খুলনা
খুলনা পুরাতন সার্কিট হাউজ এখন ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর’
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খুলনায় আসলে সার্কিট হাউজে থাকতেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্মৃতি রক্ষায় পুরাতন সার্কিট হাউজে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর’ করেছে জেলা প্রশাসন।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিধন্য ও রাজনৈতিক পদচারণায় সমৃদ্ধ বৃহত্তর খুলনা বিভাগ। এটি ছিল অনেকটা তার ‘দ্বিতীয় বাড়ি’। নিজ জেলা গোপালগঞ্জের সাথে ভৌগলিক দূরত্ব কম এবং সে সময় নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় বঙ্গবন্ধু জীবদ্দশায় ৬৬ বার খুলনায় আসেন। ভাষা আন্দোলনসহ পাকিস্তান আমলে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ এবং স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও অনেকবার খুলনায় এসেছেন বঙ্গবন্ধু। পারিবারিকভাবেও খুলনার সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার ছোট ভাই শেখ আবু নাসের ব্যবসা সূত্রে খুলনায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র মারাঠী সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন
তাছাড়া খুলনায় আসলে সার্কিট হাউজেই উঠতেন বঙ্গবন্ধু। তাই তার সেই স্মৃতি রক্ষায় পুরাতন সার্কিট হাউজে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর’ করেছে জেলা প্রশাসন।
তৎকালীন খুলনা জেলা প্রশাসক হেলাল হোসেনের উদ্যোগে ২৬ জুন এ স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন। সার্কিট হাউজের দক্ষিণ পাশে দু’টি কক্ষ নিয়ে প্রাথমিকভাবে এ জাদুঘর চালু করা হয়েছে। বারান্দায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত দু’টি স্থির চিত্র এবং জাদুঘর স্থাপনের ভূমিকার কথা টাঙানো হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে জাদুঘর সমৃদ্ধ করার কাজ অবশ্য খুব একটা এগোয়নি বলে জানিয়েছেন প্রস্তাবনা কমিটির সদস্যরা।
তারা জানান, দ্রুতই এটি পূর্ণাঙ্গ জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হবে।
আরও পড়ুন: মরিশাসে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বৃক্ষরোপণ
জাদুঘরের প্রস্তাবনা কমিটির সদস্য স্বপন গুহ বলেন, ‘জাদুঘরটি নিয়ে বড় ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত দু’টি ঘরের একটিতে ডিজিটাল ডকুমেন্টারি দেখানো হবে। আরেকটিতে তার স্মৃতিজড়িত আসবাবপত্র রাখা হবে। ‘দুটি ঘর ও বারান্দার দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক, রাজনৈতিক, দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজনের সাথে সাক্ষাতের এবং তার ঐতিহাসিক ভাষণের ছবি টাঙিয়ে রাখা হবে। এ ছাড়া পাশের অন্য দু’টি রুম অফিস ও আর্কাইভ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আর্কাইভে উপহার ও বই সংরক্ষণ করা হবে। এভাবে সংগ্রহশালা বাড়ানো হবে।’
খুলনা জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইকবাল হোসেন জানান, স্বাধীনতার ৫০ বছরে খুলনায় বঙ্গবন্ধুর সম্পৃক্ততা ও তার আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে তার স্মৃতিজড়িত খুলনা সার্কিট হাউজে জাদুঘরটি করা হয়েছে।
খুলনায় সার্ভেয়ার হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার গ্রাম্য সার্ভেয়ার অশ্বিনী রায় হত্যা মামলার একমাত্র আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত প্রশান্ত বিশ্বাস ঘেদো উপজেলার বায়ারডাঙ্গা গ্রামের শশিপাড়া এলাকার সূর্যকান্ত বিশ্বাসের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি প্রশান্ত বিশ্বাস পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় ভাইসহ ২ ভাতিজার যাবজ্জীবন
আদালত সূত্র জানায়, নিহত অশ্বিনী রায় ওই এলাকার প্রশান্তকে প্রায়ই টাকা ধার দিতেন। ধারে দেয়া টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। একপর্যায়ে অশ্বিনীকে হত্যা করার পরিকল্পনা মাথায় আসে আসামি প্রশান্ত বিশ্বাসের।
২০১৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিকালে স্থানীয় মাইলমারী বাজারের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয় অশ্বিনী। বিকাল ৫টার দিকে তিনি বায়ারডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়া জনৈক কালিপদ মন্ডলের বাড়ির সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রশান্ত তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হত্যার উদ্দেশে আসামি কাঠ বা রড দিয়ে অশ্বিনীর মাথা ও নাক বরাবর আঘাত করতে থাকে। আঘাতে একসময় অশ্বিনী রায় অচেতন হয়ে পড়েন। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য অশ্বিনীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। পরদিন খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: ‘মাদক’ মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ে এক জনের যাবজ্জীবন
এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে অজয় কুমার রায় বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় প্রশান্ত বিশ্বাস ঘেদোকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ১৭ মে বাটিয়াঘাটা থানার এসআই নিমাই চন্দ্র কুন্ডু প্রশান্ত বিশ্বাস ঘেদোকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
খুলনায় চালকদের প্রতিযোগিতা ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলে দুর্ঘটনা বাড়ছে
খুলনা বিভাগে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারাচ্ছে শত শত মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ উদঘাটন করেছে পুলিশ। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খুলনায় প্রতি মাসে গড়ে দুর্ঘটনা হয়েছে একশ’র বেশি এবং এতে নিহত হয়েছে গড়ে ১৩ জন।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার কারণগুলোর মধ্যে প্রধান কারণ হল সড়কে যানবাহন চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করা। এছাড়া সড়কগুলোতে কম গতি সম্পন্ন গাড়ি চলাচল, তিন চাকার নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল এবং পথচারীদের অন্য মনষ্ক হয়ে চলাচলও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। তবে জনসচেনতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের আরও বেশি সচেতনতার কারণে নিয়ন্ত্রণ হতে পারে সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স খুলনা বিভাগের সূত্র জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে এক হাজার ৪৮৮টি। যা গড়ে প্রতি মাসে ১২৪টি। এছাড়া দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৬২ জন এবং আহত দুই হাজার ২০১ জন।
কেএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ জানায়, খুলনা মেট্রো এলাকায় গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৮টি দুর্ঘটনা হয়েছে। এতে ১৯ জন নিহত এবং ১৯ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ আরোহী নিহত
খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় জানায়, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ২৩টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত এবং ১৯ জন আহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় জড়িত গাড়িগুলো হলো ট্রাক, বাস, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, বাই সাইকেল, রিকশা, ভ্যান।
খুলনা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ বলেন, করোনার সময় অনেক মালিক গাড়ি ফিটনেস আপডেট করতে পারিনি। বর্তমান সরকার জরিমানা ছাড়া করোনাকালীন সময়ে ফিটনেস করতে পারিনা। এতে জরিমানা ছাড়া ফিটনেস শুরু হয়েছে। প্রতিদিন অনেক গাড়ি ফিটনেস আপডেট করতে আসছেন। আমরা ৪৬টি পয়েন্ট যাচাই করেই ফিটনেস আপডেট করছি। এছাড়া পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি আটকের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। খুলনায় প্রায় ১০ ভাগ গাড়ির ফিটনেস আপডেট নেই। প্রত্যেক মালিককে চিঠির মাধ্যমে ফিটনেস আপডেট করার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার তাজুল ইসলাম জানান, সড়কে চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলে দুর্ঘটনা বাড়ছে। এছাড়া ক্রটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল, হাইওয়েতে চলাচলের উপযোগী নয় এমন গাড়ি চলাচল করা, চালকদের সঠিক প্রশিক্ষণে ঘাটতি থাকা, পথচারীরা জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার না করার কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে। এগুলোর বিষয়ে যথাপযোগী ব্যবস্থা নিলে দুর্ঘটনা কমে যাবে।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানান, সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিরোধের বিষয়ে বিট পুলিশিং কার্যক্রমে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সড়কে মোটরসাইকেলে হেলমেট ব্যবহার করা না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। থ্রি হুইলার, ইজিবাইক এগুলোর বিষয়ে চালকদের আরও সতর্ক করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আরও সচেতন হতে হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ বন্ধু নিহত
ধামরাইয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাক শ্রমিকসহ নিহত ৩
তিন দশক গান গেয়েই চলছে অন্ধ বাউলের সংসার
দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে পথে পথে গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন অন্ধ বাউল। গান গেয়ে পথচারীদের মন জয় করেই বেঁচে আছে পরিবারের তিন অন্ধ ভাইসহ আট সদস্যের একটি বড় পরিবার।
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার বরাতিয়া গ্রামের পরিমল দাসের ছেলে অন্ধ বাউল শিল্পী শংকর দাস জন্ম সূত্রে অন্ধ। সংসারের ঘানি টানতে টানতে পার হয়ে গেছে জীবনের ৪০ বছর।
জানা গেছে, শংকর দাসের ছোট দুই ভাই দিপংঙ্কর দাস (২০) ও শুভংঙ্কর দাসও (১৪) জন্ম সূত্রে অন্ধ। তিন অন্ধ ভাইয়ের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তাদের বৃদ্ধ বাবা। বাবার উপার্জনে তাদের সংসার চলে না। অন্য কোন কাজ করার সক্ষমতা না থাকায় ১০ বছর বয়স থেকে গান গেয়ে টাকা উপার্জনের পথ বেছে নেন শংকর দাস।
আরও পড়ুন: দু’হাত হারিয়ে জীবন যুদ্ধে লড়ছে ফরিদগঞ্জের জাহাঙ্গীর
এদিকে, ২১ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেন। পল্লব দাস (৬) ও পার্থ দাস (৪) নামে তার দুই ছেলে রয়েছে।
জানা গেছে, ৩০ বছর ধরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে উপজেলার চুকনগর, আঁঠারোমাইল, কাঁঠালতলা ও খর্ণিয়া বাজারসহ কয়েকটি বাজারের রাস্তার উপর বসে গান গেয়ে পথচারীদের মন জয় করার চেষ্টা করেন শংকর। গান শুনে অনেকে খুশি হয়ে তাকে দুই, এক টাকা করে দেয়। তাতে প্রতিদিন প্রায় দুইশ টাকার মতো উপার্জন হয়।
সেই টাকা দিয়ে স্ত্রী, দুই ছেলে, বাবা-মা ও অন্ধ দুই ভাই নিয়ে মোট আট সদেস্যের সংসার কোনভাবে চলে যায়। কিন্ত বর্তমানে তিনি গান গাইতে গাইতে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে গেছেন। তারপরও অভাবের এই সংসারে একদিন পথে বসে গান না গাইলে পুরো পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হয়। তাই নিরূপায় প্রায় প্রতিদিনই পথচারীদের মনোরঞ্জনের জন্য গান গেয়ে চলেছেন।
আরও পড়ুন: রমাকান্তরা আবার স্কুলে যেতে চায়
অন্ধ গায়ক শংকর দাস জানান, আজ তিনি বড়ই ক্লান্ত। অসুস্থতাসহ নানা কারণে আর হয়তো বেশিদিন তিনি গান গাইতে পারবেন না। তখন তার পরিবারের কী অবস্থা হবে, কে নেবে তাদের দায়িত্ব। কথাগুলো বলতে বলতেই এক সময় তিনি কাঁন্নায় ভেঙে পড়েন।
আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট প্রতাপ কুমার রায় বলেন, ‘অন্ধ বাউল শিল্পী শংকর দাসের ঘর বাড়িরও বেহাল দশা। তাই আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেষ্টায় কাঁঠালতলা আশ্রয়ন প্রকল্পে তার পরিবার নিয়ে থাকার জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। তবে তার জন্য আরও কিছু আমাদের করা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: সৌদি খেজুর চাষে সফল চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুবেল
মোংলায় পাথরবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি: ১০ নাবিক জীবিত উদ্ধার
খুলনার মোংলা বন্দরের দুবলার চরে ‘এমভি বিউটি লোহাগড়া-২’ নামে পাথরবোঝাই একটি লাইটার জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজে থাকা ১০ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
শনিবার ভোর রাতে বন্দরের দুবলার চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে পশুর নদীতে ‘এম ভি দেশ বন্ধু’ নামে সারবোঝাই একটি লাইটার জাহাজ ডুবে যায়। সেটি এখনও উদ্ধারের তৎপরতা শুরু করতে পারেননি মালিকপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন ও কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দপ্তর) গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাসানুজ্জামান জানান, মোংলা বন্দরেরর বাইরে ফেয়ার ওয়ে এলাকায় অবস্থান করা সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী ‘এম ভি সাগর রতন’ থেকে ১২০০ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল ‘এমভি বিউটি লোহাগড়া- ২’ লাইটার জাহাজটি।
পথিমধ্যে ভোর রাতে দুবলার চর এলাকায় তলা ফেটে ডুবে যায় জাহাজটি। এ সময় খবর পেয়ে জাহাজে থাকা ১০ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করে দুবলাচর ক্যাম্পের কোস্টগার্ড সদস্যরা।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে সারবোঝাই কার্গো জাহাজডুবি
ডুবে থাকা জাহাজের সঙ্গে ধাক্কায় পদ্মা সেতুর পণ্যবাহী জাহাজডুবি
লঞ্চের ধাক্কায় বালুবাহী জাহাজডুবি, ৩ শ্রমিক নিখোঁজ
মোংলা বন্দরে সারবোঝাই কার্গো জাহাজডুবি
খুলনার মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে ‘এম ভি দেশ বন্ধু’ নামে সারবোঝাই একটি কার্গো (লাইটার) জাহাজ ডুবে গেছে। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে নদীর কাইনমারী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় জাহাজটিতে থাকা ১০ নাবিক সাঁতার কেটে নদীর পাড়ে উঠে আসেন।
দুর্ঘটনা কবলিত লাইটার জাহাজের মাস্টার মো. রিয়াদ আলী মোল্লা জানান, মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার-১৪ নম্বরে থাকা একটি বিদেশি জাহাজ থেকে ৮৫০ মেট্রিক টন সার বোঝাই করে তাদের জাহাজটি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পথিমধ্যে শুক্রবার দুপুরে পশুর নদীর চিলা ও কাইনমারী এলাকার মাঝামাঝি এলাকার ডুবো চরে আটকে জাহাজটির তলা ফেটে ডুবে যায়। এতে জাহাজটির ব্রিজের কিছু অংশ দেখা গেলেও বাকি অংশ নিমজ্জিত রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান রিয়াদ আলী মোল্লা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ও সচিব (ভারপ্রাপ্ত) কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন জানান, দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে হারবার বিভাগের লোকজন পাঠানো হচ্ছে। তারা পরিদর্শন করে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে কার্গোটি মূল চ্যানেলের বাইরে ডুবেছে। এতে এ চ্যানেল দিয়ে নৌ চলাচলে কোনো সমস্যা ও ঝুঁকি নেই। এরপরও দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে মার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে মেট্রোরেলের আরও ৪ ইঞ্জিন, ৮ কোচ
গতি ফিরছে বাণিজ্যে, বদলে যাচ্ছে মোংলা বন্দর
মোংলায় নির্বাচনী সহিংসতায় নারী নিহত, আহত ৪
খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে পুলিশ সদস্য স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
খুলনার খান জাহান থানাধীন যোগিপোল এলাকায় স্ত্রী যোহানা আক্তার ঊষাকে হত্যার দায়ে পুলিশ সদস্য স্বামী মো. মাহমুদ আলমকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (৬ অক্টোবর ) খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. মাহমুদ আলম সাতক্ষীরা আশাশুনি থানার জামালনগর গ্রামের জবেদ আলী সরকারের ছেলে। তিনি খুলনার শিরোমনিতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কর্মরত ছিলেন। ভুক্তভোগী যোহানা আক্তার ঊষা পাইকগাছা উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের জামালপুর উদ্দিনের মেয়ে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মুরাদ হোসেন গাজী মামলার বরাত দিয়ে জানান, ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর দেড়টা নাগাদ যোগিপোল মনিরুল ইসলামের ভাড়া বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী যোহানা আক্তার ঊষাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন স্বামী মাহমুদ আলম। এ ঘটনায় নিহতের ভাই জিএম সোহেল ইসলাম বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) নৃপেন বিশ্বাস একই বছরের ১৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন আরিফ মাহমুদ লিটন।
খুলনায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ২ কোটি টাকার ক্ষতি
খুলনার তেরখাদা উপজেলা সদর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১০ থেকে ১৫টি দোকান ও গুদাম ঘর আগুনে পুড়ে গেছে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রূপসা সেনের বাজার ফায়ার সার্ভিস ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, আগুনে সুধীর সাহা, কালু সাহা, হামিদ শেখের মুদির দোকান, অসীম সাহার রাইস মিল, ইশারুলের চালের দোকান, বিধান সাহার টিনের দোকান, রাইস মিল, তেল-পেট্রো-চালের গোডাউনসহ প্রায় ১৫টি দোকান পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার কারাগারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪১
তেরখাদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘৪-৫টি দোকান ঘরের কোনো কিছুই নাই। আর পাঁচটি ঘরের অর্ধেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুধীর সাহা ও কালু সাহার গুদাম ঘরের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
মুদি দোকানি সুধির সাহার দোকানে ভাতের মাড় গলাতে গিয়ে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তেরখাদা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোল্যা আব্দুর রাজ্জাক কচি।
সেনেরবাজার ফায়ার সার্ভিসের ইন্সটেক্টর নূর ইসলাম বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর আমাদের ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি।’
তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবিদা সুলতানা বলেন, ‘খবর শোনার পরই ফায়ার সার্ভিস ইউনিটকে জানিয়েছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে সব মিলিয়ে ১০-১৫টি দোকান, রাইস মিল ও মালামালের গুদাম পুড়ে যায়।’
আরও পড়ুন: সেজান জুস অগ্নিকাণ্ড: হাসেম, ২ ছেলের জামিন
গাজীপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
কুয়েটের হল খুলছে ২২ অক্টোবর
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২২ অক্টোবর শুক্রবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর আবাসিক হল খুলে দেয়া হচ্ছে।
রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৮১তম (জরুরি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থীদের ৩০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া মওকুফ
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসহ সার্বিক অন্যান্য প্রস্তুতি পর্যালোচনা করে সভায় গৃহীত এ সম্পর্কিত সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে রয়েছে আগামী ২২ অক্টোবর শুক্রবার ৩য় ও ৪র্থ বর্ষ এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এবং আগামী ৫ নভেম্বর শুক্রবার অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল খুলে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ:কুয়েট ভিসির সহকারীর স্ত্রী পুলিশ হেফাজতে
৩য় ও ৪র্থ বর্ষ এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আগামী ২৫ অক্টোবর (সোমবার) ক্লাস শুরু হবে এবং ১ম ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে ৭ নভেম্বর (রবিবার)। কোভিড-২০১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা টিকা কার্ড দেখিয়ে হলে প্রবেশ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:কুয়েটের ৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার, ৬ জনকে জরিমানা
সড়ক খুঁড়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ, পথচারীদের দুর্ভোগ
সড়ক খুঁড়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগের কাজ চলায় খুলনা মহানগরীর খালিশপুর নতুন বিআইডিসি সড়কের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই খানা খন্দে কারণে বর্ষায় মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে এবং কাদা মাটির কারণে পথচারীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। আর এই কারণে প্রায় ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাময়িকভাবে সড়কটির বিভিন্ন বড় বড় গর্তগুলো ইটের টুকরো দিয়ে সংস্কার করলেও ভারি যানবহন চলাচলের সময়ে আবারও গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে সড়কে চলাচলে প্রায় সময়ে ইজিবাইক, অটোরিকশসহ ছোট ছোট যানবহন উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।
আরও পড়ুন: সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন: কাঁটাতারে বাঁধা শিক্ষক-শিক্ষার্থী!
স্থানীয় বাসিন্দা ইমন মোল্লা জানান, খুলনার মধ্যে ব্যস্ততম একটি সড়ক হচ্ছে এই নতুন রাস্তা থেকে বিআইডিসি সড়ক। তবে বর্তমান সময়ে সড়কটির মধ্য খানে কাটা থাকায় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে এই বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে সড়ক জুড়ে পিচলা কাদামক্ত হয়ে আছে। সড়কটি আগে ভালোই ছিল। তবে সড়কটি খুড়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ স্থাপন করার জন্য পুরো সড়ক গর্তে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকমল আহসান বলেন, ‘এই বিআইডিসি সড়কটি একটি গুরুত্বপুর্ণ সড়ক। বাজার, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পাটকলসহ এখানে তিনটি তেলের ডিপো রয়েছে। যার কারণে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক ট্যাংক লড়ি ও বিভিন্ন যানবহন চলাচল করে। খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবারাহের জন্য জ্বালানি তেলবহনকারী যান এই রুট ব্যবহার করে থাকে। তাছাড়া বেশ কয়েকটি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ পাটকল শ্রমিকরা এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে। যে কারণে সড়কটি সব সময়ে ব্যস্ত থাকে অথচ বর্তমানে সড়কটি অবস্থা খুবই বেহাল দশা।
আরও পড়ুন: মামলা জটিলতায় স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ, ঝুঁকিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই কাদা-পানিসহ নানা ধরনের সমস্যা হয়। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুমে সড়কটিতে ধুলো বালি উড়তে থাকে। আমরা এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করারা জন্য মেয়রের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।’
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ (পিন্টু) বলেন, বিআইডিসি সড়কটির অবস্থা খুবই বেহাল। তবে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বর্ষার পানিতে যা করব, সেসব নষ্ট হয়ে যাবে। তবে একটু বর্ষা কমলে সাময়িকভাবে সংস্কার করা হবে। সড়কটি নতুনভাবে স্থায়ী সংস্কারের জন্য মেয়র খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুন: ৫০০ পরিবারের একমাত্র ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো!
এ ব্যাপারে কেসিসির প্যানেল মেয়র-১ আমিনুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘সড়কটি বেহাল ছিল তবে কিছুদিন আগে ইট দিয়ে রোলিং করেছি তারপরও আমি বিষয়টি দেখছি। দ্রুত সংস্কার করার জন্য বিষয়টি নিয়ে মেয়রের সাথে কথা বলে সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য একটি ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তীতে নতুন দরপত্র করে একটি মডেল সড়ক তৈরি করা হবে।’