করেছে যে তারা তাকে খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছে। আমি ঘুমাতে যাই বা খেতে যাই, প্রতি মুহূর্তে মায়ের মুখ আমার মনে আসে। তিনি অবশ্যই আশা করছেন যে তার সন্তানরা তাকে শিগগিরই খুঁজে পাবে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ মাকে ফিরে পেতে ৬ সন্তানের আকুতি
খুলনায় ৫৫ বছর বয়সী এক নারী নিখোঁজ